তার একটা নাম দেয়া দরকার, দিলে ভাল হয়।
রংপুরে যে এলাকায় আমরা থাকতাম, সেই এলাকার নামের আগে “মিস” বসিয়ে আমার মহা রাশভারী বাবা তাকে ডাকতেন। সত্তর দশকের শেষের দিকের কথা বলছি। “মিস ওয়ার্ল্ড” তখন একটা অবাক করা অনুষ্ঠান বড়দের কাছে, আর আমরা কি ছাই তখন বুঝি এতসব।
আমাদের বাসার যতটুকু অংশে ঘর-দোর-উঠোন করেছিলেন বাবা, তার চেয়ে অনেক বেশি অংশই ছিল গাছে ভরা। বাসার পিছনে ছিল মাঝারী আকারের একটা বাশ বাগান, কত নাম না জানা পাখি বসত সেখানে, কত “ভো-কাট্টা” ঘুড়ী। সামনে দিকে ছিল খড়ির গুদাম, আমরা খড়ি বিক্রী করতাম তখন। আশেপাশের নানা বাসা থেকে খড়ি কিনতে আসত লোকজন, ৫ সের, ১০ সের, ১ মন। আমরা দৌড়ে যেতাম পাল্লায় খড়ি মাপতে। হিসাব অবশ্য আমার মা রাখতেন। সেই খড়ির গুদামে মাঝে মাঝে বন-বিড়াল (স্থানীয় ভাষায় “গারোয়া”) সংসার পাততো। এগুলো আবার সুযোগ পেলেই মায়ের পোষা মুরগী দিয়ে নিজেদের উদর ভরাত। বেজীর উৎপাত ছিল সাংঘাতিক। বাবা মাঝে মাঝে বন্দুক নিয়ে তাড়া করত ওগুলোকে, গুড়ুম গুড়ুম গুলির শব্দে কেপে উঠত সারা এলাকা।
আর ছিল সার বাধানো সুপারী গাছ। পাশাপাশি দুটো সুপারী গাছে দড়ি দিয়ে দোলনা বেধে দিয়েছিল পাশের বাসার খুশি-সাথী আপারা। আমি আর মিস ওয়ার্ল্ড সময় পেলেই সেই দোলনায় পাশাপাশি বসে থাকতাম। একটু দোলও কি দিতাম তখন দোলনায়? মনে পড়ে না।
পৈত্রিক সুত্রে বাবা অনেক জমি পেয়েছিলেন গ্রামে। মাঝে মাঝে কোমড়ে অটোমেটিক রিভলভার পেঁচিয়ে বাবা চলে যেতেন গ্রামে। থাকতেন অনেক দিন। মা তখন মনে হয় ভয়ই পেতেন একা বাসায় আমাদের নিয়ে থাকতে। হতে পারে। মা আমাদের কখনো বলেননি সেটা। কিন্তু বাবা গ্রামে চলে গেলেই পাশের বাসার পারভীন আপা চলে আসতেন আমাদের বাসায়। রাতে থাকার জন্য। তার সংগে আসত “মিস ওয়ার্ল্ড”। বিশাল বিছানার দুই পাশে মা আর পারভীন আপা ঘুমাতেন। আর মাঝখানে থাকতাম আমরা। জড়াজড়ি করে কত যে ঘুমিয়েছি এভাবে, আংগুলের কড় গুনে এই হিসাব দিতে পারবেনা কেউই, না মা, না পারভীন আপা।
