ফুটবল প্যাচাল ২০১০

ফুটবলটা এই বছর বেশী উপভোগ করি নাই। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর এখনো এই নয় মাসে থিতু হতে পারি নাই। আমার নিজের কোনো বাসা নাই এখনো, বাবার বাসায় আব্বার আম্মার রুমে আর শ্বশুরবাড়ীতে লিভিং রুমে টিভি থাকায় শুয়ে বসে আয়েশ করে খেলা দেখা যায় না। লিভারপুলের চরম বাজে মৌসুম ফুটবলের মজাটাই শেষ করে দিয়েছে। যাই হোক আর মাত্র এক মাস; এরপরই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তাই আশাকরি মৌসুমের শেষটা খারাপ হবে না।

আজকে মনে হয় চেলসি উইগানকে উড়িয়ে দিবে। তাই ম্যান ইউ এর লিভারপুলের রেকর্ড ছোঁয়ার কোনো আশাই দেখা যাচ্ছে না। আর গতকাল সেভিয়াকে ৩-২ গোলে হারানার পর মনে হচ্ছে শেষ খেলায় বার্সেলোনার হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা কম।

চ্যাম্পিওন্স লীগে লিভারপুল বাদ পড়ায় চেয়েছিলাম বায়ার্ণ মিউনিখ আর বার্সেলোনা যেনো ফাইনালে থাকে। কিন্তু এটাও সত্যি সেমিফাইনালে মরিনহোর সমর্থক ছিলাম। যেহেতু টেকনিকের পাশাপাশি ফুটবল ট্যাক্টিক্সও আমি উপভোগ করি তাই অনেকে বিরক্ত হলেও আমার ইন্টারের খেলা ভালো লেগেছে। মেসিকে আটকাতে গিয়ে ইন্টার যেভাবে ক্লোজ ডাউন করেছে এর প্রতি উত্তরে বার্সেলোনা কোনো সমাধান খুঁজে পায় নাই। অনেকটা আকাশদের ওয়েঙ্গার সাহেবের দলের মত অবস্থা। পজেশনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে থেকেও ক্লিয়ার কাট সুযোগ কম তৈরী করেছে। তাই বার বার বার্সেলোনা লিভারপুল, চেলসি কিংবা ইন্টারের কাছে ধরা খেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এইবারের ফাইনালটা দারুণ হবে। যদিও রিবেরী আর স্নাইডারের অনুপস্থিতি একটু কম আলো ছড়াবে কিন্তু রবেন কিংবা মিলিটো কিংবা দুই ম্যানেজার ভালো ম্যাচ উপহার দিবে।

ইংল্যান্ড ম্যানেজার ফাবিও ক্যাপেলোর মেরুদন্ড বেশ ভালোই। অবশেষে ইউনাইটেড স্কাম রিও ফার্ডিনান্ড বাদ পড়তেসে মনে হয়। আসলে টেরীর সাথে ক্যরাঘার, লেডলী কিং, শোক্রস কিংবা গ্যারী ক্যাহিল যে কেউ ফার্ডিনান্ড থেকে ভালো করবে। যদি অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আনা হয় তাহলে ক্যারাঘার কিংবা কিং ভালো পছন্দ। কিন্তু বিশ্বকাপের ৩/৪ দিন পর পর ম্যাচের ধকল মনে হয় কিং নিতে পারবে না। আর গোল করার সামর্থের কথা মাথায় রাখলে শোক্রস হতে পারে ভালো পছন্দ। এই বছর ফ্যান্টাসী লীগে স্টোক সিটির ডিফেন্সের কারণেই সরেন্সন ভালো পয়েন্ট পেয়েছে। এই দিকে ইংল্যান্ডের তিন মিডফিল্ডের হোল্ডিং প্লেয়ার গ্যারেথ ব্যারী আহত, এখন জেরার্ড আর ল্যাম্পার্ডের সাথে কে খেলবে। কেউ কেউ ওয়েন হারগ্রিভসের কথা বলছে কিন্তু আমার মতে স্কট পার্কার হতে পারতো দারুণ পছন্দ। যদি জেরার্ডকে নিচে নামিয়ে আনা হয় তাহলে ইংল্যান্ড খেলতে পারে আক্রমনাত্বক ৪-৪-২ পদ্ধতিতে। আর তাহলে দলটা দাড়াঁয় হার্ট, জন্সন, টেরী, ক্যারা, কোল, মিলনার, জেরার্ড, ল্যাম্পার্ড, এশ্লে ইয়ং, রুনী আর ক্রাউচ/হেস্কী। কিন্তু ক্যাপেলো এতোটা এডভেঞ্চারাস হবে বলে মনে হয় না। সেই রক্ষনাত্বক ৪-১-৪-১ এর ফর্মেশনে খেলার সম্ভাবনাই বেশী।

