আর কত?

বেশ কিছুদিন আগে কোন এক টক শোতে( মনে নেই কোন চ্যানেল) একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি (উনার নাম ও আমার খেয়াল নেই)  আমাদের দেশের দুই নেত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করেছেন । উনার এ কথা নিয়ে অনেক সুক্ষ বিতর্কের সুযোগ আছে আমি জানি। আমি সে বিতর্কে যাবনা । আমি শুধু আমার মতামত প্রকাশ করতে চাই। আমার এক আত্মীয় আছেন ,যাকে কীনা আমি পৃথিবীর সবচেয়ে দায়িত্বহীন মা হিসেবে চিহ্নিত করেছি , তাকেও দেখি তার সন্তানকে হালকা টোকা দিলে তা নিয়ে তুলকালাম বাধিয়ে দেন। স্বাভাবিক ; একজন মা কখনোই তার সন্তানের ফুলের টোকা সহ্য করতে চাননা। সেখানে কীনা প্রতিদিন এত এত মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে , পুড়ে যাচ্ছে , নিঃস্ব হচ্ছে আর সেখানে কীনা আমাদের দুজন মাননীয় নেত্রী তাদের চিরাচরিত চুলোচুলি বজায় রেখেছেন। আসলে একটি দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ যখন তোষামদ করে তখন সে দেশের ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকেনা।

এখানে বলে রাখতে চাই। আমি কোন রাজনৈতিক মনমানসিকতা থেকে এই লেখাটি লিখছিনা। আমি একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে আমার বক্তব্য রাখছি মাত্র। এবং আমি জানি আমার এ কথাগুলো উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতই মুল্যহীন । তবুও বলছি। গ্রাম এলাকায় বাচ্চাদেরকে নিয়ে মা বা তাদের খালা-ফুফুরা একটা খেলা খেলেন যার নাম নুংগি-নুংগি(নাম শুনেছেন কিনা জানিনা।শুনে থাকলে আমার কথা খুব সহজে বোধগম্য হবে বলে আশা করি)। খেলাটাতে একজন হাটু ভাজ করে শুয়ে থাকে আর বাচ্চাটা তার হাটুর উপর উঠে দোল খায় আর একটা গান আছে-“নুংগি-নুংগি ..ফিরি চাচী..” এরকম গানটা । তো গানটা শেষে শিশুটিকে বাছাই করতে দেয়া হয় সে কোন পাশে পড়তে চায় এক দুপাশে দুটো ডালি কল্পনা করা হয় যার উপাদান কখনোই ভালো কিছু থাকেনা (মানুষের মল-মুত্র জাতীয় বস্তু )। আমাদের দেশে যে নির্বাচন হয় তাকে আমরা গ্রাম্য এলাকার সেই খেলাটির সাথেই তুলনা করতে পারি যেখানে কীনা যাকেই ভোট দেইনা কেন দেশের ভালো কিছুই হবেনা । অনেকটা মদ ও গাজার মধ্যে কোনটা ভালো সেটা choice করা।

সেদিন কোন এক টকশোতে কোন এক রাজনীতিবিদ নিতান্ত ক্ষেপে গিয়ে বলেন দেশের এখন পর্যন্ত যা উন্নতি হয়েছে সব রাজনীতিবিদ্দের জন্যই হয়েছে। এই বক্তব্য নিয়ে কিছু  কথা না বলে পারছিনা। আমার যতটুকু ধারনা দেশ শাসন করেন রাজনীতিবিদরাই । সাধারন জনগন তো আর করেনা । তো উন্নতি হলে তার ক্রেডিট রাজনীতিবিদ্দেরই পাওয়ার কথা। তবে একটা কথা সত্যি দেশ যা উন্নতি করেছে তার অবদান যেমন রাজনীতিবিদ্দের, তেমনই দেশ যতটুকু পিছিয়েছে তার সবটুকু দায় ই রাজনীতিবিদ্দের । এবং দাড়িপাল্লায় মাপা হলে দেশের পিছিয়ে যাওয়াটাই বেশি ভারী হবে । একটা জিনিস ভেবে দেখুন । একদিন যদি হরতাল থাকে তাহলে অংকের হিসাবে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় । আরো অনেক হিসাব আছে যা অংকে হিসাব করা সম্ভব নয় যেমন রিক্সা পোড়ানো ইত্যাদি । বাংলাদেশের মত এক তৃতীয় বিশ্বের দেশে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি কিন্তু কম নয়। এখন সেখানে হিসাব করে দেখুন এ মাসে প্রতিটা কার্যদিবসেই বলতে গেলে হরতাল হয়েছে । দেশের কী পরিমান ক্ষতি হয়েছে কল্পনা করে দেখুন তো।

হরতালের কারনটা নিয়ে পর্যালোচনা করা জরুরী । বিরোধীদল চাচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলিয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক । দাবিটা খারাপ না। কারন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবার সুযোগ কম । দাবি তারা করতেই পারেন । আবার সরকার চাইছে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক । কারন যারা নির্বাচিত তারা তো জনগনের প্রতিনিধিই তাদের উপর বিশ্বাস করতে ক্ষতি কী? যাই হোক কে ঠিক বা কে ভুল আমি তা বলবনা । আমি ফিরে যাব আজ থেকে ১৮ বছর আগে । তখন ও এমন পরিস্থিতি এমন হয়েছিল । অর্থাৎ একই দাবি উঠেছিল বিরোধীদল আর সরকারদলের পক্ষ থেকে । তবে পার্থক্য একটাই তখনকার সরকারদল এখনকার বিরোধিদল আর তখনকার বিরোধিদল এখনকার সরকারদল । রাজনীতিই কতই না মধুর ১৮ বছরের মাঝে নিজেদের মুখের বলি পরিবর্তন করে ফেলে। দুই নেত্রী ফোনে এ বিষয়ে ৩৭ মিনিটের আলোচনা(!) করেন। তা পত্রিকাতে ও ছাপা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য সেখানে তারা প্রকৃত বিষয়ের উপর কথা বলার চেয়ে নিজেদের ঝগড়া নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন ।

তো যাই হোক না কেন , যার দাবি যেটাই হোক আমি মনে করি এ মুহূর্তে আমাদের পর্যালোচনা করার সময় এসেছে গনতন্ত্র এবং গনতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে। বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের একটা উক্তি আছে যা আমরা সবাই কম বেশি জানি । তাই উক্তিটা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছিনা । তবে সে উক্তিটা সারমর্ম এই যে গনতন্ত্র কেবলই জনগনের জন্যেই । যে কোন গনতান্ত্রিক অধিকার মানেই হল তার মাঝে জনগনের একটা প্রতিফলন থাকবে অর্থাৎ জনগনের সেখানে সমর্থন থাকবে । এবার আসি বাংলাদেশে তার প্রতিফলন কতটুকু । আমাদের দেশের বিরোধিদল যখন হরতাল ডাকে তাদের মন্তব্য থাকে জনগনের দাবিতেই এ হরতাল ডাকা হয়েছে । কিন্তু আমার প্রশ্ন যে হরতাল কীনা জনগনের জন্যেই দেয়া হয় সেখানে কীনা জনগণই কেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একজন সিএনজি চালক বা একজন রিকশাচালক বা একজন বাসচালক তার একমাত্র সম্বল ই হচ্ছে তার সেই যানটি । যদি তা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে বা শেষ হয়ে যায় তার পরিবার তাকে রাস্তায় বসা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা । হরতালে গাড়িঘোড়া চলুক আর না চলুক তার পেট কিন্তু চলে। তার পরিবারকে কিন্তু খাওয়াতে হয় । তাদের পেট হরতালে কিন্তু বন্ধ থাকেনা। সে হয়ত মনে মনে কোন একটা দলকে সমর্থন করলেও সে রাজনীতির কোন অংশ না। সে পেটের দায়েই রাস্তায় বের হয় । কিন্তু জনগনের জন্যে ডাকা হরতালে কেন সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়? তাকে কেন পুড়তে হয় রাজপথে ? ইদানিং মানুষ ও পোড়ানো হচ্ছে । যাদের পোড়ানো হচ্ছে তাদের অনেকের কাছেই নিজেদের চিকিৎসা চালানোর মত খরচ নেই । কিন্তু এ হরতাল সে ডাকেও নি আবার বিরোধিতাও করেনি । সে শান্তিতে বাচতে চেয়েছিল । তবে সে কেন victim হচ্ছে । যারা হরতাল ডাকছে তারা ঘরে বসে আরাম করে খাচ্ছে দাচ্ছে । সরকার দল ও আরাম করে খাচ্ছে দাচ্ছে মাঝখান দিয়ে মার খাচ্ছি আমরা । আর হরতালকে গনতান্ত্রিক অধিকার হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে যেখানে কীনা জনগনের কোন কোন reflection ই নাই । সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এ পৃথিবী !

