হৃদয়ে তার বৃষ্টির অবিরাম শব্দ

ডিনার টেবিলে বড় ভাবী বললেন “এমদাদ ভাই তো পাশের ফ্ল্যাটে থাকে, তোমার সংগে দেখা হয়নি”?
“তাই নাকি”। একটু অবাকই হই আমি। অসুস্থ হয়ে সেই যে কলেজ ছাড়লেন, তারপর থেকে কিছুই জানি না। “এখন কি পুরা সুস্থ স্যার?”
“না, কই আর, লাঠি নিয়ে চলাফেরা করেন। দেখতে যাবা তুমি”।
“নিশ্চয়ই যাব।“ আমি বড় ভাবি কে আস্বস্ত করি আমি। “অ্যাড্রেসটা দেন।“

’৯৩ এর শেষ অথবা ’৯৪ এর শুরুর দিকের কথা। বড়ভাই এর বাসা, ঢাকা ক্যান্ট এর শহীদ মাঈনুল রোডে আস্তানা গেড়েছি মাস তিন। উদ্দেশ্য ভালো কোন জায়গায় ভর্তি হওয়া। আমার তখন “মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল” অবস্হা। ভীষন মানসিক অস্হিরতা মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। অনেক গুলো কারন, ইন্টার-এর রেজাল্ট ভালো হয়নি। মার্কস এত কম যে বুয়েটে এ পরিক্ষা দিতে পারবনা। আমার জাদরেল টাইপ আব্বার সাফ কথা, আর্মিতে যেতে হবে; আমি বলেছি, অসম্ভব, আমি পারব না। বাসা থেকে অলমোষ্ট বের হয়ে এসেছিলাম। ISSB তে যখন সাদা কাগজ পেলাম, বাসার দরজা প্রায় বন্ধই হয়ে যায় আমার জন্য। আম্মাকে দেখতে আমি নাছোড়বান্দার মত বাসায় হাজির হয়েছি দেখে বাবা নিজেই ঢাকা চলে এসে বোনের বাসায় একমাস থেকে গেছেন। কারন, আমি যদি রংপুর থাকি, উনি রংপুর থাকবেন না। আমার চেহারা দেখবেন না। আড্ডার অসুবিধা হবে জন্য ৪র্থ বিষয়ে বায়োলজি নেইনি এইচ, এস, সি তে, তাই অই রিলেটেড সব সাবজেক্ট এর রাস্তা আমার জন্য বন্ধ। দেশের বাইরে যাব, তাও নয়। সানরাইজ এর মডেল টেষ্টে ফিজিক্সে ১৭, আর ক্যামিস্ট্রিতে ৩৭ আমার রেকর্ড মার্ক। অংক পরীক্ষার প্রশ্ন হাতে পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে এসেছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমি নিজে থেকেই যেতে চাইনা, কারন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ব নিশ্চিত। আমি কি চাই বুঝতে পারছিনা। আর তাই সেটার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলার মত মানসিক অবস্হা আমার নেই। আমি মোটামুটি উদভ্রান্তের মত চলি।
লে কর্নেল এমদাদউদ্দিন আহমেদ এর সংগে আমার দেখা করার কোন ইচ্ছাই তখন নেই।

