একটি ক্রিকেটীয় গল্প

বলা নেই কওয়া নেই সেদিন হঠা ৎ করেই নিতু আমাকে বলে বসলো, “আচ্ছা, তুই সবসময় গাধার মত সানগ্লাস পরে থাকিস কেন?”

আমি ঘাস খাচ্ছিলাম। মানে ঘাসের ডগা চিবুচ্ছিলাম । এহেন বেরসিক মন্তব্যে আমার মাথায় খুন চড়ে গেলো । বললাম “আমি গাধা?”

“হ্যাঁ, গাধা নয়তো কি?গাধা ছাড়া কি কেউ এমন ঘাস চিবায়?”

মৌন থেকে আমাকে স্বীকার করতেই হল যে গাধা ছাড়া এমনি করে কেউ ঘাস খায় না । তবে এত সহজে রনে ভঙ্গ দেয়ার মানুষ আমি নই ।আগের কথার জের ধরে পাল্টা আক্রমন করলাম, “গাধারা বুঝি সানগ্লাস পরে ঘুরে?”

উত্তর যেন তৈরিই ছিল। নিতু বলল, “তোর মত ছাগলরা ঠিকই ঘুরে বেড়ায় ।আয়নায় কখনো দেখেছিস নিজেকে কেমন লাগে?আচ্ছা দাড়া, তোকে দেখাই।” বলে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে আয়না বের করে আমার মুখে ধরল । “দ্যাখ, দ্যাখ, ঠিক আস্ত রামছাগল না?”

নিজেকে দেখে আমার অবশ্য তেমনই লাগছিল ।তাই আর পাল্টা উত্তর করার সাহস পেলাম না। তবে সানগ্লাস টা খুলে কথার মোড় একটু ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম, “তুই দেখেছিস তোকে কেমন লাগে?একদম মহারানী ভিক্টোরিয়া ,তাই না? হুহ্‌ ,ক্লিওপেট্রা আসছেন আমার । পেত্নী কোথাকার!”

এহেন মন্তব্যেও কাজ হল না।এই মেয়েটাকে কখনই রাগানো যায় না ।আগের মতোই মুখভঙ্গি শান্ত রেখে সে বল্ল,”আমার সৌন্দর্য নিয়ে তুই কখনই প্রশ্ন তুলতে পারবি না ।কারন আমি কথায় কথায় তোকে প্রমান দেখিয়ে দিতে পারব।”

আমি বললাম, “কিসের প্রমান?”

“কেন, আমি যে সুন্দর ।এটার প্রমান!”

“হাহ্‌,আসছেন আমার সুন্দরী!”

এতক্ষনে সে বোধহয় একটু চঞ্চল হয়ে উঠলো ।বলল “তুই দেখতে চাস?”

উদাস ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম, “দেখা।”সে তখন পার্কের এক দিকে আঙ্গুল তুলে দেখাল ।একটি ছেলে (মোটামুটি হ্যান্ডসাম) আসছে। কাল চেক শার্ট আর জিন্স পরা ।নিতু ওই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল, “দেখিস ওই গাধা কি করে?”

বলতে বলতে ছেলেটি একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে ।আমি অপার বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, ওই গাধার বাচ্চা হা করে নিতুর দিকে তাকিয়ে আছে। পথে আবার এক পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে যেতে কোনভাবে সামলেও নিল ।তাই দেখে নিতু একটু লাজুক হাসির ভঙ্গি করল ।ছেলেটাও লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি পা চালালো ।সে আমাদেরকে অতিক্রম করার পর নিতু বলল, “দ্যাখ, এখনই ছেলেটা পেছন ফিরে হাসবে।” আমি বাঁকা করে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নিতু জোরে হাতে চাপা দেয়ায় থেমে গেলাম । দেখি ওই গাধাটা উলটো ঘুরে নিতুর দিকে তাকিয়ে ক্লোজ আপ মার্কা এক হাসি দিল ।কি হাসি! রাগে আমার পিত্তি যাচ্ছে ।ইচ্ছে হচ্ছে এক ঘুসিতে ওই গাধার দাত সবগুলো ফেলে দেই। হাসি দিয়ে নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে ছেলেটা চলে গেলো ।

নিতু তখন চোখ নামিয়ে বলল, “কি বুঝলি?”

আমি তখন পরাজিত সৈনিক ।মাথা নামিয়ে বললাম “কিছুই বুঝিনি।”

আমার অন্ধকার মুখ দেখে নিতুর হয়তোবা মায়া হল ।সে কাছে এসে বলল, “থাক!রাগ করিস না । আরে এটা তো এমনি মজা করলাম!”

তারও কিছুদিন পরের কথা । ও তার আগে আমাদের পরিচয় দিয়ে দেই ।আমি রাতুল ।পড়ি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এ। নিতু আমার সাথেই পড়ে। অসাধারন সুন্দরী। প্রথম প্রথম তার দিকে তাকিয়ে রোম্যান্টিক হাসি দেবার চেষ্টা করতাম। কিন্তু একদিন ক্লাসের মাঝখানে সবার সামনে নিতু বলে বস্ল,”এই তুই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকিস কেন? আমি কি ফটোগ্রাফির এক্সিবিশন নাকি যে আমাকে নিয়ে এভাবে গবেষণা করতে হবে?”

সবার সামনে এমন নিষ্ঠুর বাক্যালাপে আমার মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল। শুধু মনে হচ্ছিলো, কেন যে মাটি দুভাগ হচ্ছে না!একটু আড়াল পেতাম। তারপর থেকে নিতুর দিকে তাকানো দুরের কথা তাকে দেখলেই পালাতাম। লজ্জায় ওর সামনে পড়তাম না। কিন্তু হঠাৎ একদিন নিতু এসে আমাকে বলল ,”আচ্ছা তুই কি রাগ করেছিস? আমি তো সেদিন এমনি মজা করে বলেছি। তুই এমন করবি ভাবলে বলতাম না। সরি, রাগ করিস না । প্লিজ?

দ্বিতীয়বারের মত আমার কান লাল হয়ে গিয়েছিল। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলেছিলাম, “না না, রাগ করবো কেন? আর তুমি তো ঠিকই বলেছিলে। আমিই সরি।” আমার এমন ভদ্র নম্র রূপ আবিষ্কার করে সে সেদিন খুব হেসেছিল। সে হাসি আজ কানে বাজে!

তারপর থেকে ধীরে ধীরে আমাদের মাঝে একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। আমাদের মাঝে কোনও দেয়াল ছিল না। সবকিছুতেই আনন্দ খুঁজে নেয়ার এক দুর্দান্ত প্রচেষ্টা আমাদের দুজনারই ছিল। এই জিনিসটাই হয়তো আমাদের দুজনকে এক করে দিয়েছিল। নইলে আমার মত এক গাধার বন্ধু অমন সুন্দর  একটি মেয়ে কিভাবে হবে?

যাই হোক মূল গল্পে ফিরে যাই। বিশ্বকাপের মৌসুম। ক্রিকেট জ্বর এ কাঁপছে বিশ্ব। আমরাও কাঁপছি । আমাদের কাঁপার কারণ “পুঁচকে” বাংলাদেশ প্রথমেই ভারত কে হারিয়ে দিয়েছে। ভারত!! বিশ্বাসই হতে চায় না। নিতুও আমার মতো বাংলাদেশের দারুণ ভক্ত। যদিও ক্রিকেট ততটা বোঝে না । বল “চার” হলে লাফিয়ে উঠে “ছক্কা” বলে।আমাকেই তখন বুঝিয়ে দিতে হয়। আর আমার দেখাদেখি সেও দেখি বাংলাদেশের টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়।দারুণ লাগে । অবশ্য ওর মতো মেয়েকে গামছা পরলেও মানাবে। আমরা তো দারুণ উত্তেজিত । সুপার এইটে বাংলাদেশ দক্ষিন আফ্রিকাকেও হারিয়ে দিয়েছে।আমাদের নাক মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে উত্তেজনায়। টি স্টল থেকে শুরু করে রমনা বটমূল সবখানেই ক্রিকেট।’

সেদিন আয়ারল্যান্ড এর সাথে খেলা ।এটা জিতলেই বাংলাদেশের মোটামুটি কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। আমরা তো ধরেই নিয়েছি বাংলাদেশ জিতবে। হঠাৎ কোথা থেকে নিতু দৌড়ে এল, বলল “তোদের বাংলাদেশ তো হেরে যাবে রে!”

আমি বিরক্ত সুরে বললাম, “তোদের মানে! বাংলাদেশ কি শুধু আমার একার? তোর না?”

“ওই হল ।আমাদের বাংলাদেশ তো হেরে যাবে।”

“কিভাবে জানলি? জ্যোতিষশাস্ত্র পরিস নাকি? খালি অলুক্ষনে কথা!”

“আমার মনে হচ্ছে। তোর বিশ্বাস হচ্ছে না?”

আমার রাগ তখন তুঙ্গে। গরম চোখে বল্লাম,”না কক্ষনো না।”

নিতু বলল, “আয় বাজি! যদি আমি জিতি তবে আমি যা চাইব তাই দিতে হবে।”

আমিও তখন উত্তেজনার চরমে। বললাম, “রাজি!আর যদি আমি জিতি?”

“তাহলে তুই যা চাইবি তাই দিব।”

“সত্যি?”

“কসম!”

খেলা দেখছি। খেলা দেখছি আর দোয়া করছি! যতটা না বাংলাদেশের জন্য তার চেয়ে বেশি আমার নিজের জন্য। “হে খোদা ,ওই নিতুর কাছে আমাকে হারাইও না।” মসজিদে টাকাও মানত করলাম। নামাজ কালাম ছাড়া মুখের কথায় বোধহয় বিধাতার বিশ্বাস হল না। অবাক হয়ে দেখলাম বাঘা বাঘা টীম কে হারিয়ে বাংলাদেশ “পুঁচকে” আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গেলো! আমার তখন মাথায় হাত! এখন কি হবে?কি না কি দিতে হবে নিতুকে!

ভাবতে ভাবতেই নিতু এসে হাজির। সরাসরি আমার হলে চলে এসেছে। সাহস আছে বটে! এসেই চিৎকার করে আমাকে ডাকতে লাগলো। আমি তো তখন চুপচাপ চাদরের নিচে লুকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু নিতু দেখে ফেললো। আমাকে টেনে বের করল। ভুরু নাচিয়ে বলল,

“কি?”

এমন ভাব যেন সেই আয়ারল্যান্ড টীম এ খেলেছে। কঠিন খেলা দিয়ে বাংলাদেশকে কুপোকাত করেছে। এখন আমার কাছে এসেছে “ম্যান অব দ্যা ম্যাচ” পুরস্কারের জন্য!

আমিও ভালো মানুষের মতো কিছু না বোঝার ভান করে বললাম,

কি “কি”?

নিতু বলল, “বাংলাদেশ তো হারল!”

কি খুশি!আমি বুঝতে পারলাম নিতু মূল পরবে ঢোকার চেষ্টা করছে।

আমিও কিছু হয়নি এমন ভান করে মুখটা দুঃখী দুঃখী করে বললাম,

“হ্যাঁ, হারল তো!”

এইবার নিতুর সরাসরি আক্রমন, “বাজির কথা মনে আছে তো?

“বুঝলাম আর হবে না। নিতুর ইচ্ছে পূরণ করতেই হবে। যা জেদি মেয়ে! কখন কি করে ফেলে কে জানে? তাড়াতাড়ি বললাম,

“হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে। চল তোর কোক খাইয়ে দিই।”

নিতু আমার ফাঁদে পা দিল না। খুব সাবধানে সরে বলল,

“শুধু বুঝি কোক খাওয়াবার কথা ছিল?”

আমি বললাম, “তো আর কি?”

“কথা ছিল আমি যা চাইব তাই দিতে হবে। মনে নেই?”

আমি এমন ভান করলাম যেন এইমাত্র মনে পরেছে। বললাম, “হ্যাঁ মনে পরেছে। তা কি চাস তুই?”

ভয় হচ্ছে নিতুকে নিয়ে। কি না কি চেয়ে বসে! ওকে তো বোঝা যায় না। দেখলাম নিতু মিটমিট করে হাসছে। বাপরে! এত হাসি কি জন্য? নিশ্চয় কোনও বাজে মতলব আছে ওর। ভয়ে তাড়াতাড়ি বললাম, “চুপ করে আছিস যে? বল না কি চাস?”

সে বলল, “একটা ছাগল । রামছাগল ।”

কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াতে যাচ্ছে তাই বুঝতে পারলাম না। ছাগল নিয়ে নিতু কি করবে কে জানে।তবে বুকের উপর থেকে একটা পাথর নেমে গেলো। ছাগলই তো ! কোনও অসম্ভব বস্তু তো চেয়ে বসেনি । তারপরও একটু অবাক হয়ে বললাম,

“ছাগল!”

