পরামর্শ চাইঃ ইনডিসিপ্লিন কাজের বিবরণ দেন!!!

আমরা তো এখনো কলেজে!!!এক্স-ভাইয়াদের মত স্মৃতিকাতরতা নাই। আমরা এখনও ক্যাডেট,আমরা এখনও বর্তমান!

আমাদের মজা লুটার বয়স এখনও ফুরায় নাই!!

আপনারা আপনাদের এক্টিভিটিসের বিবরণ দেন,আমরাও একটু শিক্ষা গ্রহন করি!এই যেমন মোবাইল লুকানোর বেস্ট জায়গা কোনটা,কই বইসা কার্ড খেলা সবচেয়ে নিরাপদ……কলেজে জিনিসপাতি (!) নেওয়ার উত্তম বুদ্ধি কোনটা এই আর কি!

আপনাদের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিলেই চলবে……!!!!!

৩,০৮৩ বার দেখা হয়েছে

৪৯ টি মন্তব্য : “পরামর্শ চাইঃ ইনডিসিপ্লিন কাজের বিবরণ দেন!!!”

  1. তৌফিক (৯৬-০২)

    ১...

    আমাদের মজা লুটার বয়স এখনও ফুরায় নাই!!

    বেয়াদব ছেলে। জান না কানাকে কানা এবং খোড়াকে খোড়া বলিতে নাই? x-(

    ২...

    কাবার্ডের নিচে কার্ডবোর্ড দিয়া আরেকটা কম্পার্টমেন্ট বানায়া আমি বিড়ি আর ওয়াকম্যান রাখতাম। ধরা খাইনাই কখনো।

    জবাব দিন
  2. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    কলেজে ক্লাস টেন থেকে বিড়ি খাওয়া ধরছি। তখন থেকেই বুঝতাম, কোন না কোন একদিন ধরা পড়তে হবেই। কিন্তু আমি কি ভাগ্যবান। দুই-আড়াই বছর বিড়ি খাইয়া কলেজ থেকে বের হইলাম অথচ অথোরিটির সামনে কখনও দাঁড়াইতে হয় নাই। প্রিন্সিপাল, এডজুটেন্ট কেউ কিচ্ছু জানেনা। তবে দুই বার ধরা খাইছিলাম। একবার রাত সাড়ে দশটার সময় ডাইনিং হলের সামনে বসে খাচ্ছিলাম (পরীক্ষার্থী ছিলাম, চা খাওয়ার সময়) তখন জসিম স্টাফ ক্যাক করে গলা চাইপা ধরলো। আরেকবার খাইছিলাম রাত সাড়ে সাতটার দিকে (এইটাও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে) হাউসে বসে বিড়ি খাওয়ার সময়। এইযাত্রায় শামীম স্যারের কাছে। কেউ অবশ্য কেইসটা ফরোয়ার্ড করে নাই।

    চুনোপুটি ডেয়ারিং কাজের কথা বলে লাভ নাই। এই যেমন ধর ডাব চুরি, ছাদে ওঠা, ট্যাংকির উপরে ওঠা, ওয়াকম্যান দিয়ে গান শুনা। এইগুলা সবাই করে। আমার সবচে ডেয়ারিং কাম আছিল ক্লাস ইলেভেন এ প্রতি বিষ্যুদবার রাইতে টাউনে যাওয়া। হায়রে মজা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়া লেখা এই ব্লগটা দেখতে পার।

    জবাব দিন
  3. আদনান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আমাদের টাইমে তো মোবাইল ছিল না আর কলেজে নেটওয়ার্কও ছিল না। তো আমরা নিতাম ওয়াকম্যান। আমি কলেজে ঢুকাতাম Jet detergent এর প্যাকেট খালি করে তার ভিতরে ওয়াকম্যান রেখে চারিদিক দিয়ে আবার powder দিয়ে দিতাম।

