পাঁচটি জোক

ক্যাডেট হিসেবে আমি ইভল্ভ্ করেছি একটি তুলনামুলকভাবে অসংবেদনশীল রসবোধ। অন্যান্য লোকজন যেই জোকে হেসে কুঁটিকুঁটি আমি তাতে হাসার কিছু পাইনা, আবার আমি যেই জোকে হাসি অন্যান্য লোকজন তা বোঝেই না। আমার অবজার্ভেইশন হচ্ছে জাতি হিসেবে ইংরেজরা তুলনামুলকভাবে আমাদের চেয়ে বেশী রসবোধসম্পন্ন। আমার এই হাইপথেসিস টেস্ট করার লক্ষ্যে আমি আমাকে হাসিয়েছে এরকম পাঁচটি জোক দিলাম। যদি আপনাদের না হাসায় তবে দাবী করা যেতে পারে বিগত পাঁচ বছরে আমার হাইলি সফেস্টিকেইটেড অ্যাকোয়ার্ড ক্যাডেট হিউমার সেন্সের শোচনীয় অবনতি ঘটেছে। নোংরা নয় এমন জোক আমাকে হাসানোর ঘটনা বিরল। এই জোকগুলোর ভাষা সংযত রেখেছি, বাংলায় বললে যা অশ্লীল শোনায় তা ইংরেজীতে বলেছি। হ্যের উই গোও-

১।নৌবাহিনীর নতুন সৈনিক জাহাজে যোগ দিল। তার গাইড তাকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে। ডাইনিং হলের পেছনে একটি পিঁপে দেখে কৌতুহলী সৈনিক গাইড কে প্রশ্ন করল “এটা কি?” গাইডের উত্তর, “ওয়েল, সুমুদ্রে আমাদের টানা মাসখানেক থাকতে হয়, খুবই স্বাভাবিক উই গেট হোর্নি কোয়াইট অফটেন, তখন আমরা এটা দিয়েই কষ্ট-শিষ্টে চালিয়ে নেই, এই দেখ ছিদ্রও করা আছে পেছনে।”

দু-তিনদির পর জাহাজ সুমুদ্রে গেলে সৈনিক একদিন আবিস্কার করল পিঁপের সদ্ব্যাবহার না করলে তার আর চলছেই না। সে কিছুটা সঙ্কিতভাবে শেষ-মেষ পিঁপেখানা ব্যবহার করেই ফেললো। বলাই বাহুল্য পিঁপের ক্ষমতা তাকে বিমোহিত করল। গাইডের সাথে দেখা হওয়ার পর সে বললো, “বাহ! আপনাদের পিঁপে খানাটাতো বেশ। আমি একবার ব্যবহার করেছি, আমি কি প্রতিদিনই এটা ব্যবহার করতে পারব?” গাইড বললো, ” ওয়েল, হ্যা প্রতিদিনই পারবা শুধু বুধবার বাদে।” সৈনিক বললো, “কেন? বুধবারে নয় কেন?” গাইডের উত্তর, “কারণ বুধবার পিঁপের ভেতর তোমার ডিউটি।”

২।ডাক্তার আর নার্সের মধ্যে প্রেম চলছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ নার্স একদিন গর্ভবতী হয়ে যায়। দুঃচিন্তার কারণ। তো ডাক্তার আর নার্স মিলে পরামর্শ করল প্রসবের পর বাচ্চাটা তারা কোন এক নির্বোধ রোগীর কাছে গছিয়ে দেবে। যথাসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হল লোকাল চার্চের একজন প্রিচার তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেইশনের জন্য। জ্ঞান ফেরার পর প্রিচার দেখল তার পাশে ফুঁটফুঁটে এক নবজাতক। হতভম্ব প্রিচারের প্রশ্ন, “ডাক্তার এইটা কি?” ডাক্তার বললো, “ফাদার আসলে এটা ঈশ্বরের এক মোজেযা, আপনি যা অ্যাপেন্ডিসাইটিস ভাবছিলেন সেটা আসলে তা নয়, অপারেশনের পর আপনার গর্ভে আমরা এই শিশুটি পাই।” প্রিচার আর কি করবে, ছেলে নিয়ে বাড়ী ফেরত আসল এবং ছেলে লালন-পালন করতে লাগলো।

ছেলের বয়স ১৮ হলে পরে প্রিচার সিদ্ধান্ত নিল এবার ছেলেকে সবকিছু খুলে বলার। ছেলেকে ডেকে সে বললো, “সনি, তুমি যে আমাকে বাবা ডাক আসলে কিন্তু আমি তোমার বাবা নই-আমি তোমার মা, তোমার বাবা হচ্ছেন আর্চবিশপ সাহেব।”

৩।এক লোক পাব্ এ গিয়ে অর্ডার করলো ১২ টা সাম্বিউকা। এক বসায় ১২ টা সাম্বিউকাই সে খেয়ে ফেললো। হতভম্ব বারটেন্ডার বললো, “১২ টা সাম্বিউকা একসাথে খেলে তুমি? কি সেলিব্রেইট করছো তুমি আজকে?” লোকের উত্তর, “জীবনের প্রথম ব্লোওজব্।” মজা পেয়ে বারটেন্ডার বললো, ” ও তাই? তাহলে দাড়াও আমি তোমাকে আরও একটা সাম্বিউকা দিচ্ছি ফ্রী।”

লোকের উত্তর, “থাক বাদ দেও, ১২ টা সাম্বিউকা যেই টেইস্ট দুর করতে পারলো না, আরও একটা বেশী তার কিই বা করবে।”

