সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে? -২।

ব্যাপারটা শুরু অনেকটা fun থেকে, হালকা মেজাজের গল্প থেকে।বাবা-মা হজ্জ থেকে আসার পর সব ভাইবোন গোল হয়ে বসে গল্প শুন ছিলাম।অর্থাৎ “আম্মা গাঁধি” আর তাঁর শ্রদ্ধেও পিতাজান এই হজ্জ সফরে কি কি বোকামি করাতে আব্বার কি অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, তার ফিরিস্তি শুনছিলাম। আম্মা মৃদু প্রতিবাদের সাথে শুনছিলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ মৃদু মৃদু হাসছিলেন।

মা কোন এক ধর্মীয় বইতে নাকি পড়েছিলেন, হজ্জে স্বামীর টাকার চেয়ে নিজের টাকা অথবা ছেলের টাকায় গেলে সব থেকে বেশি ভাল। এজন্যেই আম্মা এতদিন আব্বার সাথে যেতে চাননি। শুনে বাবার কি হাসি ! চামড়ার বেল্টের পকেট থেকে শতি ডলারের অনেকগুলি নোট বেরকরে বেঁচে গেছে বলে দেখালেন।আমি গুণে দেখি ১৫০০ শ  এর উপরে।

বাহ দারুন হয়েছে  বিদেশে গেলে আমার লাগবে বলে যেই আমি নিতে গেলাম, সেই বাবা নিষেধ করলেন। আছে, থাক না। আমি অবাক হয়ে বললাম কেন, আপনার লাগবে ডলার গুলি? সোজাসুজি কিছু না বলে যা বললেন তার সারমর্ম হল, এতবার মক্কা মদিনা গেলেন, ইচ্ছা থাকলেও ‘বাগদাদ শরিফ’ তো যাওয়া হলনা। বড় পীর সাহেবের দরগাহ, যাওয়ার খুবই ইচ্ছা !

আমি আগামি হজ্জ মওসুমের অনেক আগে থেকেই ওঁর পাসপোর্ট নিয়ে ট্র্যাভেল এজেন্সি কে ইরাকের ভিসা করতে দিয়ে দিলাম।হজ্জ ও ইরাকের ভিসা হয়ে  যথা সময় পাসপোর্ট হাতে এলে নিয়ে গেলাম বাবার কাছে। টিকিট আর পাসপোর্ট মেলে ধরে  ফিরতি পথে বাগদাদের গন্তব্য দেখালাম। বাবাকে এত খুশি হতে আর মনে হয় কক্ষনই দেখিনি।চোখ দুটি ছল ছল হয়ে শুধু দাদার বাগদাদ শরীফ জিয়ারতের স্মৃতি গুলি আউরে গেলেন।

সেবার প্রথম ইরাক যুদ্ধের ঠিক আগের বছর। হজ্জের পর দুই মাস প্রায় অতিবাহিত হয়ে যায়, বাবা বাগদাদ শরিফ থেকে ফিরছেন না। ওখানকার জিলানী বংশের আউলাদ ‘ সৈয়দ ইউসুফ জিলানী ‘ সাহেব গদিনিসীন এবং তাঁর খাস খাদেম কাশেম সাহেব এক বাঙালি সন্তান, টেকনাফে বাড়ী।বাবাকে খুবি সমাদর করে জিলানী কমপ্লেক্সের গেস্ট হাউজে ফ্রিতে স্তান দিয়েছেন ।বাবা মহানন্দে আথেথিয়তার সুযোগ ও মহান সুফি সাধকের নৈকট্ট্য লাভে বর্তে আছেন।

বাবার মাঝে সব সময় ধর্মীয় রহস্য এবং এর উৎঘাটনের একটা মনোবৃত্তি কাজ করত।উনি তাহজুদ নামাজ আদায় করতে যেয়ে লক্ষ করেছেন, লম্বা লিক লিকে এক কালো লোক প্রতিদিন গভীর রাতে মাজার শরীফের চত্বরে প্রবেশ করেন। তার থলে ভরতি থাকে খাবারে উৎছিস্ঠ হাড়-গোড়। ওঁ আসলে কোথা থেকে অনেক বিড়াল ওঁর চারি পার্শে এসে জুটে। আর ওঁ বিড়াল গুলিকে তৃপ্তি মত হাড়-গোড় উৎছিস্ঠ খাওয়ান।

বাবা লোকটাকে সালাম দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পাত্তাই পায়নাই। In fact তাকানই নাই ওঁর দিকে।

নাছোড় বান্দা বাবা একদিন লোকটার পিছু নেয়। হাড় বিতরন শেষে লোকটি কোন দিকে না তাকিয়ে ফিরতি পথ ধরেন, বাবাও পিছু নেন। এ পথ সে পথ, এ গলি সে গলি করে ভোর রাতের দিকে শেষ মেষ পাহাড়ি রাস্তা ধরে কিছু দূর গিয়ে হঠাৎ উধাও হন, আনেক চেষ্টা করেও আর খোঁজ মিলেনি ওঁর । ব্যাপারটা কাশেম সাহেবকে প্রশ্ন করায়, উনি রেগে যেয়ে যা বলেন তা বিশ্বাস না করারও উপায় নাই, আবার সাধারন মানুষ হিশাবে হজম করাও দুরুহ ব্যাপার ।

সুরা আদ ধারিয়াতের  স্পষ্ট করেই জীন ও মানব জাতিকে উপাসনার উদ্দেশ্যে সৃষ্টির কথা সহজ ভাবেই বর্ণনা করেছেন। আয়াত নং ৫১:৫৬ ” And I did not create the Jinn and Mankind except to worship Me.”

ওদের খাদ্যও নাকি মানুষের উচ্ছিষ্ট হাড় গোড় , কয়লা ইত্যাদি ।কখনো কি আমাদের মত এত  অবিশ্বাসী মন, বিশ্বাস করতে চায় ?

৫৫:১৩ Then which of the Blessings of your Lord will you both Jinns and Men deny?

৫৫:১৫And He created the jinn from a smokeless flame of fire.

সৃষ্টি কর্তার আসিম আনুগ্রহ নিয়ে লিখতে যেয়ে ‘ধুম্র হীন আগুনের তৈয়ারী জীন জাতির রহস্য নিয়ে লিখে চলছি।অথচ আমাদের মূল বিষয় ছিল ঃ মক্কা মদিনা সফর, হজ্জে যাওয়া শুধুমাত্র তাঁর নিমন্ত্রণ প্রাপ্ত হলেই সম্ভব। এ প্রসঙ্গে একজন বেদ্য নাপিতের উপক্ষ্যান দিয়ে আজ শেষ করবো।

আমার বোনের বিয়ে সূত্রে আমার পূর্ব রাওজানে যাতায়াত ।ওখানে এই তরুন বৈদ্য নাপিত বাড়ী বাড়ি গিয়ে ক্ষৌড় কর্ম করে আসতেন।সেই বৈদ্য কে যদি আরবের মরুপ্রান্তরে প্রচুর শান সৈ্কতের সাথে একটা ‘মসজিদে নামাজ পড়াতে দেখেন, তাহলে কি ভাব্বেন?? বিত্তের পিছনে ছুটতে ছুটতে বৈদ্য নাপিত প্রথমে ধর্ম পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম  তত্ব নিয়ে পরাশুনা করেন। এর পরেই ধর্ম গুরু  ইমাম হিসাবে তাঁর ওই পবিত্র নগরীতেই আবার আত্মপ্রকাশ।

কি বিচিত্র ভাগ্য বিধাতা!

বল সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে?

২,৬২২ বার দেখা হয়েছে

৪৯ টি মন্তব্য : “সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে? -২।”

  1. শরিফ (০৩-০৯)

    ধন্যবাদ ভাইয়া এই সুন্দর সৃতিচারণ এর জন্য ।আপনার এই লেখার যত ভিতরে যাচ্ছিলাম ততোই লেখার পরবর্তী অংশের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছিল ।শেষ না করে উঠতে পারছিলাম না।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।ভাল থাকবেন।দোয়া করবেন । 🙂

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      Shishir keno jani khub hasi aslo tor montobbo pore. Kaj suru korechi sokal 11 tay. Ekhon raat sare 11. On the way home.
      Khub valo laglo tor tor montobbo pore. Polapaner roshbodh oshadharon.
      But still
      Fabiyaiye alla wa rabbikuma tukaj-jiban.
      Ajij bhaier lekha khub enjoy korchi.


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

        ভাই আপনি হাসলেন? আমি কিন্তু সিরিয়াসলিই মন্তব্যটা করছি। যাক, মন্তব্যটাতে যদি আপনি নির্মল আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমিও খুশী। তবে একটু সিরিয়াসলি চিন্তা করে দেখেন, বারাক ওবামা, প্রেসিডেন্ট হয়ে সে কন্টকাকীর্ন আসনেই থাকুক আর পুষ্পশয্যাতেই থাকুক, তার অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ অস্বীকার করার ক্ষমতা থাকার কথা না। তার জীবনী কিন্তু সে কথাই বলে। (সম্পাদিত)

        জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      মুহাম্মদ
      তুই কি সিরিয়াস?
      আসলেই কি কেউ নেই।
      আমি নিজেও ধন্দে আছি।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

      "মুহাম্মদ" তোমার মতামতের ব্যাপারে আমার কোনই বক্তব্য নেই। 'শুধু চোখে পানি এসে গেল, যে 'নামটা' তুমি ধারন করছ, সেটা দেখে'।কতই না বদ নসিব আমরা ! (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)


      Smile n live, help let others do!

      জবাব দিন
    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

      মুহাম্মদ, তোমাকে ধন্যবাদ সাহসিকতার পরিচয় দেয়ায়। তুমি নিঃসন্দেহে তাদের চাইতে উত্তম যারা মিন মিন করে কিন্তু মনের কথা প্রকাশের সাহস রাখে না। আর তাদের চাইতে উত্তম যারা একাধিক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী।

      তুমি নিশ্চয়ই বিজ্ঞান মানো। বিশ্বাসের কোন কথাই আমি তোমাকে বলবো না। কারন, বিশ্বাস মানেই কাউকে ভরসা করে, কারো উপর আস্থা রেখে তাকে মেনে নেয়া। তুমি নিশ্চয়ই জানো, বিজ্ঞানের থিওরিগুলো হাইপোথেসিসের (ধারনা/ মতবাদ) পরিসংখ্যানগত শতকরা ৯৫ ভাগ বিশুদ্ধতার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১০০ ভাগের উপর কিন্তু নয়। কেন নয়? কারন শতভাগ সম্ভব নয়। তার মানে কোন এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল ৯৫ বার সত্য হলে ৫ বার মিথ্যাও হয়।

      যাক সে কথা। বিজ্ঞান মানুষের আত্মা সম্পর্কে কি বলে? বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কি বলে? কিছু কি বলতে পারে?এখনও পারে না। হয়তোবা পারবে।
      তাই কি মানো? তার মানে কিন্তু বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করা। কিংবা তুমি কিছু বলতে পারো?

      যা হোক, তোমার কোন অবস্থান জানা ব্যতীত আর কিছু বলতে চাই না। হয়তো যা বললাম তার সাথেও তোমার অবস্থানের কোন মিল নেই। যা হোক, গুড লাক।

      জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)

        যে বিষয়ে পর্যবেক্ষণগত উপাত্ত নাই সে বিষয়কে বিজ্ঞান রিকগনাইজ করে না। আত্মা নিয়া তো মানুষই আগে সিদ্ধান্তে আসতে পারলো না। উপাত্ত তো দূরের কথা। সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারটাও তাই।

        আর উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় বলেই ৫ ভাগ জায়গা রাখা থাকে - নতুন উপাত্ত পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য না বলে। এই ৫ ভাগ এমন না যে প্রাপ্ত উপাত্ত নিয়ে সংশয় আছে এমন।

        জবাব দিন
        • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

          তার মানে আত্মা নিয়ে পর্যবেক্ষনগত কোন উপাত্ত নেই বলতে চাচ্ছিস? আসলেই কি তাই?

          আর মানুষ সিদ্ধান্তে আসতে না পারার মানে কি? এইটা বুঝার ক্ষমতা মানুষের নাই? যে জিনিস নিয়েই মানুষের বসবাস, সেইটা বুঝার ক্ষমতাই যদি মানুষের না থাকে তাইলে চিন্তা কর মানুষ কত অক্ষম। আর সেই বিজ্ঞান, (আমি সমস্ত বিশ্বব্রহ্মান্ডের চলমান প্রক্রিয়াকে বুঝাচ্ছি না) যা কিনা আমাদের জানা জগতের মানুষেরই গুপ্তধন বের করার মত, সেইটা তাইলে কতটা ক্ষমতাবান? হইতে পারে অনেক বেশী কিন্তু আমাদের জানার সীমাই কতটুকু? সেই ক্ষমতার জোরে সৃষ্টিকর্তার অনস্তিত্বকে প্রমান করার চেষ্টাটা কি নিতান্তই মূর্খতা নয়। যাক, যার যার কর্ম ও কর্মফল তার তার। (সম্পাদিত)

          জবাব দিন
          • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

            শিশিরের সাথে সহমত জানিয়ে এই প্রসঙ্গের এখানেই ইতি টানতে চাচ্ছি। "লা কুম দীনুকুম, অলিয়া দীন" বলে, যার মূল সুরঃ যার যার ধর্ম, তার তার কাছে। ধন্যবাদ।


            Smile n live, help let others do!

            জবাব দিন
          • আন্দালিব (৯৬-০২)

            @শিশির, সিদ্ধান্তে আসা মানে কনক্লুসিভ সংজ্ঞায় আসা। যারা আত্মা উল্লেখ করে, তারা সেটা ব্যাখ্যা করতে পারে না। এমনকি কোন কনক্রিট সংজ্ঞাও দিতে পারে না। উপাত্ত তো দূর কি বাত! এখানে উল্লেখ্য যে বৈজ্ঞানিক আলোচনায় আত্মা বলে কোন এনটিটি আলোচনা করা হয় না - এজন্যই।

            আত্মা বিষয়ে মনে হলো তোর কাছে উপাত্ত আছে। থাকলে জানতে মুঞ্চায়। 🙂

            @আজিজুল ভাই, শিশির তো কোন তথ্য না দিয়েই একটা মন্তব্য করেছে। সেখানে আলোচনার ইতি কেন টানা হবে? বিনীতভাবেই জানতে চাইছি।

            জবাব দিন
            • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

              @ আজিজ ভাই, গোস্তাকি মাফ করবেন। তাই আগে :frontroll: দিয়া নিলাম।

              @ আন্দালিব, আচ্ছা আমার প্রশ্ন তোর কাছে, তুই কি আলো দেখতে পারিস? বিজ্ঞান বলে আলো দেখা যায় না। আলোর প্রভাবে কোন কিছু দেখা যায়। আলো গায়ে পড়লে তাপ অনুভূত হয়। সেই আলো আসে মহাশূন্য হয়ে অথচ কি আশ্চর্য দেখ, মহাকাশ নিকষ কালো। আর যেই সূর্যের তাপে গা পুড়ে যেতে চায়, তা কিন্তু জ্বালিয়ে দিতে পারে সবকিছুই। অন্তত বিজ্ঞান বলে পৃথিবী যে দুরত্বে থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে তার চাইতে অল্প কিছু দূরত্ব কমবেশী হলেই পৃথিবীতে প্রানের কোন অস্তিত্ব থাকতো না। বিজ্ঞান আলোর দ্বিত্ব আচরন সম্পর্কে জেনেছে এবং এর গতিবেগ নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছে। আর আলোক ঔজ্জল্যের মাধ্যমে বিভিন্ন নক্ষত্রের, আমাদের সূয্যিমামাও আছে এর মধ্যে, বাহ্যিক ও আভন্তরীন তাপমাত্রা নির্ণয়ের মত অসাধ্য সাধন করেছে তথাপি হিসাবটা আপেক্ষিক, পরম নয়। তার মানে বিজ্ঞান আপেক্ষিক তুলনার মাধ্যমে নির্ণয় করাকে অনুমোদন দেয়। অর্থাৎ আপেক্ষিক এবং পরম দুই ধরনের ব্যাখ্যাই সম্ভব তবে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাগুলো আপেক্ষিকই।

              আত্মা বলে কোন এনটিটি তো নেই-ই। চোখ, নাক, মুখ, ডিএনএ, আরএনএ, প্রোটিন এইগুলোও কোন এনটিটি না। এনটিটি বলতে বিজ্ঞান যা বুঝায় তা হচ্ছে অনুধাবন যোগ্য কোন কিছুর নিজস্ব অস্তিত্ব। আমার দেয়া উদাহরনগুলো এই কারনে এনটিটির আওতায় নয় কেননা তাদের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই যদিও তারা অনুধাবনযোগ্য এবং কার্যক্ষম। তবে এইগুলো কোনকিছুই স্বাধীনভাবে কার্যসম্পাদন করতে এবং আলাদাভাবে টিকে থাকতে সক্ষম নয় বরং নির্ভরশীল। মোটকথা হচ্ছে যে কোন জীব, হোক ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, উদ্ভিদ, প্রানী প্রভৃতি এইগুলোকেই এনটিটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

              তেমনিভাবেই আত্মা যদিও দেখা, ছোঁয়া বা শোনা যায় না যেহেতু এটা বস্তুগত কোন কিছু নয়, তথাপি এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। দেহের অভ্যন্তরে নানাবিধ রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার সমন্বয়ে এবং বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত অংগ-প্রত্যংগের সাহায্যার্থে আমাদের দেহ সচল। মস্তিষ্ক সেই দেহের প্রধান কেন্দ্র। তবে হৃদস্পন্দন যা ছাড়া সবকিছুই বিকল, তার মূলে কি রয়েছে তা কিন্তু ভেবে দেখবার বিষয়। আর এটা যে আত্মার প্রভাবেই সচল তা বলাই বাহুল্য। কেননা, শারীরিক কোন অস্বাভাবিকত্ব না থাকা স্বত্তেও অনেকের মৃত্যু ঘটে হৃতযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। কি সেই শক্তি যা এই স্পন্দনকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখে? উত্তর হচ্ছে সেই শক্তি যাকে আত্মা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

              যদি তার ব্যাখ্যা প্রসংগে আসি তবে বলতেই হয় নিঃসন্দেহে আত্মা স্পেইস অ্যান্ড ম্যাটার এর সাথে সাদৃশ্য রাখে না তবে এনার্জির সাথে এইজন্য তুল্য কারন এটিই প্রানীদেহের ভাইটাল ফোর্স। তাই একে যেমন দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়, তেমনি একে ভৌতধর্মেও বিশেষায়িত করা সম্ভব নয়। যদি এনার্জির আদলে বৈশিষ্ট্যিকরণ করতে হয় তাহলেও একে বুঝা দুঃসাধ্য। কেননা তাপ, আলো, শব্দ, বিদ্যুৎ, চৌম্বকশক্তি কার সাথে এর মিল তা নির্নয় করা আদৌ সম্ভব হয়নি। এর কারন একটাই যে আত্মার স্যাম্পলিং করা সম্ভব নয়। তার মানে এই নয় যে, আত্মা বলতে কিছু নেই যদিও পর্যবেক্ষনগত উপাত্তের উপর নির্ভরশীল বিজ্ঞানের পক্ষে তার আলোচনা করা সম্ভব নয়। আলাদা অস্তিত্ব নেই সত্য তবে এর জন্যই প্রানীদেহ জীবন্ত।

              বায়োজেনেসিস আর এবায়োজেনেসিস নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বহুযুগ ধরে বিতর্ক হয়েছে এবং স্পনটেনিয়াস জেনারেশন (এবায়োজেনেসিস) এর স্বপক্ষে যদিও বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র হাইপোথেসিস-ই দিয়ে গেছেন সেখানে লুই পাস্তুর তার নানাবিধ নিরীক্ষন এবং উপাত্ত দিয়ে প্রমান করতে সক্ষম হোন যে, প্রান থেকেই প্রানের উৎপত্তি, স্বতঃস্ফুর্ত প্রানের উদ্ভব অসম্ভব। আর অসংখ্য গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে ভাইটাল এক ফোর্স যা জীবদেহে বিদ্যমান, তা ব্যতীত একটা সাধারন নিম্নমানের কোষও তৈরী করা সম্ভব নয়।

              এখন আসা যাক আত্মা প্রসংগে। যেহেতু আত্মা বিজ্ঞানের ধরা ছোঁয়ার বাইরে মানে পর্যবেক্ষনগত কোন উপাত্ত নেই, তাহলে এইটা নিয়ে কি কোন গবেষনা হয়নি? আসলে আত্মা তো আর মানুষ বা প্রানীদের মেরে সংগ্রহ করা যায় না। করা গেলে নিশ্চয়ই গবেষনালব্ধ কোন ব্যাখ্যাও পাওয়া যেত। যেহেতু সংগ্রহ করা যায় না, সুতরাং এইটার অস্তিত্বেরই দ্বন্দ্বে থাকে বস্তুবাদীরা যদিও বহুবিধ জিনিস তারা ধারনার উপর বিশ্বাস করে নেয় এবং সর্বদা তাদের মতবাদসমূহকেই বিজ্ঞান বলে প্রচার করতে চায় আর অন্য কিছুকে বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে ঘোষনা দেয়।

              আত্মা বা সোওল নিয়ে এক এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন ডানকান ম্যাকডুগাল যা সেইসকল বস্তুবাদীরা হয়তো গ্রাহ্যই করতে চায় না, অথচ তা ঠিকই কিছু উপাত্তের যোগান দেয়। তিনি মরনোন্মুখ কিছু রোগীকে নিয়ে একটা পরীক্ষা চালান এবং তা থেকে সিদ্ধান্তে আসেন যে, মানুষের মৃত্যুর পর যখন আত্মা দেহত্যাগ করে তখন হঠাৎ করেই তারা কিছুটা ভর হারায়। পরীক্ষনটি নিশ্চিতভাবেই মৃত্যুর সময় কাম্য নয়, তথাপি এর মাধ্যমে মানুষটিকে কোনরূপ কষ্ট দেয়া বা অমানবিক আচরণ করা হয়নি। অনুরূপ পরীক্ষন তিনি খরগোশ, ভেড়া এবং কুকুরের ক্ষেত্রেও করেন। নিচের লিংকটি অনুসরন করে আরো জানা সম্ভব।
              http://en.wikipedia.org/wiki/Duncan_MacDougall_(doctor)

              এই গবেষনা প্রবন্ধ ১৯০৭ সালে মার্চ মাসে Journal of the American Society for Psychical Research এবং American medicine জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই এক্সপেরিমেন্টের উপর ভিত্তি করে আমি কিছু বলতে চাই না। শুধুমাত্র আত্মা সম্পর্কিত বিজ্ঞান গবেষনার একটা উপাত্ত দিলাম। ভর হারানোর ব্যাপারটা আইনস্টাইনের E=mc2 দিয়ে অনেকেই হয়তো ব্যাখ্যা করে থাকবেন। এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নাই।

              তবে আত্মা সম্পর্কে কনক্রিট কিছু বলতে গেলে কুরআনের ভাষাতেই বলতে চাই আর এটি পরম প্রমান, আপেক্ষিক নয়।
              "তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলে দিন রূহ আমার পালনকর্তার আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। (বনী ইসরাইলঃ৮৫)" (সম্পাদিত)

              জবাব দিন
              • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

                আইনেস্টাইন বাল্য বয়সে তার শিক্ষককে যুক্তির নিরিখে দেখিয়েছিলেন যেঃ
                অন্ধকার বলে যেমন কিছুই নেই, আলোর অনুপস্থিতিকেই আমরা অন্ধকার বলি, তাপের অনুপস্থিতিকেই যেমন শৈত্য বলি, মানুষের মনে ঈশ্বরের (ভালোর) অনুপস্থিতিই তেমনি প্রকারান্তে দুষ্ট শয়তান !

                ‎"Dunkelheit existiert nicht, es ist nur das Fehlen von Licht" "Darkness does not exist, it is merely the absence of light,....
                So is EVIL,
                Absence of Goodness in human Heart is Evil".................!
                -Albert Einstein.
                পুনশ্চঃ শিশির, বিষয় ভিত্তিক জ্ঞানের গভীরতায় আমি মুগ্ধ।তোমায় জানাই অভিবাদন ।- আজিজ


                Smile n live, help let others do!

                জবাব দিন
                • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                  বস ধন্যবাদ। কমেন্টটা পোস্ট করার পর মনে হইছিল আপনার এই কথাগুলার কথা। কিন্তু আপনার আঙ্গুলে তার টাইপ হবে বলেই হয়তো আমি এডিট করার পরও এগুলো মিস করি। যাক আপনি সম্পূর্ণ করায় খুতখুতানিটা দূর হল। ভালো থাকবেন আর দোয়া করবেন আমাদের জন্য। (সম্পাদিত)

                  জবাব দিন
                  • আন্দালিব (৯৬-০২)

                    আজিজুল ভাই, এই গল্পটা ভুয়া। আইনস্টাইন নিজে একেশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন না। পড়ে দেখতে পারেন। আর এই গল্পটা বানানো হয়েছে আইনস্টাইনকে কেন্দ্র করে যাতে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীদের তর্কযুদ্ধে বেশ একহাত নেয়া যায়। আদতে যে লজিক বা বৈজ্ঞানিক সেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল। সমাধান পাবেন এখানে
                    ===
                    শিশির,
                    বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় কোরান টেনে এনে আসলে আমার বক্তব্যকেই প্রমাণ করলি যে আত্মা বলে কিছু নাই। মূলত আত্মা নিয়ে তুই যা বলেছিস, তা ভুল। বিশ্বজগতে এমন কোন কিছু নাই যা পদার্থও না, শক্তিও না, যার অবস্থানও নেই, অস্তিত্বও নেই আবার আছে। এমন স্ববিরোধী বস্তুর তো টিকে থাকাই ডিলেমাক্রান্ত।

                    ২১ গ্রামের পরীক্ষাটাও ভুল। ড. অগাস্টাস পি ক্লার্ক প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে এই হারানো ভর মূলত দেহ থেকে বাষ্পীভূত পানির ভর ছাড়া আর কিছুই না।

                    লুই পাস্তুরের মতবাদ বহু আগেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। জড় থেকে জীবের সৃষ্টি হয়েছে এটা এখন প্রমাণিত সত্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেই বের করেছেন সেটা।

                    আরো বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি এসেছে তোর কমেন্টে। একে একে বলছিঃ

                    তথাপি হিসাবটা আপেক্ষিক, পরম নয়। তার মানে বিজ্ঞান আপেক্ষিক তুলনার মাধ্যমে নির্ণয় করাকে অনুমোদন দেয়। অর্থাৎ আপেক্ষিক এবং পরম দুই ধরনের ব্যাখ্যাই সম্ভব তবে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাগুলো আপেক্ষিকই।

                    হিসাব আপেক্ষিক না। হিসাব চুলচেরা এবং সঠিক। কিন্তু হিসাবকৃত গতি আপেক্ষিক কারণ সূর্যসহ মহাবিশ্বের প্রতিটা কণা গতিশীল।

                    কেননা, শারীরিক কোন অস্বাভাবিকত্ব না থাকা স্বত্তেও অনেকের মৃত্যু ঘটে হৃতযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। কি সেই শক্তি যা এই স্পন্দনকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখে? উত্তর হচ্ছে সেই শক্তি যাকে আত্মা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

                    পুরাই অযৌক্তিক ও মনগড়া কথা। কোথায় পেয়েছিস, কোন বিজ্ঞানি বলেছেন যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হবার কোন কারণ পায় নি? এরকম সকল মৃত্যুতেই হৃদপিণ্ডের অসুখ পাওয়া গেছে। শারীরবৃত্তীয় কোন কারণ ছাড়া এমনি এমনি হৃদযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে এমন একটা ডাক্তারি কেস দেখা, যেখানে ডাক্তাররা প্রমাণ করেছেন যে হৃৎপিণ্ডে হাটু মুড়ে বসে থাকা আত্মা স্রেফ উঠে চলে গেছে!

                    আত্মা স্পেইস অ্যান্ড ম্যাটার এর সাথে সাদৃশ্য রাখে না তবে এনার্জির সাথে এইজন্য তুল্য কারন এটিই প্রানীদেহের ভাইটাল ফোর্স।

                    মোটেও না। কোন কিছুর সাথে সাদৃশ্য নাই অথচ তুল্য? মনে হচ্ছে ভাষাটা আমারই নতুন করে শেখা লাগবে! আর কে বলেছে যে প্রাণিদেহের ভাইটাল ফোর্স এটা? সূত্রে দেখা।

                    যে ভাইটাল এক ফোর্স যা জীবদেহে বিদ্যমান, তা ব্যতীত একটা সাধারন নিম্নমানের কোষও তৈরী করা সম্ভব নয়।

                    তুই সম্ভবত বর্তমান আবিষ্কারের খবর রাখিস না। কিছুদিন আগেই ক্রেইগ ভেন্টরের দল যুগান্তকারী কাজ করেছেন, যাতে কোন ভাইটাল ফোর্স লাগে নাই। খালি ব্যাক্টেরিয়া আর জিনোম। 🙂

                    সময় নষ্ট করে এতো বড়ো কমেন্ট করছি, কারণ এরকম মারাত্মক বিভ্রান্তি পড়ে আরো কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। সব তথ্যই বইয়ে, ইন্টারনেটে আছে। চেক করে দেখতে পারেন যে কেউ। আইনস্টাইন থেকে হকিং পর্যন্ত আসতে আসতে বিজ্ঞান মোটামুটি এমন জায়গায় যেতে পেরেছে যেখানে গিয়ে বিশ্বজগতের চলার পদ্ধতি নির্ধারণে অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার দরকার নেই। সত্য খুঁজতে কেবল একটি বইয়ের মধ্যে বুঁদ হয়ে না থেকে নতুন নতুন আবিষ্কার ও গবেষণার খবর নেয়া উচিত।

                    আরেকটা কথা বলি, যেখানে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে হুট করে কোরআনের আয়াত আনা একেবারেই অনুচিত। এখন যদি এই আয়াত নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি, তাহলে তো আবার অবমাননা ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগে যাবে। এই যে সামান্য জ্ঞান, সেটা কতোটা সামান্য। ঠিক কোন কোন বিষয় মানুষ জানতে পারবে আর কোনটা জানতে পারবে না? এরকম কোথায় বলা আছে? ভেরিফিকেশনের উপায় কি যে আমাদের আহৃত জ্ঞান সীমার ভিতরে আছে বা বাইরে? আর এই আয়াতেও তো কোন প্রমাণ দেখানো হয় নি, স্রেফ বলা হয়েছে। এই বিষয়টি একজন নন-মুসলিম কেন মেনে নিবেন? তার কি তবে আত্মা নেই? নাকি থাকলেও সেটা ভিন্ন কিছু?

                    আত্মা সম্বন্ধে কোরানের আগেও বহু বহু ধর্মগ্রন্থ আর মণীষী কথা বলেছেন। কেউ একটা প্রমাণও দেখাতে পারেন নি। যে বস্তু প্রমাণ-অযোগ্য, তাকে বৃথাই আইনস্টাইন টেনে প্রমাণ করা যাবে না। পিরিয়ড। (সম্পাদিত)

                    জবাব দিন
                    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                      @আন্দালিব

                      মূলত আত্মা নিয়ে তুই যা বলেছিস, তা ভুল। বিশ্বজগতে এমন কোন কিছু নাই যা পদার্থও না, শক্তিও না, যার অবস্থানও নেই, অস্তিত্বও নেই আবার আছে।

                      অবস্থান, অস্তিত্ব নেই কে বললো? বলা হইসে এগুলো স্বতন্ত্র কোন বস্তু নয়। জীবদেহেই এর অবস্থান।

                      ২১ গ্রামের পরীক্ষাটাও ভুল। ড. অগাস্টাস পি ক্লার্ক প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে এই হারানো ভর মূলত দেহ থেকে বাষ্পীভূত পানির ভর ছাড়া আর কিছুই না।

                      আমি পেপারটা না পড়ে কথা বলি নাই। ড. অগাস্টাস পি ক্লার্ককে কেন বলতে হবে, এইটা তো ডাঃ ডানকান ম্যাকডুগালই বলেছেন, যে প্রতি ঘন্টায় বাস্পীভূত পানির ভর এক আউন্স। কিন্তু মৃত্যুর সময় হঠাৎ অতি অল্প সময় ব্যবধানে(সেকেন্ড রেঞ্জ) তা কোন রোগীর ক্ষেত্রে হাফ আউন্স, কোন রোগীর ক্ষেত্রে একাধিক আউন্স কমে গিয়েছিল। উনি গড় করে বলেছেন ২১ গ্রাম।

                      হিসাব আপেক্ষিক না। হিসাব চুলচেরা এবং সঠিক। কিন্তু হিসাবকৃত গতি আপেক্ষিক কারণ সূর্যসহ মহাবিশ্বের প্রতিটা কণা গতিশীল।

                      কিসের হিসাব তাতো বললি না। কনটেক্সট ছাড়া বলাটা কেমন দেখায় না? আমি বলি নাই হিসাবে ভুল বা সঠিক হইছে। বলেছি আপেক্ষিক অর্থ্যাৎ একটার মাধ্যমে আরেকটাকে নির্নয় করা। সূর্যে নিশ্চয়ই কেউ থার্মোমিটার দিয়ে তাপ মেপে আসে নাই। আলোক ঔজ্জল্যের সাথে তাপমাত্রার ইক্যুয়েশন দিয়েই নির্নয় করেছে, তারপরও বলে প্রায়। আর তুই কিনা কস, চুলচেরা।

                      এরকম সকল মৃত্যুতেই হৃদপিণ্ডের অসুখ পাওয়া গেছে। শারীরবৃত্তীয় কোন কারণ ছাড়া এমনি এমনি হৃদযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে এমন একটা ডাক্তারি কেস দেখা, যেখানে ডাক্তাররা প্রমাণ করেছেন যে হৃৎপিণ্ডে হাটু মুড়ে বসে থাকা আত্মা স্রেফ উঠে চলে গেছে!

                      যাক তোর কাছে তাইলে যে কোন পরিসংখ্যানের জন্যই যাব। দোস্ত এইটা যেন কোন পরিসংখ্যান প্রকাশনায় পাওয়া গেছে? ঠিক আছে, তাইলে তুই আমারে বল, হৃদস্পন্দনের মূলে কি?

                      তুই সম্ভবত বর্তমান আবিষ্কারের খবর রাখিস না। কিছুদিন আগেই ক্রেইগ ভেন্টরের দল যুগান্তকারী কাজ করেছেন, যাতে কোন ভাইটাল ফোর্স লাগে নাই। খালি ব্যাক্টেরিয়া আর জিনোম।

                      দোস্ত তুই আমার চাইতে বেশী খবর রাখিস তো তাই এইখানে কি কাহিনী হইসে তা জানস না। নিজের ঢোল নিজে পেটানো ভালো, তাইলে ফাটার চান্স কম থাকে, তবে এইবার তুই নিজেই ফাটায়া দিছস। যাউকগা, তুই কি বায়োলজির সাথে সম্পর্ক রাখিস? আই মিন, ডাক্তার বা বায়োলজিস্ট? হইলে তোর লগে এই ব্যাপারে কথা কমু নাইলে না।

                      তুই যেইটা কইলি ভাইটাল ফোর্স ছাড়া তারা কি কি করছে? লিংকটা ফলো কর, তাইলে বুঝবি এইসব সস্তা কথায় নাচলে নাস্তিকদেরও ইজ্জতের উপর রেলগাড়ি তুইলা দেওয়া হয়। তবে বায়োলজি না পইড়া থাকলে অবশ্য তোর এইটা শোনাও উলুবনে মুক্তা ছড়ানো। তবে বলে রাখি আমরা বাংলাদেশেই যে সাইজের ডিএনএ সফলতার সাথে ক্লোন করতে সক্ষম হইসি ক্রেইগ আর তার দল তার চেয়ে মাত্র ১০০০ গুন বড় একটা ডিএনএ হোস্ট ব্যাকটেরিয়ায় এক্সপ্রেস করতে পারসে। খুব বেশি কিছু না।

                      লিংকটাতে রয়েল একাডেমী অব সাইন্সের প্রধান নোবেল বিজয়ী বায়োলজিস্ট পল নার্সের সাক্ষাতকার শুনুন সিনথেটিক সেল সম্পর্কে।

                      http://news.bbc.co.uk/today/hi/today/newsid_8696000/8696423.stm

                      সব তথ্যই বইয়ে, ইন্টারনেটে আছে। চেক করে দেখতে পারেন যে কেউ।

                      লিংকগুলা দিয়ে দিলেই পারতি।

                      আরো বললি যে লুই পাস্তুর এর তথ্য-প্রমান বহুত আগেই ভুল প্রমানিত হইসে। আমারে বেশি না মাত্র একটা ভুল প্রমানিত হওয়ার তথ্য দে। আরও বললি যে জড় থেকে ইতিমধ্যে জীবন সৃষ্টি করা হইসে। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এইগুলা রূপকথার গল্প।

                      আজিজ ভাইয়ের আইনস্টাইনের কাহিনীতে আইনস্টাইন মূখ্য না। আর ভাই এখানে সব আলোচনা করেনও নাই। মূখ্য বিষয় হলো বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। সবার পড়ার সুবিধার্থে নিচে দেয়া হলো।

                      It’s Too good An atheist professor of philosophy speaks to his class on the problem science has with God, The Almighty. He asks one of his new students to stand and….. Prof: So you believe in God? Student: Absolutely, sir. Prof: Is God good? Student: Sure. Prof: Is God all-powerful? Student: Yes.. ...Prof: My brother died of cancer even though he prayed to God to heal him. Most of us would attempt to help others who are ill. But God didn’t. How is this God good then? Hmm? (Student is silent.) Prof: You can’t answer, can you? Let’s start again, young fella. Is God good? Student: Yes. Prof: Is Satan good? Student: No. Prof: Where does Satan come from? Student: From….God… Prof: That’s right. Tell me son, is there evil in this world? Student: Yes. Prof: Evil is everywhere, isn’t it? And God did make everything. Correct? Student: Yes. Prof: So who created evil? (Student does not answer.) Prof: Is there sickness? Immorality? Hatred? Ugliness? All these terrible things exist in the world, don’t they? Student: Yes, sir. Prof: So, who created them? (Student has no answer.) Prof: Science says you have 5 senses you use to identify and observe the world around you. Tell me, son…Have you ever seen God? Student: No, sir. Prof: Tell us if you have ever heard your God? Student: No, sir. Prof: Have you ever felt your God, tasted your God, smelt your God? Have you ever had any sensory perception of God for that matter? Student: No, sir. I’m afraid I haven’t. Prof: Yet you still believe in Him? Student: Yes. Prof: According to empirical, testable, demonstrable protocol, science says your GOD doesn’t exist. What do you say to that, son? Student: Nothing. I only have my faith. Prof: Yes. Faith. And that is the problem science has. Student: Professor, is there such a thing as heat? Prof: Yes. Student: And is there such a thing as cold? Prof: Yes. Student: No sir. There isn’t. (The lecture the after becomes very quiet with this turn of events.) Student: Sir, you can have lots of heat, even more heat, superheat, mega heat, white heat, a little heat or no heat.. But we don’t have anything called cold. We can hit 458 degrees below zero which is no heat, but we can’t go any further after that. There is no such thing as cold. Cold is only a word we use to describe the absence of heat. We cannot measure cold. Heat is energy Cold is not the opposite of heat, sir, just the absence of it . (There is pin-drop silence in the lecture theatre.) Student: What about darkness, Professor? Is there such a thing as darkness? Prof: Yes. What is night if there isn’t darkness? Student : You’re wrong again, sir. Darkness is the absence of something. You can have low light, normal light, bright light, flashing light…..But if you have no light constantly, you have nothing and it’s called darkness, isn’t it? In reality, darkness isn’t. If it were you would be able to make darkness darker, wouldn’t you? Prof: So what is the point you are making, young man? Student: Sir, my point is your philosophical premise is flawed. Prof: Flawed? Can you explain how? Student: Sir, you are working on the premise of duality. You argue there is life and then there is death, a good God and a bad God. You are viewing the concept of God as something finite, something we can measure. Sir, science can’t even explain a thought.. It uses electricity and magnetism, but has never seen, much less fully understood either one.To view death as the opposite of life is to be ignorant of the fact that death cannot exist as a substantive thing. Death is not the opposite of life: just the absence of it. Now tell me, Professor.Do you teach your students that they evolved from a monkey? Prof: If you are referring to the natural evolutionary process, yes, of course, I do. Student: Have you ever observed evolution with your own eyes, sir? (The Professor shakes his head with a smile, beginning to realize where the argument is going.) Student: Since no one has ever observed the process of evolution at work and cannot even prove that this process is an on-going endeavor, are you not teaching your opinion, sir? Are you not a scientist but a preacher? (The class is in uproar.) Student: Is there anyone in the class who has ever seen the Professor’s brain? (The class breaks out into laughter.) Student : Is there anyone here who has ever heard the Professor’s brain, felt it, touched or smelt it? No one appears to have done so. So, according to the established rules of empirical, stable, demonstrable protocol, science says that you have no brain,sir. With all due respect, sir, how do we then trust your lectures, sir? (The room is silent. The professor stares at the student, his face unfathomable.) Prof: I guess you’ll have to take them on faith, son. Student: That is it sir… The link between man & god is FAITH (সম্পাদিত)

                    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

                      শিশির
                      আলো ঠাণ্ডার ব্যাপারে আন্দালিব আগেই একটা লিঙ্ক দিয়া দিছে।
                      আর বিজ্ঞান কিভাবে সীমাবদ্ধ?
                      উপরে যে কথাগুলো বললি তা তো বিজ্ঞানের ঘাড়েই ভর করে; নাকি?
                      বিজ্ঞান না থাকলে এখনও আমরা অলিম্পাস পাহাড়ে দৌড়াইতাম, কোরআন বাইবেল আর বেদ নিয়া বইসা থাকতাম। তোর বায়লজিতে আর যাওয়া লাগতো না।
                      আত্মা নিয়া এতো কিছু বলার কি আছে?
                      ব্যাটা ছাওয়ালের আত্মা থাকে বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে।
                      আর বেটি মাইনষের আত্মা থাকে ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে।
                      কে কইছে?
                      আমাগো ইস্লামিয়াতের স্যাররা। আর নিঃসন্দেহে নোবেলওয়ালাদের চাইতে কুরআন বিশেষজ্ঞরা বেশি জানেন। কোরআনে সব কিছু আছে। ডাইনোসর ও আছে।


                      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                      @ রাজীব ভাই, আপনি কি আমারে বিজ্ঞানবিরোধী ভাবতেছেন? আমি কিন্তু বিজ্ঞানেরই রেফারেন্স দিয়ে গেছি।

                      আত্মা নিয়া এতো কিছু বলার কি আছে?
                      ব্যাটা ছাওয়ালের আত্মা থাকে বাম স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে।
                      আর বেটি মাইনষের আত্মা থাকে ডান স্তনের দুই আঙ্গুল নিচে।
                      কে কইছে?
                      আমাগো ইস্লামিয়াতের স্যাররা।

                      আপনার এই কথা মানতে বলেন? তার মানে কিন্তু আপনার কথা বিশ্বাস করা। ঘুরে ফিরে সবাই কিন্তু বিশ্বাস করে। আপনি আমাকে বলেন এই পর্যন্ত যতগুলা বৈজ্ঞানিক গবেষনার ফলাফল জানেন আর মানেন তার কয়টা আপনি নিজে পড়ে দেখছেন? রেজাল্ট সঠিক বা ভুল তা বলছি না। কারো কথায় বা লেখায় আস্থা রেখেছেন, তাই না? আর এটাই বিশ্বাস।

                    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
                      হৃদস্পন্দনের মূলে কি?

                      Electric impulse. Physiology বইতে পাবে। মেডিকেলের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্ররা আরো ভালো বলতে পারবে।

                      সাক্ষাৎকারটি শুনলাম। তো? কাল যদি পল নার্স নিজেই কৃত্রিম প্রাণ আবিষ্কার করেছেন দাবী করেন, কথা ফিরিয়ে নেবে?
                      শেষের দীর্ঘ, অতি দীর্ঘ জোকটি পড়ে বেশ বিরক্তি লাগলো। এরকম অখাদ্য জোক ওয়াজেই ভালো মানায় হে।প্রফেসরের ব্রেন দেখার জন্য মাথা ফুটো করতে হবে কেন? একটা এক্স রে বা এম আর আই করলেই তো হয়! এই ব্রেন নিয়ে এই ছাত্র তো বেশিদিন যেতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা। উপরন্তু শিক্ষকটিও একটি ভোদাই। এই গল্পের পরবর্তী অংশ সচলায়তনে পড়েছিলাম, আশা করি কেউ লিংক দিয়ে দেবে, আমি খুঁজে পাচ্ছিনা।

                      সবশেষে: আজিজ ভাইয়ের এই পোস্টটি ছিলো জীবনকে তিনি কিভাবে দেখেন আর কি দর্শন পোষণ করেন এই জীবনকে এতটা দূর যাপন করে।
                      উনার ঈশ্বর উনার কাছে। উনি চাননি সেই ঈশ্বরকে আমার (বা সবার) ঈশ্বর হতেই হবে। এখানে আলোচনার মোড় ক্রমশঃ কেমন ঘুরে যাচ্ছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের তোড়ে নাভিশ্বাস অবস্থা। ক্ষান্ত দেয়া যায় না?

                    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                      @ নূপুর ভাই, হৃদস্পন্দনের কারন আর উৎস কি এক হলো?

                      Electric impulse এর কথা মনে হয় অনেকেই জানে। আপনি দয়া করে এই Electric impulse এর উৎসটা জানাবেন।

                      সাক্ষাতকারটি শোনার পর যদি নামক আরেকটি প্রশ্নের দ্বারা কি বাস্তবতাকেই এড়িয়ে গেলেন না? বিষয়টাযে নৈর্ব্যক্তিক তা আবার মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। পল নার্স বা আইনস্টাইন কেউ-ই এখানে মূখ্য নয়। আমি বিশেষভাবে পল নার্সের সাক্ষাতকার শোনানোর উদ্দেশ্যে লিংকটি দিই নাই, বরংচ ক্রেইগ ভেন্টারের কাজের স্বরূপ বুঝাতে দিয়েছি।

                    • আন্দালিব (৯৬-০২)

                      তাড়াহুড়ায় ইংরেজিতে বিতং গপ্ না দিয়ে আমার দেয়া লিংকে গেলে বাংলায় এই গপের জারিজুরি বুঝতে পারতি। যাকগে, তুই বুঝতে না চাস, অন্য কেউ বুঝে নেবে, ইচ্ছা থাকলে।

                      "মৃত্যুর সময় হঠাৎ অতি অল্প সময় ব্যবধানে(সেকেন্ড রেঞ্জ) তা কোন রোগীর ক্ষেত্রে হাফ আউন্স, কোন রোগীর ক্ষেত্রে একাধিক আউন্স কমে গিয়েছিল।" --- এটা ওই বাষ্পীভবনের কারণেই হয়েছিল। আরেকটা বিষয়ও জানিস নিশ্চয়ই যে ম্যাকডুগাল পরীক্ষা করার সময় সব উপাত্ত নেয় নাই। যেগুলা তার হাইপোথিসিসের সাথে যায়, সেগুলা রেখে বাকিগুলা বাদ দিয়েছিলেন। এরকম নিটপিক করা ডেটা দিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক সত্য প্রমাণ করা যায় না।

                      আমি তো চুনোপুঁটি, তুই একটা বৈজ্ঞানিক জার্নাল দেখা যেখানে আত্মা নিয়ে কারো থিসিস প্রকাশিত হয়েছে। হতে পারে আমি শুনি নাই, জানিও না, এনলাইটেন মি। 🙂

                      আরও বললি যে জড় থেকে ইতিমধ্যে জীবন সৃষ্টি করা হইসে।

                      এভাবে আমার মুখে কথা পুরে দেয়ার দরকার নেই। মাউস স্ক্রল করে উপরে গিয়ে আমার কথাটা আবারও চেক কর। জড় থেকে জীবের সৃষ্টি হয়েছে এটা অনেক বছর আগেই প্রমাণ হয়েছে। প্রাণসৃষ্টি তত্ত্ব-এর নাম শুনে থাকবি। 🙂

                      ও হ্যাঁ, লুই পাস্তুরের দাবির পরেই ঘটেছে প্রমাণটি। 🙂
                      ==

                      আগের কমেন্টে যে উপাত্ত চেয়েছি, সেগুলো নাই তাহলে। গুড। অন্তত বুঝা গেল যে হৃৎপিণ্ড একটি সোফা না, আত্মাও সেখানে বসে থাকে না। 🙂
                      ===

                      গড ও ফেইথ নিয়ে একটা মজার তথ্য দিয়ে রাখি। আজ থেকে মাত্র দুই হাজার বছর আগে, আলেকজান্দ্রিয়া শহরে সেরাফিম দেবতাকে সবাই মানতো। ইসলাম তখনো জন্মায় নাই (যাকে আজ তুই ও আরো অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করিস, যদিও ধ্রুব শব্দটির মাত্রা 'আপেক্ষিক')। সেই সেরাফিমকে অবমাননা করা হলে, হাসিঠাট্টা করা হলে মানুষ শিউরে উঠতো, তাদের বিশ্বাসে আঘাত লাগতো। এই হাসাহাসি করতো যীশু নামের এক ইহুদির অনুসারীরা। তারা বলতো, যীশু ইহুদির ঘরে জন্মেছে, এবং সে একটি ধর্মের কথা বলেছে যার ঈশ্বর নিরাকার, দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না। এই অনুসারীরা সেরাফিমের মূর্তিতে সবজি আর উচ্ছিষ্ট ছুঁড়ে মারতো। তাতে প্যাগানরা খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো।

                      এই সেরাফিম আর জিউস আর মেডুসারা আজ দুই হাজার বছর পরে গালগল্প হয়ে গেছে। আমি বা তুই কেউই থাকবো না, আজ থেকে দুই হাজার বছর পরে এখন যা বলছিস এগুলাও গালগল্প হয়ে যাবে। তখন যদি ইন্টারনেট আর বাংলাভাষা টিকে থাকে, তাহলে এই থ্রেড পড়ে কেউ কেউ টেবিল চাপড়ে হাসবে! =))
                      ===

                      তুই কোরানের আয়াত পড়ে আত্মা বুঝে নিতে পারলে ভাল। আত্মতৃপ্তিতে ঘুম ভাল হয়।

                      দয়া করে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আর 'কিসুই পারে না' অ্যাটিটিউড দেখাস নে। এই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছিস সেটাও বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমেই পেয়েছিস। সকল প্রশংসাই তাদের। যতোটা পথ এসেছে মানুষ, তার এক ইঞ্চিও কোন পবিত্র গ্রন্থ এগিয়ে দেয় নি। বরং কিছু মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা আর সমাজ-ধর্মের বাধা না মেনে এগিয়ে যাওয়াতেই সম্ভবপর হয়েছে। সেসময় তাদের আত্মাহীন ও শয়তানের দোসর তকমা দেয়া হচ্ছিল। এখনও হয়। আল্টিমেটলি, তাদের কাজটাই টিকে থাকে। (সম্পাদিত)

                    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
                      সকল প্রশংসাই তাদের। যতোটা পথ এসেছে মানুষ, তার এক ইঞ্চিও কোন পবিত্র গ্রন্থ এগিয়ে দেয় নি। বরং কিছু মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা আর সমাজ-ধর্মের বাধা না মেনে এগিয়ে যাওয়াতেই সম্ভবপর হয়েছে। সেসময় তাদের আত্মাহীন ও শয়তানের দোসর তকমা দেয়া হচ্ছিল। এখনও হয়। আল্টিমেটলি, তাদের কাজটাই টিকে থাকে।

                      এগ্রি না কইরা কোনো উপায় দেখতেছি না।
                      ব্যাপক
                      জটিল
                      ইত্যাদি


                      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

                    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)
                      এটা ওই বাষ্পীভবনের কারণেই হয়েছিল। আরেকটা বিষয়ও জানিস নিশ্চয়ই যে ম্যাকডুগাল পরীক্ষা করার সময় সব উপাত্ত নেয় নাই। যেগুলা তার হাইপোথিসিসের সাথে যায়, সেগুলা রেখে বাকিগুলা বাদ দিয়েছিলেন। এরকম নিটপিক করা ডেটা দিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক সত্য প্রমাণ করা যায় না।

                      ইন্টারপ্রিট কে করলো, তুই? আচ্ছা তুই-ই বল আর কোন উপাত্তের কথা যোগ করতে হবে।

                      লুই পাস্তুরের মতবাদ বহু আগেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। জড় থেকে জীবের সৃষ্টি হয়েছে এটা এখন প্রমাণিত সত্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেই বের করেছেন সেটা।

                      লুই পাস্তুর নিজে এক্সপেরিমেন্ট করে প্রমান করেছেন স্পন্টেনিয়াস জেনারেশন অসম্ভব অর্থ্যাৎ এবায়োজেনেসিস ভুয়া। আর তুই বলতেছিস তার মতবাদ মিথ্যা প্রমানিত হইসে। যেইসব উপাত্তের উপর ভিত্তি করে প্রানসৃষ্টির তত্ত্বকে (Origin of life- The hypothesis of Crystalline Ancestry ) রেফারেন্স করলি, দেখতেই পাচ্ছিস নামটাতে বলা হইছে হাইপোথেসিস, তাই আর বেশী কিছু এখন বলিস না। সকল তত্ত্ব, তথ্য, উপাত্তকে একসাথে করে মিলিয়ে একটা প্রান তৈরী হোক, সেই অপেক্ষায় থাকলাম, তখন পারলে কিছু বলিস।

                      এরকম সকল মৃত্যুতেই হৃদপিণ্ডের অসুখ পাওয়া গেছে।

                      আমিই তো আরো তোর পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললাম, তবে আইরনিক্যালি, মনে হয় বুঝতে পারস নাই।

                      আমি তো চুনোপুঁটি, তুই একটা বৈজ্ঞানিক জার্নাল দেখা যেখানে আত্মা নিয়ে কারো থিসিস প্রকাশিত হয়েছে। হতে পারে আমি শুনি নাই, জানিও না, এনলাইটেন মি।

                      আমি আগেই বলেছি মানুষ বা অন্য কোন প্রানী মেরে আত্মা স্যাম্পলিং করা সম্ভব নয় বলেই তার পর্যবেক্ষনগত উপাত্ত দেয়া বিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের এই অপারগতার জন্য তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করাই বরংচ অবৈজ্ঞানিক। আর আমি কিন্তু জার্নালের রেফারেন্সসহই ম্যাকডুগালের কথা বলেছি। আর আমি এইটা শুধুমাত্র তোর আকাংক্ষিত উপাত্ত দেয়ার জন্যই দিয়েছি, তার এক্সপেরিমেন্টের মেরিট বিচার করার জন্য নয়।

                      তখন যদি ইন্টারনেট আর বাংলাভাষা টিকে থাকে, তাহলে এই থ্রেড পড়ে কেউ কেউ টেবিল চাপড়ে হাসবে!

                      আমারও ধারনা তারা হাসবে। কেন হাসবে সেইটা সময়ই বলে দিবে।

                      দয়া করে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আর ‘কিসুই পারে না’ অ্যাটিটিউড দেখাস নে। এই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছিস সেটাও বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমেই পেয়েছিস। সকল প্রশংসাই তাদের। যতোটা পথ এসেছে মানুষ, তার এক ইঞ্চিও কোন পবিত্র গ্রন্থ এগিয়ে দেয় নি। বরং কিছু মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা আর সমাজ-ধর্মের বাধা না মেনে এগিয়ে যাওয়াতেই সম্ভবপর হয়েছে। সেসময় তাদের আত্মাহীন ও শয়তানের দোসর তকমা দেয়া হচ্ছিল। এখনও হয়। আল্টিমেটলি, তাদের কাজটাই টিকে থাকে।

                      চার্চ আর ইসলামকে এক করে ফেললে ভুল করবি। আজ বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি আর তাতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান আশা করি ইতিহাস পড়লে অনেকটাই পরিস্কার হবে। যতবার বাগদাদের উপর আক্রমন হয়েছে ততবারই তার লাইব্রেরীগুলোকেও ধ্বংস করা হয়েছে আর বাগদাদের লাইব্রেরীর বইগুলো পুড়িয়ে যখন শেষ করতে পারছিলো না, তখন তাদের ফেলে দেয়া হয়েছিল ইউফ্রেটিস আর টাইগ্রিসে, যার কালিতে নদীর পানিও কালো হয়ে গিয়েছিল।

                    • আন্দালিব (৯৬-০২)

                      বিজ্ঞানের এই অপারগতার জন্য তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করাই বরংচ অবৈজ্ঞানিক।

                      কোন উপাত্ত না পাইলে সেখানে ধর্মগ্রন্থের অন্ধবিশ্বাস এনে পূরণ করা সবচেয়ে বড়ো কূপমণ্ডুকতা। যে জিনিস পদার্থ না, শক্তি না, পদার্থের মতো, শক্তির মতো, সেরকম ভগিজগিকে বিজ্ঞানীরা মানে না। কারণ এরকম ভগিজগির পিছনে সময় নষ্ট করার কিছু নাই। যে ডাক্তার এটা করেছেন, তিনিও ভুয়াই প্রমাণিত হয়েছেন বলেই তার গবেষণা স্কুলে কলেজে পড়ানো হয় না। 🙂

                      ইসলাম আর চার্চ আলাদা করে মোটাদাগে বলি নি কারণ আদতে দুটাই বিজ্ঞানের সাথে একই আচরণ করেছে। ইসলামের সাম্রাজ্য যখন প্রসার পেয়েছে, তখন তা ইসলামিক পদ্ধতিতে পায় নি, সেই পুরাতন যুদ্ধ বিগ্রহ ক্রুসেড করেই তো, নাকি? তাই সেটাকে নিয়ে গর্ব করার কিছু নাই। আর তার চেয়েও বড়ো কথা, ইসলামিক যুগের বিজ্ঞানিদের মৌলিক কাজ নগন্য, তাদের মূল কৃতিত্ব ছিল গ্রিক ও রোমানদের আহৃত জ্ঞান সংকলনের। আর যতটুকু মৌলিকত্ব ছিলো, আলকেমিসহ অন্যান্য জ্ঞানের ধারা, সেগুলোও পরে ওই ইসলামি সাম্রাজ্যতেই নিগৃহীত হয়েছিল। কতো দার্শনিক আর বৈজ্ঞানিককে বিতাড়ন করা হয়েছিল, সেটাও ইতিহাসের পাতাতেই আছে। 🙂

                      ====

                      বুঝাই যাচ্ছে এটা ফিউটাইল ডিবেট। তুই আলটিমেটলি "বিশ্বাস" করিস যে আত্মা আছে। আমি সেটার বিপরীতে প্রমাণ দেখতে চাইলে বনী-ইসরাইলের আয়াত এনে ঝুলিয়ে দিবি। তাই আর কমেন্ট করছি না। পিস আউট। 🙂

                    • আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

                      ওয়েল আন্দালিব, আমি কিন্তু ধর্মকে এনে আত্মাকে প্রমান করার চেষ্টা করি নাই। তুই বলছিলি যারা আত্মার কথা বলে তারা তার কোন কনক্রিট সংজ্ঞাও দিতে পারে না। তাই আমি জাস্ট একটা সংজ্ঞা দিয়েছি কুরান থেকে।

                      যে জিনিস পদার্থ না, শক্তি না, পদার্থের মতো, শক্তির মতো, সেরকম ভগিজগিকে বিজ্ঞানীরা মানে না। কারণ এরকম ভগিজগির পিছনে সময় নষ্ট করার কিছু নাই। যে ডাক্তার এটা করেছেন, তিনিও ভুয়াই প্রমাণিত হয়েছেন বলেই তার গবেষণা স্কুলে কলেজে পড়ানো হয় না।

                      এই কথাটা কিন্তু বিজ্ঞানের সাথে যায় না। কারন যখন কোন মতবাদ আসে তখন তার জন্য কোন গবেষনা চেষ্টা তথ্য উপাত্ত প্রভৃতিকে তুই ভগিজগি, সময় নষ্ট বলতে পারিস, কিন্তু বিজ্ঞান বলে না। বরংচ এইটাই কূপমূন্ডুকতা। আর এতই যদি কনফিডেন্স তাহলে এক্সপেরিমেন্টটাকে রিপ্রডিউস করে দেখাক না যে তা আসলে ভূয়া। "স্বতঃস্ফুর্ত প্রান সৃষ্টির" বিশ্বাসে বিশ্বাসী (আবারো বলছি বিশ্বাসে বিশ্বাসী) বিজ্ঞানীদের গবেষনাও কিন্তু ভুল প্রমানিত হইসে।

                      লিংকটা ফলো করিস। লুই পাস্তুরের কাছে ধরা খাওয়ার পরে ১৯৫৩ সালে মিলার-ইউরে গবেষনা যা কিনা বিবর্তনবাদীদের চাংগা করে তুলেছিল তার অসম্ভাব্যতা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছ।

                      http://creation.com/why-the-miller-urey-research-argues-against-abiogenesis

                      ইসলামের সাম্রাজ্য যখন প্রসার পেয়েছে, তখন তা ইসলামিক পদ্ধতিতে পায় নি, সেই পুরাতন যুদ্ধ বিগ্রহ ক্রুসেড করেই তো, নাকি? তাই সেটাকে নিয়ে গর্ব করার কিছু নাই।

                      পুরোই অপ্রাসংগিক।

                      তুই আলটিমেটলি “বিশ্বাস” করিস যে আত্মা আছে। আমি সেটার বিপরীতে প্রমাণ দেখতে চাইলে বনী-ইসরাইলের আয়াত এনে ঝুলিয়ে দিবি।

                      তুইও কিন্তু বিশ্বাসের মধ্যেই আছিস। যতই প্রান সৃষ্টির রহস্যের বুলি আওড়াস না কেন, প্রান সৃষ্টির রহস্যের এক্সপেরিমেন্টগুলো উলটো প্রমান করে দিচ্ছে যে স্বতঃস্ফুর্ত প্রান সৃষ্টি অসম্ভব। তারপরও আশায় বুক বাধাঁ কিন্তু বিশ্বাসেরই নামান্তর।

                      ঠিক আছে, তোর সাথে সুর মিলিয়ে এখানেই বিতর্কের ইতি টানলাম।

      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        Shishir
        Didn't understand one thing 95% is true means rest 5% wrong!
        I'll not talk about science but logic.
        God created the world and whole thing.
        Now he is tired and playing snake - ladder with mad man.
        Because there's nothing to do at the moment only to wait for the last day.
        But science never stops.
        That's why they're working.
        And science is not on the height at the moment rather it's developing day by day.


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    Sometime we just think these is the goal of our life to prove there are god, gods or no god at all.
    I also want to know.
    Because i don't want to miss merilyn monro, nefartiti, sara, liz, hepbarn, bobita, shabnur in heaven if there is any. I want ash as well.
    But i need to keep it secret. Because my will get only me.


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • ব্লগ এডজুট্যান্ট

      প্রিয় সদস্য,
      সম্পূর্ণ বাংলা ব্লগ হওয়ায় সিসিবি'তে আমরা মন্তব্যেও সবসময় বাংলা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকি। অনেকে কর্মক্ষেত্রে কিংবা মোবাইল থেকে সিসিবিতে মন্তব্য করে থাকেন এবং সংগত কারণেই কিছু কিছু সময় সেটি বাংলায় করা যায়না। খুব বেশি জরুরী না হলে কিংবা লাইভ ব্লগিং(পিলখানার হত্যাযজ্ঞ কিংবা নির্বাচনের সময়ের মতো) এর পোস্ট না হলে আমরা ইংরেজিতে কিংবা রোমান হরফে মন্তব্য সবসময়ই নিরুৎসাহিত করে থাকি। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        প্রিয় অ্যাডজুটান্ট সাহেব আপনাকে ধন্যবাদ।
        আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন পর্যাপ্ত সু্যোগ- সুবিধা থাকলে আমি বাংলাতেই মন্তব্য করিয়া থাকি।
        কোনটা জরুরী আর কোনটা জরুরী না ইহা একটি মহা আপেক্ষিক বিষয়।
        বাংলা ব্লগে ইংরেজি মন্তব্য যে দৃষ্টিকটু ইহা অনুধাবন করার মতন নাদান আমি নই। সেই কারণে বিজাতীয় ভাষায় মন্তব্য করিলে তাহা যথাসাধ্য সংক্ষিপ্ত রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া থাকি।
        ইহা কি যুক্তিসঙ্গত যে মোবাইলে একটা লেখা পড়িয়া কোন মন্তব্য করিতে প্রাণ আইঢাই করিলে ১২ ঘন্টা পরে বাসায় আসিয়া কম্পিউটারে বাংলায় মন্তব্য করিবো!
        আমার গরম লাগিলো সকালে আর সন্ধ্যাকালে পানিতে চুবানো তাল পাখার বাতাস খাইলাম।
        আশা রাখি অ্যাডজুটান্ট সাহেব ও অন্যান্যরা আমার কথায় বিরক্ত হন নাই।
        যদি বিরক্ত করিয়া থাকি তবে দুঃখিত।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
        • ব্লগ এডজুট্যান্ট

          প্রিয় সদস্য,
          আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
          তবে কিছু জিনিস 'নাদান অনাদান' নির্বিশেষে সবাইকেই মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের আগের মন্তব্যটি করা।
          আপনি বোধহয় অবগত নাও থাকতে পারেন, সিসিবিতে ইংরেজিতে কিংবা রোমান হরফে বাংলিশে করা মন্তব্যগুলো আগে সদস্য অতিথি যেই করে থাকুননা কেন, সরাসরি স্প্যাম মন্তব্য হিসাবে অপ্রকাশিত থেকে যেতো। সম্পূর্ণ বাংলায় ব্লগ রাখার সর্বসম্মত ইচ্ছা থেকেই এই জিনিসটি প্রয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু আপনার দৃষ্টিতে মহা আপেক্ষিক 'জরুরী কিংবা জরুরী নয়' এরকম ব্যাপারগুলোতে সদস্যদের ত্বড়িত সাড়া দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আমরা এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা নমনীয়তার সিদ্ধান্ত আসি, যার ফলাফল রোমান হরফের মন্তব্যগুলো সরাসরি স্প্যাম এ না গিয়ে প্রকাশিত হয়ে যাওয়া। এতে করে মডারেটরদেরবতাদের সিসিবি ভ্রমণের বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে হয় অতিথিদের [সদস্যদের নয়] 'সকালে গরম লাগার পর সাথে সাথেই প্রবাহিত তরতাজা তাল পাখার ঠান্ডা বাতাস' বাংলিশ কিংবা ইংরেজি মন্তব্যগুলো যাচাই বাছাই করণে। ইংরেজি মন্তব্যের বিরুদ্ধে এধরণের কঠোরতা অবশ্যই সিসিবি এডমিনদের চাপিয়ে দেয়া কিছু নয়। সিসিবির সদস্যদেরই বারংবার আপত্তির মুখে এবং সম্পূর্ণ বাংলায় ব্লগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতেই বেশ অনেকদিন আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছিলো।
          আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।

          জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আন্দালিব (৯৬-০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।