লিভারপুলের এবছর দূরবস্থার জন্য বেশীরভাগ সমর্থক আমেরিকান মালিকদের দায়ী করলেও আমার মতে এর জন্য দায়ী রাফায়েল বেনিটেজ। ফুটবল ট্যাক্টিক্সে ভালো হলেও তার ইগোর কাছে বলি হয়েছে পাবলো আইমার, আলোন্সো, সিসের মতো প্লেয়ার। এছাড়াও অনেক ভালো ইউটিলিটি প্লেয়াররাও বেনিটেজের জন্য ভুগেছে। বেলামী, বাবেল, বেনায়ুন কিংবা ক্রাউচ সবাই খারাপ ম্যান ম্যানেজমেন্টের শিকার হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে বেনিটেজ তার শীর্ষ স্থানীয় খেলোয়ারদেরও সমর্থন হারিয়েছে। আর এই দলে আছে টরেস, জেরার্ড এমনকি মাশকেরানোর নাম। কিন্তু লিভারপুলের সমস্যা হলো বেনিটেজকে বরখাস্ত করলে ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তদুপরি চ্যাম্পিওন্সলীগে কোয়ালিফাই করার ব্যর্থতা এমনকি পর্যাপ্ত ট্রান্সফার মানির অভাবে কোনো তারকা ম্যানেজার এখন লিভারপুলে আসতে চাইবে না। মরিনহো রিয়াল মাদ্রিদ বাউন্ড আর হিডিঙ্ক জাতীয়দলেই বেশী আগ্রহী। তাই বাকী রইলো গরপড়তার চেয়ে একটু ভালো মার্টিন ও’নিল আর ফুলহামের রয় হজসন। এত কিছুরপর ১৬ মিলিয়ন খরচ হলেও বেনিটেজকে বরখাস্ত করে কিং ক্যানী ডাগ্লিশকে ম্যানেজার হিসেবে আনা উচিত। জেরার্ডকে রিয়ালের কাছে আর টরেসকে ম্যান সিটির কাছে বিক্রি করে মাশকেরানো, রেইনা, ডার্ক কাঊট, বেনায়ুন, ক্যারাঘার, জন্সনদের সাথে স্টিভেন আয়ারল্যান্ড, আনেল্কাদের নিয়ে দল নতুন করে তৈরী করা উচিত। কিন্তু আজকে দেখলাম টরেস, মাশকেরানো আর জেরার্ড বিশ্বকাপের আগেই দলের লক্ষ্য জানতে চেয়েছে। আর তাই আজকে হাল সিটির সাথে খেলা শেষ হবার পর থেকে ৩০ মে এর আগেই বেনিটেজের বিদায় ঘটে যেতে পারে।

