এই সপ্তাহের ফুটবল প্যাচাল

আজকাল ফুটবল দেখে খুব মজা লাগছে কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চ্যাম্পিওন্স লীগ ক্রিকেট। আমার বাসার ৫টা খেলার চ্যানেলের ৩টাতেই চলে ক্রিকেট। যখন লাইভ খেলা থাকে না তখন চলে সুপার ফ্লপ আইপিএল। টেন স্পোর্টস আবার দেখায় চ্যাম্পিওনশিপ এর খেলা যদিও লেইস্টারের কোনো খেলা দেখায় নাই কিন্তু রয় কীনের ইপ্সউইচ ধরা খাইতেসে দেখে ভালো লাগে। মাত্র একটা চ্যানেলে ফুটবল তাও আবার ঐটাতে ইন্টারেস্টিং খেলা দেখা যায় না। যেমন উইগান আর চেলসির খেলা দেখার খুব শখ ছিলো হাফ টাইমের পর থেকে; নেটে যখন দেখলাম পেত্রো চেক লাল কার্ড; তখনই বুঝে গিয়েছিলাম আনকেলোত্তির ফুটানী শেষ। স্টোক সিটির সাথে ফিজিক্যাল ফুটবলে কোনো মতে জেতার পর উইগানের খুব প্রশংসা করে চেলসির ম্যানেজার সাহেব বলেছিলেন এইবার ফুটবল খেলে এই রকম দলের সাথে খেলা; তাই আকর্ষনীয় ফুটবল উপহার দিবেন তিনি এই সপ্তাহে। তাই লিভারপুলের সাথে বড় খেলার আগেই চেলসির এই রকম ধরা খাওয়ার ব্যাপারটা একটু খারাপ হয়ে গেলো। যদিও লিভারপুল আজকে ফ্লোরেন্সে এওয়ে খেলার পর রোববারে চেলসির মাটিতেই খেলবে; তাই নিজের মাঠের সমর্থনে চেলসির একটু বাড়তি সুবিধা আছে। কিন্তু টরেস যদি আজকে সুস্থভাবে ফেরত আসে তাহলে এনফিল্ড, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ কিংবা নুক্যাম্প কোনো ব্যাপার না। :duel:

নু-ক্যাম্পের কথা যখন আসলোই তাহলে বার্সেলোনার কথা একটু বলতে হয়, ম্যারাদোনা যখন আর্জেন্টিনা দলের পশ্চাতদেশে গিঁটওয়ালা বিশাল বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে 😉 তখন জাতীয়দলের সুপার ফ্লপ মেসি বার্সেলোনার হয়ে আলো ছড়াচ্ছে। সপ্তাহ দুই আগে শুনেছিলাম আর্জেন্টিনার মিডিয়া নাকি পেপ গার্ডিওয়ালাকে কোচ হিসাবে চায়। যদিও ব্যাপারটা ঘটবে না কিন্তু পেপ গার্ডিওয়ালা হতে পারতো আর্জেন্টাইনদের জন্য এই শতাব্দীর হুয়ান পেরন। আর্জেন্টাইনদের জন্য দরকার এখন হুয়ান পেরন কিংবা তার বউ এভিটার মতই ক্যারিশ্মেটিক ম্যানেজার। যাই হোক এতু’ওকে বেচে দেয়াতে একজন পাড় বার্সা ফ্যান বলেছিলো এইরকম প্রলিফিক স্কোরারকে কিভাবে ইব্রাহমোভিচ দিয়ে রিপ্লেস করা সম্ভব। কিন্তু আমি বরাবরের মতই প্রব্লেম চাইল্ডের বিপক্ষে। রোনালদিনহো, এদিবায়োর কিংবা এতু’ও এর মত প্রতিভাবান কিন্তু ইগোইস্টিক লোভী খেলোয়াড়রা যেকোনো দলের জন্য ক্ষতিকারক। তারপর বার্সার ফ্লুইড গেমের পাশাপাশি প্ল্যান বী হিসাবে ইব্রা অনন্য। ছোট স্পেনিশ দলগুলো কিংবা চ্যাম্পিওন্স লীগে ইংলিশ ফিজিক্যাল দলগুলো যখন মিডফিল্ড জমাট করে প্রেসিং গেমখেলে তখন মেসি কিংবা এতু’ও আইসোলেটেড হয়ে অকার্যকর হয়ে পড়ে। আর এইসব সমস্যার সমাধান হতে পারে ইব্রা। এই সপ্তাহেই যেমন বেঞ্চ থেকে নেমে গোল করে বার্সাকে জিতিয়ে দিলো ইব্রা। ইতোমধ্যে ৫ গোল করে ফেলেছে, এখন ইব্রাকে প্রলিফিক স্কোরার বলা যাবে মনে হয়। 🙂

