শয়তান বনাম মানুষ।

শয়তান কি এ প্রশ্নের গভীরে না যেয়ে পৃথিবীর চলমান বিপরীত মুখি ক্রিয়া বিক্রিয়াধিন দ্বন্দ্বময় শক্তিদ্বয়ের একটি, যে “আঁধার” কে প্রতিনিধিত্ব করে বলে সর্ব সম্মত বিশ্বাস, তার ক্রিয়া বা কর্ম পদ্ধতি কি, এ বিষয়ে জানার ঝোঁক বহু জনেরই আছে।আমি ও এর ব্যতিক্রম নই।

তাপের অনুপস্থিতি যেমন ‘শৈত্য’, আলোর অনুপস্থিতি ‘আঁধার’ তেমনি ভাল শক্তির দ্বন্দ্বে আমরা যে ‘মন্দ শক্তির’ হদিশ পাই, ধর্মীয় পরিভাষায় তাকেই শয়তান আখ্যায়িত করতে পারি।

আমার বাবার প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, দুর্লভ বইয়ের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। প্রাক খৃস্টীয় ‘প্যাগান’ যুগের একটি পাণ্ডুলিপির আনুবাদের শতাধিক বছরের পুরানো মুদ্রিত  একটি বইয়ের সংস্করণ ওঁর হাতে পরে।ওঁর মুখে সেখান থেকে একটি গল্প শুনেছিলাম, এ প্রসঙ্গে মনে পড়লো তাই উল্লেখ করছি।বিষয় বস্তু নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে,এর প্রেক্ষাপটে বর্তমান যুগকে বিচার করা যেতে পারে।

শয়তান এবং শয়তান পূজারীদের এক সম্মেলনে আগামি পৃথিবীতে মানুষ কে বিপথে নেয়ার পরিকল্পনায়  পরবর্তী দশ/বার শত বৎসর ব্যাপি কি কর্ম পদ্ধতি বিন্যাস করা হবে, তার পূর্ব পরিকল্পনার রুপরেখা গৃহীত হয়।

যার প্রথমেই আসেঃ

রাজ্যের মালিকানাঃ এমন পদ্ধতিতে এমন সাধারন মানুষ থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে রাজ্যের মালিক/রাজা বানাতে হবে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য ও চোখ থাকবে রাজ্যের কোষাগারে প্রতি। প্রজা হৈতোষ,দেশাত্মবোধ হবে তার কাছে গৌণ।

আনুগত্যঃ ধিরে ধিরে এই আনুগত্য শব্দটির শব্দার্থ কে পরিবর্তনের মাধ্যমে ‘ কেউ কারো চেয়ে কম নয় ‘ হিসাবে প্রতিস্থাপিত করতে হবে।

নৈতিকতাঃ এই শব্দের ভাবার্থ সৎ, সততা থেকে প্রতিস্থাপিত করে একেক অঞ্চলে একেক প্রকার করতে হবে।

ধর্মঃ সত্য, সনাতন ধর্ম গুলিকে মিথ্যার  বা ভেজাল মিশ্রণে যতদূর সম্ভব দূষন করতে হবে।

পোশাকঃ পোশাক পরিচ্ছদে প্রভুত পরিবর্তন আনতে হবে।

সামাজিকতাঃ ধর্মহীন, নৈতিকতা-আদব-লজ্জাহীন, স্বেচ্ছাচার একটা সামাজিক ব্যবস্তার দিকে সমাজকে ক্রমান্বয়ে ধাবিত করতে হবে ।

আপাত দৃষ্টিতে বিষয়গুলি নিরীহ মনে হলেও,এর মাঝেই শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ এবং মানবতার ধ্বংস লুকিয়ে আছে।বিস্তারিত আলোচনায় ‘রাজতন্ত্র’ উচ্ছেদ পূর্বক ‘প্রজাতন্ত্রে’ পরিবর্তনের আভাস দেয়া আছে, এই জন্যে যে সাধারন মানুষের হঠাৎ প্রাপ্ত ক্ষমতা এবং অর্থের নেশা অত্যন্ত ভয়ংকর পাপাচারের জন্ম দিতে পারে।আর ‘আমরা সবাই রাজা’ র মানসিকতায় দেশ অরাজকতা, নৈরাজ্য আর হানা হানির দিকে ঠেলে দিতে পারে।

‘নৈতিকতা’ শব্দের অর্থ ব্যাপক! অনৈতিক কর্ম কাণ্ডের ভেতর খুন ধর্ষণ রাহাজানি ঠগ আবিচার অনাচার সবই পরে। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপটে কি দেখতে পাই? এমেরিকায় অর্থনৈতিক অনাচারকারির কোন ক্ষমা নাই, যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, এক-দুই শ বছর জেল জরিমানা অবশম্ভাবি।আবার বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার, পরস্ত্রী গমন কোন ধ্রাতব্য বিষয়ই নয়।আমাদের দেশ গুলিতে খুন হত্যা ধর্ষণ টাকার জোরে আথবা দলগত শক্তিতে সব ‘ফুলের মত পবিত্র’ হয়ে যায়। সৌদিতে গরিব আর বড়লোকদের বিচারের তফাতে উভয় শুভ-অশুভ শক্তির টানপোড়ন উল্লেখ্য।

ধর্মই হোল এর মাঝে সব চেয়ে প্রধান শত্রু।এজন্যে ধর্মচ্যুত করার প্রধানতম ব্রত সার্বক্ষনিক পৃথিবীতে বিরাজমান।কখনো ধর্মকে পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্বে, কখনো সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রনে,ধর্মান্ধদের সহযোগিতায় অন্য ধর্মের উপর রক্তপাতের মাধ্যমে,ধার্মিক নামে ‘বক ধার্মিক’ সৃষ্টি করে, ধর্মহীন করার বিকল্প প্রচেষ্টায়, ধর্মের অনুশাসন ভাঙার প্রবনাতার প্রনোদনা দিয়ে,অতি বিদ্বানদের ধর্ম/সৃষ্টিকর্তা অস্বীকার করার প্রবনতার মাঝে,সবই এর অংশ বিশেষ।