লিভারপুল ছেড়ে চলে যেতে পারে এরা তিন জন

লিভারপুল ছেড়ে চলে যেতে পারে এরা তিন জন


এই মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় মেসি। মেসি দারূন ফর্মে থাকায় বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা বেশ লাফাচ্ছে। মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ মনে হয় জিতেই গেছে। কিন্তু তাদের দু একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আর্জেন্টিনা দলে বার্সেলোনার জাভি খেলে না। তাই মরিনহোর মতো মেসিকে আটকিয়ে দিলে হিগুইয়ান কিংবা টেভেজকে আইসোলেটেড হয়ে দাড়িঁয়ে থাকতে হবে। বুড়া ভেরন কতটূকু কি করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ করা যায়। ডি মারিয়া লেফট উইঙ্গে দারূণ হলেও রাইটে কে খেলবে? আর সেন্ট্রাল ডিফেন্সে লম্বা কিছু (ডেমিকেলিস) প্লেয়ার ফর্মে ফিরলেও আর্জেন্টিনার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা তাদের দুই ফুল্ব্যাক। জানেত্তি কিংবা হেইঞ্জা তাদের গতি হারিয়েছে বছর দুই আগে। আর এরা ম্যাচের শুরুতেই গতির কাছে হেরে ফাউল করে হলুদকার্ড খেয়ে ফেলতে পারে। এইবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ছাড়াও ফেবারিট হিসেবে আছে স্পেন। কিন্তু বাজে সময়ে টরেস আর ফ্যাব্রিগ্যাসের ইঞ্জুরী তাদের ভোগাতে পারে। হল্যান্ডের দলটাও বেশ ভালো। সবার আগে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে তারা। কিন্তু প্রলিফিক গোল স্কোরারের অভাব তাদের ভোগাতে পারে। ফন পার্সি মাত্রই ইঞ্জুরী থেকে ফিরলো। তাই রোবেন, স্নেইডার আর ডার্ক কাউটের মতো মাঝ মাঠের খেলোয়াড়দের কাছেই তাদের গোলের আশা করতে হবে।

সিসিবি ফ্যান্টসী লীগ শুরুতে বেশ জমে উঠলেও এখন বেশ ঝিমিয়ে পড়েছে। অনেকেই আগে থেকেই হার মেনে নেয়ায় আর জমলো না। ল্যাম্পার্ডকে বাদ দিয়ে জেরার্ড নিয়েই আমি ডুবলাম। আর চেলসিও ৭-০ তে দুই ম্যাচ জিতলো আর ওই দুই ম্যাচে আমার আগের দল গুলো ল্যাম্পার্ড কে ক্যাপ্টেন রেখেছিলো। তাই শীর্ষ স্থান থেকে ১৫০ পয়েন্ট পিছনে আমি। আমার আগের রবিনকেও ধরতে পারবো না হয়তো পেছনের কামরুল ও আমাকে ধরতে পারবে না। অন্যদিকে গোলাপ, তানভীর কিংবা তপুর অবস্থানেরও পরিবর্তন হবে না। যাই হোক সিলেট ক্যাডেট কলেজই চ্যাম্পিওন। আর কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ও ভালোই করেছে। আর ব্যাচ হিসেবে মনে হয় ৯৪ ব্যাচ সেরা। ৯৬ ব্যাচ অনেক তাফালিং করে কোনো প্রতিযোগিতাই করতে পারলো না।

১,৯১০ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “ফুটবল প্যাচাল ২০১০”

  1. আহমেদ মাশফিক রায়হান সিউল (১৯৯৮-২০০৪)

    টপ ফোরের সাথে এগুলি প্রায় প্রতি সিজনেই ঘটে, এবারও নতুন কিছু হয়নি। বার্সা-ইন্টার ম্যাচ নিয়ে গোল.com -এর একটা লিখা পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম। ওরা বলেছিল "গার্ডিওলার প্ল্যান-বি এর কথা ভাবার সময় হয়েছে".......আসলেই তাই, মরিনহো যেভাবে আটকে দিল সেটাই স্বাভাবিক ছিল। এরআগে রুবিন কাজান একই কাজ করে গিয়েছিল। যাই হোক, সিজন হাইলাইটে একটা জিনিস আলাদা করেই বলব আমি........

