ছবি ব্লগঃ প্রবাসে, পথে-২

এর আগেঃ ছবি ব্লগঃ প্রবাসে, পথে-১

লাল পথচারী

লাল পথচারী


এই ছবিটা তোলা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে না। বাথ শহরে নামার পর পরই নতুন ক্যামেরায় এক্সপোজার, এপারচার সেটিং এইসব হাবিজাবি নিয়ে খেলাধুলা করতে গিয়ে রাস্তার দিকে তাক করে খামাখাই ছবি তুলছিলাম আর এলসিডি স্ক্রিনে দেখছিলাম কতটুকু অন্ধকার আসে ছবি…বা, আলো ঠিকমতন আসছে কিনা…। পরে ফিরে আসার পরে রুমে ল্যাপটপে ছবি নেয়ার সময় এই ছবিটা বের হয়ে গেল। এটার এডিটিং শিহাবের করা, এটা দিয়েই আমাকে দেখায় কিভাবে কি করা যায় ছবি নিয়ে। আমি শুধু পরে ফ্রেমটা পোলারয়েডে দিয়ে দেই। ছবির ইনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হাতে সিগারেট, কাঁধে ব্যাগ, গায়ে উজ্জ্বল লাল কোট। রাস্তা পার হওয়ার মুহূর্তে একটু থেমে দেখে নিলেন সামনে দিয়ে গাড়ি আসছে নাকি কোন। তারপর আবার হাঁটা শুরু করার মুহূর্তে অফচান্সে উঠে গেল ছবিটা।

জীবিকার জন্য গান

জীবিকার জন্য গান


বাথ Abbey এর ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে গান গাচ্ছিলেন ইনি। আসা যাওয়ার পথে কারো ইচ্ছে হলে সামনে রাখা বেহালায় দুচার পয়সা করে দিয়ে যাচ্ছিল। Abbey এর লম্বা বিল্ডিং এর সামনে প্রাণপনে গান গেয়ে অর্থ উপার্জনের মুহূর্তের চমৎকার একটা ছবি হয়ে গেল।

সেন্ট্রাল ফোকাস

সেন্ট্রাল ফোকাস


ব্যস্ত শহরে হেঁটে চলছে সবাই। শুধু এনামুল ভাই দাঁড়িয়ে, ক্যামেরা হাতে, একটা মনমত ছবি নেয়ার অপেক্ষায়। ছবিতে দেয়া ইফেক্টের নাম সেন্ট্রাল ফোকাস না হলেও ছবিটা দেখলেই কেন যেন সেন্ট্রাল ফোকাস কথাটা মাথায় চলে আসে!

স্মাইল অভ ইনোসেন্স

স্মাইল অভ ইনোসেন্স


আগেও দেখেছিলাম, সেদিনও দেখলাম…এই খেলা গুলো দেখানোর সময় সবসময় ভীড় থেকে একটা পিচ্চিকে বেছে নেয় পার্টিসিপেট করার জন্যে। এই পিচ্চিটা সাহস করে এগিয়ে গিয়েছিল। তাকে কাঁধে চাপিয়েই অনায়াসে একচাকার সাইকেলে উঠে গেল খেলোয়াড়! সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল পিচ্চির তাড়স্বরে চিৎকার। একপাক ঘুরে এসে তাকে নামিয়ে দেয়ার পরে অবশেষে স্বস্তি। এইছবিটা তোলা কাঁধে তুলে নেবার ঠিক পরমুহূর্তে। অসম্ভব মিষ্টি করে হাসি দেয়া মেয়েটা তখনো জানে না এক মিনিট পরেই ওকে কাঁধে নিয়েই একচাকার সাইকেলে উঠে যাবে হতভাগা……

ছবিগুলো ফেসবুকে ছিল। প্রায় কাছাকাছি সময়েই ব্লগটাও লেখা শুরু করি। কিন্তু অর্ধেক লেখার পরে অসমাপ্ত হয়ে পড়ে ছিল বহুদিন। আজকে বসে শেষ করে ফেললাম। এই কয়টাই আপাতত। আবার হয়তো পরে কোন এক সময় নতুন কোন ছবি নিয়ে উদয় হয়ে যাব। শুধু আপসোস, দেশে থাকার সময় গ্রামীনে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকার সময় চাকরির প্রথম বছরে নেটওয়ার্ক বেঞ্চমার্কিং এর টুল নিয়ে যখন চট্টগ্রাম আর সিলেট বিভাগের প্রতিটা জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছি, তখন আমার এই ক্যামেরাটা ছিল না।

২,১৮০ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “ছবি ব্লগঃ প্রবাসে, পথে-২”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    কেমন আছিস দোস্ত। বেশি করে ছবি তুল। ছবি দেওয়ার আগে এডুর একটা পোস্ট পড়ে আসতে পারিস। ছবি গুলা ক্লিক করলে বড় হচ্ছে না। আরেকটু ভাল করে দেখতে পারতাম তাহলে।

    জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    আশিক, লাল পথচারী তো মনে হয় বেশ লম্বা। আর পারমিশান না নিয়ে উনার ছবি তোলাটা কি ঠিক হইল? :grr: :grr:
    আফসোস, আমার কখনও নেটওয়ার্ক বেঞ্চমার্কিং করতে হয়নাই। 😀
    তোমার ১৫X জুমের ক্যামেরাটা ব্যবহার না করলে আমাকে দিয়ে দিতে পার। :-B :-B

    জবাব দিন
  3. এহসান (৮৯-৯৫)

    বাথ শহরটা আমার খুব পছন্দ হইসে। এইটা টিপিক্যাল ইংরেজ় শহর না। মেডিভিয়াল শহর। কেমন যেন নন ব্রিটিশ ইউরোপিয়ান শহর মনে হয়। এই শহরের বিল্ডিংগুলাও একটু ভিন্ন।

    ক্যামেরার কারসাজিগুলো ভালোই লাগলো।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জিহাদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।