ফুটবল ব্লগ

অনেক দিন পর লিখতে হচ্ছে। কারণ টরেস। আজকাল ক্লাব ফুটবল নিয়ে লেখালেখি করতে ইচ্ছে করেনা। কারণ লিভারপুল। চরম ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। তাই আগের মত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২০০ মিনিট ফুটবল দেখা হয় না। কিন্তু দেখি। ব্যবসা, খন্ডকালীন চাকরী, ঢাকা – কুমিল্লা মহাসড়কের জ্যাম, গোলাপজানের প্যানপ্যানানী, আর প্রতিনিয়তই বড় হয়ে উঠা টরেস মিয়াঁর দুষ্টুমিতে খেলা দেখার সময়ই কমে গেছে আর লেখালেখি তো অনেক দূরের ব্যাপার।

আমি প্যাচাল লিখবো… অবশ্যই ফুটবল নিয়ে। কিন্তু এখন লিখতে হচ্ছে খুব মন খারাপ অবস্থা নিয়ে। দুর্দিন শুরু হয়ে ছিলো টম হিকস আর জিলেট আমল থেকেই। তাই মৌসুমের জঘন্য শুরুর পরেও আদালতে বোর্ড রুমের সাফল্য ও নতুন মালিকদের নিয়ে ভালই দিন কাটছিলো। রয় হজসনের অবস্থাটার জন্য খারাপ লাগে কিন্তু আসলে লিভারপুলের শুরুতেই দরকার ছিলো কিং কেনীকে। বেনিটেজের নোংরা রাজনীতির পর ক্যারিশম্যাটিক কেনীই হতে পারতো ভালো মোটিভেটর। হজসনের কোচিং এর উপর যথেষ্ট আস্থা থাকলেও ওর ট্যাক্টিক্স ঠিক লিভারপুলের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ছিলো না। সেই লং বল মার্কা খেলার জন্য স্পিডি উইঙ্গার কোনোমতেই কাউট আর ম্যাক্সি না। এছাড়াও লিভারপুলের সেই রকম টার্গেট স্ট্রাইকার ও ছিলোনা। পাশাপাশি টরেসের অফ ফর্ম ও ব্যাকফোরের অবস্থাও ভালো ছিলো না। ফুলহ্যামে কঞ্চেস্কী টিকে গেলেও সে লিভারপুলের দ্রুত পাসসিং এর উপযোগী ছিলো না। ওয়ারনক কে ফিরিয়ে আনা উচিত ছিলো এস্টন ভিলা থেকে। অথবা মার্টিন কেলীর মত জুনিওর টিমের কাউকে খেলালেই ভালো ছিলো। তাই হজসন বেশীদিন টিকে নাই। দেরীতে হলেও কিং কেনী ফেরত এসেছে। স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ও ভালো সংযুক্তি ছিলো ম্যানেজারিয়াল টিমে। চার্লি এডামস এর সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই লুই সুয়ারেজের নাম শুনছিলাম। রাত জেগে অপেরা মিনিতে খালী লিভারপুল গসিপই পড়তাম। কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই সংবাদ শুনলাম যে চেলসি আরেকটা এশ্লে কোল মার্কা ট্যাপিং করেছে আর লিভারপুল সেটা বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু শুক্তুবার রাত হতেই ভয় বেড়ে যায় সান পেপার এর হেডলাইন দেখে …টরেস লিখিত ট্রান্সফার অনুরোধ জমা দিয়েছে।
টরেস ও টেরী এক দলে!!
এখন আমি নিশ্চিত যে টরেস লিভারপুল ছাড়ছে। লিভারপুল সরাসরি ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের নগদ অফার চেয়েছে অথবা ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড নগদ আর ৮ মিলিয়ন পাউন্ডের নিকোলাস আনেল্কা কে চায়। আমার মনে হয় কেনী আর বোর্ড এই সিদ্ধান্তে চলে এসেছে যে এখনই ক্যাশ ইন করতে হবে। আর আনেলকাকে নিয়ে আসলে এটা খারাপ ব্যাবসা হবেনা। কিন্তু টরসের বিকল্প কোনো স্ট্রাইকার এখন বিশ্ব ফুটবলে নাই। লিভারপুলের ফর্মেশনে খেলার জন্য স্পিডি টরেস কিংবা মাইকেল ওয়েন দরকার। সেই মাইকেল ওয়েনও নাই আর এতো স্পিডের সহজপ্রাপ্য কেউ নাই। এখন রায়ান বাবেল এর ট্রান্সফারকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ লোকসান বলা যাচ্ছে। কিন্তু আনেল্কা চেলসি ছেড়ে আসতে চাচ্ছে না যদিও এখন দ্রগবা আর টরেসই প্রথম একাদশে থাকবে আর তাকে বেঞ্চে বসেই থাকতে হবে।