‘পোশাক’ বৈরী আবহাওয়া ও লজ্জাস্থান সমূহ আচ্ছাদনের নিমিত্তে পরিধেয়।যুগ যুগ ধরে ধর্মীয় এই ধারনার পরিবর্তন করে মানুষের মনে ‘পোশাকের প্রয়োজনীয়তা সোন্দর্য্য বর্ধনের জন্য’  শুধু এইটুক প্রতিস্থাপন করেই শুরু সর্বনাশের যাত্রার। শুধু সময়ের ব্যাপার পরবর্তী যুগ গুলিতে  “সোন্দর্য্য বর্ধনের জন্য”  পোশাককে ডিজাইনের আবরণে খাটো থেকে ন্যনোতে পৌঁছে দেয়ার জন্যে।

সবশেষে ধর্মহীন-নৈতিকতাহীন ভেঙে পরা বর্তমান সমাজ বেবস্থার দিকে তাকালে ষাট দশকের সুস্থ সুন্দর পরিবারের প্রতি হিংসা উদ্রেক করে।পাশ্চাত্যের দলে দলে যোগ ব্যায়াম, স্বঘোষিত ভগবানদের আশ্রমে ধন্না দেয়া ইঙ্গিত দেয়, কত সুখ ওদের সংসারে! যার অন্ধ অনুকরন করতে যেয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে আমাদের।

পরিশেষে এহেন পাপ কার্য্যে পরিচালনাকারী শয়তানকে পুন্য কাজের জন্যে সহায়তা প্রদান করা নিয়ে একটি কৌতুক দিয়ে শেষ করছি।

তখনকার সময়ে বম্বাই থেকে জাহাজে করে হজ্জে যেতে হত।এক লোক এদেশ থেকে যথা সময়ে বোম্বাই যেয়ে  হাতে সময় আছে বলে শাড়ির দোকানে গেলো স্ত্রীর জন্যে শাড়ি কিনতে। শয়তানের প্ররোচনায় ওখানে তার বিলম্ব হওয়াতে জাহাজ ছেড়ে গেল। ঘাটে বসে লোকটা করুন সুরে বিলাপ করতে লাগল। এমন সময় শশ্রু মণ্ডিত এক দরবেশ ওখানে উদয় হয়ে প্রশ্ন করলেন, কাঁদছিস কেন? লোকটা অনেক দূরে বিন্দু আকৃতির জাহাজটাকে দেখিয়ে ঘটনা খুলে বলল। দরবেশ তখন লোকটাকে কাঁধে তুলে জাহাজে পৌঁছে দিতে রাজি হল।এক নিমিষেই লোকটা পৌঁছে গেল জাহাজে।কৃতজ্ঞতায় নুইয়ে লোকটা দরবেশের পরিচয় জানতে চেয়ে শুনল যে সে হল খোদ ইবলিশ শয়তান। কিন্তু ওকে পুন্য কাজে সহায়তা দিল এই জন্যে যে আল্লাহ তালা নাকি ওর কান্না দেখে প্রতিটি চোখের পানির ফোটার জন্যে একেকটি হজ্জের পুন্য লিখে দিচ্ছিল, এটা ইবলিশের পছন্দ হয়নি।ও ভাবলো লোকটাকে হজ্জে যেতে দিলে তো মাত্র একটা হজ্জের পুন্য হবে,তাই নিজ কাঁধে করে এই জাহাজে পৌঁছে দেয়া।    

৫,৫৩০ বার দেখা হয়েছে

৮৪ টি মন্তব্য : “শয়তান বনাম মানুষ।”

    • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

      শিশির, কিছুদিন থেকে 'বক ধার্মিক' অথবা ধর্মে ভেজাল মিশ্রনকারিদের লিখনে মনে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম । একজন মানুষ ধর্ম ভীরু হবে কি হবে না, এটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। কিন্তু যে কোন ধর্মে কেও ভেজাল মিশ্রন করুক, এটা অভপ্রেত নয়।
      যেমন ধর, তোমার গরুর মাংস বেচার যেমন অধিকার আছে, শূকরের মাংশ বেচার ও সমান অধিকার আছে, কিন্তু শূকরের মাংশ কে গরুর মাংশ বলে বেচতে যাওয়াই হোল অপরাধ এবং এখানেই আমার প্রতিবাদ।


      Smile n live, help let others do!

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        ভাইয়া
        শুকরের মাংশ কি শুকরের মাংশ বলেই কোন মুসলিম বিক্রি করতে পারবে?
        উদাহরণ্টা কেমন হয়ে গেলো না!


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
      • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

        ভাই আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। এইরকম ব্যাপার প্রতারনার শামিল এবং মিথ্যুক, প্রতারক ও ওয়াদা ভংগকারী মুনাফিক (ভন্ড) হিসেবে ইসলামে নিন্দিত।

        একশ্রেনীর মানুষ আছে যারা যখন যা পায় তাকেই তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং সুবিধাভোগ করে যায় এবং টিকে থাকে। আমার অপছন্দ এবং প্রতিবাদ এইরকম নীতির বিরূদ্ধে। অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, তেলাপোকা অদ্যবধি টিকিয়া রহিয়াছে। তথাপি টিকিয়া থাকার নামই স্বার্থকতা নহে।

