লাইফ বিগিংন্স @ থার্টি ফাইভ

(সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরনঃ ১। এটা পুরুষ জাতির পোষ্ট। নারী জাতি নিজেদের সংগে মিলাতে পারেন, তবে নিজ দায়িত্বে।
২। যারা “কোয়ালিটি পোষ্ট চাই” বলে অনবরত টেবিল চাপড়াচ্ছেন, তাদের পোষ্টে ঢুকতে নিরুৎসাহিত করছি 😀 )

১।
আমি তখন ঢাকায়, গুলশানে-১ নম্বরে অফিস, বনানীতে বোনের বাসায় থাকি, গায়ে মোটামুটি টাইপের হাওয়া লাগিয়ে ঘুরি। আর বনানী গুলশান মানেই তো, মাশ-আল্লাহ, পুরাই সেই রকম জায়গা। আর সব পয়সাওয়ালা লোকের ঝুনঝুনানি। বনানী মসজিদ কেন্দ্রীক ফকিরদের একটা গ্রুপ ছিল, এরা প্রতি রমজানের শেষে ঈদের আগে আগে গাড়ি রিজার্ভ করে দেশের বাড়িতে বেড়াতে যেত। এটা অবশ্য আমি শুনেছি, কারন ঈদের চার-পাচদিন আগেই আমি রংপুর চলে যেতাম। তবে গুলশানের আজাদ মসজিদের জুম্মার নামাজের খুতবায় ঈমাম সাহেব জাকাত প্রদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে একবার মজা করে বলেছিলেন “গুলশানের পয়সাওয়ালারা জাকাত দিতে চায় না, কারন তাদের ব্যাংকে প্রচুর লোন আছে, আর এলাকার মিসকিনরা, যারা আমার কাছে তাদের আয় আমানত হিসাবে রেখেছেন, তাদের যাকাত ফরজ হয়ে গেলে তারা বলেন, আমি তো মিসকিন, আমি কিভাবে যাকাত দেই” ”।

যাক, যা বলছিলাম, গুলশানে চেম্বার আছে এমন এক খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ কথায় কথায় একবার আলোচনা করছিলেন, “লাইফ বিগিংন্স এট ফিফটি সেভেন””। তিনি এটা ব্যাখ্যাও করলেন, আমি শুনলাম দূর থেকে, কিন্তু আমার কারন গুলো পছন্দ হলো না। কারন আমার বয়স তখন মাত্র ২৫, যা কিনা ৫৭ থেকে অনেকটাই দূরে।

২।
আমার বাবার একটা অদ্ভুত দর্শন ছিল। ইন্টারের পরে ইউনিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত তিনি কঠোর ভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রন করতেন। তিনি যা বলবেন তাই আইন। আমার এক ভাই মেরিনে চাকুরী পেল, বাবা যেতে দিলেন না, কারন তার ডাইরীতে তিনি লিখে রেখেছেন সেই ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হবে। চিকেন পক্স নিয়ে ভাইয়া বুয়েটে পরীক্ষা দিলেন এবং ফেল মারলেন। বাবা তাকে জেদ করে ভর্তি করালেন রাজশাহী বি আই টি তে। তবু মেরিনে যেতে দিলেন না। এক ভাইকে হতেই হবে উকিল, আইন পড়তে চাচ্ছিলেন না জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেব হ্যান-ত্যান করে তাকে আইন পড়তে বাধ্য করলেন।

আবার এই বাবাই, ইউনিতে ভর্তি হয়ে যাবার পর আর কিছু বলতেন না। বরং বলতেন এখন তুমি সিদ্ধান্ত নেবে কি করবে। আগে যেখানে সান্ধ্য আইন (সন্ধ্যা লাগলেই বাসায়), ইউনিতে পড়লে রাত করে ফিরলেও কিছু বলতেন না। উলটো যেচে কোন ভাই পরামর্শের জন্য গেলে বাবা হয়তো কিছু একটা বলতেন, অনেকের মত করে বলা, কিন্তু চাপিয়ে দিতেন না কিছুই। এমনি কি হালকা পাতলা প্রেম করলেও তেমন একটা পাত্তা দিতেন না, ছ্যাকা দেয়া আর খাওয়া তো জীবনের একটা অংশ মাত্র।

আমার সে সময় মনে হত জীবনের শুরুটা আসলে ইউনিতে ভর্তির পরেই শুরু হয়। মাস্তির আসল সময়। রং, রূপ আর ঘ্রান। হলে থাকবো, ইচ্ছেমত পড়বো, ইচ্ছেমত ঘুরবো। আর দেশ নিয়ে চিন্তা করবো, দেশের নেতারা সব বিখাউজ হয়ে গেছে, সংসদে চায়ের আড্ডা ছাড়া আর কিছু হয় না। আমার দেশ, আমাকেই বানাতে হবে। কত চিন্তা, কত প্ল্যান।

“আমরা যদি না জাগি মা, কেমন সকাল হবে”

আর ছিল জুহির চওড়া মুখের হাসি। আহারে মরি মরি। আমির খান নিজের পেটে চাক্কু চালায় মরে গেল, দিব্যা ভারতীর সুইসাইড। সুন্দর সুন্দর মেয়েগুলো কেন যে এভাবে মরে-টরে যায়?

বলা চলে অধীর আগ্রহ নিয়েই বসে ছিলাম ইউনির জীবনের জন্য, সেক্ষেত্রে জীবনের শুরুটাই আসলে আঠারোতে। লাইফ বিগিংন্স @ এইটট্টিন।

৩।
২৫ বছরের দিকে কর্ম-জীবন শুরু হয় আমার। তখন একজন গার্ডিয়ান আমাকে বলেছিলেন, জীবনের আসল খেলা আসলে শুরু হল এখন। এর আগের গুলো সবই প্রিপারেশন। আরও স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে শুরু হবে ৩৫ থেকে।
অধিকাংশের কর্ম-জীবনের শুরুটাই হয় বড় এবড়ো খেবড়ো ভাবে, আমাদের মত তৃতীয়-বিশ্বের দেশে তো অবশ্যই। ছাত্রজীবনের বর্নিল স্বপ্নের সংগে কঠোর বাস্তবতা, বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বিয়ে করা, বাবা হওয়া, সামাজিক দায়িত্ব আর কর্পোরেট ব্যস্ততা, সব মিলিয়ে এক এলাহী ব্যাপার।

এটাকে ইচ্ছা করলে অবশ্য এড়িয়ে যাওয়া যায়, অনেকেই হয়ত তাই করেন। তবে সমস্যা কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াতে একটা আনন্দ আছে বৈকি।

সবচেয়ে বড় সাফল্য গুলিকে দুটি ভাবে ভাগ করা যায়, একটা পারিবারিক, অন্যটা পারিপার্শ্বিক। ব্যক্তিগত জীবনে দুটোরই প্রভাব। অনেকে সামাজিক প্রতিপত্তিতে মজে গিয়ে ভুলে যায় পারিবারিক দায়িত্বের কথা, বউ অসুখী, ছেলে বিপথে, মেয়ে বিপথগামী, যদিও সমাজে সে ভালই প্রতিষ্ঠিত। আরেকটা বড় শ্রেনী, যারা পারিবারিক ভাবে দারুন সুখী, কিন্তু দারুন ভাবে ব্যর্থ তিনি সমাজে, কেউ তাকে চিনেই না। তার মাঝের প্রতিভা তার মাঝেই থেকে যায়, আলোর মুখ দেখেনা।

কোন বছরে বিয়ে করবো, তাও হিসেব করা দরকার। আমি যদি ৩৫ পেরিয়ে বিয়ে করে ৫৫ তে মারা যাই, প্রথম সন্তানের বয়স তখন হবে ১৮ বা ১৯। বড় বিপদেই পড়ে যাবার কথা তাদের সেই সময়। তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলা তাই এক অর্থে ভাল, সন্তানের প্রতিকূল সময়টাতে সে বাবাকে কাছে পায়। অনেকে সবকিছু গুছিয়ে বিয়ে করতে চায়, যাতে বউ এসেই একটা সাজানো সংসার পায়। এটার সমস্যা হচ্ছে, বউয়ের মায়া কমে যেতে পারে সংসারে, কারন সব কিছুই সে বিনা পরিশ্রমে পেয়েছে। বরং সংসার গুছানোতে তারও শ্রম মিশে থাকলে মায়া বেড়ে যাবে। যুক্তি তাই বলে।

৪।
৫৭ পেরিয়ে যাওয়াদেরও দর্শন আছে। তবে আমার মনে হয়েছে এটা শুধু মাত্র বিত্তবানদের জন্যই তৈরী হয়েছে। এদের দর্শন খুব সিম্পল, কারন তারা সমাজ এবং পরিবারে তাদের গুরুত্ব হারানো শুরু করে এই সময়টাতে। ছেলে মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, প্রায় সবাই সেটেল্ড করে দেশের বাইরে। ফাদার্স এবং মাদার্স ডে ছাড়া তারা তেমন সময় দেয় না বাবা মা দের। হঠাৎ করেই প্রচন্ড পরিশ্রমী এই মানুষ গুলো ভীষন রকমের একা হয়ে পড়ে। একাকীত্ব গ্রাস করে তাদের। এই একাকীত্ব জয় করে নেয়াই তখন তাদের কাছ জীবন শুরুর গল্প। এমনও শুনেছি তারা বলছেন, “হয়ত আমি মরে গন্ধ না বেরুনো পর্যন্ত কেউ বুঝবেই না, আমি মরে গেছি”। আমার চোখে ভাসে গড-ফাদার ছবির মাইকেলের মৃত্যুর দৃশ্যটা। শুধু মাত্র একটা কুকুর ছাড়া কেউ নেই তার পাশে।

