সিসিবিতে কি চাই

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সিরিয়াস কথা বলার জন্য এই পোষ্ট। গত কিছুদিন যাবত কিছু কথা ভাবছি। আর সিসিবিতেও আকারে ইঙ্গিতে কিছু কথা উড়ে বেড়াচ্ছে। সেটা হলো সিসিবির গুণগত মান নিয়ে। আমারো মনে হচ্ছে দেখতে দেখতে যেহেতু আমরা কিছুটা পু্রোনো হয়ে উঠছি, ঠিক তেমনি আমাদের লেখা গুলোতেও একটু পরিপক্কতার ছাপ আসা উচিত। এখন কথা হলো আমার নিজের পোষ্টেরই মান ভালো না। আমি সিসিবির যতটা লেখক তার চেয়েও অনেক বড় পাঠক। তাই আমার কথা গুলোকে পাঠক হিসাবে মূল্যায়ন করেই বাকীরা মত দিলে খুশী হবো। ও হ্যাঁ একটা ডিস্ক্লেইমার দেয়া উচিত, এই পোষ্টের কোন কিছু কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করার জন্য নয়।

প্রথমেই বলি এই মূহুর্তে কি আশা করি সিসিবিতে। তার মানে কি ধরনের লেখা পড়তে চাই। সিসিবিতে বিষয়ের দিক থেকে বৈচিত্র্যময় লেখা কম আসছে। ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারনমূলক লেখা দিয়ে যাত্রা শুরু এবং এটাই স্বাভাবিক কলেজের স্মৃতিচারনমূলক রচনা সিসিবিতে বেশী আসবে। কিন্তু এর বাইরে অন্যান্য বিষয়ে লেখা অনেক কম। নূপুর ভাই চলে যাবার পর কবিতার বেশ আকাল। মাহফুজ, আন্দালিব কিংবা জাবীর রিজভী কিছু কবিতা লিখে, কিন্তু ফয়েজ ভাই এর পোষ্টের তুলনায় কমেন্ট কম পড়ে বলে হতাশ হয়ে খুব কম কবিতা লিখে। আলিম ভাই কিংবা হাসান হাইকু ছাড়ে না খুব একটা। মুহম্মদ আর শওকত ভাই এর মত কিছু পুরোনো এবং জটিল ব্লগারের কারনে আমাদের চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখা গুলো খুব উচুঁমানের। কিন্তু গান কিংবা মঞ্চ নাটক নিয়ে কোন লেখা নাই। মঞ্চ নাটকের রিভিউ কেউ লেখে না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রচুর ব্লগার আছে। আমি নিশ্চিত প্রচুর গানের লাইভ অনুষ্ঠান কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা গান শুনে। এছাড়াও বাজারে নতুন কোনো গান আসতে পারে। এই গুলো নিয়ে কেউ রিভিউ করে না। আমি বিশ্বাস করি,শুধু আমার মত আতেঁল না, এই ধরনের পোস্টে অনেকেই মজা পাবে। ভালো কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে কারো ভালো লাগলে তৃপ্তির ঢেকুরের গল্পটা এখানে শেয়ার করা যেতে পারে।

আমি মানি আমাদের এখানে খেলাধুলা ট্যাগ লাগানো অনেক পোষ্ট। কিন্তু এইগুলো সাধারণ খেলার পাতার সাধারণ খবরের পোষ্ট কিংবা লাইভ ব্লগ। পত্রিকার সাপ্তাহিক খেলার পাতার ফিচার টাইপের লেখা বড়ই কম। আরেকটা ব্যাপার হলো বই নিয়ে কেউ লিখে না। যত দূর মনে করতে পারি শুধু তৌফিক একটা বই নিয়ে রিভিউ লিখেছিলো। এই যে বই মেলা গেলো, কতজন কত বই কিনলো কিংবা পড়লো কিন্তু একটু জানালো না কেমন লাগলো। আজকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে লেখায় মরতুজার পোষ্টটা খুব ভালো লেগেছে। ভ্রমণ কাহিনীও খুব কম আমাদের এখানে। সেই সুব্রতর দার্জিলিং এর গল্পগুলোর মত ভ্রমণ কাহিনী পড়তে মন চায়। কক্সবাজার, বগা লেক কিংবা কান্তজিউ এর মন্দিরের গল্পও লিখলেও আমরা মজা পাবো নিশ্চিত। এটা সত্যি নীলোৎপলের রুজভেল্টের বাড়ী ঘুরে দেখার গল্প আমার পড়া সেরা ভ্রমণ কাহিনীগুলোর একটা, আমি সিসিবিতেই পড়েছি।

অনলাইন ব্লগিং এর একটা দারুণ ব্যাপার হলো দিনলিপি। কিন্তু সব দিনলিপি কিন্তু মজা লাগে না। আমি নিতান্তই সাধারণ ভাবে দিন কাটাই। এখন আমি খাওয়া, দাওয়া, অফিস করা কিংবা বউ এর সাথে আদর করা নিয়ে দিনলিপি লিখলে নিতান্তই নিরামিষ লাগবে। কিন্তু তৌফিকের ড্রাইভিং শেখা কিংবা ভালোবাসা দিবসে জিহাদের মেঘপিয়নের গান শুনার মত দিনলিপিগুলো সাধারণ ঘটনার সরল বর্নণায় অসাধারণ ভালোলাগা এনে দেয়। নিতান্তই লেখার জন্য লেখা দিনলিপি গুলো পড়ে বিরক্তি লাগে। হ্যাঁ তানভীরের কর্পোরেট ভ্রমণে গিয়ে টিম স্পিরিট বাড়ানোর গল্প কিংবা সায়েদের মনোরোভিয়ার ছবি কিংবা মিশনের গল্পগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।

নিজের ক্যাডেট নাম্বারের সাথে মিল রেখে পোষ্ট দিলে স্মৃতিচারনের একটা ব্যাপার থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার এড়িয়ে চলার সময় এসে গেছে মনে হয়। যেমন কলেজের ৩০০ তম পোষ্ট উদযাপন করা জন্য পোষ্ট লেখা। এইসব ফালতু সেলিব্রেশন মূলক পোষ্ট গুলোই দেখা যায় গুনগত মান হারাচ্ছে। অনেকটা প্রকাশকের চাপে লেখা ফরমায়েশী সাহিত্যের মত। আরেকটা শব্দের প্রতি এলার্জি এসে যাচ্ছে তা হলো আজাইরা। অনেক আজাইরা পোষ্ট আসে যেমন ‘অনেকদিন পরে সবাইকে দেখে ভালো লাগছে’, ‘সিসিবি পরিপূর্ন হয়ে উঠছে’ মার্কা কথায় ভর্তি। এইসব ব্লগার নিজেও জানে এইগুলো আজাইরা তাও লিখে। মাঝখানে আবার কয়েকজন দারুণ সব ব্লগ লিখে বিনয়ের ঠেলায় একটা আজাইরা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে বসে। (লাস ভেগাসের মাহমুদ তোমার কথা বলছি)এইগুলোর কোনই দরকার নাই। মাঝখানে কিছু ফালতু পোষ্ট এইগুলোতে উৎসাহিত হয়ে আসা শুরু করে। আর এইটা সিসিবি। সবাই খুব ক্যাডেটীয় ভদ্রতা মেনে চলে। তাই সব পোষ্টেই কমেন্টে ভালো ভালো কথা লিখে। (যেমন মঈনুল মিয়া… যেই পোষ্টই পড়ে কয় ফাটাফাটি হয়েছে) উৎসাহ দেয়ার একটা ব্যাপার হয়তো আছে কিন্তু এইগুলোতেই ভূয়া পোষ্টের সংখ্যা বাড়ে।

আতিঊর রহমান গভর্নর হবার পর সিসিবিতে একটা পোষ্ট এলো। এরপর সিরিজ মেইলে পরের ২ সপ্তাহ আমি ৩/৪ বার ফরো্য়ার্ড মেইল পেয়েছি যাতে সিসিবির পোষ্টের লিঙ্ক দেয়া। একটা অন্যরকম গর্ব হচ্ছিল। কিন্তু আজকাল কখনো গ্রামীন থেকে, কখনো আর্মি থেকে কিংবা কখনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই মেইল অনেকবার পাবার পর সিসিবিতে এসে দেখি সেই একই জিনিসের ফটোব্লগ। তা দেখে আর গর্ব হয় নাই, বিরক্তি লেগেছে।

অনেক ভালো ব্লগার আবার কমেন্ট কম পায়, কিন্তু আমি এতে হতাশ হবার কিছু দেখি না। যেমন আমার ডাউট সিনেমার রিভিউ, আমার লাল তিল গল্পটা থেকে ভালো হয়েছে। যারা পড়েছে সবাই বলেছে এবং ইম্পরট্যান্টলী লেখক হিসাবেও আমি বেশী তৃপ্ত হয়েছি। কিন্তু লালতিল এ হিট ও বেশী, কমেন্টও বেশী। কমেন্ট কিংবা হিট কখনোই ভালো লেখার এক মাত্র মাপকাঠি না। কিছুদিন আগে একটা ব্লগের শুরুতে দেখলাম হুমায়ুন ফরিদী আর আফজাল হোসেনরে নিয়ে শুরু। চমৎকার একটা শুরু করে ব্লগার সাহেবরে আলসেমী পেয়ে বসলো উনি একটা গান আর বাংলা সিনেমার পোস্টার লাগিয়ে হাল ছেড়ে দিলেন। এরপর কমেন্টে এক নায়িকার আবির্ভাব, ঐ পোষ্ট তিন শতাধিক কমেন্ট পেলো। কমেন্ট হইলো অনলাইন ব্লগিং এর প্রান। তাই বলে শুধু মাত্র এইসব পোষ্টেই সিসিবির ৮০ ভাগ পূর্ণ হলে সমস্যা। তাই পরিস্থিতি ঐ দিকে যাবার আগেই আমি আলোচনার জন্য এই কথা বলছি।

আরো কিছু নীতিমালার ব্যাপারে আমি মডারেটরদের এবং পাঠকদের দষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। পুরোনো লেখা সিসিবিতে কিভাবে প্রকাশ পাবে। যারা নিয়মিত সিসিবি পড়ে তাদের বেশীরভাগ নিয়মিত অন্যান্য প্রধান বাংলা ব্লগগুলোও পড়ে। তাই অন্য ব্লগে একটা লেখা পড়ে আসার একদিন পরই যদি সিসিবিতে একটা লেখা আসে তখন খারাপ লাগে না কিন্তু ১/২ সপ্তাহ পর লেখাগুলো সিসিবিতে আসলে অনেক সময় বাসী বাসী লাগে। কারন ততক্ষনে ওই ব্লগের প্রতিক্রিয়াগুলোও পড়া হয়ে গেছে। আমরা বানান কিংবা গুরুচন্ডালী দোষের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। হ্যাঁ নতুন লেখকদের টাইপ করার সমস্যা আছে, তাদের উৎসাহ দেবার একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু এই জন্যই তো মডারেশন প্যানেল। যতদিন কেউ এই ব্যাপারগুলো ঠিক করতে পারবে না, তাদের সরাসরি ব্লগ পোষ্ট করতে দেবার দরকার নাই। আমি জানি মডারেটররা আমার মতই দৈনন্দিন জীবনে মহা ব্যস্ত। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত করে তারা সিসিবিতে সময় দেয়, কিন্তু তাদের কাছে আসলেই দিল মাঙ্গে মোর। আমাদের সিসিবি ব্যানার বিভিন্ন উৎসবের সাথে আরো প্রতিনিয়ত বদলানো দরকার। আমি সিসিবি, সচল, প্রথম-আলো একই ব্রাউজার ব্যাবহার করি কিন্তু আমাদের সিসিবির লেখাগুলো একটু ছোট দেখায়। আরেকটু বড় ফন্ট কি ব্যাবহার করা যায়?