ক্যাডেটে ভর্তি হয়েছিলাম যখন, তখন প্রিন্সিপাল ছিলেন, লে কর্ণেল শারফুল। আমার দেখা সবচেয়ে অভিজাত অফিসারদের মধ্যে একজন। ভদ্র এবং মার্জিত। ক্যাডেটদের বেশি ঘাটাতে পছন্দ করতেন না, যতখানি মনে পড়ে। প্রিন্সিপাল প্যারেড পুরা র্টামে হত একটা কি দুইটা। প্রায়শই প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশনে প্রিন্সিপাল স্যার বাদ পড়তেন। ক্যাডেট কোন দুষ্টামি করতে পারে এটা মনে হয় উনি বিশ্বাস করতেন না। ছবি দেখতাম প্রায়ই। তখনো ভিসিপি ছবির জামানা আসেনি, আমরা রীতিমত বড় পর্দায় ছবি দেখতাম। বাংলা, ইংলিশ হিন্দি, কি নেই। কিন্তু ক্যাডেট বলে কথা, বাদরের আধুনিক সংস্করন, সুখ সহ্য হলো না সিনিয়রদের, কলেজের ডিসিপ্লিন পড়ে গেল একদম তলানিতে। কি একটা সমস্যা হল উনার এডজুট্যান্ট এর সংগে, এডজুট্যান্ট চলে গেলেন। নতুন এডজুন্ট্যাট আসল না অনেকদিন। সিনিয়রদের পুরা বগলি বাজানোর মত অবস্থা। ক্লাস টেনের একদম শুরুর দিকে (যতখানি মনে পড়ে) শুনলাম, শারফুল স্যার চলে যাচ্ছেন। নতুন প্রিন্সিপাল আসছেন ঝিনাইদহ থেকে। আমরা বুঝলাম, সুখের দিন শেষ।

তিনি আসলেন। প্রথম প্রিন্সিপাল এ্যাসেম্বিতে উনি যা বললেন তার সারমর্ম হল, উনি এসেছেন কলেজের ডিসিপ্লিন ঠিক করতে। আর এ ব্যাপারে উনার মটো খুব সিম্পল।“ইফ ওয়ান ব্রাঞ্চ ইজ পলুটেড, কাট দ্য ব্রাঞ্চ টু সেভ দ্য হোল ট্রি”। কথা বলতে বলতে উনি হাত তুলে দেখালেন, আমরা দেখলাম উনার হাতের একটা আংগুল এর অর্ধেকটা নেই, কাটা। “সমঝদারকো লিয়ে ইশারাই কাফি”।
নতুন প্রিন্সিপাল যে একজন এসেছেন আমরা বুঝা শুরু করলাম অচিরেই। প্রতি শনিবার প্রিন্সিপাল ড্রিল, এক সপ্তাহ পর পর হাউস ইন্সপেকশন মিস হয় না আর। সকালে পি,টি টাইম থেকে শুরু করে রাতের নাইট প্রেপ, ক্যাডেটরা যেখানে প্রিন্সিপাল স্যার সেখানে। মাগরিবের নামাজে ঈমাম সাহেবের পিছনে জুনিয়ররা বসত, প্রথমে ক্লাস সেভেন, এইট এইভাবে। নতুন স্যার নিয়ম চেঞ্জ করে দিলেন, ঈমাম সাহেবের পিছনে ক্লাস টুয়েল্ভ বসবে, এরপর ইলেভেন এইভাবে। ক্লাস সেভেন সবার পিছনে আর শেষ কাতারে প্রিফেক্ট আর ডিউটি মাষ্টার। ক্লাস টাইমে স্যার একবার টহলে আসেন, ডিনারের আগে পরে দুই প্রেপে দুইবার। ডাইনিং এ খাবার কেমন খোজ নেবার জন্য ডাইনিং এ গিয়ে খাবার খান। গেমস টাইমে ক্যাডেট এর সংগে বাস্কেটবল খেলেন। ১৫ মিনিট খেলার পর মাঠে মাঠে ঘুরেন। খেলা বাদ দিয়ে কারা বসে আছে খোজা খুজি করেন। প্রিন্সিপাল স্যারের জন্য বরাদ্দ করা গাড়ি ব্যবহার না করে বাই-সাইকেল ব্যবহার করা শুরু করলেন। খুব সহজেই চিপা চাপায় হাজির হতে পারতেন এই কারনে। হাতে নাতে বমাল কিছু ক্যাডেট ধরে ফেললেন। ডাব চুরির শাস্তি হিসাবে পাংগা দেবার পর সংশিষ্ট ক্যাডেট কে দশ বারোটা ডাব খেতে হল। প্রিন্সিপাল স্যার ডাইনিং এ এসে ঘোষনা দিলেন, ক্যাডেট এর ডাব ক্যাডেটরাই খাবে, খেতে চাইলে অথরিটিকে জানালেই হবে, কষ্ট করে চুরি করার কোন দরকার নেই।

