পাঠকরা হয়ত জেনে থাকবেন, কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধোর ইতিহাসকে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটা উদ্দোগ নেয়া হয়। খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে যথেষ্ট রেফারেন্স সহ বইটি লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী পত্রিকা “ছুটির দিনে” এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
আগ্রহী পাঠকরা এই লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন এখানে “হাই কোয়ালিটি” এবং “লো কোয়ালিটি” বলে দুটি অপশন আছে, পাঠক কে তার নেট স্পিড অনুযায়ী ডাউন লোড করে নেবার জন্য।
যাই এবার নামাই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার একটা লিঙ্ক দিলেন ফয়েজ ভাই! :clap: :clap:
এখনই ডাউনলোড করছি! 🙂
ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই :boss: :boss:
(নিজের পোস্টে নিজেই ১ম হবার জন্য ......)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ডাউনলোড করেছি। পড়তে হবে।
এ কাজের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের আবার একটা স্যালুট দিয়ে নিই। :salute:
এবার লিংক শেয়ার করার জন্য ফয়েজ ভাইরে একটা ধন্যবাদ। 🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই। আমি মনে হয় আর বেশিদিন দেশে নাই। আপনাদের দেখতে খুব মন চায়। ভাই ঢাকা আসলে প্লিজ জানাবেন।
বস,
সালাম।
লাস ভেগাস এ হজ্জ্ব সেরে মাত্র কাল রাতে ফিরলাম। 😛
আপনার লিঙ্কটা বেশ উপকারী।
মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস! তাও আবার জাফর ইকবাল! 😮
সত্য ইতিহাসের দাবীটাই ত পলিটিক্যাল। আর আমি বাজী ধরে বলতে পারি যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনার সময় এখনো আসেনি। এখন যা কিছুই হবে, তা হবে একটা বিশেষ ধারার 'চামচামী'। দেখিয়ে দেই উদাহরন।-
এই রিপোর্টটা ছোট, তাই এখানে চামচামীর সুযোগ কম। তারপরেও দেখেনঃ
৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ২য় প্যারাতে ঢাবি'র বটতলায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করার কথা বলা আছে, কিন্তু কারা তুললো? পতাকা কি এমনি এমনি উত্তোলিত হয়ে গেলো? প্রশ্নটা আসত না যদি না পরের লাইনেই ছাত্রলীগের কথা আসত। জাতীয় সঙ্গীতের থেকে পতাকা উত্তোলন অ-নে-ক বেশি গুরুত্বপুর্ণ, কিন্তু সেটার কৃতিত্ব ছাত্রলীগকে দেওয়া গেলনা বলেই কি তা বাদ দিয়ে যাওয়া হলো? এটা ত সবারই জানা যে, সেই সময় ছাত্র ইউনিয়ন বলে একটা দল ছিলো স্বাধিকার আন্দোলনে যাদের ভূমিকা (পতাকা থেকে শুরু করে) ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি।
আর তথ্যের সূত্র থাকা সত্বেও কিছু ভুল আছে। যেমন, ১ম পৃষ্ঠায় লাহোর প্রস্তাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, সেখানে দুইটা আলাদা স্বাধীন মুসলিম দেশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে ত তা দুইটা ছিলোনা, ছিলো একাধিক স্বাধীন দেশের কথা (separate independent states)। কাজেই, দুইটা মুসলিম দেশের কথাটা ঐতিহাসিক ভাবে সঠিক নয়, এটা সাহিত্যিকের অনুমান। :thumbdown:
আর স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপারটা পরিষ্কার করায় সেখানে 'হালকা' পলিটিক্সের ফাঁক রয়েই গেলো। চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান (নামটা একটু ভুল হতে পারে) কোথায় গেলেন?