যাই হোক তত্ত্ব কথা লিখে ফেললাম। কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা নাই। নিতান্তই উদাহরণ স্বরূপ কিছু ঘটনা টেনেছি। ঐ ব্যাপারগুলো নিয়ে না প্যাচালেই খুশী হবো। আসুন সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করি আমরা কিভাবে সিসিবির গুণগত মানোন্নয়ন করবো।

৬,৪৫৯ বার দেখা হয়েছে

১০৩ টি মন্তব্য : “সিসিবিতে কি চাই”

  1. রকিব (০১-০৭)

    ভাবিয়ে তোলার মতো একটা বিষয়। সিসিবির স্বার্থে নিজের পোষ্টের মান বাড়াবার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া খুবই সময়োপযোগী কথা বলেছেন। ব্লগিংটা নিজের আনন্দের জন্য। তাই যে কোন লেখাকেই আমি সমর্থন করি। কিন্তু সিসিবিতে প্রতিটা লেখাই ব্লগের প্রথম পাতায় আসে। এই ব্যাপারটা এড়িয়ে চলা যায়। যে লেখা শুধু আমার লেখার জন্যই কিংবা নিজের কাছেই মনে হয় আজাইরা সেগুলা প্রথম পাতায় না দিলেই হয়।
    ভাইয়া ঠিকই বলেছেন, আমরা এখানে সবাই কমেন্ট আর হিট কাউন্ট এর জন্যই লেখি। তবে এটা মনে হয় ভাইয়া ব্লগিং এর শুরুতে সবারই উৎসাহের প্রথম দিক। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    বাসা থেকে বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তে এহসান ভাইয়ের লেখাটি পড়লাম।
    সিসিবির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাবনা উঠে এসেছে বেশ প্রাসঙ্গিক ভাবেই।
    ফিরে এসে নিজের কথাটি লিখছি এবং সাথে সাথে সিসিবির নীরব সরব সকল লেখক এবং পাঠকদের আলোচনা পড়ার অপেক্ষা করছি।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমার মনে হয় পাঠকেরা যদি শুধু প্রসংশার জন্য প্রসংশা না করে যে পোস্টগুলো ভাল লাগছে না তা যদি কারন সহ সুন্দর ভাবে কমেন্টে উল্লেখ করে দেয় তাহলে লেখক নিজেই সচেতন হয়ে যাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মডারেশনের মাধ্যমে পোস্টের মান বা বিষয় নিয়ন্ত্রনের (রেড বুকের বাইরে)পক্ষে নই।

    অফ. ট. আজকে একটা পোস্ট দেবার কথা ভাবছিলাম... এখনতো...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      @ আহসান আকাশ,

      আমার মনে হয় পাঠকেরা যদি শুধু প্রসংশার জন্য প্রসংশা না করে যে পোস্টগুলো ভাল লাগছে না তা যদি কারন সহ সুন্দর ভাবে কমেন্টে উল্লেখ করে দেয় তাহলে লেখক নিজেই সচেতন হয়ে যাবে।
      ............একমত। আমিও তাই বলেছি।

      ব্যক্তিগতভাবে আমি মডারেশনের মাধ্যমে পোস্টের মান বা বিষয় নিয়ন্ত্রনের (রেড বুকের বাইরে)পক্ষে নই।

      আমিও তা দাবী করিনি। কিছু বিষয়ের কথা বলেছি শুধু উদাহরণ হিসাবে। কে কি বিষয়ে লিখবে অবশ্যই লেখকের স্বাধীনতার ব্যাপার। আর আমার মূল কথা মনে হয় তুমি ঠিকই ধরেছো এবং নীচে একটি কমেন্টে বলেছো... গুণগত মান বলতে তাই বুঝিয়েছি।

      জবাব দিন
  5. মরতুজা (৯১-৯৭)

    দ্বিমত পোষণ করছি। আমাদের সদস্যদের বেশির ভাগই সদ্য কলেজ থেকে বেরিয়েছে। তাই এদের সবার কাছ থেকে কোয়ালিটি আশা করাটা ভুল হবে। সেক্ষেত্রে ফলটা হবে অনেকেই কোয়ালিটির ভয়ে গুটিয়ে যাবে। শুধু ওদের কথাই নয়, আমি নিজেও অলরেডি লিখতে ভয় পাচ্ছি। আমার মতে মান সম্মত লেখার জন্য বার বার মনে করিয়ে দেয়ার চেয়ে নতুনরা ভাল লেখকদের লেখা দেখে নিজেরাই মান সম্মত হয়ে উঠুক এই মতে বিশ্বাস করি।

    ব্যাপারটা অনেকটা পরিবারে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করার মত। ছেলেমেয়েকে প্রথম হবার জন্য চাপ প্রয়োগ না করে পরিবেশ তৈরি করলে ওরা নিজেরাই ভাল করবে। চাপ দিলে বিগড়ে যাবার মত অবস্থা হতে পারে।

    আর প্রথম পাতায় এক্সেস দেবার মত বিষয় আসার সময় এখনও হয়নি। বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০০০+ হলেও সেটা নিতান্তই কম। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নতুনদের আরো নিরুতসাহিত করবে। নীরব পাঠকের সংখ্যা আরো বাড়বে এতে।

    জবাব দিন
    • সাব্বির (৯৫-০১)

      মরতুজা ভাইয়ের সাথে ১০০% সহমত।

      এহসান ভাই, মরতুজা ভাইয়ের কথা গুলো ভেবে দেখবেন প্লীজ। নতুন দের সুযোগ দেওয়া টা অত্যাবাশ্যকীয়, কিন্তু একই সাথে তাদের কাছ থেকে উচ্চ মান সম্পন্ন লেখা আশা করাটা কি ঠিক হবে?
      লেখার ভেরিয়েশনের জন্য যে দিক গুলো তুলে ধরেছেন তা সত্যি প্রসংসনীয়।

      জবাব দিন
      • ইউসুফ (১৯৮৩-৮৯)

        আমিও মরতুজার সাথে একমত। কলেজ ম্যাগাজিনে একবার ছোট একটা ছড়া ছাড়া, সারা জীবনে কোথাও কিছু লিখিনি - আসলে লিখতে সাহস পাইনি। কিন্তু, সি সি বির‌ পরিবেশটাই এমন, যে এখানে যে কেউ একটা পোস্ট দেবার যথেষ্ট অনুপ্রেরণা পায়। এমন কি আমার মত ‘আজাইরা’ লেখকও।

        লেখক হিসাবে হুমায়ুন আহমেদকে এখন অনেকেই আবর্জনা-লেখক হিসাবে বিবেচনা করেন তাঁর প্রথম দিকের লেখার তুলনায়। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, তাঁর সব বই আমি পড়ি - বিরক্তি লাগলেও। কারণ‌ আর কিছু নয়, ওই বইগুলোতে এট লিস্ট দু‌-একটা ডায়লগের মজা পাওয়া।

        একই ভাবে, আমরা কমেণ্টের জন্যই অনেকের পোস্ট পুরোটা পড়ি। নিছক আনন্দের জন্য। যখন কমেণ্টের মোড় পোস্টের বিষয় থেকে ঘুরে যায়, আমরা বুঝতে পারি - পোস্টটা কতখানি সার্থক হয়েছে।

        আর তাছাড়া সবাই কি সার্থকতার জন্য পোস্ট লিখি? আমাদের অনেকের পোস্ট কি অনেকটা নির্ভয় পরিবেশে সলিলকি বা স্বগতোক্তির মত নয়?

        ‌মুহম্মদ, আন্দালিব, মাহমুদ, তোমার কিংবা তোমাদের মত এত ভাল লেখকের লেখাগুলো কিন্তু সবসময় পড়ার সময় পাওয়া যায় না। এ ধরনের লেখার জন্য প্রয়োজন হয় সময়, মনোযোগ আর ধৈর্যের। তাই এই লেখাগুলোর জন্য আমি রাতের একটা সময় আলাদা করে রাখি। মাঝে মাঝে মন্তব্য করি, আর মাঝে মাঝে নিজেকে মিসফিট ভেবে শুধু মুগ্ধ হয়ে নিরবে পড়ে যাই।

        আরেকটা জিনিস মনে রাখা দরকার, সি সি বি তে আমাদের বয়সের ব্যাপ্তি কিন্তু অনেক। সদ্য কলেজ থেকে বের হওয়া ক্যাডেট থেকে শুরু করে অনেক ক্যাডেটের বাবারাও এখানে সদস্য (যদিও তাঁরা নীরব থাকেন)। তাই সবার কাছ থেকে কোয়ালিটি লেখা আশা করা বোধ হয় ঠিক হবে না।

        (একান্ত নিজস্ব) বটম লাইনঃ স্বাধীনতাটা থাকুক না।

        জবাব দিন
        • এহসান (৮৯-৯৫)
          সবাই কি সার্থকতার জন্য পোস্ট লিখি? আমাদের অনেকের পোস্ট কি অনেকটা নির্ভয় পরিবেশে সলিলকি বা স্বগতোক্তির মত নয়?

          সার্থকতার ব্যাপারটা বুঝি নাই ইউসুফ ভাই। এখানে ভয়ের পরিবেশতো খালি এডজ্যুট্যান্টের ভয়ে ঠাট্টা তামাশায় সৃষ্টি হয়। 🙂 ভাইয়া আপনাকে আমি আমার পোষ্টের মূল সুরটাই বুঝাতে পারিনি।আমি কিন্তু কাউকে লেখা বন্ধ করে দিতে বলি নাই। এটা সিসিবির পাঠক হিসেবে আমার Expectation, কিছু মতামত।

          স্বাধীনতাটা থাকুক না

          স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার মত দেই নাই ভাইয়া, স্বাধীনতা আছে বলেই নিজের মত দিয়েছি। এই যে বলি আমরা আমরাই তো... সেই অধিকারেই পজিটিভ সমালোচনা করেছি।

          জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      @মর্তুজা,

      সবার কাছ থেকে কোয়ালিটি আশা করাটা ভুল হবে।ব্যাপারটা অনেকটা পরিবারে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করার মত। ছেলেমেয়েকে প্রথম হবার জন্য চাপ প্রয়োগ না করে পরিবেশ তৈরি করলে ওরা নিজেরাই ভাল করবে।

      আমি সবার কাছ থেকে কোয়ালি্টি আশা করি নাই। নতুনদের উৎসাহ দিতে হবে কিন্তু আমি বলেছি

      শুধু মাত্র এইসব পোষ্টেই সিসিবির ৮০ ভাগ পূর্ণ হলে সমস্যা।

      আর এটা চাপ প্রয়োগ না, মনে করিয়ে দিয়ে ভালো পরিবেশ তৈরী করার কথাই বলেছি।

      জবাব দিন
  6. আমি সময়ের বিচারে মাস সাড়ে তিনমাস ধরে প্রতিদিন অন্ততঃ একটা ঘন্টা, না হলেও একবার সিসিবি'তে দেই। এর আগে ছিলাম না, উপায় ছিলো না, তাই এহসান ভাই আমাকে চেনেন না।

    আমি এই সময়ে দেখেছি, সিসিবি'র বাতাস হঠাৎ হঠাৎ পালটে যায়। কখনও সিরিয়াস, কখনও ফানি এনভায়রনমেন্ট কাজ করে... ...

    আমার লেখার হাত তেমন ভালো না-- আমার মাঝে মাঝে মনে হয়। সবসময়েই তাই পোস্ট দেয়ার পর একটা জড়তা কাজ করে। এখন তো কয়েকবার করে ভাববো-- প্রত্যাশার সাথে যদি লেখা মিলে যাবার সম্ভাবনা থাকে, তাহলেই হয়ত দিবো......