গত কয়েক বছর রিয়াল মাদ্রিদ দলটাকে আমার মনে হতো আধুনিক ফুটবল ট্যাক্টিক্সের সাথে অপরিচিত একটা দল। রামোস এসে দলটাকে অনেক গুছিয়েছে কিন্তু পেলেগ্রিনির মধ্যে দারুণ এক অভিজ্ঞ ম্যানেজার পেয়েছে তারা। এইবার অনেক টাকা দিয়ে রোনাল্ডো কিংবা কাকা কে কেনার পর গ্যালাকটিকো যুগে ফিরে যাওয়ার কথা হলেও বানিজ্যিক চিন্তা থেকে বেড়িয়ে এসে পেলিগ্রিনি ফুটবলীয় চিন্তা থেকে আলোন্সো, রাউল আল্বিওল এর মত কার্যকরী খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে আর তাই পুরা দলটা এখন বেশ ব্যলেন্সড। আমার মতে এইদলটা ফুটবলীয় দিক থেকে চিন্তা করে সব পজিশন মিলিয়ে সেই গ্যালাক্টিকোদের জিদান, ফিগো, বেকহ্যামদের দল থেকে ভালো। একটু কি বেশী বলে ফেললাম; না বেশ চিন্তা করেই বলছি এই দলটা এখন কাগজে কলমে ইউরোপের সেরা দল। রিয়ালে আসার পর রোনাল্ডো প্রতিটা লীগ ম্যাচেই গোল পেয়েছে।প্রতিটা গোলই প্রায় ভুয়া। এছাড়াও চ্যাম্পিওন্সলীগের খেলায়ও গোল কীপারের বদান্যতায় গোল পেয়েছে। গত দুই খেলায় পর পর গোল করেছে কাকা। আলোন্সো আর পেপেও দারুণ খেলছে। এইবার রিয়ালকে হারাতে বার্সা কিংবা ইউরোপের অন্যদলগুলোকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।

