Revolutionary Road… একটি দূঃস্বপ্ন!!

অত্যন্ত সুচারুভাবে নির্মীত, শক্তিশালী অভিনয় আর সময়কে থমকে দেয়া অসাধারন গল্পের এক সিনেমা Revolutionary Road। টাইটানিকের কেট উইন্সলেট আর লিওনার্দো ডিকাপ্রিও আবারো একসাথে! আবারো অসাধারন অভিনয়! আবারো অস্কারের জন্য মনোনীত (আশা করি)এবং ভীষনভাবে মনে করিয়ে দিলো রুপালী পর্দায় দীর্ঘ ১১ বছর পরেও তারা একে অন্যের পরিপূরক।
revolutionary road
১৯৬২ সালে রিচার্ড ইয়েটস এর লেখা একটি উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানানো হয়েছে। আইসেন হাওয়ার যুগের একঘেঁয়ে চাপিয়ে দেয়া লোক দেখানো সাম্যবাদী আমেরিকান জীবনের পটভূমিতে গল্পটা এগিয়েছে। যদিও গল্পের লোকেশন হল উপশহর কিন্তু বাস্তবতায় গল্পটা হল এক স্বপ্নের জগতের, এক মায়াময় আকাংখিত জীবনের। উপশহরে এক দম্পত্তির সম্পর্কের টানা পোড়ন এর করুন সমাপ্তিই শুধু নয়; এই সিনেমাটার রয়েছে একটা দুর্দান্ত শক্তি ও অসাধারনত্ব যার প্রভাব পড়বে দর্শকের (৩০ বা ততোর্দ্ধ) দৈনন্দিন পথচলায়।

শুরুটা হয়েছে খুব দ্রুত,একজন উচ্চাকাংখী অভিনেত্রী ‘এপ্রিল’হঠাৎ করেই ফ্রাংকের জন্য দুর্নিবার আকর্ষন অনুভব করে। এটা ছিলো অফুরন্ত উদ্যম আর সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ এক মূহুর্ত। তারা ছিলো সবার চোখে পড়ার মতো একটি সুখী পরিবার। সিনেমাতে তাদের বর্নণা দেয়া হয়েছে “The Wheelers, that nice couple who live in that sweet house on Revolutionary Road”.শহরের একটু বাইরে উপশহরে সুন্দর ছিমছাম গুছানো এক বাড়িতে থাকে এই তরুন দম্পত্তি। কর্পোরেট জীবনের সিঁড়ি বেয়ে একটু একটু করে উপরে উঠার আশায় প্রতিদিন সকালে ফ্র্যাঙ্ক তার ধূসর স্যুট আর হ্যাট পরে নিউ ইয়র্কে ছুটে যায় ও সন্ধ্যায় ফিরে। অন্যদিকে তেমন কোনো সাফল্য ছাড়াই ‘এপ্রিল’ এর জীবন কাটে উপশহরের নিরানন্দ পরিবেশে। স্থানীয় মঞ্চে টুকটাক অভিনয় ছাড়া নিতান্তই একঘেঁয়ে জীবন। নয় বছর পর দুটি বাচ্চা আর দুটি ভেঙ্গে পড়া জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আস্তে আস্তে বদলে যায় জীবনের তাল আর সুরগুলো। একসময় তারা কিন্তু আর নিজস্ব অস্তিত্বের দুইজন ভিন্ন মানুষ থাকে না। এ যেনো এক অভিন্ন সত্বা; সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের স্বপ্নের জাল বুনেই যার দিন কাটে। এরপর গল্পটা আর বলা ঠিক হবে না।