        আবার দেখেন কিছু মানুষ আছে যারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, মতবাদ, ক্রোধ, হিংসা, বিদ্বেষ প্রভৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিজ্ঞান, ধর্ম, রাজনীতি প্রভৃতির আশ্রয় নেয়। এসকল কিছুই আমাদের সমাজ-সংসার ও রাষ্ট্রের অনিষ্ট সাধন করছে। একবার এক যুদ্ধে আলী (রাঃ) একজন প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার পর যখন হত্যা করতে উদ্ধত হলেন তখন সে উনার মুখে থুথু মারলেন। এতে আলী (রাঃ) এর প্রচন্ড রাগ হল, কিন্তু উনি তাকে না হত্যা করে ছেড়ে দিলেন। এতে প্রতিপক্ষ আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেল এবং জিজ্ঞেস করলো ব্যাপার কি? আলী (রাঃ) জবাব দিলেন, তোমার থুথু আমার মধ্যে যে ক্রোধের সৃষ্টি করেছে তা আমার ব্যক্তিগত। আমি চাইনা তুমি আমার ব্যক্তিগত রোষানলে পড়ো। আমার রাগ ও ঘৃনা তো শুধুমাত্র আমার রবের পছন্দ এবং অপছন্দের আজ্ঞাধীন। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দের সাথে আমি আমার ব্যক্তিগত আক্রোশকে অংশীদার করতে চাইনা বলেই তোমাকে আমি হত্যা করলাম না। এগুলো শুনে প্রতিপক্ষ ইসলাম গ্রহন করলো। যাক, এই উদাহরন এজন্য দিলাম যে, ব্যক্তিগত স্বার্থ, ক্রোধ, হিংসা, লালসা প্রভৃতি চরিতার্থ করতে ইসলামের ব্যবহার আল্লাহ তাআলা অনুমোদনও করেন না আর গ্রহনও করবেন না আর এটা চরম নিন্দনীয়ও বটে। তাই এইসকল ভন্ড, প্রতারকদের আমাদের পরিহার করা উচিত এবং সবাইকে তাদের সম্পর্কে সচেতন করাও প্রয়োজন।

        আর বস তথ্য দেয়ার স্বার্থে, আপনার উদাহরনের সাথে দ্বিমত পোষন উদ্দেশ্য নয়- শুকরের মাংস বিক্রি করাও মুসলিমদের জন্য হারাম। নিচের লিংকে আরো বিস্তারিত পাবেন।
        http://islamqa.info/en/ref/40651

        জবাব দিন
  1. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    আজিজ ভাই - ধন্যবাদ আপনার এই লেখাটির জন্য। আংগিকটা একটু ভিন্ন। প্যাগানদের জানালা দিয়ে বর্তমান সময়কে দেখাতে চেয়েছেন।

    সাধারণত আমি একমতের থেকে ভিন্নমতের ক্ষেত্রটি নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করি। এই লেখাটায় আপনার পয়েন্টটি আমার চোখে লেগেছে তা উল্লেখ করছি।

    এমেরিকায় অর্থনৈতিক অনাচারকারির কোন ক্ষমা নাই, যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, এক-দুই শ বছর জেল জরিমানা অবশম্ভাবি।আবার বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার, পরস্ত্রী গমন কোন ধ্রাতব্য বিষয়ই নয়।

    এটা ঠিক আমেরিকায় বিয়ে ভাংগার একটা অন্যতম কারণ কিন্তু চিটিং। কিন্তু সামাজিকভাবে চিটিংকে কিন্তু ভাল চোখে দেখা হয়না। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের ইমপীচমেন্ট অন্যতম একটা কারণ কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ পেলে রাজনীতিবিদ কিম্বা যে কোন ক্ষমতাশালীর ক্যারিয়ারে সাথে সাথে বারটা বাজে। এখানে উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে আইএমএফের প্রেসিডেন্ট এই একই কারণে বরখাস্ত হলেন। আর্নল্ড সোয়াজনিগার তার রেস্পেক্ট হারিয়েছেন তার অবৈধ সন্তানের খবর প্রকাশের সাথে সাথে। আমেরিকায় দায়িত্বপূর্ণ কাজে থাকতে চাইলে এটা প্রমাণ করা জরুরী যে সে নৈতিকভাবে সৎ। নৈতিকতার পরীক্ষায় পাশ না করলে এখানে জনগনের বিশ্বস্ততা হারাতে হয়। ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম 'সুযোগ থাকা সত্বেও তুমি যদি তোমার প্রলোভনই জয় করতে না পার, তবে কি করে বড় কাজ করবে?' বরং আমাদের দেশেই এরকম কিছু নেই। তাই এরশাদের পক্ষে রাজনীতি করে যাওয়া সম্ভব হয়। আমার মতে দুর্বল রাষ্ট্র গুলোতে প্রভাব রাখে ধর্মীয় পাপ-পূণ্য বোধ আর সবল রাষ্ট্রগুলোতে প্রভাব রাখে দর্শন লদ্ধ ন্যায়-অন্যায় বোধ।

    তবে হ্যাঁ সব দেশেই উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্তের মধ্যে মূল্যবোধগুলো দুর্বল থাকে। মধ্যবিত্তরাই মূল্যবোধের ধারক এবং বাহক। আমার আশেপাশে আমেরিকান বাবা-মায়েদের দেখে আমার কখনও মনে হয়নি যে এই দেশে সম্পর্ক খুব পলকা। তবে এখানে অন্য অনেক সূচক আছে উল্লেখ করার জন্য। এদের দেশে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে স্বাভাবিক ভাবে দেখে। এতে এদের টিনেজ প্রেগনেন্সির সংখ্যা আশংকজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আশা করি এই বিষয়টা নিয়ে পরে বিস্তারিত লিখব। আমেরিকা নিয়ে লেখা যায় কারণ এর সব তথ্য উন্মুক্ত। কিন্তু যেসব দেশের তথ্য উন্মুক্ত নয় সেসব দেখে কেমন মূল্যবোধের চর্চা নয় তা জানব কি করে? কিছুদিন আগে জানলাম ইন্দোনেশিয়া সৌদি আরবে আর মেইড সারভেন্ট পাঠাবে না কারণ বাড়ির গৃহকর্তা তাদের ধর্ষণ করে এবং গৃহকর্ত্রী শারিরীক অত্যাচার করে। এখন এটাও তো অবৈধ যৌনাচার। পশ্চিমে এটাই চিটিং। এই কারণে বিয়ে ভেংগে যায়। কিন্তু রক্ষণশীল সমাজে মেয়েরা এটা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। আবার এই মেয়েরাই যখন সাহস পাচ্ছে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করছে তখন তারা আর এসব মেনে নিচ্ছে না। এখন পূব কিম্বা মুসলিম দেশগুলোতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার অনেক।

    গুহাযুগে যে নিয়মে সমাজ চলতো, সভ্যযুগে আর সে নিয়মে খাটেনি। তখন ধর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল। এখনও আছে। হয়তোবা ধর্ম আমাদের জিনের মধ্যে ঢুকে গেছে। কিন্তু এই কম্পিউটার যুগে স্বর্গ-নরকের ভয় দেখিয়ে শিক্ষিত মানুষকে অতোটা বশ করা যাবে বলে মনে হয়না। যেসব ধর্ম সময়ের সাথে সাথে আধুনিক হয়েছে সেসব গোষ্ঠির মানুষদের উন্নতিও হয়েছে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  2. আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)
    যেসব ধর্ম সময়ের সাথে সাথে আধুনিক হয়েছে সেসব গোষ্ঠির মানুষদের উন্নতিও হয়েছে।

    আপা, কোন সকল ধর্ম সময়ের সাথে সাথে আধুনিক হয়েছে একটু বলবেন কি?

    জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      মার্ফি'স ল'তে বলা হয় যে ফলটা গাছের সবচেয়ে নিচের ডালে ঝুলে, সে ফলটাই আগে ছেঁড়া হয়।
      সুতরাং নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হলো আরেকটু উঁচু ডালে চলে যাওয়া।

      আমরা কথায় কথায় বলি ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্রে আজকে মুসলিমদের এই দুর্দশা।মিডিয়া, অর্থনীতি, রাজনীতি - সব ওদের দখলে। এমনকি বাজারে ওরাই কোটি কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করছে। সেদিন একটা মুভি দেখলাম 'দ্য রিডার'। সেখানে একজন ইহুদি খুব গর্বের সাথে বলে উঠলো ,'আমাদের মধ্যে কোন অশিক্ষিত বা গরিব নেই।' তাহলে তো বলতে হয় ইহুদি-নাসারা আল্লাহর বিশেষ আশির্বাদপ্রাপ্ত। আর যাই হোক দুর্দশাগ্রস্তদের তো আর আশির্বাদপ্রাপ্ত বলা যায় না। অবশ্য এর উত্তরে আমাকে একজন মৌলানা বলেছিলেন যে ওরা এই দুনিয়ায় সব পাচ্ছে কিন্তু পরকালে পাবে না। কিন্তু নবীজি তো তার জীবন দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন এই দুনিয়াতেই সব পেতে হবে। উনি শুধু উনার মতবাদ প্রচার করেই ক্ষান্ত হননি। রীতিমতো ফাইট করে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। গাছের নীচু ডাল থেকে উঁচু ডালে উঠে গিয়েছিলেন। বাউলের বৈরাগ্য মুসলমানদের সাজে না।

      গাছের নিচু ডালে যারা ঝোলে তারাই প্রথমে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এই নীচু ডালে ঝোলা বা পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠি যতই অন্যকে দোষারোপ করুক না কেন বাস্তব সত্য হলো এই যে তার দুর্ভাগ্যের প্রথম কারণ তার অক্ষমতা, অনগ্রসরতা। ১৬০০-১৮০০ সালের মধ্যে ইউরোপীও সেটেলাররা কোন ভার্জিন আমেরিকায় বসতি স্থাপন করেনি। নেটিভ আমেরিকানদের রীতিমতো সাফ-সুতরো করে এই দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। সামাজ্যবাদী শক্তি তার দখলদারিত্ব কায়েম রাখবে - এ চিরন্তন সত্য সমালোচনা করে কি হবে? তার থেকে বরং কি করলে গাছের নীচু ডাল থেকে উঁচু ডালে যাওয়া যায় সে চিন্তায় সময় কাটালে আখেরে লাভ বই ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। খেলাফতের যুগে মুসলিমরা ছিল সামাজ্যবাদী। খালেদ বিন উমরদের মতো বীররা একটার পর একটা দেশ দখল করেছি্লেন। এক সময় অটোমান সামাজ্য প্রতিষ্ঠা পায়। মুসলমানদের কাছে তা গর্বের কিন্তু অন্যদের কাছে তা চুড়ান্ত সামাজ্যবাদী।

      ইহুদি-নাসারাদের লেখা বিভিন্ন বইয়ে কিন্তু দেখেছি যে মুসলমানদের যে বিশয়ে ক্রেডিট দেওয়ার তা কিন্তু তারা দিচ্ছে। যেমন ইউরোপে রেনেসার সুত্রপাত নিউ নলেজ থেকে। আর এই নিউ নলেজ স্পেনে পৌছে দিয়েছিল তৎকালীন মুসলিম স্কলাররা। মধ্য যুগে পুরো ইউরোপ যখন রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল তখন কিন্তু ইসলাম তার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করছিল। মজার ব্যাপার হলো তখন ইউরোপ ধর্মাচ্ছন্ন হয়ে তাকিয়ে ছিল স্বর্গের দিকে আর মুসলিমরা করছিল জ্ঞান চর্চা (তারা বাইজেন্টিন দখল করে সেখানকার বই আরবীতে অনুবাদ করেছিল)। ঠিক এখনকার উল্টো - তাই না? কেন এমনটা হলো কখনও ভেবে দেখেছ?

      টাইমস ম্যাগাজিন গত বছর একটা সংখ্যা বের করেছিল। সেখানে তারা ১০০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা লিখেছে যা মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা্য মুসলিমদের অবদানের কথা উল্লেখ করেছে। মুসলমানদের স্বর্ণযুগের সূচনা সম্পর্কে লেখা আছে যে খলিফা হারুন-অর-রশিদ তখন কোরানিক আয়াত থেকে মুসলিমদের এই বলে মোটিভেট করে যে জ্ঞানচর্চাকারী এবং বিশ্বাসী আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের। অথচ এই বর্তমান যুগে আমি বাচ্চাদের ইসলামিক বইয়ে (আমার বাচ্চাদের নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য রোববারদিন সানডে ইসলামি স্কুলে পাঠাই) দেখেছি যে সেখানে বলা হচ্ছে আল্লাহ আমাদের তৈরি করেছে শুধু তার ইবাদত করার জন্য। এখন একজন মডারেট মুসলিম এই ইবাদতকে তার সু্বিধার জন্য জ্ঞান চর্চা বা ভাল কাজ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করবে। কিন্তু লাদেনীয় মুসলিম তো তা করবে না। সে তখন শুধুই তোষামদকারী আর স্রষ্ঠা যেন তোষামদ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। ঠি্ক যেন আমাদের দেশের রাজনীতি।
      ইহুদি-নাসারাদের মধ্যযুগের অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায়এর মধ্যে দিয়ে এখন মুসলমানরা যাচ্ছে। ইহুদি নাসারা কিভাবে তাদের ধর্মকে ঘষে-মেজে নিয়েছে সেটা জানার জন্য স্রেফ 'ডাইরী অব এনা ফ্র্যংক' পড়লেই কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। এখন থেকে সত্তর বছর আগে একজন ইহুদি বালিকা যেরকম উদারনৈতিক আধুনিক পরিবারের মধ্যে দিয়ে বড় হচ্ছিল তা আজকের দিনে খুব কম মুসলিম বালিকার কপালেই জোটে।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
      • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

