পুরুষকে নারী

akas

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

আমার হাতে দ্বিধা
তোমার হাতে মায়া
তোমার চোখের দিঘীয়
মেঘের অমল ছায়া

তোমার হাতঘড়িতে
এলার্ম বাজায় নূপুর
তোমার ডাকে ঘুঘু
একলা আকাশ দুপুর

মুখ নামিয়ে আনে
আমার কাধের পাশে
উদাস হাওয়ার টানে
দুঃখী দীর্ঘশ্বাসে

তোমার হাতের বশ
আমার কানের সোনা
তোমার লোমশ বুকে
মুখ ভেজাবো না

মুখ ভেজাবো জলে
মুখ ভেজাবো চাঁদে
রাখবো থুতনী আর
তোমার চওড়া কাঁধে

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

২,৩৯৯ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “পুরুষকে নারী”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ভালো লাগলো। পড়ে কাশফুলের নরোম ছোঁয়ার মত অনুভূতি পেলাম 😀

    তোমার খবর কী? আছো কেমন? তুমি যখন সিসিবিতে লিখা শুরু করসিলা তখন ইলেভেন না টুয়েলভে ছিলা। এখন কত বড় হয়ে গেছে পুলাপান।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    সিসিবিতে কবিতার ঈদ লাগসে। চরম, গরম, উষ্ণ, নরম ইত্যাদি কবিতার ছড়াছড়ি। এখানে নরম ও উষ্ণ ফিলিং পাইলাম। 😀


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আমার কাছে ভাবনাটা আর প্রকাশের উপস্থাপনাটা দারুন লাগল। নারীদেরকে যুগে যুগে তোমাদের মত পুরুষরাই সাহিত্য দিয়ে তৈরি করে নিয়েছ নিজেদের পছন্দ মত করে। আজ তাই সত্যি বলতে নারী যখন নিজের মত করে ভাবতে চায় সেটার মাঝেও কোথায় যেন একটা পুরুষের নিয়ন্ত্রনের ছোয়া পাই। মাঝে মাঝে মনে হয়, তোমরা পুরুষরা কি তাহলে নারীদের থেকে আসলেই বেশি কল্পনাশীল আর বোঝার ক্ষমতা বেশি? তা না হলে মেয়েদের মনকে কিভাবে শরৎচন্দ্র, শংকর থেকে আরম্ভ করে সূনীল, হুমায়ুনেরা এভাবে নিরূপন করতে পেরেছে, নাকি আমরাই তোমাদের মনমতন করে নিজেদের গড়ে নেই?


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      পরেরটাই ঠিক
      "আমরাই তোমাদের মনমতন করে নিজেদের গড়ে নেই"
      কারন যে তা পারে না তাঁকে বর্জন করা হয়...
      এবং যে তা করে না তাঁকে নির্বাসন দেয়া হয়...


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আমি বিশ্বাস করি নারী-পুরুষ সমান, চিন্তায়, মননে।
      সমাজ দমিয়ে রেখেছে মেয়েদের যুগের পর যুগ।
      একটা সময় পুরুষরাই নির্ধারণ করে দিয়েছে কেমন হতে হবে নারী দের। কেমন নারী চাই পুরুষদের।

      একজন নারী আজো কি করবে, কি পড়বে, কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে, কিভাবে বসবে, কিভাবে হাঁটবে সব ঠিক করে দিতে চায় পুরুষ, ধর্ম, সমাজ।
      আর এইসব শেকল ভাঙ্গা কি এতোই সহজ!
      নারীদের লেখা সাহিত্যে ও পুরুষরা সমান ভাবে উঠে আসতে পারে ঠিক যেমন আসে পুরুষ সাহিত্যিক দের বেলায়।
      শরৎ, সুনীল, শীর্ষেন্দু, হুমায়ুন এরা মেয়েদের ভালো বুঝে এইটা মানতে চাই না।
      কারণ আমরা নিজেদের কেই নিজেরা ঠিক চিনে উঠতে পারি না।
      ঘটনা হচ্ছে যদি দশটা লাইন লেখা হয় মেয়েদের নিয়ে তার একটা না একটা লাইন কোন না কোন মেয়ের সাথে মিলে যাবেই।
      আর সেটা পড়ে মেয়েটা ভাববে আরে এইটা তো আমাকে নিয়ে লেখা।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদুল (২০০০-০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।