বাসায় কাঠাল গাছ ছিল দুটো, একটার কাঠাল ছিল একটু আলাদা স্বাদের, টক টক, কিন্তু খুব মজার। পরিচিত স্বজনদের দিয়ে-থুয়ে খুব বেশি থাকত না আমাদের জন্য। অন্য কাঠালের জাতটা ভাল ছিল না, সহজে পাকতেও চাইত না। ঐ গাছের নীচে কিছু কাঠাল চাপার গাছ পুতেছিলাম। বাসার সামনে ছিল হাস্লা-হেনার ঝাড়। রাতের বেলা কি সুন্দর ঘ্রানে ভড়ে যেত পুরো বাড়ি। হাস্নার ঝাড়ে নাকি সাপ থাকে? মা কখনো কাছে যেতে দিতে চাইতেন না। বড় বড় শেফালী আর কামীনি গাছ ছিল একটা করে। পিছনে একটা মাঝারী সাইজের একটা আম গাছ (আম ধরেনি কখনো)। বাশ ঝাড়ের পাশে একটা বাতাবী লেবু (আমরা জাম্বুরা বলতাম)। দুটো নারিকেল গাছও ছিল, ইয়া বড়। পাতা ঝরার সময়টাতে বাসার উঠোন-পিছন ভরে যেত। সেইসব পাতা কুড়িয়ে আমরা মেতে উঠতাম পিকনিকে। এ বাসা ও বাসা মিলে অনেক কজন, রান্না হত ভাত, গোস্ত আর ডিম সিদ্ধ।
বেশ ছিল ছেলেবেলাটা, সব মিলিয়ে।
প্রেমটা জমেনি, যদিও জমে উঠার অনেক প্রেক্ষিত ছিল। কারন হতে পারে, শৈশব-কৈশোরের সন্ধিক্ষনে “মিস ওয়ার্ল্ড” বাসা বদল করে চলে যায় একটু ভিতরে, আমার চোখের আড়ালে। চিরদিনের চঞ্চল আমার কাছে, চোখের আড়াল মানেই যেন মনের আড়াল। তবে তার যাওয়া আসা ছিল, খুব ভালবাসতেন আমার মা-বাবা তাকে। তাদের সংগেই হয়ত দেখা করতে আসত, কারন আমি তখন অনেক দূরের একজন, ক্যাডেটে পড়ি, বছরের নয় মাস থাকি না, যেটুকু সময় থাকি, বাসায় থাকি না, হয়ত বুবু বাড়ি, দাদা বাড়ি, এখানে, ওখানে।
আমার গ্রাজুয়েশনের টাল-মাটাল সময়ে তার বিয়ে হয়, মা বলেছিলেন আমাকে, তার জন্য ছেলে দেখা হচ্ছে, কিন্তু এটা নিয়ে ভাবার মত অবসর আমার তখনও হয়নি। আর যখন তার কথা ভাবার সময় হল, তখন সে এক সন্তানের জননী।
গল্পটা এখানে শেষ হতে পারত,হলেই বরং ভাল হত, কিন্তু হল না। সে চলে এলো তার সংসার ছেড়ে, নিজের সন্তানকে নিয়ে। যখন সে ফিরে আসল, তখন আমি আবার এক সন্তানের জনক।
আমার হার-না-মানা খেলার সাথীটি অবশ্য ভেংগে পড়েনি। নিজের একটা ব্যবসা দাড় করিয়েছে, রংপুরে গেলে হঠাৎ দেখা হয়, স্মিত হাসি আমি, হাসে সেও। কথা হয়, “কেমন আছ”, “ভাল আছি” “চলে যাচ্ছে দিন” এই রকম টুকিটাকি।
আমার বাবা-মা দুজনেই চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। তারা বেচে থাকলে হয়ত সে আসত আমাদের পুরানো বাসাটায়, কথা বলত তাদের সাথে। আমি কোলে নিতাম তার সন্তানকে, আর আমার বাচ্চা ছুটে যেত তার কোলের কাছে।
1 st.
ব্যাঞ্চাই... ব্যাঞ্চাই
প্রথম হওয়ার ব্যাঞ্চাই.........