        শ্রদ্ধেয় আপা, আমি উদ্ধৃত করেছিলাম আপনার নিচের লাইনটি।

        যেসব ধর্ম সময়ের সাথে সাথে আধুনিক হয়েছে সেসব গোষ্ঠির মানুষদের উন্নতিও হয়েছে।

        আমার মনে হয় আপনার এই বাক্যটি মনের ভাবকে সম্পূর্ণ প্রকাশ করেনি। কারন আপনার প্রত্যুত্তর দেখে মনে হচ্ছে আপনি যেসকল ধর্মের মানুষ সময়ের সাথে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করে উৎকর্ষতা লাভ করেছে তাদেরকে নির্দেশ করতে চেয়েছেন। আপনার এই বাক্যটি কিন্তু তা নির্দেশ করে না। বাস্তবিকভাবে কোন ধর্মই তাদের দুই হাজার বছরের পুরানো নীতিসমূহকে পরিবর্তন করে নি। হ্যাঁ, সতীদাহ প্রথা, সহমরণ প্রভৃতি অমানবিক ব্যাপারসমূহ ততকালীন হিন্দু সমাজ সংস্কারকদের আন্দোলনের তোপে ব্রিটিশ সরকার আইন করে নিষিদ্ধ করে। ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের (বিশেষভাবে ধর্মের) কি কি আধুনিকায়ন হয়েছে? আমার উদ্ধৃত করার উদ্দেশ্য সেসব জানতে চাওয়া।

        তবে পরবর্তী লেখাসমূহের সূত্র ধরে-

        কিন্তু নবীজি তো তার জীবন দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন এই দুনিয়াতেই সব পেতে হবে। উনি শুধু উনার মতবাদ প্রচার করেই ক্ষান্ত হননি। রীতিমতো ফাইট করে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। গাছের নীচু ডাল থেকে উঁচু ডালে উঠে গিয়েছিলেন। বাউলের বৈরাগ্য মুসলমানদের সাজে না।

        উনার কি ছিল? রাজপ্রাসাদ? প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে পানাহার, ফুর্তি, ভোগবিলাসে মত্ত থাকা ইত্যাদি কি কোন ইতিহাসে পেয়েছেন? বরংচ উনার পরপর দুবেলা পেটপুরে না খাওয়ার কথা এসেছে। কি রেখে গেছেন উনি উনার উত্তরাধিকারীদের জন্য? উনি ফাইট করেই ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন কিন্তু আত্ম্ররক্ষার্থের ফাইট। উনার তলোয়ার কখনোই কারো উপর প্রথম আঘাত করেনি। মক্কা বিজয় হয়েছিল বিনা রক্তপাতেই, ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। গাছের নিচু ডাল থেকে উচু ডালে উঠে যাওয়া কথাটা দিয়ে কোন ব্যাপারটাকে উদ্দেশ্য করছেন, নির্দিষ্ট করবেন অনুগ্রহপূর্বক। ইসলাম বৈরাগ্যকে উৎসাহিত করে না, একমত।

        খেলাফতের যুগে মুসলিমরা ছিল সামাজ্যবাদী। খালেদ বিন উমরদের মতো বীররা একটার পর একটা দেশ দখল করেছি্লেন। এক সময় অটোমান সামাজ্য প্রতিষ্ঠা পায়। মুসলমানদের কাছে তা গর্বের কিন্তু অন্যদের কাছে তা চুড়ান্ত সামাজ্যবাদী।

        আমার কথা আপনার কাছে হয়তো হাস্যকর ঠেকবে, কিন্তু আপনি ইতিহাসকে নিবিড় পর্যবেক্ষন করলে দেখবেন যে, রোমান আর পার্সিয়ান সাম্রাজ্যে মানুষ যে দাসত্বের শৃংখলে বাধা ছিল, তা থেকে তাদের মুক্ত করতে গেলে সাম্রাজ্য দখল ব্যতীত সম্ভবপর ছিল না, তথাপি মুসলিমরা তাদের দেশে সম্পদের লোভে বা সাম্রাজ্যের লোভে আক্রমন করেনি এবং অতর্কিত আক্রমনও করেনি। বরংচ মানুষদের ঐসকল রাজা-রাজন্যবর্গ আর প্রভুদের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে এক স্রষ্টার দাস হিসাবে সুশৃংখল এবং ভারসাম্যপূর্ণ সামাজিক জীবন প্রদানের জন্য মুসলিমদের আহবান ছিল সবার প্রতি- রাজা থেকে শুরু করে প্রজাদের প্রতিও। যখন ঐসকল ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রভুত্ববাদী মর্যাদা হারানো এবং দীর্ঘ অত্যাচার অনাচারের সম্ভাব্য প্রতিশোধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করলো, তখন তারা এই আহবানে সাড়া না দিয়ে যুদ্ধের পথ বেছে নেয়ায় সাম্রাজ্য হারায় আর তা মুসলিমদের করায়ত্ত হয়। তথাপি মুসলিমরা সে সকল দেশকে শুষে তা দিয়ে তাদের দেশকে ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড বা পর্তুগালের মত উন্নত করেনি বরংচ সেই সকল দেশ এবং দেশের মানুষকেই ফিরিয়ে দিয়েছিল তাদের ছিনিয়ে নেয়া অধিকার।

        কিন্তু লাদেনীয় মুসলিম তো তা করবে না। সে তখন শুধুই তোষামদকারী আর স্রষ্ঠা যেন তোষামদ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না।