    এবার আমি যেটা মুগ্ধ হয়ে দেখেছি সেটা হল ইউরোপা লীগে ফুলহ্যাম রূপকথা এবং তাদের সমর্থকদের সমর্থন।সমর্থকদের সবার পুরো ইউরোপ ঘোরার টাকা ছিল না কিন্তু "হয়তোবা আর কোনদিন নিজের দল এত উপরে উঠবে না" এই জিনিসটা মাথায় রেখে তারা টাকা ধার করেও খেলা দেখতে গিয়েছেন। ফুলহ্যাম টিমটাও হতাশ করেনি তাদের, একটার পর একটা টিমকে হারিয়ে ঠিকই ফাইনালে উঠেছে ইউরোপা লীগের। রয় হজসনকে স্যালুট, উনি এমন একটা টিম তৈরী করেছেন যারা স্টার নয় কিন্তু প্রতিটা ম্যাচ জিততে চায় এবং জিতে আসেও........জুভেন্টাসকে হারানো ম্যাচটার আমি হাইলাইটস দেখেছি সকারক্লিপসে... একটা টিম যখন জানে তাকে নেক্সট রাউন্ডে যেতে হলে ৭০ মিনিটে ৪ গোল করতে হবে তখন তারা কিভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করে সেটাকে সম্ভব করে ফেলে এটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে........হ্যাটস অফ টু দেম

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      ফুলহ্যাম নিয়ে তোমার কথাবার্তার সাথে একমত। আমার মতে হজসনেরই ম্যানেজার অফ দ্য ইয়ার হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু হয়ে গেলো হ্যারী রেডনাপ। যাই হোক বুলার্ডের ভেল্কীর কথা ভুলে ওর ইঞ্জুরী হিস্ট্রীর কথা মাথায় রেখে ভালো দামে হাল সিটির কাছে বেচে দেয়াটাও ছিলো একটা মাস্টার স্ট্রোক। ওদের ব্যাক রুম স্টাফরাও প্রশংসার দাবীদার। জামোরাকে বছর ধরে ফিট রাখাও একটা ব্যাপার। জামোরা অসাধারণ খেলেছে। ওর কয়েকটা ইম্পর্ট্যান্ট গোল ছিলো গোল অফ দ্য ইয়ার হবার দাবীদার। কিন্তু তারপরেও হয়তো বিশ্বকাপের দলে তাকে দেখা যাবে না। ড্যানী মারফি আর ড্যামিয়েন ডাফ ও বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখিয়েছে।

      টপ ফোরের সাথে এগুলি প্রায় প্রতি সিজনেই ঘটে, এবারও নতুন কিছু হয়নি।

      বুঝি নাই... বুঝায়া বলো তো কি বলতে চেয়েছো।

      জবাব দিন
  2. তাইফুর (৯২-৯৮)

    ফ্যান্টাসী ফুটবল মাইনষে খ্যালে ??
    ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া স্বপ্নের মধ্যে ...
    মাঠে আইসেন ... :grr:

    (আংগুর খাওয়া হইল না আমার)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  3. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    বস, ভাবীর এই ফুটবল ভক্তিটা কিভাবে আমার বউয়ের মধ্যে আনা যায় কোনো উপায় বলতে পারবেন? সেদিন ম্যান সিটি আর ম্যান ইউয়ের ম্যাচটা ম্যান ইউয়ের জেতা কেনো এত গুরুত্বপুর্ন ২০ মিনিট ধরে ব্যাখ্যা করার পরে, সে কমেন্ট করলো --- "আমি মাছ রান্না করলে তুমি খাবা ???? "

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      😀 আসলে ফুটবল ভক্তি টক্তি ভুয়া... আমার লগে বইসা বিবিসিতে গ্যারী লিনেকার, শিয়েরার, মার্ক লরেন্সনদের পন্ডিতি শুইন্যাই তাফালিং বারসিলো। এখন দেশে আইসা সব ভুইলা যাইবো। বিশ্বকাপ পর্যন্ত এইটা থাকবে। আগামীবার আর পারবো না।

      জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    বেনিটেজ পর পর দুই ম্যাচে একই টিম শেষ কবে নামিয়েছে আমি মনে করতে পারব না। রোটেশন করানো ভালো, কিন্তু বেশি রোটেশনে যে টিম কেমিস্ট্রি তৈরী হয়না এটা কে তাকে বুঝাবে! বাবেলের অনেক সম্ভাবনা ছিল, দুই পায়ে সমানভাবে খেলতে সক্ষম এই প্লেয়ারটা নিজের দোষে ডুবল, নাকি বেনিটেজের কারণে ডুবল ঠিক বুঝলাম না!

    বার্সেলোনার বিপক্ষে মরিনহোর ট্যাকটিক্স দেখে খুব একটা অবাক হয়নি, এরকমই হওয়ার কথা ছিল। যদিও ইন্টার হোমে বার্সার সাথে ৩ গোল করবে এটা আন্দাজ করতে পারিনি। বিশ্বকাপে এমনিতেই দলগুলো একটু রক্ষণাত্বক খেলে, তার উপর মেসির বিরুদ্ধে মরিনহোর সফল ট্যাকটিক্স-এ অনেক দেশের ম্যানেজারই উদ্বুদ্ধ হবেন এটাকে অনুসরণ করতে।

    ইংল্যান্ডের মাঝমাঠে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলাবে সম্ভবত, ক্যাপেলো কাকে খেলাবে ঠিক বুঝতে পারছিনা- মিলনার হতে পারে, সেক্ষেত্রে জেরার্ডকে যে কোন একটা উইং এ খেলতে হবে।

    ফুটবল নিয়ে আপনার কাছ থেকে আরও পোস্ট চাই এহসান ভাই।

    জবাব দিন
  5. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ৯৬ ব্যাচ ভাইয়া দেখেন না আগামীবার কি করে। এইবার হইল না। আকাশ হঠাৎ কইরা পিছাইয়া গেল আর দুই হাসান (কামরুল আর মেহেদী) ওরাও যদি শেষ পর্যন্ত লেগে থাকত তাইলে ১০ এর মধ্যে আমরা ৪ জন থাকতাম। আমাদের আরেকজন ডার্ক হর্স আছে মর্তুজা দেখেন ও অনেক পরে যোগ দিয়েও ১০০০ এর উপরে পয়েন্ট পাইছে। আগামীবার আমরা কাপাইয়া দিমু ইনশা আল্লাহ।
    আর আমি তো এইবার অনেকটা লাকের উপর দিয়ে আইসা গেছি টপ ৩ এ। এবার প্রথমদিন টিম বানিয়েছিলাম আপনার লেখা থেকে হিন্টস নিয়ে আর দাম দেখে দেখে , কাউরে চিনতাম না। এখন দেখি অনেকরেই চিনি আড্ডায় দেখি মাঝে মাঝে ব্যাপক বিশেষজ্ঞ মতামত ও দিচ্ছি। অতএব আগামী বার ৯৬ পাথ্রাইব।

    জবাব দিন
  6. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    লিভারপুল নিয়া এত্ত কথা কইলা, কোন দরকার আছিল? খামোখা সময় নস্ট।

    আর্জেন্টিনার মূল সমস্যা গোবর ভর্তি ম্যানেজারের মাথাটা, এই কথাটা এক বারও কইলা না। ফালতু রিভিউ হইছে। :thumbdown:

    ব্রাজিল ভালো করলে হালার পুত দুংগার জন্যই করবো, আমি এইটারে দুই চউক্ষে দেখতে পারি না। শালা খেলায় জার্মানদের মত। রোবট।

    কই যেন পড়লাম মরিনহো ইংলিশ লীগে যাইবার চায়, আর ফার্গুসন নাকি রিটায়ার্ড করবো, চাইতেছে মরিনহো আইসা হাল ধরুক, ঘটনা কি সত্য নাকি?

    ফ্যান্টাসী পুরাই ফালতু হইলো এইবার। মাঝখানে ভালোই করছিলাম, কিন্তু এইসাথে এত্তগুলা ইঞ্জুরিতে পড়লো, কার্ডও আগেই খেইলা ফেলছি, তবে সবচেয়ে বড় ভূল করছি ডিফেন্স বেইচ্চা মিডফিল্ড আর ফরওয়ার্ডের পিছনে পয়সা খাটাইছি, এইগুলা স্পেক্টেশন অনুযায়ী ক্লিক করে নাই।

    ব্যাপার না, বেটার লাক নেক্সট টাইম আর কি 😀


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আহ, কতদিন পর এহসান ভাইয়ের পোস্ট 😀 এই পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে সেটা মূল পোস্টের চেয়েও বড় হয়ে যাওয়ায় আলাদা পোস্ট আকারে দিলাম এখানে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  8. এহসান ভাই দেশেই থাকবেন নাকি? নেক্সট টাইম দেশে গেলে তাহলে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে ...

    ফার্দিনান্দ ইনজুরড না থাকলে কাপেলো ওকেই খেলাবে দেইখেন; সাথে নিবে হয়তো কিং, ক্যারাঘার আর আপসনকে ... টটেনহামের ডসনের খেলা বেশ ভালো লাগসে, ওকে নিবে কিনা কে জানে ...

    ইংল্যান্ডের বেশ ভালো কিছু উইংগার আছে এইবার; লেনন, এশলে ইয়ং, এডাম জনসন ... ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে হয় ...

    তবে শেষ কথা হচ্ছে ইংল্যান্ড টিমটা ভাল্লাগে না; এরা ডাব্বা মারলেই খুশি হই 😀 ... স্পেন ভালো করলে আরো খুশি হই কিন্তু যেভাবে সব প্লেয়ার একটার পর একটা ইনজুরড হচ্ছে তাতে শেষমেষ এরা কদ্দূর যাবে বলা মুশকিল ...

    ফ্যন্টাসি লিগ খুব আগ্রহ নিয়ে শুরু করসিলাম, প্রথমে ভাও বুঝতে না পেরে প্রতি সপ্তায় গাদা গাদা প্লেয়ার চেঞ্জ করে ধরা খাইসি ... পরে যখন কন্সিসট্যন্ট হইলাম তখনি দেশে গেলাম; তিন সপ্তা আর টিম বদলানোর চান্স পাইলাম না, তখন একবার ধরা ... তাও ফেরার পর রিকভার করলাম, তারপর আস্তে আস্তে একপর্যায়ে চার নাম্বারে কামরুল ভাইরে টাচ করলাম; করে ফেইসবুকে মেসেজ দিলাম আপনাকে ধরে ফেলসি, নেক্সট সপ্তায় ক্রস করে যাব ... তখনো জানতাম না কামরুল ভাই জাদু-টোনার চর্চা করেন, উনি এমন বাণ মারলেন যে পরের সপ্তায় টিম চেঞ্জ করতে ভুলে গেলাম, সেই সপ্তাতেই আবার ষোলটা ম্যাচ ছিল ... পাঁচের থেকে এক সপ্তার মধ্যে আঠারোতে, ফ্যন্টাসি এইখানেই শেষ 😀

    নেক্সত সীজনে সবাইকে দেখে নেয়া হবে 😀

    জবাব দিন
  9. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    ম্যারাডোনা দেখলাম চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষনা করেছে -----
    সার্জিও আগুয়েরো
    মারিয়ানো আন্দুয়ার
    মারিও বোলাত্তি
    নিকোলাস বুরাদিসো
    মাইকেল ডিমাইকেলস
    জোনাস গুতিয়ারেজ
    গ্যাব্রিয়েল হাইঞ্জ
    গোঞ্জালো হিগুয়েন
    হ্যাভিয়ের ম্যাসচেরানো
    লিওনেল মেসি
    দিয়াগো মিলিতো
    নিকোলাস ওতামেন্দি
    মার্টিন পালেরমো
    হ্যাভিয়ের পাস্তর
    দিয়েগো পোজো
    ক্লেমেন্তে রড্রিগুয়েজ
    ম্যাক্সিমিলানো রড্রিগুয়েজ
    সার্জিও রোমেরো
    ওয়াল্টার স্যামুয়েল
    কার্লোস তেভেজ
    হুয়ান ভেরন

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তাইফুর (৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।