১০৯ সুরা কাফিরূন

পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে

১। বলো, ‘ হে অবিশ্বাসীরা!
২। আমি তার উপাসনা করি না যার উপাসনা তোমরা কর, ৩। আর তোমরাও তার উপাসনাকারী নও যার উপাসনা আমি করি।

৪। আর আমি উপাসনাকারী হব না তার যার উপাসনা তোমরা করে আসছ, ৫। আর তোমরাও উপাসনাকারী হবে না তার যার উপাসনা আমি করি।

৬। তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার।’

৩৬ টি মন্তব্য : “১০৯ সুরা কাফিরূন”

  1. সাব্বির (৯৮-০৪)

    ঠিক।খুবই ঠিক।

    সমস্যাটা হচ্ছে শক্তি এর প্রধান ধর্ম হচ্ছে বিস্তার (ধর্ম পালন না করলে হয় মৃত্যু!!!অতীত তাই বলে গেছে, বর্তমান তাই বলে, ভবিষ্যত তাই বলবে)

    এটা না হলে সূরা কাফিরূ্ন আমার প্রিয় সূরা প্রথম বাক্যটা ছাড়া । ৫ ষ্টার দিলাম।

    জবাব দিন
    • ভাই মাপ করবেন, সুরা কাফিরুন এখানে মজা করার জন্য তো দেয়া হয় নি। আর কুরআনের কোন আয়াত নিয়ে মজা করার তো কোন অবকাশ নেই। তাহলে আপনি কেন লিখলেন যে,

      এইটাও মজার আছে দেখুন-....

      আর তারপরে কিছু পঙক্তি।
      একটি সূরার বঙ্গানুবাদের সাথে আপনার এই মন্তব্যের পঙক্তিগুলোর, সামঞ্জস্যটা কোথায়? আপনার এইরকম প্রকাশভঙ্গি আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। আপনার এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি। আর, কিছু করার নেই বলে দূর্বলতম ঈমানের পরিচয় দিচ্ছি।

      পরকাল বলে যদি কিছু থেকে থাকে, (না থাকলে তো কারো কোন সমস্যা নাই) তখন যখন স্রষ্টার সামনে দাঁড়িয়ে যাতে আমি বলতে পারি, হে, সৃষ্টিকর্তা, তোমার বাণীকে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদ আমি করেছিলাম, সেই জন্য এই কমেন্টটা দিয়ে গেলাম। না হলে, আপনি যা খুশি লেখেন , আমারতো কুনু সমস্যা থাকা উচিত না, তাই না?।

      জবাব দিন
    • দোস্ত ছয় মাস বায়োকেমিস্ট্রি পইড়া কুরান শরীফ নিয়া মজা করস। :)) :)) :))
      তুই তো মহাজ্ঞানী। 😉 😉
      এমনে চলতে থাকলে তোর নোবেল পাওয়া ঠেকায় কে!!!!!
      এখন ক কিসে নোবেল নিবি কেমিস্ট্রি নাকি মেডিকেল সাইন্স এ??? =)) =)) =))

      জবাব দিন
    • পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

      জুবায়ের আমি বুঝি নাই তোমার কবিতার উদ্দেশ্য এইখানে। তাই কোন মন্তব্য করতেছি না। কিন্তু সুরাটার মধ্যে appreciate করার মত বেপার আছে। ইসলামের মধ্যপন্থায় যারা বিশ্বাসী তাদের জন্যে এই সুরাটা খুবই যথার্থ। এতে পরমতের প্রতি সহনশীলতার বেপারটা উঠে আসছে।

      জবাব দিন
    • ব্লগ এডজুট্যান্ট

      প্রিয় জুবায়ের অর্ণব
      মন্তব্যে দেয়া আপনার ছড়াটি সিসিবি'র অনেক সদস্যের কাছে কটাক্ষমূলক মনে হয়েছে এবং অনেকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রান্ত বোধ করেছেন।
      সদস্যদের ভাবনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আপনার মন্তব্যটি মুছে দেয়া হলো।
      ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্যে অনুরোধ করছি।

      জবাব দিন
  2. বন্য (৯৯-০৫)

