কিছুদিন আগে রায়হান একটা পোষ্ট দিয়েছে এই ব্যাপারে। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার মতামত ওর পোষ্টে মন্তব্য আকারে দেই। পরে ভাবলাম, নতুন পোষ্ট দেই, আবার সবার নজরে আসুক ব্যাপারটা।
সমস্যা
১।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি, ইন্টার এর পরে ক্যাডেটরা যখন কলেজের বাহিরে আসে তখন তাদের মাঝে এক ধরনের জড়তা কাজ করে। ক্যাডেট কলেজের ভিতরে প্রাতিষ্টানিক ভাবে সামরিক বাহিনী ছাড়া “প্রফেশন” হিসাবে অন্য কোন কিছুর আলোচনা হয় না। যার ফলে ক্যাডেট দের সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মোটামুটি স্বচ্ছ ধারনা থাকলেও অন্য গুলো সম্পর্কে তেমন ধারনা থাকে না। “ডজিং” মন-মানসিকতার কারনে খুব অল্প সংখ্যক ক্যাডেটই পরিস্কার ধারনা নিয়ে বের হয়, বাকীরা বুঝতেই পারে না তারা কি করবে বা কোথায় পরীক্ষা দেবে। অনেক ক্যাডেট সামরিক বাহিনীর জন্য নিজেকে পরিপূর্ন ভাবে তৈরী করে এবং এদের মধ্যে যারা উত্তীর্ন হতে ব্যর্থ হয়, দেখা যায় তাদের প্রায় কারোই দ্বিতীয় কোন পরিকল্পনা নেই।
২।
ক্যাডেটদের উপর পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে একটা প্রবল প্রত্যাশা থাকে। সবাই ধরেই নেয়, যেহেতু ক্যাডেট, সে ভালো কিছু করবেই। এই প্রত্যাশা তার উপর ভয়ানক চাপ তৈরী করে। পরবর্তীতে সে যদি ভালো কিছু করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে হতাশা গ্রাস করে নেয়। এটা একটা চক্রের মত, একবার ঢুকে গেলে বের হওয়া খুব কঠিন।
৩।
ক্যাডেটরা সব-সময় তৈরী জিনিস পেতে অভ্যস্থ থাকে। ডাইনিং এ খাবার রেডি থাকে, পড়শুনায় সহযোগিতা করার জন্য শিক্ষক, রাতে ঘুমানোর ভালো ব্যবস্থা, খেলাধূলার সুযোগ, গন্ধ-বিহীন বাথরুম, বাইরে বেড়াতে গেলে গাড়ি, এমন কি ধোপার ইস্ত্রী করা কাপড় পর্যন্ত। যার ফলে তার উপর যে দায়িত্ব কলেজ চলাকালীন সময়ে দেয়া হয় তাতে সে পূর্ন মনোযোগ দিতে পারে। কারন অন্য কোন কিছু নিয়ে তার কোন চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু যখন সে ইন্টার এর পরে বাহিরে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে তখন সে নিশ্চিত ভাবেই এই গুলো থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে যারা ঢাকার বাহিরে থেকে ঢাকায় এসে মেসে থেকে পড়াশুনা করে, তাদের পরিবেশের সংগে মানিয়ে নেয়াটাই একটা বিরাট ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
(আরও কিছু থাকতে পারে, মনে পড়ছে না, পাঠকরা যোগ করতে পারেন)
সমাধান (আমার মতামত)
১।
প্রতিষ্ঠিত হওয়া আসলে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা ধাপে ধাপে বদলায়। ইন্টার এর পরে আমার যে বন্ধু আর্মিতে টিকতে পারেনি বলে আফসোস করেছে, সে এখন কানাডায় ভালো চাকুরী করে, এখন তার অবস্থান দেখে অনেক আর্মি বন্ধু বলে বসে, তার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল, আর্মিতে না গিয়ে সে ভালো করেছে। যদিও সে যখন আর্মিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিল তখন তার পরিস্থিতি হয়ত অন্য রকম ছিল। অন্য বন্ধু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ভালো চাকুরী পেল না, কিন্তু ঢাবিতে ইতিহাস নিয়ে অর্নাস-মার্ষ্টাস করা সে বন্ধু স্কলার-শীপ নিয়ে পড়তে গেল দেশের বাইরে। ভালো রেজাল্ট না করতে পেরে ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু হয়ত ঢুকে গেল অল্প পয়সার কোন চাকুরীতে।
মূল হচ্ছে হাল ছেড়ে না দেয়া। লেগে থাকা। আর্মিতে চান্স না পাওয়া, বুয়েটে ভর্তি হতে না পারা, এইটা একটা ধাপ, এটাতে ভালো করতে না পারা মানে এই নয়, আমি হেরে গেলাম, আবার এটা ঠিক ভাবে করতে পারা মানে এই নয় আমি সব পেয়ে গেলাম। ইন্টার এর সময় এই মানসিকতা গড়ে উঠা খুব খুব দরকার। আর দরকার ইন্টারে একটা ভালো রেজাল্ট। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটার জন্য এখন আফসোস করি। ইন্টারের পুরো সময়টাতে আমি পড়াশুনা বাদ দিয়ে কালচার আর গেমস নিয়েই ছিলাম। কলেজ থেকে আসার পরে এগুলো কাজে লেগেছে, লাগেনি বলাটা ভূল হবে, তবে এটাকে আরও ভালো কাজে লাগানো যেত যদি আমি ইন্টারের রেজাল্টাও ভালো করতাম। “ডজিং” মানসিকতার ক্যাডেটরা “ও আমি তো আর্মিতে চলে যাব” এই ধান্দায় পড়ালেখা মনোযোগ দিয়ে করে না, আর কলেজের প্রশাসন এটা নিয়ে সচেতনা বৃদ্ধি মুলক কিছু করেও না (আমাদের সময়ের কথা বলছি)। বরং আর্মিতে “না যাওয়া” বা “না যেতে চাওয়া” অনেকটা আপরাধ হিসেবে দেখা হয়, অপরাধ বলাটা মনে হয় ঠিক হল না, “উন্নাসিকতা” বলা উচিৎ। ক্যাডেট কলেজে আর্মি ছাড়া অন্য প্রফেশন গুলোকে একটু “ক্যামন যেন” চোখে দেখা হত আমাদের সময়, জানি না পরিস্থিতি এখন কেমন।
