(এই সিনেমা নিয়ে লিখার কথা গত দুইদিন ধরে ভাবছি। সিনেমা দেখার আগে হোম ওয়ার্ক হিসাবে সিটি অফ গড দেখেছি। আজকে যখন পোস্ট তা দিব দেখি ইতোমধ্যে শওকত ভাই লিখে ফেলেছেন। ভাবলাম মন্তব্যে এইটা দিয়ে দেই। কিন্তু দুষ্ট ছেলে কামরুল বললো আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটা দেখি আর চামে সিলেটের একটা লেখা বাড়বে। নামটাও কামরুলের বুদ্ধিতে দেয়া। তাই আলাদা করে পোস্টটা দিলাম)
স্লামডগ মিলিওনিয়ারঃ কি সিনেমা এইটা? অস্কার জেতার মত ভাল অনুভূতির সিনেমা? না এইটা সাধারনতঃ সেরা সিনেমার পুরস্কার পাওয়ার মত সিনেমাগুলোর মত একটা সিনেমা না। ড্যানি বয়েল এর পরিচালনায় আর সায়মন বিফয় এর চিত্রনাট্যের এই জেদ চেপে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখার সিনেমাটিতে আছে অদ্ভূত ভালোলাগাময় আনন্দ।
মুম্বাই এর বস্তির আঠারো বছরের মুসলমান ছেলে জামাল মালিক (পর্দায় দেব প্যাটেল এর অভিষেক)এখন একটি কল সেন্টারে চা সরবরাহকারী পিওন (tea boy). হঠাৎ করেই দর্শক হিসাবে আবিস্কার করি সে রিয়েলিটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান Who wants to be a Millionaire এ জিততে চলেছে বিশাল অংকের অর্থ। কিন্তু কিভাবে? ভাগ্য, চিটিং, অসাধারন প্রতিভা নাকি শুধুই নিয়তি? উত্তর মিলে যায় সহজেই যখন পুলিশের হাতে জামাল নিগৃহিত হতে থাকে আর আমরা ফ্লাশ ব্যাক করে দেখি প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়া ভারতের ফুটপাথে শিশু জামালের অনেক চড়াই উৎড়াই এর মাঝে বেড়ে উঠা। আর যখন দর্শক সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে আসবে, তার আগ মুহূর্তের টিপিক্যাল বলিউডি নাচ গানে কিছুক্ষনের জন্য হলেও ভুলে যাবে জাগতিক এই দুনিয়ার প্রেম ও লোভের চিরন্তন যুদ্ধকে যেমন দাঙ্গা, মারামারি, অভাব কিংবা শিশু পতিতাবৃত্তিকে।
থ্রি মাস্কেটিয়ার্স
যাই হোক শুধু আকর্ষনীয় পরিচালনা নয় এর পাশাপাশি এ আর রহমানের আসাধারন সাউন্ড ট্র্যাক মনে করিয়ে দিবে ট্রেন স্পটিং, ২৮ ডেইজ লেটার কিংবা সানশাইনের পরিচালক বয়েল কে। কিন্তু সত্যি কি নতুনত্বের কিছু আছে এই পরিচালনায়। ফ্লাশ ব্যাক করে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাওনা তেমন নতুন কিছু না। আর মারিয়া পুজোর গড ফাদার কিংবা সিটি অফ গড দেখলে অন্ধকার জীবনের আরো আটসাঁট কাহিনীর আসাধারন চিত্রায়ন দেখি। অনেকের কাছে গড ফাদারকে কম রঙ্গীন মনে হইলে এই দশকের শুরুর দিকের ব্রাজিলিয়ান সিনেমা সিটি অফ গড এর কথা বলতে চাই। আর কিছু অসঙ্গতিতো সব সিনেমায় থাকে ওইগুলোর কথা কি বলবো। যেমন জামাল, সেলিম ও লতিকার জীবনের তিনটি চরিত্র আছে। ৭/৮ বছরের জামাল সেলিমের পর ১৩/১৪ বছরের কিছুটা সময় আছে। এই সময়টাতে সেলিম খুন করে এক পেটি মাস্তানকে। মেনে নেই খুন করতেই পারে কিন্তু ১৪/১৫ বছরের ছেলেকেই