মাত্র গতকাল ক্যাডেট কলেজ ব্লগের পুনর্মিলনী থেকে ফিরে এসে খুব খুশী মনে ব্লগে ঢুকলাম,সেখান থেকে ফেসবুকে ঢোকামাত্র হতবাক হয়ে গেলাম। বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলাম একটা বিপর্যস্ত, ন্যায়বিচারহীন,পঁচা গলা সমাজে ব্যক্তি বা সমষ্টি’র আনন্দ বা প্রাণ কোনটাই একদন্ডের জন্যও নিরাপদ নয়।
একদিকে সন্দেহ থেকে নির্বিচারে মানুষ হত্যা অপরদিকে মীরসরাইয়ের ৫০ জন স্কুল ছাত্রের বা তারেকের বা গত বছর নিহত প্রায় ৪,৫০০ মানুষের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র ৫ বছরের জেল। এরপরও নিরুদ্বেগ আমরা,নিষ্কর্ম সরকার! নৌ পরিবহনমন্ত্রী তবুও অর্থের বিনিময়ে ২৮,০০০ ড্রাইভারকে সরাসরি লাইসেন্স দেবার জন্য বিআরটিএ-কে চাপ প্রয়োগ করে যায়। কী ভীষণ অথর্বতায় ডুবে আছি আমরা, কী নির্মম ভাবে সত্য হয়ে ওঠে হুমায়ুন আজাদের আশংকা,একদিন সব নষ্টদের দখলে যাবে। তবুও আমরা নির্বিবাদে পালন করে যাব আমাদের যার যার সংসার ধর্ম,প্রতি মূহুর্তে নিজেদের মানব ধর্মকে উপেক্ষা করে! শুধু পাঁচ বছর পর পর বৃষ্টিতে ভিজে বা রোদে পুড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে ঠিক করে দিয়ে আসব আমাদের হালুয়া-রুটি কারা লুটে পুটে খাবে? কারা তীব্র বেগে নিরাপদ সড়কে ছুটে যাবে সাইরেন বাজিয়ে, অথচ আমরা হাজারে হাজারে হারাব আমাদের প্রিয়জন খাদ্যহীন,শিক্ষাহীন,চিকিৎসাহীন;হারাব পথে-প্রান্তরে,গহীন জলে,খোলা মাঠে,নর্দমায় বা নিরাপদ আইনী হেফাজতে! সবাইকে হারানো হলে নিজেরা বয়ে যাব নূন্যতম নিরাপত্তাহীন ক্ষনিকের এক জীবন,প্রিয়জন হারাবার ব্যথায় যা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় প্রতিনিয়ত!
বাংলাদেশের নিকষ কালো আঁধারে মোড়া আকাশে যে সামান্য কয়েকটা তারা জ্বলজ্বল করে জ্বলত,তার কয়েকটা আজ খসে গেল। আরো যাবে এভাবেই কারণে অকারণে । মুক্তির গান কী এক অসামান্য আরক ছিল! তারেক মাসুদের কথা ভেবে হু হু করে কান্না পাচ্ছে। হ্যাঁ, বলতে দ্বিধা নেই,ঝাপসা চোখে লিখছি।হাউ মাউ করে কাঁদতে পারলে খুব শান্তি পেতাম। আবার চোখ চোখ মুছতে মুছতে ভাবি এরপর কে? এরপর কী? এ দেশে আরেকটা তারেক মাসুদের জন্য কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের? (যারা “মুক্তির গান” এবং এর নির্মাণ সম্বন্ধে তারেকের সাক্ষাৎকারটি দেখেননি দয়া করে দেখে নেবেন,অন্যগুলির কথা না হয় নাই বা বললাম।)
হয়তো আমি, হয়তো আপনি। এভাবেই চলে যায়...কোন প্রতিক্রিয়াই ক্ষমতাসীনদের তুলো গোঁজা কানে পৌঁছায় না।
সামীউর@ ওদের কানে ইঁদুর বা পিঁপড়া ছেড়ে দিলে কেমন হয়? x-(
বিস্ফোরণ দরকার, ইঁদুর কেন হাতি দিয়াও হবে না।
অসহনীয়। এসব ঘটনা বসে বসে সহ্য করার দিনে ইতি টানা উচিৎ।
সিসিবি এর ইফতার শেষ করে বাসায় ফিরে আনন্দটা আর ধরে রাখতে পারিনি......দেখি তার আগেই সব শেষ... 🙁
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
হয়তো এভাবেই আমি আপনিও চলে যাবো। কিছুদিন আলোড়ন চলবে। তারপরে আড়াল হয়ে যাবে নতুন কোন আলোড়নকারী সংবাদে।
কিছু বলার নাই। বলতে পারতেসি না।
🙁
শেয়ার দিয়া দিলাম। কাজে ছিলাম। বাসায় আইসা জানতে পারলাম। চারদিকে শুধু
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
......
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আসিফ, জীবনে জ্ঞানমতে কখনও কারো ক্ষতি চাই নাই। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ক্ষোভে ফেটে পরে বলি, "এইবার একটা মন্ত্রী, এমপি বা এদের কোন স্বজন এভাবে না মরলে এদের টনক নড়বে না"।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.