আঠারো জুনের কবিতা

সাগর থেকে মেঘের পরী
এই শহরে এলো
আমরা তখন সিঁড়ির কাছে
ভীষণ ব্যস্ত ঠোঁটে
মাঝ দুপুরের নির্জনতা
শব্দ করে ফোটে
নিচের থেকে দ্বারপ্রহরী
এলো কী কুক্ষণে
বিদায় বেলায় এসব কথা
কেউ রাখে না মনে!

সেদিন কত আর্দ্র রাত্রি
বৃষ্টিতে মন্থর
যাদুকরের মন্ত্রে ছোটে
বজ্র হিবিজিবি
দুর্যোগে তার তন্দ্রা ছোটএ
বিস্মিত পৃথিবী
হরিণ যত দৌড়ে পালায়
প্রাচীন মায়াবনে
আজকে সেসব মিথ্যে কথা
কেউ রাখে না মনে।

রাতের পরে রাত্রি জেগে
আমরা একলা ঘরে
ভীষণ গাঢ় লালচে রঙে
তোমার আঁকা ছবি
দুঃখদিনে ঢেলে সাজাই
বিষন্ন করবী
অন্য সবাই তখন ছিলো
মগ্ন বিনোদনে
আজকে প্রাচীন সেসব ছবি
কেউ রাখে না মনে!

এমন অনেক রাত কেটেছে
দু’জনে নির্ঘুম
কাঁচঘরেতে মুখোমুখি
শব্দ দিয়ে খেলা
প্রাণের কথা প্রাণকে জানাই
সকল অবহেলা
আপন করা দুঃখগুলো
সাজাই সযতনে
এখন প্রখর সুখের দিনে
কেউ রাখে না মনে।

১,৬০৭ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “আঠারো জুনের কবিতা”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    অনেকদিন পর ভালো একটা কবিতা পড়লাম।
    টাইপো রয়ে গেছে।
    সাধারণত কবিতা পড়িনা (আমকবিদের)। দাদার কমেন্ট পড়ে আগ্রহী হয়ে পড়লাম।
    সাধু সাধু।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : লুবজানা (২০০৫-২০১১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।