দ্য গ্রেট মিরাজ ভাই (৩/৪)

৩. মিরাজ ভাই

অবশ্য নীতু চিনিয়ে না দিলে যে আমি মিরাজ ভাইকে চিনতে পারতাম না, ব্যাপারটা এমন নয়। কারণ সেদিন বিকেলেই কলোনির খেলার মাঠে ঝড় ওঠে। ঝড় তোলেন মিরাজ ভাই। মহল্লা জীবনের অবধারিত নিয়মের একটা হল মাঠে খেলতে গেলে বড়ভাইদের সব কথা মুখে চেইন টেনে মেনে নেয়া। আমরা সিক্স-সেভেন-এইট-নাইনে পড়া ছেলেরা রীতিমত কলাপসিবল গেট মুখে এটে পাভেল ভাইয়ের সকল অবিচার মেনে নিই। পাভেল ভাই পড়েন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। কলোনির উঠতি তরুণদের এক এবং অদ্বিতীয় নেতা। গায়ে গতরে সবার চেয়ে বড়সড়। মাঠে তিনি যা বলেন, তা-ই আইন। তিনি গোল বললে গোল, অফ সাইড বললে অফ সাইড। তার নির্দেশেই সমান ভাগ বাটোয়ারা না হয়ে প্রতিদিন ছোটরা খেলে এক দলে, আর বড়রা মানে কলেজ স্টুডেন্টরা খেলে আরেক দলে। গোলের হিসেব হয় হালি দরে। এক হালি, দেড় হালি, দুই হালি, আড়াই হালি। আমাদের নাদুস নুদুস গোলকিপার রাফি প্রতিদিন ভরপেট গোল খেয়ে বিকট শব্দে ঢেকুর তুলে বাসায় ফেরে। যেদিন মাত্র এক হালি গোল হয়, সেদিন আমরা রাফির পিঠ চাপড়ে দিই।

 

সেই বিকেলে মিরাজ ভাই প্রথম খেলতে এলেন মাঠে। ক্লাস নাইনে পড়ার কারণে তার জায়গা হয় আমাদের দলে। এরপর যা শুরু হয় সেটা আমরা কেউ আগে কখনও দেখিনি। মিরাজ ভাই বল পায়ে দৌড়াতে থাকেন রোনালদোর গতিতে। পাভেল ভাইয়ের সামনে এসে দুই পায়ের মাঝে বল নিয়ে যে কারিকুরি শুরু করলেন সেটা শুধুমাত্র জ্যামিতিক সূত্রেই ব্যখ্যা করা সম্ভব। এরপর আরও এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে গোলপোস্টে যে শটটা নিলেন সেটার গতিপথ সম্পর্কে ম্যাট্রিকের জ্যামিতি বইতে কিছু বলা নেই, আছে ইন্টারমিডিয়েটের ফিজিক্স ফার্স্ট পেপার বইতে। যার নাম পরাবৃত্ত বা প্যারাবোলা। পুরো মাঠ তো বটেই, গোলকিপার নিজেও হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে দেখে বাতাসে বাঁক খেয়ে বল ঢুকে যাচ্ছে বাঁশের পোস্ট ছুঁয়ে। পরের এক ঘণ্টা ধরে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। কখনও মিরাজ ভাইয়ের পায়ে বল, কখনও শূন্যে ভেসে আসা বল ব্রাজিলিয়ান কায়দায় বুক দিয়ে রিসিভ করছেন, কখনও পাভেল ভাইয়ের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে কাটিয়ে নিচ্ছেন। আর সবশেষে বাঁশের গোলপোস্টে আগুনের গোলার মত সেই প্যারাবোলিক কিক। খেলা যখন শেষ হয় তখন ফলাফল দেড় হালি। প্রত্যেকটা গোল মিরাজ ভাইয়ের।

 

আমরা মিরাজ ভাইকে কাঁধে তুলে জয় উদযাপন করতে চাইলাম। মিরাজ ভাই আমাদের উৎসাহে ড্রেনের পানি ঢেলে বলেন, এতে অবাক হবার কী আছে! আসলেই হয়তো অবাক হবার কিছু ছিল না। কারণ আমি তো নীতুর কাছে মিরাজ ভাইয়ের কথা আগেই শুনেছি। সে নাকি মিরাজ ভাইকে টিভিতে দেখেছে। হলিক্রস স্কুলের বিপক্ষে কোন এক ক্যাডেট কলেজের বিতর্ক প্রতিযোগিতা দেখাচ্ছিল টিভিতে। সেই বিতর্কে নাকি মিরাজ ভাই ছিলেন শ্রেষ্ঠ বক্তা। কিছুটা ভয় আর জড়তা নিয়ে মিরাজ ভাইয়ের সামনে গিয়ে বলি, ভাই আমি ছোটন, আপনাদের সামনের বিল্ডিঙের দোতলায় থাকি, আপনি খুব ভালো বিতর্ক করেন। মিরাজ ভাই চোখ ছোট ছোট করে আমার দিকে তাকান। তারপর মুচকি হেসে বলেন, চল ছোটন, বাসায় যাই। আমি টের পাই, তেলে কাজ হয়েছে। ক্যাডেটরা ভালোই তেল খায়।

