CC Blog এ লিখতে ইচ্ছে করেনা !

ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এ লিখার বা লিখা দেয়ার ইচ্ছে হয় না। কারন এখানে লিখা দেয়ার প্রশাসনি ঝামেলা অনেক! আজ লিখা সাবমিট করলে দেখা যাবে কাল বা পরশু প্রকাশ হবে, এর মাঝ খানে ” PENDING/REVIEW” ইত্তাদি তে কাল ক্ষেপণ হচ্ছে ।

Virtual জগতের System গুলি আমার জানা নেই। ছেলে বয়সী এক ফৌজিয়ান কে একবার সমস্যা টা বলায় , ও বলল , এটা ঠিক করে দেবে। নিশ্চয়ই ও এই ব্লগ সাইট এর কোন বড় কেউকেটা গোছের কেও হবে ! কিন্তু কিছুই হল না। তাই ভাবছি , present time এর উপর বা  একদম ‘চলমান’ কোন গরম ইস্যু নিয়ে Article লিখা কোন ভাবেই এই ব্লগ এ যাবেনা। একটা উধাহরন দেই।  “Challenger” এর উপর যদি কিছু লিখতাম, তাহলে প্রকাশ হতে হতে সে তার ভয়েজ শেষ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতো , অতয়েব আমার লিখার বিষয় বস্তু বাসি হয়ে যেতো ।যেমন গত পরশু সম্ভবত “আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (সাত)” এই ব্লগ এ সাবমিট করেছি কোন মহোদয়ের Review এর জন্যে , এখনো হয়ে প্রকাশ পায়নি।

আমাদের এখন যে বয়স , এতে জাগতিক নতুন কিছু পাওয়ার নেই। কেও পিঠ চাপড়ে দিবে বা হাত তালি দিবে, সে গুঁড়ে ও বালি। শুধু নিছক খেয়ালে, সময় হাতে পেলে কলম , sorry- Lap-Topনিয়ে বসি। কিছু আনন্দ সকলের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্যে। সেখানে ও লাইন দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করেনা । তাই এই ব্লগে আর লিখতে ইচ্ছে করে না। Technology আমার জানা নেই, শুধু এতুকু বুঝি, গল্প/প্রবন্ধর নিচে মতামত যেমনি “প্রকাশ” বুতামটা চাপলেই প্রকাশিত হয়, “লিখার” ক্ষেত্রে তা হয় না কেন ?

এই কেনোর জবাব আমার কাছে নেই। হয়ত এই  WEB এর কর্ণধার দের কাছে আছে। জানতে পারলে সুখী হোতাম! সব শেষে সেই বাংলা প্রবাদ টা দিয়ে ইতি টান্ তে চাই। ” দুঃক্ষ বাটলে হালকা হয়, সুখ বাটলে হয় বহুগুণ “……।

শুভেচ্ছান্তে – আজিজ/এফ সি সি

১,৮৪১ বার দেখা হয়েছে

২৬ টি মন্তব্য : “CC Blog এ লিখতে ইচ্ছে করেনা !”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া আপনি এইভাবে খেপে গেলে হবে নাকি। আমরা আমরাই তো।
    লেখা প্রকাশের ব্যাপারে সাধারণত প্রথম দিকে সবাইকে সরাসরি লেখা পাবলিশ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ একদম প্রথমেই অনেকে অনেক কিছু বুঝতে পারে না তার কারণে অনেক অনাকাঙ্খিত সমস্যা তৈরি হয়। এই জন্য বেশ কিছুদিন মডারেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লেখা আসে। এখানে দেখুন। এই কারণে হয়ত আপনার লেখা দেরিতে পাবলিশ হতে পারে। আরেকবার শুনেছিলাম প্রথম পাতায় একই লেখকের একাধিক লেখা প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য অনেক সময় লেখা কিছুটা দেরি করে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। মডারেটর বা ব্লগ এডজুট্যান্ট ভাল বলতে পারবে। আমি পুরানো হিসেবে একটু জ্ঞান দেখালাম। আপনি সিক রিপোর্ট করলে ডাক্তার স্যার সঠিক কারণ বলতে পারবে। কারণ আপনার লেখা পেন্ডিং এ থাকার আর কোন কারণ আমি অন্তত দেখছি না।
    প্লিজ ক্ষেপে গিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন না। আপনার লেখার জন্য অনেকেই অপেক্ষা করে।

