আরিফ, কোথায় আছিস-কেমন আছিস কিছুই জানিনা। দোষটা অবশ্যই আমার যে তোকে একবার ঠিকানাটা জানিয়েও চিঠি লিখিনি। অকৃতজ্ঞতার মাত্রাটা বোধহয় একটু বেশী-ই হয়ে গেছে।
তোর শেষ চিঠি পেয়েছি ১৫ ডিসেম্বর, দিন তারিখ এখনো মনে আছে, রোজার ঈদের আগে, আর আজ ২৬শে মার্চ, আজকে তার উত্তর লিখছি। মাঝে যে চেষ্টা করিনি তা নয় তবে নানা কারনে তা অসম্পূর্ন থেকে গেছে। আর ঢাকা থেকেও কয়েকবার ফোন করে তোকে ধরার চেষ্টা করেছি, পাইনি, তোরা নাকি Building change করেছিস বলে, তাই সবদিক থেকেই বেকায়দায়।
এখন লিখতে খুব খারাপ লাগছে যে, আমি এতদিন তোর কাছে না লিখে, তোকে ভুলে থাকতে পারলাম! ক্যাডেট কলেজের ১০২- ১০৩ রুমের দূরুত্ব মনে করলে সেটা আরো বাড়ে। তাই অনুরোধ, এবং আপ্রাণ চেষ্টা যাতে এটা হাতে পেলে ক্ষমা পাই এবং
কলেজের সেই অলস-ফাকিবাজ-নেকা বলে তুই তোর রাগ গুলো ঝেড়ে ফেলবি। কোনখান থেকে শুরু করব বুঝতে পারছিনা, ইচ্ছা করছে সেই class seven থেকে, কিন্তু অতো দুরে যাবোনা। বাইরে এখন একটা চমৎকার বিকাল, খুব বাতাস হচ্ছে, রোদ পড়ছে আবার কখোনো কখোনো ছায়া, গরম নেই মোটা মুটি ঠান্ডা। কলেজে বা একত্রে থাকলে এরকম বিকাল গুলো কি চমৎকার পালিত হতো তাইনা? “হাউসে 1 TO KA 4 বাজছে, ক্যান্টিন খোলা, Basket ball
ground এ দুমদাম বোম-বাস্টিং চলছে………..।
এগুলো আর ফিরে পাবার নয় কেবল স্মৃতি হাতড়ানো ছাড়া। এই সেদিন শরিয়তউল্লাহ্ হাউসের ১০১-১০৬ এর মধ্যে ১৭জন ছিলাম আর আজকে আমি চট্রগ্রাম-তুই খুলনা-আরমান যশোর-ইমরান ঢাকা, সবাই বিছিন্ন আর নিজেদের নিয়ে চরম ভাবে ব্যাস্ত। এটাই হয়তবা জীবনের প্রকৃত রূপ আর যেটা ভাবছি-ভাবি বা বারবার মনে করি, ঐ ক্যাডেট কলেজের ছয়টা বছর সেটা হয়তবা এক প্রকার শৈশব বা তারই শেষাংশ। তারপরও বুঝিনা, আমরা একজন, আরেকজনের কাছে লিখতে গেলে, এক সাথে বসে আড্ডা দিতে গেলে
সবকিছু যেন ঐ ৪২ একরের মধ্যেই আবদ্ধ এটা যখন হয়, তখন তুই(…..)আমার/ আমাদের কাছে (…….)ই থাকবি, মানুষ হয়ে যাচ্ছিস-এটা কখনও ভাবিস না। অন্তত: আমার বন্ধুত্বের বন্ধন তাই বলে। ………………………………………………..
এটা ছিল আমার এক ক্লাশমেটের বি,এম,এ-থেকে আমাকে প্রথম লেখা তার ৩পৃষ্ঠার, ১ম পাতার লেখাগুলো………….
আমি জানিনা ও এই ব্লগে আমার লেখা পড়বে কিনা, পড়লে হয়ত ও নিজেই বুঝবে কিনা যে, এটা তার লেখা চিঠি…অনেক দিনের
পুরানো যে…..