এরকম হতে পারে, তাই তাদের দর্শনটাও সঠিক মনে হয় ঈদানীং।

৫।
কথায় কথায় একদিন শারমীনের কাছে জানতে চাইছিলাম, “বলিউডের হট নায়িকা গুলি সব ম্যারিড লোকজনের পিছে কেন লাগে? অন্যের স্বামীরে খেদায় আনে কেনো নিজের কাছে”

হতে পারে ম্যাচুউরিটির জন্য। মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি বাস্তববাদী হতে শেখে। গজনীর আমির খানের সংগে কেয়ামত সে কেয়ামত তকের আমির খানের তুলনা করা যেতে পারে, এরপর যদি পছন্দ করতে বলা হয় বডিগার্ড হিসেবে যে কোন একজনকে, তাহলেই বুঝা যাবে ৩৫ পেরুনোদের পিছনে কেন তারা লাগে। কারন আবেগ দিয়ে হয়ত ভালোবাসাবাসি আর কান্নাকাটি করা যায়, কিন্তু দিনের শেষে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ই খুজে নেয়, বিশ্রামের জন্য।

ক্যারিয়ার দিয়ে ভাবলেও এটা ঠিকাছে। মোটামুটি সবাই একটা রাস্তা তৈরী করে ফেলে এই সময়ের মাঝেই। জীবনের একটা অর্থবহ মানে হয়ত খুঁজে পায় সবাই, নতুন করে আর খুঁজতে হয় না। এর পরে শুধুই সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠার পালা।

কি জানি, হবে হয়তো, তবে আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে, লাইফ বিগিংন্স @ থার্টি ফাইভ।

৬,৭৭৭ বার দেখা হয়েছে

১২১ টি মন্তব্য : “লাইফ বিগিংন্স @ থার্টি ফাইভ”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    ফয়েজ ভাই, বুড়া হয়ে গেছেন তো, এখন এসব কথাই বলবেন। :grr: :grr:
    অবশ্য আমি যখন ৩৫ হব (নাও হইতে পারি, চিরতরুণ থাকার একটা ইচ্ছা এখনও আছে 😀 ) তখন অবশ্য আপনার মত করে বলতে পারি।

    জবাব দিন
  2. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    দুপুরে জম্পেস লাঞ্চ করে ডেজার্ট হিসেবে ফয়েজ ভাইয়ের পোস্ট ......
    😀 😀 😀
    ব্যক্তিগতভাবে, এখনো বুঝতে পারতেসিনা লাইফ শুরু হইসে কিনা, তবে জীবনটা মোটামুটি ভালোই লাগতেসে ......

    জবাব দিন
  3. মাহফুজ (৯২-৯৮)

    সাম্প্রতিক কর্মজীবনে কিছু কারণে খুব ভেঙে পড়েছিলাম, ভাবছিলাম ত্রিশ হয়ে গেল এখনো ঠিকমত গুছিয়ে উঠতে পারলাম না। আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগল, অন্ততঃ এখনো পাঁচ বছর সময় আছে...ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।

    জবাব দিন
  4. তাইফুর (৯২-৯৮)
    আমির খান নিজের পেটে চাক্কু চালায় মরে গেল, দিব্যা ভারতীর সুইসাইড। সুন্দর সুন্দর মেয়েগুলো কেন যে এভাবে মরে-টরে যায়?

    বস, আমির খান'কে আপনার সুন্দর মাইয়া মনে হইল ?? 😮

    :khekz: :khekz: :khekz:


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  5. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    অনেকে সবকিছু গুছিয়ে বিয়ে করতে চায়, যাতে বউ এসেই একটা সাজানো সংসার পায়। এটার সমস্যা হচ্ছে, বউয়ের মায়া কমে যেতে পারে সংসারে, কারন সব কিছুই সে বিনা পরিশ্রমে পেয়েছে। বরং সংসার গুছানোতে তারও শ্রম মিশে থাকলে মায়া বেড়ে যাবে। যুক্তি তাই বলে।

    তানভীর তোর জন্য কইছে ফয়েজ ভাই। 😉

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ফয়েজ ভাই পুরা পাথরায় :hatsoff: :hatsoff:

    আহ... এখনো দেখি অনেক সময় হাতে আছে... ভাল কইরা ওয়ার্ম আপ কইরা নেই 😀


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    শুরু যখন হবার তখন এমনি এমনিই হবে এত চিন্তা কইরা কি লাভ ফয়েজ ভাই। চিন্তা করতাছেন মানেই তো বয়স হয়ে যাইতাছে। তার চেয়ে কত দরকারী চিন্তা আছে আমি এখন সিসিবি ফুটবল টিম বানাইতাছি আপনি হেল্প করেন। গোলকিপারে রিবিন ভিই নাকি শার্লী। সিনিয়র হিসেবে রিবিন ভিই তো অগ্রাধিকার নাকি বলেন।

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      পোষ্টে তো এই মতবাদও কাভার করছি দেখ নাই, ;))

      এটাকে ইচ্ছা করলে অবশ্য এড়িয়ে যাওয়া যায়, অনেকেই হয়ত তাই করেন। তবে সমস্যা কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াতে একটা আনন্দ আছে বৈকি।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  8. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    সত্যজিতের কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিটার কথা খুব মনে হচ্ছে। মধ্যবয়স্ক হবু বর মেয়েটিকে এরকম কিছু একটা বলেছিল- দার্জিলিং এর এই পাহাড় আর মেঘের মধ্যে থেকে তোমার কাছে হয়ত রোমান্সটা বড় হয়ে উঠেছে; কিন্তু কোলকাতায় গিয়ে যখন আবার ব্যস্ত জীবনে প্রবেশ করবে তখন যদি মনে হয় রোমান্সের চেয়ে সিকিউরিটিটাই বড় তাহলে আমাকে মনে করো।

    জবাব দিন
  9. দিহান আহসান
    যারা “কোয়ালিটি পোষ্ট চাই” বলে অনবরত টেবিল চাপড়াচ্ছেন, তাদের পোষ্টে ঢুকতে নিরুৎসাহিত করছি 😀 )

    :khekz:

    অনেকে সবকিছু গুছিয়ে বিয়ে করতে চায়, যাতে বউ এসেই একটা সাজানো সংসার পায়। এটার সমস্যা হচ্ছে, বউয়ের মায়া কমে যেতে পারে সংসারে, কারন সব কিছুই সে বিনা পরিশ্রমে পেয়েছে। বরং সংসার গুছানোতে তারও শ্রম মিশে থাকলে মায়া বেড়ে যাবে। যুক্তি তাই বলে।

    আসলেই কি তাই বলে? আমি অবশ্য গুছানোতে ব্যস্ত এখনও... 🙂
    ভাইয়া, যদিও বলে দিয়েছেন, পুরুষ জাতির পোষ্ট, নিজ দায়িত্বে পড়ার পর মন্তব্য করার লোভ সাম্লাতে পারলাম না। আফটার অল আমাদের ফয়েজ ভাইয়ার পোষ্ট বলে কথা। ;;;
    আবারো :boss:

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      ভাবী সাব, নারী জাতিরে ডুকতে নিষেধ করছি কারন তাদের জীবন কোন বয়সে শুরু হয় আমার জানা নাই, তবে শুনেছি মায়ের বয়স ২২ আর মেয়ের ১৮ এই রেকর্ডও নাকি আছে তাদের 😀

      তাই আর রিস্ক নেই নাই, বাবা তোমাদের হিসাব তোমারাই মিলাও।

      আমি অবশ্য গুছানোতে ব্যস্ত এখনও

      সব মেয়ে যদি তোমার মত হত তাহলে কি আর তানভীরের মত ছেলেদের কান্নাকাটি করে চির-তরুনের শপথ নিতে হয় বল 🙂


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  10. ফয়েজ ভাই, লেখাটা পইড়া তো এখনই লাইফ বিগিন করতে ইচ্ছা হইতাছে।৩৫ অনেক দূরের পথ।
    "তবে সমস্যা কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াতে একটা আনন্দ আছে বৈকি।"
    চ্যালেঞ্জ নিলে আগেই নেয়া ভাল

    জবাব দিন
  11. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    লাইফের আসলে কোন থিউরী নাই । যার যেমনে কাজে দেয়, কারো ২০তে শুরু করলে হয় কারো হয়ত ৩৫ এ । এত চিন্তার কিছু নাই, আর বেশি দূরের কথা চিন্তা করারো কোন মানে নাই । জীবনটা অনেক ছোট, তাই ছোট ছোট আশা করে নিকট ভবিষ্যতের কথা আমি ভাবি । ফয়েজ ভাই লেখা উত্তম হয়েছে, নিজের কথা কম লিখলেন যে ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সামি হক (৯০-৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।