এ বছর ইংলিশ ফুটবলে একটা ব্যাপার বেশ লক্ষনীয়। লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কিংবা চেলসির মত দলগুলো অনেকটা আর্সেনাল কিংবা ইউনাইটেডের মনমানসিকতা গ্রহন করেছে। আর সেটা হলো নিজের মাঠ কিংবা বিপক্ষ মাঠ যাই হোক হারার চিন্তা ভুলে, ড্র করে করে পয়েন্ট হারানোর চেয়ে জেতার জন্য খেলছে। এমনকি সান্ডারল্যান্ড কিংবা টটেনহ্যামের মত দলগুলোও জেতার জন্য খেলছে আর তাই গোল হচ্ছে প্রচুর; অন্যদিকে ফুলব্যাকরা আক্রমনে অনেক বেশী কমিটেড হয়ে যাচ্ছে (জন্সন, আশ্লে কোল,এভ্রা) ফলশ্রুতিতে ডিফেন্সে হাস্যকর কিছু ভুলও দেখা যাচ্ছে। প্রথম সাত ম্যাচের দুই ম্যাচ হেরে যাবার পরও লিভারপুল গোল করেছে ২২টা। অর্থা ম্যাচপ্রতি তিন গোলের বেশী। তাই আমাদের ফ্যান্টাসী লীগেও পয়েন্টের রমরমা অবস্থা। ব্যাপক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়া শেষ হইলো আরেকটা সপ্তাহ।
পয়েন্ট টেবিল
আসলে পতনের চেয়ে উত্থান বেশি হইছে। লক্ষনীয় উত্থান হয়েছে হাসানের (৯৬-০২)। প্রথমবারের মত এক সপ্তাহে ১০০ পয়েন্টের সীমানা ছুঁয়েছে কোনো ম্যানেজার আর এর সাথেই সে প্রথমবারের মত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। যদিও আগের সপ্তাহের ভারমিঊলেন ম্যাজিকের ফসল নিয়ে তানভীর (৯৪-০০) মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। ৯৪ ব্যাচের ফুটানীকে কাঁচা কলা দেখিয়ে আমাদের খেলাধুলা অনুরাগী (৯৬-০০)ব্যাচের আহসান আকাশ স্লোলী বাট স্টেডিলী এখন ৩য় অবস্থানে। নব্য বড়লোক, নিজেই নামের সাথে চৌধুরী লাগিয়ে কামরুল কিংবা গোলাপজান হঠাৎ করেই বেশ ফুটবলবোদ্ধা হয়ে গিয়েছিলো, তারা তাদের আসল জায়গায় এসেছে। ধীরে ধীরে আসল লীগের পয়েন্ট তালিকার মতই বিগ ফোর টপ ফোরে উঠে এসেছে আর টটেনহ্যাম কিংবা স্টোক সিটি মধ্যটেবিলে ফেরত গিয়েছে তেমনি আমাদের এইসব মৌসুমী পন্ডিতরাও একটু ধরা খেয়েছে।
plot
এই সপ্তাহ ছিলো গোলময় আর হ্যাট্রিক করেছে রবি কীন আর টরেস। রবি কীন শুধুমাত্র জিহাদের দলের অধিনায়ক ছিলো এছাড়া আর কেউ এর সুবিধা পায়নি। কিন্তু ম্যানেজারদের মধ্যে পপুলার টরেস অনেকের দলে থাকলেও আহসান আকাশ আর হাসান তাকে বানিয়েছিলো কয়াপ্টেন আর এটাই ছিলো মাস্টার স্ট্রোক। আর এতেই তারা এগিয়ে গেছে অনেক। মিডফিল্ডে আগের সপ্তাহের বেনায়ুনের মত কেউ তেমন চমক দেখায়নি তারপরও গোল করার পরও জেরার্ডকে ফ্লপ মনে হচ্ছে। আসলে হঠাৎ করেই মাসকেরানো জ্বরে পড়ায় জেরার্ড তার স্বাভাবিক পজিশন স্ট্রাইকারের ঠিক পেছনে না খেলে মধ্যমাঠে খেলেছে আর গত দুই ম্যাচ ধরে লিভারপুল জেরার্ডের পজিশনে খেলাচ্ছে বেনায়ুন আর ডিরিক কূটকে। তাই সবসময় টরেস গোল করলে দেখা যেতো এসিস্ট ছিলো জেরার্ডের এখন তা ঘটছে না; বরং গোল পাচ্ছে বেনায়ুন এর মত খেলোয়াড়, যারা হয়তো সেরা একাদশেও সবসময় নিশ্চিত না!!! আর এতেই কপাল খুলে যাচ্ছে কামরুল তপু কিংবা হাসানের মত ম্যানেজারদের। আর মাঝখান থেকে যারা জেরার্ডকে ক্যাপ্টেন বানিয়েছে তারা রাগে দুঃখে চুল ছিড়ছে। এই সপ্তাহে অন্য দুই সুপার স্ট্রাইকার ছিলো তেভেজ আর বেন্ট। তেভেজ ফর্মে ফিরলেও ম্যানেজারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা কম হওয়াতে কেউ তেমন সুবিধা পায় নাই কিন্তু বেন্টরে দলে রাখায় অনেকের কপাল খুলেছে।
এই সপ্তাহের স্বপ্নের দল!
হাসান এখন এক নাম্বারে। অন্য সবার চেয়ে তার এপ্রোচ একটু আলাদা। তার রক্ষণভাগ ব্যাপক শক্তিশালী। বিগ ফোরের একজন করে আর এভারটন (যাদের ক্লিন শীট রাখার রেকর্ড বেশ ভালো)এর একজন নিয়ে বস্তা বস্তা পয়েন্ট কামাচ্ছে হাসান। অনেকের মধ্যেই বেশ আগ্রহ ব্যাপারটা নিয়ে। আমি এখনো ব্যাপারটায় কনভিন্সড না। কারণ জেতার জন্য খেলার জন্য আজকাল বিগ ফোর আগের চেয়ে বেশী গোল খাচ্ছে অন্যদিকে এভারটনের বৃহস্পতিবারের ইউরোপা কাপের ডিউটির জন্য ওরাও ছোট স্কোয়াড নিয়ে উইক এন্ডে স্ট্রাগল করার কথা। তাই আমার মতে শক্ত ডিফেন্সেই সমাধান খোঁজা মনে হয় ঠিক না। আসলে বেনায়ুন ভাগ্যের মত সঠিক অধিনায়ক নির্বাচনই হাসানের সাফল্যের কারণ। আরেকটা ব্যাপার হলো মানি ম্যানেজম্যান্ট। আর্সেনালের মূল গোল্ কীপার না খেলায় কম পয়সায় রিজার্ভ গোল কীপার খেলিয়েও নিশ্চিত পয়েন্ট কামিয়ে নিচ্ছে আর এটাই গুনী ম্যানেজারদের বৈশিষ্ট্য!!