 

সন্ধ্যায় টিভিতে হারকিউলিস দেখতে দেখতে নীতুকে বিকেলের ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জানাই। নীতু পাত্তা না দিয়ে বলে, ব্যাপার না, ক্যাডেটরা এরকমই হয়। ক্যাডেটরা কী রকম হয় সেটা আরও ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে যান আম্মা। মহল্লার নতুন ফ্যামিলি বলে বিকেলে পুরনো অনেকেই গিয়েছিলেন মিরাজ ভাইদের বাসায়। যা জেনে ফিরেছেন তা চোখ কপালে উঠে যাবার মত। মিরাজ ভাই উনার ক্লাসের সেকেন্ড বয়। টিভি বিতর্কে দলনেতা। বাসার শো কেইস ভর্তি দৌড় ঝাপের মেডেল। বুক শেলফ ভর্তি পুরস্কার হিসেবে পাওয়া গল্পের বই। বেশির ভাগই কবিতা আবৃত্তির, কয়েকটা উপস্থিত বক্তৃতার। সাথে ছোটবুবু যোগ করে যায়, ‘ছোট করে ছাটা চুলে ছেলেটাকে কী হ্যান্ডসাম লাগে দেখেছিস!’  নীতুর চোখ জ্বলে ওঠে। আমি ফিসফিস করে ছোটবুবুর কানে কানে বলি, উনি ক্লাস নাইনে পড়ে। ক্লাস টেনে পড়া বুবুর রাঙা মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে সময় লাগে না। বেণী দুলিয়ে চলে যেতে যেতে বলে, আরে ধুর, পোলা তো বাইট্টা।

 

দু’দিনের ভেতরেই মিরাজ ভাই আমাদের নেতা বনে যান। টিএসপি কলোনির ছেলেদের সাথে টানা তিন ম্যাচ হারার পর পাভেল ভাই কলোনির বাইরে ফুটবল ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আমাদের ওপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। মিরাজ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা একে একে টিএসপি কলোনি, জাইল্যাপাড়া, নারিকেলতলা, কাটগড় এবং সবচেয়ে দুর্ধর্ষ বন্দরটিলার মাঠে তাদের নিজ নিজ দলকে হেসেখেলে হারিয়ে আসি। ব্রাজিলের মত শৈল্পিক ফুটবল খেলার কারণে আমাদের দলের ডাকনাম হয়ে যায় ম্রাজিল। প্রত্যেক ম্যাচ শেষে মিরাজ ভাই তার হাতখরচের টাকা থেকে আমাদের পেপসি কিনে খাওয়ান। আমরা আবেগে গলে গলে যাই। মিরাজ ভাইয়ের বাসায় কম্পিউটার আছে। সেখানে আমরা প্রথমবারের মত ইংলিশ সিনেমা দেখি। কয়েকদিনের ভেতরেই আমাদের সবার প্রিয় নায়কের শীর্ষস্থান থেকে শাহরুখ খান আর সালমান খান বিদায় নেয়। মিরাজ ভাইয়ের মত সবার প্রিয় নায়ক তখন টম ক্রুজ। বন্দরটিলা ফুটবল টিমকে হারানোর মত মিশন ইমপসিবলকে যিনি পসিবল করেছেন, আমার কাছে তাকে টমের চেয়েও বড় নায়ক বলে মনে হয়।

 

মিরাজ ভাইয়ের ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের গল্প ততদিনে আমাদের মুখস্ত হয়ে গেছে। রায়হান ভাইয়ের সাথে জুটি বেঁধে ক্যাডেট কলেজের ডিফেন্ডারদের নাকানি চুবানি খাওয়ানোর বর্ণনা শুনে আমরা রায়হান ভাইকে হায়ার করে আনার প্ল্যান করতে লাগি। সুপারম্যানের মত উড়ে উড়ে গোলকিপিং করা সাইফুর ভাই হয়ে যান আমাদের গোলকিপার রাফির আইডল। দুর্দান্ত ছাত্র প্লাস দুর্ধর্ষ মিডফিল্ডার শাহিন ভাইয়ের মত হতে চায় আমার মত কেউ কেউ। আবার কেউ গুরু হিসেবে মেনে নেয় মারদাঙ্গা বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান মাহমুদ ভাইকে। একে একে সবার গল্প শুনে আমাদের মনে হতে থাকে তারা একেকজন জাতীয় বীর। আমরা মিরাজ ভাইয়ের মত বুক টান করে হাঁটি। ইস্ত্রি করা ফুল শার্টের হাতা দুই ভাঁজ দিয়ে পরি। আগের মত আর রাস্তায় স্যান্ডেল ঘষটে হেলেদুলে হাঁটি না। সামনের দিকে তাকিয়ে রোবটের মত সোজা হয়ে স্মার্টলি হাঁটি।