দোস্ত,
তুই ঠিকই বলেছিস সব ৪২ একরের মধ্যে ৫৫ টা জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ…..এই জন্য যদি কেউ বলে “তোমাদের ব্যাচটাকে খুব ভাল মত মনে আছে শুধুমাত্র এই কারনে” জিনিস টা আমি সহজ ভাবে নিতে পারিনা, অন্য সব কথা মেনে নিলে ও, আমার ভুল হয়েছে, আমার স্যারদের ব্যাপারে এইগুলো লেখা হয়ত ঠিক হয়নি, আসলেতো কথাগুলো হয়ত সঠিক।
তবে, কেন আমাদের ব্যাচের কি কোন অন্য ভাল গুন ছিলনা?…যার জন্য আমাদের বড় ভাইরা আমাদের মনে রাখতে পারেনা! রিয়াজ কলেজে কোন প্রিফেক্ট না হয়ে আর্মিতে ঠিকই “সোর্ড অব অনার” পেয়েছিল,(যা আমাদের কলেজের প্রথম”সোর্ড অব অনার”)
এস,এস,সি তে ২২ টা স্ট্যান্ড(কলেজে ২য় বেস্ট রেকর্ড)
এইচ,এস,সি তে ২৩ টা স্ট্যান্ড (আমার জানামতে এটাই বেস্ট)
আন্ত:ক্যাডেট কলেজ বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়ন…
যাহোক, এইগুলো হয়ত আমাদের ব্যাচকে চেনার জন্য বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি, আমাদের কলেজের বড় ভাইদের কাছে….
আমি অতি নগন্য টাইপের ক্যাডেট ছিলাম কলেজে, আমি হয়ত ক্যাডেট কলেজের নাম কোন দিন উজ্জ্বল করতে পারবো না..(যদি না আহসান ভাইয়ের মত জীবনে কোন র্টানিং পয়েন্ট না আসে..যার চান্স ০.১%)…একমাত্র ডোবাতেই পারি….যেমন এই ব্লগকে ডুবিয়েছি………কলেজে থাকতে হাউসকে ডুবিয়েছি “ফেল” মেরে।
আসলে আমি কাউকে দোস্ত হিট করতে চাইনা..কিন্তু তার পরেও কেমন জানি সব ঘোলাটে হয়ে যায়…হয়ত আমার কপালই খারাপ , করতে যাই এক, হয় ঠিক তার উল্টা…..তাই আমি চাইনা এই বির্তক আর বাড়ুক……আমাদের মধ্যে বিভক্তি আরও বাড়ুক।
যারা সবাই মন্তব্য করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ………।
অফটপিক: মরতুজা ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে যে আপনি প্রথমে ভুল গুলি ধরেছেন। আর জিহাদ আমার বির্তকিত পোস্ট গুলো মুছে ফেল। আর কারো বির্তকিত পোস্ট থাকলে আগেই সমাধান করো। একজন বলার পর সেটা নিয়ে বেশী মাতামাতি করা আমার কাছে মনে হয় ঠিকনা, যদিও আমি বেশী জ্ঞানীগুনী টাইপের ক্যাডেট না।
আমি লজ্জিত সকল ক্যাডেট কলেজ পরিবারের কাছে, আমার নিছক মজা সবার সম্মানের জন্য যে কোন সুখকর ঘটনা না, সেটার জন্য। এটাই শেষ ক্ষমা চাওয়া আপনাদের কাছে,মনের ভুলেও আর কখনও লেখার চেষ্টা করবোনা।
আমি জানি আমার বন্ধুরা আমাকে তাদের এই ঘটনা জানার পরও ক্ষমা করবে..কারন তারা আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধু, বাইরের বন্ধু না……………..। এবার আপনাদের পালা……..
x-( এইগুলা কি হইতেছে?
আরিফ ভাই,আশ্চর্য তো???এইগুলা কি লিখলেন?????? x-( x-(
আমি জানিনা। বোধহয় আমার বলার ধরণেই সমস্যা। কিন্তু আপনি যেরকম ভাবছেন আমি মোটেও সেরকম কিছু বোঝাতে চাইনি।
আমি আপনার ব্লগে কমেন্টটা লেখার পর কয়েকবার বলেছি যে আমার কথাগুলো শুধু ব্যক্তিগতভাবে কাউকে উদ্দেশ্য করে বলা নয়। ব্লগের সবার উদ্দেশ্যেই বলা। আপনার ব্লগে সেটা লেখার জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে দু:খ প্রকাশও করেছি। এতকিছুর পরেও আপনার যদি মনে হয় শুধু আপনার উপরেই আমি কোন কারণে আমার ক্ষোভ(!!) ঝেড়েছি তাহলে ঠিক কিভাবে বললে আমি ব্যাপারটা বোঝাতে পারবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। আমার এই অপারগতার জন্য, আরিফ ভাই, আমি সত্যিই দু:খিত। আমিও কোন কালে আহামরি টাইপের ক্যাডেট ছিলাম না।
আর আমার এই কথাগুলো মোটেও একজন বলার পরে মাতামাতির বহি:প্রকাশ নয়। কমেন্টে যা বলেছি সেটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। এবং এই বিশ্বাসগুলো কিন্তু হঠাৎ করে একজনের কথা শুনে মাতামাতির ফসল নয়। আপনার যদি সময় হয় তবে রেডবুক সেকশনে একটু চোখ বুলিয়ে দেখবেন। আমি যা বলেছি সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা আছে কীনা। রেডবুক সেকশনটা কিন্তু ব্লগের একেবারে শুরু থেকেই ঝুলিয়ে দেয়া।
সবশেষে,আরিফ ভাই, আবারো বলি। আপনি যেমনটি ভাবছেন আমার বলার উদ্দেশ্য মোটেও সেরকম কিছু ছিলনা। এতকিছুর পরেও কোন কথায় যদি আপনার মনে হয়, অন্যায্য ভাবে কোন আঘাত দিয়েছি এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর এমন অভিমান করে চলে যাবেন না, প্লীজ।আরেকবার ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।ক্যাডেট মানেই একে অপরের আপনজন। সেই দাবী থেকেই এত কিছু বলা। সেটাকে যদি অন্য কিছু ভেবে অভিমান করে দুরে সরে যান তবে কার কাছে যাবো বলেন?
