খারাপ ছাত্রদের কথা

অষ্টম শ্রেনীর একজন ‘খারাপ ছাত্রের’ কথা ক’দিন ধরে খুব পীড়া দিচ্ছে। ইংলিশ স্কুলে পড়ে। পড়াশোনা করে না। পড়ুয়া নয়। সে কখনো’ই ছিল না।
সে কারনেই কখনো’ই ভালো নম্বর পায় না। এবং সেজন্যেই তার শিক্ষকরা তাকে পছন্দ করেন না। শুধু তাই নয়, তার প্রসঙ্গ এলেই চোখ-নাখ-মুখ কুঁচকিয়ে ফেলেন। তাকে খারাপ ছেলে বলেন; তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন। অনেক খারাপ ব্যাবহার।
তাদেরই মধ্যে একজন শিক্ষক এই ছেলেটির পিছে লেগে থাকতেন। সারাক্ষন চেষ্টা করতেন তাকে সবার সামনে অপমান করতে, ভিলেন বানাতে। এভাবে বেশ কয়েক বছর গেলো। শুধু এই ছেলেটিই নয়, এই শিক্ষকটির লক্ষ্য ছিল বেশ অনেকেই। একদিন ক্লাস টেন’এর কয়েকজন ছেলে এই শিক্ষককে স্কুলের বাইরে এক চুপচাপ স্থানে পেয়ে বেদম মার দিলো।
ঠিক ঐ সময়েই সেই ছেলেটি সেখানে উপস্থিৎ। হাতে ছিল মোবাইল ফোন। মোক্ষম চান্স! শিক্ষকের মার খাওয়ার পুরো চিত্রটি সে ভিডিও করে ফেললো। বাড়ি গিয়ে পুরোটাই ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে ফেইসবুকেও শেয়ার করে দিলো। একি সাথে, কেন সে এ কাজ করলো তাও লখে দিলো। এভাবেই সে যে তার প্রতিষোধ নিলো তাও লখে দিলো। তার শিক্ষকও সেই ভিডিও দেখলেন। তিনি তার ভুল বুঝলেন। তিনি সারাক্ষণ যাদের পিছে লেগে থাকতেন তাদের সবার কাছে এসে ক্ষমা চাইলেন।
এইতো গেলো লাখো ঘটনার মধ্যে একটি। আমাদের দেশে শিক্ষকরা যে তাদের ভুল অনুধাবন করতে পারেন তেমন ঘটনা বিরল। আমার মনে হয়, এদেশে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উন্নতি প্রয়োজন। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের ব্যাবহার বদলানো উচিৎ। শিক্ষদের ব্যাবহারের কারনেই বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর মেধা থাকা সত্ত্যেও ভালো করতে পারে। তাদের মেধা ‘খারাপ’ বলে গণ্য হয় না হয় তারা সারা জীবনের জন্য ‘খারাপ ছাত্র’ বা ‘খারাপ ছাত্রী’ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে। এ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিল বারো বছর বয়সে ক্যাডেট কলেজে গিয়ে।
সেখানে ঢুঁকেছিলাম ভালো ছাত্র হিসেবেই। কিন্তু তার পর থেকে ‘খারাপ ছাত্র’ হয়ে গেলাম। তার বেশ কিছু কারণ আমি মনে করতে পারি। শিক্ষকদের ক্লাস আমার কাছে খুবই সাদামাটা লাগতো; এই সাদামাটা ক্লাস করার জন্য আমি ক্যাডেট কলেজে যাইনি। পাঁচ বছর বয়ষ থেকে আমার লক্ষ্য ছিলো ক্যাডেট কলেজে পড়া। আমার খেলা-ধুলা বেশি ভালো লাগতো। বাবা-মা’র অভাব এতো বেশি অনুভব করতাম যে পড়াশোনায় আর মন একেবারেই বসতো না। পরীক্ষায় খারাপ করা শুরু করলাম।
অবাক হয়ে দেখলাম যে আমার শিক্ষকরা আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমায় ‘খারাপ ছাত্র’ তথা ‘খারাপ ক্যাডেট’ হিসেবে দেখানোর যত চেষ্টা, তার বিন্দু মাত্র চেষ্টা ছিলো না আমাকে কি করে পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনা যায়; কি করে আমার আগ্রহ সৃস্টি করা যায়। কয়েকজন শিক্ষক অবশ্যই সে চেষ্টা করেছিলেন এবং তাদের জন্যই ছ’বছর একটা কিছু করে সেখান থেকে পাস করে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। বেশ ক’জন সিনিয়ার ভাই ও দু’একজন বন্ধু আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন।