    জবাব দিন
  2. নাজমুল (০২-০৮)

    আজিজ ভাই, আমি ব্যাপারটা হালকা বুঝাই বলতে পারি,
    ব্লগে যারা নতুন আসে তাদের জন্য এই পেন্ডিং ব্যাবস্থা। যারা ১০ টা বা তার অধিক(আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত না) তাদের কে লেখক পর্যায়ে ধরা হয়।
    তাদের জন্য আর এই পেডিং ব্যাবস্থা থাকেনা।
    আমি এই ব্লগে প্রায় ৩ বছর এর মত ব্লগিং করি, আমি এখনো লেখক হইনাই, আমার লেখা ব্লগ কিন্তু ৩৫ টার মত। কিন্তু আমি জানি, আমার লেখার মান ভালোনা। এখনো প্রচুর বানান ভুল থাকে।
    আমার এক ব্যাচমেট একটা ব্লগ দিয়েছিল, যেখানে তার কলেজের ম্যাডাম নিয়ে কিছু খারাপ কথা ছিল।
    এসব কারণেই নতুন ব্লগারদের পোষ্ট , রিভিউ করে পাবলিশ করা হয় 🙂

    জবাব দিন
  3. রেজা শাওন (০১-০৭)

    খুবই প্রতিবাদী লেখা আজিজ ভাই 😛 😛 😛 । কিন্তু আপনি লেখা বন্ধ কইরেন না। সমাধানতো অবশ্যই আছে।

    কিন্তু আপনার এই লেখা কিভাবে পাবলিশ হইলো? আগেরটা কেন হল না? বুঝলামনা।

    জবাব দিন
  4. সামিয়া (৯৯-০৫)

    আজিজুল ভাই, প্লিজ মন খারাপ করেন না। আসলে আমাদের ব্লগের সদস্য যেহেতু ক্যাডেট ছাড়া আর কেউ হতে পারে না, তাই প্রথম দিকে 'অতিথি' থাকাকালীন এই নিয়ম গুলো একটু মানতে হয়। বেশ কয়েকটা পোস্ট দেয়ার পর পুরো সদস্যপদ পেয়ে গেলে এই ঝামেলা গুলো আর থাকে না। এডমিনকে এখুনি রিকোয়েস্ট করছি আপনাকে পুরো সদস্যপদ দিয়ে দেয়ার জন্য। আসলে আমাদের ব্লগের এডমিনেরাও আমাদের মতই স্টুডেন্ট, কিংবা কর্মজীবি, সব কাজ সামলে তাদের আবার ব্লগকেও সামাল দিতে হয়। এজন্য হয়তো চট করে সব কিছু করে ওঠা পসিবল হয়ে ওঠেনা।

    আর এ ধরণের সমস্যাগুলোকে আমরা সিক রিপোর্টে কমেন্ট আকারে দিয়ে আসি, এডুরা তখন সেটা সমাধান করে।

    আপনার লেখাগুলো বরাবরই উপভোগ করি। আপনার এ সমস্যা দ্রুত কেটে যাক এবং আপনার ইচ্ছা ফিরে আসুক এই কামনা করছি। আশা করি আপনি নতুন উদ্যোমে আবার লেখা দিতে থাকবেন।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)
      গল্প/প্রবন্ধর নিচে মতামত যেমনি “প্রকাশ” বুতামটা চাপলেই প্রকাশিত হয়, “লিখার” ক্ষেত্রে তা হয় না কেন ?