সিনেমার সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর একটি হলো মূল দুই পাত্র পাত্রীর অসাধারন ও শক্তিশালী অভিনয়। লিওনার্দো ডিকাপ্রিও দারুন ভাবে ফ্র্যাঙ্ক হুইলারের অভিনয় করছেন। দর্শক হিসাবে একদম ফ্র্যাঙ্কের ভিতরে ঢুঁকে যেতে হয়েছে; ফ্র্যাঙ্কের কষ্ট আর আবেগের সাথে এক হয়ে যেতে হয়েছে। বিশেষ করে ফ্র্যাঙ্ক এর মানসিক ভাবে ভেঙ্গেপড়া মূহুর্তগুলোতে লিওনার্দো ডিকাপ্রিও এত দারুন করেছে যে অস্কার নমিনেশন অবধারিত হওয়া উচিত। নিজের অফুরন্ত সম্ভাবনায় বিশ্বাসী ফ্র্যাঙ্ক নিজের বিয়ে, পরিবার কিংবা চাকরী নিয়ে খুশী না কিন্তু মনে করে আরো অনেক বড় কিছু তার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু প্যারাডক্স হলো আমাদের সবার মতই ফ্র্যাঙ্কেরও জীবনের অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার অভাবের জন্য স্বপ্নের পিছনে ওইভাবে ছুটা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমরা সবাই কত বড় বড় স্বপ্ন দেখি কিন্তু বাবা-মা, বউ কিংবা ছেলে মেয়ের চিন্তায় এক এক করে জীবনের সাথে সমঝোতা শুরু হয় আর স্বপ্নগুলোও ফিকে হয়ে আসে। সিনেমাতে এক পর্যায়ে ফ্র্যাঙ্ক বলে “it requires backbone to take the responsibilty”. আসলেই চারপাশের দায়িত্তের জন্য আমরা স্বপ্নগুলোকে বিসর্জন দিয়ে দেই। কিন্তু যখন এপ্রিল বলে “it requires backbone to lead a life you want” তখন দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ি- এই যে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পথচলা, চারপাশের পৃথিবীর জন্য নিজেকে বদলে ফেলা…আসলে নিজেরই পরাজয়।

অন্যদিকে এপ্রিল হুইলার এর জন্য কেট উইন্সলেট এর চেয়ে ভাল কাউকে চিন্তাই করতে পারি না। গল্পের প্রয়োজনে এপ্রিলকে কম গ্ল্যামারাস করে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাই দেখতে একটু ফ্যাকাশে লাগলেও এপ্রিল খুবই সাহসী চরিত্র। হতাশ, ক্রোধান্বিত এপ্রিল খুব প্রবল ভাবে নিজের ও ফ্র্যাঙ্কের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। অভিনেত্রী হিসাবে আপাততঃ সফল না হলেও সে জানে অনেক বড় কিছু করা তার জন্য সম্ভব। আর এজন্যই জীবনকে বদলে দেবার একটা চেষ্টা সে করে। তার পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে দাম্পত্য জীবনের কেমিস্ট্রিও ফিরিয়ে আনে। হঠাৎ করেই জীবনটা আবার রঙ্গিন হয়ে উঠে। কিন্তু মধ্যবয়সে তারুন্যের জোশ সবসময় স্থায়ী রুপ নেয় না, চারপাশের পৃথিবীটাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না। পরাবাস্তবভাবে বাস্তবতাকে যেভাবে কেট উইন্সলেট ফুটিয়ে তুলেছে এইবার অস্কার না পেলে অন্যায় করা হবে কেট উইন্সলেট এর প্রতি।