 

এদিকে কারো বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে মিরাজ ভাইয়ের ডাক পড়ে। আম্মা আর আসমা আন্টি মিলে যেদিন চালকুমড়ার মোরব্বা বানালেন, সেদিন আমাদের বাসায় মিরাজ ভাই এলেন। ড্রয়িং রুমে আমি আর মিরাজ ভাই আড্ডা দেই। কিন্তু পুরোটা সময় ধরে মিরাজ ভাইয়ের চোখ আটকে থাকে দরজার পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা নীতুর দিকে। একসময় ট্রে হাতে রুমে ঢোকে নীতু। ট্রে তে মোরব্বা আর বাঙ্গি। মিরাজ ভাই বারবার আড় চোখে ওকে দেখেন। আর আমি আম্মার ওপর বিরক্ত হয়ে বারবার বাঙ্গির দিকে তাকাই। নাহ, মিরাজ ভাইয়ের কাছে আমার প্রেস্টিজ বুঝি আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। নীতু একটা চেয়ার টেনে বসে। তারপর সরাসরি মিরাজ ভাইয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দুম করে জিগ্যেস করে, আচ্ছা আপনি বিতর্কের মাঝে হলিক্রসের চশমা পরা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপেছিলেন কেন?

 

৪. হানিফ এন্টারপ্রাইজ

নীতুর বেমক্কা প্রশ্নের জবাবে মিরাজ ভাই কী বলেছিলেন সেটা শোনার কোন আগ্রহই আমি পাইনি। ওসব শুনে আমার কী হবে, আমার সব চিন্তা তখন বাঙ্গি নিয়ে। ফল হিসেবে বাঙ্গি অত্যন্ত কুরুচিকর। নীতুর ছোটভাই শিহাব যখন ল্যাদাবাচ্চা ছিল তখন তার হাগু ভর্তি নেংটি থেকে বাঙ্গির গন্ধ বের হত। দুটো জিনিসের রঙ পর্যন্ত একইরকম। বছরের যখন তখন যেখানে সেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় যে ফল, সেই কলাকে মাঝামাঝি ধরে মানে একশ তে পঞ্চাশ দিলে আমার আম্মার প্রিয় ফল বাঙ্গিকে দিতে হয় তিন। অবশ্য কলা একটি স্মার্ট ফল। ধোয়াধুয়ির ঝামেলা নেই। খোসা ছিলে কপ কপ করে খেয়ে ফেলা যায়। বার্গার, পিৎজা, পেটিস, হটডগ যদি হয় ফাস্টফুড, তবে নিঃসন্দেহে কলা হল ফাস্ট ফ্রুট। সাগরকলা আর সবরিকলার মাঝে ফাস্টেস্ট ফ্রুটের খেতাব নিয়ে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতেই পারে। অবশ্য তাবৎ কলা প্রজাতির মাঝে দয়াকলা ওরফে বিচিকলা খানিকটা স্লো। বিচি দেখে শুনে সাবধানে কামড় দিতে হয়। ন্যাড়া হয়তো ভুল করে দু’বার বেলতলায় যেতে পারে। কিন্তু দয়াকলার বিচিতে দু’বার কামড় দেয় না।

 

সেই বিকেলে ফুটবল খেলা শেষে মিরাজ ভাই যে ঘোষণা দেন তাতে আমাদের সবার মাথায় মহাকাশ ভেঙে পড়ে। ছুটি শেষ, আগামিকাল সকালের প্রথম বাসে মিরাজ ভাই ক্যাডেট কলেজে ফিরে যাচ্ছেন। আমরা প্রথমে বিশ্বাস করতে চাইনা। হাসাহাসি করতে থাকি, হে হে, ভাই আমাদের সাথে মজা নিতেছে। কিন্তু একসময় আমাদেরকে বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। সূর্য ডুবে গেলে কলোনির মাঠে অন্ধকার নেমে আসে। তার চেয়েও গভীর অন্ধকার নামে আমাদের চোখে মুখে। আর মাত্র আড়াই মাস পর আবার ছুটি, এই কথা বলে মিরাজ ভাই আমাদের মিছে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়। পরীক্ষার খাতায় প্রিয় ঋতুর রচনায় প্যারায় প্যারায় রবীন্দ্রনাথের নাম দিয়ে স্বরচিত ছড়া লেখা যায়। এমনকি রেজাল্ট খারাপ হলে রেজাল্ট কার্ডে বাবার সিগনেচার নকল করে নিজেই বসিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মিরাজ ভাইয়ের শূন্যতা কোনোভাবেই পূরণ করা যায় না।