সামনের সপ্তাহে চেলসি লিভারপুলের খেলা তাই এই দুইদলের খেলোয়াড়দের কম পয়েন্ট দেবার কথা অন্যদিকে আর্সেনালের জন্য নিজের মাঠে আছে ব্ল্যাকবার্ণ আর ইউনাইটেড নিজের পাবে সান্ডারল্যান্ডকে যারা গোল করলেও গোল খাবার ব্যাপারে বেশ উদার। তাই সবাই একটু খেয়াল করে টিম সাজানো দরকার।

৪১ টি মন্তব্য : “এই সপ্তাহের ফুটবল প্যাচাল”

  1. এহসান (৮৯-৯৫)

    ওহ!!! আরেকটা জরুরী কথা বলা হয় নাই। আমাদের ম্যানেজাররা বেশ ভালো করায় আমাদের লিগের ড়্যাঙ্কিং এখন সেরা ১০০০ এর ভিতরে ঢুকে গেছে। ১,৭৮,৪০৭ টা লীগের মধ্যে আমরা ৯০৮তম। আর এর কারন আমাদের টপ ১০ ম্যানেজাররা বেশ ভালো করছে তাই সবাইকে অভিনন্দন :clap:

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আমি আসলে দুই নাম্বারী করতে গিয়া ধরা খাইছি। একটা রিস্ক নিছিলাম , কাজে লাগে নাই। লাগলে এহসান ভাই আমারে এখনো 'চৌধুরী সাহেব' কইতো।
    যাউজ্ঞা, একটা লস হইয়া গেল, এইটা পোষাইয়া নিতে হবে। অনেক সময় বাকি আছে, ব্যাপার না।

    এই সপ্তাহে কোন বদলাবদলি করুম না, সাম্নের সপ্তাহে দুইটা বদলামু এই ধান্ধায় আছি।

    হাসান আর আকাশ এই দুই জনরে অভিনন্দন। কিন্তু পথ বড়ই পিচ্ছিল, মনে রাখবা।

    রিভিউ ভালো হইছে এহসান ভাই।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    রিয়ালে আসার পর রোনাল্ডো প্রতিটা লীগ ম্যাচেই গোল পেয়েছে।প্রতিটা গোলই প্রায় ভুয়া।

    😀

    রিভিউ দারুন হইছে। পর্যাপ্ত জ্ঞান আর সময়, দুই ক্ষেত্রেই ধরা আছি 🙁
    সিসিবি ম্যানেজাররা বিডি টপচার্ট টা অন্ততঃ কব্জায় রাখুক, এই আশা করি। :clap: :clap:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ক্রিকেট কখনোই সেভাবে ভাল লাগেনি, আর এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কারনে এর প্রতি আরো বিরক্ত হচ্ছি।
    একে তো বাংলাদেশ নাই, তার উপর এর অত্যাচারে ফুটবল, ফর্মুলা ওয়ান দেখতে পারি নাই। দুটার জন্যেই বিবিসির লাইভ টেক্সট কমেন্ট্রি ছিল ভরসা। চেলসি ধরা খাওয়ায় ব্যাপক খুশি, এমনিতেই দেখতে পারি না, সেই সাথে আর্সেনালের সাথে গ্যাপ কমে আসল। এখন নেক্সট ম্যাচে লিভারপুল জিতলেই হয়।

