বিব্রত বোধ করছি

মেইলটা আমি করেছিলাম

প্রথম মেইল
প্রিয় মডারেটর

এ কথা সত্য যে, সিসিবি খেলাচ্ছলে তৈরী ব্লগ হলেও এখন এটা ঠিক ঐ পর্যায়ে নেই। তাই মডারেটরদের এখন প্রজ্ঞার সংগে কাজ করতে হবে, খেলাচ্ছলে নয়।

১। কত কিছুদিন যাবৎ মডারেটরের কিছু কাজ আমার মনে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে। আমার মনে হয়েছে মডারেটর তাদের ইচ্ছা এবং অনিচ্ছার ব্যাপার ব্লগে চাপিয়ে দিচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন কি ধরনের পোষ্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ এবং কি ধরনের মন্তব্যকে নিরুৎসাহিত করা উচিৎ। বরং আমি লক্ষ্য করছি কিছু কিছু মডারেটর এমন কিছু মন্তব্য প্রকাশ করছেন যা সরাসারি ব্লগিং সম্প্রিতির বিপক্ষে যায়। মডারেটরের মন্তব্য সদস্যদের ব্লগ ত্যাগে উৎসাহিত করছে।

২। ব্লগিং এর রীতি অনুযায়ী একজনের পোষ্টে অন্য কেউ কমেন্ট করে থাকলে তা দুইজন এডিট করতে পারেন। একজন মডারেটর এবং অন্যজন যিনি পোষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মন্তব্য কারীর গোচরে ব্যাপারটা আনা দরকার। সমস্যা হচ্ছে যখন কোন একজনের পোষ্টে মন্তব্য কারী নিজেই নিজের মন্তব্য প্রকাশের পর বদলে ফেলছেন, কারন এক্ষেত্রে মন্তব্যকারী নিজেই একজন মডারেটর। আমার দৃষ্টিতে তিনি দুইটি অপরাধ করেছেন।

ক) মডারেটর নিজেই এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা ব্লগিও সম্প্রিতিকে নষ্ট করে, অর্থাৎ তিনি মন্তব্যে প্রজ্ঞার পরিচয় দেননি, একজন মন্তব্যকারী হিসেবে তো নয়, একজন মডারেটর হিসেবে আরও নয়।

খ) মডারেটর নিজে যখন বুঝতে পেরেছেন তার মন্তব্য ব্লগে ক্ষতির কারন হতে পারে, তখন তিনি চুপিসারে (আমার ধারনা) সেই মন্তব্য সম্পাদনা করেছেন। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে ক্ষমতার “চরম” অপব্যবহার।

আমি আশা করি মডারেটর প্রজ্ঞার পরিচয় দিবেন এবং সম্প্রিতি বিনষ্টকারী মন্তব্যে বিরত থাকবেন। নতুবা তার উচিৎ হবে মডারেটর প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানো। যদিও মডারেটর প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানো মানে এই নয় যে তিনি সম্প্রিতি বিনষ্টকারী মন্তব্যের লাইসেন্স পেয়ে গেলেন। সরে দাঁড়ানো মানে এই যে তিনি মডারেটর হিসেবে অযোগ্য। একটা জিনিস পরিস্কার, ফাউন্ডার মেম্বারের কাজ আর মডারেটর এর কাজ এক নয়।

আমরা যেমন চাই না (নামটা সরিয়ে নিলাম) এর মত হোক, তেমনি আমি চাইনা এটা (নামটা সরিয়ে নিলাম) মত হোক, যেখানে মডারেটররা তাদের দূর্বলতাকে ঢাকেন ক্ষমতার অপব্যবহার অথবা ক্ষমা চাওয়ার মাঝেই।

ভাল থাকবেন। শুভ ব্লগিং

ফয়েজ (৮৭-৯৩)
সিসিবি

রায়হানের উত্তরঃ

(রায়হানের মেইলটি সরিয়ে নিলাম)

রায়হান কে আমার উত্তরঃ

রায়হান,

বুঝাই যাচ্ছে তুমি সাদা মনের ছেলে, কারন তুমি ধরে নিয়েছ আমি তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। কিন্তু আমি যে মন্তব্য মুছে দেয়া নিয়ে আমার আপত্তি জানিয়েছি, সেটার তোমার মন্তব্য ছিল না। সেটা ছিল মুহাম্মদের জাহিদের পোষ্টে রুচি সংক্রান্ত একটা মন্তব্য। হয়ত জাহিদ মুছেছে, হয়ত বা অন্য কেউ। আমি আশংকার কথা বলেছি।

মডারেশন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া কোন ভালো সমাধান নয়। তুমি আমার মেইলটা ঠান্ডা মাথায় পড়। আমি তোমাদের কাউকেই সরে যেতে বলছি না। আমি বলছি তোমরা এমন কিছু করবে না যাতে সম্প্রিতি বিনষ্ট হয়। মডারেশন খেলার বস্তু নয়।

কামরুলকে একবার বলছিলাম, এবার তোমাকে বলি “মডারেটর কিংবা ব্লগ এডুর কোন দল নেই। তারা সবার মঙ্গল চাইবে।” তুমি যেটা চাচ্ছ না বলে আমার মনে হচ্ছে। তুমি (নামটা সরিয়ে নিলাম) জন্য তোমার কমেন্ট সরিয়ে ফেলেছ, কারন সেখানে তোমার ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে আছে, ব্লগ এর পরিবেশ তোমার কাছে গৌন। এটা একজন মডারেটরের মানসিকতা হতে পারে না।

ফোন দিতে পার। আমি গত দুদিন একটু ব্যস্ত জন্য তোমার সংগে মেসেঞ্জারে কন্টিনিউ করতে পারছিনা, এটার সঙ্গে ব্লগিং কে জড়িয়ে ফেল না। আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি, এবং আমার ধারনা তুমিও আমাকে একটু হলেও পছন্দ কর।

ফয়েজ

বুঝাই যাচ্ছে, আমি আসলে একটা ষড়যন্ত্র করেছি। নিজের কাছে পরিস্কার থাকার জন্য মেইল গুলো তুলে দিলাম। কারন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে মেইলটা কে করেছিল।

জি ভাই, আমিই সেই ব্যক্তি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

১,৪৩১ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “বিব্রত বোধ করছি”

  1. সত্যি কথা বলি......
    ধর্ম নিয়ে তর্কাতর্কি পোস্টগুলো মনে হচ্ছে এই ব্লগটিকে অন্য দিকে নিয়ে যাবে..... কোনদিক আমার কোন ধারণা নাই.... আমার আর এই ব্লগে আপাতত আসতে ইচ্ছা করছে না... রেজাল্টের পর এমনিতেই অনেক মন খারাপ... এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখে আরো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে......

    জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    ফয়েজ ভাই, জানি এখন আপনার একটু বিব্রত বোধ করারই কথা। কিন্তু ভাইয়া, আপনারা যদি এখন সাপোর্ট না দেন, তাহলে ব্লগের পরিবেশ কিভাবে ভালো হবে? অবশ্য এ ব্যাপারে আমার চেয়ে আপনি অনেক বেশি গুণে সক্রিয়।
    আমার মনে হয় এই সময়টাই আমাদের মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেয়ার সবচেয়ে বড় সময়। মডারেটরদের যদি ভুল হয়ে থাকেও তাদের আমরা ক্ষমা করি দেই আর তাদেরকে অনুরোধ করি যাতে সরে না দাঁড়ায়।
    প্লিজ মন খারাপ করে থাকবেন না ফয়েজ ভাই।

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ফয়েজ ভাই, বিব্রত বোধ করবেন না প্লিজ। আপনার মেইলের খবর আমি প্রথম রায়হানের কাছেই পাই। রায়হান মনে করেছিল, মেইল তাকে উদ্দেশ্য করে করা। কিন্তু মেইল পড়ার পরই আমি বুঝতে পেরেছি, এটা আমাকে উদ্দেশ্য করে। রায়হানকে এখনও সেটা বলা হয়নি। কারণ রায়হান দুপুড়েই বাসায় চলে গেছে। এলে বলব।

    এই মেইল পড়ার পর আমার কাছে দুটি অপশন ছিল:

    - যদি মনে করি ভবিষ্যতে আর এরকম কিছু আমার দ্বারা হবে না তাহলে আপনাকে একটি মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া যে সেটা ভুল হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর না করলেই ব্যাপারটা চুকে যেত।
    - আরেকটা অপশন: যদি মনে করি আমাকে দিয়ে হবে না তাহলে সরে দাঁড়ানো।

    আমি দ্বিতীয় অপশনটাই বেছে নিয়েছি। কারণ সময়। ঠিক এই সময়েই ফাহিম ভাই আমার মন্তব্যের জবাবে এমন কিছু কথা বলেছেন, মডারেটর না হলে যেটা আমার শুনতে হতো না। এজন্য চাচ্ছিলাম সরে দাঁড়াতে। এই চাওয়ার সাথে উপরের ২ নং অপশন মিলেই আমার সিদ্ধান্তের জন্ম দিয়েছে।

    এটাকে প্লিজ অন্যভাবে নিয়েন না। আমি কিন্তু আপনের উপর মাইন্ড করি নাই। আর মডারেটর প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানো তো এমন আহামরি কিছু না যার জন্য আপনাকে আমার খারাপ লাগতে শুরু করবে। আমার কাছে আপনি ঠিক আগের মতই আছেন। এই ঘটনায় কিছুই পরিবর্তন হয় নাই। আবারও বলি, সব ঠিক আছে। 🙂

    জবাব দিন
  4. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ফয়েজ ভাই, আপনি যেটা করসেন ১০০% ঠিক কাজ করসেন মেইল করে। এবং আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে আবদার থাকবে ভবিষ্যতেও যদি কোথাও কোন অসঙ্গতি চোখে পড়ে সেটাও যেন কোন রকম দ্বিধা ছাড়া জানিয়ে দেন। এটা ছোট ভাই হিসেবে আপনার কাছে অনুরোধ নয়, আবদার থাকলো।

    আর আপনি হয়তো ভাবছেন মুহাম্মদ হয়তো আপনার মেইলের প্রতিক্রিয়ায় অভিমান নিয়ে সরে গেছে। ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা' নয়। ওর সাথে আমার কথা হয়েছে এবং আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি ডিসিশনটা পুরোপুরি ওর নিজের ইচ্ছায় নেয়া। নির্দিষ্ট কারো উপরে অভিমান বা এমন কিছুর ফলাফল নয়।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমার তো ভাই সব-ই আউলাইয়া যাইতেসে।
    মাত্র কয়দিন হইলো এইখানে আসছি,
    নিজেকে এখনো ক্লাস সেভেন ক্লাস সেভেন লাগতেসে।
    বেশী কিসু বলতেও ভয় পাই।
    মিলেমিশে থাকিনা!
    একটু এদিক সেদিক কড়ামিঠে
    হতেই তো পারে,
    জীবনের নিয়ম-ই তো তাই।
    আমরা না ক্যাডেট বলছি নিজেদের?
    ক্রসকান্ট্রির মতো পেরিয়ে যাই না কেন
    এই ছোট্ট এপিসোডটা?
    শুনতাসেন ভাইয়েরা?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জিহাদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।