        যদি মানেন টুইন টাওয়ারে আক্রমন লাদেনীয় মুসলিমরাই করছিল, তাহলে কিন্তু তারাই বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে এত বড় (সমর্থনযোগ্য নয়) কান্ড ঘটিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার রূপককে মানতে পারলাম না।

        জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

          ভারতবর্ষের ইতিহাসটাও একটু বলো শিশির।
          ঘোরী, কুতুবউদ্দীন আইবেক, খিলজী এদের কথাও শুনি একটু।
          মুসলিম শাসক আর ইসলাম, মুসলিম বিজ্ঞানী আর ইসলাম --- এসবকে সমার্থক ভেবে আর কত, এই দুটি দলের সদস্যরা কতই যেন ইসলামের পরোয়া করতো! এখন এদের উপর ভর দিয়ে ইসলামকে মহিমা বাড়াতে হচ্ছে।

          জবাব দিন
          • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
            মুসলিম শাসক আর ইসলাম, মুসলিম বিজ্ঞানী আর ইসলাম — এসবকে সমার্থক ভেবে আর কত, এই দুটি দলের সদস্যরা কতই যেন ইসলামের পরোয়া করতো! এখন এদের উপর ভর দিয়ে ইসলামকে মহিমা বাড়াতে হচ্ছে।

            মনের কথা কইছেন বস। ভাবখান এমন কুরআন হাদীসের আলোকে মুসলিম বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান সাধনা করতো। অথচ কিনা ইবনে সিনারে তার জীবদ্দশাতেই মুরতাদ বলে অভিহিত করা হইছিলো।

            জবাব দিন
          • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

            @ নূপুর ভাই,

            মুসলিম শাসক আর ইসলাম, মুসলিম বিজ্ঞানী আর ইসলাম — এসবকে সমার্থক ভেবে আর কত, এই দুটি দলের সদস্যরা কতই যেন ইসলামের পরোয়া করতো! এখন এদের উপর ভর দিয়ে ইসলামকে মহিমা বাড়াতে হচ্ছে।

            আজিজ ভাইয়ের প্রত্যুত্তরে আমার লেখাগুলো পড়লে হয়তো আপনি এগুলো অন্তত আমার জবাবের উদ্দেশ্যে আর লিখতেন না। তারপরও বলছি, সেই সকল শাসকরা ইসলামকে পরোয়া করেনি বলেই আজ মুসলমানদের এই দুর্গতি। আর ইসলামের নীতি অনুযায়ী কোন মুসলমান বা আলেম বা বাদশাহ হলেও সেই ব্যক্তির কর্ম ইসলাম হিসাবে গন্য হয় না যদি না তা ইসলামের শিক্ষার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। অমুক শাসক বা বিজ্ঞানী অমুক কথা বলেছেন বা অমুক কাজ করেছেন, সে যতই অর্থ-ক্ষমতাবান, মহান আর জ্ঞানী-গুনীই হোন না কেন, ইসলামের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছুকেই ইসলাম তার নিজের বলে অনুমোদন করে না। তাই বাবর, আকবর দ্যা গ্রেট, কুতুবুদ্দিন আইবেক, শাহজাহান তাদের যত সু অথবা কুকীর্তিই করে থাকুক না কেন, তা যদি হয় ইসলামের অননুমোদিত তাহলে তাকে ইসলাম বলে অভিহিত করার কোন সুযোগ নেই। আর এসব নিয়ে ইসলামের গৌরবান্বিত বা মহিমান্বিত হওয়ারও কোন অবকাশ নেই আর ইসলাম তা করেও না। আমি খেলাফতের যুগে মুসলিমদের নিয়ে করা ওয়াহিদা আপার মন্তব্যের জবাবে যে কথাগুলো বলেছি তার সাথে ভারতবর্ষের ঐসকল শাসকদের নিয়ে আসা যথার্থ নয়।

            আর ভারতবর্ষের ইতিহাস আর কীইবা শুনতে চান ভাই??? রাজা লক্ষন সেন তো শুনেছিলাম ১৭জন অশ্বারোহীর ভয়েই প্রাসাদের পেছন দরজা দিয়ে পালিয়েছিলেন এবং বিনা রক্তক্ষয়েই খিলজী বাংলা অধিকার করেন। আর আপনার কথায় মনে হচ্ছে মুসলমানদের আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষ ছিল শান্তি আর সমৃদ্ধির এক প্রকৃষ্ট জনপদ। অথচ ইতিহাস ঘাটলেই দেখতে পাবেন যে গ্রিক, পার্সীয়ানদের আক্রমন আর নিজেদের আভ্যন্তরীন রাজ্য ও শাসন বিস্তারেই তাদের সময় পার হতো। বর্নপ্রথার মত নিকৃষ্টতম শ্রেনী বৈষম্যও কিন্তু ঐসময়েরই প্রামান্য চিত্র।

            তবে সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলাই ইসলামের চরিত্র। তাই মুসলমান হলেই তার কাজে কোন দোষ থাকবে না এমনটি ইসলাম বলেনা। সেজন্যই মুঘল সাম্রাজ্যের মানুষগুলো মুসলমান হলেও তাদের সব কাজ ইসলাম অনুমোদন করে এমন নয়। আর ভারতবর্ষে ইসলামের ভুমিকা জানতে নিচের লিংকটি ফলো করতে পারেন।
            http://www.somewhereinblog.net/blog/jamesbondbd/28950322

            জবাব দিন
            • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

              তোর লিঙ্কটা পড়ে আসলাম।
              অন্য ধর্মের লোকজন ইস্লামকে কতো ভালো বলেছেন তাই বলা হয়েছে ওইখানে।
              তো ইসলাম এতো ভালো তার তারা সেইটা বোঝার পরও মুসলমান হইলেন না কেনো এইটা বুঝতে পারতেছিনা।


              এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

              জবাব দিন
              • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                শুধুমাত্র রাজীব ভাইয়ের জন্য,
                ভাই, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর চাচা আর আলী (রাঃ) এর পিতা আবু তালেব ও তো মুসলমান হইতে পারেন নাই। আবার সালমান ফারসি (রাঃ) এর মত পার্সীয়ান যুবরাজ যে কিনা দাস হিসাবে বহুবার বিক্রিত হয়েছেন, তিনি কিন্তু ঠিকই মুসলমান হইতে পারছিলেন। আপনি নিজেই নিজেরে নও নাস্তিক হিসেবে দাবী করতেছেন (কৌতুকচ্ছলে কিনা আপনিই ভালো জানেন), আবার কত কত মানুষ নও মুসলমান হইতেছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। এইগুলা বড়ই রহস্যময় ব্যাপার। মানুষের মনের ভিতর কি আছে কিভাবে বলি? 🙂 (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)

