আনবিক জীববিদ্যা(molecular biology) প্রসূত বিবর্তনের স্বপক্ষে অকাট্য প্রমান ১:কোডন বায়াস প্রমান করে কমন অ্যানসেসট্রি

এখানে বলা বাহুল্য যে, আমাদের এই আলোচনা বিবর্তনের স্বপক্ষে প্রাপ্ত মিলিয়ন প্রমানের একটি, এবং এই পর্যন্ত পৃথিবীর কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালে এমন কোন পেপার প্রকাশিত হয়নি যা বিবর্তনের বিরোধীতা করে।আমি শুরু করছি থিওডোসিয়াস ডবজানস্কির একটি উদ্ধৃতি দিয়ে, ” Nothing in biology makes sense except in the light of evolution.”

যারা বায়োকেমিস্ট্রি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে অবগত আছেন, তারা দয়া করে ভূমিকাটুকু এড়িয়ে শুধু বক্তব্য ও সিদ্ধান্তটুকু পড়ে নেবেন।আর কোন কিছু অবোধগম্য হলে দয়া কমেন্ট সেকশনে আমাকে জানাবেন, আমি আমার যথাসাধ্য আলোচনার চেষ্টা করব।

ভূমিকাঃ

১। প্রোটিন হচ্ছে পেপটাইড বন্ধন (যা কিনা যথাক্রমে দুটি আ্যামিনো আ্যাসিড রেসিডিউ এর কর্বোক্সিল এবং আ্যামাইন গ্রুপের মধ্যে ঘটে থাকা ডিহাইড্রেশন সিনথেসিস বিক্রিয়ার ফলে গঠিত বন্ধন ) দ্বারা পলিমারাইজড্ α-L আ্যামাইনো আ্যাসিডের রৈখিক শেকল (linear chain).
২। ডি এন এ সংরক্ষণ করে তথ্য যা নির্ধারণ করে প্রোটিন অনুতে থাকা আ্যামাইনো আ্যাসিড রেসিডিউ এর ক্রমানুসার।
৩। ডি এন এ এর তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল { যেহেতু ডি এন এ দুটি পিউরিন (এ্যাডেনিন ও গোয়ানিন) এবং দুটি পিরিমাইডিন (সাইটোসিন ও থায়ামিন) বেইস দ্বারা গঠিত নিউক্লিওটাইড মনোমারের ফসফোডাইএস্টার বন্ধন(ফসফেট গ্রুপ এর ফসফোরাস এর সাথে দুটি সাবস্টিটিউট এর এস্টার বন্ধন) দ্বারা গঠিত পলিমার, তাই এই নিউক্লিওটাইড চারটির রকমারি ক্রমানুসারই ডি এন এ এর তথ্য সংরক্ষেণের একক}।
৪। ডি এন এ এর রাসায়নিক গঠনের একজন আবিষ্কারক ফ্রান্সিস ক্রিক্ প্রস্তাবিত “আনবিক জীববিদ্যার কেন্দ্রিয় রহস্য বা Central dogma of molecular biology” অনুসারে আর এন এ পলিমারেস এনজাইম এর হস্তক্ষেপে ডি এন এ হতে প্রথমে তৈরী হয় পুনঃব্যাবহারযোগ্য ক্ষণস্থায়ী আর এন এ টেমপ্লেট্ (messenger rna) যা কোষ নিউক্লিয়াস থেকে সাইটোপ্লাজমে বের হয়ে প্রোটিন গঠনকারী অর্গানেল রাইবোজম এর সাহায্যে প্রোটিন তৈরী করে।
৫। আর এন এ পলিমারেস এনজাইম এর আর এন এ টেমপ্লেট্ বা এম আর এন এ তৈরীর প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রান্সক্রিপশন্ আর রাইবোজম এর প্রোটিন তৈরীর প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রান্সলেশন্। এখানে বলে নেয়া প্রয়োজন ডি এন এ তে যেমন আ্যাডেনিনের কমপ্লিমেন্টারি বেইস থায়ামিন, আর এন এ তে আ্যাডেনিনের কমপ্লিমেন্টারি বেইস ইউরাসিল বা আনমেথিলেটেড থায়ামিন এবং ভাইস ভার্সা।
৬। একটি নির্ধারিত রিডিং ফ্রেমে তিনটি নিউক্লিওটাইড এর সমাহারকে বলা হয় কোডন। যেমন সিকোয়েন্স auucauuacaaa তে রিডিং ফ্রেম প্রথম নিউক্লিওটাইড থেকেই শুরু হলে প্রাপ্ত কোডনগুলো হবে auu cau uac এবং aaa। কিন্তু যদি রিডিং ফ্রেম শুরু হয় দ্বিতীয় নিউক্লিওটাইড থেকে তবে প্রাপ্ত কোডনগুলো হবে uuc auu aca এবং একটি অসম্পুর্ণ কোডন। প্রতিটি কোডন কোড করে একটি আ্যামাইনো আ্যাসিড। কোন কোডন কোন আ্যামাইনো আ্যাসিড কোড করবে তা নির্ধারন করে জেনেটিক কোড যা কিনা যে কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের জন্য এক।
৭। আরও এক ধরণের আর এন এ ট্রান্সলেশনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে যাকে বলা হয় টি আর এন এ বা ট্রান্সফার আর এন এ যার আছে একটি এক্সেপ্টর স্টেম যা কোভ্যালেন্ট বন্ধন দ্বারা ধারণ করে একটি α-L আ্যামাইনো আ্যাসিড এবং একটি এন্টিকোডন স্টেম যা ধারণ করে এক্সেপ্টর স্টেমে ধারণ করা α-L আ্যামাইনো আ্যাসিড এর প্রতিনিধিত্বকারী কমপ্লিমেন্টারি এন্টিকোডন। (কমপ্লিমেন্টারি টার্মটি আমি ব্যাখ্যা করব।ডি এন এ এর রাসায়নিক গঠনের আবিষ্কারক ফ্রান্সিস ক্রিক্ ও জেইমস্ ওয়াটসন্ প্রস্তাবিত ওয়োবল হাইপথিসিস বা থিয়োরি অফ কমপ্লিমেন্টারি বন্ডিং অনুযায়ী নিজেদের পিরিমাইডিন রিংদ্বয়ের মাঝে দুটি আন্তঃআনবিক বা intermolecular হাইড্রোজেন বন্ড স্থাপন করতে পারে বলে এ্যাডেনিন হবে থায়ামিন বা ইউরাসিলের কমপ্লিমেন্টারি এবং ভাইস ভার্সা, একইভাবে নিজেদের পিরিমাইডিন রিংদ্বয়ের মাঝে তিনটি আন্তঃআনবিক বা intermolecular হাইড্রোজেন বন্ড স্থাপন করতে পারে বলে সাইটোসিন হবে গোয়ানিনের কমপ্লিমেন্টারি এবং ভাইস ভার্সা। এই কারণেই আমাদের ডাবল হেলিক্স ডি এন এ স্ট্র্যান্ড একে অপরের কমপ্লিমেন্টারি। তবে টি আর এন এ পর্যায়ে দেখা যায় কিছু জটিলতা যেমন হাইপোয্যানথাইনের এ্যাডেনিন, ইউরাসিল ও গোয়ানিনের সাথে বন্ধন-সক্ষমতা এবং ইউরাসিল- গোয়ানিন বন্ধনের অস্তিত্ব যা আমি এখানে আলোচনা করব না। আপনারা আগ্রহী হলে গুগোলে সার্চ দিয়ে দেখে নিবেন।)
৮। ট্রান্সলেশন্ প্রক্রিয়াটি এমন যে রাইবোজম এর সাথে এম আর এন এ এর সংযুক্তির পর রাইবোজম এর লার্জ সাবইউনিটের পি সাইটে উন্মুক্ত এম আর এন এ কোডনের সাথে যুক্ত হয় একটি টি আর এন এ যার আছে ঠিক সেই উন্মুক্ত এম আর এন এ কোডনের কমপ্লিমেন্টারি এন্টিকোডন।(রাইবোজম গঠিত দুটি সাবইউনিট নিয়ে, লার্জ এবং স্মল সাবইউনিট।লার্জ সাবইউনিটে আছে দুটি বন্ডিং সাইট, পি ও এ সাইট।) একইভাবে এ সাইটের এম আর এন এ কোডনের সাথে যুক্ত হয় তার এম আর এন এ কোডনের কমপ্লিমেন্টারি এন্টিকোডন। এরপর পি সাইটের টি আর এন এ পেপটাইড বন্ধনের মাধ্যমে তার এক্সেপ্টর স্টেমে ধারণ করা α-L আ্যামাইনো আ্যাসিড সংযুক্ত করে এ সাইটের টি আর এন এর এক্সেপ্টর স্টেমে ধারণ করা α-L আ্যামাইনো আ্যাসিডের সাথে। এরপর পি সাইটের টি আর এন এ পি সাইট ত্যাগ করে এবং রাইবোজম এম আর এন এর 3′ এন্ডের দিকে এক কোডন বা ৩ নিউক্লিওটাইড এগিয়ে যায় এবং নতুন টি আর এন এ পি সাইটে যুক্ত হয়। এভাবে ট্রান্সলেশন্ চলতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত পি সাইটে যুক্ত হয় uaa,uag,uga বা স্টপ্ কোডন যা কিনা কোন আ্যামাইনো আ্যাসিড বহন করে না তবে রিলিজ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে, যার প্রভাবে রাইবোজম এর সাবইউনিটগুলো আলাদা হয়ে যায় এবং তৈরী হওয়া প্রোটিন রাইবোজম থেকে মুক্ত হয়।

