বাসে ভীড় চমৎকার,
তার মধ্যে আবার-
যাত্রী নেওয়ায় ব্যস্ত কন্ডাক্টর,
সিট অবশ্য পেয়েছি একটা,
আর পাশে বসা মহিলাটাকে দেখছে আমার উৎসাহী চোখটা,
চেনা চেনা লাগে,
মনে হচ্ছে দেখেছি অনেকবার আগে-
কোথাও,
মনে পড়ছে না নামটাও ।
“ওহে টিকিটটা-”, আনমনে দিলাম তা,
“ওহে”- বলে কলেজের এক বন্ধুও ডাকত সবাইকে, নামটা তা-তা-
তারেক, হ্যা মনে পড়েছে নামটা, আরে কলেজেই-
পড়ত মেয়েটি, আমাদের সাথেই ।
নামটা এখনো মনে পড়েনি,
হয়তো ওর বান্ধবীরা ছিল সুমি, নিহার, রানী ।
রানীকে পছন্দ করত সুজন, যে-
একবার নাটকে পুলিশ সেজে-
লজ্জায় পড়েছিল,
হ্যা, হ্যা, মেয়েটিও নাটকে ছিল ।
নাটকের নায়িকা ছিল সে, কারণ দেখতে নায়িকাদের মত,
তাই, পরে তাকে নিয়ে ভাবলে বুকটা মৃদু কাঁপতো ।
দিন গড়িয়ে গেল মাস, ধীরে ধীরে-
তাকে পেলাম আমার করে ।
…
নামটা শেষপর্যন্ত মনে পড়েই গেল, জয়িতা,
ঠিক নামের মতই জয় করে নিল আমার মন; চোখে সরলতা,
মনে মাধুর্য, মুখে সুভাষা- আরো কত কিছু যে-
ছিল তার, এখন বলতে চেষ্টা করা বাহুল্য, এক তরুণ মন যা খোঁজে-
তার সব ছিল, ওর মধ্যে; কতবার-
গিয়েছি পার্কে, সিনেমায়; পুরোটাই রোমাণ্টিক ব্যাপার ।
ওর এক ভাই ছিল, নামটা মনে নেই, চাকরি করত ট্যুরিজম কোম্পানিতে,
তার মাধ্যমে গেলাম একবার স্পেন, সৌন্দর্যের ফিতে-
জড়ানো শহর,
শহরে অট্টালিকার বহর ।
আরো কতকিছু করেছি, কিন্তু মনে নেই, থাকছে না,
ক’দিন হল এ রোগ দেখা দিয়েছে, স্মৃতিভ্রমের সম্ভাবনা-
জাগছে মনে ।
ক্ষণে ক্ষণে-
অতীত স্মৃতি বিস্মৃতির গহ্বরে হারিয়ে যায়, সেদিন-
বাসে এক ভদ্রলোকের সাথে কথাবার্তা হলো, প্রবীণ-
বয়স নয়, তবুও অজান্তেই দশ মিনিট পর বুঝলাম,
তিনি জনাব আসলাম,
আমার অফিস সহকর্মী । তো যা-ই হোক,
যা বলছিলাম, জয়িতার প্রতি ঝোঁক-
ক্রমেই আমাকে করে দিল উন্মাদ,
প্রেমের ঝোঁকেই দেখতাম চাঁদ-
তারা ।
“আমি যেন হলেম আত্মহারা।”
একদিন কলেজের পথ দিয়ে যাচ্ছি-
ওফ, ঠাণ্ডা লেগে খুব হাঁচি হচ্ছে, হা-চ-ছি ।
তা কি যেন বলছিলাম ? ও, আমার বউয়ের কথা ।
আমার বউ খুব ভালো । “হেথা-
যেন পদ্মদীঘিতে অগণিত পদ্ম”-এই কবিতার লাইনের-
মতই, তার মত বউ আমার জীবনের-
মোড়ই ঘুড়িয়ে দিলো-
তারপরও বলো-
আমার কি ঠিক হচ্ছে পাশেরজন-কে আড়চোখে দেখা ।
না, আমার বউয়ের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে, পাখা-
মেলা আমার কাজ নয় ।
তার চেয়ে এক কাজ করলে কেমন হয় ?
কলেজ জীবনের তরুণ মন আজ-
জাগতে চাইছে, কাজ-
শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিশাতের বাসায় যাবো, ও-
আবার পুরাতন বন্ধু-বান্ধবের খোঁজ রাখতো ।
ওর বাসাটা যেন কোথায়? সোবহানবাগ-
নাকি রাজারবাগ ?
…
“কী হলো?
যাবে চলো।”
-পাশের মহিলাটি বলল আমায়, আরে, এ যে-
আমারই অর্ধাঙ্গিনী, পাশে বসে ।
:clap:
সুন্দর
ধন্যবাদ
সুন্দর :clap:
ধন্যবাদ ।
:clap:
:shy:
চারাগাছ অবস্থায় কত ভালো লিখতাম আমরা :clap:
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
:gulti: