একটি অনুভূতি, অনেক উত্তর আর নিজস্ব কিছু কর্তব্য

এটা আসলে সেই অর্থে কোন চিঠি বা মেইল নয়, মুনিম নামের কোন এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ মাত্র। আলোচনার টেবিলে আমরা এই রকম অনুভূতি প্রায়শই প্রকাশ করি। জাগতিক প্রয়োজনে যার অধিকাংশই হারিয়ে যায়। আমরা এরপরে শুধু নিজেকে নিষ্পাপ প্রমান করার চেস্টা চালাই। অশুভ চক্রে বাধা পরে আমাদের চেতনারা, যার উপরে আমরা ডিস্টেম্পার ঘসে ঘসে “প্রয়োজনীয়তার” সংজ্ঞা বদলে ফেলি অনবরত। আমরা বর্ণ বদলাই, আমরা আকার বদলাই।

তবুও চেতনারা টিকে থাকে কারন সবাই আমার মত করে ভাবে না, সবাই বিকিয়ে যায় না জাগতিক প্রয়োজনের কাছে। অর্থ বলুন, ক্ষমতা বলুন এগুলোই হয়ত সবকিছুই নয় এখনো, কিছু মানুষের কাছে। তাই আশা করি, আলো খুঁজি।

কিছু কন্ঠ এক হয়, এক আরেকজন কে তেমন ভালো করে চেনেও না, তবুও এক লক্ষ্যে কাজ করার জন্য একত্রিত হয়। আলো বাড়ে। আলো বেড়ে চলে আস্তে আস্তে। আমরা, একসংগে এগিয়ে চলা কিছু হাত আরো শক্ত করে পরস্পরকে আকঁড়ে ধরি। আমরা আলো খুঁজি, উজ্জল নরম আলো।

সবাইকে আমরা সেই আলোতে আনবো বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।

জালাল ভাইয়ের সাথে দেখা হবার পরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘নতুন’ করে আগ্রহ জন্মালো, ছোটবেলায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব আগ্রহ ছিল, তখন গণহত্যা আর গণধর্ষনের মানে সেভাবে বুঝতাম না, তবে মুক্তিযুদ্ধকে দারুন একটা স্ফুর্তির ব্যাপার বলে মনে হতো। যুদ্ধে আমরা জিতেছি আর ‘ওরা’ হেরে গেছে। একটু বড় হতেই বুঝলাম, মুক্তিযুদ্ধে আমরা জিতেছি বটে, তবে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই আমাদের হেরে যাওয়ার শুরু। হেরে না গেলে বংগবন্ধুর হত্যাকারিরা এত আস্ফালন করে কি করে, গোলাম আযম নাগরিকত্ব পায় কি করে, জামাত আবার রাজনীতি করে কি করে? ২০০১ সালে বিএনপি জামাত নির্বাচনে জিতল, নিজামি মন্ত্রী হয়ে গেল, আমাদের হেরে যাওয়াটা চুড়ান্ত হলো। যে দেশের কখনো নাম শুনিনি, সেই রুয়ান্ডার গণহত্যার বিচার হলো, বসনিয়া গণহত্যার বিচার হয়, আর্মেনিয়ানরা সেই ১৯১৫ সালের গণহত্যার স্মৃতি এখনো সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, প্রতি বছরই হলোকস্ট নিয়ে ছবি হয়, আমাদের কিছুই হয় না, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার হ্য় না, যুদ্ধাপরাধিরা মন্ত্রি হয়ে যায়, তার উপর কোত্থেকে এসে জ়োটে শর্মিলা বোস, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমরা যা জানি সবই নাকি ভুল। এই দীর্ঘ হতাশার কালেও জালাল ভাই তাঁর কাজ বন্ধ রাখেননি, তাঁর বাড়িতে গিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম, স্টাডিরুম আর গ্যারাজ ভর্তি মুক্তিযুদ্ধের বই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লক্ষ লক্ষ বই লেখা হয়েছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তত বই লেখা হয়নি, তবে যা হয়েছে তাও কম নয়। সুসান ব্রাউনমিলারের ধর্ষন বিষয়ক বইটি, যেখানে উল্লেখ আছে, মুক্তিযুদ্ধে শুধু ধর্ষনের কারনে গর্ভবতী নারীর সংখ্যাই ছিল ২৫ হাজার, আর জে রোমেলের জেনোসাইড বিষয়ক বই, যেখানে ১৫ লক্ষ নিহতের জেলাওয়ারি হিসাবই দেয়া আছে, এগুলো তো গালগল্প নয়, পশ্চিমা গবেষকদের তো ঠেকা পরেনি আমাদের হয়ে প্রচারনা করার। আমাদের চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের শৈবালদা, যার পাঁচ পাঁচটি ভাই বোন ভারতে রিফিউজি ক্যাম্পে মারা গেলো, তারাও তো এই গণহত্যারই শিকার। এমন ঘটনাও তো আছে অনেক (এক পর্যায়ে ক্যাম্পগুলোতে কলেরার কারণে দিনে প্রায় ১ হাজার রিফিউজি মারা যাচ্ছিল)। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, সরকারি লাইব্রেরীগুলোর এক কোনে পরে থাকে, সরকারি উদ্যোগে ডিজিটাইজ়ড হওয়া প্রয়োজন, কখনো হয়নি, সম্ভবত হবেও না, করা প্রয়োজন, জালাল ভাই একটা একটা পেইজ স্ক্যান করে ডিজিটাইজ় করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কেউ তো আর লাইব্রেরিতে যায় না, ইন্টারনেট সার্চ করে, মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো যদি এক জায়গাতে থাকে, তবে সেটা বড় একটা অর্জন হবে।