সিনেমার কারিগরী দিকগুলো বিবেচনায় নিলে Revolutionary Road বছরের সেরা সিনেমাগুলোর একটি। রিচার্ড ইয়েটস এর উপন্যাস অবলম্বনে হওয়াতে চিত্রনাট্যলেখা অনেক সহজ ছিলো। অনেক আগেই এই বইটার রিভিও পড়েছিলাম। সিনেমায় খেয়াল করলাম বই থেকে অনেক সংলাপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে; যদিও ক্লাইম্যাক্স এ বই এর সংলাপগুলো খুব হৃদয় ছোঁয়া ছিলো যেগুলো সিনেমাতে নেই। কিন্তু এখানেই স্যাম ম্যান্ডেস ওর ক্লাস দেখিয়েছে। সংলাপহীন কিছু দৃশ্যের মাধ্যমে স্যাম ম্যান্ডেস অনেক কিছু বলে দিয়েছে তাই বই না পড়লেও সিনেমার শেষ ঘটনাগুলো হৃদয়ে অনেক ক্ষরন ঘটাবে। ফ্রাঙ্ক যখন নিউ ইয়র্কে ট্রেন থেকে নামে তখন ট্রেন স্টেশনে সব কম্যিউটার গুলোর একই ডিজাইনের স্যুট কিংবা হ্যাট পরে থাকার দৃশ্যটা দারুন। আইসেন হাওয়ার এর সাম্যযুগ,তৎকালীন ফ্যাশন কতকিছু একসাথে বলে দেয়া আছে দৃশ্যটাতে।
leo
সিনেমার কাস্টিং আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে। ফ্র্যাঙ্ক ও এপ্রিল তো বটেই; এছাড়াও একটা পাগলের ছোট চরিত্র আছে। ওই লোকটা দারুন অভিনয় করেছে। (আমার ক্যাডেট কলেজের ‘ভাড়াটে চাই’ নাটকের কথা মনে পড়ছে। এখন বুঝি আবুল হোসেন স্যার কেনো কলেজের তখনকার সেরা অভিনেতাকে পাগলের শুধু ছোট একটা চরিত্র দিয়েছিলো 😛 ) বিবিসির যেকোনো প্রযোজনা আমাকে মুগ্ধ করে বিশেষ করে ক্লাসিক বইগুলোর সিনেমায় রুপান্তর কিংবা ঐতিহাসিক কোনো সিনেমার প্রযোজনায় বিবিসি সবসময় সেরা। যখন দেখলাম সহযোগী প্রযোজক হলো বিবিসি তখনই আমি নিশ্চিত ছিলাম সিনেমার সেট,পোশাক কিংবা গল্পের সময়কে ধরে রাখার ফাইন ডিটেইলগুলো খুব ভাল হবে। আমেরিকান বিউটি দেখার পর থেকেই স্যাম ম্যান্ডেস এর ভক্ত। (আমি অনেকদিন Reading শহরে ছিলাম। ছাত্র জীবন শেষ করে চাকরীজীবনের শুরুটা ছিলো Reading এ। আর Reading এর দুই সেলিব্রিটি হলো কেট উইন্সলেট আর স্যাম ম্যান্ডেস)। এই বছরের অস্কার পুরস্কারে স্যাম ম্যান্ডেসকে আমি ড্যানি বয়েল থেকে এগিয়ে রাখব।

খুব অন্ধকার, করুন এক সিনেমা Revolutionary Road। পদ্মা নদীর মাঝির মত জীবনের রূঢ় বাস্তবতা সিনেমায় দেখতে সবসময় ভাল লাগে না। তাই এই সিনেমাটা সবার ভাল লাগবে না। সারাদিন অফিস করে কিংবা সারা সপ্তাহ কাজ করে শারিরীকভাবে বিপর্যস্ত(Drained এর বাংলা খুঁজে পাচ্ছি না) হওয়ার পর সপ্তাহান্তে এই সিনেমা দেখলে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে যেতে হয়। স্লামডগ মিলিওনেয়ার যদি feelgood movie of the decade হয় Revolutionary Road হল feel sad movie of the decade। ‘তারে জামিন পার’ দেখেও মন খারাপ হয়ে যায় কিন্তু শেষে আর এতটা খারাপ লাগে না যখন দেখি পিচ্চিপোলাটা তার প্রতিভার স্বীকৃতি পায়। American Beauty এর মতোই Revolutionary Road স্যাম ম্যান্ডেস এর আরেকটা অসাধারন সৃষ্টি। এই বছরে এই রকম absorbing সিনেমা আর দেখি নাই।

৩৭ টি মন্তব্য : “Revolutionary Road… একটি দূঃস্বপ্ন!!”

