গোয়িং বাটন

সকালে খবরের কাগজে চোখে পড়েছিল, আজ চৈত্রের ২৩ তারিখ।

রাস্তায় বেরিয়ে ‘চৈত্র’ শব্দটা আবার মাথায় উঁকি দিল। কাঠফাটা গরম পড়েছে। এমন আগুনগরম দুপুরে হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমুরা ঘোরের জগতে চলে যায়। আমি হিমু নই, এই নারকীয় মধ্যাহ্নের ভেতর মহাকাব্য খোঁজার চেষ্টা আমার কাছে অনাবশ্যক বিলাসিতা। অসহ্য লাগছে… একটা রিকশা পেলে মেয়েদের মত হুড তুলে চলে যেতাম।

অবন্তী মেয়েটা আসলে পাগল আছে! এই ভরদুপুরেই তার এত দেখা করার প্রয়োজন পড়ল কেন কে জানে! যাই হোক, দেখা হবে এটাই বড় কথা। বড়ভাইয়ের পোলো ব্ল্যাক, প্রায় আধ বোতল সারা শরীরে স্প্রে করে এসেছি। ঘামের সাথে সেই সুগন্ধি বিক্রিয়া করে হিতে বিপরীত হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে কিঞ্চিৎ টেনশন হচ্ছে।

অবশেষে রিকশা পাওয়া গেল। রিকশাওয়ালার চেহারা অবিকল হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রীম্যানের মত। লুঙ্গি পড়া অস্কারজয়ী অভিনেতা আমার সামনে রিকশা থামিয়ে ক্লান্ত ভঙ্গিতে ঘাম মুছলেন।

‘যাবা চাচা?’
‘কুনে যাইবেন?’
‘ধানমন্ডি ১৫।‘
‘পঞ্চাইশ ট্যাকা।‘
বুড়া হারামজাদা দিনে দুপুরে ডাকাতি করছে। দামাদামি করার মত সময় বা ধৈর্য্য কোনটাই নেই, তাই উঠে পড়লাম। বিড়বিড় করে মর্গান ফ্রীম্যানকে ইংরেজী গালি দিলাম একটা; ছোটখাট পরাজয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দেবার জন্যে ইংরেজী গালির তুলনা নাই।

হুড তুলে যাচ্ছি। রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে অবন্তীর সামনে যাওয়া যাবে না। সূর্যটাও আজ একটু বেশীই খেপে আছে।

২৭ নাম্বারে এসে সিগনালে পড়লাম। হারামীর একটা দেশ, কোন ডিসিপ্লিন নাই।
…আবার ফুটপাথে জটলা কেন?
ভালমত খেয়াল করে বুঝলাম, এক পকেটমার ধরা পড়েছে। ব্যাটা বোধহয় গণপিটুনির প্রাথমিক পর্যায়ে আছে- কারণ প্রহাররত মানুষের সংখ্যা পাঁচ কী ছয়। সংখ্যা আরও বাড়ার কথা। অনেকে পাশে দাঁড়িয়ে মজা দেখছে। আরে ব্যাটা এভাবে হা করে দাঁড়িয়ে থাকার কী আছে? হয় কিছু কর, নইলে কাজে যা। ছাগলের গুষ্টি!

হঠাৎ রাগে আমার গা গরম হয়ে গেল।
এই গেল সপ্তাহেই, আমার নতুন আইপ্যাডটা ছিনতাই হয়েছে। রিকশায় বসে ফেসবুক নোটিফিকেশন চেক করছিলাম- দু’টো চ্যাংড়া ছেলে বাইক নিয়ে এসে চোখের নিমিষে কাজটা সেরে হাওয়া হয়ে গেল। পেছনে বসা ছোকরাটা আবার দাঁত কেলিয়ে বলছিলঃ ‘থ্যাংকিউ বস’!

আইন-কানুন দিয়ে এই দেশে কিছু হবে না। এদেরকে মেরে ফেলাই উচিত। ভ্যানগাড়ির পেছনে বেঁধে রাস্তায় ড্র্যাগ করা উচিত। ব্লাডি রাস্কেলস।

জ্যাম তাড়াতাড়ি ছুটবার সম্ভাবনা নেই। রিকশাওয়ালাকে বললাম, ‘চাচা একটু দাঁড়াও, সিগারেট নিয়ে আসি।‘

একটা বেনসন ধরিয়ে পকেটমারটার দিকে তাকালাম। বাচ্চা ছেলে, ১২-১৩ বছর বয়স।
এবার আমার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। আইপ্যাডটা নিউ ইয়র্ক থেকে ছোট মামা পাঠিয়েছিলেন। এত শখের জিনিস ছিল একটা!
… ছেলেটার ঠোঁটের ডান কোনা কেটে একটু রক্ত ঝরছে। ‘যথেষ্ট নয়’, নিজেকে বোঝালাম আমি, ’ও আরো বেশী কিছু ডিজার্ভ করে।‘

সূর্য প্রায় মাথার উপর। ছোট একটা শরীর, তার উপর অনেকগুলো মানুষের ছায়া। শীর্ণ সেই দেহের উপর কালো ছায়াগুলো নড়ছে, মাথা নড়ছে, হাতগুলো নড়ছে আরো দ্রুত। অদ্ভুত দৃশ্য!
ছেলেটার শরীরে মারার জায়গা খুঁজে বের করতে ভালই বেগ পেতে হল, কারণ আরো অনেকেই হাতের সুখ মেটাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ডান বগল আর কোমরের মাঝামাঝি জায়গায় পাঁজরের কিছু অংশ খালি পেলাম। এক মুহূর্তও দেরী করলাম না- এ্যাকশন!

স্পষ্ট অনুভব করছি নিজের পৌরুষ, বীর্য, আসুরিক শক্তি।
পিঠে ফাঁকা পাওয়া গেছে- তাড়াতাড়ি বসিয়ে দিলাম কয়েক ঘা। আচ্ছা লাথি বসানো কি ঠিক হবে? দিই একটা কাঁধ বরাবর, একটা লাথি বেশী খেলে কিছু হবে না। ছোটলোকের জাত।
কাঁধের হাড়ে বাউন্স করে লাথিটা ডান কানে লেগে গেল। ব্যাড লাক।
ছেলেটা প্রচন্ড নোংরা। ময়লা জামাকাপড়, মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে আরও নোংরা হয়ে গিয়েছে। ঘেন্না হচ্ছিল প্রচন্ড।

সিগারেট বাঁ হাতে ধরা ছিল, হঠাৎ কী মনে হল ওর ঘাড়ে দিলাম একটা ছ্যাঁকা।
বালকের চীৎকার গোঙানিতে নেমে এসেছিল, ছ্যাঁকার কারণে নতুন টাটকা আর্তনাদ শোনা গেল একটা।
…আমাকে চেনো নাই হারামজাদা! মনে রাখবা সারাজীবন, এত আদরের মাঝে এক ওস্তাদ সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিয়েছিল। আমাকে চেনো নাই।
মারতে মারতে ক্লান্ত একজন পাশ থেকে বলল, ‘মইরা যাবে নাকি বস?’
‘নারে ভাই’, বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হাসি দিয়ে বললাম আমি… ‘চোরের জাত, এত সহজে মরে না।‘

জ্যাম বোধহয় ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে। যাই রিকশায় উঠে পড়ি। মর্গান ফ্রীম্যান কেমন যেন ঠান্ডা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ইশ্‌, ব্যাটা সশব্দে রাস্তায় একদলা থুতুও ফেলল।
এই দেশটা আসলেও কোনদিন সভ্য হবে না। আফসোস!
————-

অবন্তীকে আজ রাজকন্যার মত লাগছে। নীল পোশাকে এই প্রথম দেখলাম ওকে; এত সুন্দর লাগবে জানতাম না।
‘দেরী করলে যে?’
‘আর বোলো না,’ হতাশ কন্ঠে উত্তর দিলাম, ‘কেমন জ্যাম পড়েছে আজকে জানোই তো…’
‘হুঁম। আচ্ছা এই ড্রেসটা গত সপ্তাহে কিনেছি। কেমন লাগছে?’…অবন্তীর লাজুক প্রশ্ন।
এসি’র ঠান্ডা আর নীলপরী- দু’য়ে মিলে মাথা আগেই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আমি যথাসম্ভব ভরাট গলায় গুনগুন করলামঃ
“আজ ফির তুমপে পিয়ার আয়া হ্যাঁয়, বেহাদ অউর বেশুমার আয়া হ্যাঁয়…” (রিমিক্সটার মিউজিক ভিডিও আমার খুব পছন্দ। ফীল আছে।)
‘ফাজিল ছেলে!’… আমার নীলপরী খিলখিল করে হেসে উঠল!

চমৎকার সময় কাটল আমাদের। দুপুর, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হল। আগুনরঙা পশ্চিম আকাশের সৌন্দর্য ছিল প্রায় অবন্তীর মতই। আমরা ঘোরলাগা অবস্থায় একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে ছোট্ট করে চুমু খেলাম ওর ঠোঁটে।
রিকশায় ফেরার পথে ওর পারফিউমের অদ্ভুত সুন্দর গন্ধটা বহুক্ষণ নাকে লেগে ছিল আমার।

***

পকেটমার বাচ্চাটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে পড়ল পরদিন অবন্তীর ফোন পেয়ে।

‘হ্যালো তন্ময়, কেমন আছ?’
‘চলছে কোনরকম। তোমার দেখা না পেলে ভাল থাকি কিভাবে বলো?’
‘ধ্যাত্তেরি!’
‘কী করছিলে?’
‘ফেসবুক ঘাঁটছিলাম। ও আচ্ছা, ধানমন্ডি ২৭ নাম্বারের ঘটনাটা দেখেছো?’

…মাথাটা বোধহয় হালকা চক্কর দিয়ে উঠল। গলা যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে বললাম, ‘কী ঘটনা বলো তো?’
‘আরে, খুবই প্যাথেটিক ব্যাপার। একটা বাচ্চা ছেলে নাকি কার পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। পাবলিক পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।‘
আমি সাবধানে একটা ঢোঁক গিলে বললামঃ ‘ছি ছি ছি… আজকাল হচ্ছে কী এসব?‘
‘হুঁম… জানো আমার না খুব খারাপ লাগছে বাচ্চাটার জন্যে। একজন উইটনেস বলেছে, কে নাকি সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিচ্ছিল। এরা কি মানুষ নাকি জানোয়ার?‘
‘উফ… বাদ দাও তো অবন্তী! বাচ্চাদের সাথে এসব হয়েছে শুনলে সহ্য করতে পারি না। মানুষ আসলেই মানুষ নাই।‘
‘আচ্ছা শোনো, ছেলেটার নাম সোহেল। সোহেল হত্যার বিচার চেয়ে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খোলা হয়েছে- আমি ‘গোয়িং’ দিয়েছি…’ আদুরে গলায় বলল অবন্তী, ‘তোমাকে লিংক পাঠিয়ে দিচ্ছি, তুমিও দিও।‘
‘আচ্ছা দিবো নে। বাই দ্য ওয়ে, সালমান খানের নতুন মুভিটা দেখেছ? অনেক নাকি অসাম!‘
‘এখনো দেখি নাই। এইচডি প্রিন্ট বের হলে দেখব।‘

আমরা নতুন গল্পে মগ্ন হয়ে পড়লাম।
ও যা বলে তাই আমার ভাল লাগে। চুপ করে থাকলে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতেও ভাল লাগে।

তোমায় ভালবাসি অবন্তী। অনেক, অনেক ভালবাসি।

যাই, অবন্তীর পাঠানো লিংকটা ওপেন করি। গোয়িং বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৪,৬৩০ বার দেখা হয়েছে

৪৪ টি মন্তব্য : “গোয়িং বাটন”

  1. মাসুম (৯২-৯৮)

    দারুন একটা বিষয় তুলে এনেছ। খুব ভাল।। তবে লেখার স্টাইলটা কেমন যেন অন্য কারো মত লাগল (আমার ভুল হতে পারে। আমার আসলে এ বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই)। হয়তো তোমার অজান্তেই তোমার প্রিয় লেখকের ছায়া চলে এসেছে অথবা আমার বোঝার ভুল হতে পারে। তোমার মাথায় গল্প তৈরীর আইডিয়া/শৈল্পীকতা আছে যদি সম্ভব হয় একটা নিজস্ব স্টাইল তৈরী করে নাও।

    জবাব দিন
    • ফারাবী (২০০০-২০০৬)

      সত্য কথা নির্দ্বিধায় বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। সত্যি বলতে, নিজের স্টাইলে লেখার মত পরিপক্কতা আসেনি এখনো। শুধু ফেসবুকে ফাজলামি ধরনের ছোটখাটো লেখা (আসলে লেখা না, পোস্ট) লিখি বলে নিজস্ব ভঙ্গিমার তাগিদটাও সেভাবে অনুভব করিনি (ব্লগে লেখার সাহস হয় না আসলে)। তবু আপনার কথা মাথায় থাকবে ভাই। সমালোচনা খুবই উপকারী ও স্বাস্থ্যকর জিনিস, ভবিষ্যতে যদি লিখি আরো সমালোচনা আশা করছি। আবারো ধন্যবাদ ভাই।

      জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    প্রথমে এমনটা প্রত্যাশা ছিলনা। মিষ্টি প্রেমের গল্প ভেবেই এগুচ্ছিলাম। তারপর একটু একটু করে শ্লেষ টের পেতে শুরু করা।
    ভালো লেগেছে। এই আইডিয়ার আরও গল্প পড়েছি বলে আঁচ করেত পারছিলাম শেষটা।
    আর ঘটনাটা এতটাই বাস্তব যে, নিষ্ঠুরতাগুলো জ্বলজ্বল করে।

    জবাব দিন
    • ফারাবী (২০০০-২০০৬)

      ভাই আর বইলেন না। ব্লগে শেষ লিখেছিলাম বছর পাঁচেক আগে। এই গল্পটা লিখি ঈদের আগের দিন, সময় কাটানোর কিছু পাচ্ছিলাম না তাই লিখে ফেললাম। লেখা শেষ হওয়ার পর বুঝলাম, প্রায় একই প্ল্যাটফর্মের গল্প আমি এই ব্লগেই আগেও লিখেছি, ৫ বছর আগে। কাহিনী ভিন্ন হলেও উত্তম পুরুষ, নিষ্ঠুরতা, রাস্তায় ব্রেক নেওয়া, বাচ্চা ছেলে এই বিষয়গুলো কমন। খুবই হতাশাজনক ব্যাপার, আমি লিখতে গেলেই কেন যেন নেগেটিভ ব্যাপারস্যাপার চলে আসে।

      তবু সাহস করে পোস্ট করে ফেললাম। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

      জবাব দিন
    • ফারাবী (২০০০-২০০৬)

      জ্বী আপু, ৫ বছর পর। এর মূল কারণ অবশ্যই পেশাগত ব্যস্ততা নয়- বরং প্রধান কারণ আলস্য আর ব্লগ লেখার মত স্ট্যান্ডার্ডে না পৌঁছানো। এটা পোস্ট করতেও ভয় হচ্ছিল, কারণ মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড না থাকলে সত্যিকারের 'গল্প', 'কবিতা', 'প্রবন্ধ', নিবন্ধ' এসব ব্লগে প্রকাশ করার কোন মানেই হয় না। সস্তা তবে সহজপাচ্য ফেসবুকের ডমিনেন্সও আরেকটি কারণ। মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

      জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    একই থিমে একাধিক লেখা হতেই পারে।
    সমস্যা তো নেই।
    দেখার বিষয় পাঠক কিভাবে নিচ্ছে।
    আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে...

    কে কি ভাবল, বা মান নিয়ে খুঁতখুঁত না করে নির্দ্বিধায় লিখে যা।
    নিজেদের ব্লগে এত চিন্তা করলে হবে?
    নিয়মিত না লিখলে তোর লেখার শাখা-প্রশাখা বাড়বে কি করে?


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    তোদের মত পোলাপান গুলা নিয়মিত বিরতিতে হইলেও যদি ব্লগে কিছু লেখে তাইলে আমরাও কিছু ভাল লেখা পাই, তোদেরও লেখাটা আর্কাইভড থাকে। যদিও ফেইসবুকের টিআরপির লোভ সামলানো বড় কষ্টের। তারপরেও বললাম আরকি।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  5. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ভালো ।
    আগের লেখা পড়ি নাই ।
    বা অন্য কেউ এমন কি লিখসে তাও ঠিক জানিনা ।
    ফরম্যাটটা অচেনা না । তাও ঠিক।
    কথা হইলো টুইস্টটা পারফেক্টলি দিয়া সুন্দর গল্প এক খান নির্মাণ বইলা কথা।
    খুব ভালো লাগসে।
    আরো লিখলে আরো ভালো লাগবে ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।