বক্তব্যঃ

লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, চারটি নিউক্লিওটাইড দ্বারা গঠিত ট্রিপলেট কোড বা কোডনের সংখ্যা ৬৪ যারা কোড করেছ জৈব প্রোটিনে ব্যবহ্রত ২০ টি আ্যামাইনো আ্যাসিড, এই ৬৪টি কোডনের মধ্যে তিনটি স্টপ্ কোডন বা নন্সেন্স কোডন।দেখা যায় ২০ টির মধ্যে ১৮টি আ্যামাইনো আ্যাসিডই একাধিক কোডন দ্বারা প্রকাশিত।যেমন gau এবং gac উভয়েই কোড করে এ্যাস্পার্টিক অ্যাসিড, uuu এবং uuc উভয়েই কোড করে ফেনিলঅ্যালানিন,ucu,uca,ucg এবং ucc সকলেই কোড করে সেরিন। এখান লক্ষ্যণীয় যে মেথিওনিন ও ট্রিপটোফান(যহেতু একটি মাত্র কোডন দ্বারাই তারা প্রকাশিত) ছাড়া আর সকল আ্যামাইনো আ্যাসিডের প্রতিনিধিত্বকারী কোডনের তৃতীয় বা শেষ নিউক্লিওটাইডের পরিবর্তন চূড়ান্ত আ্যামাইনো আ্যাসিডের কোন পরিবর্তন ঘটাবে না। যেমন- auu >>>auc বা auu>>>aua বা auu>>>aug এই ম্যুটেইশন ত্রয়ের কোনটিই কোন সিলেক্সন প্রেসারের সূচনা করবে না বা অর্গানিজমের ফিটনেসের উপর প্রভাব ফেলবে না কেননা উপরোক্ত চারটি কোডনের সকলেই কোড করে আইসোলিউসিন।

যদিও আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে উপরোক্ত ম্যুটেইশন ত্রয় নিরপেক্ষ, তবে যদি আমরা জিন্ এক্সপ্রেশন্ এবং টি আর এন এর কথাও ভেবে দেখি তাহলে দেখা যাবে আসলে তা নয়।আমরা জানি ডি এন এ গঠিত মূলত দুটি রিজিয়ন নিয়ে, প্রোটিন কোডিং রিজিয়ন বা জিন এবং নন্ প্রোটিন কোডিং রিজিয়ন বা জাঙ্ক ডি এন এ।জিন্ এক্সপ্রেশন্ বলতে মূলত বোঝায় কি হারে জিন থেকে প্রোটিন তৈরী হচ্ছে। জিন্ এক্সপ্রেশন্ বা কি হারে জিন থেকে প্রোটিন তৈরী হবে তা বেশ কিছু ব্যাপারের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে অন্যতম টি আর এন এ।আমরা জানি যে, টি আর এন এ যার আছে এন্টিকোডন একটি কমপ্লিমেন্টারি কোডনের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমবর্ধমান পলিপেপটাইড চেইনে যোগ করে।টি আর এন এ মূলত অন্যান্য সব আর এন এর মতই আনট্রান্সলেটেড জিন প্রোডাক্ট, অর্থাত ডি এন এ থেকে ট্রান্সক্রাইব্ড্ হলেও রাইবোজম দ্বারা ট্রান্সলেটেড না। ফলে বলা যে তে পারে যে, আমাদের উপরোক্ত তথাকথিত নিউট্রাল মিউেটশন ত্রয় নিউট্রাল নয় যেহেতু এই নতুন মিউটেন্ট কোডন আর পুরনো টি আর এন এ এন্টিকোডনের কমপ্লিমেন্টারি হবে না, ফলে জিন এক্সপ্রেশন রেটে পরিবর্তন ঘটবে এবং যা সূচনা করবে সিলেক্সন প্রেসার।তাই একটি নির্দষ্ট সময়ে একটি কোডন ও সম্মিলিত টি আর এন এ পুলের মধ্যে ন্যাচারাল সিলেক্সন স্হাপন করবে এমন একটি সম্পর্ক যাতে তাদের মধ্যকার ইন্টারেকশান-প্রসূত জিন এক্সপ্রেশন্ ঐ অর্গানিজমের ফিটনেসের পক্ষে সবচেয়ে অনুকুল। এই ঘটনাকে জীববিদ্যার ভাষায় বলে ট্রান্সলেশনাল অপটিমাইজেশন।

আমরা জানলাম ট্রান্সলেশনাল অপটিমাইজেশন সম্পর্কে। এখন দেখা যায় ট্রান্সলেশনাল অপটিমাইজেশন একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্য একাধিক কোডন সম্ভব হলেও অ্যাসাইন করবে একটি কোডন যা ঐ পুরো জিনের জন্যে অপরিবর্তিত থাকবে। এই ঘটনাকে বলা হয় কোডন ইউসেজ বায়াস। দেখা গেছে প্রাইমেট অর্ডারের অনেক অর্গানিজমেই অ্যামাইনো অ্যাসিড গ্লুটামিক অ্যাসিডের প্রতিনিধিত্বকারী কোডন gaa ও gag বায়াস নিরপেক্ষ।যার মানে, গ্লুটামিক অ্যাসিডের প্রতিনিধিত্বকারী কোডন gaa বা gag এর যে কোন একটি হলেও জিন এক্সপ্রেশনের কোন পরিবর্তন হবে না, কারণ gaa এর কমপ্লিমেন্টারি এন্টিকোডন টি আর এন এ রা হবে cuu বা cua বা cau বা auu বা aua বা aau (যেহেতু ওয়োবল হাইপথিসিস অনুযায়ী আর এন এ তে ইউরাসিল-গোয়ানিন বন্ধন সম্ভব.), অপরপক্ষে gag এর কমপ্লিমেন্টারি এন্টিকোডন টি আর এন এ রা হবে একই।

সিদ্ধান্তঃ

বিবর্তন-সূত্রের একটি অন্যতম প্রেডিকশন, যেহেতু ডি এন এ পলিমারেস এনজাইমের প্রুফরিডিং মেকানিজম এক মিলিয়নে একটি ভূল করে তাই আমাদের প্রায় তিন বিলিয়ন বেইসপেয়ার সমান প্রাইমেট জেনোম (যার শতকরা ৯৫ ভাগই জাঙ্ক ডি এন এ)এর একটি আকাঙ্খিত নিউক্লিওটাইডে একটি আকাঙ্খিত পয়েন্ট ম্যুটেইশনের সম্ভবনা খুবই কম। এবং, যেহেতু নিকট সম্পর্কযুক্ত প্রজাতিরা অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময় পূর্বে আলাদা ট্যাক্সনে বিভক্ত হয়, তাই বলা যেতে পারে সেই পূর্বকথিত কাঙ্খিত ম্যুটেইশন তাদের জেনমে ঘটার জন্য পর্যাপ্ত সময় পার হয়নি।অর্থাৎ, তাদের হোমোলগাস পলিপেপটাইডের একটি রেসিডিউ গ্লুটামিক অ্যাসিড হলে একই কোডন তারা ব্যবহার করবে সেই গ্লুটামিক অ্যাসিড কোড করতে। আমরা এখন কয়েকটি পরস্পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত প্রজাতি বেঁছে নেব যারা কিনা একটি স্বতন্ত্র প্রোটিন বায়োসিনথেসিস করে, এবং আমরা তুলনা করে দেখব তাদের সেই স্বতন্ত্র পলিপেপটাইডে গ্লুটামিক অ্যাসিড রেসিডিউ এর অবসহান এবং সেই রেসিডিউ এর প্রতিনিধিত্বকারী কোডনসমূহের হোমোলগাসনেস্।

এখন আমাদের বেঁছে নেয়া তিনটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত প্রজাতি হবে Homo sapiens (মানুষ), Pan troglodytes (সাধারণ সিম্পান্জী) এবং Macaca mulatta (ম্যাকাও বা রেসাস্ বানর), আর আমাদের বঁছে নেয়া পলিপেপটাইড হতে যাচ্ছে বহুলালোচিত হিমোগ্লোবিন যার হেম গ্রুপ বাদে বাকী আলফা এবং বেটা উভয় চেইনের প্রথম ১২৫ নিউক্লিওটাইড সমুহ আমরা মিলিয়ে দেখব।এবং লো এন্ড বিহোল্ড্ –

α chain

species……………..position……………codon…….amino acid
Homo sapiens……24/28/31/117…..gag………..glutamic acid
Pan troglodytes….24/28/31/117…..gag………..glutamic acid
Macaca mulatta…24/28/31/117……gag………..glutamic acid

β chain

species………………position……………………………codon
Homo sapiens……7/8/23/27/44/91/102/122….gag
Pan troglodytes….7/8/23/27/44/91/102/122….gag
Macaca mulatta….7/8/23/27/44/91/102/122….gag

দেখা যাচ্ছে যে বিবর্তন সুত্রের প্রেডিকশন পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে। আমরা মাত্র তিনটি অর্গানিজমের দুটি জিনের প্রথম ১২৫ নিউক্লিওটাইড তুলনা করেছি। আপনারা চাইলে pubmed থেকে নিউক্লিওটাইড সিকোয়েন্স আর প্রোটিন স্ট্রাকচার ডাউনলোড করে অন্যান্য অর্গানিজমের মধ্যেও এই তুলনা করে দেখতে পারেন।

৬,৪৫২ বার দেখা হয়েছে

১০৭ টি মন্তব্য : “আনবিক জীববিদ্যা(molecular biology) প্রসূত বিবর্তনের স্বপক্ষে অকাট্য প্রমান ১:কোডন বায়াস প্রমান করে কমন অ্যানসেসট্রি”

  1. জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

    অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ। আমি কিন্তু জানি সিম্পাঞ্জী আর মানুষের ক্রমোজমের যে দুইটা মিলে একটা হয়েছে। আমার বায়োলজী নিয়ে পড়াশোনা কম কিন্তু জেনেছি। আমাকে একটা সাধারন প্রশ্নের উত্তর দাও।

    ধর মিউটেশনের ফলে বা অন্যকোন প্রক্রিয়ায় ২৩ জোড়া ক্রমোজমের একটা প্রানী থেকে ২৪ জোড়া ক্রমোজমের একটা প্রানী হলো, অথবা অন্যটা। ধরলাম সেটা পুরুষ। এখন প্রথম কথা হচ্ছে ওই বেচারার সঙ্গিনীর ব্যবস্থা তুমি কেমনে করবা? random ঘটনা একি সাথে পুরুষ আর মহিলার জন্ম দিবে তারই বা কতটা সম্ভাবনা থাকে? আর তুমি নিশ্চয়ই জানো, গাধা আর ঘোড়ার সঙ্করে খচ্চর হয়, কিন্তু তাদের বংশবিস্তার করার ক্ষমতা থাকে না। এইটারও জেনেটিক ব্যাখ্যা আছে। সেটা তুমিই দিলে বোধহয় ভালো হয়।

    আমি এই প্রশ্নের জবাব পাইনি বলেই জিজ্ঞেস করা।

    শুভেছা।

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      জাহিদ ভাই, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।গাধা এবং ঘোড়ার ক্রমোজম সংখ্যা যথাক্রমে 62 ও 64। ছেলে মিউল ভায়াবল নয়, তবে মেয়ে মিউল ভায়াবল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু। যদিও মনুষ এবং শিম্পান্জীর ক্রোমোজম সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ ও ২৪, তবে শিমপান্জীর সাথে আমাদের x ক্রমোজম আলাদা হয় তারও ১ মিলিয়ন বছর পরে(আমাদের ও শিম্পান্জীর x ক্রমোজম একে অপরের কতটা আলাদা সেটা ম্যুটেইশনের গড় হার দ্বারা ভাগ করে এই সময় নির্ধারণ করা হয়),যার মানে সেই পুরোটা সময় মনুষ এবং শিম্পান্জীর মেয়ে হাইব্রিড ছিল ভায়াবল।

      দয়া করে জানাবেন আমি আপনার উত্তর দিলাম কিনা।

      জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের একটি ভুল ধারণা আছে যে বিবর্তন হয় ইনডিভিজ্যুয়ল লেভেলে যা কিনা সত্য নয়।মূলত বিবর্তন হয় পপুলেইশন লেভেলে।বিবর্তনের সংজ্ঞা হচ্ছে "সময়ের সাথে একটি জিন পুলে অ্যালিল্ ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তন"।ব্যাপারটা এরকম না যে রাতে ঘুমিয়ে ছিল শিম্পান্জী সকালে উঠে দেখল মানুষ হয়ে গেছে।ব্যাপারটা বরং এইরকম যে কোন ড্রায়োপিথেকাস তার এক লক্ষ জেনারেশন পরের লিনিয়েজের দিকে তাকিয়ে দেখল যে তার বংশধরদের এক অংশ হয়েছে হোমিনিডাই বা গ্রেইট এইপস্ অপর অংশ হয়েছে সিমিফর্মেস বা লেসার এইপস্।

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
        বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের একটি ভুল ধারণা আছে যে বিবর্তন হয় ইনডিভিজ্যুয়ল লেভেলে যা কিনা সত্য নয়।মূলত বিবর্তন হয় পপুলেইশন লেভেলে।

        পপুলেইশন কি ইনডিভিজ্যুয়ল থেকে স্বতন্ত্র? আমি তো জানি, বরং পপুলেইশনের ভিত্তিই হলো ইনডিভিজ্যুয়ল। কাজেই, ইনডিভিজ্যুয়ল ছাড়া পপুলেইশন কল্পনা করা যায় কি?- এই কারনে পপুলেইশনে যেকোন পরিবর্তন ব্যাখ্যা করতে গেলে আগে সেটা ইনডিভিজ্যুয়লের মধ্যে দেখতেই হবে।

        ইনডিভিজ্যুয়লের মধ্যে পরিবর্তনের ব্যাখ্যা না করে হুট করে পপুলেইশনে চলে গেলে যুক্তির মাঝে একটা বিরাট ফাঁক থেকে যায়।


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          পপুলেইশন কি ইনডিভিজ্যুয়ল থেকে স্বতন্ত্র?

          হ্যা এবং এই কারণেই পপুলেইশন বায়োলজিতে একটি স্বতন্ত্র ধারণা তা না হলে পপুলেইশন বায়োলজি এবং পপুলেইশন জেনেটিক্স নামক বায়োলজির স্বতন্ত্র দুটি শাখার প্রয়োজন থাকত না।পপুলেইশন ও ইনডিভিজ্যুয়ল এর এই স্বতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে ইনডিভিজ্যুয়ল মিউটেট করে আর পপুলেইশন ইভল্ভ করে

          জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          এই কারনে পপুলেইশনে যেকোন পরিবর্তন ব্যাখ্যা করতে গেলে আগে সেটা ইনডিভিজ্যুয়লের মধ্যে দেখতেই হবে।

          হ্যা আপনার কথা সত্য,তবে জটিলতা হচ্ছে ইনডিভিজ্যুয়ল ইভল্ভ করতে পারে না কারণ গড় ম্যুটেইশন হার ধীরগতি এবং ম্যুটেইশন হার একটি সীমা অতিক্রম করলে অর্গানিজম মারা যাবে।আর পপুলেইশন ম্যুটেইট করতে পারেনা কেননা পপুলেইশন ইনডিভিজ্যুয়লের সমষ্টি যাদের সবার একই নিউক্লিওটাইডে একই ম্যুটেইশন সম্ভব নয়।বস্তুত এ কারণেই ইনডিভিজ্যুয়ল এবং পপুলেইশন দুটি স্বতন্ত্র ফ্রেইম অফ রেফরেন্স।

          জবাব দিন
      • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

        ভেবেছিলাম প্রথম বলেই তোমাকে ইনজুরড্ করে ফেরত পাঠাব। তুমি যে আরেক ইনিংস খেলতে নেমেছ, ভেবে ভালো লাগছে। তোমাদের দেখে আমার সুফিয়া কামালের সেই কবিতার লাইন মনে পরে যায়…

        ‘আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা
        তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা!’

        আমি যদিও এত বয়স্ক হইনি তারপরেও কথাটা সত্য। বদান্যতা অনেক হয়েছে এবার আলোচনা শুরু করা যাক।

        ১। তোমার প্রথমে দেয়া উত্তরে একটা ‘কিন্তু’ আছে। ১ মিলিয়ন বছর আগে মানুষের ক্রমোজম আলাদা হয়েছে বলছ, আবার বলছ এর আগে ‘৫ মিলিয়ন বছর মানুষ এবং শিম্পান্জীর মেয়ে হাইব্রিড ছিল ভায়াবল’। মানুষ আগের সময়ে কোথা থেকে আসলো। আর আমার জানামতে এখনও কোন পরীক্ষায় প্রমানিত হয়নি যে মানুষ এবং শিম্পান্জী সংকর ভায়াবল। তোমরা না বিজ্ঞানে বিশ্বাসী, প্রমান ছাড়া কোন কিছু উল্লেখ না করাই উত্তম। আর কোন রেফারেন্স থাকলে দিও।

        ২। মাহমুদের সাথে আমি একমত। ব্যক্তির আগে তুমি গোষ্ঠী আনতে পার না। (একমাত্র বাংলাদেশের রাজনিতীবিদেরা তোমার মতে বিশ্বাস করে, ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। এই জন্যেই দেখনা আমাদের আজ কি করুণ অবস্থা।) ব্যক্তি লেভেলের পরিবর্তন তুমি হয়ত ধরতে পার না কিন্তু পরিবর্তনতো হয়। সারাদিন সুর্য একটু একটু করে নড়তে থাকে, এক মিনেটে তা বুঝা যায় না, কিন্তু ঘন্টা খানেক বাদে যায়। ১ নম্বর পয়েন্টে আবার আসি। ১ মিলিয়ন বছর আগে শিম্পান্জী থেকে মানুষের পরিবর্তন কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়েই হতে হবে। কারন ২৪ জোড়া ক্রমোজম থেকে ২৩.৯৯ জোড়া ক্রমোজম তার পরে আস্তে ধীরে ২৩ জোড়া হতে পারে না। ২টা ক্রমোজম জোড়া লেগে শিম্পাঞ্জীর ২৪ থেকে মানুষের ২৩ জোড়া ক্রমোজম ঘটনা একজনের ক্ষেত্রেই হতে হবে।

        ৩। এখন আমি আমার আগের প্রশ্নে আবার ফিরে আসি। ১ মিলিয়ন বছর আগে এই যে একা একটা মানুষটা হলো তার জন্যে তুমি মানবী কেমন করে একি সাথে ব্যবস্থা করবে। তুমি যদিও বলেছে ‘কিছু’ ভায়াবল মেয়ে মিউল নাকি পাওয়া গেছে, ওই প্রসঙ্গে আসছি, কিন্তু ওই ‘কিছু’ মানে ‘সব’ না। তাই বিশাল একটা সম্ভাবনা আছে, দৈবাৎ তৈরী হওয়া আমাদের এই মানুষটি পরের প্রজন্মের চেহারা না দেখার। এবং একবার এই ভদ্রলোক ইন্তেকাল করলে আমাদের আবার গালে হাত দিয়ে বসে থাকত হবে পরের বার কবে আবার ভুল করে মানুষ তৈরী হবে সেটা দেখার আশায়। এখন দেখা যাক, তোমার বলা এই ‘কিছু’-এর সংখ্যা কত কম আর মানুষটি সন্তান ছাড়া মারা যাবার সম্ভাবনা কত বেশি।

        ৪। www.scholar.google.com এ গিয়ে The variety of sterility and gradual progression দিয়ে সার্চ দিও। প্রথম আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একারনেই এটা ফ্রী নামিয়ে পড়তে পারা যায়। আর্টিকেলটি পড়লেই বুঝতে পারবে কতো ১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত চেষ্টা-চরিত্র করে তারা একটা ব্রীড তৈরী করেছে । কতবার যে তা ব্যর্থ হয়েছে আর্টিকেলটা পরলেই জানতে পারবে।

        ৫। যেখানে গাধা আর ঘোড়ার ব্রিড হয় তাদেরই এই অবস্থা আর কত অসংখ্য প্রজাতি আছে, ক্রমোজমের সংখ্যা কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও যাদের সন্তান হয়না, তাদের বেলায় তুমি কেমন করে ব্যাখ্যা করবে।