আমাদের জীবনটা মোটামুটি তেজ পাতা বানিয়ে দিলেন তিন মাসে।

আরও অনেক কাজ করলেন। আমরা পি,টি টাইমে কলেজের বাইরে দৌড়াতাম, নিয়ম চেঞ্জ করলেন, ভিতরে দৌড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আথলেটিক্স গ্রাউন্ডটা শীতকাল ছাড়া ফাকা পড়ে থাকত, বড় বড় শনে ভরে যেত। শন কেটে ফেলা হল, পরিনত হল সকালের পিটি গ্রাউন্ড আর নতুন একটা ফুটবল কাম হকি গ্রাউন্ডে। প্রতি হাউসে টিভি রুম হল। নতুন জ়েনারেটর আসল। অবস্ট্যাকল গ্রাউন্ড হল। স্মৃতি থেকে বলছি, একটু এদিক উদিক হতে পারে।

কলেজে আমদানী করলেন স্কোয়াড্রন লীডার আহমেদ চৌধুরিকে এডজুট্যান্ট হিসেবে। আমদের সাইজ করে বাক্স বন্দি করার জন্য।

এই যখন অবস্থা হঠাত একদিন গেমস টাইমে প্রিন্সিপাল স্যার অসুস্থ হয়ে পড়লেন । সি, এম, এইচে নিয়ে যাওয়া হল দ্রুত। ডিনারের সময় শুনলাম অবস্থা ভালো না, হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সি, এম, এইচে নিয়ে যেতে হয়েছে। দুইদিন পরে শুনি একটু ভাল, অতিরিক্ত কাজের চাপে এই অবস্থা। ঠিক হয়ে যাবে। একদিন দুইদিন যায়, ইম্প্রুভ করছেন শুনি। আজ আসবেন কাল আসবেন এইসব। কিন্তু স্যার আর আসেন না। কলেজের পুরা পরিস্থিতি সামলানো শুরু করলেন এডজুট্যান্ট আর ভি,পি স্যার। ভি,পি স্যার অ্যাকটিং প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পেলেন।

ব্যাপারটা নিয়ে পরে আর তেমন মাথা ঘামালাম না, সামনে এস, এস, সি পরীক্ষা। এমদাদ স্যার সেই যে গেলেন তো গেলেন। রেজাল্ট এর পর কলেজে গিয়ে দেখি নতুন প্রিন্সিপাল স্যার।
এই মোটামুটি ঘটনা।

বেশ কদিন পরে, একদিন সন্ধ্যায়, মাঈনুল রোডের বাসায় আসছি, স্যারের সামনে পরে গেলাম। একদম মুখোমুখি। স্যার হাটতে বেরিয়েছেন, আর আমি, পড়বি তো পর মালির ঘাড়ে।
“এই ফয়েজ, ইয়াংম্যান, কেমন আছ?” গলার স্বর আগের মতই, গম গম করে।
“আছি স্যার, মোটামুটি”। এরপর টুকটাক গল্প শুরু হয়। কলেজের কি অবস্হা, কে কি করছে, আগের ব্যাচের কার কার খবর জানি স্যার নাম ধরে ধরে জানতে চান। স্যারে স্মৃতি শক্তি আমাকে অবাক করে। এরপর নিদির্ষ্ট এক ক্যাডেটের কথা জানতে চান, তাকে কেন কলেজ থেকে উয়িথড্র করা হল জানতে চান। আমি কারন বলি। স্যার কারন শুনে অবাক হন, হতাশা প্রকাশ করেন, “আমার ক্যাডেট এইগুলা করবে?” কথা বলতে বলতে উনার বাসার সামনে আসি। ভিতরে আমন্ত্রন জানান, চা খাবার জন্য। এই কথা সেই কথা হবার পর তিনি একটা এ্যালবাম নিয়ে আসেন। সেই এ্যালবামে আমাদের সবার পাসপোর্ট ছবি, নিচে ক্যাডেট নাম্বার লেখা। আমার ছবিটা আমাকে দেখান। ক্লাস সেভেনে তোলা এক নিষ্পাপ বাচ্চার ছবি।