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এখন কথাটা হচ্ছে গিয়ে দাদা, ভাবী কি দেখবে আপনার এই লেখা? :-B
না, সিরিয়াসলিঃ স্মৃতিকাতর করে দিলেন, কত কিছু মনে পড়ে গেল! শেষ প্যারাটা পড়ে বহুজায়গায় শোনা একটা কথা মনে হল। সত্য মিথ্যা জানি না, অভিজ্ঞতা হয় নাই এখনো। কথাটা হলো গিয়া, অপত্য প্রেমই নাকি শ্রেষ্ঠ প্রেম। 🙂
শারমিনের দেখার সম্ভাবনা অল্প, তবে দেখলেও অসুবিধা নেই, এগুলো গল্পের অনেকগুলোই সে জানে। 🙂
ছ্যাকিষ্টরা তাই বলে। তুমি, সাকেব কিংবা কনফুও কি তাই বলবে? ;;;
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বস, আমি জীবনেও বলবোনা...
বিরাট সম্মানিত বোধ করতেসি...দাঁড়ান বউরে দ্যাখাই 😀
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
হে হে কইছিলাম না,
ছ্যাকিস্ট ছাড়া এইসব কথা আর কেউ কইব না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কথাটা একেবারে মিথ্যা না মুনে অয়। 😡
তয় আমিও শুনছি শ্রেষ্ঠ প্রেমগুলা নাকি বেশিরভাগই সফলতার মুখ দেখে না। দুইপক্ষই আজীবন স্মৃতির পাতা হাতড়ায়, একটু একটু কষ্টমাখা বিশেষ ভাললাগা খুঁজে আর হঠাৎ সাক্ষাতে একে অপরের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে একটু আদর করার স্বপ্ন দেখে। ;;;
ছ্যাকিষ্ট, ছ্যাকিষ্ট।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কাম্নে কি ~x(
কইলাম শুনা কথা। তৌফিক ভাইয়ের যেমন অভিজ্ঞতা নাই, আমারও নাই। :no: :no:
খাইছে আমারে, তুমি তো দেখি তৌফিকের রেটিং নামায় দিলা।
তুমি শিওর তো, কনর্ফাম না হইয়া কওন কিন্তুক ঠিক না কইলাম... 😉
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দেখেন তৌফিক ভাই কইছে উপরে
এইডা দেইখা কইছি। তবে শিওর না, তৌফিক ভাই মিছা কতা কইতে পারে। তয় আমি একদম হাছা কতা কইছি। 😉
আর কিছু কমু না, তৌফিক আসুক, হেয় কইব.........।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি, তৌফিকুর রহমান, এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে, আমার কোন পুত্র বা কন্যা, অদ্য ৯ই মার্চ, ২০০৮, পর্যন্ত জন্মগ্রহন করে নাই। অদূর ভবিষ্যতে যে করিবে না, এই ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা দেওয়া যাইতেছে না। 😀
আরে দূর, পুত্র কন্যার কথা কে কইতে কইল,
বুচ্ছছি। 😉
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:dreamy: :dreamy:
খাইছে.....তৌফিক ভা.............ই
আমার মনে হয়, অপত্য প্রেমই সেরা। এইটা হওয়াইতো স্বাভাবিক। কারণ এক মানুষের সাথে আরেক মানুষের প্রেম চিরন্তন হয় না, অনেকদিন প্রেম-পিরিতির খেলা খেলতে থাকলে টায়ার্ড হয়া যাওয়ারই তো কথা। কিন্তু অপত্য প্রেমে তার চান্স নাই, খেলতেই হয় না, টায়ার্ড হইবো ক্যাম্নে! 😀
খাইছে আমারে, মুহাম্মদ কি কয় এইগুলা? 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মুহাম্মদের কী হইলো। যাই রুমে গিয়া দেইখা আসি...
মুহাম্মদ পুরা গেছে। এই মুহাম্মদ এই তোর কি হইছে???????????????????