টরেস কে আসলে যেতেই হতো। আবেগ বাদ দিলে এটা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। টরেসের মাপের খেলোয়াড় প্রতি বছর চ্যাম্পিওন্স লীগ খেলা দাবী রাখে। একই যুক্তিতে হয়তো জেরার্ড আর পেপে রেইনাও আসন্ন গ্রীস্মে তাদের অবস্থান চিন্তা করে দেখবে। এই মৌসুম শেষেই উয়েফা নতুন নিয়ম চাল করতে যাচ্ছে। ক্লাবগুলোকে তাদের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করতে হবে। তাই আব্রাহমোভিচ কিংবা শেখ মন্সুরের মত সুগার ড্যাডীদের পয়সায় শিরোপা কিনে নেয়ার সময় শেষ হয়ে আসছে। তাই চেলসিও মরিয়া এই মৌসুমেই টরেসকে নিয়ে আসার জন্য। আর ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড এ এই ফূটবল বাজারে টরেস ভালো বাজি। যদিও এখনকার চেলসি ৪-৩-৩ ফর্মেশন থেকে ৪-৪-২ ফর্মেশনে চলে যাবে। এতে সামনের তিন জনের বাম দিকের মালুদা লেফট উইঙ্গে চলে যাবে আর টরেস- ড্রগবা সামনের দুইজন হিসেবে থাকবে; আনেলকাকে চলে যেতে হবে বেঞ্চে। এসিয়েন, ল্যাম্পার্ড আর ওবি মিকেলকে নিয়ে গড়া তিনজন সেন্ট্রাল মিড খেলালে চেলসি প্রথম একাদশে আনেল্কাকে জায়গা দিতে পারবে না। যাই হক টরেস ড্রগবা জুটি নিঃসন্দেহে দারুণ জুটি হবে।

এদিকে রুনী ব্রিটিশ মিডিয়ার অত্যাচারে ক্লাব ছেড়ে ইউরোপের অন্য দেশে পাড়ি জমাতে চাইলে, খেলার চেয়ে ব্যাবসা জনিত কারণে ম্যান ইউনাইটেড তাকে জোর করে রেখে দিয়েছে। একজন অখুশী রুনী কতটা বাজে খেলছে তা দেখা যাচ্ছে। তাই অখুশী টরেসকে লিভারপুল বেঁচে দিলে সেটা ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু কপদের মত এত ভালোবাসা কখনোই পাওয়া যাবে না। কারণ রাজধানী লন্ডন দারুণ সব নাইট লাইফের নিশ্চয়তা দিলেও কসমোপলিটান ফ্যানরা কখনোই এতোটা আবেগী না। আর কোথায় এনফিল্ড এর কোথায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ। যাই হোক টরেসকে বিদায় বলার মানসিক প্রস্তুতি শেষ।

নতুন সাজের লিভারপুল!!


নিজের পোলার নামটাও কি বদলে দিবো। টরেস নাম বদলে সুয়ারেজ রাখা যায়। কিন্তু তখন হয়তো দেখা যাবে আমার পোলা ফুটবল বাদ দিয়ে হ্যান্ডবল দেখতে পছন্দ করে!!! কিন্তু টরেস এই সাড়ে তিন মৌসুমেই কপ লিজেন্ড। এছড়াও টরেসকে ঘৃনা করা যাবে না … অন্ততঃ ইউনাইটেডে তো যাচ্ছে না।

৩,৬২১ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “ফুটবল ব্লগ”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)