প্রতিপক্ষের ডন কাছে টেনে নিবে এটা একটু কেমন যেনো। এরপর সেলিম ফিরে এসে জামালের কাছ থেকে লতিকা কে ছিনিয়ে নিয়ে ভোগ করলো। (এই দৃশ্যে কিন্তু ওইরকম কিছু নাই) পশ্চিমা দুনিয়াতেও ১৪ বছরের ছেলে ধর্ষন করছে, কেমন যেনো লাগে। ধরলাম জীবনে শিক্ষার অভাব, বাবা মায়ের শাসনের অভাব একটা ছেলেকে বিপথে নিবে এটা দেখাতে হলেও ১৪/১৫ বছরের সেলিমকে আরেকটু তাগড়া কিসিমের নিলে ভালো হতো। আসলে এই মুহূর্তগুলো ৩য় ভাগের ১৮/১৯ বছরের সেলিমকে দিলে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশী মানাতো।
এইবার একটু বলি চিত্রনাট্যের কথা। হ্যাঁ মানতে হবে চিত্রনাট্যে মজা পেয়েছি। সিনেমার সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাক্তিত্ব জামালের আত্মবিশ্বাস চোখে পড়ার মতো। টিভি কুইজের বিভিন্ন প্রশ্নের সামনে ঠান্ডা থাকা, তাজ মহলের সামনে নির্বিকারে আত্মবিশ্বাসের সাথে গাইড হিসাবে চাপা মারা, এমনকি শিশু জামালের অমিতাভের অটোগ্রাফ জন্য ‘*****’তে ঝাঁপিয়ে পড়া সব দারুনভাবে তুলে আনা হয়েছে। যখন পুলিশ কমিশনার জানতে চায় কিভাবে তুমি ১৯৬৪ সালের জাঞ্জির সিনেমার নায়ক অমিতাভের কথা জানো, তখন কনস্টেবল যখন বলে উঠে আমিও জানি, তখন জামাল পুলিশ স্টেশনে প্যাঁদানি খাবার পরও বলে উঠে ‘i told you before; you dont have to be genius to know that’. এত সিরিয়াস দৃশ্যের মাঝেও হাসি পাবে।
সিনেমার সেরা হলো কিছু অভিনয়। তবে সবচেয়ে ভালো করেছে শিশু জামাল (আয়ুশ মহেশ খেদেকার) আর অনিল কাপুর। একটা বাচ্চা ছেলের কাছ থেকে এইরকম অভিনয় আর অভিব্যাক্তি আদায় করে নেয়ার জন্য পরিচালক বয়েলকে আর চিত্রগ্রাহক কে সাধুবাদ দিতেই হবে।
সিনেমার অন্যতম সেরা দৃশ্য
এই সিনেমা দেখে কিন্তু আমি প্রচন্ড হতাশ না হলেও হতাশ। আসলে কাতিন এর প্রিভিউ এর পরে মন্তব্যতে শওকত ভাই বলেছিলেন দারুন সিনেমা। গত শুক্রবার এখানে মুক্তি পেলেও তার এক সপ্তাহ আগে থেকে ৫ স্টার মারকা রিভিউ বেশীরভাগ পেপারে। দোতলা বাস গুলোয় বিশাল পোস্টারে feel good movie of the decade, এমনকি আইএমডিবি তেও ৮.৭/১০ রেটিং প্রত্যাশার বেলুন্টাকে অনেক ফুলিয়ে দিয়েছিলো। তাই অনেক আশার মধ্যে সব সময় আসধারন কিছু খুঁজেছি। যা সিনেমাটিকে আরও সাধারন মনে করিয়ে দিয়েছে। ভয়ে ভয়ে বলি সাউন্ডট্র্যাকও তেমন আসাধারন কিছু না। আমি এ আর রহমানের ভক্ত, আগেই না জানা থাকলে হয়তো খেয়ালই করতাম না।
বয়েলের এই সিনেমাতে জীবনের অন্ধকার মুহূর্তগুলো যেমন আছে তেমনি আছে উজ্জ্বল রোদেলা দিনের আলো। যদি সম্ভব হয় শুধু একটু কল্পনা করতে বলবো A fusion of City of God and Mama Mia! যাই হোক ভালো হবে শুধু প্রিভিউ না পড়ে সিনেমাটা দেখা।
হুম্ম... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
"তিন রাস্তার মোড়ে তিন বন্ধু
ছোটখাটো তিনটি জীবন
আছে
রাজু-রাণী-র্যাম্বো...."
