“দিনে দু’বার লোডশেডিং এর নির্দেশ দিয়েছি যাতে সবাই সমান বিদ্যুত পায় । এছাড়া যাতে লোডশেডিং এর কষ্ট অনুভব করতে পারে ।” – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এটা বলার কারন হচ্ছে আমরা জনগন নাকি বলি যে লোডশেডিং কমে নাই। কিন্তু ওনার দাবি লোডশেডিং নাই এবং তার সরকার বিদ্যুতের অনেক উন্নতি সাধন করেছেন কিন্তু এর পরেও আমরা সাধারন জনগণ নাকি চিল্লাই যে কোন উন্নতি হয়নি তাই উনি ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং দিয়ে আমাদেরকে পানিশমেন্ট দিতে চান।
উনিতো খুব সংবিধান এবং আইনের কথা বলেন।আমরা কিছু বল্লেই দেশদ্রোহী বা আইন অবমাননাকারি হয়ে যাই। আইন অনুযায়ী উনি কি এই কথা দেশের জনগন কে বলতে পারেন? উনিতো দেশের জনগন কে সরাসরি হুমকি দিচ্ছেন। যিনি দেশের জনগন কে ঘোষনা দিয়ে ইচ্চাকৃত লোডশেডিং দিতে চান,তিনি কি আইনের চোখে দেশদ্রোহী নন? এই কথা তিনি এর আগেও একবার বলেছিলেন। ডিজিটাল বাঙলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টার নিকট থেকে এই বক্তব্য কখনই আশা করিনি । উনার বক্তব্যটা বরং এমনটা হতে পারতো, “এখন দিনে দু’বার করে লোডশেডিং হচ্ছে । আগামীবার ক্ষমতায় আসলে দু’বার থেকে কমিয়ে একবারে নিয়ে আসবো ।”
আমার কাছেতো এটা চরম একটা অপরাধ বলে মনে হয়েছে।সরাসরি ঘোষনা দিয়ে জনগন কে হুমকি। আর মজার ব্যাপার দেখেন বিএনপি কিন্তু চুপ। অথচ বিরোধী দল হিসাবে তাদের উচিৎ ছিল এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানানো। আসলে ওরাও তো একই পথের পথিক। আমরা ম্যাংগো পাবলিক দুই দলের মাঝখানে চিরে চ্যাপটা।
মূল খবরের লিঙ্কটা একটু দেবেন সিরাজ ভাই?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
“You all know I had ordered to effect a two-hour daily outage so that everyone gets power equally. The directive was given also to remind the people how much they had suffered earlier.”
Prime Minister Sheikh Hasina Wednesday said in Parliament that she has directed the Power Division to maintain load-shedding for at least two hours a day so that people do not forget what the load-shedding is.
আরো লাগবে? 😀
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য কাঙ্খিত নয়, কিন্তু এর জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে, কারন মূল কারন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন বিদ্যুতের সমবন্টনের কথা।আর আপনার দেয়া লিঙ্ক ইংরেজি দেখে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বাংলায় কি বলেছিলেন সেটা দেখার জন্য একটু গুগল ঘাটাঘাটি করলাম, এই লিঙ্ক এ গিয়ে পেলাম এভাবে “ মানুষ যাতে ভুলে না যায় সেজন্য আমি বিদ্যুৎ বিভাগকে অন্তত দুই ঘণ্টা, সকালে এক ঘণ্টা ও বিকেলে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং রাখার জন্য বলেছি।” এটা মনে হয় ঠিক "... যাতে লোডশেডিং এর কষ্ট অনুভব করতে পারে।” এর একই অর্থ নির্দেশ করে না।
এরকম একটা ঘটনা চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে ভেবে খবরের লিঙ্কটা চেয়েছিলাম। লিঙ্ক এ গিয়ে বুঝলাম এক বছরের আগের খবর, ইদানিং কালের কিছু হলে মনে পড়তো।লেখাটা কি ভাইয়া সে সময়েই লেখা?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
