ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিঙ্ক(ভিডিও)

কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে উপলক্ষ্যে কলেজে অনেকগুলো ভিডিও বানিয়েছিলাম আমদের ক্লাসমেটরা মিলে!এর মাঝে একটা ছিলো বাংলালিঙ্কের এড!কাজটা সবার তখন ভালো লেগেছিল!আশা করি এক্স-ক্যাডেটদেরও লাগবে!ইউটিউবে আপলোড করার জন্য শরীফ এবং সালমানকে থ্যাঙ্কস!আর ভিডিওটাতে যে পিচ্ছিটা অভিনয় করেছে,ক্যাডেট মামুন,ক্লাস এইট!চমৎকার অভিন্য করেছে!অবশ্য কাদানোর জন্য ওকে অনেক পাঙ্গাতে হয়েছিলো!
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে এই ভিডিওটা ক্যাডেটরা অবশ্যই দেখবেন!

ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিংক ভিডিও

আরেকটা ভিডিও,ম্যাথ ক্লাসে ডান্স! ক্লাসের পেছনে লুকিয়ে রাখা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত(ধরা খাইলে খবর ছিল)!!!!কোরিওগ্রাফার জামী!আর এতে অংশ নিয়েছে আমাদের ২৫ তম ইনটেকের বি ফর্মের মেধাবী(!) ক্যাডেটরা!
ডান্সিং ইন ম্যাথ ক্লাস

৫,৪৪০ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “ক্যাডেট কলেজ উইথ বাংলালিঙ্ক(ভিডিও)”

  1. জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

    অসাধারণ!

    তোমরা দিনে দিনে বাদর হইতেছ! দিন-বদলের এই হচ্ছে নমুনা। তবে এরকম টালেন্টেড বাদর আমরা ছিলাম না!

    অন্য ভিডিও গুলি পাঠিয়ো। অপেক্ষায় রইলাম।

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    শাহরিয়ার, আমি ইউটিউবে তোমাকে একটা মেসেজ দিয়েছি, ঐটা ভুলে যাও। ক্যাডেটস অলওয়েজ রক্সসসসসসসসস


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. সামি হক (৯০-৯৬)

    কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লের বিষয় কি ছিল? দিন আসলেই পালটায়ছে, পোলাপান এখন কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লেতে ভিডিও এ্যাড বানায়...আমরা বানাতাম কাগজের জাহাজ। তবে ক্যাডেটরা এখনো সেইরকমই জিনিয়াস আছে।

    জবাব দিন
  4. আমি দুঃখিত শাহরিয়ার........ কারণ সবাই ভাল বললেও আমি এটাকে ভাল বলতে পারছিনা...... আগেরবার কমেন্ট করার সময় ভিডিওটা দেখিনাই এখন দেখলাম.......

    ভিডিওটা ক্যাডেটরা একভাবে নিবে আর যারা ক্যাডেট না তারা আরেকভাবে নিবে.... এটা সত্যি যে সকল বয়েজ ক্যাডেট কলেজের শুরুর দিকের ইনটেকগুলো বাদে বাকি সকল ব্যাচের সবাই মাইর খেয়েছে বললে ভুল হবেনা.... আমাদের কলেজে( সিসিআর) এখন বিটিং মনে হয় বিলুপ্তির পথে কিন্তু তারপরেও আছে বলেই জানি...

    ভিডিওটা ক্যাডেট কলেজ লাইফকে তুলে ধরে চিন্তা করে ক্যাডেটস ব্লগে শেয়ার করা ঠিক আছে কিন্তু যারা ক্যাডেট না তারা এটাকে কিভাবে নিবে এটা চিন্তা করে তোমার ব্লগে এটা শেয়ার করা উচিত ছিল.... কারণ এই ব্লগের পাঠক শুধুই ক্যাডেটরা এটা ভাবলে ভুল হবে....

    আর অনুভূতি শেয়ারের ব্যাপারটা যেভাবে তুলে এনেছো সেভাবে না করেও অন্যভাবে করা যেত..... আমার আপত্তিটা হল কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সতো একটা অফিসিয়াল প্রোগ্রাম........ অর্থাৎ সেখানে যা তুলে ধরা হবে তা ক্যাডেট কমিউনিটিতে বেড়ে ওঠা মানসিকতাকে তুলে ধরবে ধরে নেয়া হয়....... সেখানে বিটিং এর মত জিনিস তুলে আনার আইডিয়াটা আমি সমর্থন করতে পারলাম না..........