উপরের "থ্রি মাস্কেটিয়ার্স" দেখে অঞ্জনের গানটা মনে পড়ে গেল।
Life is Mad.
পরিচালনায় আরেকটা অসংগতি আমি খেয়াল করলাম।
সিনেমার শুরুতে জামালকে কারেন্ট শক দেওয়া হয়। যতদূর জানি দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত কোন মানুষকে শক দেওয়া সম্ভব নয়। তাকে অবশ্যই গ্রাউন্ডের সাথে কানেক্টেড হতে হবে। অনেক সিনেমায় ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসিয়ে শক দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পা মাটির সাথে বা অন্য কোনভাবে গ্রাউন্ডেড করা হয়। সেফটির (!!!) জন্য মাথায় পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়। সুতরাং জামাল্কে কারেন্ট শক দেওয়ার দৃশ্যে অসংগতি ছিল।
বস পোস্টের মাঝখানে দুই জায়গায় সিটি অফ গডের জায়গায়, সিটি অফ জয় লিখছেন। ঠিক করে দিয়েন। এই সিনেমাটা দারুন।
এ আর রহমানের মিউজিক ভালো লাগে নাই, এই সিনেমায়। এট লিস্ট, নট আপ টু দ্য মার্ক।
নামটা ভালা হইছে। 😉 😉
হুম্ম পড়লাম।
শিরোনামসমেত লেখাটি ভাল লাগলো।
আর হ্যাঁ, সিলেটের একটা লেখা বাড়লো দেখে সাধুবাদ।
😀
ছবিটা দেখা হয়নি।
ভাবছি দেখতে হবে।
ধন্যবাদ।
সৈয়দ সাফী
সিনেমাটা দেখার জোশ একটু কমায়া দিলেন। তাপরও দেখব। এবার তাই দেখার সময় ভালো-খারাপ দুইটা চিন্তাই মাথায় থাকবে।
নাহ! এবার মনে হচ্ছে দেখতেই হবে।
এতো আলোচনা-সমালোচনা, মত-ভিন্নমত যেহেতু এসেছে তার মানে ছবিটা দেখে ফেলা উচিত খুব শিগ্রী। 😀
তবে একটা কথা ভাবছি, হলিউড কি আজকাল সিনেমা তে বলিউডের মতো গান ব্যবহার করা শুরু করেছে? যদিও এই ছবির প্রেক্ষাপট ভারত, কিন্তু ভারতীয়-ইংরেজি ছবিগুলিতেও এর আগে গানের ব্যবহার খুব বেশি দেখি নি। তাই গানগুলি কিভাবে ব্যবহার করছে তাও দেখার ইচ্ছে হচ্ছে।
রিভিউ এজ ইউজাল দারুন। আপনি তো পাকাপাকি সিনেমা ক্রিটিক হয়ে যাচ্ছেন। 😀
এহসান ভাই, চমৎকার প্রিভিউ। :clap: :clap:
নাহ! ছবিটা খুব তাড়াতাড়ি দেখেই ফেলতে হবে, অবশ্য প্রত্যাশা কম রেখে।
পুরা "বানিজ্যিক" ছবির রিভিউ নাই। ওই ধর পাইরেটস, ম্যাট্রিক্স টাইপ ছবি গুলার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সুপার ব্যাড আর পাইনএপল এক্সপ্রেস দেখবো এই সপ্তাহে... বানিজ্যিক সিনেমা বস। সময় মিলে গেলে দিয়ে দিব নে একটা। যদিও এই সপ্তাহটা একটু ব্যাস্ত। এর সপ্তাহ প্রতি এক্তা লেখার কোটা শেষ। দেখা যাক।
পাইরেটস এর একটা ১৮+ ভার্সন আছে। ওইটার রিভিউ চান তো আমি দিতে পারি। 😉 😉 😉
আরেকটা কথা, স্লামডগ মিলিওনিয়ার তো বানিজ্যিক সিনেমা। শুধু আতেঁলদের সিনেমা না 🙂
আমি সিনেমা দেখার সময় ঠিক জেনে দেখি যে কি ঘরানার ছবি। প্রত্যাশাটা সেইরকমই থাকে। সেই হিসেবে ছবিটা আমাকে এক ধরণের ফিল গুড অনুভূতি দেয়। এবং ভাল লাগছে দেখে। তবে এই লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে তাই তো এখানে তো অনেক অসঙ্গতি আছে। 🙁 । খুব ভাল লেখা হইছে।