        ৬। আম্-জনতার জন্যে তোমার প্রবন্ধের আমি একটা বাংলা(!) অনুবাদ করছি। আমরা সবাই মনে করি একটা আমাদের গাড়ির সিডি প্লেয়ারের মধ্যে যে সিডি আছে তাতে গাড়ির ডিজাইন, ইঞ্জিনের কন্সট্রাক্সন, রঙ, হেডলাইটের বাল্বের মডেল এই জাতীয় সমস্ত তথ্য রাখা আছে। প্রয়োজনের সময় গাড়ির সিডি বেরিয়ে আসে এবং বাইরে রাখা একটি কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করে। ওই কম্পিউটার তখন সিডির তথ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা উপাদান, যেমন সিট, ইঞ্জিন ইত্যাদি বানায়।পরে উপাদানগুলো যেহেতু অন্যকোন ভাবে খাপ খাবে না তাই আগের সেই নির্দিষ্ট একটা গাড়ির রুপ ধারন করে। এবং নতুন গাড়ির মধ্যেও আগের মত একটা সিডি থাকে যা ভবিষ্যতে আরেকটা নতুন গাড়ীর তৈরী করা যাবে। কোষের ব্যাপার গুলোর সাথে মেলাতে না পারলে খেয়াল করুন…
        আমাদের ডি. এন. এ.-তে রাখা আছে আমাদের চোখের রঙ থেকে শুরু করে প্রতিটি তথ্য এবং এটা কাছাকাছি প্যাচানো এক জোড়া স্প্রিং-এর মতো। প্রতিটি কোষেই ডি. এন. এ. আছে। রাইবোজম, ডি. এন. এ.-এর দুইটা স্প্রিংকে আলাদা করে আর এই একটা স্প্রিংকে আমরা বলতে পারি আর. এন. এ. (স্প্রিং শুধু বোঝার সুবিধার জন্যে বলা)। এই আর. এন. এ. কোষের বাইরে বেরিয়ে আসে আর আরেকটি মেকানিজম (আমি নামটা ঠিক মনে করতে পারছি না) তখন আর. এন. এ.-তে (যা ডি. এন. এ.-এর অংশ ছিল) রাখা তথ্য থেকে বিভিন্ন এমিনো এসিড তৈরী করে। এবং বিশ ধরনের এমিনো এসিড-এর আকার এমনভাবে তৈরী হয় যে তারা একটা আয়োজনে (arrangement)-এ এক হতে পারে। এইভাবে এমিনো এসিড থেকে আবার প্রোটিন এবং শেষ পর্যন্ত নতুন কোষ তৈরী হয় এবং এর মধ্যেও ডি. এন. এ. তৈরী হয়, অনেকটা নতুন গাড়ির মত। কত সাধারণ!
        গাড়ি তৈরীর মেকানিজমটা সত্যিই অবাক করার মতো। মজার ব্যাপার হচ্ছে ডি. এন. এ.-তে যে পরিমান তথ্য থাকে তা দিয়ে কিন্তু একটা পুরো সিডি বার্ন করা যাবে। এত জটিল একটা কারখানা আর তথ্য রাখার এত অসাধারণ একটা ব্যবস্থা নিজে নিজে কেমন করে হতে পারে সেই প্রশ্ন আর নাই বা করলাম। আমাকে বলো কোনটা আগে এসেছে। সিডি (ডি. এন. এ.) যা থেকে তুমি গাড়ির (প্রোটিন) রেপ্লিকা বানাবা, নাকি সিস্টেম যে সিডি (ডি. এন. এ.) থেকে গাড়ি বানাবে। কারণ একটা ছাড়া আরেকটার কোন গুরুত্ব নাই। আর এত জটিল দুইটা জিনিস নিজে থেকে এই বিশাল বিশ্বভ্রম্মান্ডের একি জায়গায় আবির্ভাব হয়ে কাজ শুরু করে দিবে সেটাই বা কত স্বাভাবিক? ডি. এন. এ.-র এমিনো এসিডের কিন্তু কোন বুদ্ধিমত্তা নাই যে তারা একটা বুদ্ধিদীপ্ত তথ্য সংরক্ষনের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাবে।

        বিবর্তনবাদ মিথ্যা এটা আমি বলতে চাই না, তবে এটা অকাট্য সত্য সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। বিবর্তনবাদ বা বিগব্যাং থিউরী শুরুর পর থেকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দেয়, শুরুটা যেন কেমন একটা শুন্যতার মধ্যেই রয়ে যায়।

        আমি একটা নিরপেক্ষ পর্যালোচনা লেখার চেষ্টাই আছি বেশ কয়েক দিন ধরে। বাংলায় দ্রুত লিখতে পারলে এত দিনে শেষ করতে পারতাম। দেখি এত কিছুর ভীড়ে কবে লেখা শেষ হয়। ব্লগ মানে আসলেই ব্লগর ব্লগর!!!

        জবাব দিন
        • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
          আর এত জটিল দুইটা জিনিস নিজে থেকে এই বিশাল বিশ্বভ্রম্মান্ডের একি জায়গায় আবির্ভাব হয়ে কাজ শুরু করে দিবে সেটাই বা কত স্বাভাবিক?

          জাহিদ ভাই, আমার মতে এখানে এ ধরণের প্রশ্ন করা উচিত না। কারণ এটার সাথে বিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি পৃথিবীতে প্রথম কিভাবে প্রাণের উৎপত্তি ঘটল সেটাও বিবর্তনের বিষয় না। সেটা অ্যাবায়োজেনেসিস এর বিষয়। অ্যাবায়োজেনেসিস এখনও অতোটা সমৃদ্ধ হয়নি যে সবকিছু বের করে নিয়ে আসবে। কারণ এর জন্য মহাকাশের অন্য কোন তারা এবং গ্রহ সম্পর্কে আমাদের যে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন সেটা পরিপূর্ণ হয়নি।

          বিবর্তনের বিষয় কেবলই "প্রজাতির উৎপত্তি"। প্রজাতির উৎপত্তি ছাড়া অন্য কোন বিষয়েই বিবর্তনের মাথা ব্যথা নেই। এই প্রজাতির উৎপত্তি তথা Speciation এর অনেক অনেক প্রমাণ আছে (কেবল উইকিতে স্পেসিয়েশন নিবন্ধ গেলেই অনেক কিছু পাওয়া যায়, গালাপাগোসের ফিঞ্চ এর মধ্যকার স্পেসিয়েশন সম্পূর্ণ প্রমাণিত)। আর আপনি এবং মাহমুদ ভাই পপুলেশন বাদ দিয়ে যেভাবে ব্যক্তির কথা বলছেন, বিজ্ঞানে বোধহয় সেটা খাটে না। সমাজের জন্য ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির জন্যই সমাজ- এটা কালচারের কথা, সভ্যতার কথা। কিন্তু বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানে এটা খাটে না। এখানে তো আসলেই পপুলেশনের কথা চিন্তা করতে হবে।

          এর জন্য প্রথমেই পৃথক ecological niche বিষয়টা নিয়ে আসতে হবে। উইকি থেকেই স্পেসিয়েশনের ব্যাখ্যাগুলো উল্লেখ করছি:
          - অ্যালোপ্যাট্রিক
          - পেরিপ্যাট্রিক
          - প্যারাপ্যাট্রিক
          - সিমপ্যাট্রিক

          এর মধ্যে কেবল প্যারা আর সিমপ্যাট্রিক এই বোধহয় ভায়াবলের বিষয়টা আসে। বাকিগুলোতে ভায়াবল কিছু থাকাটাও আবশ্যক না। সেক্ষেত্রে বিষয়টা হচ্ছে:
          প্রথমে একটা গোষ্ঠী আলাদা হয়ে যায়। ভিন্ন পরিবেশে তারা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে বিবর্তিত হতে থাকে। লক্ষ বছর পর যখন তাদের সাথে আবার তাদের পূর্বপুরুষদের দেখা হয় তখন দেখা যায়, তাদের মধ্যে যৌন প্রজনন সম্ভব না। যেমন এখন মানুষকে মঙ্গলে পাঠিয়ে আলাদা করে দেয়া হলে হয়ত লক্ষ বছর পরে মানুষের নতুন একটি মার্শিয়ান প্রজাতির উৎপত্তি ঘটবে।
          অর্থাৎ একটি পপুলেশনের কেউ একজন হঠাৎ বুঝবে না যে তাদের মধ্যে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটছে, কারণ ব্যাপারটা একইসাথে সবার মধ্যেই খুব ধীরে ধীরে ঘটে। এখন একই পপুলেশনের লক্ষ বছর আগের একজনকে যদি বর্তমানের একজনের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় তখন বোঝা যাবে যে তারা যৌন জনন করতে পারছে না।

          নতুন প্রজাতি যেহেতু উৎপত্তি প্রক্রিয়ার আগেই পৃথক হয়ে গেছে সুতরাং অনেক ক্ষেত্রে ভায়াবলেরও কোন প্রয়োজন নেই।

          Observed Instances of Speciation
          এটা দেখতে পারেন।

          কিংবা ডারউইনের ফিঞ্চের কথাও বলতে পারেন। এরা একই দ্বীপপুঞ্জে ১৪ টি আলাদা আলাদা প্রজাতি তৈরী করেছে। এরা সহজে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যায় না। তার মানে অনেক আগেই তারা আলাদা আলাদা দ্বীপে চলে গিয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন পর সেই আলাদা আলাদা দ্বীপগুলোতে আলাদা আলাদা প্রজাতির উৎপত্তি ঘটেছে। এটা তো সুপ্রমাণিত।

          স্পেসিয়েশন এর সকল প্রমাণ যেহেতু পাওয়া গেছে সেহেতু বিবর্তনের গোঁড়া নিয়ে কেন সন্দেহ করব বলুন? বিবর্তনের অনেক প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা যায়। এমনকি প্রাকৃতিক নির্বাচন নিয়েও অনেকে সন্দেহ পোষণ করেছেন। কিন্তু বিবর্তন নিয়ে নয়।

          এত সুন্দর ও নিখুঁত জিনিস কিভাবে একা একা তৈরী হল- এই কথা কিন্তু বিজ্ঞানীরাই বলেন। কিন্তু তারা নিখুঁতের পাশাপাশি খুঁতটাও দেখেন। কিভাবে তৈরী হল এটাই তো বিজ্ঞানীরা বের করে চলেছেন। কিন্তু মানুষের এত সুন্দর দেহেও যখন অনেক কারিগরি ত্রুটি দেখতে পেয়েছেন তখনই বোঝা গেছে- এগুলো বিবর্তনের ফল।

          জবাব দিন
          • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
            সমাজের জন্য ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির জন্যই সমাজ- এটা কালচারের কথা, সভ্যতার কথা। কিন্তু বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানে এটা খাটে না।

            😮 😮

            এর মানে কি কইতে চাও ব্যক্তি ছাড়াই পপুলেইশন?

            পপুলেইশন ত ব্যক্তির সমষ্টিমাত্র। ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে সমষ্টি ক্যামনে? এটা এমন হয়ে গেলো না যে, পাতিলভর্তি ভাত একটা বিশেষ কিছু যা আলাদা আলাদা এক একটি ভাতের সমষ্টি থেকে আলাদা। অথবা, CCB as a whole without individual cadets.

            যেই সমষ্টিকে ব্যাখ্যা করতে চাইছো, সেটা অসংখ্য একক ব্যক্তির সমষ্টি, যেভাবেই দেখো। ;;;


            There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

            জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              আমি বলিনি যে ব্যক্তি ছাড়াই পপুলেশন। আমি বলেছি, কোন ব্যক্তির পক্ষে পপুলেশনের জিন পুলে পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব না। এজন্যই ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। মিউটেশন ঘটেই একটি নতুন প্রজন্মে। একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় তিনটার মত প্রজন্ম পায়। এই তিন প্রজন্মের মিউটেশনের তেমন কোন মূল্যই নেই। তাই সে কখনই মিউটেশনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে না।

              জবাব দিন
              • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

                আগেই বলে নেই, ভুল ধরা আমার উদ্দেশ্য নয়, যুক্তিটা ক্লিয়ার করাই আমার ইচ্ছে।

                আমার প্রশ্ন পপুলেইশনে পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যক্তি-মানুষের সচেতনতা নয়, বরং ব্যক্তির মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন। লক্ষ বছরের প্রকৃয়ায় পপুলেইশনে যে পরিবর্তন ঘটে, তা' ত কিছু কিছু ব্যক্তির ভিতর দিয়েই আসতে হয়, নাকি?- সেইটা ক্যামনে ঘটে তার ব্যাখ্যা দাও।

                পপুলেইশন ত সমষ্টিগত ভাবে প্রজননে অংশ নেয় না, সেটা করে ইনডিভিজ্যুয়ল।


                There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                জবাব দিন
          • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
            বিবর্তনের বিষয় কেবলই “প্রজাতির উৎপত্তি”। প্রজাতির উৎপত্তি ছাড়া অন্য কোন বিষয়েই বিবর্তনের মাথা ব্যথা নেই।

            উতপত্তি মানে ত জানতাম "শুরু", তাই না? সেটাই ত নাই দেখতাছি। তাইলে ক্যামনে কি? ~x( ~x(


            There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

            জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              না মাহমুদ ভাই। আমি এখানে Speciation বোঝাতে চেয়েছি। বিবর্তন শব্দটিতেই এর মূল নিহিত আছে। বিবর্তন মানে কি, একটা থেকে ভিন্ন আরেকটার উৎপত্তি, মোটকথা পরিবর্তন।
              এখানে প্রজাতির উৎপত্তি বলতে প্রাণের উৎপত্তি বোঝায় না। প্রাণের উৎপত্তি অ্যাবায়োজেনেসিস এর অন্তর্ভুক্ত। অ্যাবায়োজেনেসিস ও খানিকটা এগিয়েছে। এখন প্রাণের উৎপত্তি নিয়েও বেশ কিছু ব্যাখ্যা এসেছে কিন্তু সেটা বিবর্তনের বিষয় নয়।

              জবাব দিন
            • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
              উতপত্তি মানে ত জানতাম “শুরু”, তাই না? সেটাই ত নাই দেখতাছি। তাইলে ক্যামনে কি?

              চলুন না ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখি,নিউটন তো জানত না যে ম্যাটার অ্যাটম দ্বারা তৈরী,আর বোর জানত না বিগ ব্যাং সম্পর্কে।তার মানে কি এই যে গ্র্যাভিটি বা অ্যাটমিক মডেল মিথ্যা?

              জবাব দিন
          • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

            মুহাম্মদ,
            ১। আমি বলতে পারি। কারণ এক প্রজাতির তথ্য আরেক প্রজাতিতে ট্রান্সফার করতে না পারলে সবাইকে নতুন করে শুরু করতে হবে। এই কারনে জীন প্রজাতি থেকে প্রজাতির বিবর্তনে জীনের অস্তিত্ব দরকার।

            ২। 'ধীর' পরিবর্তনের কথা বলছ... শিম্পাঞ্জী দুইটা ক্রমোজম এক হয়ে মানুষের ২৩ জোড়া হয়েছে। তুমি কেমন করে এটাকে ধীর পরিবর্তনের অবদান বলবে? আমি আগে এটা নিয়ে লিখেছি, প্লীজ আবার পড়ো আর সম্পর্কিত কোন বৈজ্ঞানিক আর্টিকেলের রেফারেন্স দিও।

            ৩। আমি তোমার কাছ থেকে আমার আশা করা(expected) বানী শুনে খুশি হলাম। তোমরা এখনও আশায় আছ 'বিজ্ঞানীরা প্রমান করবে'। তাদের উপরে তোমরা বিশ্বাসী। আমরাও 'বিশ্বাসী'।

            কেউ কি আর্টিকেলটা পরে শেষ করতে পেরেছ?

            জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

          আপনি বলেছেন-
          ১। তোমার প্রথমে দেয়া উত্তরে একটা ‘কিন্তু’ আছে। ১ মিলিয়ন বছর আগে মানুষের ক্রমোজম আলাদা হয়েছে বলছ, আবার বলছ এর আগে ‘৫ মিলিয়ন বছর মানুষ এবং শিম্পান্জীর মেয়ে হাইব্রিড ছিল ভায়াবল’। মানুষ আগের সময়ে কোথা থেকে আসলো। আর আমার জানামতে এখনও কোন পরীক্ষায় প্রমানিত হয়নি যে মানুষ এবং শিম্পান্জী সংকর ভায়াবল। তোমরা না বিজ্ঞানে বিশ্বাসী, প্রমান ছাড়া কোন কিছু উল্লেখ না করাই উত্তম। আর কোন রেফারেন্স থাকলে দিও।
          আমার উত্তর-
          না, আমাদের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে। আমি বলেছি যে, আমাদের এবং শিম্পান্জীর লিনিয়েইজ আলাদা হয়েছে ৬ মিলিয়ন বছর আগে।লিনিয়েইজ আলাদা হলেই যে দুটি প্রজাতি সংকর তৈরী করতে পারবে না তা নয় যার প্রমান মিউল।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই সংকর ভায়াবল হবে কি না। তারপর আমি দেখিয়েছি যে, আমাদের এবং শিম্পান্জীর x ক্রোমোজম স্বতন্ত্র হয়েছে তারও ১ মিলিয়ন বছর পরে।যার মানে এর ৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে মানুষ ও শিম্পান্জীর মেয়ে সংকর যার সেক্স ক্রোমোজমের জিনোটাইপ xxহবে ভায়াবল। আর আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাসী না। যা প্রমানিত তা বিশ্বাসের আওতায় পড়ে না। আমি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করতে পারি ভুত,জ্বিন,পরী,টেলিকাইনেসিস,ই.এস.পি ইত্যাদি, তবে যদি আমি বলি আমি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করি F=MA সেটা হবে বিশ্বাস বিশেষ্যের অপপ্রোয়োগ।

          জবাব দিন
          • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

            আমি কনফিউসড।

            তোমার কাছে কোন প্রমান আছে যে মানুষ আর শিম্পাঞ্জীর মেয়ে ছিল ভায়াবল? এথিকাল কারনে এই জাতিয় কোন পরিক্ষা হইনি। তুমি প্রমান ছাড়া কেমন করে ধরে নিচ্ছ? বিজ্ঞানেই একে বলে 'ধরে নেই' যার অপর নাম 'বিশ্বাস করে নেই'।

            আর খেয়াল কর। গতবার তুমি বলেছে 'কিছু' ভায়াবল আর তুমি অন্য জায়গায় এটা কত স্বাভাবিক 'সব ক্ষেত্রে' ভায়াবল আখ্যা দিচ্ছ। কতো কন্ট্রোল্ড এনভারনমেন্টে গাধার আর ঘোড়ার পরবর্তী প্রজন্মের 'একটা' বাচ্চা তৈরী করেছে দেখেছ? আর আমার ভাই অন্তত বিবর্তনবাদের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস করতে ভয় হয়। তাদের অনেক কীর্তিকলাপ আছে, পরে বলব।

            ক্রমোজমের একটু একটু পরিবর্তন হজম করতে আমার ঝামেলা হয় না। কিন্তু এর সংখ্যাটা হটাত করে পরিবর্তন হলে কি ঝামেলা হয় তা নিশ্চয়ই আর্টিকেলটা পরে বুঝেছ।

            জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          ১ মিলিয়ন বছর আগে শিম্পান্জী থেকে মানুষের পরিবর্তন কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়েই হতে হবে। কারন ২৪ জোড়া ক্রমোজম থেকে ২৩.৯৯ জোড়া ক্রমোজম তার পরে আস্তে ধীরে ২৩ জোড়া হতে পারে না। ২টা ক্রমোজম জোড়া লেগে শিম্পাঞ্জীর ২৪ থেকে মানুষের ২৩ জোড়া ক্রমোজম ঘটনা একজনের ক্ষেত্রেই হতে হবে।

          আপনি বলেছেন "১ মিলিয়ন বছর আগে শিম্পান্জী থেকে মানুষের পরিবর্তন..."।আমি জানতে চাচ্ছি কোন পরিবর্তন?মানুষ ও শিম্পান্জীর লিনিয়েজ আলাদা হয় ৬ মিলিয়ন বছর আগে,যার আরও আগে 2a ও 2b ক্রমোজমের হেড টু হেড ফিউশন ঘটে, মানুষ ও শিম্পান্জীর x ক্রমোজম আলাদা হয় তার ১ মিলিয়ন বছর পর।আপনি সম্ভবত ধরেই নিয়েছেন যে একটা মাত্র জেনেটিক ইভেন্টই স্পিসিয়েইশন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট যা কিনা সত্য নয়।

