এই বর্ষার সন্ধ্যায় আমার মনে
খুশি জেগেছে
ঘন ঘন গর্জন বৃষ্টির বর্ষন
গাঢ় মেঘ আকাশে।
রিমঝিম স্বরে বারি ঝরে পড়ে
অমিত গোধূলী ঢাকা সন্ধ্যে
ছল ছল শব্দে ছুটে বারিধারা
বাঁশির সুরের ছন্দে।
নীড় হতে আজ বের হয়নি পাখি
সিক্ত জলে কুন্তল
ভিজা পাতার নিচে, মুদে দু’খানি আঁখি
বাঞ্চা লাভে চঞ্চল।
উৎপল পলে পলে, পয় ঝেড়ে ফেলে
যেন দুল দুলুনি
কচুপাতার তলে, ব্যাঙ্ ডেকে চলে
গন্ধ ছড়ায় কামিনী।
মেদিনীর মাঝে আজ, সাজিল বর্ষা সাজ
বারিধারা ঢেলে
লেবু গাছের তলে, লেবু ফুলে ফুলে
গন্ধ মেখে জলে।
(কবিতার পটভূমি: এই ছড়াটা অনেকদিন আগের লিখা, তাও কোন বাংলা পরীক্ষার আগে। সন্ধ্যার সময় বাংলা সমার্থক শব্দ শিখছিলাম। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। কিসের আবার পড়াশোনা? ইচ্ছে হচ্ছিল কবিতা লিখি। বেশ্, সমার্থক শব্দ খোজে খোজে ছড়ার ছন্দমিল তৈরী করার চেষ্টা। হয়ে গেল এই ছড়া লিখা। কোন এক বার্ষিকীতেও মনে হয়ে এটি প্রকাশ হয়েছিল। অনেক পাঠকের হয়ত কিছু শব্দের অর্থ খোজে পেতে সমস্যা হতে পারে। তাদের জন্য শব্দগুলোর অর্থ লিখে দিলাম।
অমিত-আঁধার; কুন্তল-পালক; উৎপল-পদ্মফুল; পল-ক্ষূদ্র সময়; পয়/বারি-পানি; মেদেনী-পৃথিবী)
😀 গোল দিলাম!!
কবিতা বহুত সুন্দর।কী চমতকার অন্ত্যমিল!! :clap: :clap:
ধন্যবাদ, আমীন। গোল দিবার জন্য খুশিতে দুইটা :frontroll: লাগাও।
:frontroll: :frontroll:
এটা কি হইল? :(( :((
কিরে রাগ করলি? গোল দিলে খুশিতে এমনিতেই :frontroll: দেয়া যায়। মন খারাপ করে দেয়ার দরকার নেই। আর সারাক্ষন গোলের সামনে দাড়ায়ে থেকে গোল দিলে, ভাল স্ট্রাইকার হওয়া যায় না।
কবিতা বেশ ভালোই ছিল তবে পটভূমি পড়ে বেশী মজা পেলাম। কুন্তল মানে কি কেশ না?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কেশ বা পালক, দুইটা অর্থেই মনেহয় ব্যবহার করা যায়।
বেশ একটা ঝমঝম টাইপের বৃষ্টি যে হচ্ছে সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। সে জায়গাতেই লেখাটি সার্থক - ছবিটা ফুটে উঠলো বলে।
কিন্তু কিছু শব্দের প্রয়োগ বুঝলামনা।
'অমিত ঊষা ঢাকা সন্ধ্যে' : ঊষার সংগে সন্ধ্যার অনেকটা ফারাক বলেই তো জানি।
'উৎপল পলে পলে, পয় ঝেড়ে ফেলে' : 'পয়' মানে?
'মেদেনী' নয় 'মেদিনী'।
বাক্যগুলো সংবদ্ধ নয়, ছড়ানো। শেষ চার লাইনের কোন মানে দাঁড়াচ্ছেনা ব্যাকরণগত ভাবে। অন্ত্যমিলও আমার কাছে এমন কিছু বিরাট মনে হয়নি, জোর করে মেলানো।
তবু, ওই যে বললাম, বর্ষার ছবিটি কিন্তু জোর করে আনা নয়। ওটা ভীষণ স্বতস্ফূর্ত লাগছে। ওখানেই আমার ভালো লাগা। বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাচ্ছি, বৃষ্টি দেখতে পাচ্ছি। এর থেকে বেশি কি চাইবো কবিতার কাছে।
মনে হলো, প্রাচীন বাংলা কবিতা পড়লাম।
ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই, কবি হওয়া এতো সোজা না।
যাইহোক, আপনার কথামতো কয়েকটা রদবদল করা হল।
১। ঊষা পরিবর্তন করে গোধূলী লাগনো হল।
২। মেদিনী বানান ঠিক করা হল।
আর পয় মানে হয়ত বলবেন, ময়লা বা ........। কিন্তু ঐ বইয়ে পয় কিন্তু পানির সমার্থক শব্দ হিসেবেই উল্ল্যেখ ছিল।
যাই হোক অনেক আগের লিখা ছড়া, তখন তত অক্ষর জ্ঞান ছিল না। আর এখোনো যে খুব একটা বেড়েছে তাও দাবি করছি না। আবারো ধন্যবাদ ভাইয়া।