    সিসিবি গুণগত মানে বেড়ে উঠবে এই আশা করি।

    জবাব দিন
  7. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    মরতুজা ভাইয়ের সাথে একমত । চাপিয়ে দিয়ে ভাল কিছু আসবেনা । ব্লগটা স্বতঃস্ফূর্ত থাকলেই ভাল হয় । আর ব্লগ হিসেবে সিসিবি এখনো হয়তো ওতটা ম্যাচিউর হয়নি (একান্ত ব্যক্তিগত মত) আপাতত স্বতঃস্ফূর্ত লেখালেখি চলতে থাকুক । তবে ভাল লেখকদের কাছে প্রত্যাশা আসলেই বেশি । তাই উনারা যদি হাত খুলে লিখে যান তাহলে একটা বেন্চমার্ক থাকবে আমাদের মত এ্যামেচার লেখকদের জন্য । বাংলা বইয়ের আসলেই কোন রিভিউ দেখছিনা । যারা নতুন বই পড়েছেন, ভাল লাগার বইটা সম্পর্কে আমাদের বলুন । শুভ লেখালেখি ।

    জবাব দিন
    • আমি সাহস পাচ্ছিলাম না দ্বিমত প্রকাশ করার।

      না বলে পারছি না। আমার মন খারাপ হয়ে গেছে খুব। কথাগুলোকে ঔদ্ধত্য/বেয়াদবি নিবেন না আশা করি। এইটুকু মত প্রকাশ করা আমার জন্যই খুব দরকার।

      আমার কাছে মনে হয়েছে আমি যেই কারণে পাগলের মত করে সিসিবি নিয়ে পড়ে থাকি তার কারণ একটা ফুরফুরে আমেজ, আন্তরিক পরিবেশ। দিনের ভারী-ভারী কাজ করে মন বিষন্ন হয়ে গেলে হালকা হতে, মন ভালো করার আশায় সিসিবি তে লগইন করতাম। এইটা এইরকম অতিভারী হয়ে গেলে মনে হয় সমস্যা। বেশির ভাগ লেখকরা এমন আহামরি কিছু না। কিন্তু একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে পুরোনো ভাই-বোনদের পাওয়া যায়, বন্ধুদের পাওয়া যায়... সেই সুন্দর পরিবেশটার আশায় হয়ত আমার মত অনেকেই সময় দেয়।

      মান বিচারের এই মতটাকে আমি পুরোপুরি অসমর্থন দেই। লেখার মান নিয়ে যখন অনেক কথা হবে-- সিসিবি'তে অনেক পোস্ট কমবেই। এইখানে লেখক সবাই লিখতে লিখতে। পড়ে ভাল লাগতে লাগতে লিখে ফেলেন অনেকেই। অনেকে কলেজ লাইফ পর্যন্ত কখনো লেখেন নি, এখন সুন্দর লেখালেখি করেন ব্লগে, যার কারণ সিসিবি। মানের বাধা আসলে কারো হাত দিয়ে কাঁচা লেখা বের হবে না-- সেইটা মনে হয়না সিসিবির জন্য মঙ্গলজনক। তবু যদি সেইটাই সবার মনের চাওয়া হয়-- তাহলে সমস্যা নাই।
      বড় ভাইরা আছেন, তারা যেটা ভেবে বলবেন-- সেটাই ভালো কথা।

      এইটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত অভিমত। হয়ত আমি আর কিছু লিখবো না, কিন্তু খুব আনন্দিত হয়ে থাকবো সিসিবির সাথে। কারণ সিসিবি গুণগত মান অনেক বাড়বে, বাড়ছে।

      আমরা মানসম্পন্ন লেখা চাই।
      :hatsoff: :hatsoff:

      জবাব দিন
      • এহসান (৮৯-৯৫)

        @ মাহমুদ ফয়সাল,

        আমার ধারনা তুমি আমার পোষ্টটাকে খুব বেশী ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিয়েছো। তাই তোমার মন ভেঙ্গে গেছে। আর অতি ভারী বলতে কি বুঝাচ্ছো আরেকটু খোলাসা করে বল। আমি স্বীকার করেছি ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারনমূলক রচনা সিসিবিতে বেশী আসবে। সিসিবি-তে পরষ্পরের যোগাযোগ রক্ষা ও আড্ডা টাইপের লেখারও দরকার আছে। কিন্তু পোষ্টের শিরোনামে লিখে দেওয়া 'এটা একটা আজাইরা পোষ্ট' ও এই ধরণের নিতান্তই সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পোষ্টগুলোকে অনুৎসাহিত করার কথা বলেছি। আর কাঁচা লেখাগুলো আরেকটু সচেতনভাবে পাকা করার চেষ্টা করতে দোষ কি?

        যাই হোক তোমার মন ভেঙ্গে দেবার জন্য দুঃখিত। 🙁

        জবাব দিন
        • ভাইয়া,
          আমি আপনাদের অনেকের তুলনায় সিসিবিতে নতুন। তিন মাস হয়েছে। কিন্তু এই তিন মাসে প্রতিদিন অন্ততঃ এক ঘন্টা আমি অবশ্যই দিয়েছি, প্রতিটি পোস্ট পড়েছি। সিসিবি'কে মনে হয় অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।

          লেখালেখি কলেজ জীবন থেকে করতাম, কিন্তু সিসিবি'র পরিবেশ বুঝে তবেই প্রথম লেখাটা দিয়েছিলাম--আমার নিজের মতো না। আমি জানি, আমি একটা পোস্ট দেয়ার আগে কয়েকদিন ভাবি, তারপর লিখে রিভিউ করি কয়েকবার, তারপর পোস্ট দেই। আমার ৩৬ টি পোস্টের মধ্যে আমার জানামতে আজ পর্যন্ত একটা বানান ভুল ছিলো-- যা রায়হান ধরিয়ে দিয়েছিল।

          আমি নতুন বলে একসময় দেখেছিলাম "আজাইরা পোস্ট" এর চল। এই জিনিসটা অন্যরকম। কেউ দর্শন, কেউ চলচ্চিত্র, কেউ কঠিন সব রাজনীতি বিষয়ক পোস্ট দেন। তখন এই পোস্টের মত হালকা কিছু বর্ণনা অনেকটাই পাঠকদের জন্য সহায়ক। পড়ে আরাম পাওয়া যাকে বলে।

          আমি জানি, আমরা এমন অনেক পাঠক নিয়ে চলি যারা সারা জীবনে একটা উপন্যাস পড়েন নি। তাদের পড়ার অভ্যাস এখানে এসেছে--কিন্তু অনেকেই মাহমুদ ভাই, মুহাম্মদ, আন্দালিব ভাইয়ের পোস্ট বুঝার যোগ্যতা অর্জন করেননি। কিন্তু যেকোন উপায়েই তারা পাঠাভ্যাস অর্জন করেছেন এখানে। এইটা সিসিবি'র মহৎ একটা অবদান। সেই মানুষদের জন্য "আজাইরা পোস্ট" বিষয়টা খুব খারাপ না। নাম শুনে আজাইরা মনে হলেও এইটা অপাঠ্য কিছু না। এইটার মানে আমার মনে হয়েছিলো-- এইটা গল্প, প্রবন্ধ, দিনলিপি, কবিতা, চলচ্চিত্র, স্মৃতিকথা ---এসব কোন ক্যাটাগরিতে ফেলা যাবে না।
          হয়ত আমি ভুল বুঝেছিলাম। আমি নিজে বেশ কয়টা "আজাইরা পোস্ট" লিখেছি। বিশ্বাস করেন ভাই, তার কোনটাই কয়েক ঘন্টার কম পরিশ্রমে লেখা না। আমি বুঝিনা, আমার এই শ্রমটুকু যদি এরকম বিরক্তিকর হয়ে থাকে সবার কাছে-- আমার উচিৎ ক্ষমাপ্রার্থী হওয়া!! আমি "আজাইরা পোস্ট" এ উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম মরতুজা ভাইয়ের দারুণ কয়েকটা পোস্ট পড়ে--যা আমার খুব প্রিয় পোস্টগুলোর মধ্যে অন্যতম।

          মাসরুফ ভাইয়ের কিছু জন্মদিন সেলিব্রেশনমূলক পোস্ট অসাধারণ বলে মনে হয়েছিল। এরকম সুন্দর লেখা তো আমি অনেকদিন পর পর পেয়েছিলাম... এই সেলিব্রেশন তো ভুল হওয়া ঠিক না।
          কী জানি! হয়ত আমার অনুভূতি আর সবার চাইতেই আলাদা। হয়ত সবই ভুল আর ভুল আমার.........

          আমি আসার সময় আরসিসির মাত্র একজন ছিলো যে লিখত সিসিবি'তে। এরপর আমরা দুই বন্ধু অনেক স্মৃতিচারণমূলক লেখা দিয়েছি-- সিসিবিকে ভালোবেসেই। ১০০ তম পোস্ট--এইটা আমাদের জন্য আরাধ্য ছিলো। তাই যেই সন্ধ্যায় আমি লিখছিলাম, শার্লীও কীভাবে যেন লিখে দিয়ে দিয়েছিলো। আমি পোস্ট দিয়ে দেখি দুইটা একই বিষয়ে। বিব্রত হয়ে ওকে ফোন করে বলছিলাম,"দোস্ত, কী করি?"। ওর উত্তর ছিলো,"সমস্যা নাই। আমি অনেকদিন থেকে দেখে দেখতেছি-- সিসিবি'র ভাইয়ারা অনেক উদার। এইটুকু ম্যানেজ হয়ে যাবে।"............

          ম্যানেজ হয় নাই। সেই একটা বিরক্তি আমার প্রিয় কামরুল হাসান ভাই বারংবার প্রকাশ করেছেন। এই পোস্টেও সেই ইংগিতের একটা মন্তব্য পেয়েছি। জানিনা, এত বড় ভুল করেছিলাম কিনা!
          আমার সেই পোস্টটা যদি মানহীন হয়ে থাকে, তবে আমার কিছু বলার নাই। সেইটাও আমার কয়েকঘন্টা ধরে লেখা ছিলো......

          সিসিবি'র পরিবেশ নষ্টকারী পোস্ট বলতে যদি এইটা হয়, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি কখনই নিজের লেখা জাহির করার কোন উদগ্র কামনা বোধ করি নাই। সেলিব্রেশনটা হয়ত ভুল হয়ে গিয়েছিল-- কিন্তু যেখানে অনেক "কন্ট্রিবিউটর" বিভিন্ন কলেজের, তখন লিস্টে পাবনার মত ১০-১২ আমাদের টাও ছিলো... সেই পরিবর্তনের আনন্দিত হয়ে পোস্ট না দেয়ার মত ভারী আর কঠিন যদি সিসিবি হয়, তাহলে আমার মত মানুষের এখানে থাকার কোন পরিবেশ আর অধিকার নাই। ক্যাডেট কলেজ পরিবারের সদস্য হবার মূল্য কই থাকে আর, আমি বুঝিনা!

          এখানে যারা লেখে, সবাই জানে তাদের লেখালেখির ইতিহাস। লিখতে লিখতে লেখক হয়েছেন অনেকেই। আমার মনে হয়, এই পোস্ট পড়লে আর সেইরকম সাহস পাবে না নতুন অনেকেই। যদিও মানের ব্যাপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

          আমার প্রথম গল্পটা লেখার পর ফয়েজ ভাইকে জোর করে মন্তব্য করিয়েছিলাম। উনি লিখেছেন --"গভীরতা কম"। আমি বুঝলাম কী পরিবর্তন দরকার, কেননা বেশ কিছু সুন্দর গল্প পড়ে আমি বুঝেছিলাম অনেক কিছুই। আমি আগামীতে সেইরকম করেই গল্প দিতাম। আমার লেখার তো মান নিয়ে সংশয়ের দরকার হবেনা আশা করি। যদিও আমি জানি, আমার সেই গল্পটাও অন্য অনেক অনেক গল্পের চাইতে ঢের ভাল।

          যেহেতু, এখানকার প্রায় সবাই আমার বড়। আমি সবার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী-- ভুল বুঝে অনেককিছু করে ফেলার জন্য, সমালোচনার বিষয়বস্তু হবার জন্য।

          আপনি আমার কমেন্টের রিপ্লাই না করলে আমি কিছুই বলতাম না। এখন আমি একান্তই কিছু ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা বললাম। যদি ভালো না লাগে, ভাইয়া প্লীজ বকা বা বিরোধিতা করবেন না।

          আমি আর পরিবেশ নষ্ট করব না, এই আশ্বাসে হলেও আমার আর সমালোচনা চাইনা ভাইয়া।

          জবাব দিন
          • জিহাদ (৯৯-০৫)

            দোস্ত, আমার মনে হয় তুই একটু বেশিই পার্সোনালি নিয়ে ফেলছিস 🙂 কিন্তু এহসান ভাইয়ের পোস্ট পড়ে আমার তেমন কিছু মনে হয়নাই। ঠিক মত খুঁজলে আমারও কিছু আজাইরা পোস্ট পাওয়া যাবে 😀

            তুই মাসরুফ ভাইয়ের সেলিব্রেশন পোস্টের কথা টানলি। কিন্তু আমার মনে হয়না এহসান ভাই ঐ সব পোস্টের কথা টেনে তার কথাটা বলসে। কারণ মাসরুফ ভাইয়ের সেলিব্রেশন পোস্ট সবগুলাই ব্যাপক রকমের ঝাক্কাস হইসে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে পোস্টগুলাতে যেন একঘেয়েমি চলে না আসে।

            সমালোচনা হজম করা অনেক শক্ত একটা কাজ। কিন্তু আমরা সবাই যদি সেটা পজিটিভলি হজম করতে পারি তাইলে আখেরে আমাদেরই লাভ। আর সিসিবিতে সমালোচনা করলে আমার মনে হয়না কেউ ইচ্ছেপূর্বক কাউকে হেয় করে করবে। বরং সেটা করা হবে পারস্পরিক সম্পর্কের দায়বদ্ধতা থেকেই, যেন লেখার ক্ষেত্রে আমরা এখনকার চে আরেকটু ভাল কিছু লেখার ব্যাপারে আরেকটু বেশি মনযোগী হই।

            সবশেষে বলি, আমরা আমরাই তো। এত মন খারাপের কি আছে, ম্যান। তুই তোর মত লিখতে থাক। শুধু ভাল কিছু লেখার আগ্রহটা ধরে রাখ। তাহলেই হবে। :hug:


            সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

            জবাব দিন
  8. আন্দালিব (৯৬-০২)

    এহসান ভাই, সিসিবি নিয়ে আপনার চিন্তার পরিমাণ দেখে রীতিমত ভাল লাগছে। একটা ব্লগে আমরা সবাই লেখালেখি করছি, ভার্চুয়াল জগতের এই অবয়বহীন পরিচয়ের বাইরেও আত্মিক একটা যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই ধারণা করি, সিসিবি আরও অনেকদিন ধরেই আমাদের জীবনের সাথে জড়িত থাকবে।
    শুধু জড়িয়ে থাকলে হয় না, সেটাকে বিবর্তিত হতে হয়। এখন ১০০০ সদস্য এবং ২০০০ পোস্টের পর এরকম একটা ইভ্যালুয়েশনের দরকার ছিল। সেখানে কিছু কিছু পয়েন্টে আমি একমত। আবার কোন কোন জায়গায় ভীষণ দ্বিমত বা ভিন্নমত পোষণ করি।
    একমতের জায়গা হলো, পোস্টে বৈচিত্র্যের কথাটিতে। আমি নিজেও মনে করি, কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির বাইরে অন্যরকমের লেখাও আসা উচিত (এবং কিছু কিছু, অল্প হলেও আসছে)। অনেক সময় একটা ভিন্নধর্মী পোস্টের প্রতিক্রিয়াতেই আরো কিছু সেইধর্মী লেখা চলে আসে। এটাও ভাল দিক। আপনি যে ধরনের ক্যাটাগরি বলছেন, তাতে করে কিন্তু অনেকের সামনেই সেই সুযোগটা চলে আসলো, নতুন বিষয় নিয়ে লেখার। আমি নিজেই গতকাল "কবিতা" ছাড়া একটা "সিরিজ নিয়ে পোস্ট" দিলাম, এবং খেয়াল করলাম যে আমার লেখনী সেখানে আড়ষ্ট বোধ করছে। অবলীলায় লিখে ফেলার অভ্যাসে বাধা আসছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যদি নিজস্ব "কমফোর্ট জোন"-এর বাইরে একটা করেও লেখা দেন, তাহলে এই ব্যাপারটা খুব স্বতস্ফূর্তভাবে ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।
    তবে কে কী লিখবেন সেটা কিন্তু একান্তই তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। আমি মনে করি, সেটি যার যার নিজস্ব চিন্তায় ছেড়ে দেয়াটাই ভাল। যেভাবে পোস্ট মডারেশন, অর্থাৎ কোনটি প্রথম পাতায় আসবে, বা কোনটি আসবে না, সেই বাছাইয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়। লেখার ক্ষেত্রে যেমন ভাবনার সময় এসেছে, পড়ার ক্ষেত্রেও সেই ভাবনাটা চালু রাখা দরকার। সব পোস্টই আমার পড়তে হবে এমন কথা নাই।
    বানানের ব্যাপারে আমি খুবই সহমত। আমাদের এই অসাধারণ ভাষায় আমরা এত গর্ববোধ করি, সেই ভাষাটির মান ধরে রাখার গুরুদায়িত্বও আমাদেরই। অন্য কেউ সেটা আমাদের হয়ে করে দিবে না। বানানে আমার নিজেরও অনেক ভুল হয়। ফোনেটিক বা অভ্রতে কিছু ডিফল্ট ত্রুটি আছে, সেই সাথে বানান-চেকার জিনিসটাও তেমন ভালো তৈরি নেই বলে, নিজের বানানের মান ঠিক করতে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়। আমি এই বিষয়ের টেকি সাইডটা জানি না, তবে এম.এস.ওয়ার্ডের মত, লাল কালিতে দাগ হয়ে যাবে ভুল লিখলে, এমন একটা সিস্টেম পেলে খুবই ভাল হয়।
    বিরাট মন্তব্য করে ফেললাম! 😕

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      @ আন্দালিব,
      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      একটা ইভ্যালুয়েশনের দরকার ছিল।

      এই ধরনের চিন্তা থেকেই সবার মত জানার জন্য পোষ্ট। বেশীরভাগ মানুষ যদি মনে করে এটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিংবা ইভ্যালুয়েট করার কিছুই নাই তাহলে এই পোষ্ট নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নাই।

      কে কী লিখবেন সেটা কিন্তু একান্তই তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। আমি মনে করি, সেটি যার যার নিজস্ব চিন্তায় ছেড়ে দেয়াটাই ভাল। যেভাবে পোস্ট মডারেশন, অর্থাৎ কোনটি প্রথম পাতায় আসবে, বা কোনটি আসবে না, সেই বাছাইয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়।

      এর কোনোটাই আমি প্রস্তাব করিনি। কিছু বিষয়ের কথা বলেছি শুধু উদাহরণ হিসেবে।

      জবাব দিন
  9. তানভীর (৯৪-০০)

    বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে এনেছেন এহসান ভাই।
    আমি শুধু আমার নিজের মতামতটা জানাইঃ
    লেখার মান বাড়াতে হবে কিংবা বৈচিত্র নিয়ে আসতে হবে- এটাতে আমার কোন দ্বিমত নাই। তবে লেখার মানের ব্যাপারে যদি আমরা খুব কড়াকড়ি আরোপ করি-তাহলে হয়ত শাপে বর হয়ে যাবে (বিশেষ করে নতুন লেখকরা)। তার মানে এই না যে আমরা ভালো মানের লেখা আমাদের কাম্য নয়। এ ব্যাপারে যারা পুরনো ব্লগার, তাদের দায়িত্বটা একটু বেশী। ভালো কোন লেখা দেখলে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই অন্যরা খুব উৎসাহিত হন নিজের লেখার মানোন্নয়নের দিকে। বিশেষ করে যারা আমার মত মূলতঃ পাঠক, বা নবীন লেখক তাদের জন্য খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক। যখন খুব ভাল একটা লেখা পড়ি, তখন আমারও ইচ্ছা করে ঐরকম ভালো করে লিখতে কিংবা নিজের লেখাটাকে কিভাবে ভালো করা যায়। আর কমেন্টে উৎসাহ দেয়াটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। বলতে দ্বিধা নাই, অনেকদিন কমেন্ট দিতে দিতে আর সবার কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েই আমি আমার প্রথম লেখাটা লিখি। তবে একটু পুরনো লেখকদের সমালোচনা করাই যায়।
    সময়োপযোগী একটা পোস্ট। দেখি বাকীরা কি বলে!

    জবাব দিন
  10. মরতুজা (৯১-৯৭)

    আরেকটি কথা যোগ করতে চাই, আমাদের এখানে প্রায় সবাই এর আগে লেখার অভ্যাস না থাকাটাই স্বাভাবিক। এদের যদি প্রথমেই কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তা করতে হয় তাহলে এরা কখনই লিখবে না ভয়ে। ফলাফল হবে যে বৈচিত্রের খোঁজ আমরা করছি তার দেখা মেলা ভার হবে।

    আর সহমত, আমি এখানে আসি মন খুলে লিখতে আর পড়তে। প্রসব বেদনা উঠলে যদি চিন্তা করতে হয় বাচ্চা কালো হলে জন্ম দিব না, তাহলে জন্মহার তো নেগেটিভে চইলা যাইব। পরে দেখা যাইব বাচ্চা নেয়ার জন্য সরকার থিকা ভর্তুকি দিতে হইব। জনগন শিক্ষিত হইলে এমনিতেই "ছেলে হোক মেয়ে হোক এক্টি/দুইটি সন্তানই যথেষ্ট" শিখা ফালাইব।

    জবাব দিন
  11. রেশাদ (৮৯-৯৫)

    কিভাবে উদ্ধৃতি দিতে হয় বুঝতে পারছিনা। তাই কপি করে পেস্ট করলাম।

    এখন আমি তোমার পোস্ট নিয়ে কিছু কথা বলি...

    ১. "আমরা বানান কিংবা গুরুচন্ডালী দোষের ব্যাপারে খুবই উদাসীন।"
    ক) প্রথম লাইন এ লেখা "গত কিছুদিন যাবত কিছু কথা ভাবতেছি"...
    মন্তব্যঃ
    - 'ভাবছি' লিখলে ভালো হতো।
    খ) "স্মতিচারনমূলক"
    মন্তব্যঃ
    -'স্মৃতিচারণমূলক' হবে... পুরানো ব্লগারদের বানান ভুল হলে ভালো লাগেনা।

    ২. "মাহফুজ, আন্দালিব কিংবা জাবীর রিজভী কিছু কবিতা লিখে, কিন্তু ফয়েজ ভাই এর পোষ্টের তুলোনায় কমেন্ট কম পড়ে বলে হতাশ হয়ে খুব কম কবিতা লিখে।"
    মন্তব্যঃ
    - কমেন্ট পাওয়ার জন্য আর যাই হোক, কবিতা লেখা যায় বলে আমার মনে হয় না।
    - তবে তুমি উৎসাহ দিলে আমি কিন্তু কবিতা লেখা শুরু করতে পারি 😉
    - 'তুলোনায়' হবে তুলনায়।

    ৩. "মঞ্চ নাটকের রিভিউ কেউ লিখে না।"
    মন্তব্যঃ
    - ইদানীং মঞ্চ নাটক দেখা হয় খুব কম, আমি নিজেও অনেকদিন যাইনা, মিস করি অনেক। 🙁
    - 'কেউ লেখে না' এটা বেশী শ্রুতিমধুর।

    ৪. "ভালো কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে কারো ভালো লাগলে তৃপ্তির ঢেকুঁরের গল্পটা এখানে শেয়ার করা যেতে পারে।"
    মন্তব্যঃ
    - আহা... তুমি একদিন খাওয়াও, আমি গল্প লিখবো 😀
    - 'ঢেকুঁর' হবে ঢেকুর।

    ৫. "এইসব ফালতু সেলিব্রেশন মূলক পোষ্ট গুলোই দেখা যায় গুনগত মান হারাচ্ছে"
    মন্তব্যঃ
    - অনেকগুলো সেলিব্রেশন পোস্ট খুব ভালো হয়েছে, তোমার এই কমেন্ট নিয়ে আরেকবার চিন্তা করা দরকার।
    - আর ব্যক্তিগত সেলিব্রেশন পোস্ট আমরা লিখি কারণ সিসিবিকে নিজের পরিবার মনে করি।

    ৬. "এইসব ব্লগার নিজেও জানে এইগুলো আজাইর‌্যা তাও লিখে।"
    মন্তব্যঃ
    - এগুলো বেশিরভাগ সময় কমেন্ট হিসেবে আসে, পোস্ট হিসেবে না
    - 'আজাইর‌্যা' হবে আজাইরা।

    ৭. "মাঝখানে আবার কয়েকজন চরম কঠিন সব ব্লগ লিখে বিনয়ের ঠেলায় একটা আজাইর‌্যা ডিস্ক্লেইমার দিয়ে বসে।"
    মন্তব্যঃ
    - তুমিও তো তাই দিলা, এটা কি কঠিন কোনো ব্লগ 😕 , নাকি তুমি অনেক বিনয়ী?

    ৮. "এরপর কমেন্টে এক নায়িকার আবির্ভাব, এরপর ঐ পোষ্ট তিন শতাধিক কমেন্ট পেলো।"
    মন্তব্যঃ
    - ব্যপারটা এখুনি দেখতে হচ্ছে 😉 , আগে আগে পড়ে ফেলেছিলাম বলে পরে আর কমেন্ট পড়া হয়নাই 🙁
    - দুইবার 'এরপর' পড়তে ভালো লাগছেনা।

    ৯. "তাই সবাই খুব ক্যাডেটীয় ভদ্রতা মেনে চলে। তাই সব পোষ্টেই কমেন্টে ভালো ভালো কথা লিখে।"
    মন্তব্যঃ
    - আহা, আমি যখন কলেজে ছিলাম তখন যদি সিনিয়র ভাইরা ভদ্রতা করতেন। 🙁
    - তুমি নিজেও কিন্তু তাই করো। আমি শতভাগ কমেন্ট পড়িনি, কিন্তু আমার চোখে খুব বেশি সমালোচনা পড়েনাই এখনো।
    - দুইবার 'তাই' পড়তে ভালো লাগছেনা।

    ১০. "যাই হোক তত্ব কথা লিখে ফেললাম। কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা নাই। নিতান্তই উদাহরন স্বরুপ কিছু ঘটনা টেনেছি।"
    মন্তব্যঃ
    - যা লিখেছো সবই যে আমাদের ভালোর জন্য এটা আমরা বুঝি, কাজেই আঘাত পেলেও মাইন্ড করবোনা। 😛
    - 'তত্ব' হবে তত্ত্ব,
    - 'স্বরুপ' হবে স্বরূপ,
    - 'উদাহরন' হবে উদাহরণ।

    এই কমেন্ট লিখতে লাগলো পুরো এক ঘন্টা!!! এখন বুঝি সমালোচনা সহজ না (আমি কিন্তু একটা কঠিন কাজ করে ফেলসি)

    আচ্ছা এহসান, আমাদের ব্যাচের আর কাউকে দেখিনা ক্যানো?

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      রেশাদ,

      ধন্যবাদ তোমার বিশাল মন্তব্যের জন্য। প্রথমত ভেবেছিলাম এক এক করে আমার সবগুলো ভুল ঠিক করি। কিন্তু এখন সময় নাই ঠিক করার। এই ধরনের সমালোচনার জন্যই তো আমি এই ব্লগ লিখেছি। ভুল গুলো রয়ে গেলো। কিন্তু পরেরবার লেখার সময় মনে রাখবো।

      আমার মতামত গুলোর ব্যাপারে আমি কট্টরপন্থী ধারনা নিয়ে বসে নাই। সবার সাথে শেয়ার করতে চাইলাম আর সবার মতগুলোও জানলাম।

      আর জেনে শুনেই স্রোতের বিপরীতে সাতাঁরের চেষ্টা করলাম। আশংকা ছিলো নেগেটিভ রেস্পন্সের।

      যা লিখেছো সবই যে আমাদের ভালোর জন্য এটা আমরা বুঝি।

      আমি মাইন্ড খাই নাই। 🙂

      জবাব দিন
      • এহসান (৮৯-৯৫)

        @রেশাদ, ভুল গুলো ঠিক করেছি। তোমার মন্তব্যটা গঠনমূলক সমালোচনার আদর্শ উদাহরণ। এরকম মন্তব্য অন্ততঃ আমার লেখা উন্নতি ঘটাবে।

        আমি আগে কেনো নেতিবাচক মন্তব্য এড়িয়ে গেছি... কারন সিসিবির সংস্কৃতির সাথে মিলে না। তাই কোন লেখা ভালো না লাগলে, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতাম। আর আস্তে আস্তে সিসিবির অনেকের সাথেই ইমেইলে যোগাযোগ হচ্ছে। চেষ্টা করেছি ব্যক্তিগত পর্যায়ে হলেও ভালো না লাগার ব্যাপারগুলো জানাতে।

        জবাব দিন
  12. দিহান আহসান

    সালাম এহসান ভাইয়া।
    সিসিবি'তে ভাল লিখার পাশাপাশি এমন অনেক লিখা আছে, ভাল লিখার ধারে কাছে'ই যেতে পারেনা। আস্তে আস্তে লিখতে লিখতে হয়ত অনেকের লিখার হাত আসবে।
    প্রতিটা পাঠকের পুর্ণ স্বাধীনতা আছে তাদের নিজের মতামত ব্যক্ত করার, তেমনি লেখকের'ও সেই মতামত গ্রহণ করতে হতে হবে এবং ভবিষ্যতে খারাপ হলে তা ভাল করার চেষ্টা থাকবে।
    আমরা সবাই সংসারের নানান ঝামেলায় সারাদিন ব্যস্ত থাকি, সিসিবিতে এসে সবার সাথে কথা হলে ভাল লাগে। গল্প-গুজব, হাসি-ঠাট্টা হল।
    বর্তমান সময়ে কারো সময় কোথায়, সবার খবর রাখার। ব্লগে আসলে সবাইকে দেখা যায়, সবার খবর পাওয়া যায়। তাই বলে মান-সম্মত লিখা বন্ধ করতে বলছিনা, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। ভাল লিখার পাশাপাশি, আজাইর‌্যা লিখাগুলোকে সুযোগ দেওয়া উচিত।
    এটা সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব মতামত। ... 🙂

    জবাব দিন
  13. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    এহসান ভাই এখানে বাবা সূলভ আচরন করেছেন তাতে পুচ্চিরা ভয় পেয়ে যেতে পারে এবং নতুন ব্লগারদের নীরব পাঠক হওয়ার প্রবনতা বাড়বে। :dreamy:
    বড় ভাই সূলভ তিন আঙ্গুলের এক চিমটি কমান্ড আর এক মুঠ ফ্রিনেস হলে ভাল হতো। কোয়ালিটি নিয়ে আশংকার যুক্তি আছে । কিন্তু নতুন ব্লগারদের কিছু ছাড় দেয়া উচিত । আর পূরূনোদের :frontroll: । মরতুজ়া ভাইয়ের মতামতের সাথে :thumbup:

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      বাবা সুলভ আচরন!! নিতান্তই হাস্যকর মনে হলো কথাটা। সিসিবিতে আমার অভিমত মানেই শিরোধার্য কিছু না। একটা মুক্ত আলোচনা আহবান করেছি। কমান্ড খুঁজে পেলা কোথা হতে। আর ফ্রি নেস বলতে কি বুঝাচ্ছো তা আরেকটু সংগায়িত করলে বুঝতে সুবিধা হতো। কারন খাবার স্যালাইনের উপমাটার যথার্থ প্রয়োগ আমি মিলাতে পারছি না।

      হ্যা নতুন ব্লগারদের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কথা অনেকেই বলছেন, স্বীকার করে নিচ্ছি নীরব পাঠক হবার সংখ্যা বাড়বে কিন্তু আজাইরা পোষ্ট লিখে হাফ সেঞ্চুরী করার কি মানে আছে বলো!!

      জবাব দিন
  14. তারেক (৯৪ - ০০)

    ইউসুফ ভাই আর মরতুজা ভাইয়ের সাথে একমত।
    লেখায় নানা রকম বৈচিত্র আসে বলেই এটা ব্লগ। আমার ধারণা এরকম স্বাধীন ভাবেই লেখালেখিটা চলতে থাকুক। সেটাই ভাল হবে সবার জন্যে।


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
  15. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    বন্যর কথাই বলে যাই:

    পোষ্টের বৈচিত্রতা বিষয়ে এহসান ভাইর সাথে একমত…. :thumbup: :thumbup:

    আর কোয়ালিটি বিষয়ে মর্তুজা ভাইর সাথে একমত…. :thumbup: :thumbup:

    আসল কথা হল এখানে ফেলে আসা সেই অচিনপুরের স্বাদ নিতে চাই 🙂 ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  16. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    এক রেটিং দিয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। কিন্তু লেখাটা আমার ভালো লেগেছে। আমি পাঁচাইলাম। তবে কথা আসলে একটাই, ব্লগ যেমন ইচ্ছা লেখার মতো। আমার নিজের কিছু কিছু ব্যাপারে এলার্জি আছে- (অতিরিক্ত ইমোর ব্যবহার বিশেষ করে), কিন্তু কিছু মনে করি না, এইটাই সিসিবির বৈশিষ্ট্য।

    ঢালাও উৎসাহমূলক মন্তব্য করাটাও মনে হয়, সাধারণ দৃষ্টিকোন থেকে অনুচিত। তবে এটাও ঠিক এই ধরণের উৎসাহমূলক মন্তব্যের প্রয়োজন রয়েছে।

    কী কইতে কী কই। যাই হোক, আজকে বিকালে বুয়েট ভার্সেস আইইউটি ফুটবল ম্যাচ আছে। খেলা শেষ হোক তারপর হয়তো আবার নিজের কথা বলবো।

    জবাব দিন
  17. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    একটা ব্যাপার কি এহসান, যিনি বা যারা লেখা নিয়ে সিরিয়াস তারা কিন্তু নিজে থেকেই নিজেদের লেখার মান উন্নয়ন করবে।

    আমার মনে হয় এভাবে না করে আমরা ভালো লেখা গুলোকে অন্যভাবে উৎসাহিত করতে পারি। যেমন ভালো লেখা গুলো নিয়ে একটা বই ছাপানো, কিংবা ই-বুক বের করা, তাহলে সবাই উৎসাহিত হবে নিজের লেখা আরও ভালো করতে, লিখবে, বইয়ে লেখা না ছাপানো হলে বুঝে নেবে এটা ভালো হয়নি, তাকে আরও ভালো করতে হবে। ব্লগ ব্লগের মত থাকুক, সবাই এখানে হাত খুলে লেখুক, এর পরে এখান থেকে ভালো লেখাকে আলাদা করে প্রিন্ট করা হোক, বা ই-বুক।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • রেশাদ (৮৯-৯৫)

      "এখান থেকে ভালো লেখাকে আলাদা করে প্রিন্ট করা হোক, বা ই-বুক।"

      ফয়েজ ভাই, তাহলে কিন্তু আপনার স্বনির্বাচিত সংকলন বের করা যাবে 🙂

      তবে আপনি যা বললেন তাতে পুরোপুরি একমত।

      জবাব দিন
    • সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
      ভালো লেখা গুলো নিয়ে একটা বই ছাপানো, কিংবা ই-বুক বের করা, তাহলে সবাই উৎসাহিত হবে নিজের লেখা আরও ভালো করতে, লিখবে, বইয়ে লেখা না ছাপানো হলে বুঝে নেবে এটা ভালো হয়নি, তাকে আরও ভালো করতে হবে। ব্লগ ব্লগের মত থাকুক, সবাই এখানে হাত খুলে লেখুক, এর পরে এখান থেকে ভালো লেখাকে আলাদা করে প্রিন্ট করা হোক, বা ই-বুক।

      :thumbup: :thumbup: :thumbup:


      Life is Mad.

      জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)
      যিনি বা যারা লেখা নিয়ে সিরিয়াস তারা কিন্তু নিজে থেকেই নিজেদের লেখার মান উন্নয়ন করবে।

      তাই বলে গঠনমূলক সমালোচনায় পিছু হটার কি আছে। আর ই-বুক এর সমাধানটা নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। প্রতিনিয়ত ই বুক বানানো চাট্টি খানি কথা না আর ই বুক পড়লে তো সিসিবির সার্বিক উন্নতি হলো না। আলাদা প্রিন্ট করা বা শ্রেনীভেদ কি কোনো সমাধান নাকি সবাই মিলেই আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা অনেক গর্বের।

      জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      সেলিব্রেশন পোষ্ট বলতে তোমার জন্মদিনের পোষ্ট বুঝাইনি। তোমার গত মাসের জন্মদিনের পোষ্টটাতো অসাধারন ছিলো। 😉 সেলি্ব্রেশন নিয়ে কামরুলের কথাটাই আমার মনের কথা কিন্তু আমি বুঝাতে পারিনি। 🙁

      ৫০, ১০০, ৩০০তম পোস্ট উদযাপন করে প্রচুর পোস্ট আসে। অনেকগুলি খুব সুন্দর হয়, অনেকগুলি অখাদ্য। দেখা যাচ্ছে একজন অলরেডি এই নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলেছে, তারপরও আবার অন্যজন দিচ্ছে। পাঠক হিসেবে আমার নিজের বিরক্তি চলে আসে তখন।
      জবাব দিন
  18. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    আরেকটা ব্যাপার হলো বই নিয়ে কেউ লিখে না

    বই নিয়ে দুই একদিন ধরে একটা লেখা লিখবো লিখবো ভাবছি। আলসেমি লাগছিল। এই লাইনটা পড়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম। ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  19. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    এর আগে বড় কইরা কমেন্ট লিখছিলাম এইখানে। কিন্তু কারেন্ট চলে যাওয়ায় আড় তারপরে ছুটি নিয়ে বাসায় বসে থাকার আলস্যে আমার ঘুমিয়ে যাওয়ায় ব্লগ হতে একটু চলে গিয়েছিলাম। আমি এহসান ভাইয়ের সাথে একমত। ব্লগে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের দরকার আছে। অন্তত ব্লগটা যাতে চ্যাটরুম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত ( যদিও সিসিবি এই দিক থেকে অনেক পরিচ্ছন্ন)।
    লেখার মান স্বয়ং লেখকই নির্ধারণ করবেন । যেমন আমি অনেক লেখাই লিখি যেগুলো মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিন্তু আমি নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম বলে আমি ব্লগে ছাপাতে দ্বিধা করিনি। নিজেদের বাড়িতে আমরা কী কথা বলব টা আমরা নিজেদের সাঢারন বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করব। যেমন ইচ্ছা লেখার আমার কবিতার খাতা মানি কিন্তু সেটা ফলে যদি কেউ এখানে পর্ণোগ্রাফি পোস্ট দেয় সেটাকে বাধা দিবেন কিভাবে? অতএব কোয়ালিটি কন্ট্রোল দরকার তবে সেটা ব্লগারদের নিজ উদ্যোগে।
    আশা করি আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করতে পেরেছি।

    জবাব দিন
  20. জিহাদ (৯৯-০৫)

    এহসান ভাইয়ের সব মতামতের সাথে একমত না হলেও আমিও পাঁচা‌ইলাম। যদিও রেটিং ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভালো চোখে দেখিনা। 🙂
    আর এই পোস্টের বিষয়বস্তুকে বিরুপ দৃষ্টিতে দেখারও কিছু নেই। বরং ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই পোস্ট অসচেতনভাবে হলেও কাজে লাগবে মনে হয়।

    আজাইরা লেখা বলতে যেটা নির্দেশ করছে সেরকম ব্লগে কিছু আসলেও আমি সমস্যা দেখিনা। কিন্তু আমাদের মনে হয় খেয়াল রাখা উচিত সিসিবিতে কখনোই যেন সে ধরণের পোস্টের প্রাধাণ্য বেশি না হয়ে যায়।

    তবে এক দুই লাইনের ব্লগ লেখা বা শুধু ছবি বা দুইটা ইউটিউবের লিংক দিয়ে পোস্ট - এইরকম ব্লগের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগতভাবে এলার্জি আছে। সবাইকে অনুরোধ করবো এরকম পোস্টে অন্তত দুয়েক প্যারা প্রাসঙ্গিক বর্ণনা বা সম্পর্কিত কিছু লেখার জন্য। পড়তে ভালোবাসি। সেই টান থেকেই ব্লগিং এর প্রতি আকর্ষণ। এরকম ছবি কিংবা শুধু ভিডিও দেখতে চাইলে তার জন্য ব্লগের চে অনেক ভালো ভালো সাইট আছে এগুলোর জন্য। শেখানে গেলেই তো হয়।

    ব্লগের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দেয়াতেও আমার সায় নেই।‍‍ ‍‍যার‍‍‍‍ যে বিষয়বস্তুর উপর লিখতে ইচ্ছে হবে লিখবে। আমিন ভাইয়ের মত আমার মনে হয়না কেউ এখানে পর্ণোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট দিবে। অন্তত সিসিবিতে না। শুধু অনুরোধ যে যাই নিয়েই লিখুব সেটা যেন প্রিভিউ মার্কা না হয়ে বিস্তারিত এবং সুখপাঠ্য হয়।

    সিসিবিতে সচলায়তনের মত বেশ দীর্ঘস্থায়ী মডারেশন প্রসেসের ভেতর দিয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়না। কাজেই শুরুতেই সবার কাছ থেকে সেরকম আশানুরুপ ধরণের ব্লগ পাওয়ার আশা করাও বোধহয় ঠিক না। তবে আমার মনে হয় সে জন্য নতুন ব্লগারদের প্রতি পুরোনোদের গাইড করার একটা ব্যাপার আছে। আর এ জায়গাটাতে গঠণমূলক সমালোচনার একটা ভূমিকা থাকা উচিত এবং দরকারও বলে আমি মনে করি। আমাদের সিসিবির পরিবেশটাই এমন যে আমরা সবাই সবাইকে যে কোন লেখায় প্রশংসা করি, বোধহয় একটু বেশি বেশিই। আমার তাতে কোন আপত্তিও নেই। বরং এটা নতুন, পুরোনো ব্লগার সবার জন্যই উৎসাহব্যাঞ্জক। তবে পাশাপাশি ভুলগুলোও আমার মনে হয় সহনশীলভাবে ধরিয়ে দেয়া উচিত। তাতে কারো ভালো বৈ খারাপ কিছু হবেনা। সিসিবিতে গঠণমূলক সমালোচনার এই ব্যাপারটার অভাব আমি ব্যক্তিগতভাবে অনূভব করি।

    বাংলা বানানের ব্যাপারে এহসান ভাই মডারেটরদের কাছ থেকে আরো কার্যকরী ভূমিকা আশা করেছেন। কিন্তু এভাবে গুটিকয়েক মডারেটরের জন্য এরকম শুদ্ধি অভিযান চালানো মোটেও সহজ কোন কম্মো নয়। পাশাপাশি আমার মনেও হয়না এক্ষেত্রে সেটা তেমন ইফেক্টিভ হবে। কারণ তাতে কোন বানান মডারেটররা শুদ্ধ করে দিলেও লেখকের কিন্তু সেই পরিবর্তিত সঠিক বানানগুলো থেকে দৃষ্টি এড়িয়ে যেতেও পারে। ফলশ্রুতিতে সেই লেখক একই বানান বারবার ভুল করতে থাকবে। তারচে সচেতন পাঠকরা যদি শুধু প্রশংসা করার পাশাপাশি তার চোখে পড়া বানানগুলোর ভুল ধরিয়ে দেন এবং লেখককে শুধরে দেবার অনুরোধ করেন তাহলে সেটা লেখক এবং অন্যান্য যারা বানানগুলো পড়বেন উভয়েই বানানগুলো শিখে নিতে পারবেন।

    আপাতত এটুকুই। পড়ে আরো কিছু মনে আসলে লিখে যাবো।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  21. আমিন (১৯৯৬-২০০২)
    আমিন ভাইয়ের মত আমার মনে হয়না কেউ এখানে পর্ণোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট দিবে।

    তোমার মতো আমিও মনে করি না এখনকার অবস্থায় দিবে। কিন্তু সামুতে ঘোরাঘুরি করার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এই লাইনটা বলেছিলাম। পর্নোগ্রাফি না বলে বরং অশালীন পোস্ট বললে কথাটা সবার কাছে সহজ বোধ্য হতো। সে ব্যাপার গুলো অবশ্য সামুতে আমি দেখেছি ভালো (!) ব্লগারদের হাত ধরেই আসতে। অতএব লিখার আগে এই ব্যাপারগুলো মাথায় আগে থাকলে অরুচিকর কিছু আসবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। যেহেতু ব্যাপারটা এখন নেই এটা নিয়ে বেশি আলোচনায় গেলাম না। তবে ভবিষ্যতের সতর্কটা এবং স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার টাগিদ থেকেই এহসান ভাইয়ের কথাগুলো ভালো লেগেছে।

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)
      লেখার মান স্বয়ং লেখকই নির্ধারণ করবেন । নিজেদের বাড়িতে আমরা কী কথা বলব তা আমরা নিজেদের সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করব।মান সম্মত বলতে কিন্তু সাহিত্যিক মান বা গবেষণার উৎকর্ষতা বুঝানো হয় নাই। এটা হচ্ছে অযথা ব্লগিং পরিবেশ নষ্ট কারী কিছু কাজের বিপক্ষে সতর্কতা। নিজের কাছে নিজের পরিষ্কার থাকলেই হলো।

      :thumbup:

      আমি না লিখে তুমি ব্লগটা লিখলে সবাইকে আরো সহজ করে মূল কথাটা বলা যেতো।

      জবাব দিন
  22. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    অনেকের আপনার কথাগুলি পছন্দ হয়নায়, কিন্তু আমার পছন্দ হয়েছে। আপনার সাথে একমত।

    যারা দ্বি-মত করছেন তারা দেখলাম অনেকে ভাবছেন, আপনি সিসিবিতে লিখতে নিরুৎসাহিত করছেন অনেককে, আমার কাছে তা মনে হয়নি। বরং আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার লেখাটা পড়ে এইসব টুকিটাকি বিষয় মাথায় রেখে কেউ যদি লিখে তাহলেই লেখাটা অনেক ভালো হবে। সেই অর্থে আপনার এই লেখাটা অনেক গঠনমূলক।

    এখানে যারা আছেন, তারা সবাই হয়তো একটা ব্যপারে আমার সাথে একমত হবেন, সিসিবির শুরুর দিক থেক আপনি যদি পড়া শুরু করেন তাহলে দেখবেন, আপনি সব লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছেন, কিন্তু যতোই এগোবেন দেখবেন ধীরে ধীরে অনেক পোস্ট বাদ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। কারন তখন সবাই অনেক মনোযোগ দিয়ে লিখতো, সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়তো। এখন আমাদের সেই মনোযোগটা কমে এসেছে, লেখায় এবং পড়ায়।

    ৫০, ১০০, ৩০০তম পোস্ট উদযাপন করে প্রচুর পোস্ট আসে। অনেকগুলি খুব সুন্দর হয়, অনেকগুলি অখাদ্য। দেখা যাচ্ছে একজন অলরেডি এই নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলেছে, তারপরও আবার অন্যজন দিচ্ছে। পাঠক হিসেবে আমার নিজের বিরক্তি চলে আসে তখন।