  1. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    ভাই,
    আপনার সিনেমার আলোচনা গুলা আমার কাছে খুব ভালো লাগে...
    এতো সুন্দর করে লেখেন যে আশা করি, ছবিটা না দেইখাও অন্যের কাছে পাট নিতে পারবো... 😀


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  2. বন্য (৯৯-০৫)
    ছবিটা না দেইখাও অন্যের কাছে পাট নিতে পারবো

    :khekz: :khekz:
    আগে ইন থ্রিজ ফলিন কইরা এক্টু নাইচা লই..
    :tuski: :awesome: :tuski:
    :awesome: :tuski: :awesome:
    :tuski: :awesome: :tuski:
    :awesome: :tuski: :awesome:
    :tuski: :awesome: :tuski:
    :awesome: :tuski: :awesome:

    জবাব দিন
  3. জাকি (৮৯-৯৫)

    মনযোগ সহকারে পড়সি, ভালই লাগল...
    কিন্তু..

    অনেক আগেই এই বইটার রিভিও পড়েছিলাম। সিনেমায় খেয়াল করলাম বই থেকে অনেক সংলাপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে; যদিও ক্লাইম্যাক্স এ বই এর সংলাপগুলো খুব হৃদয় ছোঁয়া ছিলো যেগুলো সিনেমাতে নেই।

    ?

    আমার ক্যাডেট কলেজের ‘ভাড়াটে চাই’ নাটকের কথা মনে পড়সে। এখন বুঝি আবুল হোসেন স্যার কেনো কলেজের তখনকার সেরা অভিনেতাকে পাগলের শুধু ছোট একটা চরিত্র দিয়েছিলো

    ঠিক মনে পড়তেসে না।
    সেরা অভিনেতাটা কে ছিল?

    জবাব দিন
  4. এহসান (৮৯-৯৫)

    cynic আপনি দেখি আমার ব্যাচের। সিলেট ক্যাডেট কলেজের!!! প্রথম ডাউটটা আবার পরিস্কার করে বলেন। অনেক চুম্বক সংলাপসহ বইটার ডিটেইল রিভিও পড়েছিলাম Guardian এ। আমার কাছে লিঙ্ক নাই। গুগল করেন পেয়ে যাবেন।

    ২য় ডাউট... আরেকটু চিন্তা করেন 🙂

    জবাব দিন
  5. লিওনার্দো ডিকাপ্রিও আর রাসেল ক্রো'র Body of lies দেখলাম গতকাল রাতে। ভালোই লাগছে। এইটাও ডাউনলোড দিছি। হইলে দেইখা জানাইতেছি ক্যামন লাগলো 😀 ।

    আর এই বছরের অস্কার পুরস্কারে স্যাম ম্যান্ডেস , ড্যানি বয়েল এদের থেকে আমি ডেভিড ফিঞ্চার (the curious case of benjamin bratt) কে একটু বেশি এগিয়ে রাখব। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় দেখা যাক... 😀

    এহসান ভাই , বাংলাদেশ- জিম্বাবুয়ে খেলা দেখতেছেন নাকি? 😀

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      the curious case of benjamin bratt এখনো দেখি নাই। কিন্তু গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগসে। অনেক পেপারেও দেখলাম তোমার মত সমর্থন করে।

      লিওনার্দোর চরিত্রটা আমার বয়সের কাছাকাছি... তাই আমি এই সিনেমায় বেশী involved feel করেছি. আর স্যাম ম্যান্ডেস আর কেট এর চরম ভক্ত। তাই বোধহয় একটু পক্ষপাতদুষ্ট মত দিয়ে দিয়েছি 🙂

      জবাব দিন
      • আমিও কেটের ভক্ত ছিলাম। 😉 । টাইটানিকে উনার সেই সিন দেখার পর বহুবার উনাকে স্বপ্নে দেখছি। 😉 তবে তারপর 'হলিস্মোক' নামে একটা সিনেমায় তার একটা দৃশ্য দেখে তাকে স্বপ্ন দেখা বাদও দিছি। 😀

