মূষিক-কথন

(আমার বন্ধু লুজ আমাদের সব গোপন খবর সিসিবিতে ফাঁস করে দিচ্ছে। এইটা ফাঁস করার আগেই লিখে ফেলাই… )
আমাদের ব্যাচের কলেজ গেমস প্রিফেক্ট ছিল জকি। তার মত পিকুলিয়ার এবং গাইন্ধা সিজিপি মনে হয় না কোন কালে কোন কলেজে ছিল। তার বেডের তলে একটা বালতি ছিল। তার মধ্যে সে তার যাবতীয় ময়লা ও গাইন্ধা কাপড় রাখত(ইনক্লুডিং আন্ডি’স)।এবং প্রতি টার্মে সর্বোচ্চ ১ বার সে অইগুলা ধুতে দিত। তো এর ফলে অই বালতি আর্থ্রোপোডা, এনিলিডা, প্রোটোজোয়া, প্রভৃতি পর্বের প্রাণীর অভয়ারন্যে পরিনত হয়। বালতিটা বের করলেই সেটা থেকে নানা বর্ন ও গোত্রের প্রাণী বের হয়ে আসত।(আঁমাঁদেঁর বাঁও স্যাঁর তাঁর এই প্রাঁণীঁপ্রীঁতিঁর ঘঁটঁনা জাঁনঁলে বঁড়ঁই খুঁশি হঁতেঁন।কিঁন্তু এইঁটা জাঁনাঁর আগেঁই স্যাঁরেঁর বঁদঁলি হঁয়ে যাঁয়। বঁড়ঁই আঁরঁফোঁস।)
তো এই ঘটনা তার সিজিপি হবার পূর্বের। তখনো সে এইরূপ একটা বালতি মেইন্টেইন করত। একদিন দুপুরে সে আমাদের টিজে যারপরনাই ব্র্যাক্ত হয়ে তার বালতি পরিষ্কারের পদক্ষেপ গ্রহন করল। বালতি যেই সে টেনে বের করতে যাবে, ওম্নি তার বেডের তল থেকে একটা মূষিক(মতান্তরে ইদুর) বের হয়ে দৌড় লাগালো। এটা দেখে সে মহোৎসাহে একপাটি পিটি সু নিয়ে মূষিকের পিছে দৌড় লাগালো। কিন্তু মূষিকের ডিফেন্সিভ টেকনিকের কাছে সে বার বার পরাস্ত হতে লাগল। এক পর্যায়ে মূষিকবাবাজি আলমারির তল থেকে বের হয়ে দরজার দিকে দিল দৌড়। তখনি হঠাৎ জকির হুঙ্কার,”এই মাদার…. থাম!!!“ বলাই বাহূল্য, মূষিকবাবাজি তার চৌদ্দগুষ্টির জীবনে এরূপ গালি শুনেনি। এই হুঙ্কার শুনে সে হ্যাং খেয়ে দাঁড়িয়ে গেল। জকি ভাল ক্রিকেটার ছিল। থামার সাথে সাথে সে নিখুত নিশানায় মূষিকবাবাজির দিকে পিটি শু ছুড়ে মারল। এবং, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, মূষিকবাবাজি চেপ্টা হয়ে গেল। এবং পুরা ঘটনা আমাদের সামনে এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল, আমরাও হ্যাং খেয়ে গেলাম।(অবশ্য সে আমাদের দিকে আর পিটি শু ছুড়ে মারে নি)।

এরপর একই টেকনিকে সে একটা পাখি মেরেছিল। কিন্তু সে ঘটনা আরেকদিন।

৩,৯০০ বার দেখা হয়েছে

৫১ টি মন্তব্য : “মূষিক-কথন”

  1. রকিব (০১-০৭)

    ইন্দুর মারা ঠিক হয় নাই; ইহা বড় উপকারী প্রাণী। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে দেখিয়াছি, ইন্দুর দেখিয়া নায়িকা ভীতসন্তস্ত্র হইয়া নায়ককে জড়াইয়া ধরে। :shy:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    :-/ ওর এই পরিচ্ছন্নতার বাতিক কি এখনো আছে রে ??
    ...ক্যাডেটের পক্ষে সবই সম্ভব !! 😮 ...ভাগ্যিস প্রিন্সিপাল'স ইন্সপেকশন বইলা একটা ব্যাপার ছিল...নইলে কেউ কেউ টার্মে একবারও কাপড় ধুইত কিনা সন্দেহ !!!

    জবাব দিন
  3. আছিব (২০০০-২০০৬)

    x-( অই ব্যাটা, নাম চেঞ্জ করলি,আকীকা খাওয়াইছস?নতুন রূপে আইসা তো পুরাই কোপায় দিলি রে.... :boss: .. :salute: ........জকিটারে পড়ানো দরকার ব্লগটা। =)) পি.টি. সু দিয়ে এইবার তোরে মারব :chup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।