চ্যাম্পিওন্স লীগ সেমিফাইনালঃ আর্সেনাল বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

চ্যাম্পিওন্স লীগের সেমিফাইনালের ২য় লেগ হবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার। দুটি খেলাই সম্ভাবনায় কিছুটা ব্যালেন্সড।মঙ্গলবার খেলছে আর্সেনাল বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।(খেলা বাংলাদেশ সময় রাত ১২:৪৫ শুরু হবে।) কোনো দলকেই ফেবারিটের তকমায় মুড়ে দেয়া যাচ্ছে না। স্বাগতিক দল আর্সেনাল প্রতিপক্ষের মাটিতে গোল করতে পারে নাই তাই গুরুত্বপূর্ণ এওয়ে গোল এর বাড়তি সুবিধা নাই। তাই খেলাটা আক্রমনাত্বক হবে বলা যায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রচন্ড প্রতাপের সাথে ১ম লেগে আর্সেনাল কে পর্যুদস্ত করলেও গোল পেয়েছে মাত্র একটা। আর্সেনালকে কোনো গোল করতে দেয় নাই আর তাই ফার্গুসন কিছুটা এগিয়ে থাকার কথা ভাবতেই পারেন; কিন্তু আরো গোল করতে না পারাটাই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এতেই আর্সেনাল হুঙ্কার দিচ্ছে Dont write us Off.