গোল্ডেন গ্লোবস- এ দেখি স্লামডগ মিলিওনিয়ার ৪ টা পুরষ্কার পাইছে।
আমি আশায় ছিলাম, হিথ লেজার কি পায় সেটা দেখার জন্যে, সেরা সহ-অভিনেতা পাইছে দেইখা খুব কষ্ট পাইছি। The Dark Knight-এ কি হিথ লেজার সহ অভিনেতা? প্যারালাল ২টা প্রধান চরিত্রের একটা। শুধু নায়ক হইলেই প্রধান চরিত্র হয় এইটা দেখি হলিউডও মেনে চলে। খুব কষ্ট পাইছি।
66TH ANNUAL GOLDEN GLOBE AWARDS WINNERS LIST
Best Supporting Actress in a Motion Picture: Kate Winslet, The Reader
Best Original Song in a Motion Picture: Bruce Springsteen, “The Wrestler”
Best Supporting Actor in a TV series, Mini-series or TV Movie: Tom Wilkinson, John Adams
Best Supporting Actress in a TV Series, Mini-Series or TV Movie: Laura Dern, Recount
Best Actress - TV Series, Drama: Anna Paquin, True Blood
Outstanding Animated Feature: WALL-E
Best Actress in a Motion Picture, Musical or Comedy: Sally Hawkins, Happy Go Lucky
Best Mini-Series or TV Movie: John Adams
Best Supporting Actor in a Motion Picture: Heath Ledger, The Dark Knight
Best Foreign Language Film: Waltz With Bashir
Best Actress in a Mini-Series or TV Movie: Laura Linney, John Adams
Best Screenplay: Simon Beaufoy, Slumdog Millionaire
Best Actor in a TV Series, Musical or Comedy: Alec Baldwin, 30 Rock
Best Actor, Mini-Series or TV Movie: Paul Giamatti, John Adams
Best Television Series, Comedy or Musical: 30 Rock
Best Soundtrack: A.R. Rahman, Slumdog Millionaire
Best Actress in a TV Series, Musical or Comedy: Tina Fey, 30 Rock
Best Director: Danny Boyle, Slumdog Millionaire
Best Actor in a Motion Picture, Musical or Comedy: Collin Farrell, In Bruges
Best Motion Picture, Musical or Comedy: Vicky Cristina Barcelona
Best Actress in a Motion Picture, Drama: Kate Winslet, Revolutionary Road
Best Television Series, Drama: Mad Men
Best Actor in a Motion Picture, Drama: Mickey Rourke, The Wrestler
Best Motion Picture, Drama: Slumdog Millionaire
Cecil B. DeMille Award: Steven Spielberg
কেইট উইনন্সলেট একই বছর দুইটা পুরস্কার পেয়ে গেল। বেশ অবাক হয়েছি, অবশ্য তার সিনেমা একটাও এখনও দেখি নাই।
হিথ লেজারকে সেরা অভিনেতা দেয়া উচিত ছিল। অবশ্য দ্য রেসলারে মিকি রুকের অভিনয় না দেখে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
কেইট উইনন্সলেট... গোল্ডেন গ্লোব জিতার প্রতিক্রিয়া।
এই প্রতিক্রিয়া ভিডিওটার জন্য একটা পুরস্কার প্রাপ্য!!