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আরিফ ভাই যাইবো গিয়া মানে???? এইগুলা কি কস তুই???উনি কইলেই হইলো???আমাগো কুনু দাবী নাই???
আরিফ ভাই,এইগুলা করলে কইলাম অনশন করুম।কথার মইদ্ধে বাম হাত ঢুকাইছি মনে হইলে কইষা একটা থাবড়া দেন-বড় ভাইগো কাছে মাইর আগেও খাইছি এখন খাইতেও কুনু আপত্তি নাই-ওইগুলা হইলো গিয়া আশীর্বাদের মত।
কিন্তু চইলা যাওন টাইপ কিছু কইলে কইলাম খবর আছে-আমার মিরিত্তুর জন্য আরিফ ভাই দায়ী এই রকম নোত রাইখা নিরুদ্দেশ হয়া যামু x-(
আরিফ রিল্যাক্স.....
ইজিলি নাও ভাই। এত সিরিয়াস হবার কিছু নেই।
*****
বিএমএ থেকে চিঠির লাইনগুলো হুবহু তুলে দিয়েছ দেখে ভালো লাগল। বুঝলাম তুমি চিঠি সুন্দর করে সংগ্রহে রেখে দাও। আমিও তাই করি - এটলিস্ট ১৯৯৯ এর মার্চের পর থেকে এই পর্যন্ত পাওয়া সব চিঠি আমার সংগ্রহে আছে। তার বেশিরভাগই ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের লেখা। অনেক লিখতামও। আমি খুব মিস করি সেই কাগজে লেখা চিঠিগুলো আর চিঠি হাতে পাওয়ার সেই মুহূর্তগুলো। মুঠোফোনর ধাককায় আজ সেই অনুভুতি স্মৃতিতে ঠাঁই নিয়েছে :-/ ।
Life is Mad.
এইগুলান কি???
আরিফ ভাই অভিমান ভালা না...। গা ঝাড়া দেন। আমরাই ত ভাই। 🙁 😛 🙂
কি রে আরিফ তোর ঘটনা কি??
তুই দেখি সিরিয়াস মাইন্ড খাইছস!!!
তোর লেখা গুলা আমি প্রথম থেকেই পড়তেছি। স্যাররা আমাদের জন্য কি করছে সেইটা তুই,আমি কিংবা আমাদের ৫৫ জন যে ভাবে জানে তা অন্যের পক্ষে বুঝা সম্ভব না এইটা তো তুই বুঝিস?? আমাদের ব্যাচের কেউ এই ধরনের মন্তব্য করলে তোর রাগ করা টা মানাত। কারণ আমি,কিংবা আমরা জানি তুই কোন কথা দিয়া কি মিন করতে চাস। তুই যদি চাস তোর কথা সবাই এক ভাবে মিন করবে, সেটা তোর বোকামী হবে। so, মানুষ হ। ঈদের মধ্যে তোর লেখা চাই্,নইলে খবর আছে। কথা দিলাম তোর নেক্সট পোষ্ট পড়ার সাথে সাথে আমার লেখা পাবি সিসিবি তে। so, তুই না লেখা পর্যন্ত আমি লিখছিনা।
মরতুজা ভাই এর মন্তব্যটা কিছুটা রুড ছিল, কিন্তু তার পয়েন্ট টা চিন্তা করে দেখলাম ঠিক। তার উপর মরতুজা ভাইজান আমার হাউসমেট কাম হাউস প্রিফেক্ট কাম টিচার (ব্র্যাক এ উনার কাসে একটা কোর্স করছি), তাই উনারে সাহস কইরা কিছু কইতে পারি নাই 🙁 🙁 । এই বিষয়টা নিয়া তুই আমার সাথে পার্সোনালি রাগ করতে পারস, বাট সিসিবির সাথে না।
অফটপিকঃ তোর লেখার স্টাইল দেইখা আমি ভিমরী খাইতাসি, এত সাহিত্য তোর কোথায় ছিল?
আরে কি হইলো আরিফের??
খুব বাজে একটা নেট লাইনের চিপায় পড়ছি, তাই পোস্ট ঘাইটা খুঁজতে গিয়া মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
ঐটা পাওয়ার আগেই আরিফরে বলি, ব্যাটা মাইন্ড করিসনা। তোরা ছোটো ভাইরাই তো জমায়া রাখবি এই জায়গাটা [এতোদিন যেভাবে রাখসোস] আর নাইলে কিন্তু আমি আইসা .....
যদি বড় ভাই মানোস, তাইলে কুইক একটা লেখা দিয়া দিবি :hug:
ভাই আরিফ, আমি আবারো বলছি আমি সত্যি খুব দুঃখিত। আমার কারনে তুমি এতটা কষ্ট পাবে আমি ভাবিনি। আমার কথায় rude tone আসে সেটা আমি খুব ভালমতেই জানি। এই জন্য আমি সাবধানে কথা বলার চেষ্টা করি। আমার এই গুনের জন্য আমি মোটেও গর্বিত নই। তবে মেনে নিতেও আমার আপত্তি নেই।
যাই হোক, তুমি আমার যুক্তিটা বুঝতে পেরেছ বলে আমি খুশি। শক্ত কথা আমরা সবাই সহজ ভাবে নিতে পারিনা। নিজেকে সমালোচনা করা খুব কঠিন কাজ। সেটা মেনে নেয়া আরো কঠিন। তোমার জন্য যেমন সেটা সত্য, আমার জন্যও।
আর তুমি মনে হয় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছ "তোমাদের ব্যাচটাকে মনে পড়ে..." বাক্যটাকে নিয়ে। ভাই, এটা তোমাদের দোষ নয়, আমার দোষ। মানুষের চেহারা আর নাম মনে রাখার ক্ষমতা আমার খুব কম। আমার মস্তিষ্কের অই অংশটা একটু কম কাজ করে। নিজের বউ ছাড়া নিজের শ্বশুর বাড়ির প্রায় সবাইকেই আমি চিনিনা। হাইসো না, ঘটনা সত্য। কারো সাথে দেখা হলে বউ রে জিগাইতে হয় এইটা কে। বুয়েটে পাচ বছর একসাথে ক্লাস করার পরো আমি আমার অনেক ক্লাসমেট এর নামসহ চেহারা ভুলে গেসি। এটা ত সেদিন এর ঘটনা যে বুয়েট ছেড়ে বের হলাম। আর কলেজ তো বার বছর আগের কথা। সিনিয়র জুনিয়র প্রায় সবার চেহারাই ম্লান। কারো কথা মনে করতে গেলে বিশেষ ঘটনা ছাড়া মনে করতে পারি না। সেই জন্য বলেছি তোমাদের ব্যাচটাকে এই জন্য ভালভাবে মনে আছে যে তোমাদের পানিশ্মেন্ট দিতে আমাকে তিন বার ভাবতে হোত। কারন স্যারদের সামনে জবাবদিহি করা খুব একটা সুখকর বিষয় ছিলনা। আর কে যায় অত ঝামেলা করতে। আমার মনে আছে তোমাদের ব্যাচ ই প্রথম যারা ক্লাস এইট এ থাকা অবস্থায় কলেজ প্রিফেক্ট এর নির্দেশ অমান্য করেছিলে। তাও পুরো ৫৫ জন একসাথে। পানিশ্মেন্ট এর প্রতিবাদ হিসেবে শীতের দিনে নামাজে পুলোভার ছাড়া গিয়েছিলে। এখন তুমিই বল এসব ঘটনা আমার মনে থাকবে না কি অন্য কিছু। কোনপ্রকার নেগেটিভ উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের মনে রাখিনি। ট্যাং ট্যাং স্যার কে যেমন শুধুমাত্র মনে আছে ওনার টিং টিঙ্গে চেহারা আর গলার জন্য, কিন্তু তাতে তার প্রতি আমার স্রদ্ধা বিন্দুমাত্র কমে নাই। ওনার আসল নামটাও ভুলে গেছি। তোমাদের আমি শেষ দেখেছি মনে হয় ক্লাস নাইনে। তাই তোমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট কি ছিল বা iic তে তোমাদের ভাল ফলাফল আমার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। আর আমি মনে রাখলাম কি না রাখলাম তাতে তোমাদের কি আসে যায়। তোমরা জান তোমরা কি অর্জন করেছ। সেটাই আসল। আমার কথা তুমি হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে পার। নিজের চোখে নিজেকে জানাটাই আসল, অন্যেরা কি ভাবলো বা কি দিয়ে জানলো তাতে নয়।
তারপরও আমার কমেন্ট এর জন্য আমি দুঃখিত। তবে আমার মুল বিষয়ে আমি অটল। কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। থাকুক না কিছু বিষয় আমাদের বুকের ভিতরে যেখানে অন্যরা নাগাল পাবে না। তাতে যেই সব সৃতিরা বাইরের পঙ্কিলতা থেকেতো অন্তত মুক্তি পাবে।
আর সব শেষে অনুরোধ করব ব্লগ ছেড়ে না যাবার জন্য। আমার কারনে এমনটা ঘটবে সেটা আমার মোটেও ভাল লাগবে না। তাছাড়া আমি অনিয়মিত দর্শক এখানকার, তোমাদের মত নিয়মিত লেখক অনেক বেশি দরকার। তাই বলছি, তোমার জন্য ঈদের দিন সকালে উইঠা একখান লেখা দেয়া মাস্ট। বাকিরা কি বলেন?
মরতুজা ভাই
আমার মনে হয় আপনার এতো দুঃখিত হউয়ার কিছু নেই কারন আপনি ভুল কিছু বলেননি। বড় ভাই হিসেবে আপনি ব্লগে কোন গল্পটা কিভাবে বললে ভালো হবে সেটা খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। একই কথা জিহাদ বা অন্যরাও বলেছে। আমি যদি সেটা বুঝতে না পারি সেটা আমার সমস্যা, অন্যদের নয়। তার জন্য যদি আমি ওভার রিএক্ট করি সেটাও আমার সমস্যা। তাই না।
“তোমাদের ব্যাচটাকে খুব ভাল মত মনে আছে শুধুমাত্র এই কারনে” কথাটা আমার কাছে কিন্তু অন্য আর দশটা সাধারন কথার মতই মনে হয়েছে। আপনার জায়গায় আমি হলে আমিও হয়তো এভাবেই বলতাম। আমার পক্ষে আমার সব জুনিয়র ব্যাচের ssc,hsc, icclm রেজাল্ট মনে রাখা তো সহজ বা সম্ভব না। আর সবাই একভাবে মনে রাখেও না। একেক জনের মনে রাখার স্টাইল একেক রকম। এটা নিয়ে এতো মান-অভিমান, ব্লগ ছাড়াছাড়ির কিছু নাই।
আমি এখনো মনে করি আপনার বলা প্রতিটা কথা সত্য। আমি খুবই খুশি হবো যদি ভবিষ্যতেও আমরা কোন ভুল করলে আমার বড় ভাইরা সেটা শুধরিয়ে দেয়।
খুব তাড়াতাড়ি আপনার পরবর্তী লেখার প্রত্যাশায়...।
ভাই, আমি ভেবেছিলাম আর কোন বির্তকে যাবোনা। তবু আপনাকে কিছু না বলে পারছি না, এই ভেবে যে এর একটা সমাধান দরকার। প্লিজ দয়া করে এটাকে অন্যভাবে নিবেন না।
১। আমি বড় ভাইদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি, তারা আমাদের আর্দশ,গুরু, যাই বলি না কেন...সেটা তাদের জন্য কম বলা হবে।
২। মরতুজা ভাই, আমার সিনিয়র সে আমাকে যা বলেছে..লেখা নিয়ে, তাতে আমার বিন্দু মাত্র মন খারাপ হয়নি,আমি চিন্তা করেছি..আসলে এটাতো ঠিক কথা।এবিষয়ে সর্তক থাকা ভালো।
৩।ক্যাডেটদের সর্ম্পকে খারাপ ধারনা হয়,এটা নিশ্চয় কোন ক্যাডেট চাইবে না, আর আমি যে ইচ্ছাকৃত কিছু বলিনি,এটা নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারবেন।
৪।আপনি নিশ্চয়ই,আমার পুরো ব্লগ পড়েন নাই।পড়লে বুজতেন ব্যাপার টা খারাপ লাগার কারন, আমার কাছে।"তোমাদের ব্যাচটাকে খুব ভাল মত মনে আছে শুধুমাত্র এই কারনে” কথাটা শুনতে খারাপ লাগেনা। কিন্তু আমার কেন খারাপ লেগেছে, সেটা হলো কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে মরতুজা ভাই কথাটা বলেছেন, এটা সে পরে ক্লিয়ার করেছেন, কিন্তু প্রথমে তো কিছু বলেন নাই,আমান কাছে মনে হয়েছে সে,কথাটা বলেছে আমাদের হেয় করার জন্য। ভাই আমিও একটা কথা বলি:অমার ব্যাচের মত ইউনিটি আপনি, আর কয়টা ব্যাচ পাবেন সব কলেজে আমার সন্দেহ। এটা একদম সত্যি...এজন্য ব্যাচ নিয়ে কিছু বললে আমার ভাই মাথা ঠিক থাকেনা...
৪।এবার আসি জিহাদ প্রসংগে,ও কিন্তু "আমাদের বাপ-বেটা পোস্টে" প্রথমে মন্তব্য করেছিল,তখন ও কিন্তু বিষয়টা ফান হিসাবেই নিয়েছিল,
কিন্তু মরতুজা ভাইয়ের মন্তব্যের পর ওর কথা কিন্তু চেন্জ হয়েগিয়েছিল, এই জিনিসটা আমার কোন সময় পছন্দ না যে,তুমি যা বলবে সব সময় একই কথা বলবে, যেমন মরতুজা ভাই শুরু থেকেই ভুলের প্রতিবাদ করেছেন।আমি এর প্রশংসা করি। Thanx again Mortuza Brother.এখানে সবাই পরিপক্ক য়ে কেউ আমার ভুল ধরতে পারে,আর একজনেই যথেষ্ট ভুল ধরার জন্য কারন তিনিই তো ভুলটা শুধরে দিচ্ছেন,তাই না ব্যাপার টা?কিন্তু প্রথমে এক কথা, পরে আরেক কথা বলা কি আমাদের ঠিক?
৫।ভাই,আমিকি কখনও বলেছি যে, আমি ব্লগ ছেড়ে চলে যাচ্ছি? আমি বলেছি যে,আমি আর কোন বির্তকের জন্ম দিতে চায় না, আমি মাঝে মাঝে কি বলতে কি বলে ফেলি তা আমি নিজেও বুঝতে পারিনা। এই জন্য আমার লেখা বন্ধ করা উচিত বলে আমার মনে হয়েছে।
৬।আমি আবারো বলছি আমি,এই জন্য খুবই লজ্জিত....
পুনশ্চ:কামরুল ভাই,আমারতো মনে হয় আপনি বেশী মাইন্ড করেছেন x-( আরে ভাই,আপনি না আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র?আমি কিছু ভুল করলে,মিয়া আপনার উচিত,আমাকে বেশী ঝাড়ি মারা..আমি এইটাই বেশী আশা করবো। :boss: আপনি কেন আমাকে সরাসরি জবাব দেন নাই? মরতুজা ভাইয়ের মন্তব্যে কেন জবাব দিলেন? এর উত্তর চাই...জাস্ট ইমিডিয়েট সিনিয়র সূলভ..আমি কি মিয়া আপনার সৎ ভাই?
পড়ুন:আমান=আমার,অমার=আমার
বানান ভুল,অসর্তকতা 😛
ধুর আরিফ। আমি মাইন্ড করবো কেন?
আমি নিজের উপর ছাড়া অন্য কারো উপর খুব সহজে মাইন্ড করি না।
তুমি যে মজা করতে গিয়ে লেখাটা লিখেছ সেটাও আমি জানি, মরতুজা ভাই যে আমাদের সবার ভালোটা চিন্তা করে কমেন্ট করেছে সেটাও আমি বুঝি।
আর জিহাদের উপর মন খারাপ করার কিচ্ছু নাই। মরতুজা ভাই কমেন্টে ব্যাপারটা না সুন্দর করে না বললে আমিও বুঝতাম না। শুধু লেখার মজা পেয়ে আমিও প্রশংসা করতাম। কিন্তু মরতুজা ভাইয়ের কমেন্ট পড়ার পর আমারো মনে হয়েছে,-'তাইতো আমরা তো খুব মজা পেলাম,কিন্তু বাইরের একটা লোক এই লেখাটা পড়লে ভাববে, ও ওরা তাইলে এমনে পাশ করে।'
এই জন্যই জিহাদ পরে আমাদের সবার জন্য কিছু সতর্ক থেকে লেখার কথা বলেছে। এটা কিন্তু শুধু তোমার লেখার ব্যাপারে না। তোমার,আমার এমনকি জিহাদের নিজের জন্যও।
সুতরাং ভুল বুঝাবুঝির কিছু নাই।
লেখা শুরু করো। মরতুজা ভাই আপনিও। জিহাদও। আমিও।
মরতুজা ভাই কি লজ্জা দিতাছেন নাকি প্রশংসা করলেন B-)
ওই দিনের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে, ঘটনার লিডারদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। কিন্তু কেউ সেটা বের করতে পারে নাই। আমার ক্লাসমেটদের নিয়া তাই আজও গর্ব করি। এই বিষয় টা নিয়া একটা লেখা দেওয়ার ইচ্ছে পোষন করলাম।
আরিফ খুব সম্ভবত ঈদের ছুটিতে খুলনা গেছে। ও আবার অফিসে বসের চোখ ফাকি দিয়া বল্গাইতে ভাল পায় 😀 । ওর লেখা পাবার জন্য মনে হয় আমাদের কিছু দিন ওয়েট করতে হবে।
কি??কেলাস এইটা থাকতে সিপির আদেশ অমান্য?? x-( ইনডিসিপ্লিন্ড বেগারত টাইপ ক্যাডেট!!!!স্টাফ এদের ইডি লাগান,পাঙ্গায় লাল করেন... 😀 😀 😀
হোই মিয়া, তুমি কই এহন? তুমি যে ছুপা রুস্তম ওরফে বদ আছিলা তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই।
ভাইয়া আমি এখন ব্রিসবেনে থাকি। P.R. এর জন্যে ট্রাই করতাছি। যদিও ৯৯% মনের ইচ্ছা দেশে ফিরা যাই। নিজের দেশে থাকার যে কি মজা সেইটা নিশ্চই আপনে টের পাইতাছেন B-) ।
মাসরুফ,হাসনাইন,জিহাদ,সাব্বির,কাইয়ুম(ফৌজিয়ান)ভাই,সায়েদ ভাই ও মরতুজা ভাই....আপনাদের ছাইড়া আমি কই যামু, কন তো দেখি?
আপনাদের অস্বীকার করা, মানে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা একই কথা....তাইনা ভাই,ব্রেদার গণ?
অফটপিক:কাল বাসা যাচ্ছি, কবে আসবো জানিনা..তো সবাইকে...
ঈদের চান মোবারক...ভালো থাইকেন হকলডি...
প্রীতিভোজটা হয় না কেলা????ব্লগে একটা মধুরেণ সমপায়েৎ হইল আর সবাই মুখ শুকনা কইরা বইসা আছে...
ঐ ব্যাটা, তোরে আইস্যা ভালোমত মিষ্টিমুখ করামুনে.... 😀
ভাইজান, আমি মোটেও চেন্জ হইনাই। আপনার পোস্ট টাকে আমি এখনো ফান হিসেবেই নিতেসি। কোন বিতর্কিত পোস্ট হিসেবে নয়। তার জন্য প্রথম পোস্ট এ আমিও কিছু লিখিনাই। যদিও আপনার পোস্টটা পাবলিশ করার পুর্বমুহুর্তে আমি কিছুক্ষণ ভেবে নিয়েছিলাম দেবো কি দেবোনা। কিন্তু শেষমেষ আমার মনের যে অংশটা ভাবতেসিল আরে, এইটাতো জাস্ট ফান, দিয়া দাও মিয়া - সেই সাইডটাই শেষ মেষ জয়ী হইলো।কিন্তু ডাউট তখনো ছিল। কিন্তু যেহেতু সেটা পাবলিশ করে দিসি তাই আর ওটা নিয়ে মাথা ঘামাইনি।
এইবার সেকেন্ড পোস্ট নিয়া আসি। আপনার পোস্টটা পড়ার পরে কমেন্ট কেন করলাম? কারণ আপনার মতামত এর সাথে আমি একমত হতে পারিনি। যার ফলশ্রুতিতে আমার ঐ কমেন্ট করা।কাজেই আমার মন্তব্য আপনার আগের পোস্টকে ভেবে নয়, আপনার পরবর্তী পোস্ট এর মতামত সম্পর্কে। এবং সেটা শুধু আপনাকে এড্রেস করে না, সবাইকে ভাবার জন্য অনুরোধ করেই বলা। সেটা আগেও বলসি, এখনো বলতেসি। আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার ঐ পোস্টটাই আমার একমাত্র মাথাব্যাথা তাহলে ভুল ভাববেন। আর এরকম পোস্ট একটা দুইটা আসলে হয়তো তেমন ক্ষতি হবেনা। ক্যাডেটরা যা করে তার ১০০% ই ভাল এমনটা আমিও ভাবিনা। কাজেই একশোটার মদ্ধে দুই একটা পোস্ট এরকম থাকলে সেটা বর্তমান পরিস্থিতির বিরোধিতা করেনা। কিন্তু এমন পোস্ট যদি ঘন ঘন আসে তাইলে সংখ্যালঘু ব্যপার গুলোই পাবলিক সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে ধরে নিবে। সেই বিষয়ে সতর্কতা করা এবং আপনি জবাব হিসেবে যে মতামত দিয়েছেন (মরতুজা ভাইয়ের ব্যাপারটা বাদে) তার বিপক্ষে আমার অবস্থান জানানোর জন্য আমি কমেন্টটা করেছিলাম। এবং আমার এই বিশ্বাসের পক্ষে আমি সবসময়ই অটল থাকবো। একে যদি হুট করে একজনের মাতামাতির ফসল ভেবে থাকেন তাহলে ভুলটা আপনি করবেন, আমি নই।
ভাল থাকবেন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আচ্ছা ভাই. টপিক গুলো বাদ দেওয়াই ভালো, আমার মনে হয়। লেবু যত চিপবে লেবুর রস তত তিতা হবে আরকি....সুতরাং Brother "No Talking More" হা হা...
এইটা আমার খুব পছন্দের ডায়লগ আর কি...অন্য কোন দিন না হয় লিখব।
ঈদের আনন্দ করো....বুঝলা পিচ্চি?
৩ দিন নেটের লাইন ছিল না......(শালার ব্রডব্যান্ড),তাই এইমাত্র ব্লগে ঢুকলাম,পোষ্টগুলোও পড়ছি।পড়ে অনেক ভাবলাম।মনে হল,মরতুজা ভাই যা বলেছেন তা অনেক দিক হতেই ঠিক।সিনিওর হিসেবে ভুল ধরিয়ে দেবার অধিকার অবশ্যই তার আছে।
আমরা ভবিষ্যতে চেস্টা করব আমাদের সুনাম নস্ট হয় সেরকম কিছু না দিতে।আর বড় ভাইরা আমাদের যদি কোথাও ভুল হয়,তা ধরিয়ে দিবেন।হতে পারে,অনেকের অনেক লেখা পছন্দ না হতেই পারে।কিংবা অনেক লেখা এখানে লিখলে আমাদের সম্মানহানি হতে পারে।আমরা আশা করব,সেই সময় আমরা কোন প্রকার বিতর্কে না গিয়ে সবার নিকট সহযোগিতা কামনা করব।সেই সহযোগিতা আমি সিনিওর ভাইদের নিকট হতে কামনা করব।
আমার কোন বক্তব্যে কেউ কোন কষ্ট পেলে এই ঈদে তা ক্ষমা করবেন আশা করি।
.....................................
এখন এই খাজুইরা প্যাচাল বাদ দেই......ঈদের মাস্তি করি।।
সবাইকে ঈদ মোবারক।
কিছুই বুঝিনাই কারণ বাপ ব্যাটা পোস্ট এখনো পড়িনাই। যাই হোক তাও শুভ সমাপ্তির জন্য এখানা তালিয়া। সবাই দেন
ওরে আল্লাহ...। পোলাপান তো দেহি গ্যঞ্জাম ছাড়া থাকতেই পারেনা...। ঐ, আমার সকল জুনিয়ররা..."সাবধান"..."আরামে দাড়া"..."সাবধান"...।
সবার জন্য আদেশ, "কোন গ্যাঞ্জাম নাই আর..." (ভাইইয়েরা বোনেরা ইজ্জত রাইখেন...আবার ইউনাইটেড হইয়া আমার অর্ডার ভায়োলেট কইরেননা 😉 )...
সত্যি কথা বলছি, এত অভিমান, বিতর্ক, যুক্তিখন্ডন সব কিছুর পরেও সিনিয়র জুনিয়র নির্বিশেষে সবাই সবার মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে সংশোধন করে নেয়া, নিজের ভূল স্বীকার করে নেয়া, অভিমান ভূলে যাওয়া...এত উদার কি ক্যাডেট ছাড়া আর কেউ হতে পারে?
গর্বে আজ আবারো বুকটা ফুলে উঠলো যে আমি একজন ক্যাডেট।
ভালো থাকুক বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাডেট।