আমরা তখন ক্লাশ টুয়েলভে………আমাদের সময়..আই,সি,সি,এল,এম….সেবার হলো ক.ক.ক তে….প্রতিযোগিতা শেষে..সবাই
কলেজে…ফিরেছে। তো আমাদের কলেজের …পারফরমেন্স খুব ভালো। অনেকে বেশ কিছু ইভেন্টে বিজয়ী হয়েছে।
আমরা অংশগ্রহনকারীদের মুখ থেকে তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনতে থাকলাম। বিশেষ করে একটা (!) কলেজের কে কে এসেছিল?দেখতে কেমন? তোদের সাথে কথা হয়েছে কিনা? etc..etc……….
আমরা আবার কাউকে কাউকে একটু খ্যাপাতে লাগলাম যেমন: আমাদের C.P কে, কারন তার ক্যাডেট নং আর বিশেষ (!) কলেজের C.P র ক্যাডেট নং একই ৯১৮. এটা শুনে আমাদের সুন্দর লাজুক C.P তো মাঝে মাঝে লাল হচ্ছে। আমি আবার তাকে একটু পাম দিচ্ছি…..দোস্ত একটা শুভেচ্ছাপত্র পাঠাতো………সে একবার রাজি হচ্ছে আবার পিছিয়ে যাচ্ছে….তাকে আবার সাহস দিচ্ছি আরে ব্যাটা ছেলেদের ৯ কলেজের C.Pদের মধ্যে তো তুই সবচেয়ে সুন্দর, স্মার্ট…চালিয়ে যা………
আমাদের ইমিডিয়েট এক জুনিয়র গানে এম.জি.সি.সিকে হারিয়ে First হয়েছে এটা একটা বিরাট ব্যাপার…..এর জন্য সে কোকিলকন্ঠি বলে টিজ্ খাচ্ছে। আমাদের ব্যাচের উদিয়মান ব্যান্ড তারকা জীবনে প্রথমই আন্ত:হাউস প্রতিযোগিতা না করে আন্ত:কলেজ প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করে ১০ জনের মধ্যে সেরা ১০ম স্থান অধিকার করেছে (গতবারও উদিয়মান ব্যান্ড তারকা বর্তমানের দেশের নাম করা গায়ক, একই ফলাফল অর্জন করেছিল) আর আমি বড় সৌভাগ্যবান আমি এই দুইজনের টেবিলমেট ছিলাম……………………(!)
যাহোক এতো গেল পার্শ্ব নায়কদের কথা এবার আসা যাক আমাদের আসল নায়কের কথা……সে হলো আমাদের C.C.P..
সে I.C.C.L.M এ মোটামুটি সবাইকে কাপিয়ে দিয়ে এসেছে…..এবং সবাইকে কাপিয়ে এসে, নিজের একদিন কাপুনি দিয়ে জ্বর হলো…ফলাফল টাইফয়েড…..ঢাকা সি.এম.এইচ এ ভর্তি। আর তার এই কাপানোর ফল পেতে আমাদের আর বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়নি………………একদিন টেবিলে আমাদের C.C.Pর ছোট ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করলো: আচছা আরিফ ভাই, ভাইয়ার কি কারো সাথে Affair আছে? আমি বললাম আমার
জানামতে নাই..কেন কি হয়েছে? সে বললো: না, হাই স্যার গতকাল রাতে হাউস অফিসে আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলো যে, তোমার ভাইয়ের কোন কোন ক্যাডেট কলেজে বন্ধু আছে যারা, তোমার ভাইয়ের কাছে চিঠি লেখে? আমি আছে বলে ক্যাডেট কলেজের গুলোর নাম বলতে লাগলাম…….কিন্তু স্যার বললো: না অন্য বিশেষ কলেজটার কোন……..(!)……আছে কিনা? সে চিঠি টা চাইলে স্যার বলে দেয়া যাবেনা, তোমার ভাই কলেজে আসুক তারপর দেখা যাবে…………………….পরে হাই স্যারের পোলার (আমাদের ব্যাচের) মাধ্যমে জানতে পারলাম ঘটনাটা সত্যি, তবে মেয়েটা তার নাম লিখেনি চিঠিতে (আমরা ভাবলাম, কত বড় চালাক মেয়ে নিজে Safe position a থেকে আমার কিছু না জানা টাইপ দোস্তটাকে ধরা খাইয়া গেল, যে তখন পযর্ন্ত জানেনা তার এই ঘটনা,হাউসমাষ্টার, এ্যাডজুটেন্ট পর্যায় চলে গেছে)।
অবশেষে আমাদের C.C.P সুস্থ হয়ে কলেজে Back করলো। তাকে জেরার সম্মুখীন হতে হলো, ক্লামমেট,স্যাররা,হাউসমাষ্টার,এ্যাডজুটেন্ট সবার প্রশ্ন: কি ভাবে I.C.C.L.M এ তুমি এই কান্ড ঘটালে?………………………..
বেচারার চেহারা আর দেখেকে!…এমন কি একদিন সে সকালে পিটিতে লেট করলো আর এ্যাডজুটেন্ট সেই দিন Punishment হিসেবে Dress restriction দিল তাকে…পরে, রাতে বেচারা Dress change করে একটা সাদা সার্ট গায়ে দিয়েছিল। রাতে হাউসমাষ্টার ইংরেজীর মোস্তাফিজ স্যার ওর রুমের সামনে এসে হুংকার দিল: কিরে …….. পিটিতে লেট কেন ?
উত্তর: স্যার ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়েছিল।
স্যার: রাতে কার চিন্তা করিস্?
C.C.P:…(ইংগিত বুঝতে পেরে) চুপ।
স্যার:(ওর সার্টের দিকে তাকিয়ে, কিন্তু হায় কপাল সার্টের পকেটে লাল কালি লেগেছিল) কি রে তোর সার্টের পকেটে ওটা কিসের দাগ?
C.C.P: স্যার, লাল কালির দাগ।
স্যার:লাল কালি না লিপিস্টিকের দাগ লাগিয়েছিস?
C.C.P:…চুপ।
স্যার: রাতদিন কাকে চিঠি লিখিস্?
C.C.P: স্যার, আমি বাসাতেই ঠিকমত চিঠি লিখিনা….
স্যার: (রেগে) তা লিখবে কেন? তুমিতো “বাসা” না “ভালবাসা”র চিঠি লিখ…….
………………………………………………………………………………………………………….
এভাবে দিন চলে যাচেছ………….M.G.C.C থেকে ঠিকই চিঠি আসে কিন্তু যার কাছে আসে সে আর পায়না……………
………………………..একদিন আমি এগিয়ে এলাম…বললাম: দোস্ত তুই কি কিছুই জানিসনা?
C.C.P: নারে আমি কিছুই জানিনা…..সে যে কে তা পর্যন্ত জানিনা…..তবে আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয় মেয়েটি কে…?
আমি: দোস্ত মন খারাপ করিস না, এই ছুটিতে আমি বের করবো মেয়েটি কে?
…………………………………………………………………………………………………………….
Vacation এ বাসায় এসে একদিন আমি আর আমিন Mission MGCC সফল করতে বের হলাম………
যথারীতি আমাদের ব্যাচের একজন মাত্র MGCCর ক্যাডেট খুলনায় ছিল, তার বাসায় হাজির হলাম সাহায্যের আশায়…
সব কিছু তাকে ইনিয়ে বিনিয়ে বললাম কিন্তু কিছুতে তার মন গলাতে পারলাম না।
সে বলে: যার কাছে চিঠি দিয়েছে সে ছাড়া আর কাউকে মেয়ের নাম বলবোনা…..
আমি: প্লিজ, বলো সেইতো আমাকে,তোমার কাছে পাঠিয়েছে……….আমি আমিনকে সাক্ষী মানলাম, আমিন মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিল….কিন্তু কিছুতে তাকে রাজী করাতে পারলামনা। সে তখন প্রসংগ পাল্টায়া বলে: আমাদের সাথে সব কলেজের যোগাযোগ আছে,,,শুধু তোমাদের বাদে(!)।
অবশেষে মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম…..
আমিন বললো: তুই খামাখা অপমান হতে গেলি কেন?…………………………………..
যাহোক, আমি নিরাশ হলাম না……….অন্য পথ অবলম্বন করলাম………আমি গেলাম MGCCর আমাদের এক ব্যাচ জুনিয়রের বাসাই………….অবশ্য সে আমার ক্লাশ থ্রি থেকে আমি ক্যাডেট কলেজে ঢোকার আগ পর্যন্ত এক স্কুলে পড়তাম………..
সে: দেখো আরিফ, আমি তাদের ব্যাচের কথা কিভাবে বলি? আমি এই রকম কথা শুনেছি কিন্তু সঠিক কে যে চিঠি লিখেছে তা বলতে
পারবোনা।
আমি নিরাশ হয়ে কলেজে ফিরি, C.C.P কে বলি………..সে চুপ করে থাকে………….মাঝে মাঝে C.C.P খবর পায় তার নামে সব লেটার আগে এ্যাডজুটেন্টের কাছে চেক হয় পরে হাউসে আসে…………………………..এই ভাবে দিন যেতে থাকে আর আমাদের দোস্ত এই আশায় বুক বাধে……..কলেজ থেকে চলে যাবার দিন……সে ঠিকই এ্যাডজুটেন্টের কাছে গিয়ে…..চিঠি গুলো চাইবে………………………সে দিন হয়তো এ্যাডজুটেন্ট তাকে আর খালি হাতে ফিরাবেনা……………………………………
পুনশ্চ:………….থাক এখন আর বলবোনা………..পাঠকদের আগ্রহ জানার পর না হয় লিখবো………………………..
আরিফ ভাই এইডা কেমুন কথা?আপনে এমনে অরধেক ব্লগ লিকছেন কিল্লাই?জানেন না আমার সাস্পেন্স সহ্য হয়না?বাকি কাহিনি কি??কেম্নে কি হইল???ভাই ভাবি এখন কেমুন আছে????ভাতিজার বয়স কত এখন?????তারাতারি কন নাইলে কইলাম তিন তালা থিকা লাফ দিমু... x-(
এতটুকু বলার পর এরম মুলা ঝুলায় রাখার মানে টা কি ? x-(
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আরিফ ভাই, আপনের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্লগে জনমত তৈরি হইতাছে।"গণ" খাওয়ার আগে ভালোয় ভালোয় বাকিটা লিখেন কইতাছি...... x-(
যেইরকম ডট ডট দিয়া লিখা, ভাইজান মনে লয় মেসেন্জারেই দিন রাত পার করেন 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
না ভাই দিনরাত পার করতে আর এখন পারিনা...বয়স হয়েছে না?
আমার কেমুন জানি মনে হইতেছে এইডা হইল আরিফ ভাইয়ের আত্মজীবনীমূলক লিখা...সিসিপি ভাই এইখানে নাই দেইখা উনার উপরে চাপায় দিয়া খালাস...খাড়া, আহসান ভাইরে দিয়া ডিজিএফআইরে ম্যানেজ কইরা এক্টা তদন্ত করতে হইব...
bhai aamro mone hoche eita nijer kahini.
এখন তো খালি এমজিসিসি না আরো দুইটা...আইসিসিএলএমএম তো মামা জইমা গেলো... 😛
মাসরুফ, আরিফের ডাক নাম কিন্তু 'গঁদা' আরিফ!!!
আমার মনে হয় না ওরে দেখার পরও গণ দেবার মত বেশি লোক পাওয়া যাবে... 😛 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কবীর ভাই,আল্লাহ পাক বুদ্ধি শুদ্ধি কিছু কম দিলেও শরীর স্বাস্থ্য কম দেয়নাই...পোষাইয়া দিছেন...আরিফ ভাই বাকিটা না লিখলে কইলাম গণ পার্টিতে সাম্নে থিকা নেতৃত্ব দিমু...সেই সাথে সুইসাইডের হুমকি তো আছেই গণতে কাজ না হইলে... 😀
কবীর ছোট পোলাপানের সামনে টিজ্ করোসকেন? ভালা হইয়া যা.....
পাবলিকের মুখ তো আপনে বন করতে পারবেন না আরিফ ভাই,পাবলিক জা কওনের তা কইবোই(কামরুল ভাইয়ের এই ডায়ালগ আমার হেভী পসন্দ) 😀
আচ্ছা তোমার মন্টি ভাই..ববিকে বিয়া করবে কবে....
ওই মিয়া আপনে উনাদের চিনেন কেম্নে??????
আরিফ, ঘটনা তো কিছুই বুঝবার পারতাছি না,
ঘটনা কি?
আপনের ঘটনা কি সেইডা কন আগে।মিয়া ছুডু ভাইয়ের বান্ধবির লগে ফেলার্ট করার অপচেষ্টা করতাছেন...ছিঃ......ক্যাডেট কইয়া ওর সামনে যেই পার্ট লই সেইটার ১২ টা বাজাইবেন মুনে হইতাছে...
আমি আবার কি ছুডু ভাইয়ের বান্ধবির লগে ফেলার্ট করার অপচেষ্টা করলাম? নাকি তুমি সাব্বিরকে কথাটা কইলা?
সাব্বির ভাইরে কইছি x-(
আমারে কইব ক্যা? আমি কি জীবনে কারো লগে ফ্লার্ট করছিনি??
হালায় তোর নামে বাজে কথা ছরাইতাছে x-( x-(
হালারে পিডা!!!! B-) B-)
লিঙ্ক শুদ্ধা প্রমান দিমু? x-(
আইচ্ছা মাসরুফ ভাইয়া, তুই জানি কোন চকলেট টা পছন্দ করিস?? 😀 😀
ফেরেরো রচে আর কিটক্যাট :shy:
খুব খারাপ, খুব খারাপ.....সাসপেন্স ভালো না।
তাড়াতাড়ি বাকিটা চালান দাও ;)) ।
Life is Mad.
ভাই....মাত্র ২ পর্বের কাহিনী....মাঝে একটা বিজ্ঞাপন বিরতিতো থাকবে..........
মাত্র একটা? কমার্শিয়াল যুগ, ৪/৫ টা বিরতি ছাড়া আজ কাল পাব্লিক কিছু খায় না।
;;)
সব কিছু কেমন জানি মাথার উপর দিয়া যাইতাছে... ;;)
আরিফ ভাই তার লেখার TRP রেটিং বাড়ানোর জন্য এসব করতেছে 😕
এইসব কি ভাই... জলদি পরের পার্ট দেন। খেলুম্না :(( :((
x-(
জুবায়ের ভাই নাকি????????????
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
x-( x-( টেনশানে ফালায়া দিসেন।
টেনশন লইস্না। সব ঠিক হৈআ গ্যাচে। পরের্পাট আয়া পর্চে।
😐