৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৪র্থ পর্ব

এই পর্বেও কিছু বলে নিতে চাই। অনেকের মন্তব্য শুনে ভাল লেগেছে, আর অনেকের মন্তব্য শুনে লেখার জন্য আরও উৎসাহিত হয়েছি। যারা ছোট করে পর্ব লেখার জন্য অভিযোগ করেছে তাঁদের জন্য আবারও বলছি আমার সময় স্বল্পতার কারনে পর্বে পর্বে লিখছি। আর ৩-৪ দিন পর পর বড় করে লেখার সময়ের অভাবেই তো প্রতিদিন ছোট পর্বে লিখছি।

তো এই পর্বে চিন্তা করেছি আমি কতটা সৌভাগ্যবান ছিলাম তা একটি স্মৃতির কথা লিখে প্রকাশ করব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ঘটনাটি প্রথম সাতদিনে ঘটেছিল না ২য় টার্মের শুরুতে ঘটেছিল তা মনে করতে পারছি না। যাইহোক এইসব চিন্তা মন খারাপ না করে মূল ঘটনায় আসি। কোন এক আফটারনুন প্রেপে আমি ডেস্কে বসে মাথা নিচু করে পড়ছিলাম বা লিখছিলাম। হঠাৎ করে আমার মাথার উপরের চলন্ত ফ্যান খুলে পড়ল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবং সৌভাগ্যের কারণে ফ্যানের পাখা আমার ঘাড়ে হালকা ছুঁয়ে গেল। সেই সাথে আমার চেয়ারের কাঠের কিছুটা অংশ তুলে নিয়ে আমার ডেস্কের কোনাকুণি জামানের ডেস্কের পায়ার কাঠের কিছু অংশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল।

আমি মাথা উঁচিয়ে দেখি সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। একটু পর সবাই এসে আমি ঠিক আছি কিনা জিজ্ঞাসা করতে লাগল। পরে প্রেপের ডিউটিরত স্যাররা, প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার এসে আমার খোঁজ-খবর নিতে লাগল। যখন আমি এই ঘটনার আকস্মিকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠলাম তখন বুঝতে পারলাম আমি কতটা সৌভাগ্যবান। সেইদিন নিশ্চত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে থাকার স্মৃতি মনে পড়লে আজও নিজেকে ধন্য মনে হয়।………………(চলতে থাকবে)

১,১৫০ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৪র্থ পর্ব”

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।