    চেইন মেইল থেকে কপি পেস্ট ফটোব্লগ বা মজার পোস্ট অনেক সময় ভালো লাগে যদি ব্যতিক্রম কিছু হয় বা ইতিমধ্যে সবার দেখা বা পড়া না হয়ে থাকে। কিন্তু যেসব চেইন মেইল সবার মেইল থেকে মেইলে ঘুরে বেড়ায় সেগুলি আবার সিসিবিতে পোস্ট হতে দেখলে এড়িয়ে যাই সযত্নে।

    পুরনো পোস্ট সিসিবিতে দেয়া নিয়ে আমার ব্যক্তিগত ভাবে খুব এলার্জি আছে। কিন্তু সিসিবিতে এনিয়ে কোন বিধি-নিষেদ নেই। তাই এটা মনে হয় চলতেই থাকবে। একই সময়ে বা একদিন পরে হলে খুব একটা খারাপ লাগে না, কিন্তু অন্য কোথাও পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া শেষ হয়ে যাবার এক সপ্তাহ পরেও অনেকে সিসিবিতে আবার সেটা পোস্ট করেন। এটা দেখলে মাঝে মাঝে সিসিবির পাঠক হিসেবে আমাকে খুব ছোট মনে হয়।

    ঢালাও উৎসাহজনক মন্তব্য দেয়াটা কেমন জানি ট্রেন্ড হয়ে গেছে, বুঝে না বুঝে। এটা লম্বা সময়ের জন্যে সিসিবির ক্ষতি করছে। চিন্তার বিষয়।

    একটা সত্যি কথা বলি, বিভিন্ন কমেন্টে সবাই বলছেন সিসিবিতে লেখার গুনগত মান বেড়েছে, আমিও বলি। কিন্তু এর সঙ্গে এটাও সত্যি আজেবাজে লেখার পরিমানও অনেক বেড়েছে। কোয়ালিটি কিছু পেতে হলে অবশ্যই কিছু 'সিস্টেম লস' হবে এটা আমিও জানি। কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয়, কিছু জায়গায় আমাদের আরো এগিয়ে থাকার কথা ছিলো, আমরা সে জায়গায় যেতে পারিনি। বাংলা ব্লগিংয়ের বয়স হিসেব করলে সিসিবির দেড় বছর বয়স কিন্তু কম নয়।

    মরতুজা ভাই, ইউসুফ ভাই, তারেক

    আপনাদের কথা ঠিক আছে, যেমন ইচ্ছে লিখতে থাকুক সবাই। লিখতে লিখতে চমৎকার লেখা বের হবে এক সময়। আমি যদি ভুল না বুঝে থাকি, এহসান ভাইও কিন্তু কাউকে লেখা বন্ধ করে দিতে বলেন নাই। এটা সিসিবির পাঠক হিসেবে তার প্রতিক্রিয়া , তাই এই লেখাটারও দরকার আছে, মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে কিছু মতামত , সমালোচনা দেয়া। যাতে লেখকরা তাদের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে পারে।

    এহসান ভাই
    আপনার প্রতিক্রিয়ার সুফল আসতে শুরু করেছে দেখলাম। ঢালাও 'খুব ভালো
    হয়েছে' বলার বদলে অপছন্দটাও জানাতে শুরু করেছে অনেকে। আপনার পোস্টেই অনেকগুলি ১ রেটিং পড়েছে। যাই হোক, আমার পক্ষ থেকে ৫ তারা।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • টিটো রহমান (৯৪-০০)

      কামরুল
      কিন্তু লেখার মানটা বিচার করবে কে??
      যদি বিমিষ্ট কোন লেখক হয় তাইলে কোনে কথা নাই
      তবে উত্তর যদি হয় যার যারটা সে তাইলে দুইখান কথা
      ১. এই ব্লগের বেশিরভাগ লেখকই নিশ্চত না তার লেখা মান সম্মত কিনা
      ২. যে যার আবেগ দিয়ে লিখে। সবার উপর আবেগ সত্য তাহার উপরে নাই। সুতরাং মানের কাছে আবেগ না পরাজিত হয়


      আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        বস বেয়াদবি না নিলে একটু বলি, মান সম্মত বলতে কিন্তু সাহিত্যিক মান বা গবেষণার উৎকর্ষতা বুঝানো হয় নাই। এটা হচ্ছে অযথা ব্লগিং পরিবেশ নষ্ট কারী কিছু কাজের বিপক্ষে সতর্কতা। নিজের কাছে নিজের পরিষ্কার থাকলেই হলো। আমি যেজন্য ব্লগ লিখব আমার কাছে যাতে পরিষ্কার থাকে আমি কোন আজাইরা কাজ করি নাই।

        জবাব দিন
        • রকিব (০১-০৭)

          ভাইয়া, একটা কথা বলবো। নিজের কাছে নিজের পরিষ্কার থাকলেও অনেক সময় অন্যের কাছে অপরিষ্কার হয়ে যেতে হয়। তাছাড়া, ব্যক্তি মতামত এবং গোষ্ঠী-মতামত কিন্তু সবসমইয় এক হয় না। তাই যেটা কারো কাছে মনে হতে পারে ভালো বা মানসম্পন্ন ব্লগ, তাহাই আবার কারো কাছে মানহীন ব্লগ-এর উপাখ্যান। সেক্ষেত্রে কিন্তু মান বিচার করার জন্য তৃতীয় পক্ষ বা অন্য ধরণের মডু প্যানেলের দরকার হয়ে পড়ে।

          যে যার আবেগ দিয়ে লিখে। সবার উপর আবেগ সত্য তাহার উপরে নাই। সুতরাং মানের কাছে আবেগ না পরাজিত হয়।

          টিটো ভাইয়ের একথাটাও ফেলে দিতে পারছি না। আমি যখন চিন্তা করবো আমার লেখাটা কি সুখপাঠ্য হবে কিনা, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের কাছে মনে হবে এটা কিছুই হয়নি। ফলাফল স্বরূপ আমার মতো অনেকেই হয়তো সাহস করে পোষ্ট নাও দিতে পারে। সহজ কথায়, ব্লগিং এর কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত নই, কারণ সিসিবির হাত ধরেই ব্লগিং এ আমাদের বিচরণ। তাই লেখার গতি প্রকৃতি কি রূপ হোয়া উচিত তা অজানা থাকাটা অবাস্তব কিছু না। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আমাদের দেখিয়ে দেওয়া হবে?


          আমি তবু বলি:
          এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

          জবাব দিন
        • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

          খারাপ মান বলতে মনে হয় শুধু পরিবেশ নষ্ঠকারী বোঝানো হয় নাই... যেমন চেইন মেল থেকে ছবি ব্লগ... আজাইরা দিনলিপি... কিছু সেলিব্রেশন পোস্ট... ইত্যাদি এগুলো পরিবেশ নষ্টকারী নয় নিশ্চয়, তবে সাহিত্য মান নিম্ন ( আমি যা বুঝেছি আর কি )


          আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
          আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

          জবাব দিন
          • এহসান (৮৯-৯৫)
            খারাপ মান বলতে মনে হয় শুধু পরিবেশ নষ্ঠকারী বোঝানো হয় নাই… যেমন চেইন মেল থেকে ছবি ব্লগ… আজাইরা দিনলিপি… কিছু সেলিব্রেশন পোস্ট… ইত্যাদি এগুলো পরিবেশ নষ্টকারী নয় নিশ্চয়, তবে সাহিত্য মান নিম্ন

            ঠিকই বুজেছো।

            জবাব দিন
  23. ভাইয়া,
    কয়েকটা বানান চোখে লাগলো।

    ব্যাবহার/ ব্যবহার, প্রান/ প্রাণ, ব্যাক্তিগত / ব্যক্তিগত, সাধারন/ সাধারণ,
    ভ্রমন/ ভ্রমণ, বর্ননা/ বর্ণনা, আক্রমন/ আক্রমণ, দারুন/ দারুণ, গুনগত/ গুণগত, কারন/ কারণ, পরিপূর্ন/ পরিপূর্ণ, উদাহরন/ উদাহরণ............

    একটু দেখবেন কি? আমার হয়ত ভুল হচ্ছে...
    বেয়াদবি অথবা ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

    জবাব দিন
  24. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    বই নিয়ে আসলেই খুব একটা লেখা আসে না। এরই মধ্যে লিংকন সেলিনা হোসেনের বই নিয়ে একটা লেখা দিয়ে দিয়েছে। তার মানে এই পোস্ট উদ্দেশ্যের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ সফল। এহসান ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা পোস্টের জন্য। লেখাটা সিসিবির অপর্যাপ্ত মানকে কিছুটা হলেও উপরের দিকে তুলে দেবে- সন্দেহ নেই।

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      এহসান ভাই, আপনার এই লেখা পড়ে যে কতজন উৎসাহী হইছে ভাবতেও পারবেন না। আমি নিজেও একটা ভাল লেখা তৈরীর কথা ভাবছিলাম, হয়ত দ্রুতই লিখে ফেলব।
      আমি বলছি, লেখা সব ধরণেরই আসবে। ফোরামের লেখার মত না হলে যে কেউ যে কোনকিছুই লিখবেন, সবকিছুকেই এখানে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে ভাল লেখাকে একটু বেশী স্বাগত জানানো। সিসিবি-তে ভালো লেখার পাশাপাশি পরষ্পরের যোগাযোগ রক্ষা ও আড্ডা টাইপের লেখারও দরকার আছে। কিন্তু হালকা আড্ডার কারণে যদি ভালো লেখা আনওয়েলকাম ফিল করে সেটা ভাল হবে না। তাই উচিত হবে আমরা ইচ্ছামত আড্ডা দেব কোন অসুবিধা নাই, কিন্তু এর ফাঁকে ফাঁকে ভালো লেখাগুলোকে উৎসাহ দিতে হবে। ব্লগের লেখকরা উৎসাহের উপর অনেকখানি নির্ভর করে।

      জবাব দিন
      • এহসান (৮৯-৯৫)
        লেখা সব ধরণেরই আসবে। ফোরামের লেখার মত না হলে যে কেউ যে কোনকিছুই লিখবেন, সবকিছুকেই এখানে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে ভাল লেখাকে একটু বেশী স্বাগত জানানো।

        একমত। দিহান ভাবীর মতে

        ভাল লিখার পাশাপাশি, আজাইর‌্যা লিখাগুলোকে সুযোগ দেওয়া উচিত।

        আমি ভালো লেখা আর আজাইরা লেখার একটা কাম্য সমন্বয় (Optimum Combination)চাইছি।

        আপনার এই লেখা পড়ে যে কতজন উৎসাহী হইছে ভাবতেও পারবেন না।

        তাই নাকি!! আমিতো ভেবেছি এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক মন্দির মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছি। যাই হোক কেউ যদি পজিটিভ অনুপ্রেরণা পায়... আমার সৌভাগ্য(মনে হয় সিসিবিরও)

        জবাব দিন
  25. নাজমুল (০২-০৮)
    ইউসুফ ভাই আর মরতুজা ভাইয়ের সাথে একমত।
    লেখায় নানা রকম বৈচিত্র আসে বলেই এটা ব্লগ। আমার ধারণা এরকম স্বাধীন ভাবেই লেখালেখিটা চলতে থাকুক। সেটাই ভাল হবে সবার জন্যে।

    :thumbup:
    আমি ছোটো মানুষ কি লিখবো বুঝিনা যার লেখা পড়ি মনে হয় তার তাই ঠিক।
    আছে।
    কিন্তু এই পোষ্টটাকে সাপোর্ট করতে পারলাম না।
    সেলিব্রেসন করার ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগলো।
    এটা নিয়ে কি বলবো বুঝতেসিনা কিন্তু ........................ 🙁

    জবাব দিন
  26. তৌফিক (৯৬-০২)

    এহসান ভাই লিখতে গিয়ে আমার নাম দুইবার নিয়েছেন দেখে আমি তো খুশিতে দু'পাক নেচে নিলাম। 🙂