    খুব সুন্দর বক্তব্য সূরাটির,সবসময় সবার জন্য যারা সবর্দা গোড়ামীতে অভ্যস্ত তা সেটা যে পক্ষেই হোক না কেন...
    ফাহিম ভাইকে ধন্যবাদ... :hatsoff:

    @জুবায়ের ভাই,
    আপনার কবিতাটা তো দারুন মজার!!!ভাল্লাগসে... :thumbup:

    @ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট,
    খুব আশা করি কখনও দরকার হবেনা,তারপরও যদি হয় তার জন্য এই প্রশ্নটার জবাব পেলে ভাল লাগবে,
    যদি কখনও আমাদের ক্যাডেটীয়-ঐক্যবোধ ও ধর্ম মুখোমুখি দাড়ায়,আপনি কোন পক্ষে দাড়াবেন?এই ব্লগের উদ্দেশ্য কি শুধু ভিন্ন ডাইমেনশনের লেখা দিয়ে ব্লগ সমৃদ্ধ করা যদি তাতে কেউ আহতও হয় তাতে কি কিচ্ছু করার নেই?এই ব্লগও কি প্রচলিত গনতান্ত্রিক মতই প্রকাশ করবে ...যে ক্যাডেটটি এগুলো পছন্দ না করে ব্লগ থেকে দুরে থাকবে তার মানসিকতায় সমস্যা আছে,সে তার পথ বেছে নিক এমনটাই কি এখানে?নাকি আমাদের ভ্রতৃত্ববোধই এখানে বড়?কলেজ থেকে বের হওয়ার এত বছর পরও কিসের টানে এখানে এসেছি সেটা তো আর কাউকে বলা লাগবে না।তাই এই ধরনের জনগনের দলছুট হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার কি কোন উপায় নাই নাকি সিসিবি সবার জন্যই ভাল এমন একটি পদ্ধতি বেছে নিবে?

    মন্তব্যে যদি বিন্দুমাত্র রূঢ়তা প্রকাশ পায় আমি দুৰখিত।ব্যাক্তিগতভাবে আমি সত্যিই কাউকে হার্ট করতে চাইনা...আর এডু স্যারের মন্তব্য টু দ্য পয়েন্ট হলে ভাল হয় :shy:

    সবাই ভাল থাকবেন।

    জবাব দিন
    • সাব্বির (৯৮-০৪)

      @নাকি আমাদের ভ্রতৃত্ববোধই এখানে বড়@

      যদিও উত্তর তুমি ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট এর কাছে চেয়েছো তারপরও তমার একটা বাক্য দেখে কিছু বলার সাহস করছি।

      @যদি কখনও আমাদের ক্যাডেটীয়-ঐক্যবোধ ও ধর্ম মুখোমুখি দাড়ায়@

      Together we STAND, divided we FALL

      আমাদের সমস্যা একমাত্র আমরাই সমাধানের অধিকার রাখি। তোমার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আমি ফান করতে পারি (ex: mashruf vai) কারন সে আমাদের আদরের। কিন্তু আমার কাছে যদি মনে হয় সে তোমার জন্য ক্ষতিকর(যদিও আমি জানি সে তোমার খুবি প্রিয়) তাহলে আমি তোমাকে কনভিন্স করার চেস্টা করবো তার কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য।
      সমাজের সহজতম সূত্র এবং উন্নয়নের একমাত্র উপায় আত্মপর্যালোচনা। জ্ঞান গাছে ফলেনা, বিস্তার হয় আলোচনার মাধ্যমে।

      @তাতে কেউ আহতও হয় তাতে কি কিচ্ছু করার নেই?@

      অবশ্যই আছে। প্রথমে জানতে কীভাবে আহত হচ্ছো? অথবা আহত হওয়ার সংগা? তারপর সার্জারি।

      @এই ব্লগও কি প্রচলিত গনতান্ত্রিক মতই প্রকাশ করবে …যে ক্যাডেটটি এগুলো পছন্দ না করে ব্লগ থেকে দুরে থাকবে তার মানসিকতায় সমস্যা আছে,সে তার পথ বেছে নিক এমনটাই কি এখানে?@

      গনতন্ত্র আমাদের তৈরী। যেখানে প্রতিটি ব্যাক্তির স্বার্থ দেখা হবে সমান ভাবে। কিন্তু কেনো তুমি যা মনে কর তা শ্রেষ্ঠ তা তোমাকে প্রমান করতে হবে। @দুধ (দুধ এর সংগাও আমরা ঠিক করবো আলোচনার মাধ্যমে) তোমার খেতে ভালো লাগেনা তাই দুধ খারাপ এবং দেশ তোমাকে নিয়ম করে দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখবে ও তোমার অধিকার এর জন্য লড়াই করবে। @ এমন যদি হয় গনতন্ত্রের সংগা তাহলে সেই গনতন্ত্র আমি পুছি না। সেই দেশ আমাকে বিতারিত করলেই আমি খুশি হবো। আমি তোমার জন্য দুঃখিত হবো যদি ৬ বছর ই তুমি এই ফিলসফি তে বিশ্বাসী থাকো।(নিজেকে সমাজচ্যুত করা তোমার অধিকার নয়, অপরাধ

      @নাকি আমাদের ভ্রতৃত্ববোধই এখানে বড়@

      এখানে যে কোনো কিছুর চেয়ে বড় (আমার ভাই আমার পিঠে ছুরি না মারা পর্যন্ত)।

      @কলেজ থেকে বের হওয়ার এত বছর পরও কিসের টানে এখানে এসেছি সেটা তো আর কাউকে বলা লাগবে না।@

      আমাদের সবার অনুভুতি এক। যে কারনে লাবলু ভাই কে আমি ভাই ডাকি (যদিও তিনি আমার বাবা কে ভাই ডাকবেন!!!!! )

      @তাই এই ধরনের জনগনের দলছুট হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার কি কোন উপায় নাই নাকি সিসিবি সবার জন্যই ভাল এমন একটি পদ্ধতি বেছে নিবে?@

      বিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

      তোমাকে প্রথমে কারন বলতে হবে।গনতন্ত্র তোমাকে কারন বলার অধিকার দেয়।

      গনতান্ত্রিক দেশে ইমোশনাল ফুল এর মতো আচরন করা তোমার বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়।

      কারো সাথে তোমার মতের মিল না হলে কেনো তুমি নিজে সে ব্যাপার নিয়ে দেয়াল করবা না!!!!
      আস্ক হিম। Its ur damn bloody human right

      ১৮+ কোনো ক্যাডেট এর কাছে যদি ঝগড়া এবং বিতর্ক সমার্থক হয় তাহলে ক্যাডেট হিসেবে আমি লজ্জিত হবো।

      জবাব দিন
      • বন্য (৯৯-০৫)

        অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময় করে মন্তব্য করার জন্য...

        আপনার যুক্তিগুলো অপোজ করার ধৃষ্টতা করবোনা কারন আপনার সাথে আমার মানসিকতা একদমই মিলেনা..শুধু একটু বলছি..

        @দুধ (দুধ এর সংগাও আমরা ঠিক করবো আলোচনার মাধ্যমে) তোমার খেতে ভালো লাগেনা তাই দুধ খারাপ এবং দেশ তোমাকে নিয়ম করে দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখবে ও তোমার অধিকার এর জন্য লড়াই করবে

        ধরুন ডাইনিং হলে দুধ দেওয়া হয় যেটা অধিকাংশ ক্যাডেট এরই ভাল লাগে কিন্তু কয়েকজনের ভাল লাগে..যদিও সহজাত সমাধান হচ্ছে যেটা অধিকাংশের কাছে ভাল লাগে..সেটা সেটা নিশ্চয়ই কয়েকজনের কারনে থেমে থাকনে পারেনা..পারা উচিতও নয়।কিন্তু আমি বলবো এখানে দুধের বদলে এমন কিছু দেয়ার চেষ্টা করা(আবারও বলি চেষ্টা করা) যেটা মোটামুটি সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য।আর এখানেই আমি মনে করি(ব্যাক্তিগতভাবে) অন্যদের সাথে ক্যাডেটদের পার্থক্য....শুধু মাত্র একজন ক্ষতিগ্রস্থ হলেই তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মনে করে...

        গনতান্ত্রিক দেশে ইমোশনাল ফুল এর মতো আচরন করা তোমার বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়

        খুবই সুন্দর এবং বাস্তবসম্মত একটি কথা..অনেক ধন্যবাদ এই লাইনটির জন্য...আয়নার সামনে আমাকে দাড় করিয়ে দেওয়ার জন্য..
        কিন্তু এই ইমোশনাল অংশটাই যে আমি!!!এইটাই আমারে খাইল :(( :(( :((

        আর অনান্য অংশগুলো নিয়ে কোন কথা নাই কারন তো আগেই বললাম...তবে আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য..আর এটাই যদি এডু স্যারের সাথেও মিলে যায় তাহলে তার আর দরকার হবেনা

        সবশেষে একটি মন্তব্য কোট করছি আমাদের একজনের যিনি অনেকদিন ধরে ব্লগের বাইরে..আমার মনের কথাও এইটাই...

        আমার কথা একটাই-এই ব্লগ আমাদের সবার কাছে সেকেন্ড হোম…কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে যদি এখানকার পরিবেশ নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে আমি তার বিরোধিতা অবশ্যই করব…
        আমার কথায় যদি কোন সিনিয়র তো বটেই জুনিয়রও কষ্ট পায়, তার কোন অনুভূতিতে আঘাত লাগে (হোক তা ভুল বা ‘হাসির যোগ্য’!) আমি ভীষণ লজ্জা পাব…
        সেক্ষেত্রে যে পথ খোলা থাকে আমি সেটাই বেছে নিচ্ছি…হেয়ার আই সাইন অফ!!

        কাইকে দুৰখ কিংবা আমার অপরিপক্ক আচরনের জন্য লজ্জা দিয়ে থাকলে দুৰখিত...তবে দয়া করে সেটা আর মেনশন করবেন না..আমি আর লজ্জা পেতে চাইনা.. 😀
        সবাইকে ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।

        জবাব দিন
          • বন্য (৯৯-০৫)
            তুমি সবাইকে লজ্জার মধ্যে ফেলতেছো। মানুসকে পাবলিকলি হিউমিলিয়েট করা মানবতার কোনো অংশ না

            আসলে হইছে কি ভাইয়া..আমি মারাত্মক সেন্টু খাওয়া পাবলিক...তাই আমার কথাকে আমলে নিয়েন না..যা না তাও ভেবে উল্টাপাল্টা বলে খালি গ্যানজাম বান্ধাই দেই...আল্লাই জানে সামনে ক্যামনে জীবনে চলাফেরা করব!! :(( :(( :((

            আর আমার কথার জন্য আপনি যদি কষ্ট পান তাহলে আমি একান্তভাবে সরি..কাউকে হিউমিলেট করার জন্য না..জাষ্ট ফান এর জন্য বলসিলাম 🙁 🙁

            তুমি সবাইকে লজ্জার মধ্যে ফেলতেছো

            খাইসে!!!সরি... :frontroll:
            আমার আর কিচ্ছুই বলার নাই

            জবাব দিন
  3. সাব্বির (৯৮-০৪)

    দেয়াল

    শব্দটা হবে ডীল।

    আমি দুঃখিত হবো যদি আমার কথা তোমাকে আঘাত করে।(তোমাকে উল্লেখ করতে হবে কীভাবে করলো!!!)

    এখন সত্য কথা বলি।আমি আমার ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বড় ভাইয়ের সাথে মারামারি করেছি। সে এক্স ক্যাডেট।মকক।৩ বছর সিনিয়র। পারতাম না। মায়ের কাছে বিচার দিতাম।সে ছিলো আমার চেয়ে শক্তিশালী।
    তার সাথে আমার কিছুই মেলেনা। তোমার কি ধারনা আমরা এখনো মারামারি করি!!!!!!!!!!!

    ডিউটি আন্ডারটেক করতে শেখো। স্ট্রংলি ফাইট (ঝগড়া নয়, ডিবেইট) দাও। যদি মনে করো যূক্তি দিয়ে বিশ্বাস হয় না তাহলে নিজের গায়ের চামড়া শক্ত করো। কারন আজ আছেন ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট Unfortunately there is NO ONE out there to save your feelings.