ঐ কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া আর সবাই আমাকে ‘খারাপ’ ছাত্রই ধরে নিলেন। আর কখনোই কলেজ জীবনে ভালো করতে পারলাম না। কলেজে সব ধরনের দুষ্টুমি-বাঁদরামির জন্যে আমাকেই দ্বায়ী করা হত। বর্ননা-নির্ভর বিষয়গুলো যেমন বাংলা আর ইংরেজীতে আর পাসই করতে পারলাম না। যাই লিখতাম, কোন না কোন ছুতোয় আমার নম্বর কমিয়ে দেয়া হত। বোর্ডের পরীক্ষা ছাড়া আর ছ’বছরে বাংলা আর ইংরেজীতে পাসই করলাম না।
প্রথম-প্রথম আমি সাধ্য মত চেষ্টা করতাম ‘ভালো’ হওয়ার জন্য। পারতাম না। বেশিরভাগ শিক্ষকেরা সাহায্য করতেন না। যে দোষ আমি করিনি তার জন্যেও আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হত। তারা আমাকে ‘খারাপ’ বানাতেই বেশি আগ্রহ দেখাতেন। আমার কয়েকজন ক্লাসমেট, যারা কলেজের কাছে ভালো হতে চাইতো, প্রিফেক্ট হওয়ার বাসনা ছিলো, তারাও আগুনে ঘি ঢালতো। কিছুদিন চেষ্টার পর একদিন ‘ভালো’ হওয়ার চেষ্টা ছেড়ে দিলাম। ‘খারাপ ছাত্র’ ও ‘খারাপ ক্যাডেট’ কালীমাগুলো মাথা পেতে নিলাম। আমার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেলো। আমার ‘বন্ধু’ কয়েকজন কষ্ট পেলো, আর বাকী সবাই আমায় করুণার চোখে দেখা শুরু করলো।
আমি ‘খারাপ’ এবং ভবিষ্যৎ-হীন একজন মানুষ হিসেবেই কলেজ থেকে বেরুলাম।
এখন যখন আমি পেছন ফিরে তাকাই, কষ্ট পাই আর অবহেলিত বোধ করি। একই সাথে যারা আমাকে ‘খারাপ’ বানানোর জন্য প্রানান্ত হতেন তাদের জন্যই করুণা হয়। তাদের যদি একটু চিন্তা করে কাজ করার শক্তি ও চেষ্টা থাকতো তাহলে আমার জীবনটা অন্যরকম হত। আমার বাবা-মা’তো তাদেরকেই আমার বাবা-মা মনে করে সেখানে রেখে এসেছিলেন! বারো বছরের শিশু-ছেলেতো তাদেরও ছিলো! তাদের নিজের ছেলেদেরকে কি তারা ‘খারাপ’ বলতেন? বারো বছরের শিশু-ছেলের জন্য যে ভালোবাসা দরকার ছিলো তা আমার শিক্ষকরা আমাকে দেন নি।
এই গল্প শুধু আমার নয়, শুধু ক্যাডেট কলেজের নয়; বাংলাদেশের লাখ-লাখ ছাত্র-ছাত্রী এমন অবহেলা-অবজ্ঞার শিকার। তারা স্কুল শুরু করে অনেক আগ্রহ নিয়ে। তারপর শিক্ষকদের অবহেলা-অবজ্ঞা-অজ্ঞ্যতার কারণে উৎসাহ হারিয়ে ‘খারাপ’ হয়ে যায়। আর সামনে এগুতে পারে না।
মেধা থাকা সত্যেও অকর্মন্য নাগরিকে পরিনত হয়। অথচ এই শিশুরাই তাদের শিক্ষকদের তাদের বাবা-মা’র চেয়েও বেশি পছন্দ করে, সন্মান করে। শিক্ষকরাই পারেন তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে। কিন্তু এই উৎসাহদাতারাই যখন ভিলেনের মত আচরন করেন, তখন আর কোথাও যাওয়ার যায়গা থাকে না। অবন্ধুসুলভ আচরন তাদের ‘খারাপ’ বানিয়ে ফেলে। তাদের জীবনের দরজাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষকরাতো পরিবর্তনের অগ্রদূৎ! তারা নিজেদের কবে পরিবর্তন করবেন। যারা পড়াশোনা করে শুধু তাদেরই নয়, যারা কম করে তাদের কবে ভালোবাসবেন?