    এইবার কাজের কথায় আসি। সিসিবিতে সাহিত্য চর্চা হয়, কিন্তু এরপরও এটা মনে হয় ভাব বিনিময় আর যোগাযোগের প্লাটফর্ম হিসাবেই বেশি কাজ করে। সিসিবির নামেই এর সংগা লুকিয়ে আছে, ক্যাডেট বা ক্যাডেট সম্পর্কিত লোকজনেরা যেকোন বিষয়ে লিখবেন। সবাই মোটামুটি প্রাপ্তবয়স্ক এখানে, কারো বয়েস হয়তো একটু কম। তবু কোনটা বৈঠকী আলোচনায় বলা যায়, এবং কোনটা যায় না- এই বোধ নিজে থেকে না আসলে মডারেশনে লাভ হবে বলে মনে হয় না। এহসান ভাইকে সাধুবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে আনার জন্য। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, যেভাবে চলছে চলুক না আমাদের যেমন ইচ্ছে, যা খুশি লেখার খাতাটা। তবে আমরা যেটা করতে পারি-
    ১। বানান ভুল চোখে পড়লে কমেন্টে জানিয়ে দিতে পারি।
    ২। বাক্য গঠনে ভুল হলে জানিয়ে দিতে পারি।
    ৩। বিষয়বস্তুর ব্যাপারে আপত্তি থাকলে সরাসরি জানাতে পারি।
    ৪। এই জানানোটা পুরাতন লেখকদের ক্ষেত্রে করলে সবচেয়ে ভালো।
    ৫। এই কাজগুলো করতে গিয়ে নতুন লেখকদের নিরুৎসাহিত করা যেন না হয়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

    এহসান ভাইয়ের পোস্ট পড়ে অংগীকার করলাম, লেখার পর, পোস্টানোর আগে অবশ্যই দু'বার তিন'বার রিভিসান দিয়ে তারপর পোস্টাবো। আমি আমার নিজের পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে বাক্য গঠনে কিছু অসংগতি পেয়েছি, ভবিষ্যতে এটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো। এই অসংগতির কারণটা শুধুই অসাবধানতা, ভাষার উপর খারাপ দখল নয়। একটু সচেষ্ট হলেই কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

    আর ভাষারীতির ব্যাপারে একটা কথা আছে। আমার দিনলিপি পোস্টগুলোতে আমি যেভাবে কথা বলি, সেভাবেই লিখি। সেটা ভাষার প্রমিতরুপ নয়, বরং ময়মনসিংহ, ডিজুস, ঢাকা আর টাংগাইলের ভাষার একটা জগা খিচুরি। আমি এই পোস্ট পড়ার পর একটু সন্দিহান হয়ে পড়লাম, এভাবে আর লেখা ঠিক হবে কিনা। এহসান ভাই আর বাকিরা কি বলেন?

    জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)
      অংগীকার করলাম, লেখার পর, পোস্টানোর আগে অবশ্যই দু’বার তিন’বার রিভিসান দিয়ে তারপর পোস্টাবো। আমি আমার নিজের পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে বাক্য গঠনে কিছু অসংগতি পেয়েছি, ভবিষ্যতে এটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো। এই অসংগতির কারণটা শুধুই অসাবধানতা, ভাষার উপর খারাপ দখল নয়। একটু সচেষ্ট হলেই কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

      :thumbup:

      ভাই স্টাইল চেঞ্জ কইরেন্না। যেমনে লিখেন ওমনে পড়তেই ভাল্লাগে।

      একমত।

      জবাব দিন
  27. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    মোটামুটি সব কথাই বলা হয়ে গেছে, তারপরেও আমি আমার নিজের কথাগুলো বলি।

    সিসিবি ব্লগ হলেও অন্য সব ব্লগ থেকে ভিন্ন অবশ্যই। এখানে শুধুমাত্র ক্যাডেট কলেজ এবং সংশ্লিষ্টরাই লিখে থাকে। সেইক্ষত্রে লেখায় স্মৃতিমুলক লেখা বেশী থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, কারন সেটাই আমাদের একমাত্র সম্বল। তবে এহসানের কথাও ঠিক শুধুমাত্র পোষ্ট দিবার জন্য না লেখাই ভাল। সেক্ষত্রে কমেন্ট করে কিছু বলা ভাল। আর এ কথাও মনে রাখতে হবে যে এখানে অনেক নতুন ব্লগার আছে, যাদেরকে নিরুৎসাহিত করা উচিতৎ হবে না।

    তবে লেখার বৈচিত্র বেঁধে দেওয়াতো সম্ভব নয়। এটা নির্ভর করবে যে লিখবে তাঁর নিজস্ব ভাল লাগা, চিন্তা ভাবনা তার উপর। আর ক্যাডেটদের চিন্তা ধাঁরা মোটামুটি কাছাকাছি বলে বেশী বৈচিত্র না থাকাটাই স্বাভাবিক। বরং মুহাম্মদ কিংবা মাহমুদের মতো ভিন্ন ধরণের লেখা দেখেই আমি অবাক হই।

    আমি আমার নিজের কথা যদি বলি, যেটা আমি ফয়েজ ভাইয়ের কমেন্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম, দর্শনের বিষয়ে যদি আগ্রহ না পেতাম তাহলে আমি হয়তো কোন দিন লিখতাম কিনা সন্দেহ। কমেন্ট বা হিটের কথা চিন্তা করেতো লিখি না, লিখি নিজের আনন্দের জন্য, আর কিছুটা সমাজকে কিছু দেবার দায়বদ্ধতা থেকে। কথাগুলো হয়তো শিক্ষক সুলভ হয়ে যেতে পারে, (হয়তো নিজে শিক্ষক বলে) তারপরেও বলি, আমি মনে করি ক্যাডেট কলেজ যা দিয়েছে এবং দেশ আমাদের যা দিয়েছে তার প্রতিদান সবারই কোন না কোন ভাবে দেওয়া উচিত। যদি ক্যাডেট কলেজ না থাকতো তবে আমি আজকের আমি হতাম না এ কথা নির্ধিদ্বায় বলতে পারি।

    আমার লেখার উদ্দেশ্য দর্শন নিয়ে কথা বলা না, সমাজতন্ত্র নিয়ে কথা বলা না। উদ্দেশ্য সবার সামনে এমন কিছু একটা মডেল দেওয়া যেটা নিয়ে সবাই এগুতে পারি। সামাজিক বিজ্ঞান আমার বিষয় নয়, অর্থনীতিও আমার বিষয় নয়, তারপর পড়ছি, জানার চেষ্টা করছি। কতটুকু পারবো জানি না, কিন্তু বলতেতো পারবো নিজেকে- চেষ্টা করেছি। ক্যাডেটতো আরো অনেকেই আছে, কিন্তু কয়জন ব্লগে আসে। আমাদের ব্যাচের শুধু মাত্র দুইজন মনে হয় আছি। সুতরাং যারাই ব্লগে আসে, তাদের আমি সুস্বাগতম জানাই। যেমন খুশী লিখ। নিজের কথা লিখ। মুক্ত চিন্তার কথা লিখ। দেশের কথা লিখ। সর্বোপরি মানুষের কথা লিখ। এখান থেকেই কোন একদিন আমরা পাবো আরেকজন আতিউর ভাইকে।

    জবাব দিন
  28. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    এহসান ভাই,

    অন-টপিকে যাবার আগে আপনার পোষ্টে আমার নাম উল্লেখ করায় ধন্যবাদ, কিন্তু আমাকে লাস ভেগাসে পাঠানোর জন্য নিন্দা- প্লাসে-মাইনাসে কাটাকাটি 😀 ।

    অন্য অনেকের মতো আমিও বেশ সতর্ক হয়ে গেলাম, বস। তার মানে কি দাড়াইলো? আপনার পোষ্টেড় উদ্দেশ্য অনেক খানি সফল। আর তাই পাঁচ তারা লাগায়া দিলাম 🙂 ।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  29. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    ভাইয়া,
    আপনার লেখাটা বেশ কয়েকবার পড়লাম। অনেকগুলো পয়েন্ট এর ব্যাপারেই একমত। কিন্তু কিছু জিনিষ আসলে নীরব পাঠক বাড়াবে।
    আমি আমার কথাই বলি। আমি যখন সিসিবি এর সদস্য হই, তখন সর্বমোট সদস্য ছিলো ৩০ এর মতো। আমি প্রথম অনেকদিন কিছু লিখি নাই। শুধু জিহাদ, রায়হান, কামরুলতপু, কামস এদের লেখা পড়েছি। আর খালি চিন্তা করেছি, এদের পাশে আমার লেখার মান অনেক নীচে। তাই অনেকদিন কিছুই লিখি নাই। শুধু পড়েই গেছি। তারপর একদিন হঠাত করে একটি লেখা দিলাম। অনেকটা 'আজাইরা' পোষ্ট। কিন্তু সেটার রেস্পন্স আমাকে আরো পোষ্ট দিতে উতসাহিত করেছে। আস্তে আস্তে আমি সিসিবি এর সাথে মিশে গেছি। সিসিবি তে মনে হয় আমি সবচেয়ে বেশি ছবিব্লগ দিয়েছি। কিন্তু সেগুলো আসলে আমাকে লেখক হতে আগ্রহী করেছে। এমন কোনো দিন গেছে আমি একটি ব্লগ লিখছি, একটা বানান কিভাবে লিখে তা জানার জন্য রাত ২ টায় কাইয়ূম ভাই কে ফোন দিয়েছি।
    কিন্তু এতে কিন্তু আমি লেখার প্রতি একটা টান অনুভব করেছি। ছবিব্লগ বা আজাইরা পোষ্ট দিতে দিতেই কিন্তু আমি একটি বিশাল গল্প লিখে ফেলেছি। হয়তো খুব একটা ভালো হয় নাই, কিন্তু লেখার যে ধৈর্য রাখতে পেরেছি, এটাও আমার কাছে অনেক।
    এখন যদি আমি একটি পোষ্ট দিতে গিয়ে চিন্তা করি যে, আমার এই ছবি ব্লগ বা আজাইরা পোষ্ট অনেকের বিরক্তি আনবে, অথবা আমার লেখায় হয়তো অনেক বানান ভুল আছে, তাহলে হয়তো আমার আর লিখাই হবে না সিসিবি তে। তবে না লিখলেও আমি পাঠক থাকবো সিসিবি এর।
    (অ।ট) আমি শুধু আমার কিছু কথা বললাম।

    জবাব দিন
  30. হাসান (১৯৯৬-২০০২)
    আলিম ভাই কিংবা হাসান হাইকু ছাড়ে না খুব একটা।

    :frontroll: :frontroll: :frontroll: ভাই কি করব, আমারগুলা ইংরেজিতে লেখা, তাই সিসিবিতে দেই না। 🙁

    আমি মানি আমাদের এখানে খেলাধুলা ট্যাগ লাগানো অনেক পোষ্ট। কিন্তু এইগুলো সাধারণ খেলার পাতার সাধারণ খবরের পোষ্ট কিংবা লাইভ ব্লগ। পত্রিকার সাপ্তাহিক খেলার পাতার ফিচার টাইপের লেখা বড়ই কম।

    আমার প্রথম আলোর লেখাগুলা পুরনো, তাই এমন কিছু লেখা থাকার পরেও দেই না। ভবিষ্যতে লিখলেই দিয়ে দিব 🙂

    আমার একটা সাজেশন..........

    ব্লগে কি ইনবক্স রাখা যায়? তাহলে কোনো ভুল চোখে পড়লে সহজে জানায়ে দেয়া যাবে।

    জবাব দিন
  31. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    পুরা লেখাটা রিভাইস করলাম, মন্তব্যসহ।

    এই লেখাটা আগে প্রায়শঃই পড়তাম/মনে রাখতাম নতুন লেখা তৈরী করার সময়। মাঝে ভুলে গেছিলাম।

    এহসান ভাইকে ধন্যবাদ এইটা লিখার জন্য। আর আমিনকে ধন্যবাদ আবার মনে করানোর জন্য।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।