          হ্যা এটা সত্য যে ২টা ক্রমোজম জোড়া লেগে শিম্পাঞ্জীর ২৪ থেকে মানুষের ২৩ জোড়া ক্রমোজমের ঘটনা একজনের ক্ষেত্রেই হতে হবে।তবে এই বাক্যে শিম্পাঞ্জী ও মানুষ শব্দ দুটির ব্যবহার সঠিক নয় কেননা তারা তখনও শিম্পাঞ্জী ও মানুষ হয়ে ওঠেনি, তারা তখনও ছিল ড্রায়োপিথেকাস্ বা মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর শেষ কমন অ্যান্সেস্টর।আর ব্যাপার টা এভাবেও ঘটেনি যে ঐ এক ইনডিভিজ্যুয়ল ড্রায়োপিথেকাস্ তার ফিউসড ক্রমোজম আবিস্কার করে হঠাৎ বলে উঠল আমি আজ থেকে মানুষ আর তোমরা যাদের ক্রমোজম ফিউসড না তারা শিম্পাঞ্জী।বস্তুত ব্যাপারটা এইরকম যে সেই ফিউসড ক্রমোজম ইনডিভিজ্যুয়ল ড্রায়োপিথেকাস্ তার দশ হাজার জেনারেশন পরের লিনিয়েজে দেখল তার বংশধরেরা মানুষ আর ঐ সেপেরেইটেড ক্রমোজম ড্রায়োপিথেকাসেরা তাদের দশ হাজার জেনারেশন পরের লিনিয়েজে দেখল তাদের বংশধরেরা শিম্পাঞ্জী।আমি বলব ইনডিভিজ্যুয়ল ইভল্ভ করে না,ইভল্ভ করে পপুলেশন।

          জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          বিবর্তনবাদ মিথ্যা এটা আমি বলতে চাই না, তবে এটা অকাট্য সত্য সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। বিবর্তনবাদ বা বিগব্যাং থিউরী শুরুর পর থেকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দেয়, শুরুটা যেন কেমন একটা শুন্যতার মধ্যেই রয়ে যায়।

          বিবর্তনবাদ যা আজ থেকে দেড়শ বছর আগে প্রথম প্রকাশিত হয়ে এ প্রযন্ত সবচেয়ে বেশী চ্যালেনজের সম্মুখীন হয়েছে। সবচেয়ে বেশী সংখ্যক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ কাজ করেছে একে মিথ্যা প্রমান করার জন্য, তারপরও কেউ নিয়ে আসতে পারেনি একটি এভিডেন্স যা এর বিবর্তনের বিরোধীতা করে, এজন্যই এখন পর্যন্ত কোন সায়েন্টিফিক জার্নালে এর বিরোধী কোন পেপার নেই।ডি এন এ এর আবিস্কারের পর গ্র্যাভিটি যেমন সত্য বিবর্তনও তেমনি।

          জবাব দিন
  2. সদস্য প্রোফাইল পড়লাম......... জুবায়ের বেঁচে আছ তাইলে ???????? তুমিতো আমাদের মাঝ থেকে পুরাই হারায় গেছো..... শেষ কবে ইয়াহু গ্রুপে তোমার মেইল দেখছি মনেই পড়েনা.... কারো কাছে তোমার কোন ইনফো শুনছি এটাও মনে পড়েনা.......

    যাইহোক, খুব খুব ভাল লাগলো তোমাকে আবার অনলাইন দেখে.... কোথায় আছ এখন, কি করতিছো ??? এখন কি জার্মানী তে ??? মোস্তাফিজ মনে হয় বিয়ে করছে... জানো এইটা ???

    থাক, আমি সবার মত শুধু টাইটেল আর সতর্কবাণী পড়ে হ্যাং করছিলাম কিন্তু এইবার আসলেই টাশকি খাইছি....... তুমি কলেজে পড়লা আর্টস নিয়ে, লন্ডনে গেলা ল' পড়তে আর এখানে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে এমন একটা পোস্ট দিলা যেইটা মাথার কত উপর দিয়ে গেল না বললেও চলে..... 🙁

    ভাল থাইকো...... ( পারলে মেইল করে জানাইও সবাইরে কেমন আছ... আমরা তোমাকে মিস করি..... তুমি দেশের বাইরে গেছ ঠিকই কিন্তু আমাদের ক্যাডেট সত্ত্বার বাইরে যাও নাই....
    we still think of u...... )

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      হ্যা বেঁচে আছি, ব্যেরলি ব্রিদিং, ব্রিটেনেই আছি,মোস্তাফিজকে আমার শুভেচ্ছা জানাবা।আমি এই সেপ্টেম্বরে গ্র্যাজুয়েট হচ্ছি।জুনে পরীক্ষা শেষে দেশে আসছি।

      হুম তাহলে তোমাকে বলি, বায়োলজি সংস্লিষ্ট ল যেমন ফরেনসিক ল, এভিডেন্স ল, মেডিক্যাল ল, বায়োএথিক্স, ক্যেমিক্যাল ল,এনভায়রনমেন্টাল ল এগুলি বর্তমান সময়ে খুবই ডিমান্ডিং। আমি পোষ্টগ্র্যাড করব ফরেনসিক এভিডেন্স বা বায়োএথিক্স এ, আর ভাল কোন ইন্ষটিটিউশনে এই সাবজেক্টগুলিতে চান্স পাইতে তোমার ভাল জিইডি স্কোর লাগবে।আমি মলিক্যুলার বায়োলজি টিউশন নিচ্ছি।

      আর আমি যা লিখছি তা তা হয়ত একবারে বোঝা যাবে না, তবে বায়োলজি এমনই, তিন চার বার পড়ার পর টার্মগুলা মুখস্ত হয়ে গেলে দেখবা যে জটিল কিছুই না, অনেকগুলা টার্ম মাত্র।যারা এখানে বলতেছে যে এইটা বুঝিনা, তারাই দেখ যে ডিফারেন্সিয়াল জিয়োমেট্রি, কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রি সুন্দর বুঝতেছে।বায়োলজি নিয়ে আমাদের বোধহয় একটা অযৌক্তিক ভয় কাজ করে।

      জবাব দিন
  3. মাসুম (৯২-৯৮)

    পড়া শুরু করছিলাম। ভূমিকা পড়ার পর মনে হইল ভূমিকার প্রথম লাইনে "আমরা জানি" লেখাটা ঠিক হয় নাই। কারন আমাদের দুইজনের মধ্যে শুধু তুমি জান। আমি জানিনা।

    বাকী লেখা সম্বন্ধে কমেন্ট করার মত জ্ঞান নাই।

    উম ম কমেন্ট হইতেসে........ "হাতের লেখা ভাল"..।

    জবাব দিন
  4. তৌফিক (৯৬-০২)

    বুঝি নাই...... :no:

    এতোদিন আন্দালিব শক্ত সাহিত্য দিত, এই পোলায় শক্ত বিজ্ঞান দিতাছে। আমার মতো আম পাবলিকরা কেমনে বুঝবো? :((

    যাই হোক, স্বাগতম।

    ওই রকিব......

    (রকিব পোলাটা চরম ভালো, সামিয়া থাকলে ক্যাডবেরী পাইত অনেক)

    জবাব দিন
  5. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    মি কলেজে পড়লা আর্টস নিয়ে, লন্ডনে গেলা ল’ পড়তে আর এখানে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে এমন একটা পোস্ট দিলা

    ওই রকিব ওরে :teacup: আর আমার মাথায় ঠান্ডা পানি দে। যে জিনিষ পড়লাম

    জবাব দিন
  6. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অর্ণব : ভাইয়া তোমার লেখাটা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই। বিশেষ করে আনবিক জীববিদ্যা!

    বিবিসিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ায় পনের লাখ বছরের পুরনো মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়ার একটা প্রতিবেদন পড়েছিলাম।

    এটা সহজে বুঝতে পেরেছি। আমার মনে হয়, অর্ণব যদিও বিষয়টা সহজ নয়, তবু আমাদের জন্য আরেকটু সহজবোধ্যভাবে লিখ। উপকৃত হবো। ভিন্ন ধরণের বিষয় নিয়ে লেখার জন্য তোমাকে :hatsoff:

    আরেকটা বিষয় : খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিসিবিতে মোটামুটি সিনিয়র (এক সপ্তাহ আগেও লিখতাম মোস্ট) হিসাবে তোমাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমার সম্মানে ১০টা :frontroll: শুরু করে দাও। অ্যাডজুটেন্ট ইউসুফ কাউন্ট শুরু করে দিয়েছে!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি বুঝতে পারছি অনেকের জন্য এটা কঠিন হয়ে গেছে।তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বায়োলজি পরার ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম যে প্রথম বার পরতে হয় আপনার টার্মগুলো মুখস্ত করতে, আর তারপরই দ্বিতীয়বার পড়লে সেই টার্মগুলোর ইন্টার-অ্যাকশন বোঝা, আমি নিশ্চিত যা আপনার প্রথম দেখায় জটিল মনে হয়েছে, কয়েকবার পড়লেই সহজ মনে হবে।তারপরও যেই জটিলতাগুলো রয়েছে আমি দাবী করছি সেগুলো কনটেক্সচুয়ল জটিলতা নয় বরং আমার ভাষাগত অযোগ্যতা, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু জাগাতেই দেখা যাচ্ছে ভাষার সফল এবং সহজবোধ্য ব্যবহার করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি।এটার স্বপক্ষে আমার ডিফেন্স এইটা যে,বিগত পাঁচ বছরে আমি এই আর্টিকল ছাড়া কোন অ্যাকাডেমিক বাংলা লিখিনি।অবশ্যই আমার পরবর্তী আর্টিকলগুলোতে এই খুঁত পর্যায়ক্রমে দুর হতে থাকবে।

      জবাব দিন
  7. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    ভাইয়ের সাথে আমার নামের মিল আছে(আমার পুরা নামঃ আব্দুল্লাহ যোবায়ের শার্লী), বিষয়ের মিল আছে(আইন), মনে হয় সার্টিফিকেটেরও মিল আছে(ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন), কিন্তু জ্ঞানে বিশাল পার্থক্য।

    জবাব দিন
  8. আন্দালিব (৯৬-০২)

    চমৎকার! আমি অনেক সময় নিয়ে একটু একটু করে পড়লাম। কলেজে প্রিয় বিষয় ছিল বায়োলজি আর তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল লাগত জেনেটিক্স। কিন্তু ঢা:বি:-তে ভাল রেজাল্ট করেও ডিপার্টমেন্টের করুণ দশা দেখে পড়ার সাহস হয় নাই! নাহলে আজ হয়তো এসব নিয়ে কাজ করতাম, জানতাম! 🙁 🙁
    তবে খুব ভাল লাগলো পুরোনো টার্মগুলো দেখে, ভুলেই গিয়েছিলাম। পড়তে পড়তে মনেও পড়ে গেল অনেক খুঁটিনাটি... আসলেই চমৎকার লিখেছ অর্ণব। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে মিলগুলো আমি জানতাম না, সেগুলো এরকম আক্ষরিকার্থে প্রমাণস্বরূপ পেয়ে ভাল হলো। এখন কোথাও আলগা জ্ঞান ঝাড়তেও পারবো! ;;;

    ভাল থেক। আরো লেখা চাই এমন! :thumbup:

    জবাব দিন
  9. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আমিও পড়ার হালকা ট্রাই মারলাম একটা। 😀 😀

    অ-নে-ক কিছু বুঝছি বলে মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে B-) B-)

    (অফটপিকঃ মানুষের ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখো বাছা। কোন কারনে প্যাঁচ খাইলে কিন্তু যুক্তির এই কঠিন গাঁথুনী টাল খায়া যাবো।)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      মাহমুদ ভাই লিখেছেন- "মানুষের ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখো বাছা। কোন কারনে প্যাঁচ খাইলে কিন্তু যুক্তির এই কঠিন গাঁথুনী টাল খায়া যাবো।"

      জ্বী ধন্যবাদ,বস্তুত আমি মানুষের ইতিহারের বিরোধের কোন স্কোপ দেখছি আপাতদৃষ্টিতে, আপনি কি স্পেসিফিকলি কোন বিরোধ খুঁজে পেয়েছেন?জানালে কৃতজ্ঞ হব।

      আর অবশ্যই এটা সুখবর যে অনেকেই এখন এটা পড়ে বুঝতে পারছে,আজ এই পোষটের দ্বিতীয় দিন, প্রথম দিন প্রায় কেউই বোঝেনি।আমি ঠিক এমনটাই ধারণা করেছিলাম যে সময় গেলে দুই তিন বার পড়া হলে সবাই ই বুঝবে।

      আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        আমি আসলে বলতে চাইছি যে, শুধু বিজ্ঞান (জীববিজ্ঞান, ইত্যাদি) দিয়ে বিষয়টা ব্যাখ্যা করলে সামাজিক বিজ্ঞানের লোকজনে নিজেগো হালকা কম গিয়ানী মনে করতে পারে। 😀 😀

        কাজেই, কিছু কিছু রেফারেনস এদিক থেকেও দিও।

        আর হ্যাঁ, সামাজিক ইতিহাসের একটা ছোট্ট কোর্স পড়ছিলাম অনেক আগে। ওইখানে কইছিলো মানুষের প্রামান্য ইতিহাস ১২,০০০ বছরের আশেপাশে। কিন্তু এখানে যে দেহি লাখে লাখে... 😮 😮 একটু খোঁজ-খবর কইরো ত। যতদূর মনে হয়, ওরাও কি সব অস্ট্রালোপিথাকাস-ক্রমেনিয়ান-নিয়ান্ডার্থাল- - - (দাত বাঁচানোর স্বার্থে বাকিগুলা বাদ দিলাম... 😀 ) নিয়ে ভালোই নাড়াচারা করে।

        (সংবিধীবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আমাকে কিন্তু কইতে পারবা না রেফারেনস খুঁজে দিতে। চাইলে নিজে নিজে......)


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

          ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।সামাজিক বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে মানুষের ইতিহাস যখন বলছেন,আপনি কিন্তু বোঝাচ্ছেন লিখিত ইতিহাস।এর আগেও আমাদের পূর্বপরুষদের মিলয়ন বছরের ইতিহাস আছে যারা কিনা তখনও লিখিত রেকর্ড রাখা শেখেনি।নৃতত্বের ছাত্রদের জেনেটিক্স জানতে হয়।

          জবাব দিন
          • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

            লিখিত ইতিহাস না মোটেও। লিখিত ইতিহাসের বয়স ত মাত্র তিন হাজারের কাছাকাছি।

            আমি বলেছি প্রামান্য ইতিহাস, অর্থ্যাত যা প্রমান করা যায় (যা শুধুই অনুমিত নয়, যা'র অকাট্য প্রমানও আছে।)

            নৃতত্বের ছাত্রদের জেনেটিক্স জানার প্রয়োজনীয়তা কি প্রমান করে, বুঝাই দেও।


            There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

            জবাব দিন
            • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

              উপরের দিকে আরেকটা বিষয় জানতে চাইছিলাম, ইনডিভিজ্যুয়ল আর পপুলেইশন বিষয়ে। ওটাও দেইখো।


              There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

              জবাব দিন
            • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

              আপনি ইতিহাসের অকাট্য প্রমান চাইছেন।আমার এই প্রবন্ধটা কি আপনার অকাট্য মনে হচ্ছে না? তাহলে চলুন আমরা কোনভাবে কাটা যায় কিনা চেষ্টা করি। আপনি pubmed থেকে যে কোন দুটি ফাইলোজেনেটিকালি রিলেইটেড অর্গানিজমের কোডন ইউসেজ বায়াস ডাউনলোড করে নিউক্লিওটাইড টু নিউক্লিওটাইড তুলনা করে দেখুন কোন অসঙ্গতি পান কিনা।

              জবাব দিন
            • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
              আমি বলেছি প্রামান্য ইতিহাস, অর্থ্যাত যা প্রমান করা যায় (যা শুধুই অনুমিত নয়, যা’র অকাট্য প্রমানও আছে।)

              প্রামান্য ইতিহাস লিখিত না হলে হতে আর্কিওলজিকাল তাই না।লিটারেচার এবং আর্কিওলজি আপনার কাছে প্রামান্য হলে জেনেটিক্স কেন নয় জানতে পারি কি?

              জবাব দিন
              • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
                যা শুধুই অনুমিত নয়, যা’র অকাট্য প্রমানও আছে।

                কে আপনাকে বললো জেনেটিক্স, মলিক্যুলার বায়োলজি অনুমিত?অনুমিত হলে কি আপনি এদের মিথ্যা প্রমানিত করতে পারেন?পারলে সেটা কোন সাইন্টিফিক জারনালে পাঠিয়ে নোবেল জিতে নিন।

                জবাব দিন
                • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
                  ওইখানে কইছিলো মানুষের প্রামান্য ইতিহাস ১২,০০০ বছরের আশেপাশে। কিন্তু এখানে যে দেহি লাখে লাখে… 😮 😮 একটু খোঁজ-খবর কইরো ত।

                  মাহমুদ ভাই আপনের এই কথা শুইনা আমি প্রচণ্ড রকমের হতাশ। এটা আপনি কেমনে বললেন। আপনি যে ১২,০০০ বছরের কথা বললেন সেটা মানব সভ্যতার ইতিহাস, মানুষের ইতিহাস না। বিবর্তন ছাড়া মানুষের ইতিহাস কোনভাবেই পূর্ণ করা যায় না।

                  সভ্যতার ইতিহাস দিয়ে বিজ্ঞানের কোন লাভই হয় না। তবে সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে নৃবিজ্ঞানীরা কাজ করেন। যেমন জ্যারেড ডায়মন্ড তার "গানস জার্মস অ্যান্ড স্টিল" বইয়ে সভ্যতার ইতিহাস ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু সেটা করার আগে তিনি "সভ্যতা শুরুর আগে" নামক একটা অধ্যায় যুক্ত করেছেন।
                  এই আগের ইতিহাসটাই বিবর্তনের জন্য প্রয়োজন। আর সমাজবিজ্ঞানীদের ইতিহাস দিয়ে কিন্তু জীববিজ্ঞানীদের কোনই লাভ নেই, এটা মনে রাখা প্রয়োজন।

                  ১২,০০০ বছরের আগেও যে মাইনষের ইতিহাস আছে এইটা জানার জন্য এই লেখাটা পড়তে পারেন:
                  সভ্যতা শুরুর আগে - জ্যারেড ডায়মন্ড

                  জীবাশ্মবিজ্ঞান, জেনেটিক্স, ভূতত্ত্ব, জ্যোতির্জীববিজ্ঞান, ভূ-রসায়ন এসবের সাহায্যে সে ইতিহাসের অনেক কিছুই আমরা জানতে পেরেছি, অনুমান করে নয়। এমনকি বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে, পৃথিবী সৃষ্টিরও আগের ইতিহাস জানা সম্ভব আছে। এটা পড়ে দেখুন:
                  মহাজাগতিক ইতিহাসের ভাষা

                  হোমারের ইতিহাস যতটা প্রমাণিত, আজ আমাদের কাছে লক্ষ বছর আগের মানুষের ফসিল তার চেয়েও বেশী প্রমাণিত। মাহমুদ ভাই, এটাকে অনুমান মনে করার কোন যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে পারবেন?

