ইচ্ছে ছিল

আমার রক্ত-মাংসে প্রতিনিয়ত মেশে নীল বিষ
তবু আমি কী নির্বিকার,অচঞ্চল!
আমার গহীন কোণে জমে বিধ্বংসী আধার
তবু আমার চারপাশে অসংখ্য ঝাড়বাতি,উজ্জ্বল!
কী ভীষণ প্রিয় ছিল বন্ধুর মুখ,ফেলে এসেছিলাম-
এতদিন পরে আজ ভুলেও গেছি
প্রতি রাতে হিসেব কষে কষে, কবে কী পেয়েছি!
কী ভীষণ প্রিয় আমার কন্যার মুখ,স্নেহেমোড়া
তবু আমি কামান্ধ ধর্ষক,
নিভৃত গৃহকোণে বা উজ্জ্বল দিবালোকে!
ভালবেসে মরতে পারি হাজারবার,বার বার
তবু আমার অন্ধকূপে অন্য রমণীর সুবাস,
আহা! কেই-বা জানে কার অন্তঃপুরে কার বসবাস!
আমার মায়ের অশ্রুকণা, এক একটি মুক্তদানা
তবু বার্ধক্যকে আমার মরণপণ ঘৃণা!
এ সবই আমার জানা,শুধু আমার জানতে যেন মানা-
প্রতিসন্ধ্যায় কার কন্যা বিকোল বারোয়াড়ি বাজারে!
প্রতিরাতে কার কাননে ফুটল লালসার ফুল!
প্রতিভোরে কার বাবা আসেনি ফিরে বাজারের থলে হাতে!
প্রতিদিন কত মায়ের অশ্রু মিলেমিশে একাকার সন্তানের রক্তে!
একে একে আর কতকিছু যাব ভুলে,কত কিছু যাব পিছু ফেলে
শুধু একবার নিজেরে পেলে, জানার বড় ইচ্ছে ছিল-
সবশেষে এসে অবশেষে কী পেলে!

১,৪২৩ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “ইচ্ছে ছিল”

  1. আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)
    আহা! কেই-বা জানে কার অন্তঃপুরে কার বসবাস!

    তথাস্তু।

    শুধু একবার নিজেরে পেলে, জানার বড় ইচ্ছে ছিল-
    সবশেষে এসে অবশেষে কী পেলে!

    ভাই, জীবনের সরণ শুন্য।

    life is like a loop whose start point and end point merge together.
    - কথাটা আমার। 😀

    এই লুপ কারো জন্য ফুলের মালা হতে আবার কারো জন্যে ফাঁস।

    যাক কবিতাটা ভালো লাগলো, তাই প্রিয়তে যোগ করলাম।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শিশির (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।