খেরোখাতা – মেঘ ভাঙ্গা রোদ

১।
টানা নয়দিন পরে নেটে আসলাম। ন —য় — দি —-ন। কতকিছু ঘটে গেছে এই এতদিনে। বাংলাদেশের সংগে ভারতের নতুন নতুন চুক্তি হচ্ছে, জুলহাস সমুদ্র সীমানায় যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে যুদ্ধের অপেক্ষা করছে, ফুটবলের ঈশ্বরের কথা ফুটবল আর শুনছে না, তামিমের এক ডিগবাজীতে তার দাম ৫ লাখ বেড়ে গেছে, দুই নেত্রী একই টেবিলে বসে ইফতার করছে, ওবামা বলছে ইংল্যান্ডের কিছু কিছু কাজ তার আর পছন্দ হচ্ছে না ………… আরও———– ক——ত্ত——–কি!

এহসানের বাংলাদেশে আসা অনেক দিনের পুরোনো একটা খবর, সামিয়ার ইফতারীতে না আসায় রায়হান মন খারাপ ছিল খুব, তাও সপ্তাহ গড়িয়েছে।

যে লোকটা মরে গেছে, সে এখন তার পরিবারের কাছে নয়দিনের পুরোনো স্মৃতি। নতুন প্রেমিকের খোজে নেমেছে পুরোনো প্রেমিকারা।

যারা দেশে আসবেন আসবেন করছেন, তাদের অপেক্ষার নয়টি দীর্ঘ দিন কমে গেছে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে। যারা চলে গেছেন, লাস্ট জ্যামে পড়েছিলেন হয়তো নয়দিন আগে।

মেইল বক্সে মেইল জমেছে ৮২ টা, সব গুলোই মোটামুটি মাত্রার গুরুত্বপূর্ণ। সিসিবি তে পোস্ট, তাও প্রায় ৫০ এর উপরে, ওয়াহিদা আপুর নতুন ধারাবাহিক, রফিক ভাই, নতুন মানুষ, রকিং।

২।
ক্লোজ-আপ ওয়ান প্রথম টা খুব আনন্দ নিয়ে দেখেছিলাম। খুব ভালো লাগতো আমার নোলকের গলায় ফোক গান গুলো, আমি যদিও গানের তাল-লয় খুব একটা ভালো বুঝি তা নয়, তবে নোলকের গলার মাঝে দরদ অনুভব করতাম। গায়কী কন্ঠ বলতে যা বুঝায় তা হয়তো রাজীবের অনেক বেশি ছিল, রাজীব প্রথম না হতে পারাতে আমি হতাশই ছিলাম বলা যায়, আমার কাছে রাজীবকে অনেক বেশি পরিশীলিত ছিল মনে হয়েছে, কিন্তু গান হিসাবে নোলকের ফোক বেশি ভালো লাগতো।

নোলকের গলাতেই প্রথম শুনি “মেঘ ভাঙ্গা রোদ” গানটা, অনেকটা অনুচ্চ কন্ঠে ফিসফিসানীর মত করে গাওয়া গানটা ঘুরছে কয়েকদিন থেকে মাথায়।

আমি ঠিক জানি না, নোলকের এই গানটা বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি কেন। জনপ্রিয়তা পাওয়ার মত একটা গান এটা।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

৩।
ছোট্ট বেলায় আমার দুটি অদ্ভুত রকমের অসুক ছিল। সন্ধ্যা নামলেই আমার গলার স্বর চিকন হয়ে যেত। হাজার চেষ্টা করেও আমি স্বাভাবিক গলায় কথা বলতে পারতাম না। প্রথম প্রথম বাবা-মা ভেবেছিলেন এটা আমার নতুন দুষ্টুমি। কিন্তু পরে, এটা যে আমার একটা অসুক তা বুঝে উঠার পর তারা হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছিলেন। অনেক ডাক্তার, পানি পড়া খাওয়ানোর পরও এই অসুক ভালো হয় নি। শুধু একজন বলেছিলেন এটা সাইকোলজিক্যাল সমস্যা হতে পারে, আমি অন্ধকারকে ভয় পাই খুব, আর তাই অন্ধকার হয়ে গেলে চুপিচুপি কথা বলা শুরু করি, স্বর নেমে যায়। সত্য মিথ্যা জানি না, তবে অসুকটা ভালো হয়ে গিয়েছিল একটু বড় হয়ে যাবার পর পরই।

