নূপুর কাব্য – ২

(এইনামে একটা সিরিজ কিন্তু চলে ভাইসাব আর বোনসাব, ভুইলেন না মোট্টেও)

১।
কিছু কাজ তো ফেলে রাখা যায় । কিবা এমন জরুরী সেসব ?

এমন কিছু ছিল না শহরের সবকিছু,
মাঝখান দিয়ে একটুখানি রাস্তা, দুধারে দোকানপাট
শহরের শেষ মাথায় স্কুল।
পথ শেষের লালবাড়িটিতে আমরা ক্যালকুলাসের জটিল সব সমাধান করতাম ।
তুই জমিয়ে রাখতি অংক, পরে করবি বলে
আমি জমাতাম চিরকুট, পরে দেব বলে।

অংক করতে তো সাহস লাগে, নাকি?
হবে হয়তো !!

২।
বৃষ্টিটা বোকা নিশ্চয়। জানেইনা ভালো-মন্দ কিছু।
প্যাচ-প্যাচে কাদা, রাস্তায় জমে থাকা,
কিংবা দুকুল উপচানো নদী।

“নদী নস্ট, ক্ষেত নস্ট, আরও নস্ট যখন ফুটপাতের সংসার”

বোকা বৃষ্টিটা যদি জানতো,
আমি নিশ্চিত,
শুধু তোমার আশেপাশেই সর্বক্ষন
তোমার চুল ভেজানো গাল, মিশে যাওয়া কাজল,, শরীর জড়ানো টু-পিস ।

কিংবা,
এসব কিছু নয়।
স্রেফ শুধু
তুমি ভিজবে বলে।

৩।
আজ শুধু বাতাসের গায়ে আকিঁবুকিঁ
সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডে কাচা হলুদের ছোপ
নীল মেশাবো কিছু, দূরের আকাশে লাল।
এখানে সেখানে ইতস্ততঃ বেগুনী, গোলাপী খয়েরি।

অর্থমন্ত্রীর কাছে যদিও আজ একটি কর্মময় দিন।
তিনি ভাববেন, জিডিপি বাড়াবো কিছু।

(তিননম্বুরিতে কিছু-মিছু দুইনম্বরি কাজ-কাম আছে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিলাম আগেই।) 😀

৯১০ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “নূপুর কাব্য – ২”

  1. রাব্বী (৯২-৯৮)

    পরথম! লোকজন কবতে পড়ে না সেই চান্সে পরথম 😀

    এক এবং দুই ভাল পাইলাম। তিন নম্বরটা খটমট লাগছে। সেইটা ব্যাপার না, ব্যাপার হইলো আপনে কবতে ধরছেন ঘটনাটা কিলিয়ার না 😕


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ফয়েজ ভাই কি আবার কোন এমবিএ শুরু করলেন নাকি? এতদিন পরে আবার কবিতা?


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।