      আর ভাইয়া, কমেন্ট যে কেউ করতে পারে। কিন্তু পোস্ট শুধু সদস্যরা করতে পারে। এজন্য কমেন্ট করলেই পাবলিশ হয়ে যায়, কিন্তু পোস্ট পাবলিশ হতে মডারেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

      জবাব দিন
    • আজিজুল (১৯৭২-১৯৭৮)

      সামিয়া,
      তোমাকে, নাজমুল ও কামরুল তপু কে ধন্যবাদ । (তুমি মেয়ে বলেই হয়তো তোমার কমেন্ট এর জবাবে সকলের টা লিখে পার পেতে চাচ্ছি।)

      আসলেই আমার মন অনেক খারাপ ছিল। ব্যবসা পাতি ভাল নেই, তাই অফিসে কোন কাজ ও নেই। "একটা মাছি ও নেই যে বসে বসে মারবো "। তোমার ব্লগ গুলি পড়লাম। অনেক সুন্দর লিখো। বিশেষ করে "মন ভাল হওয়ার ১০১ টি উপায়" বেশি ভাল লাগলো ।
      এক নম্বর এর জন্যে প্রয়োজনীয় বয়স নেই ,তাই হবেনা।(নেই মানে, প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি থাকায়, হবেনা।) শুধু দুই টা পয়েন্ট খুব মনে ধরল ঃ
      সারাক্ষণ কাজ করেন, সারাক্ষন সারাক্ষণ সারাক্ষণ…কিছু না পাইলে ঘর মুছা শুরু করেন
      ৬। সারাক্ষণ বন্ধু বান্ধবের লেজ ধরে থাকবেন, দেখবেন মন খারাপের টাইম নাই ...।
      ঘর মুছা যাবেনা , ছিঃ মানুষে কি বলবে? সাহেবের মাথার বল্টু ঝরে গেছে।
      বন্ধু দের লেজ ও অনেক মোটা হয়ে গেছে। কেও গাড়িতে তারকা খচিত পতাকা লাগায়, কেও আকাশ চুম্বী বাড়ী বানায়... আমি ভাই পরে আছি, আমার বাবার আস্তানাতে... (একটা পুরানো গান ছিল না?)
      যাক আমি রাগ করিনি, শুধু লিখেছি "Current affairs" থেকে কিছু লিখা যাবেনা , প্রকাশ হতে হতে "বাসি" হয়ে যাবে ।
      সকলকে ধন্যবাদ । তোমাদের অনেক সুন্দর লিখার মাঝে ও আমি লিখবো।মানে, লিখার চেষ্টা করবো । বেঁচে থাকবো তোমাদের ভালবাশায়। ইতি - আজিজ ভাই।


      Smile n live, help let others do!

      জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আজিজ ভাই,
    আমি কিন্তু আপনার সাথে ভিন্নমত।
    সময় এরা নেয় একটু, ঠিক বলেছেন; কিন্তু লেখাগুলো যাচাই করে প্রকাশ করলে খারাপ হয় না।
    যারা মডারেটররা হয়তো একটু ব্যাস্ত ছিল।
    আপনার লেখা কিন্তু অন্যত্র পড়ে নিয়েছিলাম।
    আপনার লেখা খুবই ভালো লাগছে ভাইয়া।
    চলে যাওয়ার নাম ও মুখে নিয়েন না।

    ধরেই নেওয়া যায় যারা প্যানেলে আছে তারা আমাদের অনেক জুনিওর, আর আপনার তো হাঁটুর বয়েসী।
    তাই যদি একটু ............
    আর কি বলবো
    ভালো থাকবেন।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    এডু/মডুর(এডজুটেন্ট/মডারেটর) কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও... 😛

    জোকস এপার্ট, আশা করি বাকিদের মন্তব্যে আসল ঘটনাটার ধারনা পেয়েছেন। ব্লগে নিয়মিতই আপনার লেখা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আজিজ ভাই, দেখছেন কি অবস্থা! আপনি খালি বলেছেন, সিসিবিতে লিখতে ইচ্ছা করে না তাতেই সবাই এডু/ মডুদের সাইজ করতে নেমে পড়েছে।

    আপনি লেখা চালিয়ে যান। এডু/ মডুদের আমরা দেখছি.............. B-) B-) B-)


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  8. ফায়েজ (১৯৯৫-২০০০)

    আজিজ ভাই, আমি আপনার পাশে আছি।

    POST Moderation এর দুইটা উপায় আছেঃ
    ১। প্রথমে মডারেট করে তারপর প্রকাশ করা - ফলাফল দেরী, অপেক্ষা ইত্যাদি।
    ২। প্রথমে প্রকাশ করে তারপর প্রয়োজন হলে মডারেট করা - ফলাফল মাঝে মাঝে কিছু বিরম্বনা , তাও অল্প সময়ের জন্য।

    বিশ্বের বড় বড় এবং জনপ্রিয় সব সাইট দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরন করে। আমাদেরও তা-ই করা উচিত। তাছাড়া, আমাদের একটা প্লাস পয়েন্ট আছে - এখানে সবাই ক্যাডেট। তাই উল্টাপাল্টা পোস্ট আসার সম্ভবাবনা কম। আর যদি আসেও, মোডারেটররা সহজেই পোস্ট ডিলিট করতে পারবে। এমনকি, প্রয়োজন হলে লেখক কে সাময়িক কিংবা স্থায়ী ভাবে ব্যানও করতে পারবে।

    এর সাথে যদি প্রতিটি পোস্ট রিপোর্ট বা ফ্ল্যাগ করার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এধরনের বিরম্বনা আরও সহজে এড়ানো যাবে।

    আশাকরি ব্যাপারটা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

    জবাব দিন
    • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

      মনে রাখা দরকার, সিসিবির মডারেশন কিন্তু স্থায়ী কোন ব্যবস্থা না, নতুন ব্লগারদের প্রাথমিক অবস্থার জন্য একটি ব্যবস্থা। রেডবুক অনুযায়ীঃ

      ১) অবদানকারীরা সরাসরি পোস্ট করতে পারবেন না। প্রথমে কিছুদিন তাদের পোস্ট মডারেশনের জন্য দিতে হবে। মডারেশন বলতে এখানে ভাষাগত বানান ভুল এবং ফরম্যাটিং সম্পর্কিত সম্পাদনা বোঝানো হয়েছে। মডারেশনের ক্ষেত্রে লেখকের মুল লেখায় ততক্ষণ পর্যন্ত হাত দেয়া হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তা’ উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে লেখা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে মডারেটররা লেখার বিষয়বস্তু সম্পাদনা করতে পারেন তা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে।

      ২) একজন অবদানকারী ব্লগ সংশ্লিষ্ট নিয়ম কানুন এবং ফরম্যাটিং এর ব্যাপারগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাকে লেখক করে নেয়া হবে। তখন তিনি নিজের পোস্ট সরাসরি প্রকাশ করতে পারবেন। এই অভ্যস্ততার মাপকাঠি হিসেবে নূন্যতম দশটি ব্লগ লেখাকে আমরা প্রমাণ হিসেবে ধরে নিচ্ছি। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর কম বা বেশিও হতে পারে।


      আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
      আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

      জবাব দিন
  9. আমি এই ব্লগটার কথা আজকেই জানতে পারলাম । আমি পড়তে পছন্দ করি, আর লেখাগুলো ও দুর্দান্ত । আজিজ ভাই এর লেখা পরে খুব ই ভালো লাগলো । আরো অনেক লেখা আপনার কাছ থেকে আশা করছি ।

    রাসেল

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।