২।
পারিবারিক সাহায্য দরকার। পরিবারকে বুঝতে হবে এই ছেলে প্রত্যশা মিটাতে পারবে, অনেক কিছু দিতে পারবে, কিন্তু এখনও সে নিজের পায়ে দাঁড়ায় নি। তার আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তাই তার কাছে এমন কিছু চাওয়া বা বলা ঠিক হবে না যাতে তার মাঝে হতাশা তৈরী হয়। বরং তাকে মানসিক ভাবে সমর্থন দিতে হবে কিছুটা সময় পর্যন্ত, যতক্ষন পর্যন্ত না সে বাহিরের পৃথিবীতে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারছে। এটা মাত্রই একবছর বা তারও কম সময়ের ব্যাপার।
৩।
নতুন এক্স-ক্যাডেটদের বুঝতে হবে, এটাই আসল জায়গা। তারা গত ছয় বছর একটা ট্রেনিং এর ভিতরে ছিল যাতে তারা এখানে বাহিরের জগতে নিজেকে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে। একজন ক্যাডেট মন থেকে চাইলেই খুব অল্প সময়ের মাঝেই পারবে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে সে মানিয়ে নিতে চাচ্ছে কিনা? যে “এক্স-ক্যাডেট” মানিয়ে নিতে চাচ্ছে না সে পিছিয়ে পড়ছে।
আমি হয়ত ঠিক মত বলতে বা বুঝাতে পারলাম না। কারন হতে পারে আমি সামজিক বিজ্ঞান মনোযোগ দিয়ে পড়িনি। মাহমুদ, অর্নব এরা হয়ত ব্যাখা করে বুঝাতে পারবে। তবে আমার কাছে আর্মি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বুয়েট, আইইউটি কিংবা দেশের বাহিরে পড়তে যাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে হয় এগুলিই। কারন এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা।
পত্থম 😀 😀 । এইবার পইড়া আসি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কথাটা ১০০% ভাবে সমর্থন করছি, আমি নিজেই এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন ছিলাম। এবং বাবা-মা দুজনি যদি সে'সময় পাশে না দাড়াতেন তাহলে হয়তো প্রত্যাশার প্রবল চাপে গুড়ো হয়ে যেতাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
খিকয্ 😉
ঐ মরতুজা, চোখ টিপ মার ক্যান?
কাহিনী কি? ;;)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কাহিনী জনগন জানে। আহা, কলেজের টয়লেট!! কত বিড়ি খাইছি কমোডের পাশে বইয়া বইয়া...
ফয়েজ ভাই, চমৎকার বক্তব্য। সহমত পোষন করছি আপনার সাথে।
খুবই সত্য কথা।
ক্যাডেটদের উপর পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে একটা প্রবল প্রত্যাশা থাকে। ..... পরবর্তীতে সে যদি ভালো কিছু করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে হতাশা গ্রাস করে নেয়।..... একজন ক্যাডেট মন থেকে চাইলেই খুব অল্প সময়ের মাঝেই পারবে এই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে.......
apni situation analysis korlen. shomoshsta kom beshi shobai jani. arektu detail সমাধান dite hobe vaijaan. confusing shomoitay apni kivabe utre gelen. apnar academic and professional institution er pros n cons likhen.
sorry for banglish.
এহসান, এটা তো নতুন এক্স-ক্যাডেট দের জন্য লিখলাম, তোমাদের মত বুড়োদের জন্য না। তাদের জন্য এটা একটা টিপস বলতে পার।
নিজের কথা তো বলছি, আস্তে আস্তে, পোষ্টে। সংক্ষেপে বলা যায় "হাল ছেড়ে দেইনি কখনই"। আইএসএসবি থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য যখন প্রত্যাখাত হলাম, রাতের বাসে করে রংপুর ফিরছিলাম, তখনও যমুনা ব্রীজ হয়নি, ফেরীর ডেকে দাঁড়িয়ে মাঝরাতে একবার মনে হয়েছিল ঝাপিয়ে পড়ি নদীর কালো পানিতে। ঝাপিয়ে পড়িনি, দেখতেই পারছ, দাঁতে দাঁত চেপে বাসের সিটে গিয়ে বসেছিলাম।
এরপর খুলনা থেকে ভালোভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হই, বুয়েটে পরীক্ষা দিতে পারিনি নম্বর কম থাকার জন্য। উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল, স্কলারশীপও হয়ত ম্যানেজ হত লেগে থাকলে, লম্বা সময়ের জন্য দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছে করল না আর। পাশ করার পরই চাকুরী, এর পর "চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি" 😀
ঈদানীং এমবিএর ধান্দা শুরু করেছি। বুঝতে পেরেছি ইঞ্জিনিয়ারিং এর "বেইল" বাংলাদেশ অন্ততঃ বেশি দূর নেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😮 😮 😮 আয় হায় কন কি তাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ভর্তি হইলাম কেন??? আবশ্য মাত্র শুরু করসি, ছেরে দিয়ে অন্য কিসু ধরব নাকি????