    যাই হোক, তোমাদের জিনিস....... তোমরা যেমন বুঝ.........

    আমি সবাইকে অনুরোধ করব প্লিজ এটা শেয়ার করবেন না.... বিটিংটাই সবাই দেখবে........ ক্যাডেটদের নিয়ে যত ভুল ধারণা আছে সবগুলোতেই ফুয়েলিং করবে ব্যাপারটা....... তারা ভিডিওটাতে তুলে ধরা "প্যারেন্টসদের সব কথা বলতে পারিনা আমরা" এটা নোটিস করবে বলে আমার মনে হয়না....

    জবাব দিন
    • শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

      ক্যাডেট কলেজে বিটিং বিলুপ্তির পথে না,খুব ভালোভাবেই এটা টিকে আছে,অনেকটা অমানবিক হয়েই এটা এখনো টিকে আছে!পরে সময় করে এটা সম্পর্কে একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে!জানি দিয়েও লাভ নাই,আমানবিকতাটা বন্ধ করতে পারব না!কজ এখনো আমি ছাড়া অন্য কোন ক্যাডেট নেই বোধ হয়।আর যারা আছে তারা এক্স-ক্যাডেট,শুধু তাদের সুখের স্মৃতিটুক্ত বাচিয়ে রাখতে চায়!
      ক্যাডেট কলেজ লাইফটা তুলে ধরতে গিয়ে যদি সত্য কিছু বের হয়ে আসেই,সেটা ধামাচাপা দেওয়ার কী দরকার?কারণ ব্লগটা তো ক্যাডেট কলেজের প্রস্পেক্টাস না!আর যারা ক্যাডেট না তাদের ভুল ধারণা হবার কারণ কী!বিটিং হয়েছে,হচ্ছে-সেখানে যদি বাইরের কাউকে ধারণা দেই যে বিটিং হচ্ছে না,সেটাই তো বরং ভুল!
      আর এই ব্লগের এক ম্যানিয়া আছে,ক্যাডেট কলেজে শুধু সুখের অংশটাই বলতে হবে,দুঃখটাকে বললে বাইরের মানুষের ভুল ধারণা হবে!তাহলে আমরা তো পাবলিক ব্লগগুলো ইউজ করলেই পারি!
      ভাইয়া মাইন্ড করবেন না!তবে আমার মনে হয় লুকিয়ে রাখলেই অস্পষ্টতা বাড়বে!সমাধানের জন্যই সবাইকে জানানো উচিত!অন্তত আপনাদেরকে!কারন জানেনই তো সমস্যাগুলো জানানোর কোন প্রপার ওয়ে নেই আমাদের,কেবল এই ব্লগটা ছাড়া!


      People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        শাহরিয়ার,

        তোমরা এখনো ক্যাডেট, তাই এক্স-ক্যাডেটের অনুভুতি তোমরা বুঝতে পারবে না।

        বিটিং কতটা উপযুক্ত আর কতটা নয় সে প্রশ্ন পরে, একজন ক্যাডেটের বাবা যখন সিদ্ধান্ত নেয় সব বুঝে শুনেই নেয়। কোনটা মারটা শিক্ষার জন্য আর কোনটা নয় সে প্রশ্নও তর্কের অবতারনা করে।

        সিউলের ম্যাসেজ এটা নয়। সিউলের ম্যাসাজ হচ্ছে তুমি যেটাকে রিপ্রেজেন্ট করছে এটা নন-ক্যাডেটরা অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করবে, এবং সেটা হবে ভূল ব্যাখ্যা।

        তেমন কাউকে শাস্তি না দিলেও শাস্তি খেয়েছি মোটামুটি, কারন-অকারনে, এখন এটাকে মোটেই কষ্টের কোন স্মৃতি মনে হয় না, বরং কলেজকে ঘিরে আনন্দের স্মৃতির অনেক গুলিও শাস্তি সংক্রান্ত।