দায় কে বহন করবে – বিরোধিদল না সরকারদল – তা নিয়ে যদি কথা বলতেই হয় , আমি দুদলকেই সমান দায় দিতে চাই । দুদলই কখনো এ দেশের ভালোভেবে কিছু করেননি । ক্ষমতায় এসেছেন । দেশের যা আছে আরাম করে ভোগ করেছেন । মাঝে মাঝে কিছু জনসভায় বিশাল বক্তৃতা দিয়ে একে অন্যকে গালি দিয়েছেন । আর যখন ক্ষমতায় থাকেননা তখন মনের খায়েশ মিটিয়ে হরতাল দিয়েছেন আর সরকারকে তুলোধুনো করেছেন । অথচ তাদের কিন্তু দেশের সার্থে সবসময় একসাথে কাজ করার কথা । আজ আমাদের বিরোধিদল সত্যিই যদি জনগনের কথা ভাবতেন তিনি নিশ্চয়ই হরতালে সাধারন মানুষের দুর্দশা দেখে হরতাল বাদ দিয়ে অন্য কোন উপায় বেছে নিতেন । হরতালে মানুষকে পোড়ানো হচ্ছে দেখে নিজের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন । জনগনের কথা মাথায় রেখে নিজের পদক্ষেপ নিতেন । প্রয়োজনে নিজের চিরশত্রু হওয়া স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রির সাথে সাক্ষাত করে একটা ব্যবস্থা করতেন । কিন্তু তিনি এখন চিন্তায় আছেন তার বাসায় পানি নেই এ বিষয়টা নিয়ে !  আর সরকার যদি সত্যিই এদেশের মানুষের কথা ভাবত তাহলে হরতাল জাতীয় কর্মসূচির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক আইন জারি করে তা বন্ধ করা । বিরোধিদলের সাথে আলোচনায় বসা । সংকটাবস্থা নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া । তা না করে তিনি বিভিন্ন এলাকায় জনসভা করে বিরোধিদলের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছেন । এখন দুদল ই বলতে পারেন অন্যপক্ষ থেকে কোন উদ্দ্যোগ নেই । আমি একটা কথাই বলব যদি সত্যিই জনগনের প্রতি বিন্দুমাত্র টান থাকে তাহলে কাউকে উদ্দ্যোগ নিতে হয়না । উদ্দ্যোগ এমনি থেকেই চলে আসে ।

বলতে গেলে আসলে অনেক কথাই বলতে হয় । আমি আর কথা বাড়াতে চাইনা। ছোট্ট একটা বাস্তব চিত্র বর্ণনা করে আমার লেখা শেষ করতে চাই । গরিব এক দিনমজুর । তার নাম ধরলাম ‘ক’। সারাদিন খেটে খুটে অল্প কিছু আয় করেন । নির্বাচনের সময় এল । প্রচারনা চলছে । শুনছেন নেতারা নাকি ঘরে ঘরে আসে । তার বিশ্বাস হয়। এ কী সম্ভব! এত বড় নেতা সে কী তার এ জীর্ন ঘরে আসবেন । একদিন দেখেন এলাকার সব ছেলেপেলেরা তার বাড়ির চারপাশে ভীড় করছে । একটু ভয় পেয়ে গেলেন । হঠাত দেখেন এক বড় নেতা আসছেন তার ঘরে । একটু অবাক হয়ে গেলেন । তাকে আরো অবাক করে দিয়ে সেই নেতা তাকে জরিয়ে ধরলেন । পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে হাতে ধরিয়ে দেন বলেন , যা মিষ্টি কিনে খা । পাশের চ্যালারা বলে ভোটটা কিন্তু ভাইরেই দিস । তার চোখ জুরিয়ে যায় । আহ কত ভালো সে নেতা ! তার এই ভাঙা ঘরে এসেছেন । কী অমায়িক না তার ব্যবহার ! আহা , মানুষ না যেন ফেরেশতা ! ভোট দেয়ার সময় সেই নেতাকেই দিলেন । সেই নেতাও জিতল । তো এইবার যা হল তার এলাকায় রাস্তাটা ঠিক করা দরকার । তিনি ভাবলেন নেতা তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । তাকে বোধ হয় বললেই কাজ হবে । তিনি তাই গেলেন । ফলাফল যা হল তাকে নেতার বাসা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হল । ‘ক’ কিছুতেই বুঝতে পারলেননা তার অপরাধটা কী। যে মানুষটা নির্বাচনের আগে এত ভালো সে কীভাবে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল ? সে প্রশ্নের উত্তর খোজার চেয়ে আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই এ দেশের জনগনের কাছে। তা হল , আর কত ?