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর প্রথম একাদশের সব খেলোয়াড়ই ফিট। গত উইক এন্ডে পছন্দের মিডফিল্ডের সবাইকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছিলো ফার্গুসন। তাই ক্যারিক, ফ্লেচার, এন্ডারসন, রোনাল্ডো সবাই ফ্রেশ। তাই শুধুমাত্র নিজের অর্ধে বসে থাকার জন্য রাজধানীতে তারা আসবে না। টিপিক্যাল ৪-৩-৩ ফরমেশনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলবে। ফারডিনান্ডের ইঞ্জুরী থেকে ফিরে আসা বিশাল প্লাস পয়েন্ট। ভিদিচের সাথে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে ফারডিনান্ডই খেল্বে। এভ্রা আর ও’শিয়াও ফিট। মধ্যমাঠে ক্যারিক, ফ্লেচার, এন্ডারসন জমাট করে খেলবে। তিনজন খেলোয়াড়ই হোল্ডিং খেলোয়াড় হিসাবে দারুন এবং ফাব্রিগ্যাস কে থামাতে চাইবে। এনডারসন হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর ইঞ্জিন। এই মধ্যমাঠেই ওরা আর্সেনাল থেকে এগিয়ে। আর তিন জনের আক্রমনভাগে রুনী বাম দিকে আর রোনাল্ডো ডান দিকে খেলবে যেমন তা বার্সেলোনায় হেনরী ও মেসি খেলে। রুনীর সেরা পুজিশন আমার মতে লেফট উইঙ্গেই। কারন গতির পাশাপাশি ভিতরে ঢুকে অতর্কিত জোড়ালো শট তার সেরা অস্ত্র। আর টার্গেট ম্যান হিসাবে বারবাটভ খেলবে। উচ্চাতাই তেভেজের চেয়ে বারবাটভ কে এগিয়ে রাখে। কিন্তু বারবাটভ একজন অলস খেলোয়ার অন্যদিকে তেভেজ এর ওয়ার্ক রেট অনবদ্য। যেহেতু আর্সেনালের সেন্ট্রাল ডিফেন্সে রেগুলার প্লেয়ার নাই তাই তেভেজ ও ভালো অপশন হতে পারে। এছাড়া কোনো মতে গোল করে ফেললে আর্সেনালকে ৩ গোল করতে হবে ওই ক্ষেত্রে তেভেজই রুনী আর রোনাল্ডোর সাথে গতি দিয়ে কাউন্টার এট্যাকের জন্য ভালো হবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর ফিকচার খুব জমাট। আগামী দুই সপ্তাহ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খুব ব্যস্ত। আগামী উইক এন্ডে ওদের আছে ম্যানচেস্টার ডার্বি। রুনী, তেভেজ আর এভ্রার আছে হলুদ কার্ড তাই এই খেলায় আরেকটা হলুদ কার্ড হলে সম্ভাব্য ফাইনাল মিস হবে। যেহেতু রুনী গত উইক এন্ডেও খেলেছে আর লিগের গুরুত্বপূর্ণ খেলার কথা চিন্তা করে রুনী প্রথম একাদশে নাও খেলতে পারে। কিন্তু আর্সেনালের সাথে রুনী ছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বোধ হয় বেশী সাহসী পদক্ষেপ।
. খেলা শেষে এটাই দেখতে চাই।
আর্সেন ওয়েঙ্গার এর বায়োডাটার সবচেয়ে দুর্বল দিক কোনো ইউরোপিয়ান শিরোপা নেই। আর্সেনাল কখনো চ্যাম্পিওন্স লীগ জিতে নাই। তাই ব্যাক্তিগত এবং দলগত দুই মিশন কে সামনে রেখে ওয়েঙ্গার দল ও ট্যাক্টিক্স সাজাবে। ইঞ্জুরীর কারনে দল দুর্বল আর ট্যাক্টিক্স এ কখনোই ওয়েঙ্গার এতটা ভালো না। আর্সেনালের ডিফেন্ডার গালাস, ক্লিশি আর স্ট্রাইকার এডুয়ার্ডো খেলবে না। সিল্ভেস্টারও সন্দিহান। তাই মনে হচ্ছে কোলু টুরে আর ডি’জরু সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলবে, সানিয়া খেলবে ডানে আর মিডফিল্ডার থেকে লেফট ব্যাকে পরিনত হওয়া গিবস ১ম লেগে রোনাল্ডো কে ভালোই ঠেকিয়েছে। আর সুপার গোলরক্ষক আল্মুনিয়া তো আছেই। ফ্যাব্রিগ্যাসের সহযোগী হিসাবে সং, ডিয়াবী কিংবা ডেনিলসন অনেক পলকা। আরশাভিন খেলতে পারবে না তাই মাঝ মাঠের সামির নাসরি খেল্বে আক্রমনের বাম দিকে, কিন্তু প্লাস পয়েন্ট হলো থিও ওয়ালকট, ভ্যান পার্সি ও এডিবায়র ফিট খেলার জন্য। থিও গতি দিয়ে এভ্রাওকে ভালোই বেগ দিবে বলা যায় আর ভিদিচের সাথে এডিবায়র এর লড়াই ও হবে জমজমাট।
. একাই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে এই ডায়নামাইট
আমার মনে হয় শুরুতেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে আর্সেনাল আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রয়ে সয়ে খেলবে। একটা এওয়ে গোল তাদের খেলা অনেক সহজ করে দিতে পারে। কিন্তু নিজের মাঠে আর্সেনাল ৩ কিংবা এর চেয়ে বেশী গোল করার ক্ষমতা রাখে। এই মৌসুমে এই চ্যাম্পিওন্স লীগ ছাড়া আর কিছু পাওয়ার নেই। তাই ওরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে বলাই যায়। লীগে ওরা ইতোমধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিজের মাঠে হারিয়েছে। আর্সেনালের ফর্ম কিন্তু খারাপ না। লীগে গত ২১ ম্যাচে তারা অপরাজিত। এই খেলায় অনেকের কাছেই আর্সেনাল আউটসাইডার। কিন্তু আমার দিল বলতেছে থিও,ফ্যাব্রিগ্যাস ম্যাজিকে বিশ্বাস রাখতে। 🙂

৮,১১৭ বার দেখা হয়েছে

৫১ টি মন্তব্য : “চ্যাম্পিওন্স লীগ সেমিফাইনালঃ আর্সেনাল বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড”

  1. সামি হক (৯০-৯৬)

    মনে প্রাণে চাইছি যেন ম্যান ইউ হারে। ফারডিনান্ড ইনজুরী ভালো হয়ে গেলো ক্যামনে? যাই কন ম্যান ইউ রে লাক প্লাস রেফারীরা অনেক ফেবার করে।

    আর আপনার সাথে আমি পুরাই একমত ফ্যাব্রিগ্যাস ভালো না খেলতে পারলে কোনই আশা নাই আর্সেনালের।

    জবাব দিন
  2. এহসান (৮৯-৯৫)
    যাই কন ম্যান ইউ রে লাক প্লাস রেফারীরা অনেক ফেবার করে।

    আরে এইতা আর নতুন কি। কয়দিন আগে সবাই খুব উচ্ছসিত দেখলাম টটেনহ্যামের লগে ২ গোলে পিছায়া থাইকাও ৫-২ গোলে জিতায়। কিন্তু কাম ব্যাকটা শুরি হইসিলো ফাও পেনাল্টি দিয়া। আর এরপরেই ম্যান ইউ বিশ্বাস ফিরে পাইসে আর টটেনহ্যাম মোরালী হেরে গেছে।

    নিচে ফটো দিলাম দেখো গোল কিপার বল ধরসিলো কিনা
    .

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      এহসান ভাই, ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে। তবে যদি বেয়াদবি না নেন একটা কথা কই। লিভারপুল লাস্ট যেবার চ্যাম্পিয়ন হইলো (২০০৫ সালে) সেবার সেমিফাইনালে চেলসির সাথে যে গোলটা হইছিলো সেটার বৈধতা প্রমাণ কইরা যদি কোন ডকুমেন্ট দিতেন বাধিত থাকতাম।

      জবাব দিন
      • এহসান (৮৯-৯৫)

        Whenever anti-Liverpool people talk about that ghost goal; they just cynically and cautiously avoid the whole scenario.

        After just four minutes John Arne Riise found Gerrard, who cleverly chipped his pass into the path of Milan Baros.The Czech Republic striker found himself one-on-one with his countryman Petr Cech and lobbed the ball over him before being poleaxed by the goalkeeper.

        Referee Lubos Michel allowed play to go on as Luis Garcia reached the loose ball before the Chelsea defence and clipped it goalward. John Terry couldn't stop it but Gallas desperately hacked the ball away. The ball which was ruled to be in by Slovakian linesman Roman Slysko.

        Had the referee applied the letter of the law, he should have awarded Liverpool a penalty and sent off Cech for the foul on Baros. As it stood, Chelsea probably got off lightly by just conceding a goal. TV replays failed to prove that the ball had actually crossed the line or not.

        After the game The official stated that if the linesman had not given that 'ghost goal', he would have sent off Petr Cech and awarded Liverpool a penalty. Liverpool could have been potentially 1-0 up against 10 men than against 11 men.

        Chelsea would have played 86 mins plus stoppages with 10 men. I don't know any Liverpool fan that wouldn't have wanted a penalty against their sub keeper and playing the remainder of the game against ten men, remember Chelsea couldn't score with eleven!

        জবাব দিন
  3. সাল্লু (৯২/ম)
    রুনী, তেভেজ আর এভ্রার আছে হলুদ কার্ড তাই এই খেলায় আরেকটা হলুদ কার্ড হলে সম্ভাব্য ফাইনাল মিস হবে।

    শুনছিলাম এই নিয়ম এট্টু চেঞ্জ হয়ে গেছে (সেমিতে ২য় হলুদ কার্ড খাইলেও ফাইনাল খেলা জায়েজ আসে)

    জবাব দিন
  4. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ক-ত-দি-ন ফুটবল খেলা দেখতে পাই না! :no:

    অথচ, কলেজে একদিন ফুটবল না খেলতে পারলে ভাতই হজম হইতো না।

    এহসান ভাইয়ের রিভিউগুলা 'সিরাম' :salute:


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ওহ... কতদিন পর এহসান ভাইয়ের প্রিভিউ :awesome:

    আর্সেনাল ১ম থেকেই এই টুর্ণামেন্টের আউট সাইডার, এই মৌসুমে প্রায় পুরাটাই আর্সেনাল স্ট্রাগেল করেছে, আরশাভিন না আসলে এবার ৪র্থ স্থানও অনিশ্চিত ছিল, ব্যক্তিগতভাবে আমি এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে যে ফলাফল পাবো তা বোনাস হিসেবে দেখছি... তবে আগামী মৌসুম নিয়ে বেশ আশাবাদি (যদি ওয়েঙ্গার একটু টাকা খরচ করে ট্রান্সফার মার্কেটে)

    আর একটা কারেকশন ছিল এহসান ভাই, খেলা বাংলাদেশ সময় ১২৪৫ এ।

    finally, In Arsene we trust


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. সামি হক (৯০-৯৬)

    আজকে ম্যান ইউ হারলে আমার পক্ষ থাইক্যা সবাই মিস্টি খাইয়া নিয়েন/নিও B-) । আর ফয়েজ ভাই রে মিস্টির ভাগ দিতে চাইছিলাম না যেহেতু উনি ইংলিশ টিম ভালা পায় না, কিন্তু কালকে চেলসি রে যদি বার্সেলোনা হারায় তবে আপনি ডাব্ল মিস্টি খেয়েন।

    যাই খেলা দেখি... কেউ যদি অনলাইনে খেলা দেখতে চায় তবে এই সাইটে গেলে দেখতে পারবে, এইখানে ইউরোপের সব লিগের খেলা দেখা যায় 😀 😀

    http://livefooty.doctor-serv.com/

    জবাব দিন
  7. রকিব (০১-০৭)

    আর্সা অগোছালো খেলার যেই নমুমা দেখাচ্ছে, তাতে আমি বেশ সাহস পাচ্ছি, কলেজ টিম নিয়া ওদের বিরুদ্ধে খেলতে :grr:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  8. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    ফাইনালে জিতার পরে বড় হাসি দিবো ইনশাল্লাহ ......... আপাতত 🙂
    লাল কার্ডটা মানতে পারলাম না ............
    আশা করি চেলসি উঠবে ওই সেমি থেকে .........
    ই পি এল পাথরায় ...... 🙂

    জবাব দিন
  9. এহসান (৮৯-৯৫)

    প্রথম ১১ মিনিটেই খেলা শেষ হয়ে গেছে। এরপর ম্যান ইউ আয়েশ করে খেলছে। খেলোয়াড় বদলায় আর একেকজন কি হাসি দিয়া বাইর হয়...আহা... x-(

    আর্সেন ওয়েঙ্গার কি কমু... আমার মতে ট্যাক্টিক্স এ পুরা আউট প্লেইড বাই ফারগুসন। যেখানে ম্যান ইউ তিন জন হোল্ডিং প্লেয়ার খেলাচ্ছে সেখানে সং একা। সামির নাসরী বাম দিকের পরিবর্তে মাঝমাঠে খেলা উচিত ছিলো আর ভ্যান পার্সি বামে খেললে হইতো। ৪-৪-২ তে ওরা টিকে নাই। সং রে সাহায্য করতে নীচে আইসা ফ্যাব্রিগ্যাস মাঠের ফাইনাল ৩য় ভাগে ইনএক্টিভ হয়ে গেসে। এই জন্য ম্যান ইউ এর মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রন খুব সহজ হইসে।

    রেফারিং একটু ভুয়া লাগসে। হুদাই কিছু ফ্রি কিক দিয়া খেলার ফ্লো থামাইসে। লাল কার্ড টা মারাত্বক ভুল সিদ্ধান্ত। বেচারা ফ্লেচার ফাইনাল মিস করবে। আজব ব্যাপার হচ্ছে কোনো আপিল করা যাবে না।

    জবাব দিন
  10. সামি হক (৯০-৯৬)

    এহসান ভাই আপনার সাথে পুরাই একমত যে ওয়েনগার ট্যাকটিসে মারাত্মক ভুল করে বসছে। কি আর করা ...

    অনেকদিন পর দেখলাম রেফারীর একটা ডিসিসন ম্যান ইউ এর বিপক্ষে গেলো। হুদা কামে বেচারা ফ্লেচার রেড কার্ড খেলো।

    ম্যান ইউ হারলো না 🙁 দুংখ দুংখ 🙁

    জবাব দিন
  11. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আগেই বলেছিলাম এবার আর্সেনাল যা পাবে তাই বোনাস, তবে বোনাস আর পাইল না, ম্যান ইউ'র কাছে পুরাপুরি আউট প্লেড হয়েছে।

    ওয়েঙ্গারের ট্যাকটিক্স ধরা খেয়ে গিয়েছে, তবে ১ম লেগের দুই সেরা পারফর্মার গিবস আর আলমুনিয়ার দুই ভুলের কারনে ১১ মিনিটেই ২ গোল খেয়ে যাওয়ার পর কোন ট্যাকটিক্সই কাজে লাগতো না ম্যান ইউ'র সাথে...

    রেফরিং পুরা ফালতু হইছে, অনেক উলটা পালটা ফ্রি কিক দিছে, আর পেনাল্টি আর ফ্লেচারের লাল কার্ড দুর্ভাগ্যজনক।

    এ থেকে একটাই প্লাস পয়েন্ট হতে পারে আর্সেনালের জন্য, এবার যদি আর্সেনাল দু'একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ায়, বিশেষ করে ডিফেন্স আর হোল্ডিং মিডফিল্ডে... কারন এরকম বিগ ম্যাচের মেন্টাল প্রেশার নেবার জন্য সেরকম কিছু খেলোয়াড় দরকার।

    আর ম্যান ইউ'র ৩য় গোলটা অসাধারন লেগেছে, সেই হেনরির আমলের আর্সেনালের কাউন্টার এট্যাকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল... (আমি সাধারনত ম্যান ইউ'র প্রশংসা করি না, তবে ১৩ সেকেন্ডের কাউন্টার এট্যাকটা সত্যি অসাধারন ছিল :clap: )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  12. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    খেলা নিয়া আমি আলোচনা করা বাদ দিছি। কারণ বিভিন্ন দলের সাপোর্টার কথা অনেকটা রাজনৈতিক কর্মীদের মত। তারপরেও এখানে কিছু নিরপেক্ষ মন্তব্য দেখলাম বলেই মন্তব্য করি। প্রথম কথা হলো খেলাটা আমি খুব এনজয় করি। আর এনজয় করতে হলে একটা দল সমর্থন করতে হয় তা না হলে আনন্দ ঠিক আসে না। কিন্তু তাই বলে সত্যকে অস্বীকার করে অবশ্যই নয়। ম্যানচেস্টার জিতলে সমর্থক হিসাবে আমি কোন আলাদা অনুদান পাই না কিংবা অর্থনৈতিক লাভ জড়িত নেই কিংবা হারলে কোন অর্থবিয়োগের সম্ভাবনাও নাই। তাই নিরপেক্ষতা অন্তত খেলা বিশ্লেষণে করা উচিত।
    যারা প্রপাগান্ডা ছড়ান ম্যানচেস্টার চুরি করে জেতে তারা কালরাতের পেনাল্টি ঘটনা ভুলে যাবেন যেভাবে ভুলে গেছেন গত মৌসুমে গুরুত্ব পূর্ণ সময়ে চেলসি লিগ ম্যাচে ম্যাবনচেস্টারের সাথে পেনাল্টি নিয়েছিল। কিন্তু তাদের মনে থাকবে টটেনহামের সাথে ম্যানইউর পেনাল্টিটা হয়নি। এটাই সমস্যা। পক্ষের ডিসিশন ভুলে যাই বিপক্ষের ডিসিশন মনে থাকে। ভাবতেসি এক্সেল শীট খুলব কোন দল কয়টা বিতর্কিত ডিসিশন পায় এটা নিয়ে। যেমন গত লিগ ম্যাচে পোর্টসমাউথের সাথে আর্সেনাল ভুয়া পেনাল্টি পাইছে।
    এহসান ভাই অবশ্য মোটামুটি ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করেছেন। সে জন্য এহসান ভাইকে :salute: :salute:

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      আমিন এক্সেল শীট আসলেই দরকার, তাহলে আমাদের ও সুবিধা হইত :grr:
      আর আমার নিজের কাছে মনে হয় খেলা নিয়ে আলোচনা না করলে আমি খেলা আসল মজাই পাইতাম না... তবে কালকের ম্যাচ নিয়ে আমার দেয়া মতামত মনে হয় নিরপেক্ষই ছিল 😛


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        রাগ করলি নাকি???
        তোর মতামত নিরপেক্ষ ছিল বলেই তো মন্তব্য করলাম।
        খেলা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা আড্ডাই খেলা দেখার মজা।
        কিন্তু দোস্ত তুই তো আমার জায়গায় পড়স নাই তাই জানস না। হলে খএলা দেখতাম যখন ম্যানইউর খেলার শেষ দশ মিনিটে কিছু দর্শকের আগমন ঘটত। ম্যানইউ আগায়া থাকলে গেট থেকেই তারা নাই আর ম্যানইউ পরাজয় আর ড্রয়ের সম্ভাবনা দেখলে কষ্ট করে দশ মিনিট বসে শেষে একটা ইয়েস বলে চলে যায়।
        তুই কিংবা এহসান ভাইয়ের সমালোচনায় আনমি আলোচনার তাগিদ বোধ করি কিন্তু ঐ সব দর্শক কেবল বিরক্তি ই উৎপন্ন করে।

        জবাব দিন
        • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

          আরে রাগ কই করলাম 😮 রাগ করার কিছু ছিলো নাকি ?

          হল্যান্ড এর সাপোর্টার হিসেবে প্রতিবার বিশ্বকাপ আর ইউরো চলার সময় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইটালি, জার্মানি এইসব সাপোর্টারদের অলমোস্ট একাই সামাল দিতে হয় আমার... ভয়ঙ্কর ব্যাপার... তবে এজন্য মনে হয় আরো বেশি মজা পাই :grr:


          আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
          আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

          জবাব দিন
  13. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    "If I had said in November that we will be in the semi-finals of the Champions League and FA Cup and go 21 games unbeaten, you'd have called an ambulance!"

    Arsene Wenger before the second leg.


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাল্লু (৯২/ম)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।