মুনিম

নিজস্ব কিছু কর্তব্য

প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও http://www.wcsf.info/forum/ এবং http://www.wcsf.info/library/ এই দুটো সাইটে কিছু সময় দিন, নিজের “ফেবারিটসে” টুকে রাখুন। প্রচার করুন, সবখানে, আড্ডায়, আলোচনায়, গ্রুপে, ফেসবুকে, মেইলে। এখনো অনেক কাজ বাকী, তাতে কি, শুরু হয়েছে যখন, শেষ একবার হবেই হবে।

“বাংলাদেশের স্বাধীনতা” আপনার কাছে কিছু সময় দাবী করতেই পারে। আপনি যত ব্যস্তই হন না কেন।

২,৭৫৯ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “একটি অনুভূতি, অনেক উত্তর আর নিজস্ব কিছু কর্তব্য”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    😀 😀

    সবাই আসছে, পড়ছে আর একটা করে স্যালুট কিংবা থাম্বস আপ করে দায়িত্ব শেষ করছে। ডজিং আর কাকে বলে?

    আমি আসলে জানতে চাচ্ছি কারা কারা এই কাজ টুকু করবেন বলে ঠিক করেছেন, নিজেদের চেলসি-ম্যান ইউ, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, আবাহনী-গুয়ের পানি, প্রভা-কাটরিনা-জোলী আর মুভি-নাটকের পাশাপাশি এই দুটো ওয়েব-পোর্টালে রেগুলার আসবেন, কিছুটা সময় দিবেন এবং এর প্রচার করবেন।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    রায়হান রশিদ ভাইয়ের একটা কথা আমার খুবই পছন্দ - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে যারা কেবলই ইতিবাচক আবেগ/মানসিকতা পোষণ করেন, তেমন মানুষ তো অনেক আছে। আমাদের এখন দরকার যারা সেই ইতিবাচক আবেগ/মানসিকতাকে কাজে পরিণত করতে আগ্রহী এবং সময় দিতে প্রস্তুত সেই রকম মানুষ।

    ফয়েজ ভাই পোস্ট দিয়েছেন, সেই পোস্টে ফার্স্ট হতে হবে, 'দারুণ কাজ হয়েছে, ভালো কাজ হয়েছে' এই ধরণের মন্তব্য করতে হবে , কমেন্ট ভর্তি প্রশংসা সংগে কয়েকটা স্যালুটের ইমো-
    এই রকম হলে আসলে কোন লাভ নেই। এইগুলি নিয়ম রক্ষার কমেন্ট। এদের কোন অর্থ হয় না।

    আমাদের কাজ দরকার। শুধু অন্যের সাথে সহমত জানালে হবে না, নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে।

    আর যদি সেটা না পারি তাহলে আমাদের কোন অধিকার নেই 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' বলে গলা ফাটানোর।

    আসুন আজকে থেকে শপথ করি, দিনের কিছুটা সময় হলেও আমি এ কাজে দেবো। যে সময়টা ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করে কাটাই, যে সময়টা মেসেঞ্জারে চ্যাট করে কাটাই, যে সময়টা ফোনে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে নষ্ট করি- তার থেকে একটু সময় বের করলেই হবে।

    কিছু মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, আসুন আমরা তাদের সহযোগিযতা করি।

    শুরু করার জন্যে সবচেয়ে সহজ উপায় ফয়েজ ভাই বলে দিয়েছেনঃ

    প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও http://www.wcsf.info/forum/ এবং http://www.wcsf.info/library/ এই দুটো সাইটে কিছু সময় দিন, নিজের “ফেবারিটসে” টুকে রাখুন। প্রচার করুন, সবখানে, আড্ডায়, আলোচনায়, গ্রুপে, ফেসবুকে, মেইলে। এখনো অনেক কাজ বাকী, তাতে কি, শুরু হয়েছে যখন, শেষ একবার হবেই হবে।