আমি হতম্ভব হয়ে যাই।

“আমাদের সবার ছবি আপনি রেখে দিয়েছেন?” আমি অবাক, আমার বিশ্বাস হয় না। নিজের চোখে একটা কঠিন হৃদয়ের ভিতরের ছবি দেখি আমি। স্যার এর চোখের দিকে তাকিয়ে কোন তল খুজে পাইনা। লজ্জায় চোখ সরিয়ে নেই।

“শুধু ছবি”, ম্যাডাম কথা বলেন, “তোমার স্যার সকাল বিকাল ছবি গুলা দ্যাখে আর মুছামুছি করে”।

একটা অপরাধবোধে আমার মনটা বিষিয়ে যায়। মনে মনে কত গালি দিয়েছি একসময় যেই মানুষটা কে, অমঙ্গল কামনাও হয়ত করেছি, সেই তিনি পরম মমতায় আমাদের ছবি উপর হাত বুলিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।

এক জীবনে আর কত ভূল হবে আমার।

৭,৪৫৮ বার দেখা হয়েছে

৫০ টি মন্তব্য : “হৃদয়ে তার বৃষ্টির অবিরাম শব্দ”

  1. ১.
    ৯৩/৯৪ এর পরে শেষ পর্যন্ত আপনার কি গতি হইছিল সেইটা আর বলেন নাই। সেই “মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল” অবস্হা কেটে গিয়ে এখন তো দেখি ভাবি, বাচ্চা নিয়া রমরমা অবস্থা। সেই কাহিনী কি অন্য একদিন? 😉
    ২.
    আমাদের সিলেটে এই রকম একজন প্রিন্সিপাল ছিলো একবার। সেই ৯২-৯৮ সময়ে। লে, কর্নেল সোহরাব আলী তালুকদার। তার নাম শুনলে ক্যাডেটে স্যারে এক ঘাটে জল খেতো। 🙁 🙁 উনি মাশাল্লাহ লে, কর্নেল এমদাদউদ্দিন আহমেদ এর এক ডিগ্রি উপরে ছিলেন। একটা উদাহরনই যথেষ্ট হবে তার সম্পর্কে আইডিয়া পাবার জন্যে। প্রেপ টাইমে ৩০০ ক্যাডেটের মধ্যে কমপক্ষে ২০০-২৫০ জন ডেইলি তার চড় খাইতো। 😕 তিনিও এসেছিলেন সিলেটের অরাজকতা ঠিক করতে, এবং করেছিলেন। তারে মনে পরলে এখনো আমি ঘুমের মধ্যে ফাল দিয়া উঠি ভয়ে। 😮 😮
    সে অবশ্য লে, কর্নেল এমদাদউদ্দিন আহমেদ স্যারের মতো সকাল বিকাল আমাদের ছবি গুলা দ্যাখে আর মুছামুছি করে বলে মনে হয় না। তাই তাকে আমার এখনো ভালো লাগে না। মনে হয় তাকে পেয়েছে এমন অন্যরাও আমার সাথে কিছুটা একমত হবে।
    ৩.
    লে, কর্নেল এমদাদউদ্দিন আহমেদ স্যারের জন্য শ্রদ্ধা। :salute:
    ৪.
    লেখা তো বরাবরের মতোই দারুন। :gulli:

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ফয়েজ ভাই, এমদাদ স্যারের কথা অনেক শুনেছি জেসিসি তে থাকতে।খুব কড়া মানুষ ছিলেন উনি। আমার প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন লেঃকর্নেল আবুল কাসেম স্যার(জিহাদ, প্লিজ এইটা নিয়া জোক মারিস না)।আমি ক্লাস সেভেনে থাকতে আমার মশারী ছেঁড়া ছিল দেখে সরাসরি উনাকে বলেছিলাম আর উনি সাথে সাথে সেটা পাল্টানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এরকমভাবে তিনি ক্যাডেটদের খেয়াল রাখতেন। উনাকে নিয়ে একটা পোস্ট দেব আশা করি সামনে।

    জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    ....সেই এলবামে আমাদের সবার পাসপোর্ট ছবি, নিচে ক্যাডেট নাম্বার লেখা। আমার ছবিটা দেখান।
    আমি হতম্ভব হয়ে যাই।
    “আমাদের সবার ছবি আপনি রেখে দিয়েছেন?” আমি অবাক, আমার বিশ্বাস হয় না। নিজের চোখে একটা কঠিন হৃদয়ের ভিতরের ছবি দেখি আমি। স্যার এর চোখের দিকে তাকিয়ে কোন তল খুজে পাইনা। লজ্জায় চোখ সরিয়ে নেই।

    এক জীবনে আর কত ভুল হবে আমার।

    মনটাকে নিয়ে আর পারলাম না। সাথে দুই চোখ.....। বড্ড বেয়ারা আচরণ এদের। উপরের লাইনগুলো পড়তে পড়তে মন দ্রবীভূত আর চোখ অশ্রুসজল হল....ঠেকাতেই পারলাম না। লেঃ কর্ণেল এমদাদ স্যারের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা :salute: ।

    ফয়েজ ভাই, এরকম অসাধারণ হৃদয় ছোঁয়া একটা লেখা দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। আরও লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ফয়েজ ভাই, অসাধারণ লেখনী আপনার।
    কর্ণেল এমদাদ স্যারের জন্য শ্রদ্ধায় মাথাটা নুয়ে এলো।

    আর সোহরাব আলী স্যার সম্পর্কে একটা এক্সকার্সান আর একটা আই সি সি'র সুবাদে কিছুটা জানি। পোলাপাইনগুলা ভালো কষ্টে ছিলো 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. মুরাদ (২০০২-০৮)

    আমার শেষ রেজাউল আলম স্যার ও ঠিক এই রকম এক মানুষ জার কথা বলতে গেলেই মাথা নত হয়ে আসে। স্যার আমরা ছলে আসার পরেই কলেজ থেকে চলে এসেছেন। স্যার যে খানেই থাকুন ভাল থাকুন। :salute:

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    প্রথমেই স্যারকে :salute:
    লেখাটা অসাধারণ। শেষ লাইনটা সব ক্যাডেটকে একইভাবে নাড়া দেবে। এ ধরণের ভুল আমরা সবাই করেছি। একদিন হয়ত প্রায়শ্চিত্তও করতে হবে।

    জবাব দিন
  7. বাহলুল (৯৩-৯৯)

    ফয়েজ ভাই, খুব ভালো লিখসেন। ভলিগ্রাউন্ডে যেই প্রিন্সিপাল অসুস্থ হইছিল, আমি শুনছিলাম উনি হেলিকাপ্টারে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা গেছিল।

    আমাদের ব্যাচের যেইদিন প্রথম ডিনার ছিল সিসিআরে (২০ মে ১৯৯৩), ওই ডিনার মনে হয় আপনাদের ফেয়ারওয়েল ছিল এবং এডজুটেন্ট চৌধুরী স্যারেরও ফেয়ারওয়েল ছিল।

    চৌধুরী স্যারের সাথে আমার ২০০১-২০০২ সালের দিকে একবার দেখা হয়। উনি বিমানবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিছে আর পুরা দাড়ি রাইখা তবলিগী হুজুর হইছে।

    জবাব দিন
  8. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    এমদাদ স্যারের জন্য সশ্রদ্ধ সালাম :salute:

    ফয়েজ ভাই,
    আপনারে সশস্ত্র সালাম :salute:
    আপনার লেখার ক্ষমতা অসাধারণ। সায়েদের মত মনটা আমারো দ্রবীভূত হয়ে গেছে।
    আপনার জীবন গুছিয়ে নেবার গল্পটা একদিন বললে হয়তো আমরা উপকৃত হব। লিখে ফেলেন একদিন।
    ভালো থাইকেন বস। ভাবীরে সালাম দিয়েন।

    জবাব দিন
  9. রাহাত (২০০০-২০০৬)

    আমরা প্রায়ই ঠিকমতো অনুধাবন করতে পারিনা আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাদেরকে আসলে কতখানি স্নেহ করেন। যদিও এই স্যারকে আমি পাইনি, তবু এ লেখাটা পড়ে উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : টিটো রহমান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।