৩,৪৫৮ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “খারাপ ছাত্রদের কথা”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভালো লেখা।
    আসলে সিস্টেমে গলদ রয়ে গেছে।
    ক্যাডেট কলেজের পরিবেশ এক ধরণের অসুস্থ পরিবেশ।
    মোষ্ট প্রবাবলি প্রিন্সিপাল, এডজুট্যান্ট আর ক্যাডেটদের মাঝে লিডার রা উপভোগ করে সিসি লাইফ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    লেখাটা পড়ে কষ্ট ছুঁয়ে গেল।
    একদম শুরুতে ব্র্যাণ্ডিং এর এ ধারণা শুধু 'খারাপ' ছাত্রের বেলাতেই হয় না, তথাকথিত 'ভালো' ছাত্রের বেলাতেও ঘটে। স্কুলে ভালো ছাত্র তকমা পাওয়া ছাত্রটির বোধোদয় ঘটে পেশাগত জীবনে এসে, যখন পুঁথির বিদ্যা আর কাজে লাগেনা।

    জবাব দিন
  3. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    লেখার বিষয় নির্বাচন চমকপ্রদ। তবে লেখাটিকে এতটা আত্মমুখী না করে আরো গোছানো, আরো বিশ্লেষণাত্বক ও নির্মোহ করা যেত। ধন্যবাদ, এমন বিষয়কে সামনে নিয়ে আসবার জন্যে।

    কুমোর যেমন করে একতাল কাদা দিয়ে পরম যত্নভরে চমৎকার মৃৎপাত্র তৈরি করে, যে সকল শিক্ষকের শিশু-কিশোরদের শিক্ষাদানের কাজ করতে হয়, বোধকরি, তাদের ভূমিকাও অনুরূপ। পরম ধৈর্য্যের সাথে তারা দুরন্ত শিশু-কিশোরের দলকে কোমল অনুশাসনের স্নেহডোরে বাঁধেন। তারপর অতি যত্নে ধীরে ধীরে সঞ্চারিত করেন জ্ঞানের ফিনিক ফোটা আলোর এক একটি কোয়ান্টাম। ধৈর্যশীল, কোমল-হৃদয়, নির্ভরযোগ্য, উদার-মনোবৃত্তির মুক্তমনা মানুষ হবার পাশাপাশি একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের আরেকটি গুণ থাকা অত্যাবশ্যকীয়। সেটি হলো তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষন ক্ষমতা। প্রত্যেকটি শিশু-কিশোরের ভেতর কোন না কোন বিশেষ প্রতিভা সুপ্ত থাকে। একেকজনের ভেতর একেকটি। প্রত্যেকেই কোন না কোন গুণে অনন্য, বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্যে, স্বকীয়তায় প্রোজ্জ্বল। পাকা জহুরির মতো তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষনের মধ্য দিয়ে সেই বিশেষ গুণটিকে খুঁজে বের করে আনাই মূলতঃ এইসব শিক্ষকের দায়িত্ব। তাই কে প্রথম আর কে দ্বিতীয় হলো সেটি নয়, কে ভালো ছাত্র কে মন্দ ছাত্র সেটিও নয় বরং প্রত্যেক ছাত্রকে নিবিড় মূল্যায়ন করে কে কোন বিশেষ বিষয়ে প্রথম সেটি বের করে আনাই বোধকরি বেশি প্রয়োজন। তাহলেই নানান রঙের, নানান গন্ধের, নানান আকারের রকমারি ফুলের বাহারে সুশোভিত হয়ে উঠবে আমাদের আগামীর বাগান। (সম্পাদিত)


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    সচরাচর চোখ এড়িয়ে যাওয়া একটা বিষয়কে দরদভরে সামনে তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইকরাম। স্কুলে যারা ভালো করে, তারা তো এমনিতেই সবার কাছ থেকে উৎসাহ প্রেরণা পেয়ে থাকে। কিন্তু যারা খারাপ করে থাকে, তাদের দূর্বলতাটা কোথায়, তা খুঁজে বের করে সংশোধন করাটাই প্রকৃত শিক্ষকের কাজ। এটুকু করার মত ভালো শিক্ষকের আজ প্রকৃতই আকাল।

