জ্বর মস্তিষ্কে অনুর্বর কিছু ভাবনা……

এই ছোট আয়তনের শহরে,
বড় বড় দালান গুলো আকড়ে ধরে থাকে
বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা,
তারা এ শহর ছেড়ে আর অন্যকোন নোংরা মফস্বল শহরে যেতে চান না।
আর তাদের কে ঘিরে হু হু ঢল নামে মানুষের দলের।
সেই মানুষের জন্য আরো গড়ে উঠে দালান-কোঠা, দোকান-পাট
প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলে আরো প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা।
আয়তনে ছোট্ট শহর হয় জনসংখ্যার হিসেবে অন্যতম।
বেড়ে যায় কলকারখানা, যানবাহন, নিয়ন্ত্রন অযোগ্য জানজট।

তাই এই শহরে আর গাছপালা বাঁচে না,
বাঁচে কিছু ধুলোয় ঢাকা আগাছা, বিষাক্ত লতাপাতা।
আর যা কিছু গাছ বেঁচে আছে বলে দেখা যায়,
তাদেরকে চেপে ধরেছে অতিমাত্রার শীশা, ক্ষতিকর হেভী মেটালস।
তারাও এখন আমার মতন ধুকে ধুকে শ্বাস নেয়।
আমার মতন জ্বরে পুড়ে।

তাই এই শহরে আর কবুতর আসে না, চঁড়ুই, শালিক বাঁচে না।
বিদ্যুতের তারে ঝুলে বেঁচে থাকে কিছু কাক।

তাই এই শহরে আর মানুষ বাঁচে না।
আর যারা বাঁচে তারা মানুষ রুপে থাকে না।
কেননা তারাইতো হবে আগামী কর্তাব্যক্তি।

অনেকের ধারনা এই শহরে জ্বীন, ভূতেরাও নাকি বাঁচে না। কিন্তু…..
আমি দেখেছি এরা এখন সাহসিকতার সাথে
অমানুষ গুলোর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
মনুষ্য আকৃতি ধারন করে ঘুরে বেড়ায় বইমেলায়, নির্জন পার্কে কিংবা
হাজার হাজার জনতায় ঠাসা রাজনৈতিক মিছিলে…..

৫ টি মন্তব্য : “জ্বর মস্তিষ্কে অনুর্বর কিছু ভাবনা……”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ঐদিন ভুত নিয়া কলকাতার একটা ছবি দেখলাম। মূল বিষয় ভুতদের আবাসন সংকট। (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    ভাবনাগুলো ভাল লেগেছে। বিশেষ করেঃ
    আমি দেখেছি এরা এখন সাহসিকতার সাথে
    অমানুষ গুলোর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
    মনুষ্য আকৃতি ধারন করে ঘুরে বেড়ায় বইমেলায়, নির্জন পার্কে কিংবা
    হাজার হাজার জনতায় ঠাসা রাজনৈতিক মিছিলে…..

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।