    “বাংলাদেশের স্বাধীনতা” আপনার কাছে কিছু সময় দাবী করতেই পারে। আপনি যত ব্যস্তই হন না কেন।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • মিশেল (৯৪-০০)
      ফয়েজ ভাই পোস্ট দিয়েছেন, সেই পোস্টে ফার্স্ট হতে হবে, ‘দারুণ কাজ হয়েছে, ভালো কাজ হয়েছে’ এই ধরণের মন্তব্য করতে হবে , কমেন্ট ভর্তি প্রশংসা সংগে কয়েকটা স্যালুটের ইমো-
      এই রকম হলে আসলে কোন লাভ নেই। এইগুলি নিয়ম রক্ষার কমেন্ট। এদের কোন অর্থ হয় না।

      আমার কেন যেন তা মনে হয় না। প্রশংসা বা শুধু ইমো দেয়াটাও একধরনের একাত্মতা জানানোর মত। মনে কর, এই পোস্ট যারা পড়ল তারা সবাই WCSF-এ জয়েন করলো/কাজ শুরু করলো, কিন্তু এই পোস্টে কেও কোনো কমেন্ট করলো না। ফয়েজ ভাই হয়ত মনে করতেই পারেন সিসিবির ছেলেপেলে এ ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নয়। আচ্ছা উনি না হয় আমাদেরকে চিনেন কিন্তু বাইরের অনেকেই তো সিসিবিতে আসেন। তাদের তো এই ভুল হতেই পারে। মাত্র ২০টা কমেন্ট দেখে আমারই ধারনা হয়েছিল যে ফয়েজ ভাইয়ের এই পোস্টটা বোধহয় তেমন ভালো হয় নাই। তোর কমেন্টের বাকি অংশটুকুর ব্যাপারে পুরাপুরি সহমত। (অন্যভাবে নিস না। আমি জানি '৭১ নিয়ে তুই কতটা ক্রেজি।)

      @ ফয়েজ ভাই, আপনাকে অস্ংখ্য ধন্যবাদ। সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব চেষ্টা করে যাব।

      জবাব দিন
  3. ইনশা আল্লাহ ট্রাই করবো।

    “বাংলাদেশের স্বাধীনতা” আপনার কাছে কিছু সময় দাবী করতেই পারে। আপনি যত ব্যস্তই হন না কেন।

    এই কথাটা বারবার কানে বাজতেছে।

    জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ধন্যবাদ ফয়েজ।

    বাকি সবার জন্য : সিসিবি'র ফয়েজ, মোস্তফা, সেলিনা, মেহেদী, জুনায়েদ, শোয়েব, ওবায়দুল্লাহ, জিহাদ এবং আরো কেউ কেউ আর্কাইভ এবং ই-লাইব্রেরি গড়ে তুলতে বেশ সময় দিচ্ছে। ওদের শ্রমে ইতোমধ্যে আর্কাইভটি একটা চেহারা পেয়েছে। বাকি আমরাও যদি কিছু করে সময় দিই, তাহলে শিগগিরই গর্ব করার মতো একটা বিষয় পাবো। আমাদের পূর্বসূরীরা শ্রম ঘাম আর রক্তে ৩৮ বছর আগে আমাদের জন্য ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা, আমাদের জন্য একটি নতুন পরিচয়- বাংলাদেশ। উত্তরসূরী আমরা একটি কলংকমুক্ত অবিষ্যতের জন্য লড়াই করছি। চলো সবাই কিছুটা করে সময় দিই।

    সবাইকে বিজয়ের অভিনন্দন।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  5. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    রায়হান রশীদ ভাইয়ের বক্তব্যটিই কাজটির প্রতি যেকারো ইনভল্ভমেন্ট কোন লেভেলের হওয়া উচিত তা নির্দেশ করে দেয়। আমরা অন্যরাও জানি, এখন সাথে না থেকে সাথে এসে কাজ করার সময়। সময় গেলে কাজে দেবে শুধুমাত্র এটিই। সবার শপথ হোক, সাধ্যমত চেষ্টা করবো সময় দেবার।

    এবার কিঞ্চিত অফটপিক, সাথে আছি কিংবা দারুণ কাজ হচ্ছে বলে যারা নিজের মত দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে এভাবে 'ডজিং কমেন্ট', 'নিয়ম রক্ষার কমেন্ট', 'অর্থ হয়না কমেন্ট' এভাবে ট্যাগিং করে দেয়াটা কি কিছুটা দৃষ্টিকটু হয়ে যাচ্ছেনা? আমরা সবাই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি এখানে কার্যকরী ভূমিকা রাখার সময়। তাই বলে কি একাত্মতাও জানানো যাবেনা? আমি যদি এখন এসে লিখে দিয়ে যাই, বিভিন্ন কারণে আমার এই প্রজেক্টে সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা, তাহলে কি আমাকেও শুনতে হবে সময় দেয়া সম্ভব না হলে এইখানে কমেন্ট কোরোনা? যিনি বা যারা এভাবে 'ডজিং কমেন্ট' করে যাচ্ছেন, কিছুটা হলেও প্রাণের তাগিদেই করছেন বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই। তাই যদি এধরণের কমেন্ট কেউ না ই চান, তবে পোস্টে উল্লেখ করে ডিস্ক্লেইমার দিয়ে দেয়াই যুক্তি সঙ্গত।