    জবাব দিন
  4. মাপ চায়া গেলাম...
    যে অবস্থা দেখতেসি, আর জীবণে কোনদিন এই ব্লগে সিরিয়াস পোস্ট দিমু না (আমার এম্নেই নাই বিশেষ একটা); সিরিয়াস পোস্ট দিলেই কামড়াকামড়ি হয়। এখন থেকে শুধু আনন্দের পোস্ট দিমু, যাতে কেউ আমার লেখা পইরা ভুরু না কুচকায়!!!

    জবাব দিন
  5. এহসান (৮৯-৯৫)

    জুবায়ের আমি বুঝি নাই তোমার কবিতার উদ্দেশ্য এইখানে। আমি মনে করি এই কবিতাটা দিয়ে অযথাই কোরানের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। আমার ভালো লাগবে আমার মতে সম্পূর্ন অপ্রয়োজনীয় এই কবিতাময় মন্তব্যটা মুছে দেয়া হলে। মডারেটরদের কাছে অনুরোধ রইলো ব্যাপারটা ভেবে দেখার জন্য।

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    The four major Sunni Madh'hab and the Twelver Shi'a Jafari madhab agree that a sane adult male apostate (যে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে) must be executed (মৃত্যুদণ্ড).

    আমি যতদূর জানি: মুরতাদ দুই ধরণের আছে। ফিতরি এবং মিল্লি।

    - ফিতরি: মুসলিম মা-বাবার ঘরে জন্মিয়েছে। পড়ে ইসলাম ত্যাগ করেছে। এদেরকে মেরে ফেলতে বলা হয়েছে।
    - মিল্লি: জন্ম মুসলিমের ঘরে না, পরে মুসলিম হয়েছে, আবার পরে ত্যাগ করেছে। এদেরকে তিন দিন সময় দেয়া হয়। তিনদিনের মধ্যেও ফিরে না আসলে মৃত্যু।

    আরও দুটি শর্ত হচ্ছে:
    - মুরতাদকে অবশ্যই বালেগ হতে হবে।
    - নারী হলে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জেলে আটকে রাখতে হবে।

    প্রধান সুন্নি ধারা এবং শিয়াদেরও সবচেয়ে বড় মাযহাব এই নীতিতে বিশ্বাসী। এই নীতি মেনেই ইমাম খোমেনি সালমান রুশদিকে হত্যা করার ফতোয়া দিয়েছিলেন। যতদূর জানি, বাংলাদেশেরও শীর্ষ আলেমরা এই নীতি সত্য বলে মানেন।
    তবে কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেছে। নবীর সময় এ ধরণের একজিকিউশনের ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেকে বলেছেন, কুরআনে সরাসরি এ নির্দেশ দেয়া নেই। হাদিস এবং রাসুলের সুন্নাত ঘেটে এমনটি পাওয়া যায়।

    এ সম্পর্কে আপনাদের কি মত? আমি কেবল সবার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাচ্ছি। কেউ দয়া করে ভাববেন না, আমি এই বিষয় উত্থাপনের মাধ্যমে কাউকে হেয় করতে চাচ্ছি, বা কোনকিছুকে কটাক্ষ করতে চাচ্ছি। বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানরা একে কিভাবে দেখে- সে বিষয়ক একটা জরিপ বলতে পারেন।

    জবাব দিন
    • ফাহিম (৯০-৯৬)

