ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা

ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা একটা হালকা, মাস ফুরানোর আগেই ভুলে যাওয়ার মতো কিন্তু মজার সিনেমা। ইদানিং কালের কমেডি সিনেমা গুলোর তুলনায় যথেষ্ট মজার।

সিনেমার টাইটেল এর ভিতরেই আছে তিন চরিত্র। ভিকি একজন সেরিব্রাল সচেতন তরুনী, (ব্রিটিশ রেবেকা হল আমেরিকান উচ্চারনে দারুন করেছে) ক্যাটালান সংস্কৃতির উপর পড়াশুনা করছে। বিত্তশালী ফিয়াঁসেকে নিউ ইয়র্কে ফেলে বন্ধুর সাথে বার্সেলোনা এসেছে গ্রীস্মের ছুটি কাটাতে। ভিকির বন্ধু উদ্দাম, খেয়ালী ক্রিস্টিনা (স্কারলেট জোহান্সন), জীবনের সম্পর্কগুলো নিয়ে বেশ এডভেঞ্চারাস। আর তৃতীয় চরিত্র বার্সেলোনা- পৃথিবীর অন্যতম রোমান্টিক শহর। বার্সেলোনার কারুকার্যময় স্থাপত্য আর উজ্জ্বল রোদেলা প্রকৃতিকে এমনভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে যেনো কোনো পর্যটন শিল্পের বিজ্ঞাপন। কিন্তু তিনটি চরিত্রকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে আকর্ষনীয় অন্য দুই চরিত্র পিকাসো মার্কা খেয়ালী আঁকিয়ে হুয়ান এন্টনীয় গঞ্জালো (স্পেনিস জেভিয়ার বারডেম) আর তার ভীষন আবেগী প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া এলেনা (পেনেলোপি ক্রুজ)। দারুন রোমান্টিক, সাহসী (অনেকটা বুদ্ধদেব গুহের যশোয়ান্তের মত) হুয়ান এন্টনীও দুই আমেরিকানকে পটিয়ে ফেলে; এমনকি অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে দেখার মত কিছু মেয়ে-মেয়ে ভালবাসার মুহুর্তও তৈরী করেছে। যাই হোক এই সিনেমার গল্প পুরোটাই পশ্চিমা সংস্কৃতির। তাই সিনেমা দেখার সময় তা মনে রাখতে হয়, আমাদের উপমহাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক ব্যাবধানটা মাথায় রেখে সি্নেমাটা দেখলে একবিংশ শতাব্দীর তরুন তরুনীর প্রেম দেখতে ভালই লাগবে। (সিনেমাটা দেখে আমি আমার বউরে বললাম, প্রতিটা চরিত্র তাদের আনুভূতির ব্যাপারে সৎ ছিলো। তখন আমার বউ আমারে শুধরিয়ে দিয়ে বললো শুধু ভিকি আর ভিকির জামাই অফিসিয়ালি বিবাহিত ছিল আর এই দুইজনের সম্পর্কটা মিথ্যার বেসাতি ছিল। তখনই বুঝলাম স্টার প্লাস আর বিবিসির ডেইলী সোপগুলোর পরকীয়া প্রেম আমার বউরে একটু বেশী সচেতন করে ফেলেছে।)
.
দুই স্পেনিস অভিনেতা আর অভিনেত্রী গল্পের দুই আমেরিকান কে তাদের চরিত্রের বলিষ্ঠতা দিয়ে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। পেনেলোপিকে দেখে মনে হয়েছে সিরিয়াস সিনেমা করতে করতে হঠাৎ করে পাওয়া এই চরিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। তাই পেনেলোপি যাই বলে তাই অনেক বেশী শক্তিশালী আর অন্য চরিত্রগুলোকে পলকা করে দেয়। তাই বাফটা পুরস্কারটা যথার্থ মনে হয়েছে।
.
উডি এলেন এর সিনেমায় নিজেকে চিত্রায়িত করার একটা ব্যাপার থাকে। এই সিনেমায় সেই চরিত্র হলো ভিকি। ভিকির ভিতরে একটু সূক্ষভাবে উডি এলেনীয় ম্যানারিজম ঢুঁকিয়ে দেয়া হয়েছে। উডি এলেন এই সিনেমাতে (হয়তো, আমি যা বুঝেছি আর কি!!) আর্ট,রোমান্স আর পারস্পরিক সম্পর্কের উপর আলোকপাত করেছেন। কিন্তু তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মত থট প্রভকিং বা মহাম্মদীয় ভাষায় বললে মুভড হবার মত কিছু না। আমি এমনিতে উডি এলেন এর ফ্যান না। কিন্তু উডী এলেনের সিনেমার গতি আমায় বেশ ভালো আকর্ষন করে। ম্যাচ পয়েন্টের মতই এই সিনেমার ন্যারেশনটা বেশ ভাল লেগেছে। সিনেমা এগিয়েছে খুব দ্রুত গতিতে। বলা হচ্ছে এটা একটা রোমান্টিক কমেডি। কিন্তু শুধু কাহিনী ছাড়া কমেডী খুব কম এই সিনেমায়। ভিজুয়াল কৌতুক কিংবা সংলাপীয় রসও যথেস্ট কম সিনেমাটাতে। ক্রমাগত ধারাবর্নণা সিনেমাকে গতি দিলেও মনে হয়েছে ঘটনা প্রবাহ, চিত্রনাট্যের চেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু সিনেমাটোগ্রাফি খুব দারুন লেগেছে। আমি আবার ভাল সিনেমাটোগ্রাফির ফ্যান। কিছুদিন আগে রাহুল বোসের একটা ভুলে যাবার মত সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমাটা ভুয়া হলেও সিকিমের প্রেক্ষাপটে চিত্রায়ন আমারে অবাক করে ছিলো। ঠিক তেমনি এই সিনেমার আকর্ষনীয় বার্সেলোনা প্রেক্ষাপট দারুন মোহময়। আর গান আর আবহ সঙ্গীতও দারুন লেগেছে। ট্যাংগো কিংবা সালসা সঙ্গীত আমার বেশ লাগে। আসলে পশ্চিমারা যেমন স্লামডগের ইন্ডি-পপ ফিউশনে মজা পেয়েছে তেমনি ব্যাতিক্রমী স্পেনিস/ল্যাটিন সঙ্গীতও আমাদের জন্য ভালো লাগার মত।

মোটের উপর এটা একটা সহজ(???) সিনেমা। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তি দূর করে দেয়ার মত সিনেমা।

অফ টপিকঃ আরো দেড়টা সিনেমা দেখেছি। ‘সেক্স ড্রাইভ’ পুরাটা দেখেছি, টিপিক্যাল আমেরিকান টিনেজারদের সিনেমা, এইগুলা দেখতে দেখতে আর পরমুহুর্তেই ভুলে যেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু সিনেমাগুলো এখনো দেখি। আধা যে সিনেমাটা দেখছি তা হলো র‌্যাচেল গেটিং ম্যারিড। এনা হিদওয়ে এই সিনেমার জন্য অস্কার নমিনেশন পেয়েছে। তাই চিক ফিল্মের মত নাম দেখেও দেখতে চেয়েছিলাম। খুবই টাফ সিনেমা। আধা দেখার পর বুঝেছি মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তাই সময় নষ্ট না করে বন্ধ করে দিয়েছি। সিনেমাটা এখনো মুছে ফেলি নাই কিন্তু আমি জানি শুধু শধু জায়গা নষ্ট। এটা দেখার মত সময় আর ভাব আমি কখনোই আনতে পারবো না। ছাত্র জীবনের অই দিনগুলো আর নাই। ঠিক এই কারনেই স্ট্যানলী কুব্রিকের মাত্র ৫/৬টা সিনেমা দেখলেও বাকী সিনেমাগুলো আর দেখা হবে না।

২,৮০৬ বার দেখা হয়েছে

২৬ টি মন্তব্য : “ভিকি ক্রিস্টিনা আর বার্সেলোনা”

  1. এহসান (৮৯-৯৫)

    ফয়েজ ভাই, এইটা আপনার আর আমার মত মানুষের সিনেমা। থিম প্রেমী মুহম্মদ কিংবা মাথানষ্ট (মেমেন্টো) কামরুল মার্কা সিনেমা না। তাই আপনি দেখতে পারেন 🙂

    জবাব দিন
    • ১.
      হা হা হা

      আমি মাত্র কয়েকদিন আগেই দেখলাম মেমেন্টো'র বাংলাদেশি ভার্শনটার নাম 'মাথানষ্ট'। শ্রেষ্টাংশেঃ একশন কিং মান্না ।

      তবে অবাক হইছি, 'মাথানষ্ট'র রিলিজ ডেট দেইখা। আমি ভাবছিলাম এইটা 'গজিনী' থেকা মাইরা দিছে। কিন্তু রিলিজ ডেট দেখলাম 'গজিনী'র বেশ আগে। তার মানে সরাসরি 'মেমেন্টো' থেইকা মাইরা দিছে। 😮 এইটা জানার পর 'মাথানষ্ট' ছবির পরিচালকের প্রতি আমার বেশ শ্রদ্ধা চইলা আসছে, :boss: কারন 'মেমেন্টো'র মতো ছবি নকল করতেও অনেক সাহস লাগে, তাও বাংলায়। কমপক্ষে ১ কেজি গাজা না খাইলে কেউ এই ছবি বাংলায় নকল করার কথা ভাবতে পারার কথা না। :khekz:

      ২.
      আমি কিন্তু প্রচুর আজেবাজে ছবি দেখি। বাংলা , ইংরেজি, হিন্দী সবকিছুই। এই যেমন আজকে রাতে দেখলাম কারিনা কাপুরের 'গোলমাল রিটার্ন্স' আর মিঠুন চক্রবর্তীর 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট' । তারপর শাবনুরের একটা ছবি দেখলাম গতকাল । নাম দেখি নাই। ডাইরেক্ট সিডি চালাইয়া দিছিলাম। সবুজ শাড়ি পড়া শাবনুরের বৃষ্টি ভেজা একটা গান ছিলো ছবিতে। ;;; শাকিব খানরে দেখলাম সুযোগ পাইলেই খালি শাবনুররে জড়াইয়া ধরতে চায়। 😉 আরো অনেক কাহিনী।

      কিন্তু ঐগুলি নিয়া রিভিউ করলে সিনিয়ররা মাইর দিবে। :chup:

      ৩.
      ক্রমাগত আমার আর মুহাম্মদের নামে সিসিবি'তে বদনাম রটানোর দায়ে এহসান ভাইয়ের দুই বছরের জন্য ফাঁসি চাই । :-B

      জবাব দিন
      • এহসান (৮৯-৯৫)
        ক্রমাগত আমার আর মুহাম্মদের নামে সিসিবি’তে বদনাম রটানোর দায়ে এহসান ভাইয়ের দুই বছরের জন্য ফাঁসি চাই

        ক্রমাগত.......... কই, কবে কবে, কখন??
        বদনাম........... এইটা আবার কি? কেম্নে বদনাম হইল?
        দুই বছরের জন্য ফাঁসি চাই...... 🙁

        ঠিক আছে অফ গেলাম। তাইলে ফয়েজ ভাই আমারে নিয়ে লিখবে। তাও মন্দ না 🙂

        জবাব দিন
  2. এহসান (৮৯-৯৫)

    পোস্টে বেশী ফটো দেয়া যায় না। এর উপর ফটো size এর একটা ব্যাপার আছে। তাই মুল ওয়েবসাইট থেকে ফটো দেয়া যায় না। গুগল করে ছোট ফটো খুঁজতে হয়। আগ্রহীরা মূলসাইট থেকে ফটো দেখতে পারেন।

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    মাস ফুরানোর আগেই ভুলে যাওয়ার মতো কিন্তু মজার সিনেমা।

    এহসান ভাই, আমার কিন্তু এমনটা মনে হয় নাই। ভার্সিটিতে এ পর্যন্ত ২ জনকে সিনেমাটা দেখিয়েছি। কারোরই ভাল লাগেনি। অথচ আমার ভাল লেগেছে। আমিও উডি অ্যালেনের ভক্ত না। তার ম্যাচ পয়েন্ট দেখে খুব একটা ভাল লাগেনি।
    কিন্তু উডি অ্যালেনের একটা সিনেমা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। হয়ত বুঝতে পারছেন কোনটা: অ্যানি হল। অ্যানি হল দেখার পর এটাকেই জীবনে দেখা সেরা রোমান্টিক কমেডি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম, যদিও রোমান হলিডে দেখার পর সেটা দ্বিতীয়তে চলে গেছে। হলিডে এক নম্বরে চলে এসেছে।

    অ্যানি হল দিয়েই উডি অ্যালেনকে বিচার করা যায়। ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ব আর রোমান্টিকতার রূপকার হিসেবে উডি অ্যালেন অমর হয়ে থাকবেন, মৃত্যুর পরও। এক অ্যানি হল দেখেই অ্যালেনের চিত্রনাট্যের শক্তি উপলব্ধি করেছিলাম। সেই শক্তির কিছুটা হলেও ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনাতে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর উডি অ্যালেন আবার একটি ভাল সিনেমা করলেন।
    দুজনের মধ্যে ভালবাসার একটা মিসিং লিংক থাকতে পারে এবং সেই লিংক আবার একজন জলজ্যন্ত মানুষ হতে পারে- এমন থিম আগে কোথাও দেখিনি। এগুলো করা কেবল উডি অ্যালেনকেই মানায়।
    পেনিলোপ ক্রুজ অসাধারণ অভিনয় করেছে। অস্কার পাওয়া উচিত। আর অ্যান্টন শিগার-খ্যাত জেভিয়ার বার্ডেমের ভিন্নরূপ দেখে খুব মজা পেয়েছি। স্কারলেট ইয়োহানসেন সম্পর্কে কিছু বলার নাই, তারে খুব একটা ভাল লাগে না, তবে সেক্সি আছে- এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। এজন্যই উডি অ্যালেনের সিনেমায় তাকে মানায়। এটাতেও মানিয়েছে।

    জবাব দিন
    • স্কারলেট ইয়োহানসেন সম্পর্কে কিছু বলার নাই, তারে খুব একটা ভাল লাগে না, তবে সেক্সি আছে- এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।

      শেষ পর্যন্ত ভালো পোলাডাও নষ্ট হইয়া গেলো। খালি সেক্সি মাইয়া খুঁজে 😉

      জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      পোস্টের শেষের দিকে আমি একটা লাইন লিখেছি। খুব সাহসের সাথে। কিন্তু '?' ব্যাবহার করেছি। কারন উডি এলেন কখনোই টানেল ভিশনে সিনেমা দেখার মত কিছু বানায় না। অন্যদিকে আমার মনে হয়েছে এই সিনেমায় সবার জন্যই কিছুনা কিছু আছে।

      মোটের উপর এটা একটা সহজ(???) সিনেমা।

      উডি এলেন এ ফ্রয়েড থাকবে, তাই যৌনতা থাকবে, তাই স্কারলেট থাকবে। তাই উডি এলেন আমার জন্য সহজ সিনেমা না বানালেও স্কারলেটের কারনে দেখা হয়। কিন্তু আমি কিছু কিছু ব্যাপার সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছি এই রিভিউটা লেখা সময়। আমার রেভ্যুলুশনারী রোডের প্রিভিউ দেখে আমার এক বন্ধু বলেছিলো, রিভিউ ভালো হয়েছে কিন্তু এইটা আঁতেলদের সিনেমা তাই দেখুম না। কিন্তু আমি চাই প্রিভিউ দেখে মানুষের ভিতর ছবি দেখার ইচ্ছাটা যেনো থাকে।

      ম্যাচ পয়েন্ট আর এই সিনেমা দুইটাই আমার ভাল লেগেছে। আমি আসলে সেট কিংবা লোকেশনে খুব প্রভাবিত হয়ে যাই। ম্যাচ পয়েন্টে লন্ডনের আবাসিক এলাকার রাস্তা ঘাট দেখে মনে হইসে যেনো আমার তখনকার বাসার সামনে শুট্যিং হচ্ছে। আর তাছাড়া অন্য ব্যাপারগুলো তো ছিলই। 😛

      লোকেশনের কথাই যখন আসলো একটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। একবার স্পেন গিয়েছিলাম, আমার ফেবারিট ওয়েস্টার্ন সিনেমা দ্য গুড, ব্যাড এন্ড আগলী এর সেট আর লোকেশন দেখার জন্য আমি ৩৫ ইউরো খরচ করেছি যখন আমার সাপ্তাহিক কামাই ছিলো মাত্র ৬০ পাউন্ড। বাপে জানলে পশ্চাতদেশে বিশাল গিঁট ওয়ালা বাঁশ দিয়ে দিতো। কিন্তু শওকত ভাই এর মত শখের একটা দাম আছে না। স্পেন থেকে ফিরে সেই রাতেই আবার দ্য গুড, ব্যাড এন্ড আগলী দেখছি। ভালোলাগা আরো বেড়ে গিয়েছিলো।

      জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
        কিন্তু আমি চাই প্রিভিউ দেখে মানুষের ভিতর ছবি দেখার ইচ্ছাটা যেনো থাকে।

        এইটার সাথে পুরাপুরি একমত। যে সিনেমা আসলে সবার দেখার মত সেটার কাটখোট্টা রিভিউ অনেকের সিনেমা দেখার উৎসাহ নষ্ট করে দিতে পারে। সিনেমা নিয়ে আপনার সব লেখাই কিন্তু আমার ভাল লাগছে। কমেন্ট দেখেও তো বুঝতে পারছেন। সিনেমা নিয়া কথা বলতে চরম লাগে। এই জায়গায় আসলে আমি বলার মত কিছু জিনিস খুঁজে পাই।

        আপনার শখের কথা শুনে ইউরোপ ভ্রমণেচ্ছা আরও বেড়ে গেল। যদিও বুঝতে পারছি, এখন পর্যন্ত সেটার কোন আশা নাই।
        স্ট্যানলি কুবরিক দেখা কিন্তু ছাইড়েন না। রিকোয়েস্ট। ৫টা দেখে ফেললে তো আর মাত্র ৮টা বাকি আছে। 🙂
        আমি এর মধ্যে ৮টা দেখছি। আর ৫টা বাকি আছে। নেক্সট টার্গেট ব্যারি লিন্ডন আর লোলিটা।

        জবাব দিন
        • এহসান (৮৯-৯৫)

          লোলিতা এখনো দেখো নাই? আমি বইটা আগে পড়েছি। (এইটা ছোটবেলায় পড়ে ফেলেছি যদিও এটা বড়দের ব্যাপার ছিলো)সেবা থেকে বের হয়েছিলো মনে হয়। যাই হোক দারুন লেগেছে সিনেমা দেখে। লোলিতার থিম পুরাটা নকল করে অথবা আধাটা নকল করে প্রচুর সিনেমা হইসে। পয়জন আইভি (ড্রু ব্যারীমুর) কিংবা গত বছরের অমিতাভের একটা সিনেমা নিশাব্দ এইগুলা তো সব লোলিতা থিম মেরে দিয়েছে। কিন্তু আসল লোলিতার গল্পটা বেশী শকিং। বই পড়ে নায়ককে আমার পারভার্ট মনে হয়েছিলো, সিনেমায় আবার এতো খারাপ মনে হয় নাই। অথচ বইটা আর চিত্রনাট্য একই মানুষের লেখা। পার্থক্য কি তাহলে কুবরিক ছিলো!

          অফটপিকঃ ফ্রেঞ্চ গায়িকা এলিজির(Alizee) লোলিতা গানটা শুনেছো?

          জবাব দিন
          • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

            পার্থক্য বোধহয় কুবরিকই ছিল। কারণ পরিচালক হিসেবে তার ব্যতিক্রম অনেক কিছু করার কথা। সবসময় যা করেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যা বলে, তাতে মনে হয় শতকরা ৯০ ভাগ সময়েই সিনেমার চেয়ে সংশ্লিষ্ট উপন্যাস বেশী ভাল লাগে। সত্যজিৎ এজন্যই সিনেমা করার জন্য উপন্যাসের চেয়ে ছোট-বড় গল্প প্রেফার করতেন। কুবরিক অবশ্য বলতেন, "যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় তা নিয়ে সিনেমাও করা যায়, যেকোন কিছু।"
            লোলিতা সম্পর্কে একটা মজার কথা মনে পড়ছে। সিনেমাটার এমপিএএ রেটিং ছিল PG-18 যার কারণে ১৪ বছর বয়সী নায়িকা নিজেই হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখার অনুমতি পায়নি।

            জবাব দিন
  4. ফয়েজ (৮৭-৯৩)
    মোটের উপর এটা একটা সহজ(???) সিনেমা। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তি দূর করে দেয়ার মত সিনেমা।

    :thumbup:

    তাইলে দেখা যায়। আমার জন্য বানাইছে এইটা মনে হয়।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  5. শওকত (৭৯-৮৫)

    উডি এলেনের নাম দেখেই ডিভিডিটি কিনেছিলাম মাস খানেক আগে। কিন্তু আরো ছবির ভিড়ে দেখা হচ্ছিল না। ভাবছি দেখবো আমি। আমি আবার স্কারলেটের বড় পাঙ্খা। উডি এলেন দেখে মুগ্ধ হই এ্যানিহল দেখে। আর ম্যাচপয়েন্ট-এর গল্পটা ভালই ছিল। যদিও একটু হিন্দি হিন্দি ভাব আছে।
    স্ক্যারলেট আমাকে মুগ্ধ করছিল লস্ট ইন ট্রান্সসেলেশনেও।

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    যাক এতদিনে একটা সিনেমা কমন পড়ল 😛 আমার কিন্তু ভালই লাগছে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. অ্যানি হল দিয়েই উডি অ্যালেনকে বিচার করা যায়। ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ব আর রোমান্টিকতার রূপকার হিসেবে উডি অ্যালেন অমর হয়ে থাকবেন, মৃত্যুর পরও।

    ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x( ~x(

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : এহসান (৮৯-৯৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।