কর্ণেল তাহের এবং ভুল সময়

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়, নিয়মিত ব্রিগেড বানানোর উপর জোর না দিয়ে রেগুলার গেরিলা যুদ্ধের উপর গুরত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন সদ্য পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে আসা মেজর তাহের। সেনাপ্রধাণ ওসমানীসহ অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা প্রস্তাবে অনাস্থা প্রকাশ করলেও সমর্থন দেন জেড ফোর্সের প্রধান মেজর জিয়া। সেদিন থেকে দুজন মানুষের ইতিহাসে এক সরল রেখায় অবস্থানের সূচণা। জিয়ার সমর্থনে কৃতজ্ঞতাবোধ করেছেন, নিজের চিন্তার সঙ্গে মিলে যায় ধরে নিয়েছেন। ১১ নং সেক্টরের দায়িত্বে থেকে মেজর জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন জেড ফোর্সের সদর দপ্তরে যেয়ে। ৩১ জুলাই জিয়ার জেড ফোর্সের নেতৃত্বে কামালপুর আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা, ৬৭ জন জন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে শহীদ হন। মিসটাইমিং এবং ভুল কমান্ডের কারনে সাপোর্টিং ইন্ডিয়ান আর্টিলারির গোলা নিজেদের উপরেই পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে মেজর জিয়ার কোর্ট মার্শাল করার চিন্তাও করেছিলেন ওসমানী। পরবর্তীতে মেজর তাহের এই কামালপুর অপারেশনে মর্টারের আঘাতে পা হারান। পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
৩রা নভেম্বর ১৯৭৫, রক্তপাতহীন যে অভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফ শুরু করেন তার প্রথমেই সেনা প্রধান জিয়াকে গৃহবন্দী করা হয় (বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোস্তাক সরকার জিয়াকে সেনাপ্রধাণ নিয়োগ দেন)। ৪৬ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ জিয়ার ড্রয়িংরুমের টেলিফোন লাইনটি বিচ্ছিন্ন করলেও বেডরুমের টেলিফোন লাইন সচল ছিল (এটা নিয়ে মতবিরোধ আছে) এবং ধারণা করা হয় এই ফোনেই জিয়া তাহেরের কাছে তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য যোগাযোগ করেন। তাহের তখন সেনাবাহিনী থেকে অবসরে গেছেন এবং বাংলাদেশের নদী বিষয়ক সরকারী সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে আছেন নারায়নগঞ্জে। কিছুটা আড়ালে থেকেই জাসদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার প্রধানের দায়িত্বেও আছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তাহেরের নির্দেশে হাবিলদার হাই এর নেতৃত্বে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যারা জিয়াকে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে নিয়ে আসতে থাকলে সামনে গোলাগুলির আওয়াজে গাড়ি থামাতে হয়। ১৫ই আগস্টের কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মেজর মহিউদ্দিন এসে তখন জিয়াকে তার টু ফিল্ড আর্টিলারির হেডকোয়ার্টারে নিয়ে বসান এবং ক্যান্টনমেন্টের বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয় বলে মত দেন। এবং ঘটনাড় টুইস্ট এখানেই। (১৫ই আগস্টের কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মেজরদের ৪ নভেম্বর বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হলেও কোনভাবে পালিয়ে থেকে যায় মেজর মহিউদ্দিন) পরবর্তীতে তাহের এসে জিয়ার সাথে কথাবার্তা বললেও পূর্বশর্ত অনুযায়ী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এতক্ষণ তাহেরের হাতে কন্ট্রোল থাকলেও পরবর্তীতে তা জিয়ার হাতে চলে যায় এবং মুক্ত জিয়া এবং আস্তে আস্তে সৈনিকদের দাবী দাওয়াগুলো উড়িয়ে দিতে থাকেন। ওসমানী,জিয়া এবং উচ্চপদস্থ সেনা প্রধানদের মিটিংএ সিদ্ধান্ত হয় খালেদ মোশাররফ কর্তৃক উচ্ছেদ হওয়া মোস্তাক সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসানোর। বাতিল হয় ক্ষুদ্ধ তাহেরের ভেটোতে। বিচারপতি সায়েমকে রাস্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে জেনারেল জিয়া জাসদ নিধনের নামে শত শত নেতা কর্মীর সাথে তাহেরকেও গ্রেপ্তার করে। শুরু হয় গোপন বিচার। মুক্তিযোদ্ধা অফিসাররা এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান হতে অপারগতা প্রকাশ করলে পাকিস্তান ফেরৎ কর্ণেল ইউসুফকে প্রধান কর হয়। কর্ণেল তাহের প্রধান আসামী এবং হাবিলদার হাইকেও এই ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হয়। তাহের সহ অন্য সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেও তাহেরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা রাস্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে অনুরোধ করলেও তাহের অস্বীকৃতি জানায়। যাকে তিনিই রাস্ট্রপতি বানিয়েছিলেন তার কাছে ক্ষমা চান নি তাহের। ২১ জুলাই রাত ৪:০১ মিনিটে ফাঁসী হয় তাহের। ফাঁসীর আগে মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করেন সহযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিনের কবিতা-
জন্মেছি সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে
কাঁপিয়েই গেলাম
জন্মেছি তাদের বুকে পদচিহ্ন আঁকব বলে
এঁকেই গেলাম।
জন্মেছি মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে
করেই গেলাম।
জন্ম আর মৃত্যুর দুটো বিশাল পাথর
রেখে গেলাম।
সেই পাথরের নীচে শোষক আর শাষকের
কবর দিলাম।
পৃথিবী অবশেষে এবারের মত বিদায় নিলাম।
এরপর নিজের হাতে ফাঁসীর দড়ি গলায় পড়েন তাহের। যম টুপি পড়ানোর আগে তাহের বলেন বিদায় বাংলাদেশ, বিদায় দেশবাসী।

২,৬৮৬ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “কর্ণেল তাহের এবং ভুল সময়”

  1. ইয়েন (২০০১-০৭)

    দিবস, ১৫ আগষ্টের পর তাহের এর ভূমিকা পাই বিভিন্ন লেখায়। কিন্তু এর আগে তার ভূমিকা কি ঠিক ছিলো মনে করো?

    আমার কেন যেন মনে হয় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাসদ এর ভূমিকা একটু গঠনশীল হলে আজকে ইতিহাস অন্য রকমও হতে পারতো।

    যাই হোক, সুন্দর এবং তথ্যবহুল লেখা। 🙂

    জবাব দিন
  2. রেজা শাওন (০১-০৭)

    কর্নেল তাহেরের চিন্তাগুরু সিরাজুল আলমের খান লোকটার ভূমিকা, বিশেষ সে সময়ে আমার কাছে কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ লাগে। আর বিশুদ্ধ দেশপ্রেম খারাপ জিনিস, মানুষকে মোহাবিষ্ট করে- যেখানে বাস্তবতা হয়ে পড়ে দূরের কোন আলোকদ্বীপ। সে আলোকদ্বীপে তাহের আদৌ পৌঁছাতে পারতো বলে আমার মনে হয় না। শোষণমুক্ত সামাজিক সরল কাঠামোর যে স্বপ্নে তিনি বিশ্বাস করতেন, সেটার জন্য বাংলাদেশ তখনও প্রস্তুত ছিল না, এখনও নেই। আরও দশ বছর পরেও হবে না।

    তবে আশার কথা হচ্ছে, সব স্বপ্ন পূরন হলে স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকলো কই? তাহেরের বসবাস আগাগোড়াই এক ভীষণ মাদকতাপূর্ণ স্বপ্নের মাঝে। তাঁর যতটুকু করে যাবার তিনি করে গেছেন। তাহেরের লেখা থেকে কিছু অংশ-

    আমি একটি সোনার বাংলার চিত্র দেখেছি। চিত্র দেখার শুরু ১৯৬৮ সাল থেকে। এই চিত্র কল্পনায় কেটেছে বহু বিনিদ্র রাত্রি। এই চিত্র আমাকে রোমাঞ্চিত করেছে, উত্তেজিত করেছে। বাংলার এই জনগণকে আমি আমার চিত্রকল্পনার অংশীদার করতে চাই। আমি চাই তারা গভীরভাবে এই চিত্র উপলব্ধি করুক। রোমাঞ্চিত হোক, উত্তেজিত হোক। তাদের শক্তির পূর্ণ প্রকাশের মাধ্যমে ইতিহাসের যাদুঘরে বন্দী ‘ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা’ সোনার বাংলাকে মুক্ত করুক।

    আমার সোনার বাংলা অনাহার, অশিক্ষা, শোষণ, রোগযন্ত্রণায় ভরা বিশৃংখল গ্রামসমষ্টি নয়। এতে নেই শহরের উলঙ্গ জৌলুষ, পুঁতিগন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মনের সংকীর্ণতা। আমার সোনার বাংলা প্রকৃতির স্বাভাবিক স্বচ্ছতায় সমৃদ্ধ একটি সম্পূর্ণ প্রকাশ। এই বাংলার চিত্র সম্পূর্ণরূপে নদী ভিত্তিক, নদীর সতেজ প্রবাহের স্বাভাবিকতায় সমৃদ্ধ। নদী আমাদের প্রাণ, ক্রমাগত অবহেলা ও বিরুদ্ধাচরণে সেই নদীর চঞ্চল প্রবাহ আজ স্তিমিত। আমার সোনার বাংলায় নদী সতেজ, প্রাণবান। এর দু-পাশে বিস্তীর্ণ উঁচু বাঁধ। বাঁধের উপর দিয়ে চলে গেছে মসৃণ সোজা সড়ক, রেলপথ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ লাইন। বাঁধের উভয় পার্শ্বের ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গ্রামগুলো উঠে এসেছে বাঁধের উপর। গড়ে ওঠা এই জনপদ মানব সভ্যতার একটি অপূর্ব সৃষ্টি।

    নির্ধারিত দূরত্বে এক নক্সায় অনেকগুলো বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠেছে এক একটি জনপদ। বাড়ীর সামনের ছোট্ট প্রাঙ্গণটি সবুজ ঘাসে ঢাকা, চারিদিকে ফুল। পেছনে রয়েছে রকমারী সব্জীর সমারোহ। এখানে রয়েছে একটি খোলা মাঠ। বিকেল বেলা বুড়োরা মাঠের চারিধারে বসে গল্প করেন। ছেলে-মেয়েরা মেতে উঠে নানা খেলায়। সকাল বেলা সোজা সড়ক থেকে বাসের হর্ণ শোনা যায়। হৈ চৈ করে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়। এই জনপদে স্থাপিত হাসপাতালে কোন দুর্গন্ধ নেই। লম্বা লাইনও নেই। সন্ধ্যার পর এই জনপদে নেমে আসে না অন্ধকারের বিভীষিকা। রাস্তায় জ্বলে ওঠে বিজলী বাতি। বয়স্করা যায় জনপদের মিলন কেন্দ্রে। পর্যলোচনা করে সারা দিনের কাজের, গ্রহণ করে আগামী দিনের কর্মসূচী। এখানে বসেই টেলিভিশনে তারা দেখে বিভিন্ন জনপদের অগ্রগতি। পায় নেতার নির্দেশ। গাঁয়ের উভয় পার্শ্বে বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্র। বর্ষায় স্লুইস গেট দিয়ে বন্যার পানি ফসলের ক্ষেতগুলোকে করে প্লাবিত, আবৃত করে পলিমাটিতে। অতিবৃষ্টিতে জমে যাওয়া পানি চলে যায় নদীতে। স্বল্পকালীন স্বার্থে নদীর স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করার নেই কোন অপচেষ্টা। জনপথগুলোর সাথে রয়েছে প্রকৃতির অপূর্ব সমঝোতা। এ যেন প্রকৃতিরই আর একটি প্রকাশ। এ বাংলার শিল্প কারখানা ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন জনপদে। যোগাযোগের জন্য রয়েছে একই সাথে নদী, সড়ক ও রেলপথ। বাঁধের উপরই নির্ধারিত দূরত্বে রয়েছে বিমান বন্দর। নদীর পাশে গড়ে উঠা জনপদের মানুষ হাসে, গান গায়। মানুষ স্বাস্থ্য, শিক্ষায় সমৃদ্ধ, নতুন সংস্কৃতি ও সভ্যতার আলোকে আলোকিত। তারা সমগ্র পৃথিবীকে বাঁচার নতুন পথ দেখায়। তারা সমগ্র পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেয়।

    কী দারুণ! কী অনন্য! কী ভীষণ মায়াময়!!

    জবাব দিন
  3. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    ' অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ ও কর্ণেল তাহের' নামে একটি বই পড়েছিলাম অনেকগুলো বছর আগে। তার কিছুকাল পরে পড়েছিলাম কর্ণেল হামিদের লেখা 'তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা'। বই দুটিতে পরষ্পরবিরোধী তথ্য ও মতামত পেয়েছি। পরবর্তিতে সেই সময়ের সেনা নায়ক যারা ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম। সেখান থেকেও কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। এর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি লেখা লিখেছিলাম সামু ব্লগে।

    জবাব দিন
  4. ফরিদ (৯৫-০১)

    কিছুটা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হবে তারপরো বলতে চাই-
    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের "শেষ হয়ে যাওয়াটা" আমার কাছে আজকাল মনে হয় কিছুটা অবধারিতই ছিল। কেউই কারো প্রতি শ্রদ্ধা রাখছিলেন না, একজনকে হারিয়ে আরেক জন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ৭৫ পরবর্তী সময়ে এই প্রবণতা খুব বেশী মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যেমন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল পাকিস্তানীদের পরাজিত করার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সেই সম্মিলিত মানসিকতার জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত "হিরোইজম" প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেকে "এগিয়ে রাখার" চেষ্টা।
    আমার ধারণা ভুল হতেই পারে কিন্তু আজকাল কেনই জানি এটাকে খুব বেশি সত্য মনে হয়। 🙁

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    কর্ণেল তাহের একজন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক।
    কিন্তু এই দেশপ্রেমিক পরিণত হয় খুনী জিয়ার হাতিয়ারে।

    তাহেরের ৭ই নভেম্বর না আসলে বাঙলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. নাম প্রকাশে অপারগ

    কর্নেল তাহেরকে ঘিরে আমাদের সকলের মাঝে কেমন জানি একটা যাদুবাস্তবতা কাজ করে যার কারনে আমরা সব সময় মুদ্রার এক পিঠই দেখতে পাই। অপর পিঠে রয়েচে 'সিপাহি-জনতা ভাই ভাই, অফিসারের রকত চাই' স্লোগান, নিরাপরাধ অফিসার আর তাদের পরিবারের রক্ত। সমাজতন্ত্রে বুদ হয়ে থাকা তাহের দেশে প্রচলিত অর্থে শ্রেনী শত্রু খুঁজে না পেয়ে (শিল্প কলকারখানার বিকাশ তখনো সেভাবে শুরু হয় নি যার ফলে মালিক শ্রমিক শ্রেনীও সেভাবে গড়ে ওঠেনি) হাত বাড়িয়েচিল সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতির পেশাজীবী সেনা সদস্যদের দিকে। যার ফলাফল হিসেবে শুধু কিচু তথাকথিত শ্রেনী শত্রু খতম করাই সম্ভব হয়েচে, আর কোন কিচু অর্জন তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

    কর্নেল তাহেরকে নিয়ে অনেক লেখাই চোখে পড়ে আর সেখানে এ দিকগুলো নিয়ে কিচু পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করি, কিন্তু প্রায় সবসময়ই হতাশ হতে হয়।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তাফিজ (১৯৮৩-১৯৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।