‘Load-shedding may rise’
Staff Correspondent, bdnews24.com
Published: 2013-08-19 01:54:23.0 BdST Updated: 2013-08-19 01:54:23.0 BdST
bdnews24 এর খবরটা দেখো। ওটা কখন বলেছে উনি সেটার ডেট এবং টাইমটা দেখো। আমার লেখায় আমি বলেছি যে উনি এরকম কথা আগেও বলেছেন সেটারো লিংক দেয়ছি তোমাকে।
মানুষকে ভুলে না যাওয়ার জন্য এক্সট্রা ১ঘ্ন্টা লোডশেডিং দেয়া মানে কি কষ্ট দেয়া বোঝায় না? লোডশেডিংটাই তো একটা যন্ত্রনাদায়ক ব্যাপার।উনি এসব কথা বিভিন্ন যায়গায় বলেছেন।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
একটু অন্য কথায় যাই আগে।
থানা কাউন্সিল থিকা শুরু কইরা বাংলাদেশের সব ইঞ্জিনিয়াররা হয় বুয়েট পাশ করা, বি আই টি পাশ করা বা টেকনিকাল পাশ করা। বাংলাদেশের এমন কোন রাস্তা, এমন কোন কালভার্ট, ব্রিজ এই পর্যন্ত হইছে যা করতে এই শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার শ্রেণী ঘুষ খায় নাই।
পদ্মা সেতু তৈরিতে টাকা পয়সা লেনদেন হবে সেইটা কি খুব স্বাভাবিক না!
শুনতেছি আর্মি রে দায়িত্ব দেয়া হবে পদ্মা সেতু বানানোর ব্যাপারে, দেশীয় অর্থে হইলে আরো ভালো কথা।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ রসিক মানুষ। অনেক সময় বেশি কথা বলেন। অবান্তর কথা বলেন।
বাট এট দ্যা এন্ড হাসিনা-খালেদা এরা মানুষ।
আজ ২০১৩ এ এসে শেখ হাসিনাকে আমার অনেক বেশি পরিপক্ক রাজনীতিবিদ মনে হয়। এবং আমি যখন গণতন্ত্রওয়ালা বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি তখন শেখ হাসিনাকেই আমার কাছে একমাত্র অপশন মনে হয়। এবং সবচেয়ে বড়ো কথা শেখ হাসিনা ইজ এ ব্রেভ লেডি। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় শী ইজ বর্ন পলিটিশিয়ান।
তার অনেক কাজই আমার পছন্দ হয় না। কিন্তু বিচার করে দেখি সে পলিটিকালি ১০০ ভাগ রাইট।
লোড শেডিং এর হুমকি একটা কৌতুক ছাড়া আর কিছুই না। ক্যাডেটরা যারা বোরিং জোকস করে বা শুনে অভ্যস্ত তাদের অন্তত শেখ হাসিনার এই হুমকি সিরিয়াসলি নেবার কিছু নাই। 😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
যতদূর মনে পরে উচ্চ আদালত থেকে একবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা কে সংযতভাবে কথা বলার জন্য আর এটা কি রকম কৌতুক জনগনের সাথে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে। এটা কি জনগন কে হেয় করা নয়?তুচ্ছ,তাচ্ছিল্য করা নয়? মনে আছে কিছুদিন আগে বুয়েটের ছাত্র কে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী কে হুমকি দেয়ার জন্য (যদিও বিষয়টা খুব হাস্যকর ছিল)।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
হাসিনা তো আর আমাকে জানিয়ে শুনিয়ে কৌতুক করেন না। সো কিছুই বলার নাই।
উচ্চ আদালত নিজেই তো আরেক কৌতুক।
এস স্পীকার আব্দুল হামিদ ডিড রাইট থিং যখন আদালত আর সংসদ এর মধ্যে প্রবলেম হইছিলো।
কথা হইলো কঅন সামরিক আদালত নয় বরং হাই কোর্টই বিব্রত হইছিলো ১৫ ই আগষ্ট কিলিং এ।
এরা নিজেরা ফেন্সি আর পিস্তল নিয়া ধরা খাইলে ওকে।
তুলনা মনে হতে পারে খালেদা জিয়াও হরতাল প্রসংগে বলেছিলেন, কি আরো লাগবে?