    সিসিবিতে নিয়মিত লগাইব এবং কমেন্টাইব বলিয়া সম্প্রতি ব্রত লইয়াছি ... 😀
    টরেস কিডা ??
    আপনার পোলা নিকি ??
    (নিয়মিত লেখা দিন ... সিসিবিতে নিয়মিত হউন)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আহা কতদিন পর এহসান ভাইয়ের ফুটবল প্যাচাল, খুশীতে দুইটা ডিগবাজি দিয়ে নেই :frontroll: :frontroll:

    লিভারপুলের স্ট্রাইকারদের ইতিহাসই কেমন জানি, ফাউলার, ওয়েন, আনেলকা (ওর ব্যাপার অবশ্য আলাদা) আর এখন টোরেস। সেই বিশ্বকাপ থেকে টরেসের ফর্ম খারাপ যাচ্ছে, তবে কেনি ডাগলিশ আশার পরে আবার সেই পুরোনো ঝলক দেখা শুরু করেছে। তবে লিভারপুল মনে হয় না ওকে আটকাতে পারবে, ওর কন্ট্রাক্ট এ ৫০ মিলিয়নের ক্লসটাই ওকে মুক্তি দিয়ে দেবে। আর চেলসির যে অবস্থা তাতে আব্রাহোমোভিচ ৫০ মিলিয়ন খরচে পিছপা হবে না মনে হয়। দ্রগবা, টরেস যদি একসাথে জ্বলে উঠে... ভয়াবহ অবস্থা হয়ে যাবে।
    সুয়োরেজ বেশ ভালই সার্ভিস দিবে মনে হয়, তবে লিভারপুর ধরা খেয়েছে জো কোলকে কিনে।

    ট্রান্সফার উইন্ডো খোলা আছে আর মাত্র দুই দিন, এখন পর্যন্ত আর্সেনাল কোন ডিফেন্ডার খুঁজে পায় নাই। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সিলোনার সাথে খেলা পড়ার পর ভাবছিলাম অন্তত ঐ ম্যাচের কথা মাথায় রেখে ডিফেন্স আরো শক্ত করা হবে... দেখা যাক, শেষ দিনে কোন চমক দেখায় কিনা ওয়েঙ্গার।

    ইউয়েফার আয় ব্যয়ের নতুন নিয়মটা ব্যাপক পছন্দ হইছে, আরো অনেক আগেই এরকম কিছু একটা করা উচিৎ ছিল।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      খেলা কম দেখলেও এক্কেবারেই কম দেখছি না। আর্সেনাল যে বার্সার লগে কোনো বা*ও ছিড়তে পারবে না এইটা বুঝি।
      বোল্টন মিডলসবরো থেকে হুইটার কে কিনেছে। তাই ভেবেছিলাম গ্যারী কাহিল আর্সেনালে যাবার পথ হইসে। কিন্তু আর্সেনাল কিপ্টামীর সীমা ছাড়াইয়া গেছে।

      জবাব দিন
  3. তাইফুর (৯২-৯৮)

    fantasy premier league এর position গুলা নিয়া কেউ আর ব্লগ দেয় না ...

    (নিয়মিত লেখা দিন, কমেন্ট করুন … প্রতিদিন অন্তত আধ ঘন্টা হলেও সিসিবির সাথে থাকুন) (সম্পাদিত)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  4. রায়েদ (২০০২-২০০৮)
    সিসিবিতে নিয়মিত লগাইব এবং কমেন্টাইব বলিয়া সম্প্রতি ব্রত লইয়াছি

    ব্রততো আমিও নিসিলাম কিন্তু প্রতিভার অভাবে লগাইতে পারলেও কমেন্টাইতে পারি না। 🙁 🙁

    জবাব দিন
  5. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    কনচেস্কিকে আনার দরকার কি ছিলো ইন-ফর্ম ইনসুয়াকে বাদ দিয়ে আমার মাথায় ঢুকে না। জো কোল হতাশ করছে, তবে মেইরেলেস ভালো খেলতেছে। জেরার্ড বা তোরেস আগের মত খেলতে পারতেছে না, ব্যাকফোরতো ক্লিন শীট রাখাই ভুলে গেছে। তোরেসের লিভারপুল ছাড়তে চাওয়া খুব ই স্বাভাবিক, এই বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলতে না পারলে আর কবে খেলবে?

    জবাব দিন
  6. তৌফিক (৯৬-০২)
    ক্লাবগুলোকে তাদের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করতে হবে

    স্মল মার্কেট টিম গুলার তো তাইলে কোন চান্সই নাই... কেমনে কি? আমি আসলে ইপিএল সম্পর্কে বেশি জানি না। এহসান ভাই, শইল্ডা ভালো? 🙂

    বিশ্বকাপ ক্রিকেট একসাথে যাইতে পারলে ভালো হইত ;;)

    জবাব দিন
  7. সামি হক (৯০-৯৬)

    এহসান ভাই পোলার নাম জের্রাড রাখলে পারতেন, টরেস গেছে কিন্তু ক্যারোল আসছে সুয়েরেজ আসছে আমি বড়ই আশাবাদী। সামারে আর দুই তিনটা প্লেয়ার কিনলে আর ডাগলিশ কে ম্যানেজার রাখলে সামনের বছর থেকে আমরা আবার চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইট করব ইনশাল্লাহ।

    জবাব দিন
  8. রাকেশ (৯৪-০০)

    চালু চালু, গতকাল রাতেই তোরেস চেলসিতে গেছে গা, সেই দ্রগবা আর তোরেস। এনেলকার জন্য খারাপ লাগতেসে, দেখি কয়দিন থাকে, স্টারিজ কেমন করতেছে আজকাল?

    লিভারপুল খারাপ করে নাই, সুয়ারেজ আর ক্যারোলকে নিছে, ক্যারোলের দামটা অনেক বেশী হয়ে গেছে। এরপরও খুব একটা ভাল জায়গায় নাই, জেরার্ড ছাড়া ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার আর কে?

    জবাব দিন
  9. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আমার কাছে মনে হইতেছে ক্যারোলরে এতো দাম দিয়া নিয়া লিভারপুল ভুল করে নাই। এই পোলার বয়স মাত্র ২২, অনেক দিন সার্ভিস পাবে। ফার্স্ট ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপে থাকার সময় খেলা দেখতে পারি নাই, কিন্তু এই সিজন দেখে যা মনে হচ্ছে, টপ স্ট্রাইকার হওয়ার সব গুনই আছে ওর মধ্যে। সঙ্গে সুয়ারেজ আছে (এরই মধ্যে লিভারপুলের হয়ে গোল করে ফেলছে)। সুতরাং এই জুটি তরেসের অভাব পূরন করতে পারবে বলেই বিশ্বাস।অ্যাডামকে আনতে পারলে মিডফিল্ডটা জটিল হইতো। কিন্তু মেইরিলেস আপাতত কাজটা চালিয়ে নিতে পারবে।
    আসল কথা হইছে সব মিলাইয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা হইতেও পারে লিভারপুলের। 😀


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      আমার কাছেও ক্যারোল গুড পিক মনে হয়েছে। বিশাল লম্বা ঠ্যাং আছে এই ব্যাটার, গোলের সামনে সিকি চান্স থেকেও গোল করেছে। সেই তুলনায় টরেসের পারফরম্যান্স আলু মার্কা। গোল কীপারকে একা পাইয়াও গোল করতে পারে নাই এই রকম নজির আছে মেল্লা। গত দুই মৌসুমে টরেসের যা ফর্ম, তাতে এইটারে লিজেন্ড কওনের আগে এহসানের উচিৎ স্যালাইন পানি দিয়া গার্গল করা। এর আগের কথা জানি না অবশ্য।

      এককালে লিভারপুলের বিরাট ফ্যান আছিলাম। ওদের একটা প্লেয়ার আছিল, মোচু, আয়ারল্যান্ডের প্লেয়ার, নাম মনে নাই, এইটার খেলা দেখার জন্য বিকাল বেলা মাঠে না গিয়া মাঝে মাঝে বিটিভির জিলেট ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস স্পেশাল দেখার জন্য টিভির সামনে বইসা থাকতাম। এখনো এই ব্যাটারা ভালো করলে আনন্দ লাগে খুব। তবে কামরুল মিয়া, তুমি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের যে মূলা সামনে রাখলা, তাতে মনে হইতেছে তুমি আমার চেয়েও বড় পাংখা। 🙂


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
      • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

        আমি লিভারপুলের পাংখা না। আসলে আমি এখন কোন ক্লাবেরই ডাই-হার্ট ফ্যান না। আমার সাপোর্ট সাধারনত হয় খেলোয়াড় বেইজড।
        ইংলিশ লিগে স্ট্রাইকার হিসেবে ক্যারোলের ভালো লাগে এখন, তরেসরেও পছন্দ করি আর তেভেজ তো আছেই 😀
        তবে ঠিক এই মুহুর্তে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলারের নাম বলতে বললে আমি গ্যারেথ বেলের নাম বললো।


        ---------------------------------------------------------------------------
        বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
        ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

        জবাব দিন
        • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

          ধূর, বেলের খেলা আমার ভালো লাগে না। সাঁ কইরা দৌড়ায় আর এর পরে ধাম কইরা ক্রস করে। ব্রাজিলের টাকলুটার মত। ব্রেন নাই। ট্যাক্টিস সাদামাটা। আরে এই খেলা তো আমাগো আখতারও দেখাইতে পারে। তবে ক্রস গুলা ইফেক্টিভ, মাঝে মাঝে মিডফিল্ড দিয়া দৌড়ায় বক্সের মাথা থেইকা গোলে শট নেয়, গোলও পায়। চলে আর কি।


          পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

          জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      চ্যাম্পিওন্সলিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় টটেনহ্যাম খারাপ করার কথা। ফুলহামের লগে এফ এ কাপে স্পারস হারায় তাই অনেক কষ্ট পেয়েছি। নাহলে ওরা আর কিছু দিন ব্যস্ত থাকতো। একই ভাবে এক মাত্র ট্রফি হিসেবে লিভারপুল ও উয়েফা কাপ এ সিরিয়াস থাকবে। তাই বলা যাচ্ছে না লীগ ফর্ম কেমন যাবে। আর লীগ অনেক ওপেন এখন। যেকোনো সময় হয়তো ফ্যান্টাসী লীগেও আমি তোমাদের ধরে ফেল্বো 🙂

      আমি এডামস এর ব্যাপারে এতোটা আশাবাদী না। মেইরেলেস সামার পর্যন্ত চালাইয়া যাবে... এইডা কইলে ওরে অপমান করা হয়। আর্জেন্টাইন ওই শয়তান যাবার পর একমাত্র মেইরেলেসই প্রপার রিপ্লেস্মেন্ট হইসে। এন্ড ইট ওয়াজ এ বারগেইন জাস্ট ১১ মিলিওন।

      জবাব দিন
  10. এহসান (৮৯-৯৫)

    আমি ভালো খারাপ নিয়ে বেশী এখন কইতে চাচ্ছিনা। সবাই কইবো আমি লিভারপুল বায়াসড হইয়া কইসি। যাউজ্ঞা, পরে একটা সময় কইরা ফর্মেশন হিসাবে চেলসি, লিভারপুলের লাভ লস নিয়ে লেখুম। আপাততঃ রবিবার নিয়ে টেনশিত আছি। স্করটেল কিংবা ক্যারাঘার মনে হয় টরেসের পা ভাইঙ্গা দিতে পারে।
    আমার মতে টরেসের জন্য ৫০ মিলিওন বেশী দাম পড়ে নাই। আর টরেসের ট্রান্সফার রিকোয়েস্ট ফ্ল্যাশ হবার আগেই যদি ক্যারোলরে কিনা যাইতো তাহলে আরো ১০ মিলিয়ন কম দাম পড়তো।
    ক্যারল অবশ্যই ভালো হবে। নিস্টলরয়, দ্রগবার পরে ইংলিশ লীগে আরেকজন টার্গেট স্ট্রাইকার পাওয়া গেসে। আশা করি ক্রাউচ থেকে অনেক বেশী সার্ভিস পাওয়া যাবে।
    লিভারপুলের হয়ে টরেস(চেলসিএ সাথে লীগের ১ম ম্যাচেই) ছাড়াও প্রথম ম্যাচে গোল কিন্তু সেনেগালের দিয়ুফ আর ফ্রান্সের জিব্রিল সিসেও করেছিলো। তাই সুয়ারেজরে নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। নেপোলীর কাভানীরে কিনলে আরো ভালো হইতো। কিন্তু কাভানী টরেসের সাথে ভালো খেলতো। ক্যারোলের সাথে মনে হয় সুয়ারেজ কিংবা ডেফো মার্কা স্ট্রাইকার ভালো করার কথা।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়েদ (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।