৪।প্রিম্যাচিউর ইজ্যাকুলেইশনের এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার বললো, “আমার মনে হয় ইন্টারকোর্সের আগে আপনি একবার মাস্টার্বেইট করে নিলে আপনার লঙ্গেইটিভিটি বাড়বে।” খুশী মনে ডাক্তারের চেইম্বর থেকে বেরিয়ে রোগী যেই সমস্যায় পড়লো তা হলো মাস্টার্বেইট সে কোথায় করবে? বাসায় তার স্ত্রীর উপস্থিতিতে করা অসম্ভব, অফিসেও সম্ভব না কারণ এত সময় ব্যাথরুমে থাকলে বস্ চিল্লাচিল্লি করবে, তাহলে কোথায়? ভেবেচিন্তে সে ঠিক করলো তার বাসায় যাওয়ার পথে একটা টেরাইন পড়ে যেখানো গাড়িঘোড়ার যাতায়ত কম, সে ঠিক করল ঐখানে রাস্তায় কোথাও গাড়ি পার্ক করে সে যদি গাড়ির নীচে গিয়ে করে তাহলে লোকজন মনে করবে সে গাড়ির চাকা ঠিক করছে, কেউ কিছু সন্দেহ করবে না। তো টেরাইনের রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে সে গাড়ির নীচে গেল, নীচে গিয়ে চোখ বন্ধ করে সেনসেইসেনের মাত্রা এককাঠি বাড়িয়ে নিয়ে আরাম করে সময় নিয়ে করতে থাকল।

পাঁচ মিনিট পর একজন পুলিশ এসে বাইরে থেকে তাকে ডাকলো, “মাফ করবেন স্যার আপনি কি করছেন?” ধ্যান ভঙ্গ হওয়ায় বিরক্ত হয়ে লোক উত্তর দিল, “দেখছ না আমি গাড়ির চাকা ঠিক করছি।” পুলিশ বললো, “ওয়েল, চাকার সাথে ব্রেইকটাও বোধহয় আপনার ঠিক করা উচিত ছিল, কারণ পাঁচ মিনিট আগে আপনার গাড়ি ঢাল বেয়ে নীচে গড়িয়ে গেছে।”

৫। দুই ব্যক্তি গলফ খেলছে, একসময় ক্লান্ত হয়ে একজন কোর্সের বেঞ্চে গিয়ে বসলো। সেখানে দেখে আরও একজন তার পাশে বসা। সে খাতির জমানোর চেষ্টা করছে তার সাথে। একপর্যায়ে গলফার জিজ্ঞেস করলো “তুমি কি কর?” লোকের উত্তর “আমি একজন হিটম্যান।” অবিশ্বাসের সুরে গলফার বললো “তাই নাকি?” হিটম্যানের উত্তর “বিশ্বাস হলো না?” দাড়াও তোমাকে আমার বন্দুক দেখাচ্ছি বলে সে কেইস খুলে বেড় করলো মস্ত এক স্নাইপর গান। দেখেতো গলফারের চোখ ছানাবড়া, গলফার বললো “আমি কি তোমার বন্দুক হাতে নিয়ে দেখতে পারি?” হিটম্যাম অনুমতি দিলো। গলফার বন্দুক নেড়েচেড়ে দেখছে, টেলিস্কোপিক সাইটে চোখ রেখে চারপাশ দেখছে। হঠাৎ সে বলে উঠলো “আরে এখান থেকে তো আমার বাড়ি দেখা যাচ্ছে, আরে! আমার বেডরুমও দেখা যাচ্ছে। ওমা! আমার স্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে যে, ওয়াও! তার গায়ে কোন কাপড় নেই, আমার জন্য বাসায় বোধহয় আজ কোন স্পেইশল ট্রিটের আয়োজন হয়েছে।” হঠৎ গলফার উত্তেজিত হয়ে গেল “কি আমার পাশের বাড়ির লোক কেন এখানে? আল্লা! ঐ হারামজাদার গায়েও তো কাপড় নাই।”

ব্যস্ত হয়ে গলফার বললো “হিটম্যান একেকটা গুলি করার জন্য তুমি কত নেও?”
হিটম্যান- পাঁচশো পাউন্ড।
গলফার- আমি তোমাকে এক হাজার পাউন্ড দিবো, তোমাকে দুইটা গুলি করতে হবে। আমার বৌয়ের সাথে প্রেম? ঐ হারামজাদার পিনেস উড়ায় দেও। আর আমার বৌ, সে সবসময়েই ছিল একটা ম্যাউথি ওম্যান (mouthy- বাঁচাল মহিলা), সো শ্যুট হার ইন দ্যা ম্যাউথ।”
হিটম্যান- আচ্ছা।

তো হিটম্যান বন্দুল নিল, লক্ষ্য নির্ধারণ করছে, দুই তিন মিনিট পার হয়ে গেল কিন্তু গুলি আর করে না। অস্থির হয়ে গলফার বললো “ধ্যুর ব্যাডা এতক্ষণ লাগে ক্যান?” হিটম্যানের উত্তর “আরে ভাই একটা মিনিট ধৈর্য্য ধর না, আমি তোমার পাঁচশো পাউন্ড সেইভ করে দিচ্ছি।”

৪,১৩৭ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “পাঁচটি জোক”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    :khekz: :khekz: :khekz:

    এইটা পুরা মারদাংগা পোষ্ট হইছে।

    ইংরেজরা তুলনামুলকভাবে আমাদের চেয়ে বেশী রসবোধসম্পন্ন।

    আমি তো জানি ইংরেজরা সব কিছুই মাইপা মাইপা করে। হাসেও মাইপা, কাশেও মাইপা। এইগুলার মাথায় এমন জোকস কেমনে আসলো?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহবুব (২০০০-০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।