        এমন কিছু করে ফেল না, যাতে পরে আফসোস করতে হয়। ইমোশন কে ইমোশনের জায়গায় রাখ, বাস্তবতার সংগে গুলিয়ে ফেল না।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
    • শাওন (৯৫-০১)

      আমি মাসফিক মানে সিঊল (সি.সি.আর) কে পুরোপুরি সমর্থন করছি। এটার একটা ভুল ব্যাখ্যা হবেই এবং এই ভূল ব্যাখ্যাটা আদৌ শোধরানো যাবে বলে আমার মনে হয়না। দুঃখিত যদি আমার মন্তব্যে কেউ কষ্ট পান।


      ধন্যবাদান্তে,
      মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
      প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

      ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

      জবাব দিন
  5. জিহাদ (৯৯-০৫)

    হুম। প্রথম ভিডিওটা দেখার পর আমারও ভালো লাগলোনা। বিটিং ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজে আছে, অস্বীকার করার কিছু নাই। কিন্তু মন থেকে কখনো সাপোর্ট করতে পারিনাই ব্যাপারটা।

    নিজের কথা বলতে পারি। জীবনে বহুত পাঙ্গা খাইসি। আমার তাতে কখনো কোন কারণে খারাপ লাগেনাই। কিন্তু বিটিং, বেল্ট চার্জ, হ্যাঙ্গার চার্জ ব্লা ব্লা ব্লা এইগুলা কখনো ফেস করতে হয়নাই। যতদূর মনে পড়ে বিটিং আমাদের সময়ে তেমন ম্যাসিভ আকারে ছিলোওনা।

    নিজের মতামতের কথা বলতে গেলে পাঙ্গা নিয়া আমার কোন অবজেকশন নাই। কিন্তু যে কোন ধরণের বিটিং কখনোই সমর্থন করার মত মনে হয়নাই আমার কাছে।

    সেকেন্ড ভিডিওটা চরম!


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  6. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)
    আর এতে অংশ নিয়েছে আমাদের ২৫ তম ইনটেকের বি ফর্মের মেধাবী(!) ক্যাডেটরা!

    শ্লা ... এই বি ফর্ম ......... বি ফর বস ... আমাদের সময়েও এই বি ফর্ম সব চাইতে "ভালো" ফর্ম ছিলো।

    জবাব দিন
  7. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    মারধর করা সব সময় ছিল। তবে আমাদের সময় অনেক কম। আমি কখনো এরকম মার খেয়েছি বা কাউকে দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। তবে এটা বন্ধ হওয়া উচিত। একেবারে। প্রয়োজনে কলেজে-কলেজে ক্যাম্পেইন হতে পারে। প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠনগুলো এ নিয়ে কাজ করতে পারে। এমনকি এ নিয়ে কাউন্সিলিং হতে পারে। গভর্নিং বডিতেও সুযোগ পেলে এ নিয়ে ক্যাম্পেইন করা যায়। আমি সুযোগ পেলে অবশ্যই বলবো।

    তবে দ্বিতীয় ভিডিওটা দারুণ হয়েছে। ভীষণ মজা পেয়েছি। আমার সহকর্মীদেরও দেখিয়েছি। এগুলা করতে গিয়া আবার ধরা খাইয়ো না!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

      সহমত... হ্যান্ডচার্জ অফ করা দরকার...

      ফিজিকাল পানিশমেন্ট যথেষ্ট হবার কথা। আর সিনিয়র-এর পার্সোনালিটি সেরকম হলে জুনিয়র-ও কমান্ড ডিসোবে করবে না, এটাই আমার ধারনা। মনস্তাত্বিক পরিমার্জন হওয়া জরুরী। ক্যাডেট কলেজের ভেতর সেরকম শিক্ষা থাকাটাও জরুরী।

      ইতিমধ্যে একটা বিশেষ ধরনের ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। আমাদের কলেজে অল্রেডি হয়েছে। আমি গিয়েছিলাম। নেক্সট টার্গেট বিসিসি।