 

অতঃপর আমরা সবাই একসাথে এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আসি। দলের একমাত্র হিন্দু সদস্য নচিকেতা মসজিদের পাশের শিশুপার্কে বসে অপেক্ষা করে। নামাজ শেষে মিরাজ ভাই আমাদের সবাইকে বস্তা আইসক্রিম খাওয়ান। রাহুলের মামা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাহুল সুন্দর একটা প্যাড গিফট করে মিরাজ ভাইকে। রাফি দেয় মনটেক্স হাই স্পিড কলম। হাড়কিপটে বলে পরিচিত ছেলে দীপ, যে কিনা তার নতুন কেনা সাইকেল কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত দেয় না, সে মিরাজ ভাইকে সাইকেলের ক্যারিয়ারে বসিয়ে পুরো কলোনি পাক্কা দুই চক্কর ঘুরে আসে। বিস্ময়ে আমাদের চোয়াল ঝুলে পড়ে। একে একে সবাই বিদায় নিলে আমি আর মিরাজ ভাই বাসার পথে পা বাড়াই। পুরোটা রাস্তা কেউ কোন কথা বলি না। আমার মন খুব খারাপ। মিরাজ ভাইয়ের সম্ভবত আরও খারাপ।

 

নীতুর কাছ থেকে চুরি করে আনা টেবিল ঘড়ির গগনবিদারী অ্যালার্মে খুব ভোরে আমার ঘুম ভাঙে। ধড়মড় করে বিছানা থেকে নেমে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই। মিরাজ ভাইদের বারান্দায় হ্যাঙারে একটা খাকি শার্ট ঝুলছে। বুঝে নিই যে মিরাজ ভাই এখনও চলে যায়নি। কোনোরকমে দাঁত ব্রাশ করে একটা শার্ট গায়ে চড়িয়ে বাসা থেকে বেরোই। নিচে নেমে দেখি মিরাজ ভাইয়ের আব্বা রিকশা ঠিক করছেন। একটু পর টাইট ফিট ইন করা খাকি ড্রেস পরে মিরাজ ভাই বাসা থেকে বের হন। কোমরে গাঢ় সবুজ রঙের মোটা বেল্ট। পায়ে চামড়ার কালো জুতা। ছোটবুবু বলেছিল খাকি ড্রেসে ক্যাডেটদের নাকি দারোয়ানের মত দেখায়। কিন্তু মিরাজ ভাইকে আমার কাছে আর্মি অফিসারের মত লাগে। আমি আর মিরাজ ভাই রিকশায় পাশাপাশি বসে বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিই। পেছনের রিকশায় মিরাজ ভাইয়ের আব্বা-আম্মা। কলোনির গেটের কাছাকাছি এসে দেখি আমাদের পোলাপান সবাই দাঁড়িয়ে। রাফি, রাহুল, নচিকেতা, ইমরান, অনিক, আবরার, দীপ, আশিক, মামুন, রিয়াদ। মিরাজ ভাই রিকশা থামাতে বলেন। ভাড়া মিটিয়ে আমরা সবাই হেঁটেই আগাতে থাকি।

 

ঠিক সোয়া ছয়টায় বাংলার ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মতান্তরে সড়ক পথের বিমান হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাস ছাড়ে। তার ঠিক আগ মুহূর্তে মিরাজ ভাই আমার শার্টের বুকপকেটে একটা কাগজ গুঁজে দেন। বাসায় ফিরে সেটা খুলে দেখি রাহুলের দেয়া প্যাডের একটা পৃষ্ঠা, যেটাতে চোখ ধাঁধানো সুন্দর অক্ষরে একটা ঠিকানা লেখা।

ক্যাডেট মিরাজ, ক্যাডেট নাম্বার# ২০০৫, নবম শ্রেণি, রুম নাম্বার #৭, খায়বার হাউস, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ।

 

(চলবে)

১,৫০১ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “দ্য গ্রেট মিরাজ ভাই (৩/৪)”

  1. রকিব (০১-০৭)

    মিরাজ ভাই!!!
    এতজন গ্রেট আথলেটের নাম বললা, আর ফেরদৌস ভাইকে বাদ দিলা!! দুনিয়ায় ইনসাফ নাইক্যা!
    পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।