                জবাব দিন
                • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                  শিশির
                  তোর সাদিকের ঐ লেখা সম্পর্কে মন্তব্য কি? জানতে পারলে ভালো হতো।
                  আর আমি বর্তমানে গাফেল অবস্থায় আছি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে।
                  আল্লাহ নবী রাসূলে বিশ্বাস ফেরত আসলে আবার ইসলামের দাওাত দেওয়া শুরু করবো।
                  আবু তালিবের ঘটনায় কিছুটা হইলেও আশার আলো দেখতেছি।
                  আমার দুই মেয়ে রাবেয়া বস্রীর মতো কিছু একটা হইলেও হইতে পারে।
                  আর তারা আমারে ছাড়া বেহেশ্তে যাবে বলে মনে হয় না।
                  আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা নিয়া যা বললি তা যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য নয়।
                  কেনো বলি।
                  ইসলাম কিন্তু আলী, যায়েদ আর খাদিজারে নিয়াই মুহাম্মদ প্রচার করে বেড়ান নাই।
                  তার প্রয়োজন হয়েছে
                  আবু বকরের মতো ব্যাবসায়ী ও সমাজে প্রভাব রাখতে পারে এমন একজন।
                  হামযার মতো শক্তিশালী একজন।
                  উমরের মতো টেরর একজন।
                  উসমানের মতো ধনাড্য ব্যাবসায়ী।


                  এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                  জবাব দিন
                  • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                    @ রাজীব ভাই,
                    সাদিকের লেখা নিয়ে আর কিইবা বলবো???? ঐটা তো কপি পেস্ট। মৌলিক কিছু না। তয় সাদিককে একটা কথা বলতে পারি, সেইটা হচ্ছে-

                    ভালো ছাত্রের খাতা দেইখা টুকলিফাইং করলেই কিন্তু ভালো মার্কস পাওয়া যায় না। :no:

                    আর পোলাডার উপরে সবাই যেমনে ঝারছে, ওতে মনে হইছে যতটা না লেখা দায়ী তার চাইতে আক্রোশই বেশি কাজ করছে। লেখা সম্পর্কে বলতে গেলে ঐটাকে ব্লগ না বলে দেয়ালে সাঁটা রাজনৈতিক পোস্টার বলাই ভালো।

                    আর আপনি যতটা সহজে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে দিলেন শেষ প্যারাটায়, ব্যাপারগুলো ততটা সহজ ছিল না। হয়তো ইতিহাসের বর্ণনা আপনি আমি কয়েকদিনেই পড়ে শেষ করে ফেলতে পারবো, কিন্তু ইসলামের শুরুর দিকের ব্যাপারগুলো এত সহজ ছিল না। আবু বকর, হামজা, উমার, উসমান, খালিদ (রাঃ) তারা কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে মুহাম্মাদ (সাঃ) সাথে ঐক্যবদ্ধ হন নাই। তবে আল্লাহ তাআলা উনাকে তাদের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছিলেন তাতো সন্দেহাতীত। সেই ব্যাপারগুলো নিয়ে আর এখানে আলোচনা করতে চাইনা।

                    যাক, আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন। আর আপনার কমেন্টগুলো সবসময়ই ফানি এবং আমি সত্যি তা এনজয় করি। :))

                    জবাব দিন
                    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                      ভাই কেউ ভুলেও কপি পেষ্ট করবেন না।করিলে জেল জরিমানা হয়ে যেতে পারে। এমনি আপনার ক্যাডেট শীপ বাতিল হয়ে যেতে পারে। সাবধান………………………

                      এইটা সাদিকের নিকটতম কমেন্ট।
                      বুঝাতে কি পেরেছি?
                      সাদিক আমার ১০ বছরের জুনিওর। কিছুই বলতে চাই না।


                      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                  আরেকটা কথা শিশির আবু তালিব মুসলমান হইতে পারেন নাই এইটা বলা ঠিক হবে না। তিনি পর্যাপ্ত সুযোগ থাকার পরও মুসলমান হন নাই। এমনকি তার মৃত্যুর পূর্বে মুহাম্মদ তাকে মুসলমান বানাতে চান যাতে তিনি রাজী হননি। কারণ বাপ-দাদার ধর্ম তিনি ছাড়তে রাজী হননি।
                  ঠিক যেই কারণে আমরা বাপ-দাদার ধর্ম আকড়াইয়া আছি।


                  এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                  জবাব দিন
            • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

              শিশিরের সাথে একাত্মতা ও সহমত প্রকাশ করছি।

              রাজিব,
              ইসলামী মৌলবাদী রা যেমন ফ্যনাটিক, তোমাতেও এর ঠিক 'বিপরীত আগ্রাসী' একটা ভাব প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে না??
              ধর্ম তুমি না মান, ঘৃণা করো তাতে 'আমাদের' বা 'ধর্মের' কোন লাভ ক্ষতি হচ্ছে না। বিরুদ্ধ প্রচারণা বা বিদ্বেষ মুলক ভাব ছড়িয়ে নিজের ব্যক্তিত্বকেই খাটো করছো কেন ?? নানান পথ, নানা মতের সহিষ্ণু হতে শিখ।"মানুষ কে, 'মানুশ' হিসাবেই ভালবাস, ভালবাসা পাবে।
              ভেবে দেখো।

              পুনশ্চঃ বড় ভাই এর অধিকারেই লিখলাম।ভাল থেকো।


              Smile n live, help let others do!

              জবাব দিন
              • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                ভাই একটু বুঝাইয়া বলেন
                কোথায় কাকে খাটো করলাম?
                আমি সত্যি জানতে চাইছি।
                কোথাও মিথ্যা বলে থাকলে তাও জানতে চাচ্ছি ভাইয়া।


                এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                জবাব দিন
                • শরিফ (০৩-০৯)

                  রাজিব ভাই একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি ।কুরআন এর আয়াত যদি মানুষ সৃষ্টি হতো তাইলে তো মানুষ নিজের সুবিধা মতো সবকিছু সাজিয়ে নিত। তাইলে তো আর ৪০ দিন রোযা রাখার নিয়ম মানুষ বানাত না না খেয়ে থাকতে হবে বলে, কুরবানি, ফেতরা, দান-খয়রাত রাখত না সম্পদ কমে যাবে বলে , প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর পরিবর্তে এক অথবা দুই ওয়াক্ত নামাজ রাখত সময় সাশ্রয় করার জন্য ।এই ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?

                  জবাব দিন
                  • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                    শরিফ তুই কি বুঝতেছিস যে কোন দিকে কথাবার্তা টার্ন করাচ্ছিস?
                    আমি মুহাম্মদ, মুহাম্মদ বলতেছি তাতেই অনেকের খোদার আরশ কাইপা উঠতেছে। আমার মুখ দিয়া অপছন্দনীয় কথা শুনতে চাচ্ছিস কেনো?
                    তারপরও যদি উত্তর জানতে চাস তবে আবার আওয়াজ দিস। উত্তর বা আমার মতামত দিব।


                    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                    জবাব দিন
                    • শরিফ (০৩-০৯)
                      আমি মুহাম্মদ, মুহাম্মদ বলতেছি তাতেই অনেকের খোদার আরশ কাইপা উঠতেছে।

                      কিভাবে বুঝলেন ভাই? আমি তো ভাই প্রথমেই বলছি একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি । এই খানে সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণভাবে সবকিছু আলোচনা হচ্ছে । আপনিও আপনার কথা শান্তি পূর্ণ ভাবে দিতে পারেন ।

                    • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

                      আল- কোরআন, "সূরা ফোরকান"
                      25:61
                      Blessed is He who has placed in the sky great stars and placed therein a [burning] lamp and luminous moon.

                      25:62
                      And it is He who has made the night and the day in succession for whoever desires to remember or desires gratitude.

                      25:63
                      And the servants of the Most Merciful are those who walk upon the earth easily, and when the ignorant address them [harshly], "they say [words of] peace"... (সম্পাদিত)


                      Smile n live, help let others do!

        • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

          শিশির তুমি জানতে চেয়েছ অন্য ধর্মালম্বীরা কিভাবে তাদের ধর্মকে ঘষামাজা করেছে?
          এটা নিয়ে না হয় আমি একটা ব্লগ লিখি। তবে তাৎক্ষনিক উত্তরের ক্ষেত্রে বলব যে রাসীন ক্লাস থেকে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করছে যে তার টিচার বলেছে সে নাকি বড় হয়ে স্টাডি করে তার ইচ্ছা মতো ধর্ম পছন্দ করতে পারে। এবং হ্যাঁ এখানে এখন এই ট্রেন্ড চলছে। আমার একজন আমেরিকান মামি আছেন। ওনাদের ফ্রেন্ড সার্কেল (সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং খুবই সচ্ছল) ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করছেন কে কোনটা বেছে নেবেন সেজন্য। উনাদের সন্তানদেরও সে্রকম ইচ্ছা যে পঞ্ছাশোর্ধ বয়সে ধর্ম বেছে নেবে। এখানে মেক্সিকানরা খুব ধার্মিক। তারা আবার ওয়ার্কিং ক্লাসের মধ্যে পরে। আমার পাশের বাসায় এক পাকিস্তানী থাকে। শুনেছিলাম পাকিস্তানিরা নাকি খুব ধার্মিক। অথচ এই মহিলা কিছুটা অবাক হয়েই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি কেন রাসিনকে ইসলামি স্কুলে পাঠাচ্ছি।

          গান্ধিকে এখনও স্মরণ করা হয়। কিন্তু গান্ধির সমসাময়িক রাজপ্রাসাদে থাকা কয়জনের নাম তুমি বলতে পারবে? সুতরাং একজন ইনফ্লুয়েনসিয়াল মানেই বড়লোক হবে তা ভাবাটা কিছুটা অপরিপক্কের মতো শোনায়। হ্যাঁ বানানোর থেকেও ক্ষমতাবান হওয়াটা কঠিন। সবচেয়ে কঠিন মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করা। নবী এই কঠিন কাজটাতে সফল হয়েছিলেন।


          “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
          ― Mahatma Gandhi

          জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    শিশির,
    তোমার আগের মন্তব্যটা আসলেই খেয়াল করিনি।
    ভারতবর্ষের দিকে চোখ ফেরাতে বলা (যথার্থ হলোনা ঠিকই) এ কারণে যে এর ইতিহাসের সংগে নিজেকে/নিজেদের অবস্থানকে রিলেট করতে পারি। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে, শাসকের চরিত্র ধর্ম নির্বিশেষে একই।মোটেও বলতে চাইনি, ভারতবর্ষে মুসলমান শাসনের আগে অপার শান্তি বিরাজ করছিলো, প্রশ্নই আসেনা।
    তোমার ব্যাখ্যা প্রাঞ্জল হয়েছে। ইসলামের নানান ব্যাখ্যার মারপ্যাঁচে না গিয়েও বলতে পারি, নামে মুসলমান হলেই ইসলামের বাহক হয়ে যায় না কেউ।
    ইসলামের নীতি নিয়েই অনেক প্রশ্ন ছিলো। সেগুলো এখানে উত্থাপন করে আর তর্ক বাড়াবোনা। ধর্মীয় আলোচনার ভার সিসিবি নিতে পারেনা, আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
    তবে তোমার সংগে খোলাখুলি আলোচনা হতে পারে বলে মনে হয়েছে আমার। সামনাসামনি বা মেইলে সেটা চলতে পারে। তোমার সংগে মতের ঘোর অমিল হলেও (সেটা হবেই এমনটা মনে হচ্ছে আমার) সহনশীলতার অভাব দুদিক থেকেই হবেনা বলেও দৃঢ়বিশ্বাস। অনেক শুভকামনা।
    বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে দ্বিমত/ভিন্নমত চালু রেখো।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।