ফয়েজ ভাই, আপনার ক্ষুরধার লেখনী নিয়া কথা বলার সাহস কোনদিনই পাইনা।
অসম্ভব সুপাঠ্য হয়েছে। পড়ার পর লেখাটার একটা রেশ মনের ভিতর থেকে যায়।
:thumbup: :thumbup:
:thumbdown: :thumbdown:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থাম্ব ডাউন কইরা লাভ নাই ফয়েজ ভাই। কথা সত্য! 😀 😀
:thumbup: :thumbup:
😀
বেইল নাই এইসব কথার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:clap:
ওই রবিন, তালি দাও ক্যান? কেস কি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এই সিরিজের বেস্ট.. এখনো পর্যন্ত 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তাই মনে হল, কিন্তু ২য় টা লিখে বেশি তৃপ্তি পেয়েছিলাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বস মনটা খ্রাপ হয়ে গেল, অসাধারন। :salute:
মন খারাপের কিছু নেই, জীবন এমনি, কেটে যায় কোন না কোন ভাবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কেম্নে মানি!!! 😛
আমাদের কতজনের সাথে আপনার দেখা হয়েছে???? কিন্তু আপনি কি মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে যান নি???? :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙂
তোমদের সংগে দেখা হয়নি ঠিক, কিন্তু তোমরা তো অনেক চেনা, প্রতিদিন কত কথা হয় তোমাদের সংগে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তার চেয়ে অনেক বেশি অংশই ছিল গাছে ভরা
:shy: :shy: :shy:
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:)) :))
গাছতো বাচিয়ে রাখে আমাদের, পড়নি বায়োলজীতে?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারন স্মৃতিচারন। বড় বড় নারিকেল গাছ, সুপারির বিশাল বাগান, জাম্বুরা গাছের নিচে বাঁশ দিয়ে বানানো বসার জায়গা , আরও অনেক কিছু মনে করায়ে দিলেন ফয়েজ ভাই। আমার নানাবাড়ির দিনগুলা এমন ছিল। শহুরে জীবন থেকে ওইসব কল্পনাও করা যায় না। সময় পেলে লেখার ইচ্ছে আছে।
যতটুকু জানি তোমরা একটা বিশাল ছুটির মধ্যে আছ, এখনো যদি সময় না পাও......... তাইলে ক্যাম্নে কি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এবারের ছুটি আমার ছুটি না। রাত দিন পইড়াও কূল পাওয়া যাইবো কিনা সন্দেহ আছে। ~x(
সামনে একটা বিশাল এনট্রান্স এক্সাম। দোয়া কইরেন একটু আমার জন্যে।
আরে ব্যাপার না।
দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ পরীক্ষা দেয়া। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
শুধু এই সিরিজের বেস্ট না, হৃদয়ে তার অবিরাম বৃষ্টির শব্দ আর একটু শুনবেন গল্পটা'র পাশাপাশি এটাও সিসিবিতে ফয়েজ ভাইয়ের সেরা লেখার তালিকায় রাখতে হবে।
যথারীতি ফয়েজীয় লেখা। এরচেয়ে যোগ্য প্রশংসা আপাতত খুঁজে পাচ্ছি না।
(এডু স্যারের কাছে 'ফয়েজীয়'র একটা ইমো দাবি করছি। )
প্রিয়তে।
আপনার নারীময় শৈশব আর কৈশর দেখে হিংসা হচ্ছে মাইরি।
নাদের আলি, আমি কবে ফয়েজ ভাই হবো ?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
দূর বেটা, তুই ফয়েজ হবি ক্যালারে?
সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের বেইল নাই, ব্যাঞ্চাই............
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সহমত। :thumbup: :thumbup:
ব্যাঞ্চাই......। ব্যাঞ্চাই......।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাইয়ের নারীময় শৈশব আর কৈশোর, শওকত ভাইয়ের নারীময়(আকর্ষণীয়া, সুন্দরী, চঞ্চলা 😛 ) ছাত্রজীবন আর লাবলু ভাইয়ের নারীময় কর্মজীবন.......সব.... সব.... হিংসা হচ্ছে :((
আল্লাহ যাদের দেয়..... উফ্..... 🙁
যাক বাবা, এক ব্যাপারে দুইজন বস পাব্লিকের সাথে জামাতে খাড়াইতে পারছি।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাশে............
