নির্ঘুম রজনীর অস্পৃশ্য অশ্রু ছুঁয়ে
হয়ত কপাটের পাশে হুলোটার ঘড়ঘড় রাগে
কণ্টকখচিত নির্জীব অলস মন।
কাপুরুষ ডানপন্থী বিদীর্ণ সত্ত্বা শঙ্কাভরা কণ্ঠে বলে-
না-না-না ।
হয়ত অবুঝ মনের অভেদ্য ক্রোধে
চৌরাস্তার মোড়ে ছিটকে পড়া দু-তিনটে ডিগবাজি
অবচেতন অন্যমনস্ক সত্ত্বার অস্তিত্বকে গলাটিপে
শ্মশানচারী রগচটা স্বভাব আমার অশ্রাব্য চিৎকারে ফাটে
না-না-না ।
টি এস সি.র মাথার উপর অর্ধেক চাঁদ
জ্যোৎস্নার আলোয় ভরা ক্লান্ত শরীর
ভেজা মনের নিশ্চুপ আর্তনাদ।
ভালবাসা জড়ানো কণ্ঠে স্বয়ং মন নিজেই নরম কাটে
বলে- না…না।
কখনও ধুলোয় ভরা পাম গাছের নিচে
আবেদনময়ী টলটলে পুকুরের জলে
এক টুকরো কাগজের নৌকায় মন।
দুঃখ জড়ানো আবেগভরা কণ্ঠ ছুরে দেয় একটিমাত্র শব্দ-
না…।।
আড্ডার মাঝে, মজার ছলে
কখনও উদ্ভাসিত কৌতূহলে
মুখে এক টুকরো অকৃত্রিম হাসি জড়ানো মন।
বিদ্রুপের চরম শিখরে উঠে অট্টহাসিতে ফাটে-
অহে, না-গো, না।
বাস্তবতার নির্মম চাহুনি
ধরা দিয়ে আমার অদেখা মনের ক্লান্ত নয়নে
সভ্যতার শঙ্কাহীন মিলনের দিকে তাকিয়ে
মিষ্টি করে হাসে আমার ভালো মন। বলে-
না রে- পাগল…।
ওরে আমার শ্মশানচারী রগচটা সত্ত্বা,
ওরে আমার অকৃত্রিম হাসি জড়ানো ঠোঁট,
কাপুরুষ, স্রতে গা ভাসানো হৃতসত্তা, কাগজের নৌকায় ভাসা, দুঃখ ভেজা মন,
মিষ্টি করে হাসতে থাকা পবিত্র হাসিই যখন…।
কেন তবে তোর নৈরাশ্যের হাহাকার?
কেন তোর তবে বাঁধা দেওয়ার ধুম?
না-না-রবে তুই করিস চিৎকার,
আর আমি অবেলায় ক্লান্ত পথিক, অবিরত মনে ভাবতে থাকি,
ভেবে দ্যাখ না,
ছোট্ট জীবনে ‘হ্যাঁ’ বলার কি দরকার আছে বাকি?
স্পেসিং চোখে লাগছে।
শক্ত কবিতা। 🙂
অনেকদিন পর লিখলে।
ভয়ংকর সুন্দর 😀
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:clap: :clap: :clap:
হ্যা স্পেসিং এ সমস্যা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