    জবাব দিন
  5. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমাদের দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত যে পড়াশুনা তাতে করে কারও 'খারাপ ছাত্র' (বা ছাত্রী) উপাধি পাবার কথা না। এরকম হবার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের শিক্ষকগণ ছাত্র-ছাত্রীদের সবাইকে গণহারে বোঝান এবং সবাইকে একই পাল্লায় মাপেন। সবাইকে একই পাল্লায় মাপাটা কার্যকরী হত যদি তারা ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী (বা তাদের ভাষায় দুর্বল) ছাত্রটিকে টার্গেট করে পড়াতেন। তা না করে সব শিক্ষক ক্লাসের সবচেয়ে 'সেরা' ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে পড়ান। পড়ানো শেষে ফিডব্যাক নেবার সময় সেরাদের কাছ থেকে উত্তর পাবার পর (সেটা বুঝে বা মুখস্ত করে- যাই হোক না কেন!) তাদের মনোভাব হত এমন- ''ওরা যদি বোঝে, তুমি বুঝবে না কেন?''

    আরে বাবা, সবার বোঝার ক্ষমতা তো সমান না! একেক জন ছাত্র একেক রকম। এজন্যই তো মানুষের মধ্যে এত বৈচিত্র!
    সবচেয়ে বড় কথা, বেশিরভাগ শিক্ষকই পড়াশুনা ব্যাপারটিকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আকর্ষনীয় করে তুলতে পারেন না। ফলে, অনেকেই পড়াশুনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে ফলাফলও খারাপ হয়ে যায়।

    ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাদের ক্ষেত্রে আরও বড় একটি বাঁধা রয়েছে, তা হল- তাদেরকে পড়ানোর বাইরেও নানা ডিউটি, এক্টিভিটিতে সংশ্লিষ্ট থাকতে হয়। এত দিকে খেয়াল করতে গেলে যত্নের সাথে পড়ানোর ইচ্ছে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  6. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    এরকম একটা কালচার আগেও ছিলো । তবে খুব কম মাত্রায় । আজকাল এটা ভয়ানক মাত্রায় চর্চিত । বিশেষ করে ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলোতে ।
    অবাক ব্যাপার হচ্ছে যে শিক্ষকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে এসব বিষয়কে শুধরাবার সেই রকম উদ্যোগ কতোটা আছে তা সবচেয়ে বড় প্রশ্নের বিষয় ।
    সেইখানটাতে সজাগ না হলে শিক্ষকরা যেমন অব্যহত ভাবে এই বিষধর চর্চায় অবিরত থাকবেন । ততোধিক মাত্রাতিরিক্ত ভাবে ছড়াতেই থাকবে তা ছাত্রদের মাঝেও ।
    ইকরামকে ধন্যবাদ - এমন বিষয়টাকে তুলে আনবার জন্য ।

    জবাব দিন
  7. cdt clg e খারাপ ছাত্র ছাত্রী হওয়া মানে দুনিয়াতেই নরকের যন্ত্রনা ভোগ করা,,, স্যার ম্যাডাম,সহপাঠী দারা প্রতিনিয়ত bullying,verbally emotionally abuse এর শিকার হতে হতে একটা সময় আমি ভিতরে ভিতরে পুরাপুরি মরেই গিয়েছিলাম,,, cls 8 এরপর ঠিকমতন নিঃশাস ও নিতে পারতাম না,, মনে হত একটা বিশাল পাহাড় বুকের উপর চেপে বসে আছে,, আকাশে দিকে তাকিয়ে জোড়ে জোড়ে নিঃশাস টানতাম একটু বুকভোরে নিঃশাস নেয়ার জন্য,,, করোর সাথেই সেই অস্যহনীয় যন্ত্রনা মন খুলে বলতে পারিনি,,,চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করত,কিন্তু তাও পারতাম না,,cdt clg এর সেই ট্রমার খেসারত এই জীবনেও আরও ভয়নকর ভাবে দিচ্ছি ,,, বেচে থেকেও পংগু একটা জীবন যাপন করছি,,, এখনও সেই দুঃসহ sriti তাড়া করে ফিরে,,,

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।