না ছেড়ে দিও না।
একটু ব্যাখ্যা করি।
টেকনিক্যাল কাজে গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার এর জন্য সবচেয়ে ভাল প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে "রিসার্স এন্ড ডেভেল্পমেন্ট" সংক্ষেপে "আর এন্ড ডি" বলে। এছাড়া আছে "প্ল্যানিং"। এটা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্নের জায়গা। কিন্তু বাংলাদেশে কোন বড় কোম্পানীর এই সেকশনটা নেই। মেইন্টেনেন্স সেকশনে ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে মজা নেই, প্রতিদিন একই কাজ, রুটিন জব। এই কাজ ডিপ্লোমারাও করতে পারে। আর একটা মজার কাজ হচ্ছে "ইরেকশনে"। কিন্তু এই কাজ তো খুব বেশি না। তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বা তুমি?
তুমি পড়বা কারন তোমার প্রথম কাজ হবে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডটা শক্ত করে নেয়া। প্রথম চাকুরী তোমার হবে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই, খুব সহজেই। মন দিয়ে কাজ করলে চাকুরীর প্রথম তিন বছরের মধ্যেই তোমার স্পেসিফিক কোন একটা ইঞ্জিনিয়রিং দিকের মোটমুটি "ইন্স-আউটস" সব জানা হয়ে যাবে। এরপর তুমি ম্যানেজারিয়েল কোর্স করবা। ট্রেনিং অথবা এমবিএ। তুমি একটা "ইউনিক পিসে" পরিনত হয়ে যাবা।
ইঞ্জিনিয়ার+এমবিএ এর একটা আলাদা কদর আছে সব কর্পোরেট হাউসেই। "ইটিং সুগার" :awesome: :awesome:
তোমার সাবজেক্ট আমি জানি না, আমি যেটা বললাম সেটা ইলেক্ট্রিক্যাল এবং এই রিলেটেড সাব্জেক্টের জন্য। যদি মেক্যানিক্যাল হও তবে এমবিএর দরকার নেই মনে হয়, কারন মেক্যানিক্যালে প্রথম দিকে "জব" পাওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু ভালো ইন্ড্রাষ্ট্রী তে ঢূকে যেতে পারলে পাচ বছর পরে তুমি অটোমেটিক বস হয়ে যাবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ,
ভয় পাচ্ছ কেন? ভয় পাবার কিছু নেই। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখ তুমি। 😀
আমি জানি না তুমি উচ্চ-শিক্ষা করবে কিনা। যদি না করতে চাও তাহলে তোমাকে বলব, প্রথম চাকুরীর জন্য বেশী "চুজী" হইও না। চাকুরী না পাওয়া একটা সমস্যা, তবে চাকুরী শুরু করার পর তোমাকে যেসব সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে তার তুলনায় এটা তেমন বড় কোন সমস্যা না।
তবে তুমি পছন্দের প্রথমেই রাখবা বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট, গ্যাস প্ল্যান্ট বা ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী গুলি। যেমন ইউনিলিভার, ট্রেট্রাপ্যাক। তোমার জন্য প্রথম চাকুরী পাওয়াটাই যা একটু কষ্টের হবে, তবে দুই-তিন বছর এক্সপেরিসেন্স হয়ে গেলে তোমার চাকুরী বদল করে পছন্দের চাকুরী শুরু করা হবে ছেলেখেলার মত একটা ব্যাপার।
যেকোন ইন্ড্রাষ্ট্রীতেই ম্যাকানিক্যালরাই "বস" হিসাবে থাকে, হাইয়েস্ট পেইডও তারাই হয়। এমনকি এটা যদি পাওয়ার প্ল্যান্টও হয়। (সাধারনত)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। দেশের এই ব্যাপারটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। 🙂
@সাজিদ, জিহাদঃ
এই পোস্টটা নতুন এক্স ক্যাডেটদের জন্য, নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য না। 😡
ফয়েজ ভাইরে ধরলে এই শীর্ষক পোস্টও আসবে। ;;;
:(( :(( :(( :((
তাইলে আমরা তার-তুর ইয়া যাদের কারবার তারা কই যামু!!!
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাই আমারও ইলেকট্রিকাল, আপনার কথা শুনে সাহস পাইলাম, কিন্তু সিনিয়র ভাইরা ভয় দেখায় যে ৪ বছর পর আমরা যখন বের হব তখন নাকি ইলেকট্রিকালের তত দাম থাকবে না, সতি নাকি? তাহলে কি করব?