১,০৩৫ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “আর কত?”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    টক শো দেখা বহু আগেই ছেড়ে দিসি। এমনিতেই মানসিক অশান্তি সৃষ্টির হাজারটা কারণ আছে। আরেকটা কারণ শুধু শুধু বাড়ায়ে তো লাভ নাই কোন


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. সামিউল(২০০৪-১০)

    এই টক শো/ Mock show পুরাই আজাইরা জিনিস। সবাই যেটা জানে, সেই সব বিষয় নিয়া এরা খালি লম্বা প্যাঁচাল ছাড়ে আর ত্যানা প্যাঁচায়।
    আরামে আছে তারা, খায়-দায় টেনশন ছাড়া। কোন কাম-কাজ নাই, পেটের ভাত হজম করার জন্যই কথা বলে মানে প্যাঁচাল ছেড়ে শক্তি খরচ করে।

    আর দুই নেত্রীর কথা বাদ। বলতে গেলে এরা দুজনই এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  3. মামুনুর রশীদ খান(২০০১—২০০৭)

    প্রব্লেম হল আমরা সবাই এস্কেপিস্ট। আমরা ফেস করতে ভয় পাই,গতানুগতিকতার বাইরে যেতে ভয় পাই। দুটা কারণ হতে পারে ১।আমরা সেফ থাকতে চাই। ২।আমাদের সেই সাহস নাই।
    যেমন : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গামী সন্তানদের প্রতি অভিভাবকগণের প্রথম আজ্ঞা " রাজনীতি নিষেধ। রাজনীতি যারা করে তারা ভাল না।রাজনীতি বিপদজনক।" জাতির সুসন্তানেরা রাজনীতি না করলে রাজনীতিবিদ সব কুসন্তানই হবে। আর রাজনীতি না করলে কি মানুষ চিরকাল বেচে থাকবে?
    পলিটিশিয়ানরা একটা জাতির নীতিনির্ধারক। অথচ সেখানে একটা সুসন্তান প্রেরণেই যদি আমাদের এত অরুচি তাহলে পলিটিশিয়ানদের গালাগালি কেন করি?


    ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক

    জবাব দিন
  4. রাশেদ(২০০৫-২০১১)

    আসলে ভাইয়া , এটা সত্যি যে ,যে দেশের সুসন্তানেরা যদি রাজনীতি না করে তাহলে কুসন্তানেরাই করবে । কিন্তু একজন সুসন্তান যদি সেখানে প্রবেশ করে কুসন্তানে রুপান্তরিত হয় সেটা কেউ ই চায়না। যদি একটা ভালো ছেলে যদি রাজনীতি করতে চায় তাকে অবশ্যই কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে রাজনীতি করতে হবে । একা একা তো আর সে রাজনীতি করতে পারবেনা । ছোট কোন দলের হয়ে সে নিশ্চয়ই রাজনীতি করবেনা। বড় দুটি দলের হয়েই করবে । আর সমস্যাটা এখানেই । যদি সত্যি ই আমরা এদেশকে এরকম সংকট অবস্থা থেকে বের করে আনতে চাই তাহলে আমাদের তরুণ সমাজের একত্রিত হওয়া জরুরী । কিন্তু আপনি ই বলেন আমরা তরুনরা কি একতাবদ্ধ ? এক শক্তি আমাদেরকে বিভক্ত করে রেখেছে যা হল প্রধাণ দুই রাজনৈতিক দল । আর যতদিন না আমরা এই বিভক্তি কাটাতে পারব ততদিন আমাদের দেশ কখনোই সংকটাবস্থা থেকে মুক্তি পাবেনা

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মামুনুর রশীদ খান(২০০১—২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।