তোমার জন্য

এক.

তোমার চোখে কখনো কখনো
দেখি অনুষ্ণ প্রাচীন এক আলো
কোন এক নক্ষত্রের নরম আগুন

হয়তো মৃত সেই নক্ষত্র আজ
অথচ কি অসম্ভব বাস্তব
তোমার চোখ … আর এই আলো

দুই.

এই যাপিত সংসারে
একফোঁটা … দুফোটা করে
উষ্ণতা হারায় আমাদের হৃদয়
শৈত্য টের পাই, চোখের তারায়
ঠোঁটে, অনিচ্ছুক আলিংগনে
হাত বাড়ালেই ছোয়া যায়
অথচ কি নিরুপায় দুরত্ব …  

(পুর্বে প্রকাশিত) 

১,০৯৭ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “তোমার জন্য”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ফোঁটায় ফোঁটায় উষ্ণতা হারায়
    আবার চাইলেই তোমাকে ছোঁয়া যায়
    নক্ষত্রের নরোম আগুন আজ মৃত তবু
    তোমার চোখের এই আলোয় এখনো জীবন জুবুথুবু

    তোমার লেখায় কেমন যেনো এক পরাবাস্তব ভাববাদীতা আর চামড়ার নীচে আগুনের মতোন বাস্তবতার মিশেল থাকে ।
    যে নো কো নো এ ক অ ন্য জ গ তে তা টে নে নি য়ে যা য় . . .

    জবাব দিন
    • অরূপ (৮১-৮৭)

      লুৎফুল ভাই, আপনার লেখার ভক্ত আমি সেই কলেজ জীবন থেকেই। শুধু লেখা না আঁকারও।
      আপনি যখন এত চমৎকার করে কিছু বলেন, খুবই গর্বিত অনুভব করি।
      অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂 🙂


      নিজে কানা পথ চেনে না
      পরকে ডাকে বার বার

      জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    একদা ভালবাসার মানুষ দুটি মৃত্যুর শীতলতা আর দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারী করে তোলে অথচ হাত বাড়ালেই হয়তো খুলে দেয়া যেতো ন্যাপথলিন মোড়া বদ্ধ কুঠুরি!

    অরূপ দাদা বরাবরের মতো :gulli: :gulli2:

    জবাব দিন
  3. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    অনুষ্ণ প্রাচীন এক আলো, নক্ষত্রের নরম আগুন, এসব তো শুধু খালি চোখে দেখা যায় না, কবি মন লাগে!
    "হাত বাড়ালেই ছোয়া যায়
    অথচ কি নিরুপায় দুরত্ব …" - এখানেও তাই। বোধের প্রয়োজন।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।