তোমার সিনিয়র ভাই কত সিনিয়র জানি না। ভয় কেন পাচ্ছ তাও বুঝছি না।
সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল আর ম্যাকানিক্যাল হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর আদি রূপ। বাকী গুলো পরে পয়দা হয়েছে। এগুলোরি কোন না কোন শাখা-প্রশাখা। তাই এই সব সাব্জেক্টের দাম থাকবেনা যদি কেউ বলে থাকে, সে তথ্যনির্ভর কথা বলছে না। আবেগে বলছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আরেকটু ভেংগে বলি,
একজন সিএসইর পোষ্টে ইলেক্ট্রিক্যাল এর গ্রাজুয়েট যত সহজে আবেদন করতে পারবে, একজন ইলেক্ট্রিক্যালের পোষ্টে সিএসইর ছেলে তত সহজে আবেদন করতে পারবে না। তুমি ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে গ্রাজুয়েট করে সিএসই কোন সাব্জেক্ট যত সহজে নিতে পারবা উচ্চ-শিক্ষার জন্য, সিএসইর গ্রাজুয়েট তত সহজে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পিওর ইলেক্ট্রিক্যাল সাব্জেক্টে সুইচ করতে পারবে না।
কিছু এদিক-ওদিক হতে পারে,
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধন্যবাদ :boss: :boss: । আশা রাখি নতুন এক্স-ক্যাডেটদের মত নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্যও আপনার একটি উপদেশমূলক পোস্ট পাব.....
রায়হান পোস্টটা দিয়েছিলো নতুন এক্স ক্যাডেটদের জন্য। আপনার টা হইলো দ্বিতীয় কিস্তি। এটা আমি জানি। আমি ইন্টার পরবর্তী কনফিউজিং সময়ের কথাই জানতে চাইসিলাম। আপনি পোস্টে খালি এক্ লাইন লিখে দিলেন
আপনি কিভাবে HSC এর ওই সময়টা পার করলেন; কেম্নে আর্মি থেকে ছ্যাকা খাইলেন এরপর মন শক্ত করে কিভাবে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলেন ওই গল্প লিখতে বলেছিলাম। যাই হোক পরে মন্তব্যে কইসেন নিজের হিস্ট্রী।
আমি আমার জন্য সমাধান খুজি নাই। 🙂 আপনি আমার মতো তরুন একজন ছেলেকে চান্স পাইলেই বুড়া বলেন কেনো। আপনার কি নিজেরে বুড়া মনে হয়? আমি কিন্তু আপনার অনেক ছোট। 😛
যে ভাইগনাকে কোলে তুইলা ঘুইরা বেরাইছি, কাপড়ের মুইত্তা দিছে, সে এখন পাশের ফ্ল্যাটের মাইয়ার লগে প্রেম-এসএমএস চালাচালি করে, নিজেরে বুইড়া কমু না তো কি কমু তুমি কও আমারে। 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বসের সকল বক্তব্যের সাথে ১০০ % সহমত :thumbup:
বসের সকল বক্তব্যের সাথে ১০০ % সহমত :thumbup:
" কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে সে মানিয়ে নিতে চাচ্ছে কিনা? যে “এক্স-ক্যাডেট” মানিয়ে নিতে চাচ্ছে না সে পিছিয়ে পড়ছে। "
ভাইয়ার কথার সাথে একমত।ব্যাপারটা গুছায়ে লিখেছেন।
ফয়েজ ভাই, আপনার পোস্টটা তাড়াহুড়ো করে পড়লাম। ভাল লিখেছেন। তবে একান্তই আমার ব্যক্তিগত একটা মতামত হচ্ছে: এখন সময় এসেছে ক্যাডেট কলেজ পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনার। সময়ের সাথে সাথে "নিয়ম"এও একটু পরিবর্তন আসা দরকার - এটা ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের বোঝা উচিত। এখন যুগ অনেক Fast, শুধু rules & regulation আর discipline এর দোহাই দিয়ে ক্যাডেটদের পিছিয়ে থাকতে বাধ্য করার কোন মানে হয় না। আর যেহেতু ক্যাডেট কলেজ অনেকটাই সামরিক বাহিনীর helping hand হিসেবে run করা হচ্ছে, তাই অথরিটি সামরিক বাহিনী related প্রশিক্ষনেই বেশি মনোযোগ দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যাডেটরা সামরিক কায়দায় "রাইট নাম্বার" বললে যত তাড়াতাড়ি ১,২,৩ ... গোনা শুরু করে, Normally ১,২,৩ ... গুনতে বললে তত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারে না। তাই আমি বলব, আমরা যারা ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্লাস ১২ পার করে বের হই, তারা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্পূর্ন থেকে যাই। এই অসম্পূর্নতা দূরীকরনের জন্য ক্যাডেটদের parents এগিয়ে আসা দরকার। আমাদের শেষ সময়ে মানে ক্লাস ১১-১২ এ একজন আর্মির Principal পেয়েছিলাম; ওনার কাণ্ডকারখানা দেখে আমি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম : "রেখোছ "ক্যাডেট" করে, মানুষ করনি" [রবীন্দ্রনাথের ""রেখোছ "বাঙালি" করে, মানুষ করনি" এর থেকে নেয়া]। জীবনে কোনদিন সুযোগ হলে প্রবন্ধটা ক্যাডেট কলেজ প্রশাসনকে পড়তে দিব।
যাই হোক, এসব নিয়ে আর একদিন বিস্তারিত পোস্ট দিব। আপাতত আপনাকে ধন্যবাদ।
লেখাটাকি সিসিবিতে আছে? থাকলে লিনক দেন প্লীজ....
তারিক ভাই সুবহানী স্যার কীন্তু আমাদের অন্যান্য বিষয়ে যেন ভালো করতে পারি তার চেষ্টা করেছেন। আর আমি মনে করিনা কলেজ এর কোনো কিছুতে এখন সমস্যা আছে শুধু কিছু শিক্ষক নতুন করে নিয়োগ দেয়া বাদে। কারণ এখন অনেকেই ইংলিশ ভার্ষণ এ পড়াতে পারছেনা। আমরাতো বই ছাড়া ইন্টার পাশ করে আসলাম। এই decission নেয়ার আগে একটু ভাবা উচিত ছিল এই আরকী। আরেকটা ব্যাপার,
এটার সাথে একমত হতে পারলামনা। এই রাইট নাম্বার। এই পিটি ড্রীল যে আমাদের কত হেল্প করসে আল্লাহ জানে।
বাইরে এখন কোথাও গেলে নিজেকে সচল রাখা জত কঠীন কলেজে tired হওয়া তার চেয়ে কঠিন ছিল। রাতে প্রেপে ঘুমালেও ক্যাডেটরা কীন্তু রাত ৩/৪ টা পর্জন্ত পড়তে পারে। এর অন্যতম কারণ আমার মনে হয় এই পিটি ড্রীল।
বাসা থেকে একবার বাইরে বের হলে বোঝা জায় কলেজে আমরা কীভাবে চলতাম আর এখন কীভাবে চলি। লাফায়া লাফায়া ৩ তলায় উঠতাম বল পড়ে গেলে নিয়ে আসতাম। কীন্তু এখন ৩ তলায় উঠলেও রেষ্ট নিতে হয় ৫ মিনিট।
no man, i didnt mean that pt/ drill is bad or unnecessary. i meant the mentality.
anyways, i'll give a separate post on this topic later on.
no dear, it is still unpublished. actually i personally didnt support the way how we(the cadet) were treated in our college life. 80% of the system is right, 20% i think wrong / it is missed in the system.
ক্লাস সেভেন/ এইটে পড়া একটা ছেলে ক্যাডেট হলেও অবশ্যই সে একটা কিশোর। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই সে অনুকরণপ্রিয়। কারণ শিশুরা অন্যকে দেখে শেখে। এডজুট্যান্ট যখন ক্লাস ১০/১১/১২ কাউকে কোন Fault এর জন্যে hand use / biting করে, সেটা দেখেই ক্লাস এইট শিখে যে ক্লাস সেভেন কোন Fault করলে তাকে bit করতে হবে। এই ক্লাস এইটের ছেলে যখন prefect হয়, তখন আবারও একই মেন্টালিটির প্রয়োগ করে। একটা ক্লাস এইট যদি ক্লাস সেভেনকে পিটায়, তখন prefectরা তাকে কি punishment দেয়???? ক্লাস এইটাকে ধরে নিয়ে পিটায়, তাইতো??? এতে কি কোন লাভ হল????
তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে ক্যাডেট কলেজের পরিবেশটা একটা শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সম্পূর্ণ অনুকূল নয়।
ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থার ৮০% আমার ভাল লেগেছে, তবে বাকি যে ২০% missing মনে হচ্ছে, জীবনে সেই ২০%এর অনেক দরকার ছিল।
আমাদের ওয়াহিদুজ্জামান স্যার মাঝে মাঝে একটা কথা বলতেন যে, ক্যাডেট কলেজে একজন psychologist খুব দরকার। কথাটা প্রতিকী, এর মানেটা অনেক বড়। সেটা আজ feel করি। যাই হোক, এসব কথার বিস্তারিত নিয়েই ঐ প্রবন্ধটা লেখা, পরে এক সময় পোস্ট দিব। তবে সিসিবিতে দিলে সবাই আমাকে জুতাপেটা করবে। তাই ঐ পোস্টটা সিসিবিতে দেয়ার আগে ১০০বার ভাবতে হবে। আর সিসিবির বাইরে অন্য কোন ব্লগে দিলে পাবলিক ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে বাজে কমেন্ট করবে। তাই সেখানে দেয়ার আগে ২০০বার ভাবতে হবে।
- হওয়ার কথাও নয়। কারণ, ক্যাডেট কলেজ হচ্ছে একটা 'total institution' যেখানে ক্যাডেটদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার মাধ্যমে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে, একটা বিশেষ ধারায় জীবনযাপনে অভ্যস্ত করা হয়। আর সেই উদ্দেশ্যটা কলেজে ভর্তির সময়ই বলে দেওয়া থাকে যে, ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব তৈরী করা। কাজেই, ক্যাডেট কলেজের পর্যালোচনা হতে হবে সেনাবাহিনীর প্রেক্ষিতে, সাধারণ সমাজের প্রেক্ষিতে নয়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইয়া , ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্য নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।
এটা হলে আমাদের মত দেশে ক্যাডেট কলেজ খুব জরুরী নয়। সারা বিশ্বেও এটা খুব প্রচলিত / জনপ্রিয় কোন পদ্ধতি নয়(Pakistan cannt be the xmpl) ।
আর যদি এটা হয় যে,
, তাহলে আমাদের দেশে ক্যাডেট কলেজ খুব বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সরকারি অর্থে পরিচালিত এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।
হলে ক্যাডেট কলেজকে খুব একটা Effective Institution বলা যাবে না, কারন প্রতি ব্যাচ থেকে একটা বিশাল অংশ আর্মিতে যায় না। কিন্তু সেই সব ছেলেরা/ ক্যাডেটরা দেশ/ সমাজের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে / রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। সেনাবাহিনীর অফিসার গড়তে যদি ক্যাডেট কলেজকেই আবশ্যক মনে হয়, তাহলে বিএমএর কাজটা কী? কিংবা ক্যাডেট কলেজের বাইরের যে সকল ছাত্র আর্মিতে যোগ দেয়, তারা কি অসম্পূর্ণ / অপূর্ণাঙ্গ আর্মি অফিসার???
ভুল কিছু বললে ক্ষমা করবেন।
ধূরর মিয়া ভুল কিসের? ভুল যদি হয়েই থাকে, তাইলে সেটা করেছে সিসিআরের প্রিন্সিপাল স্যারেরা (১৯৯০-৯৬)। তিন জনরে পাইছিলাম, দুই জন ছিলেন লেঃ কঃ, একজন সিভিল, অল্প সময়ের জন্য (কিন্তু আর্মির থেকেও বেশি মিলিটারি 😛 )।
তারা প্রতি শনিবার কলেজ এসেমব্লি'তে বক্তৃতা শুরু করতেন এই বলে যে, "তোমাদেরকে এখানে আনা হয়েছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দানে সক্ষম অল-রাউন্ড ক্যাডেট বানানোর জন্য, শুধু পড়াশোনা করার জন্য নয়"। - কাজেই তোমার বা আমার ভুল হবার চান্স নাই। 😀
ক্যাডেট কলেজের মূল ধারনাটা যতদূর জানি পাকিস্তান আমলে ইংল্যান্ডের 'এটন' কলেজের আদলে নেওয়া যার উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব তৈরী করা। আর ঠিকই বলেছো যে, সারাবিশ্বে সেই ধারনাটা আর জনপ্রিয় নয়।
তবে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়ে তোমার সাথে আমি একমত।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এটা বোধহয় ঠিক বলোনি, কারণ সিসিবিতে মুক্তচিন্তার আলোচনা চলে এবং ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক অনেক কিছুই আছে, যা হইতো ক্যাডেটদের অনেকের কাছেই গ্রহণযোদ্য নয়। এখন তুমি যদি শেয়ার করো, তবেই তো আলোচনা সম্ভব।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তোমার reply নাজমুলের কাছে চলে গেছে। sorry , একটু কষ্ট করে পড়ে নাও।
ভালো বলেছো ফয়েজ।
প্রত্যাশাগুলো তো পাল্টায়, পাল্টে যায় যুগও। একেকটা দশককে যদি আমরা বিবেচনার মধ্যে নিই তাহলে দেখবো প্রথমসারির পেশাগুলোর নাম পাল্টে যাচ্ছে। এটা যদিও হবার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশটা অভাগা, জাতি হিসেবে আমরা একটু বেশীই হুজুগে। একটু বুঝিয়ে বলি, সব বাবা-মা-ই চাইছেন তাঁদের ছেলেমেয়ে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হোক; আবার আমরা কেউ আর্মিতে যেতে চাই; কেউ বা এমবিএ হবো। কিন্তু কেন? সমাজে কোন অবদান রাখার উদ্দ্যেশ্যে? আমার মনে হয়, না। একটাই কারণ, সেটা হচ্ছেঃ আমাকে অনেক পয়সা কামাতে হবে কিংবা খুব খুব তাড়াতাড়ি নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু আমার মন কি প্রস্তুত দায়িত্ব নিতে? সবাই যদি একটা (বা সীমিত কিছু) পেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে সেটা একটা বিপজ্জনক প্রবণতা, জাতির জন্যে। অন্য জয়গাগুলো কার্যত মেধাশূন্য হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দেয়।
এর কোন সমাধানও তো নেই আবার। দেশে কাজ নেই। সাহিত্য ভালো লাগে বলেই আমি তা পড়ার কথা ভাবতে পারিনা, পরিবর্তে লাইন দিচ্ছি কোচিং সেন্টার গুলোতে। আমি জানিনা, আজ যারা ইন্টার পাশ করে বের হচ্ছে তাদের নিশ্চিত করে কী বলা যায়। তবে ফয়েজ তুমি আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, লেগে থাকা এসবের উপর গুরুত্ব দিয়েছো। আমিও মনে করি এটাই আসল মূলমন্ত্র জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাবার। ক্যাডেট কলেজের ট্রেনিংটাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, কোথাও, অর্থবোধক কিছু, তা নিজের হোক কি সমাজের, করে ওঠার মানসিকতা অর্জন করতে না পারলে "ক্যাডেট" পরিচয়টা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের বুঝতে হবে, নিজেদের প্রমাণ করার দায়িত্ব আমাদেরই। আমারি কত ব্যাচমেট চোখের সামনে নষ্ট করে ফেললো লাইফটাকে। এখন পরিচয় দিতেও লজ্জা পাই যে আমি ওর বন্ধু। ছোটভাইরা, ভেবোনা চেষ্টা করিনি বিশ্বাস ভালোবাসা ফিরে পেতে। পাইনি। এখন বাস্তব বুঝি। তাই ক্যাডেট বললেই লাফিয়ে পড়িনা। মানুষটা কেমন তা দেখি আগে।
হতাশা জীবনে আসতেই থাকবে। কোন সাফল্যই স্থায়ী নয়। মেডিকেলে চান্স পেয়ে এত খুশী হবার কিছু নাই। জীবন আরো অনেক লম্বা। অনেক কিছু দেখানোর জন্য সে বসে আছে। তাই আমি কোথাও চান্স পেলামনা এ বছর, এই দুঃখে পুরো জীবন বরবাদ করে দিতে যাওয়াটা একটা বিরাট বোকামি।
আর কোন পেশাটা বেছে নেয়া উচিত, সেটা ঠিক করা যেতে পারে মূলতঃ দু'রকম এ্যাপ্রোচে। ১. আমি কি ধরণের কাজের উপযোগী বা আমার কী ভালো লাগে, বা আমার সম্ভাবনা কোথায় সবথেকে ভালো হতে পারে; ২. আজ থেকে কমপক্ষে ১০ বছর পরে আমার পেশার বাজার কেমন হতে পারে সেটা নিয়ে একটা ছোটখাট হোমওয়ার্ক।
সবথেকে ভালো হয় দুটো এ্যাপ্রোচের কম্বিনেশনে যদি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।
তবু কি শেষ রক্ষা হয়? সব মেলেনা। সমাজ, পরিবার, ভাগ্য সব মিলিয়ে মোটাদাগে একেকটা পেশার কীট হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করি আমরা ইন্টার-পরবর্তী শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে। তখন আমি বলবো, এরকম করে ভাবতে পারি আমরাঃ কলেজ জীবনের পিটি, একস্ট্রা ড্রিল কিংবা না ফুরোতে চাওয়া ক্রসকান্ট্রি রেস এগুলো আসলে প্রতিকী ব্যাপার। এসবের থেকেও বড় কোন প্রতিযোগিতার জন্যে আমাদের গড়ে তোলা হয়েছে। ফুসফুসের বায়ু ফুরিয়ে আসছে জেনেও আমাকে লড়ে যেতে হবে, প্রাণপণে। ক্যাডেট কলেজ ট্রেনিং-এর কিছুমাত্র যদি মানে থাকে, আমার হিসেবে তা হচ্ছে এই। ব্যর্থতা আসে আসুক না, এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাক সে। কী বলো.... 🙂
:boss: :boss:
:clap: :clap: :boss: :boss: :boss:
ভাই ক্যাডেট দেখলেই যে লাফায় পড়তে ইচ্ছা হয় 🙁
জানি সবার মেন্টালিটী এক হয়না। হয়তোবা আমার কথা বার্তা আমার ৫ জন ক্লাস মেট এর ভালো লাগতে পারে আবার ১০ জনের খারাপ লাগতে পারে। সেই রকম ভাবে আমাদের নিজেদের মধ্যে যে সমস্যা গুলো সাধারণত থাকে আমরা সাধারণত তা নিজেদের মধ্যে রেখে দেই চাইনা নন-ক্যাডেট কেউ জানুক। সব ব্যাচ এর কথা জানিনা। আমাদের ব্যাচটাতে আবার ১০ কলেজ এর আবার খুব ভালো সম্পর্ক। এমন অনেকে আছে জাদের কলেজ মেইট দের চেয়ে হয়তোবা অন্য কলেজের সাথে ভালো সম্পর্ক।
সাজিদ কথা ঠিক আছে??? 😕
ভাই বলেন এই ক্ষেত্রে কীভাবে আমরা ওদের দেক্ষলেই ঝাপায়া পড়বোনা??? 🙁
কিছু ব্যাপার ছারা তোর সাথে সহমত, তোকে পরে যানাব এখন একটু ব্যস্ত আছি।
নাজমুল,
আমি কিন্তু হতাশ করতে চাইনি তোমাকে বা কাউকে। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা অনেক কিছু শিখিয়েছে আমাকে, তাই-ই অমন করে বলা। ভাই, ক্যাডেট দেখেই তো এইখানে ঝাঁপাইয়া পড়লাম। জীবন বহুমাত্রিক, আমাদের ক্যাডেট কলেজ লাইফের মাত্র ছ'বছরের তুলনায় অনেক বেশী নির্মম আর কর্কশ। নীতি, আদর্শ এবং মূল্যবোধের প্রশ্নে আমাদের রাস্তা বিভিন্ন হবেই, এই সত্যটা মেনে নিতে হবে আমাদের।
কোন নির্দিষ্ট উদাহরণে যাচ্ছিনা; পরিপূর্ণ মানুষ হতে গেলে ক্যাডেট কলেজের কিশোর জীবনের পর আমাদের আরো অনেকগুলো বছরের (৬X বছর) সাধনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমার যে ব্যাচমেট নৈতিক স্খলনের চরম অবস্থায় পৌঁছে গেছিলো, তার সংগে আমার দূরত্ব স্থাপন আর কোন কিছু না হোক আমার জীবনের নিরাপত্তা বাড়িয়েছিল। আশা করি আমার মনের অবস্থা তুমি বুঝে থাকবে।
নূপুর ভাইয়ের সবমতের সাথে একমত 😀 ,
শুধু "পেশার বাজার" বিষয়টা ছাড়া।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তুমি "ক্লাসিকালি" ভাবছো তাই "বাজার" শব্দটা তোমার ভালো লাগলোনা।
কিন্তু একেকটা পেশার ভেতরেই তো মানুষকে ভাবতে হয়, ঠিক কোন পথে গেলে সে অন্যদের থেকে খানিকটা ভালো থাকতে পারবে, কম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে। ধরো, এমবিবিএস করে আমার খুব ইচ্ছে মেডিসিন নিয়ে পরবর্তী পরাশোনা করার, কিন্তু ওখানে খুব কম্পিটিশন, পিজি কোর্সে চান্স পেলেও প্র্যাকটিসে অনেকের মধ্যে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা, তাই আমি সাইকিয়াট্রি কিংবা প্যাথলজি
(এরকম কিছু বিষয় যেগুলো আমার ২য় কিংবা ৩য় চয়েস) নিয়ে ভাববো, কারণ এতে তুলনামূলকভাবে কম লোকজন পড়তে আসে।
[এই উদাহরণটা দেয়া একারণে যে, একটি পেশা নির্দিষ্ট হয়ে যাবার পরো আমাকে ভাবতে হচ্ছে আমি ঠিক কোন পথে যাবো। ডাক্তারী পড়তে আসার আগে যদি একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায় পরবর্তী বছরগুলো নিয়ে তাহলে হয়তো অনেকেই দু'বার ভাববে।] "১০" বছরের কথাটা একারণে বলা যে, এই যে বিকল্প বিষয়দুটোর কথা বললাম এগুলো কিন্তু saturated হয়ে যেতে পারে তদ্দিনে।
একটু দূরদর্শী হলে অনেক ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। মোটাদাগে সবাই চায়, একটি শান্ত নিরুপদ্রব জীবনঃ বৌ-পোলাপান নিয়ে শান্তির সংসার। একটি সুস্থির জীবিকা অনেক বেশী প্রাধান্য পায় চ্যালেঞ্জে ভরপুর জীবন থেকে; চাকরী নামক সোনারহরিণ আমাদের কাঁদিয়ে ছাড়ে। তখন বাজারের কথা আসে। যে আঁকিয়ে হবেই, কিংবা হবে বিজ্ঞানী, কিংবা কবিতা লিখবেই, কিংবা প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করবে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় তাদের ক্ষেত্রে "পেশার বাজার" কথাটা একটু insensitive. কিন্তু একটু ভাবলেই দেখবে এমন পেশার একজন ব্যক্তিকেও কিন্তু নিরন্তর সচেতন থাকতে হয় নিত্যনতুন বিষয়, স্টাইল কিংবা ভাষার খোঁজে। ইতোমধ্যেই যেসব কথা বলা হয়ে গেছে, তার আবেদন কমে যাউনি কি? "বাজার" কথাটা মূলত এই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই বলা। বোঝাতে পারলাম?