      জবাব দিন
  8. কামরুলতপু (৯৬-০২)
    আরেকটা ভিডিও,ম্যাথ ক্লাসে ডান্স! ক্লাসের পেছনে লুকিয়ে রাখা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত(ধরা খাইলে খবর ছিল)!!!!কোরিওগ্রাফার জামী!আর এতে অংশ নিয়েছে আমাদের ২৫ তম ইনটেকের বি ফর্মের মেধাবী(!) ক্যাডেটরা!
    ডান্সিং ইন ম্যাথ ক্লাস

    চরম চরম। বি ফর্ম সবসময় বস থাকে।

    জবাব দিন
  9. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    বেশ ভালো করেছ ভাইয়া, তোমাদের নিয়ে গর্ব হয়, নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী প্রডাক্টিভ তোমরা। তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    ভিডিওতে যে ক্রসবেল্ট-চার্জ দেখালে ওটা নিয়ে আমার অভিযোগ নেই, যেখানে বোঝাই যাচ্ছে এটা ভিডিওর উদ্দেশ্যেই করা খুবই নরম সরম চার্জ। তবে, এটা থেকে একটা ম্যাসেজ পাচ্ছি যে এটা এখনও ক্যাডেট কলেজে বর্তমান, তোমরা বাচ্চা ছেলে হয়তো এটাই এর কারণ।

    আমি যখন ক্লাস এইটে ছিলাম অনেক উতপাত করেছি মনে আছে, ক্লাস নাইনেও একটু-আটটু করেছি। তবে ক্লাস টেন ও এর পরের বছরগুলোতে জুনিয়রদের কখনও বকাও দেইনি, বরং ছোট থাকতে যা যা করেছি সেটা চিন্তা করে কষ্ট পেয়েছি।

    আমি তোমাদের বলবো যে চেষ্টা কর পিটানোটা বিলুপ্ত করে দিতে, তুমি যদি না পিটিয়ে অন্যান্য শাস্তি দিয়ে থাক তোমার উদ্দেশ্য কিন্তু ঠিকই সফল হবে। পিটানোটার বিরোধীতা আমি করি এই কারণে যে এটা সুশিক্ষার পরিচয় বহন করে না, আনকালচার্ড, ইনএজ্যুকেইটেড, আনসিভিলাইজড মনে হয়। আমরা কখনও চাইনা যে বাঙ্গলাদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত ছেলেগুলো অসভ্য আচরণ করবে।

    আর এটা বেইসিক মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন করে। মানে একজনকে পেটানোর মাধ্যমে মানবসভ্যতা একজন সদস্য হিসেবে তোমাকে যেই দায়িত্বগুলো দিয়েছে সেই দায়িত্বগুলো তুমি পুরণ করতে ব্যার্থ হচ্ছো। চুরি করা যেমন একটি অপরাধ, ধর্ষণ যেমন একটি অপরাধ একই ভাবে নির্যাতনও কিন্তু একটা অপরাধ কেননা এটা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন করে। তুমি অবাক হবে শুনে যে, মানুষতো দুরে থাক তুমি যদি একটা পশুকেও নির্যাতন কর তোমাকে অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে সভ্য বিশ্বে। আশা করি বুঝতে পারছো যে right not to be tortured এটা মানবাধিকারের চেয়েও মৌলিক একটি অধিকার যার স্কোপ বিস্তৃত animal kingdom য়েও।

    পৃথিবীর সব দেশ স্বাক্ষর করেছে universal declaration of human rights, বলতে পার মানবসভ্যতা কনসেন্সাসে পৌছেছে মনুষ্যত্ব আপহোল্ড করার, এটা বলেছে crime against humanity এই অপরাধে অপরাধী পৃথিবীর যেই দেশেই থাকবে সেই দেশেই তাকে অ্যারেস্ট করা যাবে এবং সেই দেশের কোর্টেই তার বিচার করার যাবে, অর্থাৎ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে মানবসভ্যতা, বলতে পার যে পৃথিবীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

    বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত যেটা এসেন্সিয়্যলি একটা নীতিগত এবং বুদ্ধিগত ভাগাড় সেখানে আমরা ক্যাডেটরা যদি মানবাধিকার, সুশিক্ষা এবং সুসভ্যতা আপহোল্ড না করি আমরা কি দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছি না?