        স্যাম ম্যান্ডেস ভালো ডিরেক্টর। আমার নিজেরও পছন্দ। তবে ডেভিড ফিঞ্চারের কথা বলছি কারন the curious case of benjamin bratt স্ক্রিপ্টটা এমন ইন্টারেস্টিং আর ফিঞ্চার এমন দারুন ভাবে ছবিটা হ্যান্ডেল করেছেন যে আমি মুগ্ধ। তবে চুড়ান্ত মনোনয়নের আগে আসলে কিছুই বলা যায় না।

        দেখা গেল এদের কেউই পায় নায়। অন্য একজন দাও মেরে বসে আছে। 😀

        জবাব দিন
        • শওকত (৭৯-৮৫)

          আমিও কেটের চরম ভক্ত। তয় কামরুলের মতো স্বপ্ন দেখি না। (পাশে বউ ঘুমায়, তারে পাশে রাইখা কেটরে স্বপ্ন দেখা ঠিক হবে না।) হলি স্মোক দেইখা আমো অবাক হইছিলাম, দৃশ্যটার দরকার ছিল বইলাও মনে হয় নাই।
          বডি লাইস আর Revolutionary Road কিনছি। দেখার সময় পাচ্ছি না। দেখতে হবে। রিভিউ খুবই ভাল হইছে।

          জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    এহসান ভাই ব্লগের কালচারাল প্রিফেক্ট হবারও ধাঁন্দায় আছেন নাকি??? 😉
    এক্টার পর একটা জটিল জটিল সব রিভিউ দিচ্ছেন...!!! :thumbup:
    আপনারে... :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অবশেষে রিভলিউশনারি রোড দেখে ফেললাম। এককথায় মুগ্ধ হয়েছি। অসাধারণ সিনেমা। এহসান ভাইও মুগ্ধ হয়েছেন, বুঝলাম। আপনার রিভিউটা আবার পড়লাম। এবার আরও ভাল লেগেছে।
    এটাকে বলা যায় একবিংশ শতকের অন্যতম সেরা অস্তিত্ববাদী (existentialist) সিনেমা। স্যাম মেন্ডেস বোধহয় অস্তিত্ববাদ দিয়ে খুব বেশী প্রভাবিত। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, অস্তিত্ববাদ কাকে বলে? আমি তাকে কোন উত্তর দেব না। বলব, রিভলিউশনারি রোড এবং অ্যামেরিকান বিউটি মুভি দুটা দেখে নেন।

    রিভলিউশনারি রোড আগে দেখতে বলব। সেক্ষেত্রে দশর্করা স্যাম মেন্ডেসকে বুঝে যাবেন। এরপর দি আল্টিমেট অ্যামেরিকান বিউটির পুরো স্বাদটা নিতে পারবেন, সেই সাথে অস্তিত্ববাদ অনুভব করতে পারবেন।

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      i m still buzzing এমনকি দুই সপ্তাহ পরেও!! ভালো লাগার মত সিনেমারে ভাই; ভালো না লেগে তো উপায় নাই। বেঞ্জামিন দেখে ফেলেছি, ফ্রস্ট/নিক্সন দেখার সময় পাচ্ছি না। তাই শওকত ভাই এর রিভিউটা এখনো পড়ি নাই। আসলে আবার এই সপ্তহান্তে নেটের বাইরে ছিলাম। মাত্র ফিরলাম!! দেখাদেখি, লেখালেখি, প্রেম, কাজ কাম, ঘুম সব আবার শুরু হবে ইনশাল্লাহ! 🙂

      জবাব দিন
  8. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    দেখলাম সিনেমাটা।

    আসলেই আমাদের সবার জীবনেই স্বপ্ন থাকে এবং অবধারিত ভাবে ফ্রাংকের মতো তা বাস্তবে রূপ নেয় না। ক্যাপ্রিয়ও অস্কারের ভালো দাবীদার হবে এই সিনেমাটির জন্য। আর কেট উইন্সলেট দ্য রিডারের জন্য। ওখানে ও আরও ভালো অভিনয় করেছে।

    আপনার রিভিউটা খুব ভাল্লাগলো।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।