জাফর ইকবালের এই রচনায় তিন ধরনের তিনটা সমস্যার (চামচামী, ভুল ব্যাখ্যা, পাশ কাটানো) উল্লেখ করলাম।
এরকম আরো আছে। ;;;
মুখিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস (সত্য ইতিহাস না) রচনা করতে হলে তাই ইতিহাসের লোকজনকে দিয়েই তা করতে হবে, 'বিশেষ শ্রেনী'র সাহিত্যিক/বুদ্ধিজীবি দিয়ে নয়।
আর আমি কেন বলছি যে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এখন জানা/রচনা করা সম্ভব নয়, তা'র কারন আছে। আওয়ামীলীগের আমলে ১৯৯৭ সালে ঢাবি'র ইতিহাস বিভাগে "বঙ্গবন্ধু চেয়ার" প্রতিষ্ঠা করা হলো+রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এক নামকরা+আওয়ামী ঘরানার অধ্যাপককে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হলো। কথা ছিলো তিনি মাসে/তিনমাসে একটা করে লেকচার দিয়ে তার গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করবেন।- সেই লেকচার শোনার সৌভাগ্য হয়নি। খুব দ্রুতই সেই চেয়ারও মিলিয়ে গেছে। কেনো? (ইহা একটি ইশারা 😛 )
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:bash: :bash:
জন্যঃ "আর স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপারটা পরিষ্কার করায়"
পড়ুনঃ "পরিষ্কার না করায়"
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহ্মুদ ভাই শিউর হবার জন্য জিজ্ঞাসাঃ পতাকা কি আ,স,ম আব্দুর রব তুলেছিলেন??? ক্লাস নাইনের ইতিহাস বইতে বোধহয় এমনটি ছিল, ভুলও হতে পারে।
সত্য কথা বলতে গেলে এইটা আমি গত বুধবার ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট বের করে ছোট ভাইকে পড়ানোর জন্য বাসায় নিয়ে এসেছি। তো আগে নিজেই পড়ছিলাম, এবং ব্যাপারটা কেন যেন আমার কাছেও একটু অবোধ্য মনে হয়েছে। তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমিও ঠিক তাই মনে করি। তবে, ডাউনলোড করবো, পড়ে দেখা দরকার।
@ মাহমুদ
আই হাই, তুমি আইয়া পড়ছ, আমার মনে হচ্ছিল তুমি আইসাই হাউকাউ লাগায় দিবা।
যাই হোক পোষ্টের কিছু শব্দ এডিট করে দিলাম। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:(( :(( ~x( ~x(
এইটা নিয়া আসলে খুব একটা হাউকাউ করার কিছু নাই। কারন, এই ইতিহাসের লেখকের নাম দেইখ্যাই লোকে বুঝবো যে, "ইহা একটি ঐতহাসিক কল্পকাহিনী"।- তবুও কয়েক লাইন না লিখে পারলাম না যখন দেখলাম আপনার মতো এলেমদার পাবলিকও কইতাছেন
:no: :no:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এইটা ব্যাপক মজার জুক্স হইছে। জুক্স অব দ্য মান্থ।
আইচ্ছা যাও, ওই লাইটাও মুইচ্ছা দিলাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😀 😀
দেখলেন ত, ক্যামনে প্যাচ দিয়া আমার উদ্দেশ্য সাধন করলাম।
আপনার এই এডিটিং এর মাধ্যমে আপনি আবার প্রমাণ করলেন যে, "আকেলমান্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফি"। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাইরে তুমি লাসভেগাস থেকে আস্ত ফিরে আসছ, এতে আমি যে কি পরিমান খুশি হয়েছি। আমি ভাবছি তুমি আস্ত আসতে পারবা না। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ : এরপর মাহমুদ কিন্তু ইশারায় কইতে পারে ভাই, পোস্টটাই এডিট কইরা দেন। তখন তুমি কি করবা? ওর হাউকাউয়ের ভয়ে? মন্তব্য পড়তে পড়তে এইরকম মনে হইলো।
এরপর লেখাটা ডাউনলোড কইরা পইড়া লই। আমার মন্তব্য করমুনে। 😀
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এইটা করুম না সানাউল্লাহ ভাই। 😀 উলটা মাহমুদের পাংগা খাওয়ার ভাল চান্স আছে এইটা বললে।
লেখাটা পড়ার পরে আমার মাঝেও কিছু অতৃপ্তি খুজে পেয়েছি। প্রথমে লিখেছি না পড়ে। পড়ার পর মনে হল, নাহ কিছু একটা যেন মিলছে না। তাই কিছু শব্দ এডিট করে দিয়েছি।
লেখক অবশ্য বলেছেন, এটা পড়ে একটা বাস্তব ধারনা পাওয়া যাবে মাত্র, কিন্তু কেউ বেশি কিছু জানতে চাইলে রেফারেন্স গুলো দেখতে পারেন।
আমার কাছে পুরো ধারনাটা অসাধারন (বলতে চাচ্ছি "ইউনিক") মনে হয়েছে, অল্প জায়গায় অনেক তথ্য। প্রিন্ট কপি হাতে থাকলে বিজয় সরনীর জামেই পড়ে ফেলা যায় পুরোটা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
ধন্যবাদ যে আপনি উইশ করেছেন যেনো আমি ঠিকঠাক মতো লাস ভেগাস থেকে রিফতে পারি। ছবি তুলেছি বেশ কিছু। একটা ছবি ব্লগ দিমুনে। 😛
লেখক ঠিকই বলেছেন। এই সময়ের বাস্তব অবস্থাটা কি রকম তা জানার জন্য এই জাতীয় লেখা খুবই যথার্থ। ;;;
(লেখক মনে হয় ধরে নিছে যে কেউ কিছুই বুঝবো না এই লেখার পেছনের আসল কাহিনী :thumbdown: )।
এই কারনে আমিও এসব পছন্দ করি। কাজেই, আর এডিট করার আবদার করমু না (তাছাড়া পাঙ্গার ভয় ত আছেই :no: )।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:bash: :bash:
জন্যঃ রিফতে
পড়ুনঃ ফিরতে
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি মনে করি ৭১এর যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অফিসিয়াল কিছু তথ্যই ঠিক নয়। যেমন ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবার কথাটা। ৩ মিলিয়ন তো অনেক মানুষ। আর এই ৩ মিলিয়ন মারা হয়নি কিন্তু কোন সিস্টেমেটিক পথে। নাৎসীরা হলোকাস্টে ছয় ছয়টা ফুললি ফাঙ্কশানাল এক্সটার্মিনেইশন ক্যাম্প এবং অসংখ্য ট্রানজিট ক্যাম্প, ল্যাবর ক্যাম্প, কনসেনট্রেইশন ক্যাম্পে আয়োজন করে গ্যাস চেম্বর আর ক্রিমেট্রিয়াম বসিয়ে পুরো ইউরোপ থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিচারে ধরে নিয়ে ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত যদি ৬ মিলিয়ন মানুষ মেরে থাকে আমি বুঝিনা কি করে বাংলাদেশে আনসিস্টেমেটিকালি মাত্র নয় মাসে গুলি করে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা সম্ভব।
এইটা বিশাল সমস্যা। আর রাজাকার রা এইসকল জিনিস লইয়া ত্যানা প্যাচায়। আমি মনে করি ৭১ কে রাজনীতিকরন বাংলাদেশে দুইটা ডিক্টেটর থেকে কম ক্ষতিকর না। এটার ফলে ৭১ তার আসল এপিল হারায়, আর ভবিষ্যত ঝামেলার দুয়ার উন্মুক্ত রাখে।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
অর্ণব,
তোমার অবজারভেশন হয়তো ঠিকাছে।
কিন্তু ৭১এর নিহত হওয়া মানুষ শুধু গুলিতেই মারা যায়নি।
এই ৩ মিলিয়নের ভেতর সমস্ত শরনার্থীশিবিরে মারা যাওয়া মানুষ ও আছেন।
হয়তো এক্যুরেইটলি এই সংখ্যাটা ৩ মিলিয়ন নয়। কিন্তু খুব কমও নয়। এই নেটেই ঘাটাঘাটি করলে এমন অনেক রেফারেন্স / হিসাব / লজিক যাইবলোনা কেন পাবে যাতে দেখবে এই সংখ্যাটা আদৌ সন্দেহ করার মত কম নয়। কিছুটা দৌড়ের উপ্রে আছি, তাই নেট ঘেটে লিন্ক গুলো এখনই দিতে পারছিনা সময়ের অভাবে। তবে দুয়েকদিন পর একটু ফ্রি হলে দেয়ার চেষ্টা করবো। আপাততঃ এক্সটার্নাল দুটো রেফারেন্স দেই, যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী আর্মির সহায়তায় এপ্রিলের শেষদিকে 'বিট্রেয়াল' নামে একটি প্রপাগান্ডা ডক্যুমেন্টারি তৈরি করে সারা বিশ্বে তাদের গণহত্যাকে হালাল করার জন্য সবখানে ছড়িয়ে দেয়া হয়, যাতে বলা হয় এবং অনেক ফুটেজ দিয়ে দেখানো হয়, আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারীরা পূর্বপাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রায় দুই লক্ষ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তারা প্রচুর ফুটেজ দেখায়। (আসলে এগুলো পাকবাহিনীর নিজেদের করা গণহত্যারই ফুটেজ)। আরেকটি সুখদেভের বিখ্যাত নাইন মান্থস টু ফ্রিডম, যেখানে এক পশ্চিমা ডাক্তারকে বলতে দেখা যায়, ইন্ডিয়াতে রিফিউজি ক্যাম্পে বিভিন্ন দুর্যোগে যুদ্ধের চার মাসের মধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষাধিক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে এবং পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা না নিলে পরবর্তি দু মাসেরি এর চেয়ে বেশি শিশু মারা যেতে পারে। মূল ঘটনা হলো পরের মাসগুলোতে রিফিউজির চাপ আরো বেড়ে যায় এবং শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের মৃত্যুর হার কমানো যায়নি।
এই দুটি ঘটনাই আমাদের দেশীয় কারো বক্তব্য নয়। এবং এর ঘটনকাল যুদ্ধ শুরু হবার প্রথম কয়েকমাসের মধ্যেই। তাই পুরো ৯ মাসের হিসাবে সিস্টেমেটিক / আনসিস্টেমেটিক যে হিসাবেই হোক, আমার অন্তত কখনোই এই সংখ্যাটি সন্দেহ করার মতো বেশি মনে হয়নি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
🙂