আরেকটা অসুক ছিল কান ব্যাথা। মাসে একবার আমার যেকোন একটা কান প্রচন্ড ব্যাথা করবেই করবে। আমি সারারাত ছটফট করতাম, আমার মা পরিস্কার ন্যাকড়ায় লবন বেঁধে হারিকেনের আঁচে গরম করে কানে সেঁক দিতেন, বাবা অস্থির পায়চারী করতেন বারান্দায়। আর একটু পর পর এসে জানতে চাইতেন ব্যাথা কমেছে কিনা, মা বাবা কে ডেকে কানের ভিতরটা দেখতে বলতেন, সাদা সাদা কি যেন দেখা যায় ভিতরে, বাবা মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলতেন “আরে এটা তো পর্দাটা, অন্য কিছু নেই”।

বাবা মার অস্থির উদ্বেগ, সেই বাচ্চা বয়সেও আমি বেশ টের পেতাম।

জিহানের জন্য আমরা প্রথম রাত জাগি ২০০৫ এর শীতের কোন সময়। জিহানের বয়স একবছর ছুঁই ছুঁই তখন, আমি প্রচন্ড ব্যস্ত থাকতাম অফিসের কাজে, চিটাগাং এ বঊ-বাচ্চাকে এনেছি বেশিদিন হয়নি, চাঁদ্গাও ভাড়া বাসা। আমার অফিস, কিছু বিটিএস রুম আর বহদ্দারহাট বাজার ছাড়া তেমন কিছুই চিনি না তখন। এক শুক্রবার প্রচন্ড বমি শুরু হল জিহানের, সকাল থেকে শুরু। বিকাল চারটার মধ্যে নিস্তেজ হয়ে গেল সে। কি করব, কই যাব কিছুই জানি না, একে, তাকে ফোন করে এক চাইল্ড স্পেশালিস্টের কাছে যখন নিয়ে যাই জিহানকে, তখন মেয়ে আমার চোখটাও খুলে রাখতে পারছে না। অবস্থা দেখে ডাক্তার তাড়াতাড়ি ক্লিনিকে ভর্তি করে দিতে বললেন, ক্লিনিকের ডাক্তার মাথার চুল কেটে বাটারফ্লাই নিডল ঢুকিয়ে দিল মাথায়, ছোট্ট হাতদুটো বেধে দিল ব্যান্ডেজ দিয়ে যাতে স্যালাইনের নল টেনে খুলে না ফেলতে পারে। আমি আর শারমিন পালাক্রমে পাহাড়া দিলাম আমাদের মেয়েকে সারারাত। পরদিন সকাল বেলা সুস্থ হল সে মোটামুটি, হেটে বেড়াতে চাইলো। সে হেটে বেড়ায় সারা ক্লিনিক, আমরা পালাক্রমে ওর পিছে পিছে স্যালাইনের ডান্ডা নিয়ে হাটি।

অনেকদিন পড়ে আবার জিহানের জন্য রাত জাগতে হল গত সোমবারে। ফ্লু। প্রথমে আমার হয়েছিল, সোয়াইন না এটা বুঝতে পারছিলাম, কারন এজমা থাকার পরেও আমার শ্বাসকস্ট হচ্ছিল না। আমাকে কাবু করতে না পেরে গিয়ে ধরলো আমার মেয়েকে। বিকাল পাচটায় টেম্পারেচার মেপে পাওয়া গেল ১০৪ ডিগ্রী। শুরু হল চিকিৎসা। সারা রাত ধরে পালাক্রমে আমরা ওর গা স্পঞ্জ করে দিলাম, ওষুধ দিলাম, রাত একটার দিকে জ্বর বেড়ে গেল প্রায় পাচের কাছাকাছি, সাপোজিটরি দেয়া হল, সারারাত মেয়েটা আমার কস্ট পেয়ে, ঘোরের মধ্যে কথা বলে গেল। সকাল সাড়ে পাচটার দিকে জ্বর নেমে যেতে শুরু করলো তার।

আমি নিশ্চিন্ত জানি, আমার মেয়ে যখন বড় হবে, বিয়ে হবে ওর, বাবু হবে, ওর বাবুটার যখন অসুক হবে, রাত জেগে জেগে পাহাড়া দিতে হবে ওকেও। কারন এটাই নিয়ম।

৪।
অসামাজিকতায় পেয়ে বসেছে আমাকে। অবশ্য কাছের লোকজন শুনলে হাসবে “ তুই আবার সামাজিক ছিলি কবে” জানতে চাইবে।

তবুও, সবকিছুর একটা মাত্রা থাকে, আমার অসামাজিকতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আই ই বি ইফতারে যাইনি, যাইনি খুয়েটের ইফতার পার্টিতে। রকার ইফতার, সিসিবি কোনটাই না, এমনকি চিটাগাং এ হয়ে গেল আই ইউ বির ইফতার পার্টি, যাওয়া হয়নি সেখানেও।

আমি অনুভব করি, আমার যাওয়া উচিৎ, নিজের জন্য হলেও, নিজেকে জড়িয়ে রাখা দরকার সমাজিক বন্ধনের মাঝে।

আবার এও ভাবি, থাক কি দরকার, আমি না যাওয়াতে খুব বেশি লোকের তো খুব বেশি কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

৬,৯৩৬ বার দেখা হয়েছে

১২১ টি মন্তব্য : “খেরোখাতা – মেঘ ভাঙ্গা রোদ”

  1. রাশেদ (৯৯-০৫)

    ১।
    ব্লগ জগতটা বড় বেশী গতিশীল

    ২।
    নোলককে কেন জানি আমার কখনই খুব বেশি ভাল লাগে নাই
    ৩।
    আপনি পুরাপুরি ঠিক আছেন তো? জিহানের শরীর কি সম্পূর্ণ সুস্থ?

    ৪।
    ফয়েজ ভাই প্রতিবার সিসিবির কিছু একটা হইলে ভাবি আপনার সাথে দেখা হবে কিন্তু প্রতিবারই 🙁


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  2. ১. নয়দিন আসলেই অনেক সময়।
    ২. প্রথম ক্লোজআপ ওয়ান ছাড়া একটা রেও ভালা পাই না।
    ৩. ভাতিজি এখন কেমন আছে? পিচ্চিটার জন্য শুভ কামনা।
    ৪.

    আবার এও ভাবি, থাক কি দরকার, আমি না যাওয়াতে খুব বেশি লোকের তো খুব বেশি কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

    এইটা ঠিক না ভাই, একদমই ঠিক না।

    জবাব দিন
  3. ১| নয়দিনে আপনি হয়ত নেটের বাইরে ছিলেন, কিন্তু সবাই ভিতরে ছিল। গতিশীল পৃথিবী কারও জন্যই থেমে থাকে না 🙁 কত কী যে হয়া গেলো! আমিও ছিলাম ৪ দিন নেটের বাইরে...

    ২| ক্লোজ আপ ওয়ান এর মতন শত শত জিনিস আছে এখন। খুব বিরক্ত লাগে। পিচ্চি বাচ্চা a b c d চেনার আগেই তার গান আর নাচের টিচার আছে কারণ তাকে কম্পিটিশনে পাঠানোর প্ল্যান করেছেন বাবা-মা।

    ৩| বাবা-কন্যা সকলে কি সুস্থ হয়েছেন? আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

    ৪| আপনার সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছা হয় ভাই। কিন্তু উপায় কীভাবে হওয়া সম্ভব জানিনা....... 🙁
    সত্যি কথা কি, আমারও মাঝে মাঝে মনে হয়। আমি না থাকলে তো কারো ক্ষতি হচ্ছে না! 😛

    কিন্তু আপনার না থাকাটা সবাই টের পায়

    জবাব দিন
  4. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    অনেক দিন পরে বস .........
    আশা করি বাপ মেয়ে দুজনই ভালো আছেন এখন ......

    আমি অনুভব করি, আমার যাওয়া উচিৎ, নিজের জন্য হলেও, নিজেকে জড়িয়ে রাখা দরকার সমাজিক বন্ধনের মাঝে।

    আবার এও ভাবি, থাক কি দরকার, আমি না যাওয়াতে খুব বেশি লোকের তো খুব বেশি কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

    এক সময় আমারও মনে হতো ...... এখন খারাপ লাগে ... মনে হয়, এই কয়েক বছর যদি আরেকটু বেশী আড্ডা দিতে পারতাম ......

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      আমি আসলে সেই অর্থে আড্ডাবাজ নই, তবে আড্ডায় যেতে ভালো লাগে, সবাই চিল্লাচিল্লি করে, হাতি ঘোড়া মারে, মজাই লাগে।

      তবে এটা একটা ডিপ্রেসান বলতে পার, কেটে যাওয়া উচিৎ ছিল অনেক আগেই, এখনো কাটেনি এটাই চিন্তার ব্যাপার 🙂


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  5. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    জিহানের জন্য আদর। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠো মামনি। প্রথমে তোমার অসুস্থতা এবং পরে সুস্থতার খবর পেয়ে ভালো লাগলো।

    এতোটা অসামাজিক হয়ো না। সামাজিকতা-বন্ধুত্ব-গল্প-আড্ডা রীতিমতো টনিকের কাজ দেয়। মন ও শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। ভালো থেকো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  6. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    জিহানের জন্য আদর।
    নয়দিন পর আসলে তাইতো তো বলি এতোদিন কোথায় ছিলে? এখান ভালো আছ জেনে ভালো লাগলো।
    তুমি এতোগুলা ইফতার পার্টি মিস করলে? অবশ্য অসুস্ততা থাকলে কি করা।
    তোমার একটা লেখা পড়েছিলাম - ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী। খুব ভালো লেগেছিলো। এতো ভালো লিখ, এতো সাবলীলতা এবার একটা ঈদ স্পেশাল নামিয়ে দাও।
    শারমীন আর জিহানকে শুভেচ্ছে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      😛

      আসলে ইফতার পার্টি মিস হওয়ার পিছনে অসূস্থতা একটা কারন হতে পারে, তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারন নয় এটা। আমি আসলে গুটিয়ে গিয়েছি।

      ত্রিভূজ প্রেম কাহিনী ভালো লেগেছে জন্য ধন্যবাদ, যদিও লেখাটায় অনেক অপূর্ণতা আছে, প্রেমিকের ব্যাথাটা তুলতে পারিনি। এটাকে আরও সমৃদ্ধ করা যেত।

      আপনি ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতির ২ এবং ৩ টা পড়ে দেখতে পারেন, আশাকরি আপনার আপনার ভালো লাগবে, ছোট বেলার অনুভূতি নিয়ে লেখা। 🙂


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  7. দিহান আহসান

    আপনারে কল দিসিলাম, মোবাইল বন্ধ ছিলো,
    খালামনি'র জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর আদর।

    অনেকদিন পর ভাইয়া, ব্যস্ততা কমেছে একটু?

    আবার এও ভাবি, থাক কি দরকার, আমি না যাওয়াতে খুব বেশি লোকের তো খুব বেশি কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

    লাভ- ক্ষতি হিসেব করতে বসিনি ভাইয়া, তবে আপনাকে আমরা সবাই খুব মিস করেছি। ভালো থাকবেন অনেক। 😀

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      মোবাইল বন্ধ ছিল না দিহান, আমি আসলে তারাবীহ পড়তে গিয়েছিলাম, এসে দেখি তোমার ফোন।

      ফোন করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।

      ভালো বলেছো, লাভ-ক্ষতি হিসাব করার দরকার নেই। কিছু সম্পর্ক থাকলো পুঁজি বাজারের বাইরে।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  8. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    দেখেন তো কান্ড! আপনারে প্রায় ভুইলাই গেছিলাম। 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  9. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    খেরোখাতা রকস... :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    পিচ্চিকে আদর... আর আপনার এই নয়দিনের কাযা হিসেবে তাড়াতাড়ি কিছু লেখা দিয়ে দেন