    আমরা ক্যাডেটরাতো সিভালরাস, পৌরুষপুর্ণ তাই না? টেবিলে ডালের ডিশটা শর্ট পড়লেতো নিজে নেওয়ার আগে জুনিয়ারকেই দেই তাই না? সেই আমরাই যদি আবার জুনিয়র পেটানোর মত একটা আনসিভালরাস এবং কাপুরুষসুলভ কাজ করি সেটা কি সঙ্গতিপুর্ণ হয়?

    তোমাকে এত কথা বলা কেননা তুমি হচ্ছো বর্তমান ক্যাডেট, আমাদের এই দাবী আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো না, তোমরা পারবে। এই ব্যাপারে তোমার ভুমিকা আশা করছি, খুবই শান্তিপুর্ণ উপায়ে এটা করা সম্ভব, তুমি যদি এই দাবী কর যে "পিটানোর মাধ্যমে আমরা নিজেদের প্রমান করছি একটা নিতীগত ডাস্টবিন হিসেবে" আমি নিশ্চিত এক মুহুর্তে তুমি তিনশো জনের মধ্যে আড়াইশো জনের কনসেন্সাস আদায় করতে পারবা, যারা কিনা বলে উঠবে "না, আমরা বুদ্ধিগত আস্তাকুঁড় হতে চাইনা, আমরা জুনিয়র পেটাবো না"- এতাটাই সহজ এটা।

    মানুষ কিন্তু righeousness এর পথে একটা ডাকের অপেক্ষা করে, সেই ডাকটা যদি তুমি দিতে পার আমি নিশ্চিত সবাই সাড়া দেবে। ভালো থেক ভাইয়া।

    জবাব দিন
    • ইউসুফ (১৯৮৩-৮৯)

      সুন্দরভাবে ব্যাপারটাকে উপস্থাপন করার জন্য অর্নবকে ধন্যবাদ।

      মার খেয়েছি, দিয়েছিও।
      খাওয়াটা ভুলে গেছি প্রায়।
      দেয়াটা জীবনের একটা দগদগে ক্ষত হিসাবে আমাকে এখনো পোড়ায়। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। বিশেষ দিনগুলোতে তাই অনুশোচনা করি আর আল্লাহর কাছে আর মাফ চাই।

      ম্যানহ্যান্ডলিং এর এই ব্যাপারটা আসলেও বিলুপ্ত হওয়া দরকার।

      জবাব দিন
    • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

      ধন্যবাদ অর্ণব। এটাই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী। যে কোন ধরণের নির্যাতন অথবা degrading treatment এর বিপক্ষে আমাদের দাঁড়ানো উচিত। তা যদি না করতে পারি, তাহলে পুলিশী নির্যাতনের মত বিষয় নিয়েও আমাদের আর কিছু বলার নৈতিক অধিকার থাকে না।

      এখানে একটা বিষয় মনে হয় উল্লেখ না করলেই নয়। যেটুকু নির্যাতন বা নির্যাতনের সংস্কৃতি এখনো টিকে আছে ক্যাডেট কলেজগুলোতে, সেটার জন্য সংগতভাবেই আমি ক্যাডেটদের দায়ী করবো না। করবো না তাদের অল্প বয়স এবং মানসিক পরিপক্ক্বতার অভাবের জন্যই। একটা প্রতিষ্ঠানে যে সংস্কৃতি বিদ্যমান, তাকেই তারা বিনা প্রশ্নে গ্রহণ করে, বা গ্রহণ করতে শেখে - মানসিক পরিপক্ক্বতার অভাবেই। যে কোন প্রতিষ্ঠানেরই মানুষের 'চিন্তা চেতনা' নিয়ন্ত্রণ করার মত অদৃশ্য ক্ষমতা থাকে। ইরাক আক্রমণের আগে খোদ বৃটেনের প্রতিভাধর সিভিল সার্ভেন্টদের ডেরা "হোয়াইট হল"ও তা থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি, ক্যাডেট কলেজের ৭ম থেকে ১২শ শ্রেনীর শিশুরা তো সে তুলনায় নস্যি।