    এই পোস্টে এ ধরণের কথা বলার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। নিতান্তই বেমানান মন্তব্যটি মুছে দিতে পারেন।
    আর হ্যা, ইনশাল্লাহ, প্রজেক্টটিতে কাজ করে অনেক শহীদের আত্মত্যাগের দায় এই দেশের নাগরিক হিসেবে কিছুটা হলেও মেটানোর দায় নিজের কাধে নেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম এই মুহূর্তে।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
    • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

      দৃষ্টিকটু লাগছে? আমার কাছে এটাই সত্যি মনে হয়েছে, তাই বলেছি।

      যিনি বা যারা এভাবে ‘ডজিং কমেন্ট’ করে যাচ্ছেন, কিছুটা হলেও প্রাণের তাগিদেই করছেন বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই।

      তাহলে আমি বলবো আপনি অথবা আমি যে কোন একজন এই পোস্টের উদ্দেশ্য বুঝতে ভুল করেছি।
      আমার কাছে মনে হয়েছে, ফয়েজ ভাই এই পোস্টে এবং পরে মন্তব্যে 'নিয়ম রক্ষার কমেন্ট' নয় বরং সত্যিকারের কাজ করতে আগ্রহী মানুষ চাচ্ছিলেন।


      ---------------------------------------------------------------------------
      বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
      ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

      জবাব দিন
      • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

        নাহ্‌, তুই পোস্টের উদ্দেশ্য বুঝতে ভুল করিসনাই। ঠিকই আছে।

        আমিই বুঝতে ভুল করলাম কিনা এটাও এখানে আলোচনা করে পোস্টের উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যাওয়া অনর্থক আরেকটা কাজই হবে আমার মতে।

        তার চেয়ে বরং আসল সত্যিকারের কাজেই ফোকাসড থাকি।
        ধন্যবাদ।


        সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

        জবাব দিন
        • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

          আরেকটা কথা বলি কাইয়ুম ভাই, কিছু মনে করবেন না।
          মন্তব্য করার পর যদি নিজেরই বলতে হয় 'নিতান্তই বেমানান মন্তব্যটি মুছে দিতে পারেন' তাহলে সেই মন্তব্য করার দরকার কি?
          আর যদি মনে হয় বেমানান হলেও মন্তব্যটার দরকার আছে তাহলে মুছে দিতে বলার দরকার আছে কি?
          দুইটা পরস্পর বিরোধী কাজ। এবং একারনেই আমরা আসল উদ্দেশ্য থেকে মাঝে মাঝে দূরে সরে যাই।


          ---------------------------------------------------------------------------
          বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
          ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

          জবাব দিন
          • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

            হাহাহাহা, পোস্টদাতার উদ্দেশ্য বলতে চেয়েছিলাম, নিতান্তই বেমানান 'মনে হলে' 🙂 যেহেতু লেখার ফাকে সাম হাউ দেয়া হয়নি, তাই 'আরেকটি কথায়' 'কিছু মনে করার' রাস্তা নিজেই রাখতে পারিনি।

            যাহোক, এরকম ব্যাপক পরস্পর বিরোধী কাজ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথায় কথা বাড়েই,তাই আর উদ্দেশ্য থেকে দূরে না সরে কথা আর না বাড়িয়ে একেবারেই অফ গেলাম।
            চিয়ার্স!


            সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

            জবাব দিন
  6. সাব্বির (৯৫-০১)

    সব গুলো কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে,
    এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য ফয়েজ ভাই কে ধন্যবাদ দেওয়া টা আপরাধ হয়ে যাবে।
    এত সমস্যা হলে কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিলেই হয়।
    আমার তো মনে হয় না আমাদের উচিত কমেন্ট বাছাই করে বের করা কে সময় দিচ্ছে আর কে দিচ্ছে না। যে সচেতন সে এই পোষ্ট পড়েই রেজিষ্টার করেছে।
    ফয়েজ ভাই এই বিষয় টি আপনার পোষ্ট পড়েই জানতে পারলাম, আপনি একটা স্যালুট প্রাপ্য। যে যাই মনে করুক।
    আর যা করার আমার নিজের তাগিদেই করব, আমিও চাই যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হোক। আমি আমার অবস্থান থেকে যা করতে পারি অবশ্যই করব।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।