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমি যদিও নন-স্মোকার,আমাদের পোলাপাইন বিড়ি লুকাইতো বইয়ের ভিতরে।মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা(ব্লেড দিয়া)কাইটা ভিতরে কম্পার্ট্মেন্টের মত বানাইত চারকোনা কইরা।সেইটার ভিতরে সিগারেটের প্যাকেট রাখত।তারপর বই বন্ধ কইরা সুন্দর কাবার্ডে রাইখা যাইত,কেউ টের পাইত না।পুরান হাউস বেয়ারা ছাড়া এই টেকনিকের কথা খুব কম মানুষ এ জানে। বুদ্ধিটা বুঝতে না পারলে জানাইও চিত্র আকারে পাঠায় দিমু।

    অফ টপিকঃ আহারে, আমরা কলেজে থাকতে যদি এই ব্লগ পাইতাম রে!!!!
    আচ্ছা,এই ব্লগে বর্তমান ক্যাডেটগো লাইজ্ঞা কাউন্সেলিং কর্নার খুললে কেমন হয়?এই যেমনঃকোন সাররে কি কয়া তেল মারলে সে ধরা খাওয়ার পরেও ছাইড়া দেয়,কিভাবে অল্প সময়ে বেশি পানিশমেন্ট দেওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি...

    জবাব দিন
  5. মোবাইল, এমপি৪ আমরাও পাইনাই। আমাদের দুই নাম্বারি বলতে ছিলো ওয়াকম্যান, রেডিও, সিগারেট। লুকানোর জায়গা আদনান ভাই, মাসরুফের বলা পদ্ধতির মতই।
    আমাদের কাছেও সবচেয়ে মজার ছিলো ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভে এ প্রতি বিষ্যুদবার রাইতে টাউনে যাওয়া।
    নাইট ডিউটি মাস্টারকে রুমে বাইরে থেকে তালা মেরে রেখে আমরা টাউনে চলে যেতাম (যদি স্পাই থাকে তবে খেয়াল কইরা)।
    প্রধান আকর্ষন ছিলো সিলেটের 'রংমহল' সিনেমা হলে ৯-১২টা শো। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ধরনের সিনেমাই চলতো। আর ছিল চা বাগানের পাশে 'যাত্রা' দেখা সঙ্গে বোনাস মনিপুরী মেয়েদের উদ্দাম নাচ। সেই সাথে দেশি মদ। তবে এর জন্য অবশ্যই ২/১ জোড়া সিভিল ড্রেস থাকতে হবে।

    বিঃদ্রঃ উৎসাহিত হইয়া এই ধরনের কাজ করার আগে অবশ্যই ভালো প্ল্যান প্রোগ্রাম এবং ধরা খাইলে ফলাফল সম্পর্কে সচেতন হউয়ার উপদেশ দেওয়া হইলো।

    জবাব দিন
  6. সেলিনা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    আমি আহসানের সঙ্গে একমত। বই পড়ার ব্যাপারে যেমন নিজের মতামত ও পছন্দকে প্রাধান্য দেয়া উচিত, মজাগুলিও নিজের বুদ্ধিতেই করা উচিত, that is the fun part of it.

    জবাব দিন
  7. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    ক্যাডেট কলেজের সময়টা ইনজয় করার জন্য কোন স্পেশাল বুদ্ধির / কৌশলের দরকার নেই । যেভাবে পার সময়টা ভালো কাটানোটাই মজা। তবে নিজেকে জাহির করার জন্য নির্বোধের মত কিছু না করাটাই মনে হয় ভালো। আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছে ......একটু ভাব নেয়ার জন্য বেচারা ক্যাডেট কলেজে চশমা পরা শুরু করে। পরে সত্যি সত্যিই আর চশমা ছাড়তে পারেনি।

    জবাব দিন
  8. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    মিলিটারী একাডেমিতে ইডি দেয়ার কয়েকটা কারণ:
    . স্টাফকে ভূতের ভয় দেখানো।
    . ঘোড়ার সাথে কথা বলা।
    . প্যারেড গ্রাউন্ডে কাক ধরতে না পারা।
    . শার্টের বোতাম প্যান্টে লাগানো।
    দেখ, কলেজে এরকম যৌক্তিক (!) কোন কারণে ইডি ম্যানেজ করা যায় কিনা।


    Life is Mad.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।