মৃদু হেসে সে বলল, “হ্যাঁ ছাগল! যে ছাগল সারাক্ষন ঘাস খায়।”

“সব ছাগল ই তো ঘাস খায়।”

সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “উহু, ওই ছাগল আবার দিনের বেলা সানগ্লাস ও পড়ে থাকে।”

এইবার আমি চিন্তায় পড়লাম। ছাগল, সানগ্লাস সবকিছু মিলিয়ে মাথা যেন হ্যাং খেয়ে গেল। শালার ব্রেইন! এত্ত স্লো! কিছুই না বুঝে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকলাম।

নিতু বলল, “বুঝিস নি?”

আমি নির্বিকার চিত্তে বললাম, “উহু, বুঝিনি।”

হঠাৎ করে আমাকে অবাক করে দিয়ে নিতুর চোখে জল টলমল করে উঠলো। ঠোঁট কামড়ে সে জল আটকাবার চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু পারল না। টপ করে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল তার গাল বেয়ে। আমি ঘটনার আগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। সে ভেজা ভেজা কণ্ঠে বলল, “তুই এত গাধা কেন রে? তোকে কি সব আঁটটার সংবাদ এর মতো বুঝিয়ে দিতে হবে? কিছুই বুঝতে পারিস না?” বলেই হাতের মুঠোয় থাকা একটা কাগজের টুকরো আমার হাতে গুজে দিয়ে “কাল উত্তর জানাস” বলে ধীরে ধীরে হেঁটে চলে গেলো।

আমি তখন নির্বাক পাথরখন্ড! এইমাত্র যে নাটক অভিনীত হল তাতে আমার ভুমিকা কোথায়, এটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমি কখন নিতুকে এত কষ্ট দিলাম? ব্যাথাতুর চিত্তে ধীরে ধীরে নিতুর দিয়ে যাওয়া কাগজটা খুললাম। তাতে ছোট্ট করে মেয়েলি হাতে লিখা, “ভালবাসি।”

এবার আমার পালা। নিতুর চোখে কেন পানি এসেছিল এতক্ষনে বুঝতে পারলাম। কারণ আমার চোখ ও ততক্ষনে ভিজে গেছে। আয়ারল্যান্ড কে মনে হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো টীম! তাদেরকে অনেক আপন মনে হল। ভালই হয়েছে বাংলাদেশ কে হারিয়েছে! আমি গাধা চোখে পানি নিয়েই অপেক্ষা করতে থাকলাম পরদিন ভোরের জন্য।

সে যে অপেক্ষা করছে !………………..

২,৪১১ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “একটি ক্রিকেটীয় গল্প”

  1. রকিব (০১-০৭)

    ভাল্লাগছে।
    তবে সব গল্পই কেবলই গল্প। আমি বেশ বোকাসোকা আছি; কই কোন সুন্দরী নিতু কিংবা মিতু তো আসলো না 🙁


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. সামি হক (৯০-৯৬)

    পোলাপান নতুন নতুন ইউনি তে ঢুকলে সব প্রেম এর গল্প লিখে। চার বছর শেষ করে বের হতে হতে প্রেমের গল্প বিরহের গল্প হয়ে যায় 😛

    তবে গল্পটা পড়তে ভালো লাগলো বেশ।

    জবাব দিন
  3. অয়ন মোহাইমেন (২০০৩-২০০৯)

    উরাধুরা লিখেছিস ফরহাদ। সেইরকম লাগলো গল্পটা। :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    কিন্তু অন্য এক ব্যাপার ভেবে অনেকক্ষণ হাসলাম। কলেজে থাকতে আমারও এরকম অনেক দিবাস্বপ্ন আসতো, নিজে নিজেই নানা রকমের নাটক বানাতাম, সেখানে চেনা অচেনা অনেক ক্যারেক্টারই থাকতো 🙂 , বুয়েট এর প্লটে কাহিনীও ছিল বেশ কয়েকটা। কিন্তু পরে এসে এসব রূপকথা আর থাকে না , এরকম চঞ্চল অস্থির 'নিতু' কোথাও হয়তো নেই।

    বহুদিন পর পুরানো রূপকথায় ফিরে গেলাম, লেখা চালিয়ে যা ফরহাদ। :clap:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।