      ক্যাডেটদের মধ্যে যারা নির্যাতন করায় অভ্যস্ত, তাঁদের সবার কাছে কিন্তু এটা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বা fun (!) না। এফসিসি তে আমরা যখন ছিলাম, তখন আমাদের তিন ব্যাচ সিনিয়র একজন ছিলেন, আজ এত বছর পর তাকে আমরা ঠিক ঠিক চিনতে পারি। তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক স্যাডিস্ট এবং মনবিকারগ্রস্ত মানুষ। প্রতি উইকএন্ডে জুনিয়র ব্যাচের কয়েকজনের রিপোর্ট পড়তো তার রুমে। এর পর চলতো বিনা অপরাধে অমানুষিক শাস্তি ও নির্যাতন। তিনি চড় মারতে (কয়েক ডজন) এবং লাথি মারতে (কয়েক ডজন) খুব পছন্দ করতেন। এরকম হীনমন্যতাগ্রস্ত আত্মমর্যাদাবোধহীন সিনিয়রও কিন্তু সংখ্যায় খুব ছিল না আমাদের সময়। এদের না চিনতে পারলে আমরা ভুল করবো।
      নির্যাতনের কথা তো বলা হল। what about shouting? কলেজে দোর্দন্ড প্রতাপ (নাকি স্মার্টনেস !!) প্রদর্শনের আরেকটা অস্ত্র ছিল এই shouting। মনে হয় না কোন ভদ্র সমাজে এ ধরণের terrorising practice থাকার কোন যৌক্তিকতা আছে। এটা একইসাথে দুর্বল ব্যক্তিত্বেরও পরিচায়ক।

      আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটন এবং (বৃটেনের) বিভিন্ন এলিট পাবলিক স্কুলগুলো থেকে আগত বহু ছাত্র ছাত্রীর সাথে পরিচয়ের সুযোগ হয়েছে। আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলো মূলতঃ এই পাবলিক স্কুলগুলোর আদলে তৈরী করাই প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। বৃটেনের পাবলিক স্কুলগুলো পেরিয়ে এসেছে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের একটা দীর্ঘ পথ। আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলোকেও পেরুতে হবে সেই পথ, এবং পারলে আরও এগিয়ে গিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে বাকিদের জন্য।

      আর নির্যাতন ইত্যাদিকে যদি সামরিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা হয়, তাহলে বলবো, যে ধরণের আচরণ ক্যাডেট কলেজে গ্রহণযোগ্য না, তা এমনকি বিএমএ-তেও গ্রহণযোগ্য না। স্যান্ডহার্স্ট এবং ওয়েস্টপয়েন্ট থেকে পাস আউট করা কিছু বন্ধুর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বলছি। the keyword here is: "Gentlemen".

      জবাব দিন
  10. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    তোমাদের নিয়ে গর্ব হয়, নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী প্রডাক্টিভ তোমরা। তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    :thumbup: :thumbup:

    বিটিং এর আলোচনায় না গিয়া খালি এইটা কই, আমাগো আমলে ব্যাপক হারে আছিলো :(( জুনিয়র লাইফটা পার করতে খবর হয়া গেছিলো 😀


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    ক্যাডেটদের গায়ে হাত তোলা বা বিটিং করা নিয়ে আমার ভীষন আপত্তি। অবশ্য পানিশমেন্ট উঠে যাক- এইটাও আমি চাই না। সিনিয়রের পার্সোনালিটি যদি ঠিক থাকে তাহলে জুনিয়রকে মারার কোন কারন আমি দেখি না। ঝাড়ি কিংবা সামান্য পানিশমেন্টই যথেষ্ঠ।

    দ্বিতীয় ভিডিওটা দেখে খুব মজা পেয়েছি। =)) =))
    আমার কলেজের হাউস, ক্লাসরুম- নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। :dreamy:

    জবাব দিন
  12. আব্দুল্লাহ (২০০৪-২০০৮)

    খুবই জটিল হইসে দোস্ত !!! তবে বেল্ট চারজ় না করে ৫ টা ফ্রন্ট রোল লাগাইলে মনে হয় কোন অসুবিধা হইত না...ভিডিও টার মান ও ঠিক থাকত......যাই হোক খুবই মজা পেলাম :)) :)) :)) =)) =)) =)) =))

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।