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  10. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    পিচ্চিটার জন্য মায়া লাগছে খুব।
    আপনার কি ভাইয়া কোন ডাউট আছে যে আপনাকে অনেকে মিস করে? আমি নিজে অনেকদিন লেখা দেইনি তখন আপনিও দেননি। তখন আমি ঠিক করেছিলাম আপনি লেখা দিলে তারপর দিব, পরে অবশ্য ৩ দিন পার হয়ে গেছিল আপনার লেখা দেওয়ার।
    ভাল থেকেন ভাইয়া...

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    অ-নে-ক-দি-ন পর আসলেন ফয়েজ ভাই। 🙂

    আশা করি এবং দোয়া করি জিহান খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।

    ক্লোজ-আপ ওয়ানের প্রথম পর্বটা আমরা কয়েকজন বন্ধু হলে খুব মজা করে দেখেছিলাম। আমার পছন্দের ছিল রাজিব-সোনিয়া। এর পরের বার আগ্রহ কমে যায়, তারপরও কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। ওটাতে আমার প্রিয় ছিল মাহিন- ও বেচারাও প্রথম হতে পারেনি। এরপরের বার থেকে দেখা ছেড়ে দিয়েছি, আর এখন তো টিভিই খুব কম দেখি।

    খেরোখাতা পাথরায়ে দিয়ে গেল। আশা করি এখন থেকে আবার নিয়মিত দেখা যাবে আপনাকে। 🙂

    জবাব দিন
  12. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ছোট্ট জিহানের জন্য অনেক অনেক আদর। দোয়া করছি আম্মুটা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
    শারমিন ভাবীকে সালাম।
    আর ইয়ে মানে, ফয়েজ সাহেবটা জানি কিডা? :grr:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  13. তাইফুর (৯২-৯৮)

    ১ এর এই অংশ ...

    যে লোকটা মরে গেছে, সে এখন তার পরিবারের কাছে নয়দিনের পুরোনো স্মৃতি। নতুন প্রেমিকের খোজে নেমেছে পুরোনো প্রেমিকারা।

    যারা দেশে আসবেন আসবেন করছেন, তাদের অপেক্ষার নয়টি দীর্ঘ দিন কমে গেছে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে। যারা চলে গেছেন, লাস্ট জ্যামে পড়েছিলেন হয়তো নয়দিন আগে।

    ৪ এর পুরোটা ...

    ৩ এর বাবা ... ছেলে ... নাতনী ...


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  14. তাইফুর (৯২-৯৮)

    ফয়েজ ভাই,
    দিহান আর জিহাদ দুই জনরেই ঈদ উপহার পাঠায়া দিয়েন ... :grr: :grr:
    (কন তো ক্যান ?? 😀 )


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  15. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    আরে বিয়াপার না...আমার যে কত্ত নয়দিন গায়েব হইয়া যায়...

    ক্লোজ-আপ ওয়ানের সময় কঙ্গো ছিলাম। শুরুটা দেখে যেতে পারলেও শেষটা দেখে যেতে পারিনি। ছুটিতে এসে তাই প্রতিটি পর্বের সিডি কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। মেঘ ভাঙ্গা রোদ গান টা আমকেও স্পর্শ করেছিল। নোলক আর রাজিবের ব্যাপারে আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে ১০০% সহমত।

    জ়িহানের জন্য কষ্ট পেলাম। আশা করি একদম তরতাজা হয়ে উঠুক আবার মেয়েটা...।

    আপনাকে একটু না পুরা অসামাজিকতায় ই পেয়েছে...। বেশী স্বার্থপর হয়ে নিজের ভালো লাগাটা চিন্তা না করে অন্যদেরকে ভালো লাগানোর ব্যাপারে একটু মাথা ঘামান। আপনার উপস্থিতি অনেককেই হয়তো আনন্দ দেবে... ব্যাপারটা একটু খিয়াল রাইখেন...

    ভাবী কে সালাম।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।