আলবত! জলবত তরলং 😀
:salute:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নুপুর ভাই যা যা বললেন তার সবগুলোর সাথে পুরোপুরি ঐক্যমত প্রকাশ করছি। আপনি ডাক্তার? great!!!!!
:boss:
@ নূপুর ভাই
ভাল লাগলো আপনার কথা পড়ে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটাই বিশ্বাস করি,
অনেক ধরনের পেশা আছে, কিন্তু সফলতার জন্য লেগে থাকতে হবে সব খানেই। এর কোন শর্ট-কাট রাস্তা নেই। কোন টিপস নেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
Foyez vai apnar mail address ta diben ??
Amar ta rabbi.12@gmail.com
rmfrahman@gmail.com.
খুব ইম্পর্টেন্ট হলে মেইল করো rmfrahman@yahoo.com এ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
নিজের ২০০৩-এর কথা মনে পড়ছে। উপর-নিচের দুটো বক্তব্যই সবচে বাস্তবঃ
দারুন পোস্ট ফয়েজ ভাই।
আশাকরি আরও অনেকেই এই বিষয়ে লিখবেন। এখন কথা হলো সবগুলো লেখা নিয়ে কি করলে তা সত্যি সত্যি একজন সদ্য এক্সক্যাডেটকে সাহায্য করবে সেইটা নিয়ে ভাবা দরকার। জিহাদ আওয়াজ দে।
সিসিবিতে "আওয়াজ" ক্যামনে দিতে হয়। জানিনাতো। সিক রিপোর্ট করবো নাকি? 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আপাতত একটা আলাদা বিভাগ খোলা হোক। পরে অন্য কিছু করার প্ল্যান থাকলে সেটাও করা যাবে। বিভাগের নাম কি দেয়া যায়?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
😕
শুধু বিভাগ খুললেই হবে না নতুন এক্সক্যাডেটদের জানানোর ব্যবস্থাও করা লাগবে, তাদের অনেকেই সিসিবি সম্পর্কে জানেনা।
সিসিবি থেকে আমরা কিছু করতে চাচ্ছি তাই না। 🙂
সবচেয়ে দরকারী হচ্ছে তথ্য গুলো এক্স-ক্যাডেটের জানানো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি টেষ্টের আগেই ক্যাডেট কলেজ গুলোতে গিয়ে গিয়ে একটা কাউন্সেলিং করা যায়। এবার যেহেতু এটা হচ্ছেনা, ক্যাডেটদের ঢাকায় জড়ো করে একদিনের একটা ফুল-ডে সেসন করতে পারলে কাজের কাজ হবে। আর ব্যবস্থা করতে হবে পরবর্তী বছর গুলোর জন্য।
মোটামুটি মাপের জটিল কাজ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমাদের কলেজে ওকাসের পক্ষ থেকে, বের হয়ে আসার আগে একটা ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন করা হয়েছিল। সেটা বেশ তথ্যমূলক এবং উপকারী ছিল। এবং এটা সব ব্যাচের জন্যই করা হয়। ওকাসের সাথে সমন্বয় করে সিসিবি থেকেও একটা টিম যেতে পারে। অন্য কলেজে এটা হয় কিনা জানিনা, হলে সেখানেও এটা করা যেতে পারে।
রকা'য় এই ধরনের একটা প্রকল্প ছিল। এখন কি অবস্থা জানিনা। পুলাপাইনে কইতে পারবো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ফয়েজ ভাই,
এইখানে একটা ইমেইল ড্রপ করা যাবে নাকি?
tareq এট konofusias ডট কম। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
পেটিয়ে দিয়েছি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভালো লাগলো, দেখি ফ্রী হয়ে আমিও একটা পোস্ট দিব এই ব্যাপারে।
ফয়েজ ভাই আপনার পোস্টটা যথেষ্ট চিন্তার খোরাক যোগাল, দেখি একটু সময় নিয়ে আমি একটা ব্লগ লিখার চেষ্টা করব তাতে কারো যদি কোন সুবিধা হয়।