                  জবাব দিন
                  • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
                    মাহমুদ ভাই আপনের এই কথা শুইনা আমি প্রচণ্ড রকমের হতাশ।

                    ওই মিয়া, তুমি খালি হতাশ হইতাছো ক্যান? আমি কি সব জেনে তারপরে বিতর্কে নামছি নাকি? :grr: :grr:

                    আমি অনেক কিছুই জানি না। আর ডারউইনা মামুর এই বিষয়টা ত এক্কেবারেই না। 😀 😛 কিন্তু তোমাদের আগ্রহ দেখে আমার জানতে ইচ্ছে করে। তখন পরা শুরু করি, কিন্তু কিছু কিছু প্রশ্ন আসে মনে, সেইগুলাই তোমাদের করি। ছাত্রের প্রশ্নে মাষ্টার-মশাই হতাশ হলে ত মুশকিল। :((


                    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                    জবাব দিন
                • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
                  সেটা কোন সাইন্টিফিক জারনালে পাঠিয়ে নোবেল জিতে নিন।

                  অর্ণব কইছে। :)) :))

                  ধন্যবাদ ছূডো ভাই। ওইটা তোমার জন্যই থাকলো। তুমি এত এত কষ্ট করতাছো, মাঝখান থেকে আমি নুবেল পেরাইজটা মাইরা দিলে ক্যামনে কি? ~x(

                  তয় প্রশ্ন জিগাইলে মনে হয় হালকা চেইত্যা যাইতাছো? বিয়াপার না। আমি ত এই বিষয়ে গিয়ানের সমুদ্র, অন্ততঃপক্ষে সমুদ্রগ্রামী জাহাজও না যে আমার কোনো কোন পূর্ব-ধারনা থেকে তোমার সাথে কু-তর্কে নেমে তোমার যুক্তি ভুল প্রমাণ করতে বসবো। মুখ্যসুখ্য ছাত্র হিসেবে কিছু প্রশ্ন মনে আইছিলো, জানতে চাইছি। মনে হচ্ছে, সেটা মাষ্টার-মশায়ের ভালো লাগছে না। তাই, আজ মন খারাপ করেই ইস্কুল থেকে যাইগা।

                  একটা কথা, তোমার এই প্রবন্ধ যদি আসলেই "অকাট্য" মনে কর, তাইলে আমার একটা সিরিয়াস পরামর্শ আছে, এইটা তুমিই কোনো জার্নালে পাঠায়া দাও। (জানিনা এটাও আবার খুবই বোকাবোকা কথা হয়ে গেল কিনা :no: )


                  There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

                  জবাব দিন
                  • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
                    তুমিই কোনো জার্নালে পাঠায়া দাও।

                    কোডন বায়াস নিয়ে এর আগে পেইপার জমা হয়েছে অনেক, একারণেই এখন আমি আপনি এটা জানতে পারছি।

                    মাষ্টার-মশায়ের ভালো লাগছে না।

                    এটা আপনার মতামত আমি মনে করি না আপনার এই ক্লেইম আপনি কোন এভিডেন্স দ্বারা সাপোর্ট করতে পারেন, যদি মনে হয় পারেন দয়া করে জানাবেন যে কি দেখে আপনার ধারণা হল আমি আপনার উপর রাগান্বিত হয়েছি।মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার মনে হচ্ছে আপনি রাগান্বিত।আমার এই ক্লেইম সাপোর্টেড এই পোস্টে আপনার ভাষার ব্যবহার দিয়ে।

                    জবাব দিন
                    • এটা আপনার মতামত আমি মনে করি না আপনার এই ক্লেইম আপনি কোন এভিডেন্স দ্বারা সাপোর্ট করতে পারেন

                      have you ever seen a teacher suggesting a student to try the Nobel prize for raising questions about some points in the discussion? (ami ekhon dept e, tai bangla likhte parsi na :(( )

                      Akelmand ke lie isharai kafi ;;;

  10. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখা শুরু করার জন্য। এর মাধ্যমে বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিষ্কার হবে এবং একই সাথে আণবিক জীববিজ্ঞানের বেসিক পরিষ্কার হবে। আমি নিয়মিত এটা পড়বো। অনেক দেরিতে মন্তব্য করলাম। আসলে আজ সারাদিন হলের বাইরে ছিলাম। বাসে মোবাইলে নেট ব্রাউজ করতে গিয়ে প্রথম ব্লগটা দেখি কিন্তু পড়া হয়নি। হলে এসে বেশ কয়েকবার পড়লাম।
    কয়েক জায়গায় বুঝিনি। আবার পড়লে বুঝে যাব আশাকরি। কিন্তু অন্যদের মত আমিও বলি, আরেকটু সহজ করে লিখলে ভাল হতো। যেমন এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখলে ভাল হতো:

    - ট্রান্সলেশনের ব্যাখ্যাটা initiation, elongation এবং termination এর মাধ্যমে দিলে ভাল হতো। এই ধাপ তিনটা সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা নেই। আর এখানে ট্রান্সলেশন বুঝতে গিয়েও অনেক সমস্যা হয়েছিল। তাই এভাবে একটা ব্যাখ্যা আশা করছি।
    - কিছু কিছু লাইন অনেক লম্বা হয়ে গেছে, যার ফলে মূলভাব ধরা যায়নি। প্যারাগুলো অনেক ক্ষেত্রে বেশী বড় হয়ে গেছে। আরও ছোট ছোট প্যারা এবং প্যারাগুলোর মাঝে এক লাইন গ্যাপ দিলে পড়তে আরাম লাগে।
    - ছবি এবং ডায়াগ্রাম দিয়ে বোঝালে আরও ভাল হতো। ৬৪ কোডনের ছবিটা থাকা প্রয়োজন ছিল।
    - সব মিলিয়ে এটাকে পাঠ্যবইয়ের লেখা মনে হচ্ছে। সবার বোঝার মত করে লিখলে ভাল হতো।

    সিদ্ধান্তটা বোঝা গেছে:
    মানুষ, সাধারণ শিম্পাঞ্জি ও রেসাস বানের এই তিনটি প্রাণীতেই gag কোডন গ্লুটামিক এসিড সংশ্লেষণ করে। তার মানে এরা নিকটাত্মীয়।

    কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সাথে আগের সবগুলো তথ্য মিলিয়ে নিতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে। সবশেষে বোঝা গেছে। কিন্তু পাঠকদের যেন আরও কম কষ্ট করতে হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ করলাম। এই লেখাটাও আরও সহজবোধ্য করে লিখতে পারেন। বাংলায় তো এইগুলা নিয়ে লেখাই নাই। সেক্ষেত্রে এগুলা নেটে রিসোর্স হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।

    আরেকটা কাজ করা যায়। কঠিন বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করলে যদি বোঝা না যায় সেক্ষেত্রে সে শব্দগুলো বাদ দিয়ে সাধারণভাবেও বোঝানো যেতে পারে। এমন হতে পারে বৈজ্ঞানিকভাবে লেখার পর ব্র্যাকেটে বা পরিশিষ্টে স্থূল উদাহরণ বা সাধারণ শব্দ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন।

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      মুহাম্মদ তোমার মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।আমি জানি এটা একটু জটিল হয়ে গেছে।সহজ করে লিখলে এত কিছু লেখা সম্ভব হত না, ডিটেইলস্ আর সারল্যের দুটি কম্বিনেইশন থেকে আমাকে একটি বাছতে হয়েছে।আমি একটু জটিল করে হলেও সবচেয়ে বেশী তথ্য টাচ করে গিয়েছি এটা মনে করে যে যারা আগ্রহী হয়ে এটা পড়বে তারা একাধিক বারই পরবে, ফলে সেটা আর জটিল থাকবে না।

      তোমার একটি ছোট ভুল শুধরিয়ে দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি। আমি এটা বলিনি যে, "এই তিনটি প্রাণীতেই gag কোডন গ্লুটামিক এসিড সংশ্লেষণ করে। তার মানে এরা নিকটাত্মীয়"। আমি বরং বলেছি গ্লুটামিক এসিডের কোডন gag ও gaa বায়াস নিরপেক্ষ হওয়া সত্বেও মানুষ, সাধারণ শিম্পাঞ্জি ও রেসাস বানর শুধু gag ব্যবহার করে এই কারণে যে তারা সবাই একটি কমন অ্যানসেস্টর সেয়ার করে।শুধু এই তিনটি প্রাণীতেই নয় বস্তুত পৃথিবীর সব প্রাণীতেই gag কোডন গ্লুটামিক এসিড সংশ্লেষণ করে কেননা জেনেটিক কোড প্রাণী নির্বিশেষে অপরিবর্তনিয়।

      জবাব দিন
      • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

        হ্যা, আপনি ডিটেইলস টা বেছে নিয়ে ভাল করেছেন। বুঝতে পারছি। ঠিকই আছে আসলে। আরেকটু ছাড়া ছাড়া ভাবে লিখলেই পড়তে আরও ভাল লাগত। পরের পর্বগুলা নিশ্চয়ই আরও চমৎকার হবে।

        বিশাল ভুল করছি। আসলে আমার বোঝায় কিছু গলদ ছিল। কোডন বায়াসের বিষয়টা বুঝলেও ঐ পয়েন্টটাতে জোর দেই নাই। এইবার আরও পরিষ্কার হইল। থ্যাঙ্কিউ...

        কথা হচ্ছে, আপনার মূল লেখা সম্বন্ধে কিছু না বলে এখানে কেবলই অন্যান্য স্থূল বিষয় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে আসলে শুধু আণবিক জীববিজ্ঞানের এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হলেই সবচেয়ে ভাল হতো। আরও যেসব ডাউট আছে সেগুলো নিয়ে পড়ে যখন লিখবেন তখন না হয় সেগুলো উত্থাপন করা যেতো।
        যাহোক আপনার পরবর্তী পর্বগুলোতে নিশ্চয়ই আলোচনা আরও বস্তুনিষ্ঠ এবং জোড়ালো হবে। অপেক্ষায় থাকলাম।

        জবাব দিন
        • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
          আপনার মূল লেখা সম্বন্ধে কিছু না বলে এখানে কেবলই অন্যান্য স্থূল বিষয় নিয়ে আসা হচ্ছে।

          আর আসবে না ভাইডি। স্থুল বিষয়গুলো নিয়া আমি ফুটলাম। 😀 😀


          There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

          জবাব দিন
  11. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ঘুম আসতেছিল না...
    তাই এই পোস্ট পড়তে আইছিলাম... :-B
    অক্ষণ যাই...
    ঘুমে চোখ বুইজ্যা আইতেছে... 😀

    অর্ণব, গান-বাজনা করতা ঐটাই ভাল ছিল... ;;;
    কি দিলা কিছুই ধরতে পারলাম না... :no:
    কবে বড় হব, আর এসব বুঝব??? :((

    অটঃ মাইন্ড খাইও না কিন্তু ভাইডি...মজাক করলাম... O:-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : বন্য (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।