      ভাই মহাম্মদ,
      এই ব্লগে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেষ করার মানে হচ্ছে শরীর খারাপ হলে মেকানিকের কাছে যাওয়া। ইসলাম, কোরান, সুন্নাহর ব্যাপারে মতামত দিতে হলে ৬ মাসের সাধারন জ্ঞান যথেষ্ট নয়। নইলে গ্রামের ফতোয়াবাজদের ফতোয়ার মতো হয়ে যেতে পারে। ১০ বছর শুধু পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার পরও পদার্থ বিজ্ঞানের বেশির ভাগ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করো উত্তর দিতে পারবো না। এটা আমার সীমাবদ্ধতা না, বরং জ্ঞানের অসীমতা বোঝায়। আমি শুধু কিছু খুব সিলেক্টেড ব্যাপারে বিশেষ মতামত দিতে পারব। তেমনি এতো গভীর একটা ব্যাপারে জানতে তুমি ইসলাম নিয়ে যারা গবেষনা করেছেন তাদের কাছে যাও। রোগ যতো গভীর হয় আমরা কবিরাজ ছেড়ে ততো ভাল ডাক্তারের কাছে যাই। একটু খেয়াল করে যেও, মুসলমানদের মধ্যে হাতুরে ডাক্তারের সংখা অসংখ্য। ভুল চিকিতসার জন্য তখন চিকিতসককে বাদ দিয়ে চিকিতসা বিজ্ঞানকে গালি দেয়া শুরু করবা।

      একজন আব্দুস সালাম হচ্ছেন কাদিয়ানি, যারা মুসলমান নয় বলে আমার একটা পোষ্টে মন্তব্য করেছিল । তার মন্তব্যের উত্তরে আমি কি বলেছিলাম লিখা দেই

      ভাই যদি আপনি মুসলমান হোন তবে বলি, না হলে পড়ার কোনো দরকার নেই।

      আল্লাহ বার বার বলেছেন ফিতনা না করতে। আর ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। আমরা যারা সুন্নি বা শিয়া তারা নিজেরাই কি ঠিকমতো ধর্মটা পালন করি। কিয়ামতের দিন নিজের হিসাব দিতে দিতেই জীবন শেষ হয়ে যাবে। অন্যকেউ ঠিক না বেঠিক মুসলমান তার সার্টিফিকেট দেবার সময় পাবো না। ধর্মের ব্যাপারে নিজের জানার জন্যই সব জিনিষ এখনো বাকি রয়ে গেছে। এখনো কোরান পড়ি বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ পড়ে। অনুবাদক যা বলে তাই বিশ্বাস করি। কিন্তু আরবী বিশেষ করে কোরানের আরবীর অনুবাদ যে কতো জটিল তাতো নিশ্চয় জানেন। তারপর রয়েছে কতো তাফসীর। হাদিস গুলোও জানতে হবে। এসব জানতে জানতে কাদিয়ানীরা মুসলীম না অমুসলীম তা জানার সময় আমি পাবো বলে মনে হয় না। আবার আল্লাহ বলেছেন তুমি না জেনে কোনো মুসলমানকে কাফির বলো না। কাজেই তাদের মুসলমান্ত্বের সার্টিফিকেট দেবার ভার আমি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেই। আর আসলে আমি কে, কি ঠিক আর কি বেঠিক তা বিচার করার ?

      আমি কোরান ও হাদিস অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করি। যদি কোরান বা সুন্নাহ বলে এদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড তবে আমি অবশ্যই তা মানি। কিন্তু যদি সরাসরি না থেকে থাকে তবে আমি ফিতনা (ফ্যাসাদ) থেকে দূরে থাকি।

      আর যদি কোরানে এটা থাকেও তবে কি তোমার তা খুব অমানবিক মনে হয় ? দেশদ্রোহীতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড আমাদের দেশে। অনান্য দেশেও সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে দেশদ্রোহীতার জন্য, এটাও কিন্তু অমানবিক।

      তাই তোমার জন্য আমার একটাই ঊপদেশ ভাই ফিতনা থেকে দূরে থাক। শুধু শুধু ফ্যাসাদ বাড়িয় না। বিজ্ঞানী যদি হতে চাও তবে সত্যেন বোসেকে মডেল হিসেবে নাও, আমাদের দেশের বিজ্ঞানী নাম ধারী কল্পবিজ্ঞানীদের মডেল হিসেবে নিও না। বৈজ্ঞনিক জার্নালে বছরে একটা লেখা না ছাপিয়েও বিজ্ঞানী নাম লাগিয়ে কল্পবিজ্ঞানের অনেক বই বিক্রি করে অনেক নাম ও টাকা কামানো যায়, কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা তাতে হয় না।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : এহসান

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।