এহসান তুমি কি কিছু খাইতে চাও? বল বল
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপনারা যা খাচ্ছেন তাই খাইতে চাই 😛
বিঃদ্রঃ ছোটদের এই নির্দোষ মন্তব্যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক অর্থ না খোজাঁর অনুরোধ করা হচ্ছে। 🙂
😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কিছু শুনি নাই। মাথা নিচু করা আছিল। 😉
আমি কিছু দেহি নাই......তয় :dreamy:
আমি বরং :frontroll: :frontroll: :frontroll:
রিজভী এত বুঝস কেন রে ভাই? আমি তো কিছুই বুঝলাম না 😕 😕 😕
কিছুই তো বুজতে পারলাম না :-B :-B ।
Life is Mad.
টাইম মেশিন নাই, কাজেই ফয়েজভাইয়ের মতো শৈশব ত পাওয়া যাবে না :(( । শওকত ভাইয়ের মতো ছাত্রজীবনের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করেছি হালকা ( 😛 ) । কিন্তু লাবলু ভাইয়ের ম কর্মজীবন চাইই চাই। :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঠিক ঠিক, লাভলু ভাইয়ের উচিৎ সবার সংগে ভাগ করে নেয়া। হাজার হোক ক্যাডেট বলে কথা, সব কাজ জামাতে.........। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আ হা রে!
স্মৃতিমেদুর করে দিলে ভাই!
লেখেন ভাইয়া লেখেন,
আপনার গদ্য নিশ্চয় পদ্যের মতই মজার হবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারণ স্মৃতিচারণ। :boss: দারুন লাগল ফয়েজ ভাই।
অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। আমার একেবারে শৈশবকাল কেটেছিল রংপুরে। আমার প্রথম স্কুল রংপুর ক্যান্ট পাবলিক। ক্লাস টু পর্যন্ত ছিলাম ওখানে। এরপর আর ওদিকে যাওয়া হয়নি। এখন নাকি রংপুর অনেক সুন্দর শহর। যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে।
অফ-টপিকঃ আমার শেষের লেখাটায় আপনার কমেন্টের উত্তর দিয়েছি।
রংপুর এখন আগের মত সুন্দর নেই, গত বিশ বছর কোন কাজই তো হয়নি। দেখা যাক এবার কিছু হয় কিনা।
অফটঃ দেখেছি রহমান, কিন্তু শোক কাটিয়ে উঠতে হবে, তা না হলে ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যাব সবাই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গাছেরটা খাওয়ার পাশাপাশি তলারটার জন্য আফসোস করার কারনে ফয়েজ ভাইয়ের ব্যান চাই। :grr:
তবে লিখাটা হয়েছে জব্বর। :salute:
আপনার গাছময় জীবনের সাথে আমারও গাছময় জীবনের অ-নে-ক মিল, কিন্তু "আপা" আর "মিস"রা থাকল না ক্যান? :(( :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আফসোস তো করিনি মাহমুদ, মেনে নিয়েছি।
তোমার জীবনেও "আপা" আর "মিস" আছে, বুঝতে পারছ না। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😮 😮
ঠিকাছে, তাইলে খুইজা দেহুম নে...... 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ফয়েজ ভাই, একদম সাবধান... ;;;
:)) :))
ভয় নেই, মক্কার লোক হজ্ব পায় না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
খুব সুন্দর লেখা। পড়লাম, নিজের জীবনের কিছু স্মৃতিচারণ করলাম (এইরকম না অবশ্য!), আপনের ছেলেবেলায় অনেক রঙ ছিল সেইটা টের পেলাম...
মুহাম্মদ, তুমি প্রেমে পড়বা কবে? জাতি যান্তে চায়............।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হ জাতি জমানো খেলা দেখতে চায়। জাতি খুব খ্রাপ :grr: :grr:
হুমায়ুন আহমেদের মতে........ :dreamy:
ভায়েরা, কথা হইল, প্রেম করার চেয়ে জ্ঞানছর্ছা করা অনেক সহজ... 🙁
বুঝলি কেমনে?????????????????? :-/
কী অসাধারণ একটা লেখা!