ফিল্ম নিয়া সবাই বলে ফেলেছেন।
আমি খুশি এ আর রহমান গোল্ডেন গ্লোব পাওয়াতে। অনেকেরই স্লামডগ মিলিওনিয়ার এর সাউন্ডট্র্যাক ভালো লাগেনি দেখলাম 🙁
আমার কাছে রহমানের করা কাজগুলো ভাল্লাগছে। এটাতে রহমান ছাড়াও MIA এবং আরো দুয়েকজনের কাজ আছে, ঐগুলো ভালো হয়নাই 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফিল্ম রিভিউ পড়ে ফিল্ম দেখার লোক আমি নই। তবে এই ছবির উপর প্রত্যাশা একটু কম থাকবে দেখার সময়। ধন্যবাদ এহসান ভাইকে।
অবশেষে স্লামডগ মিলিয়নার দেখে ফেললাম। আমি একে ৫ এর মধ্যে ৩ দেব। সিনেমা দেখে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছি বা একেবারে ভাল লাগেনি, এটা বলতে পারব না; কারণ আসলে আমার সেরকম লাগেনি। কিছু কিছু জিনিস ভাল লেগেছে। আবার বেশ কিছু বিষয় ভাল লাগেনি। সেগুলোই লিখে ফেলি:
ভাল লাগা
- সিনেমার একটি দৃশ্য আমার খুব ভাল লেগেছে। শেষ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় জামালের গাড়ি জ্যামে আটকে যায়। এসময় গাড়ির জানালার বাইরে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয় যারা সবাই বলতে থাকে: Go son, go with my blessing and win it all; We all love you. আমাদের স্তর থেকে একসময় অনেক উপরে উঠে যাওয়া অন্য কারও প্রতি মানুষ হিসেবে আমাদের ভালবাসা বেশ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। খুব ভাল। এ ধরণের মানবিক বিষয়গুলো সিনেমায় আরও আনা যেত।
- এই সিনেমাকে কেবল একটি থিম দিয়ে আটকে ফেলা যায় না। থিম অনেকগুলোই ছিল, কিন্তু "মানুষের ভাগ্য লেখা থাকে"- এই থিমই বোধহয় প্রধান ছিল। এই থিমের দিক দিয়ে চিন্তা করলে সিনেমাকে প্রায় সফল বলা যায়।
মন্দ লাগা
- সিনেমার মূল থিমটাই আমার পছন্দ না। "মানুষের ভাগ্য লিখা থাকে" জাতীয় থিমকে একধরণের misplaced sense of ethics মনে হয়েছে। এই থিম থেকে দেখলে সিনেমা যথেষ্ট সফল। কিন্তু থিমটাই তো পছন্দ হচ্ছে না।
- আবহ সঙ্গীত একেবারেই ভাল লাগেনি। যে ধরণের ধুম-ধারাক্কা এবং ইমোশনাল মিউজিক ব্যবহার করা হয়েছে তা করতে কোন দক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ লাগে বলে মনে হয় না।
- এটা সেরা চলচ্চিত্র বা সেরা পরিচালক কোন সেক্টরেই অস্কার পাওয়ার মত না। এই দুটি সেক্টরে গোল্ডেন গ্লোব পেয়ে গেছে বলে, এই পুরস্কারটার উপরই বিতৃষ্ণা এসে গেল।
- সিনেমার মেকিং এ কোন নতুনত্ব নেই। পশ্চিমা বিশ্বে খুব বেশী আলোচিত হয়েছে বোধহয় কাহিনীর নতুনত্বের কারণে। এর আগে ব্রিটিশ কোন পরিচালক এই থিম এবং সেটিং এ সিনেমা করেছেন বলে জানি না।
পরিশিষ্ট: রজার ইবার্ট এই সিনেমার উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি জামালের ঐন্দ্রজালিক উত্থানের সাথে চার্লস ডিকেন্সের চরিত্রগুলোর তুলনা করেছেন। অন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে একটুর জন্য রক্ষা পাওয়া, ট্রেনে উঠা, একসময় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া, তাজমহলের জীবন, বড় হওয়ার পর ভাই সেলিমকে খুঁজে বের করা- এগুলোকে তিনি অলিভার টুইস্টীয় স্টাইল বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ব্রাদার, মিউজিক ডিরেকশন এতো সোজা কাজ না... আমি নিজে একজন, সো আমি জানি! হোপ ইউ ডিডন্ট মাইন্ড।