স্ট্যান্ডিং এট দ্যা এজ (লাস্ট ডেইজ ইন ক্যাডেট কলেজ)

ক্যাডেট লাইফটা শেষ হয়ে গেল।কাল আমাদের আর্টস এর এক্সাম শেষ হলো।সায়েন্সের শেষ হবে ১৮ তারিখ!এখন খালি মাস্তি আর মাস্তি।এতদিন কলেজে আমরা একা ছিলাম,আগামীকাল কলেজ আসবে।এভাবেই বোধহয় সব শেষ হয়!২৪ তারিখ মনে হয় আমাদের বিদায়!পুরাটা ক্যাডেটলাইফ এত্ত বাজে লাগতো,ইদানিং কেন যেন যেতে ইচ্ছে করে না!আগে ভাবতাম কবে মুক্তি পাবো,এখন মনে হয় না জানি কোথায় গিয়ে পড়ি।সত্যি খুব মায়া লেগে গেছে।এই ব্লক,কম্পিউটার ল্যাবে ফাঁকি দিয়ে বসে থাকা,লাইব্রেরী তে পড়া,রাত ৩ টা ৪ তা পর্যন্ত জেগে কার্ড খেলা,চান্স পেলেই করিডোর ক্রিকেট!ক্যাডেটরা যে কত নতুন নতু খেলা আবিষ্কার করে।ইদানিং প্রতিদিন রাতে টিভি রুমে খেলা দেখতে যাই!সাউন্ড অফ,পয়েন্টে পয়েন্টে গার্ড দাড় করিয়ে খেলা দেখার এই এডভেঞ্চার আর কই পাবো?জীবনে কোনোদিন কাঠাল খাই না বাসায়।গত সপ্তাহে একাই একটা আস্ত কাঠাল শেষ করেছি প্রতিযোগীতা দিয়ে।চুরি করা কাঠাল বলে কথা!এটা কি চুরি?হাউজের সামনে একটা আম গাছে আম নাই!অথচ এই জীবনে আর কোনোদিন গাছ থেকে পেড়ে কাচা আম খাওয়ার আনন্দটাই পাবো না!ক্যাডেট কলেজের প্রতি মায়া গুলোর সোর্স খুব সিম্পল!তবুও একে এড়াই কি ভাবে?
খুব খারাপ লাগে যে সব ছেড়ে চলে যেতে হবে!তবুও কিছু ব্যাপারে এত্ত বেশি মন খারাপ হয়…মনে হয় যাওয়াই ভাল।আমাদের যত অসন্তোষ কলেজের টিচারদের ব্যাপারে !এত বছর হয়ে গেলো,ক্যাডট-টিচার সম্পর্কটা কি আর ভালো করা যায় না?বের হয়ে গেলে আমিও বোধহয় সব এক্সক্যাডেটদের মত স্বার্থপর হয়ে যাবো।তবুও এই ক্যাডেট থাকা অবস্থায় একটাই আক্ষেপ,যদি এই চোর পুলিস সম্পর্কটা দূর করা যেতো।ওনারা আমাদের প্রতিযোগী না ভাবতো!
………………….।।.।।…………………………
কেউ কী এটা নিয়ে চিন্তা করবেন?
গুড বাই কম্পিউটার ল্যাব!গুড বাই সিসিবি!(এজ এ ক্যাডেট)

১,৭২৯ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “স্ট্যান্ডিং এট দ্যা এজ (লাস্ট ডেইজ ইন ক্যাডেট কলেজ)”

  1. শাফি (০২-০৮)

    এখন খেলা দেখতে গেলে মনে পরে যায়- কলেজে ৩০ মিনিট খেলা দেখে যে মজা পেতাম এখন আর পাইনা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ওড়ানো পতাকাগুলো দেখে মনে হলো রাতে চুরি করে দেখা EURO 08 এর খেলাগুলোর থেকে হয়তো আর কোন খেলা বেশি উপভোগ করবোনা। খেলার থেকে খেলা দেখার ব্যবস্থা করাই ছিল বড় অ্যাডভেঞ্চার।

    জবাব দিন
  2. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ইস , । আমাগো বের হবার আগের দিংুলা বেশ মধুর ছিল। যেই কদিন ক্যাডেটরা ছিল না টিভির রুমেই বালিশ কম্বল নিয়া আস্তানা গাড়ছিলাম বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে। সারদিন খেলা দেখা আম চুরি করা আর সারারাত বিশ্বকাপ নিয়া জ্ঞানী আলোচনা আড় সাথে আমভর্তা। সেই দিন গুলি মিস করি। আবার বিশ্বকাপ আয়া পড়লো। সেই সময়ের পোলাপান একটারেও এখন আড় হাতের কাছে পাই না।

    জবাব দিন
  3. রায়েদ (২০০২-২০০৮)

    ''বের হয়ে গেলে আমিও বোধহয় সব এক্সক্যাডেটদের মত স্বার্থপর হয়ে যাবো।''

    এইটা কি বললা? এত বড় অপবাদ। এক্স কাডেটরা মোটেই স্বার্থপর না। বাইর হইলেই বুঝবা। আর কোনো কলেজের বড় ভাইরা এত হেল্প করেনা যেইটা এক্স কাডেট ভাইরা করে। যদি সে অন্য কাডেট কলেজের হয় তবুও।

    এই গুরুতর অপরাধে যতদিন না কলেজ থেকে বের হচ্ছ ততক্ষণ পর্যন্ত :frontroll: দিতে থাকবা।

    জবাব দিন
  4. শহীদুল আহসান (১৯৯৫-২০০১)

    ব্যাচমেটদের ছেড়ে থাকাটা অনেকদিন পর্যন্ত কষ্ট মনে হয়। যদিও ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবী ছোট হয়ে গিয়েছে তবু কলেজের মতো কখনৈ আর একসাথে থাকা হবে না।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শহীদুল আহসান (১৯৯৫-২০০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।