একটা মানুষ এত সুন্দর করে লিখে ক্যাম্নে?
😀 :)) :khekz:
কারে কও, আমারে?
আরে লেখা তো শিখলাম তোমাগো দেইখ্যা,
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারণ ফয়েজ ভাই স্পেশাল। ভাইয়া আপনার লেখা পড়লেই খালি মনে হয় ইশশ আমারো এইরকম শৈশব থাকলে ভাল হত। আপনার ছোটবেলার বাড়িটা কি এখনো এরকমই আছে? থাকলে একবার পিকনিক করতে যাইতাম আমরা ।
শৈশব পুরোটাই এমন ছিল না, যেটুকু ভালো লাগা সেটা তুলে ধরছি, খারাপ লাগাও আছে অনেক।
না বাসাটা আগের মত নেই, যেমন নেই বাবা আর মা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বস,
... ... ...
বরাবরের মত নির্বাক করে দিলেন...
আপনার লেখা আমি সবসময় তিনদিন ধইরা 'তারায়া তারায়া' পড়ি...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সাকেব তুমি কও তো, ছ্যাকা প্রেম ভাল নাকি নন-ছ্যাকা প্রেম ভালো?
তোমারে জিগাই কারন তুমি ছ্যাকা পাট্টি না এই জন্য।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি বরং কই.......ফয়েজ ভাই....হুমম......থাউকগা....পরে ব্লগ লিখুন্নে... 😐
অপত্য প্রেমের ব্যাঞ্চাই,
ফাইট ছাড়া বেইল নাই।
ভাই চ্রম চ্রম
ফাইট তো অনেক ধরনের, তুমি কোন্টার কথা কইবার চাও.........।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গুরু ফয়েজ ভাই।
শৈশবটাকে আবার চোখের সামনে নিয়ে আসলেন। :boss:
শিষ্য ইসলাম, তুমিও লিখে ফেল। :boss:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অসাধারণ লাগছে ফয়েজ ভাই :boss: :boss: ।
Life is Mad.
কেমন আছ সায়েদ, অনেক দিন কিছু লেখ না তুমি।
কবে আসবে তোমরা দেশে? এই মাসেই তো তাইনা.........
ভাল থেক।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
অফিসে তাড়াহুড়ো করে পড়েছিলাম। এখন বাসায় ফিরে আরেকবার পড়লাম। নতুন করে আবার মুগ্ধ হলাম। দেখলাম অনেক ফাইন ডিটেইলস আগেরবার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো। একবার মনে হলো একটু সম্পাদনাও করেছেন নাকি আসলেও মিস করেছিলাম। জানি না। যাই হোক ফয়েজীয় ভঙ্গিতে সহজ ভাষায় সহজ কথা গুলো দারুন ভাবে লিখার জন্য :boss:
অফটপিকঃ অনেকগুলো চন্দ্রবিন্দু বাদ পড়ে গেছে। এত আলসেমী করলে কি হয়!!!!!
সম্পাদনা করিনি।
ফ্যাক্ট হচ্ছে, ফোন্টিকে চন্দ্রবিন্দু দিতে পারি না, মাউসে দিতে হয়। ঠিকই বলেছ, আলসেমী লাগে।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, অনেক ধন্যবাদ । আমার শৈশব পুরোপুরি ঢাকা কেন্দ্রিক, তাই নিজের সাথে কোন মিল পেলাম না, কিন্তু অনেক গভীরে ছুঁয়ে গেল । প্রেম তো মনে হয় একটা সময় পরে অভ্যাস হয়ে যায় :dreamy: ।
ফয়েজ ভাই আপনার ব্যানচাই এরকম লিখা লেখার জন্য। প্রথম প্রেম মনে হয় কখনো মাথা থেকে নামে না।
আপনার রংপুরের বাড়িটা দেখতে বড়ই ইচ্ছা করছে।