আমি ঐটাকে ব্যাড জোক হিসাবেই নিয়েছিলাম।
কোনটা সিরিয়াস কথা আর কোনটা জোক সেই পার্থক্য আমাদের বুঝা উচিত।
এমন না যে হাসিনা প্যাকেট কইরা বিদ্যুৎ ভারতে পাচার করতেছে!
সো ডোন্ট ওরি।
বুয়েট ছাত্র বইলা কি হুমকি দেয়া জায়েজ হইয়া গেলো?
পুলিশ প্রেপ্তার করতেই পারে বা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে যদি কারো বক্তব্য হাসিনা-খালেদা কারো জন্য বিপদজনক বা প্রাণহানির হুমকি হয়ে থাকে।
প্রচুর লোকজন আছে এটেনশন সীক করার জন্য নানান কথা বলে।
এই লন্ডনেই তো শাহবাগ পরবর্তী কতো কিছুই হইলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্যাপারটা আপনি জানেন না। তাই একথা বলছেন।আমি আপনাকে আগেই বলেছি ব্যাপারটা খুব হাস্যকর ছিল। ঠিক শাহবাগ না তবে এই রিলেটেড একটা লেখা দেব খুব শীঘ্রই।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
লোল। খুবই হাস্যকর কথা।
স্ট্যাটাসটা দিতেছিঃ
শেখ হাসিনা যদি পুরা দেশবাসির সাথে লোডশেডিং নিয়ে কৌতুক করতে পারেন তাহলে বুয়েটের ছাত্রের কৌতুক করতে সমস্যা কোথায়? ওটাও একটা কৌতুক ছিলো।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, সচলের এই লেখাটি পড়েছেন কিনা জানি না, পড়ে দেখতে পারেন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ঐ লোক দেখি শিক্ষক!
মাশাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ। লেখাটি পড়লাম। আমি বুয়েটের উদাহরনটা দিয়েছিলাম আসলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে। ঐ প্রভাষক কে সরকার সরাসরি ধরেনি। যেভাবে বিচারের মুখোমুখি করেছে সেটাই ছিল হাস্যকর। ঠিক আসল নামটা মনে করতে পারছিনা তবে জননেত্রি শেখ হাসিনার ফ্যন গ্রুপ বা জননেত্রি শেখ হাসিনার সমর্থ্ক গোষ্ঠি এরকম নামের কোন সংগঠনের এক নেতা থানা তে এফ আই আর করেছিল বলেই পুলিশ সেই প্রভাষক কে ধরেছিল এবং বিচাকের কথাগুলোও ছিল অযৌক্তিক। ডিটেইলস মনে নাই। আমি প্রথম আলোতে পড়েছিলাম এবং ওখানে কমেন্টও করেছিলাম। পুরা ব্যাপারটাই অমার কাছে হাসির মনে হয়েছিল।
একই সাথে এটাও বলবো যে শেখ হাসিনা ১৯ তারিখে লোডশেডিং দিয়ে জনগন কে মনে করে দেয়ার বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন অন্য দেশ হলে একারনেই সরকার পতন হয়ে যেত। অবশ্য ওনার কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায়না যিনি ড:ইউনুস কে সুদখোর,রক্তচোষা বলেন ।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
থ্যাঙ্ক্স আহসান।
ইশতিয়াক ভাইএর লেখা থিকা বুঝলাম সে ছাত্র না শিক্ষক।
আমি ছাত্র মনে কইরা হালকা ভাবে নিছিলাম।
বুয়েটের বেশ কিছু শিক্ষক আছেন যারা জামাতের জন্য ফান্ড কালেক্ট করেন।
আন্দোলনগুলায় পোলাপাইন বুঝলোও না ওদের ঘাড়ে বন্দুক রাইখা কারা স্বার্থ উদ্ধার কইরা নিলো!!!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বুয়েটের ছাত্রের জায়গায় প্রভাষক হবেন।অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখিত।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি