অস্তিত্বের সংকট…

মোদের দেশে মানুষ তো নেই-ই,

মোদীর দেশেও নেই,

মোদীর কলে জ্যান্ত মানুষ

হিন্দু হয়েই রই!

 

দাঙ্গাবাজি আর অস্ত্রবাজি

হচ্ছে শিশুর খেলা,

গুম, খুন আর অপহরণ

বাড়ছে লাশের মেলা।

 

নিরাপত্তা দেবেন যারা

বিক্রি টাকার কাছে,

অশ্লীলতা-ধান্দাবাজিও

ঘুরছে তাদের পিছে।

 

হতভাগা জিপিএধারী

স্বর্ণমেডেল পায়,

শিক্ষানীতির করাল গ্রাসে

মূর্খ হয়েই রয়!

 

ধানমন্ডী লেকের পাড়ে

নৈসর্গের ছলে,

বেলেল্লাপনা কুকীর্তিও

সমান তালে চলে।

 

বুদ্ধে-জীবীর নৃশংসতা

আর বুদ্ধিজীবীর চাল,

কালো চুলে পাক ধরালো

সাক্ষী মহাকাল।

 

রাষ্ট্রযন্ত্র, পুলিশ মিলে

করছে শাসন দেশ,

প্রশাসন আর “টকশোজীবী”

তাকিয়ে বলে, “বেশ”।

 

যুদ্ধ করে করলো স্বাধীন

দেশ যে মুক্তিসেনা,

তাঁদের বেচেই শুধছে আজো

যুদ্ধ-স্মৃতির দেনা।

 

মাঝখানেতে বন্দী হয়ে

শিষ্ট জনগণ,

হৃষ্টেপুষ্টেই করলো পারি

রুষ্ট হবার ক্ষণ।

 

সংসদেতে বসেন যারা

বিজ্ঞ-কুতুব দেশের “তারা”,

জ্ঞানবিজ্ঞানেও লাগামছাড়া,

গালাগালিতে বিশ্বজোড়া!

 

সাংবাদিক আর শিক্ষকেরা

দেশের বিবেক নয়তো তারা,

সস্তাদরে বিকোয় হাটে,

বিচার-বুদ্ধি উঠলে পাটে।

 

আইনজ্ঞ আর বিচারপতি

ধরলো যে যার মতিগতি,

বিচারকার্য উঠলো শিকেয়

প্রভুর ভয়ে করলো নতি।

 

কৃষক-শ্রমিক অজ্ঞ যারা

বঞ্চনাতেও শ্রেষ্ঠ তারা,

আলোর দেখা পায়না কভূ,

আশায় বাঁধে বুক যে তবুও।

 

আলোকিত মানুষ যারা

অন্তরালেই বাস,

সম্ভ্রম আর প্রাণটি নিয়ে

গুনছে কেবল শ্বাস।

 

মানুষ চাই, মানুষ নাই,

স্বপ্নচোরা মানুষ,

সব বর্ণচোরা, অর্থলোভী,

ধর্ম-মাতাল ফানুশ!

 

মুগুড় মেরে মিনার পাড়ে

ঝুলিয়ে ওদের দাও,

শ্রমজীবী  লাখ জনতা

এবার

জাগো

উঠাও রাও।

 

১,২২৪ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “অস্তিত্বের সংকট…”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    "মানুষ চাই, মানুষ নাই,

    স্বপ্নচোরা মানুষ,

    সব বর্ণচোরা, অর্থলোভী,

    ধর্ম-মাতাল ফানুশ!" :clap: :clap: :clap: :clap:

    ধানমন্ডি লেকের পাড়ে কি হয় সত্যি কিন্তু জানি না, ওমর! বহুদিন দেশের বাইরে, ভাইয়া! আই এম আ কিউরিয়াস কিটি ইউ নো... B-) (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • (৮২-৮৮) ওমর আনোয়ার

      সৌরভ, ভাইয়া, আমাদের দেশটাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টায় লেখা এটি। এই উপমহাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার উত্থানকে হাল্কাভাবে নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

      জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ৪৭ এর দেশ ভাগ এর ভুল বয়ে বেড়াতে হচ্ছে দেশগুলো কে আজো।
    এখানে মোদি কে আলাদা করে দোষারোপ করে লাভ নেই।

    দ্যা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর জন্য দায়ী করা হয় বা হতো সোহরাওয়ার্দী কে।
    ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করার পর শিখ দের কিলিং এর জন্য দায়ী করা হয় রাজিব গান্ধী কে।
    আর গুজরাট রায়টের জন্য মোদি কে।

    আসল দোষটা আমাদের নিজেদের, বিশেষ করে ধর্মবাদীদের।
    ধর্মই যে সকল অধর্মের মূল এইটাই আমরা সকল সময় দেখতে পাই।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • (৮২-৮৮) ওমর আনোয়ার

      রাজীব, তোমার বিশ্লেষণে ধর্মবাদীদের অন্য নাম ধর্মান্ধ হলে ঠিক আছে। ধর্ম বলতে বিশেষ যে কোনো এক্টি "রিলিজিয়ান" কে বোঝার বা মানার কোনোই বাধ্যবাদকতা তোমার ক্ষেত্রে প্রোযোজ্য নয়, সেটা তো পরিষ্কার করেছই, তবে ধর্মকে তুমি যদি 'বৈশিষ্টের' সমার্থক বলে ধরে নাও তাহলে এসবের এক্টা যুতসই ব্যাখ্যা পেয়ে যেতেও পারো যে " মানুষের বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে তার গুণে তেমনটা নয় যেমনটা তার দোষে"। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তোমার 'ধর্মবাদী'দের পাপ কেন ধর্মের উপর বর্তাবে? ধর্মনিরপেক্ষ হবার জন্য ধর্মহীন হওয়া অনেকের ক্ষেত্রে জরুরী নাও তো হতে পারে, রাজীব।

      জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আরেকটা ব্যাপার ভাইয়া আপনি নেক্সট লাইন শুরু করার আগে শিফ্ট চেপে পরের লাইনে যেতে পারেন। অন্য উপায় ও থাকতে পারে। লাইনগুলির মাঝে স্পেস বেশি চোখে লাগছে। বিশেষ করে কবিতার বন্ধন ক্যামন য্যানো ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জিয়া হায়দার (৮৯-৯৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।