অনেকদিন পর কবিতা:হাত বাড়িয়ে কার হাতে ছুঁই……?

অনেকদিন পর কবিতা!কোচিং এর জন্য ঢাকায় থাকি।ঢাকায় আসার পর আজকাল কবিতা লেখা হয় না।কলেজে থাকতে সবকিছু খুব সহজ মনে হত,বিছানায় শুয়ে অলস কল্পনায় যা হয় আর কি!ভাবতাম পাবলিক লাইব্রেরিতে চলে যাব,আজিজ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করবো,লিটল ম্যাগে লিখবো!পড়াশোনার ব্যস্ততায় কিছুই করা হয় না।লেখক শিবিরের একটা পাঠচক্র ছিল গত সপ্তাহে,পোলাপাইন যেতে বলছিল…ক্লাসের জন্য যাওয়া হলো না!টি এস সি তে ভাইয়ারা আড্ডায় যেতে বলে…যেতে পারি না!সারাজীবন যে স্বপ্নগুলো দেখে আসছি,এখন হাতের কাছে রেখেও তার কাছে পৌছা হয় না!ভার্সিটির হলে থাকি,কোচিং করতে যাই ফার্মগেট…সারাদিনে কাজ এ দুটো ঘিরেই।অপরাজিতের অপুর সাথে জীবনকে মেলাবার চেষ্টা করি অবচেতনে।মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে লিখতে।দু’একটা লাইন হয়ত লেখা হয়…পরে আর আগানো হয় না!তবুও শেষ পর্যন্ত একটা লেখা হয়েই গেল!
******************************

হাত বাড়িয়ে কার হাতে ছুঁই,কার হৃদয়ে বুক-
চেপে ধরি,আলতো হাতে চাই ছুঁতে চিবুক?
কাক-শালিখের ঠোঁট!

শঙ্খচূড়ের বিষ ঢেলেছে,কার বাহুতে দাঁত?
কার থুথুতে রক্ত আসে,একদলা আঘাত?
আচমকা পায় চোট!

সি.কে. ঘোষ রোডের মাথায় মৌমিতা’দির বাসা
একটুখানি দেখার লোভে এই দূরে আসা
সাইকেলে চেপে!

বারান্দাতে মূহুর্তক্ষণ আসবে,হয়ত ছাদে
রাস্তাতে ঠায় রয় দাঁড়িয়ে-ভেতর যেতে বাঁধে
বুক উঠে কেঁপে!

সমস্যমান সহস্র ভয়,মৌমিতা কি জানে?
পুড়ছে কিশোর ভালোবাসার অদম্য এক টানে
স্বপ্ন দেখার লোভ,

সে যদি আজ না করে দেয়,আসতে করে মানা-
আর কোনদিন;অন্ধকারে ঘৃণারা দেয় হানা
কষ্ট পাবে খুব?

তবে এখন এসব ভাবার হয়না কোন মানে
এখন বাজুক ঘন্টা ধ্বনি মৌমিতা’দির কানে
খামখেয়ালীর সুর!

থাক বালকের বাম পকেটে স্বপ্নলোকের চাবি
বাল্যপ্রেমে মগ্ন হয়ে আকাশ দেখার দাবি
সোনালী রোদ্দুর!

২,০১৩ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “অনেকদিন পর কবিতা:হাত বাড়িয়ে কার হাতে ছুঁই……?”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    তোমার অন্য কবিতাগুলোর মত এই কবিতাটাও ভালো লেগেছে শাহরিয়ার।
    আশা করি তোমার স্বপ্ন-পূরণ হবে, ভালো কোথাও ভর্তি হতে পারবা।

    তবে, এখানে মনিকা বেলুচ্চির ছবিটা কবিতার প্রতি মনযোগ সরিয়ে নেয়ার ভূমিকা নিবে বলেই আমার মনে হয়। এখানে সাইকেলে করে কেউ কারও প্রতীক্ষায়- এটা বুঝানোর জন্য অন্য সাধারণ কোন ছবি ব্যবহার করতে পারতা- নেটে খুঁজলে এরকম ছবি পেতেই পার। 🙂

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ভালো কোথাও আগে ভর্তি হয়ে নাও, এরপর টিএসসি, আজিজ মার্কেট, লিটল ম্যাগ...এর জন্য অনেক সময় পাবে...শুভকামনা রইল... :thumbup:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. টুম্পা (অতিথি)

    ভালো লেগেছে কবিতাটা, ছোট ভাইয়া। সাথে ছবি দেওয়ার ব্যাপারটাও আমার বেশ পছন্দের। অনেক সময় সত্যিকার কিছু করার চাইতে অলস কল্পনাই বেশি ভাল্লাগে...

    জবাব দিন
  4. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    বাহ্‌!
    শাহরিয়ার, এই-ই হলো নাগরিক অনুষঙ্গগুলোর সংগে কবির পরিচয়, মুখোমুখি হওয়া, ধাক্কা খাওয়া। খেয়াল করে দেখবে ঢাকার রুক্ষতা কোমলতা নারীর সাহচর্য ( বা তার সম্ভাবনা ) সমস্তটাই তোমার কাব্যভাষাকে একটানে নতুন একটা জায়গায় নিয়ে এসেছে।
    ভীষণ নাগরিক এই ভাষা। ভীষণ আধুনিক। এসব ছেড়ে পিটি প্যারেডের দেশে চলে যাচ্ছো বলে আমার একটু আফসোস হচ্ছে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।