    চ্যাম্পিয়নশীপ ন্যে আগে কখনো আগ্রহ ছিল না, তবে এবার নিউক্যাসেল নেমে যাওয়ায় খোঁজ খবর রাখছি, শিয়েরার জন্য নিউক্যাসেল কে বেশ ভাল লাগত। টেন স্পোর্টস খেলা দেখায় জানতামই না, এখন থেকে চোখ রাখতে হবে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. তাইফুর (৯২-৯৮)

    অসাধারণ রিভিউ বস ...
    আংগুর ফল টক বইলা রাগ কইরা আমি আংগুর খাওয়া বাদ দিছি ... 😀


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  6. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    লেখা ভালো হইছে এহসান ভাই :clap:

    লক্ষনীয় উত্থান হয়েছে হাসানের (৯৬-০২)। প্রথমবারের মত এক সপ্তাহে ১০০ পয়েন্টের সীমানা ছুঁয়েছে কোনো ম্যানেজার আর এর সাথেই সে প্রথমবারের মত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

    :hug: :hatsoff:

    নব্য বড়লোক, নিজেই নামের সাথে চৌধুরী লাগিয়ে কামরুল কিংবা গোলাপজান হঠাৎ করেই বেশ ফুটবলবোদ্ধা হয়ে গিয়েছিলো, তারা তাদের আসল জায়গায় এসেছে..........তেমনি আমাদের এইসব মৌসুমী পন্ডিতরাও একটু ধরা খেয়েছে।

    :khekz: :pira:

    জবাব দিন
  7. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    আল্লাহ বাঁচাইছে। এই উইকের আগের উইকে কি কারণে যেন প্লেয়ার চেন্জ করতে পারি নাই, তাই এই উইকে দুইটা চেন্জ করতে পারছি। আমার গোলরক্ষক ছিল চেক, তার যায়গায় নিছিলাম ম্যানোনকে, যেটা লাল কার্ড এর মাইনস থেকে তো সেভ করছেই, ৮ পয়েন্টও দিছে। আরেকটা চেন্জ ছিল সাহা, সেও দিছে ৯। বেন্ট আগেই ছিল, সে দিছে ১৮। আর অন্যদের সাথে আমার গ্যাপ মূলত কমছে বেনায়ুনের হ্যাট্ট্রিক আর পর পর দুই সপ্তাহে টরেস ক্যাপ্টেন হয়ে ২৬ আর ৩৮ দেয়াতে।

    জবাব দিন
  8. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    অনেকের মধ্যেই বেশ আগ্রহ ব্যাপারটা নিয়ে।

    ইয়ে....মানে.....এই অনেকে কারা? ;;)

    তাই আমার মতে শক্ত ডিফেন্সেই সমাধান খোঁজা মনে হয় ঠিক না।

    আমি নিজেও কনফিউজড, ওয়াইল্ড কার্ড মারব নাকি বুঝতেসি না 😕

    জবাব দিন
  9. তানভীর (৯৪-০০)

    টরেসকে কেন ক্যাপ্টেন বানাইলাম না, সে দুঃখ এখনও আছে। পর পর দুই সপ্তাহে অনেক পয়েন্ট দিছে। 🙁
    হাসানকে অনেক অভিনন্দন, আর সেই সাথে আহসান আকাশকেও অভিনন্দন। ওরা দুইজনই আস্তে আস্তে অনেক উন্নতি করছে। আশা করি ওদের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সিসিবির টপ ম্যানেজাররা যাতে বাংলাদেশে টপে থাকে এবং সেই সাথে ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়েও অনেক সামনে থাকে সেই আশা রইল।
    এহসান ভাইয়ের রিভিউটা চমৎকার হয়েছে। :thumbup: সামনে আরও কয়েকটা রিভিউ দিবেন আশা করি। 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।