কাক-কবি-চিল

পায়রা উড়ো

ঘূর্ণন

১.

অতঃপর ভোর হবে,
আমি হাততালি দিয়ে বলবো,”পায়রা ওড়ো!”
তুমি চা আনতে আনতে বারান্দার রকে বসে একবার দেখবো
ডিগবাজী খেতে খেতে নেমে আসছে আমাদের প্রিয় গিরিবাজ
আমিও বৃদ্ধ হবো একদিন,যেমন তুমিও…আমাদের ধূসর চুলে
হাত রেখে সময়ের ওল বুনে যাবে,
রঙচঙে সুয়েটার গায়ে আমাদের সন্তানেরা রোদ্দুরে দাঁড়াবে
শুধু ভাঁড়ার ঘরের খোলে পড়ে থাকবে পুরোনো মেসেজ,
আর আজকের মতই দুরত্ব- ২৯৩ মাইল মাত্র
আর ইঁদুরের থেকে বেঁচে যাওয়া ৩৩ হাজার ইনবক্স!

২.
তাই সাদা শার্ট খুলে রেখে আমিও বসে থাকি একা ছাদে
নৃত্যরত বসন্তের হাওয়ার সামনে মাথা নিচু করে গুণি ভুলের হিসেব
প্রিয় পুরোনো টালিখাতা
আর জোৎস্না প্লাবিত ঝুলবারান্দায় এসে দাঁড়ানো মেয়ে
ভুল করে আমাকে মূর্তি ভেবে নিতেই এক কাক এসে বসে আমার কাঁধে

অতঃপর আমার নড়ে উঠা কড়ে আঙুলের শব্দে-
সেও লজ্জিত হয় এবং উড়ে যায় যেখানে চাঁদের শেষ!

৩.
বস্তুত আমিই মিডিয়াঃ
তাই একে একে আমার সবগুলো সোনালী বোতাম খুলে দিয়ে
তুমি আমাকে যতই প্রতিরাত্রে নগ্ন করো
মাঝরাতের টকশোতে আমিই বমি করে উগরে দেব
সভ্যতার জাহাজ ও ভাঙা হাটু উটের গল্প!
অতঃপর রোজ রোজ আক্ষেপ করে বলবো,
“আজই শেষ -কালই ফেসবুকটা ডিএক্টিভেট করে দেব…”

৪.

“সে আমার বন্ধুর প্রেমিকা”-এই বরফ শর্তে
এক গুহায় রাত কাটানো-আগুনের পাশে বসে রাত দেখলাম
স্বাতী নক্ষত্র থেকে কাঁচ এনে মুখ দেখেছি তাঁর অদ্ভুত আলোয়
ধারালো বাতাসে বারবার কেটে গেছে নিমগ্নতা,ফিরে এসে
পুর্ববর্তী রাতের ধবল জোৎস্নায় আমি চোখ বেঁধে মায়াবী
হরিণ দেখেছি,নক্ষত্রের মাঠে তারা সারারাত ছড়িয়েছে
রূপোলী বুদবুদ,আমাকে ক্ষমা করো,সারা রাত জেগে
আমি এক লাইনও লিখিনি তোমার জন্য!

৭৮১ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “কাক-কবি-চিল”

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।